id
stringlengths 3
7
| url
stringlengths 39
43
| title
stringlengths 1
93
| content
stringlengths 3
166k
|
|---|---|---|---|
947802
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947802
|
কোশল রাজ্য
|
কোশল রাজ্য
কোশল রাজ্য () প্রাচীন ভারতের রাজ্য, যা বর্তমান উত্তর প্রদেশের আওধ অঞ্চলের সন্নিকটে অবস্থিত। বৈদিক যুগের শেষের দিকে এটি একটি ছোট রাষ্ট্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল, যার প্রতিবেশী "বিদেহ রাজ্যের" সাথে সংযোগ ছিল। খৃস্টপূর্ব ৭০০ হতে ৩০০ শতাব্দীতে কোশল রাজ্য উত্তর-ভারতীয় কৃষ্ণ চিক্কণ মৃৎপাত্র সংস্কৃতির অংশ ছিল। এ রাজ্য হতে শ্রমণ আন্দোলন, জৈনধর্ম ও বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাব ঘটে। কোশলের সংস্কৃতি নগরীকরণ ও লোহার ব্যবহারের স্বাধীন বিকাশের পরে রাজ্যটি পশ্চিম দিকে কুরু-পাঞ্চালের বৈদিক আর্যদের "চিত্রিত ধূসর মৃৎপাত্র সংস্কৃতি" থেকে আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ছিল।
গৌতম বুদ্ধ শাক্য জনগোষ্ঠীর লোক ছিলেন। খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে শাক্য জনগোষ্ঠীর জনপদ কোশল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। বৌদ্ধ ধর্মীয় গ্রন্থ অঙ্গুত্তরনিকায় ও জৈন ধর্মগ্রন্থ ভগবতি সূত্র অনুসারে খৃস্টপূর্ব ৫ম ও ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে কোশল উত্তর ভারতীয় ষোল মহাজনপদ গুলোর অন্যতম রাজ্য। সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কারণে এটি শক্তিশালী রাজ্যের মর্যাদা পেয়েছিল। তবে প্রতিবেশি মগধ রাজ্যের সাথে একাধিক যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। কোশলের দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে মগধ রাজ্য এটি শোষণ ও দখল করেছিল। মৌর্য সাম্রাজ্যের পতন এবং কুশান সাম্রাজ্যের বিস্তারের আগে কোশল রাজ্য দেব রাজবংশ, দত্ত রাজবংশ এবং মিত্র রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছিল।
প্রাথমিক বৈদিক সাহিত্যে কোশলের কথা পাওয়া যায়নি, তবে শতপথ ব্রাহ্মণ (খৃস্টপূর্ব ৭ম-৬ষ্ঠ শতাব্দীতে রচিত, ও খৃস্টপূর্ব ৩০০ সালের সর্বশেষ সংস্করণে) এবং (খৃস্টপূর্ব ৬ষ্ট শতাব্দীর) কল্পসূত্র(বেদাঙ্গ)-তে কোশল রাজ্যকে একটি অঞ্চল হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণে রাজা ইক্ষবাকুর রাজবংশকে কোশল রাজ্যের শাসক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। পুরাণে ইক্ষবাকু হতে প্রসেনজিত(পালি:পসেনাদি) পর্যন্ত ইক্ষবাকু রাজবংশের রাজাদের তালিকা আছে। রামায়ণ অনুসারে, রাম তার রাজধানী অযোধ্যা হতে কোশল রাজ্য শাসন করতেন।
জৈন ধর্মের ২৪তম তীর্থঙ্কর, মহাবীর কোশল রাজ্যে তাঁর পাঠ গ্রহণ করেন। বৌদ্ধদের মজ্জিমনিকায় গ্রন্থে গৌতম বুদ্ধকে কোশলের অধিবাসী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি বুদ্ধের শাক্য জনগোষ্টির জনপদ কোশল রাজ কর্তৃক দখল হওয়ার ইঙ্গিত করে।
প্রাক মৌর্য যুগে কোশলের রাজা "মহাকোশল" প্রতিবেশী "কাশী রাজ্য" দখল করে কোশলের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। (খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীতে) মহাকোশলের কন্যা "কোশলদেবী" মগধের রাজা বিম্বিসারকে বিয়ে করেছিলেন। মহাকোশলের পুত্র "প্রসেনজিত" বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, তার অবর্তমানে মন্ত্রী "দিঘ চরায়ণ", রাজপুত্র "বিদুদভ বিরুধক"কে কোশলের সিংহাসনে বসিয়ে ছিলেন। বিদুদভের সময় বাঘোচিয়া বংশের রাজা "বীর সেন", বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের পিতৃগোষ্ঠী শাক্যদের জনপদ আক্রমণ ও অধিকার করে কোশল রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এর কিছুকাল পরে (খৃস্টপূর্ব ৫ম শতাব্দীর শেষে অথবা ৪র্থ শতাব্দীর শুরুতে) মগধের হর্য্যংক বংশের রাজা অজাতশত্রু কোশল রাজ্য জয় ও মগধ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন, যা মৌর্য সাম্রাজ্যের ভিত তৈরি করেছিল। সবশেষে মগধের আরেক রাজা শিশুনাগ কোশল রাজ্য অধিকার করেছিলেন।
ধারণা করা হয়, মৌর্য শাসনামলে কোশল রাজ্য প্রশাসনিকভাবে "কৌশম্বি"র অধীনস্থ ছিল। মৌর্যবংশের প্রথম সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ে সগৌড় তাম্রপাতে উৎকীর্ণ শিলালিপিতে শ্রাবস্তীর দুর্ভিক্ষে রাজকর্তাদের গৃহীত ত্রাণব্যবস্থার বর্ণনা আছে, যা কোশল রাজ্যকে মৌর্য রাজবংশের অধীনে থাকার বিষয় নির্দেশ করে। গর্গ সংহিতার যুগ পুরাণ অংশে শেষ মৌর্য্য শাসক বৃহদার্থের রাজত্বকালে যবন (ইন্দো-গ্রিক) আগ্রাসন এবং পরবর্তী সময়ে কোশলের সায়েত দখল সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে।
মৌর্য্য রাজবংশের রাজত্ব শেষে বেশ কয়েকজন রাজা কোশল রাজ্য শাসন করেছিলেন। অযোধ্যা হতে মুদ্রিত চতুর্ভুজ আকৃতির তামার মুদ্রায় অঙ্কিত নাম হতে এসকল রাজাদের নাম জানা যায়। এরমধ্যে "দেব রাজবংশে"র মুলাদেব, বায়ুদেব, বিশাখাদেব, ধনদেব, নরদত্ত, জ্যেষ্ঠদত্ত ও শিবদত্তের নাম উল্লেখযোগ্য। তবে এই মুদ্রায় প্রকাশিত মুলাদেব, শুঙ্গ সম্রাজ্যের শাসক বসুমিত্রের হন্তারক মুলাদেব একই ব্যক্তি হওয়ার বিষয়টি জানা যায়নি।
মুদ্রায় নামাঙ্কিত রাজা ধনদেবকে অযোধ্যা শিলালিপিতে উল্লিখিত রাজা ধনদেব (খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দী) হিসেবে চিহ্নিত করা গেছে । সংস্কৃত শিলালিপিতে রাজা কৌশিকীপুত্র ধনদেব তাঁর পিতা ফাল্গুদেবের স্মরণে কেতন উড়ানোর কথা উল্লেখ আছে। এই শিলালিপিতে তিনি নিজেকে "পুষ্যমিত্র শুঙ্গ" রাজার বংশোদ্ভূত ষষ্ঠ পুরুষ হিসাবে দাবি করেছিলেন। ধনদেব ঢালাই তামা ও ছাঁচে গড়া মুদ্রার প্রকাশ করেছিলেন, উভয় ধরনের মুদ্রার পশ্চাৎ অংশে কুজো ষাঁড়ের ছবি অঙ্কিত থাকতো।
মুদ্রা থেকে কোসলের কিছু স্থানীয় শাসকদের নাম পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে একদল শাসকদের নামের শেষে 'মিত্র' পাওয়া গেছে: সত্যমিত্র, আর্যমিত্র, বিজয়মিত্র এবং দেবমিত্র, এদেরকে কখনও কখনও "কোসলের প্রয়াত মিত্র রাজবংশ" বলা হয়। তাদের মুদ্রা থেকে পরিচিত অন্যান্য শাসকরা হলেন: কুমুদ সেন, অজবরমণ এবং সংঘমিত্র।
অযোধ্যা, সাকেত এবং শ্রাবস্তী ছিল কোশলের প্রধান নগরকেন্দ্র। সেতব্য, উকথা, দণ্ডকাপ, নলকাপণ এবং পঙ্কধ ছিল কোশলের উল্লেখযোগ্য ছোট শহর। পুরাণ ও মহাকাব্য রামায়ণ অনুসারে রাজা ইক্ষবাকু এবং তাঁর বংশধরদের রাজত্বকালে অযোধ্যা নগর কোসলের রাজধানী ছিল। মহাজনপদ সময়কালে(খৃস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ-৫ম শতাব্দী) কোসলের রাজধানী হিসাবে শ্রাবস্তী নগরের নাম পাওয়া যায় তবে মৌর্য-পরবর্তী (খৃস্টপূর্ব ২য়-১ম শতাব্দী) সময় কোশলের মুদ্রা অযোধ্যা হতে মুদ্রিত হতো।
খৃস্টপূর্ব ৭০০ হতে ৩০০ শতাব্দীতে কোশল রাজ্য উত্তর-ভারতীয় কৃষ্ণ চিক্কণ মৃৎপাত্র সংস্কৃতির অংশ ছিল। যা পূর্বের (খৃস্টপূর্ব ১৪৫০ হতে ১২০০ শতাব্দীর) কৃষ্ণ ও লোহিত মৃৎপাত্র সংস্কৃতির উত্তরসুরি। কোশল রাজ্য অবস্থানগত ভাবে মধ্য গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে জনপদসমূহের একটি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাথমিক ধান আবাদ করা শুরু হয়েছিল, এবং খৃস্টপূর্ব ৭ম শতাব্দীর দিকে লৌহযুগে প্রবেশ করে। ধর্মবিদ্যার পণ্ডিত জিয়োফ্রি স্যামুয়েল ও পরবর্তিতে টিম হপকিন্সের সমর্থিত মতে মধ্য গাঙ্গেয় সমভূমির লোকসংস্কৃতি অঞ্চলটির পশ্চিমে অবস্থিত কুরু-পাঞ্চাল এলাকার বৈদিক আর্যদের "চিত্রিত ধূসর মৃৎপাত্র সংস্কৃতি" থেকে ভিন্ন এবং নগরায়ণ ও লোহার ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে বিকাশিত হয়েছিল।
বৌদ্ধ ধর্ম উত্থানের সময় ও উদ্ভবের পূর্বে কোশলে সমাজে বৈদিক-ব্রাহ্মণীয় ঐতিহ্যের লৈকিক ও পার্থিব দেবতাদের বিশেষ করে দেবতা যক্ষের প্রভাব ছিল। স্যামুয়েলস কোশলের ধর্ম বিশ্বাসকে 'উর্বরতা ও অনুকুলতার ধর্ম' । হপকিন্সের মতে, কোশল "অঞ্চলের ধর্ম বিশ্বাস নারী শক্তি, প্রাকৃতিক রূপান্তর, পবিত্র পৃথিবী এবং পবিত্র স্থান, রক্তের ত্যাগ এবং তাদের সম্প্রদায়ের পক্ষে দূষণকে গ্রহণকারী আচারবাদীদের দ্বারা চিহ্নিত হয়েছিল"। কুরু-পঞ্চলা অঞ্চলের বিকাশমান ব্রাহ্মণ্য ঐতিহ্যের বিপরীতে, কোসল অঞ্চল যেখানে বৌদ্ধ ও জৈন ধর্ম বিকশিত হয়েছিল; এছাড়া অঞ্চলটি ব্রাহ্মণ্যিক ঐতিহ্যের উপনিষদ বা বেদান্ত রচনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। " স্যামুয়েলসের মতে, কোশলে বৌদ্ধধর্ম বিকাশ ও প্রসারের কারণ কুরু-পাঞ্চালায় বিকশিত একটি বৈদিক-ব্রাহ্মণ্যবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ ছিল না, বরং এই বৈদিক-ব্রাহ্মণ্যবাদী ব্যবস্থার ব্রাহ্মণদের উচ্চতর অবস্থান দেওয়া ও ক্রমবর্ধমান প্রভাব বিস্তারের বিরোধিতা ছিল।
|
947803
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947803
|
মনিশ পাণ্ডে
|
মনিশ পাণ্ডে
মনিশ কৃষ্ণনন্দ পাণ্ডে (; জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯) হলেন একজন ভারতীয় ক্রিকেটার। তিনি মূলত ডানহাতের মিডিল অর্ডার ব্যাটসম্যান, মনিশ ঘরোয়া ক্রিকেটে কর্ণাটককে এবং ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি তার প্রাক্তন আইপিএল দলের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসাবে খেলেছিলেন এবং ২০০৯ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে আইপিএল এর ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি করা ভারতীয় খেলোয়াড় হয়েছিলেন।
|
947809
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947809
|
নৃত্যের ইতিহাস
|
নৃত্যের ইতিহাস
নৃত্যের ইতিহাস, উদ্ধার করা কঠিন কারণ নাচ প্রায়শই স্পষ্ট শনাক্তযোগ্য শারীরিক নিদর্শন যেমন পাথরের সরঞ্জাম, শিকারের সরঞ্জাম বা গুহা চিত্রকর্মের মতন কখনই পিছন ছেড়ে যায় না। নাচ কখন মানব সংস্কৃতির অঙ্গ হয়ে উঠল তা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা সম্ভব নয়।
নাচের প্রেরণা মানুষের মধ্যে বিবর্তন শুরুর আগে আদিম যুগের মানুষদের মধ্যে ছিল। আদি মানব সভ্যতা জন্মের আগে থেকেই নাচ বিভিন্ন অনুষ্ঠান, আচার, উদ্যাপন এবং বিনোদনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে নাচের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়, যেমন ভারতে ৩০,০০০ বছরের পুরানো ভীমবেটকা প্রস্তরক্ষেত্র চিত্রকর্ম এবং মিশরীয় সমাধির চিত্রগুলিতে খ্রিষ্টপূর্ব ৩,৩০০ বছর আগের নৃত্যের চিত্র তাই চিত্রিত করে। অনেক সমসাময়িক নৃত্যের রূপ প্রাচীন ঐতিহাসিক, লোক নৃত্য, আনুষ্ঠানিক নৃত্য, এবং জাতিগত নৃত্যে পাওয়া যায়।
নাচ সামাজিক যোগাযোগের একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে যা আদিম মানুষদের মধ্যে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে আজকের সেরা নৃত্যশিল্পীদের দুটি নির্দিষ্ট জিন রয়েছে, যা তাদের ভাল সামাজিক যোগাযোগকারী হওয়ার প্রবণতার সাথে যুক্ত।
শুরুর দিকের অনেক উৎসব উদ্যাপনের জন্য নৃত্য গুরুত্বপূর্ণ বা অপরিহার্য ছিল, যেমন মৌসুম উপলক্ষে, যেমন শস্য কাটা বা জন্ম ও বিবাহের অনুষ্ঠানগুলি সম্পাদন করা। এই জাতীয় নৃত্য সারা পৃথিবীতেই পাওয়া যায়।
নৃত্য ধর্মীয় বা শমনীয় রীতিতে পরিবেশিত হতো, উদাহরণস্বরূপ খরার সময় বৃষ্টি নাচ পরিবেশিত হতো। প্রাচীন চীনা গ্রন্থে বৃষ্টির জন্য শামানদের নাচের কথা উল্লেখ রয়েছে। প্রাচীন মিশরে কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল নৃত্য, একইভাবে নৃত্য আফ্রিকানদের মধ্যে অনেক আচার এবং অনুষ্ঠানে অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। মন্দিরগুলিতে এবং ধর্মীয় উৎসবগুলিতেও নৃত্য পরিবেশিত হতো, উদাহরণস্বরূপ ভারতের রাস উৎসবের নৃত্য (প্রচুর ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্য আচার অনুষ্ঠানে পরিবেশিত হতো) এবং তিব্বতের চাম নৃত্য।
নৃত্যের আর একটি প্রাথমিক ব্যবহার নিরাময়ের আচারে। ব্রাজিলিয়ান রেইন ফরেস্ট থেকে কালাহারি মরুভূমি পর্যন্ত বহু সংস্কৃতি এই উদ্দেশ্যে নৃত্যের ব্যবহার ছিল। মধ্যযুগীয় ইউরোপীয় "নৃত্য ম্যাকাব্রেস" অংশগ্রহণকারীদের রোগ থেকে রক্ষা করেছে বলে মনে করা হয়; যাহোক; এই নাচের অতিরঞ্জিত বা নিয়ন্ত্রণহীন আবেগ এবং সময়কাল কখনও কখনও ক্লান্তির কারণে তাদের মৃত্যুর দিকে ধাবিত করেছে।
একটি সিংহলি কিংবদন্তি অনুসারে, কান্দিয়ান নাচের সূত্রপাত ২৫০০ বছর আগে, এমন একটি যাদু নৃত্যের আচার থেকে যা মন্ত্রমুগ্ধতা ভেঙ্গে এক রাজার রহস্যময় অসুস্থতা থেকে আরোগ্যলাভে সহায়তা করেছিল।
নৃত্যের প্রাথমিকতম কাঠামোগত ব্যবহারগুলির মধ্যে একটি সম্ভবত পরিবেশন শিল্পকলা এবং পৌরাণিক কাহিনীগুলিতে ছিল। এটি কখনও কখনও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অনুভূতি প্রকাশেও ব্যবহৃত হয়। এটি "ভালবাসা তৈরির" উৎসের সাথেও যুক্ত। লিখিত ভাষাগুলি সৃষ্টির আগে, এই গল্পগুলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম পদ্ধতি ছিল নাচ।
ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে, নাচের প্রথম দিকের উল্লেখ রয়েছে মহাকবি হোমারের মহাকাব্য "ইলিয়াডে" । প্রথমদিকে গ্রীকরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে সমস্ত আবেগকে প্রকাশ করে এমন একটি পদ্ধতি হিসাবে নৃত্য শিল্প তৈরি করেছিল। উদাহরণস্বরূপ, ইরিনিসদের নাচ, এই নাচ দর্শকদের মধ্যে প্রচণ্ড ভীতির সঞ্চার করে। গ্রিক দার্শনিক, অ্যারিস্টটলের, কবিতার সাথে নাচ স্থান পেয়েছিল এবং তিনি বলেছিলেন, কিছু নৃত্যশিল্পীরা ইশারায় ছন্দ প্রয়োগ করে আচার, আবেগ এবং ক্রিয়া প্রকাশ করতে পারে। বিশিষ্ট গ্রিক ভাস্করগণ নৃত্যশিল্পীদের আবেগ অনুকরণ করার জন্য তাদের মনোভাব অধ্যয়ন করতেন।
|
947811
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947811
|
নিদনপুর তাম্রলিপি
|
নিদনপুর তাম্রলিপি
নিদনপুর তাম্রলিপি বা নিদনপুর তাম্রশাসন (নিধানপুর তাম্রলিপি বা নিধানপুর তাম্রশাসন নামেও পরিচিত, "কামরূপশাসনাবলী"তে নিধনপুর লিপি বলে উল্লিখিত) ৭ম শতকে কামরূপরাজ ভাস্করবর্মন কর্তৃক তামার পাতে উৎকীর্ণ একটি তাম্রফলক বা তাম্রশাসন। নিদনপুর তাম্রলিপিতে রাজা ভাস্করবর্মন কর্তৃক ব্রাহ্মণদের নিষ্কর ভূমি প্রদানের বর্ণনা করে এই তাম্রশাসন জারি করেন। তাম্রশাসনগুলো পঞ্চখন্ড পরগনায় পাওয়া যায়, যা বর্তমান সিলেটের বিয়ানীবাজারের নিকটে অবস্থিত। ঐতিহাসিকদের ধারণা ব্রাহ্মণদের প্রদত্ত নিষ্কর ভূমিও এই এলাকায় অবস্থিত। সংস্কৃত ভাষায় রচিত এই তাম্রশাসনে দুই শতাধিক ব্রাহ্মণের নাম পাওয়া যায়, যারা রাজা ভাস্করবর্মণের দানপ্রাপ্ত হয়েছিলেন।
ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাপ্ত ভাস্করবর্মণের বিভিন্ন তামশাসন থেকে তাঁর রাজত্ব ও অন্যান্য সামসময়িক ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়। ব্রাহ্মণদের ভূ-সম্পত্তি দান বা যুদ্ধ জয় উপলক্ষে স্মারক খোদাই করানো কামরূপের রাজাদের প্রচলিত প্রথা ছিল।
পঞ্চখণ্ড পরগণার নিকটে নিদনপুর গ্রামে (বর্তমান সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারের নিকট) ১৯১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর (পৌষ ১৩১৯ বাংলা) স্থানীয় একটি মাটির স্তুপ খনন করে ছয় খণ্ডের গজ চিহ্নিত তাম্রলিপি এবং কামরূপ রাজাদের সাতটি লিপি পাওয়া যায়। মহিষ পালনের জন্য ঘর নির্মাণের সময় স্থানীয় লোকেরা তা আবিষ্কার করেন। গুপ্তধন মনে করে স্থানীয়রা পঞ্চখণ্ডের জমিদার পবিত্রনাথ দাসের কাছে নিয়ে যান। জমিদার পবিত্রনাথ লিপিগুলোর প্রকৃত অর্থ বুঝতে পেরে তা কিনে নেন এবং শিলচরে (বর্তমানে ভারতের আসামে) কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জমিদার পবিত্রনাথ দাস লিপিগুলো কলকাতা জাদুঘর কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করেন।
পণ্ডিত পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাবিনোদ নিদনপুর শিলালিপির অনবাদ করে "কামরূপশাসনাবলী" গ্রন্থে প্রকাশ করেন। গ্রন্থটি রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষদ ১৯৩১ সালে প্রকাশ করে।
|
947831
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947831
|
সরদার (পদবি)
|
সরদার (পদবি)
সরদার বা সর্দার (, ) মুসলিমদের মধ্যে খুব প্রচলিত এবং সম্ভ্রান্ত একটি পদমর্যাদা। সেরদার বা সরদার ছিলো একটি উপাধি যা উসমানীয় সাম্রাজ্যে একটি সামরিক পদবি এবং মন্টিনিগ্রো ও সার্বিয়ায় অভিজাত পদবি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। মধ্যযুগে সামন্তবাদী সমাজ ব্যবস্থার ফলে পরবর্তীতে ব্রিটিশ আমলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সমান্তরালে বাঙালির পদবির বিকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হয়। ঢাকার নবাব পরিবারে তাদের সরদারি প্রথা বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিল। রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত এ প্রথায় প্রতিটি মহল্লায় স্থানীয় প্রভাবশালী মুসলমান ব্যক্তিদের থেকে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি করে কমিটি গঠন করা হতো যারা উক্ত মহল্লার ছোটখাটো বিষয়াদি মীমাংসা করতেন। প্রতিটি কমিটির প্রধান "সরদার বা সর্দার" নামে পরিচিত ছিলেন। ঢাকার নবাব পরিবার পঞ্চায়েত কমিটি অনুমোদন ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করতেন। কিছু পদবি সম্রাট বা জমিদাররা পেশা বা দায়িত্ব অনুসারে প্রদান করতেন। তার মধ্যে দলনেতা, গোষ্ঠী প্রধানদের সরদার উপাধি দেওয়া হতো।
সরদার শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ Leader, Chief, Guardian, Captain বা Commander হিসাবে পাওয়া যায়। অনেক ইতিহাসবিদ অবশ্য সুলতানি আমলে কর বা রাজস্বকাজে নিযুক্ত দলপতিকে সরদার বলা হতো এমন কথাও বলেন। তাছাড়া ভাষাবিদরা বহুল প্রচলিত পদবি আমীর এর উপমহাদেশীয় মুসলিম রূপ হিসাবে উৎস খুঁজে পান বলে জানান। মির বা মীর শব্দটি এসেছে আরবি থেকে। আরবি শব্দ আমীর’ এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে মীর। সেই অর্থে মীর অর্থ দলপতি বা নেতা, প্রধান ব্যক্তি, সরদার ইত্যাদি। এখান থেকেও সরদার (সর্দার) উপাধির প্রচলন বলেও অনেকে ধারণা করেন। সেই অর্থে মীর অর্থ দলপতি বা নেতা, প্রধান ব্যক্তি, সরদার ইত্যাদি। জিতে নেয়া বা জয়ী হওয়া অর্থে মীর সরদার শব্দের ব্যবহার হতো। তবে মীর বা সরদার বংশীয় লোককে সম্ভ্রান্ত এবং সৈয়দ বংশীয় পদবিধারী’র একটি শাখা বলে গাবেষকরা মনে করেন। সেই হিসাবে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ স. এর বংশের সাথে সরদার বংশের সাদৃশ্যে আছে বলে মনে করেন অনেকে।
তাছাড়া সেরদার, সর্দার বা সরদার ছিলো একটি উপাধি যা উসমানীয় সাম্রাজ্যে একটি সামরিক পদবি এবং মন্টিনিগ্রো ও সার্বিয়ায় অভিজাত পদবি হিসেবে ব্যবহৃত হতো। "সেরদার" হলো সরদার-এর তুর্কি ভাষায় একটি বৈকল্পিক বানান। সেরদারগণ বিশেষত উসমানীয় সাম্রাজ্যের সীমান্ত প্রতিরক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তারা তাদের ভূখণ্ডের নিরাপত্তার জন্য দায়ী ছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, ইয়েনিস হতে আগত বারবারোসের পিতা ইয়াকুপ আগা। মন্টিনিগ্রো রাজ্য এবং সার্বিয়া রাজ্যে "ভোজভোডা"র অধস্তন সম্মানসূচক অভিজাত পদবি হিসেবে সর্দার (সেরদার) উপাধিটি ব্যবহার হতো(ঊদাহরণস্বরূপ, জানকো ভুকোতিজ নামক মন্টিনিগ্রোর একজন সামরিক নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী "সেরদার" উপাধিটি বহন করতেন।
তবে একথা সকল ইতিহাসবিদ, বা ভাষাবিদ স্বীকার করে নেন যে, মধ্যযুগে, সুলতানী আমলে বা আব্বাসীয় খিলাফতের সময় দলপতি বা গোত্রপতি বা রাজস্ব কাজে নিযুক্ত একটি বা একাধিক বিভাগের কমান্ডারকে সরদার পদবি দেওয়া হতো। যেটা পরবর্তীতে আত্মমর্যাদাবোধ এবং বংশমর্যাদার প্রতীক হিসাবে গৃহীত হতো। অনেকে অবশ্য সরদার ফারসি মূল থেকে আগত হিসাবেও গণ্য করেন। কারণ বাংলা বা উপমহাদেশীয় ভাষা আরবি ও ফারসি ভাষার প্রাদুর্ভাব খুব দেখা যায়। যার অর্থ প্রভূ, মালিক, ভূস্বামী, শাসনকর্তা, বা রাজা। মোগল আমলে এদেশের স্থানীয় রাজকর্মচারিদেরও নাকি এ পদবি দেয়া হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং সমাজসেবামূলক কাজে তাদের প্রত্যক্ষ অবদান আছে। নবাবী আমল থেকে সমগ্র বাংলাদেশে সরদার বংশ ছড়িয়ে পড়ে।
পেশাভিত্তিক পদবি যেটা আরও বহুলভাবে ব্যবহৃত হয়, যেমন, মাওলানা, মুফতী, কাজি, কানুনগো, কারকুন, গাজী, গোলন্দাজ, দেওয়ান, নিয়াজী, খন্দকার, পাটোয়ারী, মলঙ্গী, মল্লিক, মাতব্বর, মুন্সি/মুন্সী, মুহুরী, মৃধা, লস্কর, ব্যাপারী, হাজারী, প্রামাণিক, পোদ্দার, সরদার, হাওলদার, শিকদার, জোয়ার্দার, শেখ, চৌধুরী, ইনামদার ও সরকার।
মধ্যযুগে দলপতি বা নেতা হতে সরদার পদবির উৎপত্তি। ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘল ও ব্রিটিশ আমলে সরদারদের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজে নেতৃত্ব দিত বলে ইতিহাস প্রমাণ পাওয়া যায়। নবাবী আমলে বাংলার নবাবদের বিশেষ পদে অধিষ্ঠিত ছিল এ বংশের ব্যক্তিবর্গ। বার ভূঁইয়া সময় বা জমিদার আমলেও সরদারদের নেতৃত্ব জনমানুষমুখী ছিল। নবাব সলিমুল্লাহ আমলে পুরান ঢাকার উন্নয়নমূলক কাজে সরদারদের অবদান অনস্বীকার্য। ঢাকার প্রথম শহীদ মিনার তৈরি করে পিয়ারু সরদার। যুগ যুগ ধরে এ মেলবন্ধন আমাদের মাতৃভাষা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এ ধারা যতদিন থাকবে তার সঙ্গে যে নামটি জড়িয়ে থাকবে সে নামটি পুরনো ঢাকার ১৫, হোসনি দালানের বিখ্যাত সরদার পরিবারের অন্যতম পিয়ারু সরদার। এই সাহসী ভাষা সৈনিক নিজের জীবন বিপন্ন হবে জেনেও ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শহীদদের স্মৃতি চির অম্লান করে রাখতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে প্রয়োজনীয় সব সামগ্রী দিয়ে সহায়তা দিতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। কবি সুফিয়া কামালের সুযোগ্যা কন্যা সুলতানা কামাল ‘পিয়ারু সরদারের জন্য সামান্য দুটি কথা’ শিরোনামে এক লেখায় বলেছেন, ২০১৪ সালের ২০ মে একেবার হঠাৎ করেই একটা ছোট্ট খোলা জানালার সন্ধান পেলাম আমি। যে জানলা দিয়ে আবার নতুন করে বাংলাদেশের মানুষদের তাদের সত্যিকারের চেহারায় দেখার সুযোগ হলো। চেহারাটা দেখলাম পিয়ারু সরদারের কাহিনির মধ্যে।
ঢাকার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ঊনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে ঢাকা নগরীতে মুসলমান পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ব্রিটিশ শাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় বিকাশ লাভ করে, যা সরদারি প্রথা হিসেবে পরিচিত ছিল। ঢাকার নবাবদের মাধ্যমে এই প্রথা গড়ে উঠেছিল, যা সরকারি স্বীকৃতিও পেয়েছিল। এ প্রথা অনুযায়ী ঢাকা নগরীর প্রতিটি মহল্লা বা পঞ্চায়েত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। এবং এই পরিষদের নেতা হিসেবে যিনি নির্বাচিত হতেন, তাকেই সরদার বলে গণ্য করা হতো।
আক্তার সরদার (মৃত্যু ২৬ এপ্রিল ২০১৬) একজন বাংলাদেশি সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ও পুরান ঢাকার সরদার বংশের ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করে।
জ্ঞান-বিজ্ঞানে এ বাংলায় সরদারদের অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সরদার ফজলুল করিম (মে ১, ১৯২৫-জুন ১৫, ২০১৪) বাংলাদেশের বিশিষ্ট দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, প্রবন্ধকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক। প্লেটোর রিপাবলিক (অনুবাদ), রুশোর সোশাল কন্ট্রাক্ট (অনুবাদ), "আমি সরদার বলছি", ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, দর্শনকোষ তার উল্লেখযোগ্য কাজ।
আবদুল মোতালেব সরদার (ইংরেজি: Abdul Motaled Sardar; জন্ম: ১ নভেম্বর ১৯০০ ব্রিটিশ ভারতের শরীয়তপুর জেলার শখিপুর থানাধীন সরদার কান্দি গ্রামে, মৃত্যু: ৯ ডিসেম্বর ১৯৮০ নারায়ণগঞ্জ) একজন ব্রিটিশ ভারতীয় ফুটবলার ও লোকসংগীত শিল্পী ছিলেন। পিতা গফুর আলি সরদার । তিনি কলকাতা মোহামেডান ক্লাবের মিড ফিল্ডার ছিলেন। ফুটবল খেলার পাশাপাশি তিনি গান লেখা, সুর করা ও পরিবেশন করার ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করেছিলেন । তার লেখা অনেক গান সংরক্ষণের অভাবে হারিয়ে গেছে। মহাত্মা গান্ধী, পির বাদশা মিয়া আবা খালেদ রশীদ উদ্দিন আহমদ, শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রমুখ নেতাদের সামনে তিনি নিজের লেখা গান গেয়ে শুনিয়েছেন ।
সরদার জয়েনউদ্দীন (১৯১৮ - ২২ ডিসেম্বর, ১৯৮৬) একজন বাংলাদেশী লেখক, ঔপন্যাসিক, গল্পকার ও সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশে গ্রন্থমেলার (অমর একুশে গ্রন্থমেলা) প্রবর্তক। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও আদমজী সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৯৪ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদক-এ ভূষিত হন।
সরদার মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বাংলাদেশের চলনবিল অঞ্চলের একজন শিক্ষাবিদ, লেখক এবং সমাজ সংস্কারক।
তাছাড়া ইতিহাস, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, ধর্ম, সমাজ সংস্কারসহ বিভিন্ন দেশসেবার কাজে এই মুসলিম বংশের অবদান অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের সকল জেলায় এবং বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশ যেমন পাকিস্তান, ইরান,ইরাক, আমিরাত, সিরিয়া ও সৌদিতে এখনও সরদার পদবির গোত্র দেখা যায়। তাছাড়া কিছু অন্য ধর্ম দলপতিও গত শতকে সর্দার নাম নিয়ে গোত্র প্রধান হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমন, ভারত, বা চীন। সরদার শব্দটি দলপতি বা গোত্রপতি বোঝাতে পবিত্র আল-কুরআন এ অনেকবার আসছে। অনেক বই, কাব্যগ্রন্থ, ধর্মীয় গ্রন্থ, মুভি সরদার নামে দলপতি বা স্বনামধন্য গোত্র বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেও সরদারদের সাহস, বীরত্ব এবং নেতৃত্বগুণ প্রশংসনীয়। বর্তমান আধুনিক প্রযুক্তির যুগেও থেমে নেই এই বংশের নতুন প্রজন্ম।
এ বংশের একটি ক্রমবিন্যাস:
রউফ সরদার
সরদার হাসানুল বান্না
সরদার মোহাম্মদ হোসাইন
আলমগীর সরদার
হারুন সরদার
সরদার মিসবাহ
রমিজ উদ্দিন সরদার
সরদার মোশাররফ হোসেন
সরদার মোহাম্মদ আজিজুর রহমান স্বপন
এটি খুলনা জেলার একটি উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য পরিবার।
|
947850
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947850
|
আফাকা লিপি
|
আফাকা লিপি
আফাকা লিপি ("আফাকা সিকিফি") একটি ৫৬ বর্ণের ধ্বনিদলভিত্তিক লিপি।
এটি ১৯১০ সালে সুরিনামের ইংরেজি-ভিত্তিক ক্রেওল এঞ্জুকা ভাষা লেখার জন্য উদ্ভাবিত হয়েছিল।
এটির নামকরণ করা হয়েছে এটির উদ্ভাবক আফাকা আটুমিসির নামে। এটি ২১শ শতাব্দীতেও এঞ্জুকা ভাষা লেখার জন্য ব্যবহার হয়।
আফাকা একমাত্র লিপি যেটি ইংরেজির কোনো রূপ বা ক্রেওলের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এটি ইউনিকোডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
আফাকা ত্রুটিপূর্ণ লিপি। স্বর স্বনিমীয়, তবে লেখা হয় না।
অন্ত্যব্যঞ্জন (নাসিক্য) লেখা হয় না। দীর্ঘস্বর লেখা হয়, স্বরবর্ণ যোগ করে।
প্রাক-নাসিক্যীভূত এবং ঘোষ স্পৃষ্টধ্বনি একই বর্ণ দিয়ে লেখা হয়।
উ এবং ও ধ্বনিসহ অক্ষরগুলি প্রায় আলাদা করা হয় না।
/, /, এবং / ধ্বনিদলগুলির জন্য স্বতন্ত্র বর্ণ আছে।
তবে যে অক্ষর [b, d, dy, f, g, l, m, n, s, y] দিয়ে শুরু হয় তাদের ক্ষেত্রে ভিন্ন বর্ণ ব্যবহার হয় না।
এর ফলে আফাকা লিপিতে এঞ্জুকা ডিওকা হিসাবে লেখা হয়।
, , , ধ্বনিগুলির পরে এবং সহ অক্ষরগুলির মধ্যে পার্থক্য করা হয় না।
[ba] ও [pa], এবং [u] ও [ku] লেখার জন্য একই বর্ণ ব্যবহার হয়।
বেশ কিছু ব্যঞ্জনধ্বনির জন্য একটাই বর্ণ ব্যবহৃত হয়।
[gw] ~ [gb] এর জন্য কোন বিশেষ বর্ণ নেই।
এই বিভ্রান্তির ফলাফলটি হলো যে সব অক্ষরের মধ্যে কোনও অস্পষ্টতা নেই (স্বর বাদে) সবকটিই [t] ব্যঞ্জনধ্বনি দিয়ে শুরু।
আফাকার নিজস্ব হাতে লেখা অক্ষরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়।
বর্ণগুলির মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক বর্ণ প্রায় এক-চতুর্থাংশ ঘোরানো, এবং কখনও কখনও পাশাপাশি উল্টানো হয়।
এই বর্ণগুলি হলো be, di, dyo, fi, ga, ge, ye, ni, nya, pu, se, so, te, এবং tu;
lo, ba/pa, এবং wa-র ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিবিম্ব; sa, to কেবল উল্টানো।
অন্যানগুলির বক্র এবং কৌণিক প্রকার আছে, যেমন do, fa, ge, go, ko, এবং kwa।
আরও কিছু বর্ণের ক্ষেত্রে বৈকল্পিক রূপগুলি বর্ণের রেখাক্রমের পার্থক্য প্রতিফলিত করে বলে মনে হয়।
এটিই স্পষ্টত আফাকায় লিখিত প্রথম চিঠি। এটি ১৯১৭ সালের "পাটিলি মোলোসি বুকু" থেকে নেওয়া।
|
947873
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947873
|
নিদনপুর
|
নিদনপুর
নিদনপুর (অন্যনাম নিদানপুর, নিধানপুর, নিধনপুর) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি গ্রাম। এটি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলার মোল্লাপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত। কামরূপরাজ ভূতিবর্মণ ও ভাস্করবর্মণের বেশ কয়েকটি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হওয়ায় গ্রামটি বিখ্যাত।
বর্মণ রাজত্বের সময় নিদনপুর অঞ্চল "চন্দ্রপুর" নামে পরিচিত ছিল। ১৯১২ সালের ডিসেম্বরে (১৩১৯ বঙ্গাব্দের পৌষ) তৎকালীন পঞ্চখণ্ড পরগণার নিদনপুরে মাটির স্তুপ খনন করে সাত খণ্ডের তাম্রলিপি পাওয়া যায়। যেটি নিদনপুর বা নিধানপুর তাম্রলিপি নামে পরিচিত। স্থানীয় জমিদার পবিত্রনাথ দাস তাম্রলিপিগুলো কলকাতা জাদুঘরের নিকট হস্থান্তর করেন। ভাস্করবর্মণের তাম্রশাসনে ব্রাহ্মণদের নিষ্কর ভূমি দানে বিষয়ে জানা যায়। ঐতিহাসিকদের মতে "ময়ূর শাল্মল" নামে দানকৃত জমিটি নিদনপুরেই অবস্থিত ছিল।
শ্রীহট্টের রাজা গৌড় গোবিন্দের পূর্ব পর্যন্ত পঞ্চখন্ড অঞ্চল ধর্মপালের অধীনে পাল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৩০৩ খ্রিষ্টাব্দে শাহ জালালের সিলেট বিজয় (১৩০৩ খৃ:) পর এই জনপদ মুসলিম শাসনে আসে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে রক্ষিত সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শিলালিপিতে শাহ জালালের সফর সঙ্গী নূরুল হুদা আবুল কেরামত সাঈদী হোসেনীকে (হায়দার গাজী) এ জেলার শাসনভার দেন। এ সময় থেকে এই এলাকায় ইসলাম ধর্মের প্রভাব পড়তে থাকে।
নিদনপুর বিয়ানীবাজার থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।
নিদানপুর গ্রামের মোট জনসংখ্যা ১১১৫ জন।
|
947897
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947897
|
জিন্দ রাজ্য
|
জিন্দ রাজ্য
জিন্দ রাজ্য (বা ঝিন্দ রাজ্য) একটি ভারতের সিস-শতদ্রু দেশীয় রাজ্য, যা ব্রিটিশ রাজ এর অধীনে ছিল ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত । রাজ্যটির আয়তন ছিল এবং ১৯৪০ এর দশকে এর বার্ষিক আয় ছিল ৩,০০০,০০০ টাকা।
জিন্দ ও সংগ্রুর দেশীয় রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৭৬৩ সালে। এটি সিস-সুতলেজ রাজ্যের গোষ্ঠীভুক্তির অংশ ছিল, যা মারাঠা সাম্রাজ্যের সিন্ধিয়া রাজবংশ দ্বারা শাসিত ছিল। সিস-সুতলেজ রাজ্যের বিভিন্ন ছোট পাঞ্জাবি রাজ্যগুলি মারাঠাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছিল, ১৮০৩ সালে দ্বিতীয় অ্যাংলো-মারাঠা যুদ্ধ পর্যন্ত। ১৮০৫ সালে মারাঠারা এই অঞ্চলটি ব্রিটিশ রাজের কাছে হারিয়েছিল। ১৮০৯ সালের ২৫ শে এপ্রিল জিন্দ একটি ব্রিটিশ প্রটেক্টরেট হয়েছিল। গজপত সিংহ "রাজা" উপাধিতে ভূূূষিত হয়ে ১৭৮৯ পর্যন্ত, তারপরে ভাগ সিং ১৮১৯ অবধি, ফতেহ সিংহ ১৮২২ অবধি এবং সংগত সিংহ ১৮৩৪ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তিন বছরের শূন্যতার পরে, স্বরূপ সিংহ ১৮৬৪ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন, পরবর্তীতে রঘুবীর সিং যিনি ১৮৮১ সালে "রাজা-ই রাজগান" উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৮৭ সালে তাঁর পরে রণবীর সিংহ রাজত্ব করেন। যিনি ১৯১১ সালে "মহারাজা" হয়েছিলেন এবং ১৯৪৭ সালে ভারতে অধিগ্রহণের আগে পর্যন্ত রাজ্য শাসন অব্যাহত রাখেন। জিন্দের সর্বশেষ শাসক রণবীর সিংহকে কর্নেল সম্মানীয় ফারজান্দ-ই-দিলবন্দ রসিক-উল-ইতিকাদ দৌলত-ই-ইংলিশিয়া রাজা-ই-রাজগান মহারাজা স্যার রণবীর সিং রাজেন্দ্র বাহাদুর বলা হত।
১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার পরে, রাজ্যগুলি প্রথমে ভারতের সাথে একীভূত হয় এবং পরে এগুলি ১৯৪৯ সালে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের সাথে একত্রিত হয় যার ফলে তারা সমস্ত শাসন অধিকার "হারাতে থাকে" এবং শাসকদের অংশ হিসাবে "প্রিভি পার্স" (এক ধরনের পেনশন) দেওয়া হয়। তাদের চুক্তিগুলি ভারতের সাথে একীভূত হয়। ১৯৭১ সালে ২৬ তম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রিভি পার্স বিলুপ্ত হয়। যার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক তাদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। যা দুবছরের আইনী লড়াইয়ের পরে ১৯৭৩ সালে প্রয়োগ করা হয়েছিল। যদিও উত্তরসূরির উত্তরাধিকারসূত্র অনুসারে উত্তরসূরি প্রজন্মের জ্যেষ্ঠ পুত্র মহারাজের উপাধি দাবী করে চলেছেন। রণবীর সিংয়ের মৃত্যুর পরে তাঁর বড় ছেলে রাজবীর সিং (জন্ম-১৯৯১ - মৃত্যু- ১৯৫৯) খেতাব দাবি করেছিলেন [যদিও সরকারি ভাবে বিলুপ্ত ] যা পরে রাজবীরের বড় ছেলে সাতবীর সিংকে (জন্ম—১৯৪০ - এখনও জীবিত) দেওয়া হয়েছিল।
১৯৪৮ সালের ২০ আগস্ট ভারতে ভারতে অংশগ্রহনের স্বাক্ষরের সাথে জিন্দ পতিয়ালা এবং পূর্ব পাঞ্জাব স্টেটস ইউনিয়নের একটি অংশে পরিণত হয় এবং পৃথক রাজ্য হিসাবে অস্তিত্ব অর্জন বন্ধ করে দেয়। জিন্দ শহর ও জেলা এখন ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের একটি অংশ ।
রাজা পঞ্চম জর্জের পূর্বে ডাকটিকিটগুলিতে "Jhind রাজ্য" হিসাবে ছাপা হয়েছে এবং "h" বর্ণটি অতিরিক্ত ছাপা হয়েছিল । পঞ্চম জর্জের স্ট্যাম্পে, 'h' বাদ দেওয়া হয়েছে এবং "jind স্টেট" (ভিক্টোরিয়ান, এডওয়ার্ড সপ্তম এবং জর্জ পঞ্চম যুগের প্রকৃত স্ট্যাম্পগুলি উল্লেখ করুন) হিসাবে ছাপানো হয়েছে।
রাজ্যের শাসকরা ১৮৮১ সাল পর্যন্ত ' রাজা ' উপাধি গ্রহণ করেছিলেন। তাদের ১৩টি বন্দুকের স্যালুট দেওয়ার রীতি ছিল।
১১৫৬ সালে জয়সালমীর রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জয়সালের বংশোদ্ভুত দাবি করা, এই শিখ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ফুল সিং ছিলেন দিল্লির দক্ষিণ পূর্বের একটি প্রদেশের চৌধুরী (গভর্নর)। ফুলের বংশধররা তিনটি রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন: পতিয়ালা, জিন্দ এবং নাভা । ফুলের ছয় পুত্র ছিল, তিলোকা রাম সিং, রুধ, চুনু, ঝান্ডু এবং তখতমাল। তিলোকার দুটি পুত্র ছিল গুরুদত্ত এবং সুখ চেইন। সুখ চেইন জিন্দ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা তাঁর বংশধররা শাসন করেছিলেন।এবং গুরুদত্তের বংশধররা নাভা রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন ।
১২ ডিসেম্বর ১৯১১ - ১৫ আগস্ট ১৯৪৭ স্যার রণবীর সিং (সা)
|
947902
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947902
|
জাতীয় বীমা দিবস
|
জাতীয় বীমা দিবস
জাতীয় বীমা দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। জাতীয় বিমা দিবস ১ মার্চ। বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সরকার এটি প্রবর্তন করে।
শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬০ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগ দেন। তার এ যোগদানের দিনটিকে জাতীয় পর্যায়ে স্মরণীয় রাখতে ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সুপারিশক্রমে প্রতিবছর ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার। ওই বছরের ১ মাস এটি প্রথম দিবস হিসেবে পালিত হয়।
বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বীমাশিল্পের উন্নয়ন, বীমা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে শোভাযাত্র, বীমামেলা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হয়।
|
947908
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947908
|
তানজানিয়ার ইতিহাস
|
তানজানিয়ার ইতিহাস
তানজানিয়া আফ্রিকান গ্রেট লেকের দেশ হিসাবে ১৯৬৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়, যখন এটি বৃহত্তর মূল ভূখণ্ডের অঞ্চল তানজানাইকা এবং জাঞ্জিবার উপকূলীয় দ্বীপপুঞ্জের সমন্বয়ে গঠিত হয়। পূর্বে এটি ১৮৮০ থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত জার্মান পূর্ব আফ্রিকার একটি উপনিবেশ ও অংশ ছিল, লীগ অফ নেশনসের অধীনে এটা ব্রিটিশ ম্যান্ডেট হয়ে ওঠে। এটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একটি ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি হিসাবে কাজ করে এবং আর্থিক সহায়তা, যুদ্ধ ও সৈন্য সরবরাহ করে। ১৯৪৭ সালে, তানজানাইকা ব্রিটিশ প্রশাসনের অধীনে একটি জাতিসংঘ ট্রাস্ট টেরিটরিতে পরিণত হয়, যা ১৯৬৪ সালে স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। জাঞ্জিবার দ্বীপটি ব্যবসায়ের কেন্দ্র হিসাবে সমৃদ্ধ হয় এবং ধারাবাহিকভাবে পর্তুগিজ, ওমানের সুলতানিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এবং পরে উনিশ শতকের শেষের দিকে ব্রিটিশ আশ্রিত রাজ্যে পরিণত হয়।
স্বাধীনতার নেতা ও তানজানাইকার "বাবা ওয়া তাফা" ("তানজানাইকা দেশের জনক)" জুলিয়াস নাইরে কয়েক দশক ধরে এই দেশ শাসন করেন, আর আবেদ ইমান কারুমে জাঞ্জিবারকে রাষ্ট্রপতি ও তানজানিয়া প্রজাতন্ত্রের সহ-রাষ্ট্রপতি হিসাবে শাসন করেন। ১৯৮৫ সালে নাইয়েরের অবসর গ্রহণের পরে, বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিকদের দ্বারা আবিষ্কৃত প্রাচীনতম হোমিনিড বসতিগুলির কিছু তানজানিয়া রয়েছে। প্রাগৈতিহাসিক পাথরের সরঞ্জাম এবং জীবাশ্মগুলি উত্তর তানজানিয়ায় ওল্ডুভাই গর্জে এবং তার আশেপাশে পাওয়া গেছে, এটি এমন একটি অঞ্চল যা প্রায়শই "দ্য ক্র্যাডল অফ ম্যানকাইন্ড" হিসাবে পরিচিত। ১৯৩১ সালে লুই লেকির দ্বারা অ্যাকিউলিয়ান পাথরের সরঞ্জামগুলি আবিষ্কার করা হয়, যখন তিনি পাথরের সরঞ্জাম হিসাবে ১৯১৩ সালে ওল্ডুভাই অভিযান থেকে হান্স রেকের দ্বারা জার্মানে পৌঁছানো শিলাগুলি সঠিকভাবে শনাক্ত করেন। একই বছর, লুই লেকি ওল্ডুভাই গর্জে আরও প্রাচীন, আরও আদিম পাথরের সরঞ্জাম খুজে পান। এগুলি আফ্রিকার মধ্যে প্রাচীনতম মানব প্রযুক্তির প্রথম উদাহরণ এবং পরবর্তীকালে ওল্ডুওয়াই গর্জের পরে ওল্ডোয়ান নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত ছিল।
উত্তরের তানজানিয়ার মুম্বা গুহায় একটি মধ্য প্রস্তর যুগ (এমএসএ) থেকে পরবর্তী প্রস্তর যুগের (এলএসএ) প্রত্নতাত্ত্বিক ক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। মধ্য প্রস্তর যুগ আফ্রিকার যে সময়কালকে উপস্থাপন করে সেই সময়কালের মধ্যে অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকরা আধুনিক মানব আচরণের উৎস দেখেন।
প্রায় ২০০০ বছর আগে, বান্টু-ভাষী লোকেরা পশ্চিমা আফ্রিকা থেকে একসাথে বেশ কয়েকটি অভিবাসনের মাধ্যমে এসে পৌঁছতে শুরু করে, যেগুলি সম্মিলিতভাবে বান্টু সম্প্রসারণ হিসাবে পরিচিত। এই গোষ্ঠীগুলি লোহার দক্ষতা, কৃষি এবং সামাজিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের নতুন ধারণা নিয়ে আসে এবং বিকাশ করে। তারা পূর্ববর্তী বহু কুশীয় লোক এবং সেইসাথে অবশিষ্ট খোয়সান-ভাষী বেশিরভাগ অধিবাসীকে আত্মসাৎ করে। পরে, নিলোটিক যাজকরা এসে পৌঁছায় এবং ১৮ শতক পর্যন্ত এই অঞ্চলে অভিবাসন চালিয়ে যান।
তানজানিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লৌহ যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলি হ'ল গ্রেট রিফ্ট উপত্যকার ইনগারাকা, এতে একটি সেচ এবং চাষ ব্যবস্থা রয়েছে।
১৯৫৪ সালে, স্কুল শিক্ষক জুলিয়াস নেরিরি, সেইসময়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষিত দু'জন তাঙ্গানাইকানীর মধ্যে একজন ছিলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন — তানজানাইকা আফ্রিকান ন্যাশনাল ইউনিয়ন (টানু)। ১৯৬১ সালের ৯ ই ডিসেম্বর, ব্রিটিশ রাজতন্ত্র তানজানাইকার রানী হিসাবে ধরে রাখার পরেও তানজানাইকা স্বাধীন হয় এবং নেরিরি একটি নতুন সংবিধানের অধীনে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৬২ সালের ৯ ই ডিসেম্বর তানজানাইকার প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে "মওয়ালিমু" জুলিয়াস কামব্যরেজ নেরিরিকে নিয়ে একটি প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান কার্যকর করা হয়।
|
947915
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947915
|
চার্লস কজলি
|
চার্লস কজলি
চার্লস স্ট্যানলি কজলি (; ২৪ আগস্ট ১৯১৭ - ৪ নভেম্বর ২০০৩), সিবিই, এফআরএসএল ছিলেন একজন কর্নিশ কবি, স্কুল শিক্ষক এবং লেখক। সরলতা, সহজবোধ্যতা ও প্রত্যক্ষতা এবং লোককাহিনীর (বিশেষভাবে তার জন্মস্থান কর্নওয়ালের সাথে সংশ্লিষ্ট) সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণে তার কাজগুলো বিখ্যাত হয়ে আছে।
কজলি কর্নওয়ালের লনচেস্টনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং তিনি সেখানে ও পরে পিটারবোরার একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে শিক্ষিত হয়েছিলেন। তাঁর বাবা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ থেকে এসে দীর্ঘকালীন আঘাতের কারণে ১৯২৪ সালে মারা যান। মূলত এই কারণেই কজলিকে পরিবারের জন্য অর্থ উপার্জনের জন্য ১৫ বছর বয়সে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল।
তিনি রয়েল নেভিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আটলান্টিকে ডেস্ট্রয়ার "এইচএমএস এক্লিপ্স"এর কোডার হিসাবে কাজ করেছিলেন এবং পরে প্রশান্ত মহাসাগরে বিমানবাহক "এইচএমএস গ্লোরি"র ক্রু হিসাবে যুক্ত ছিলেন। কজলি পরে যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতাগুলো তার কবিতায় এবং "হ্যান্ডস টু ড্যান্স অ্যান্ড স্কাইলার্ক" নামে একটি ছোটগল্পের বইয়ে লিখেছিলেন। তার প্রথম কবিতা সংকলন "ফেয়ারওয়েল, অ্যাগি ওয়েস্টন" (১৯৫১) সংকলনটিতে থাকা "সং অভ দ্য ডাইং গানার এ.এ.১" কবিতাংশ:
<poem>
"Farewell, Aggie Weston, the Barracks at Guz,
"Hang my tiddley suit on the door"
"I'm sewn up neat in a canvas sheet"
"And I shan't be home no more."
"</poem>
৫৮ সালে রয়েল সোসাইটি অফ লিটারেচার এর ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ১৯৮৬ সালে তাকে সিবিই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। ৮৩ বছর বয়সে "রয়েল সোসাইটি অফ লিটারেচার" তাকে "সাহিত্যের সহচর" ভূষিত করেছিলো: তিনি সম্মাননাটিকে "My goodness, what an encouragement!" শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পাওয়া অন্যান্য পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৬৭ সালের কবিতার জন্য কুইন স্বর্ণপদক (কুইন মেডেলস ফর পোয়েট্রি) এবং ১৯৭১ সালে পাওয়া একটি "চোল্মনেডেলে অ্যাওয়ার্ড"। ২০০০ সালে পেয়েছিলেন হেউড হিল সাহিত্য পুরস্কার। ১৯৬২ এবং ১৯৬৬ এর মধ্যকালে তিনি আর্টস কাউন্সিল অভ গ্রেট ব্রিটেনের কবিতা প্যানেলের সদস্য ছিলেন। "সোসাইটি অফ অওদার্স" তাকে দুবার ট্রাভেলিং স্কলারশিপে ভূষিত করেছিলো। জন বেতজেমানের মৃত্যুতে তাকে কবি লরেট হিসাবে অভিহিত করার একটি প্রচারণা হয়েছিল, কিন্তু তার নিজ শহরের লোকজনের কাছে তিনি হয়েছিলেন "আমাদের মধ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবি লরেট"। ১৯৬৯ সালের ১ ডিসেম্বর "ডেজার্ট আইল্যান্ড ডিস্ক"-এ রয় প্লামলে তার একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
১৯৮২ সালে তার ৬৫তম জন্মদিনে, তার সম্মানে কবিতার একটি বই প্রকাশিত হয়েছিল যাতে টেড হিউজ, সিমাস হীনি ও ফিলিপ লার্কিন সহ আরো তেইশ জন কবির অংশগ্রহণ ছিলো, তার প্রতি ব্রিটিশ কাব্যসম্প্রদায়ের যে শ্রদ্ধা ও প্রকৃত ভালবাসা ছিল তারই সাক্ষ্য দিয়েছিল তারা। এরপরে ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত "৭০এ কজলি" (কজলি অ্যাট ৭০) বইয়ে আরও বিস্তৃত পরিসরে ও পূর্ণ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছিল।
তার রচনাগুলো ডাব্লিউ. এইচ. ওডেন দ্বারা প্রভাবিত। সাধারণ পাঠক এবং শ্রোতাদের মধ্যে বিশেষত কর্নিশদের মধ্যে কজলির বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং এটি আরও বাড়তে পারে বলে মনে হয়। তার "ইডেন রক" কবিতার একটি বিশেষ অংশ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে যথেষ্ট মনোযোগ অর্জন করেছে, কবিতাটিতে শৈশব, পরিবার এবং মৃত্যুর প্রতি মার্জিত প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
কবিতাটির প্রারম্ভিক লাইনগুলি হলো:
<poem>
They are waiting for me somewhere beyond Eden Rock:
My father, twenty five, in the same suit
Of Genuine Irish Tweed, his terrier Jack
Still trembling at his feet.
</poem>
প্রাক্তন কবি লরেট অ্যান্ড্রু মোশন বলেছিলেন "তিনি (কজলি) এই কবিতাটি যেভাবে সমাপ্ত করেছে তার মতো নিখুঁত একটি পঙ্ক্তিও যদি লিখতে পারতাম তবে আমি একজন সুখী মানুষ হিসেবে মারা যেতাম।" সম্পূর্ণ "ইডেন রক" কবিতাটি একটি কবিতা সংগ্রহশালা ওয়েবসাইটে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে
""শিশুসাহিত্যের নর্টন চয়নিকা"" অনুসারে, "চরিত্রগত বিষয়বস্তু, নিবিষ্টচিত্ততা এবং ভাষার সতেজতা সামান্যই পরিবর্তিত হওয়ার কারণে তার লেখাগুলির মধ্যে কোনটা শিশুদের এবং কোনটা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তা পার্থক্য করা প্রায়শই কঠিন হয়ে পড়ে। তিনিই ঘোষণা করেছিলেন যে নিজেই জানতেন না তিনি কোনটা শিশুদের জন্য আর কোনটা বড়দের জন্য লিখছেন। যার দরুণ তিনি তার সংগৃহীত রচনায় কোনও মন্তব্য বা টীকা ছাড়াই শিশুতোষ কবিতাগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন।"
ডাব্লিউ.এইচ. ওডেন কজলিকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন যে "কজলি তাঁর 'গাইডিং নীতি'তে যা বলেছিলেন সেটাই সত্য রয়ে গেলো... যদিও তার কিছু ভাল কবিতা রয়েছে তবে তা কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই, কারণ সে তার পাঠকদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের অভিজ্ঞতার প্রাক-ধারণা ধরে রাখতে চেয়েছিলো, তার এমন কোনও ভাল কবিতা নেই যা কেবল বাচ্চাদের জন্য লেখা হয়েছে।"
তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু টেড হিউজ কজলি সম্পর্কে বলেছেন:
"গত অর্ধ শতাব্দীর ইংরেজি কবিদের মধ্যে, চার্লস কজলি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয় হিসাবে পরিণত হতে পারে... কবি লরিয়েট হওয়ার আগে, আমাকে বিধিমোতাবেক আমার পছন্দের সেরা কবির নাম লিখতে বলা হয়েছিল। বিনাদ্বিধায় আমি চার্লস কজলির নাম দিয়েছি- যিনি এক অপূর্ব সমৃদ্ধশীল, প্রকৃত কবি, পুরোনোকালের সমস্ত পরিচিত সেরা কবিদের মধ্যে তিনি একমাত্র যাকে জনতার লোক বলা যেতে পারে। তিনি এমন একজন কবি যার জন্য উপাধি নতুনভাবে আবিষ্কার করা হয়েছিল। একটি অপ্রকাশিত চিঠিতে ফিলিপ লার্কিনও একই কথা ভেবে তাকে বেছে নিয়েছিলেন শুনে আমি আনন্দিত হয়েছি।"
সম্ভবত কজলিকে একজন কাব্যিক "বহিরাগত" হিসাবে উপলব্ধি করার কারণে একাডেমিয়া তার কাজের দিকে অপেক্ষাকৃত কম মনোযোগ দিয়েছে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মাইকেল হ্যাঙ্কের সম্পাদিত সমালোচনামূলক প্রবন্ধগ্রন্থ "থ্র দ্য গ্রানাইট কিংডম" য়ে লার্কিন এবং আর. এস. থমাসের মতো কবিদের পাশাপাশি কজলির রচনা সম্পর্কেও একাধিক প্রবন্ধ যুক্ত হয়েছে যা থেকে এটা বুঝা যায় যে কজলিকে নিয়ে সেভাবে চর্চা না হওয়ার ধারাটি পরিবর্তন হচ্ছে ।
তার জীবন ও কাজ উদযাপন এবং তিনি যে সম্প্রদায় ও অঞ্চলে বাস করতেন সেখানে নতুন সাহিত্যিক ক্রিয়াকলাপ প্রচার করার জন্য চার্লস কজলি ট্রাস্ট নামে নিবন্ধিত একটি দাতব্য সংস্থা রয়েছে। ট্রাস্টটি ২০০৬ সালে জাতির তরফে লনচেস্টনে থাকা কবির বাড়িটি সুরক্ষিত করে নেয়। তারপর যথেষ্ট মেরামত, পুনর্নির্মাণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করার পরে বাড়িটি সীমিত পরিসরে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বাড়িটি কজলির জীবন ও কর্ম প্রচারের জন্য ঐতিহ্যবাহী কার্যক্রমের এক কর্মসূচি সরবরাহ করে আসছে।
২০১০ সালের জুনে লনচেস্টনে দীর্ঘ এক সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম "চার্লস কজলি ফেস্টিভাল"। কর্মসূচিতে সাহিত্য, সংগীত, শিল্প এবং অন্যান্য বিভিন্ন কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত ছিল। পরবর্তীতে ২০১১ সালে আরো বর্ধিত আাকারে দ্বিতীয় উৎসবটি পুরো সপ্তাহব্যাপী একই শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল যা শুরু হয়েছিল মে মাসের শেষের দিকে এবং শেষ হয়েছিল জুনের শুরুর দিকে। একই জেলার বাসিন্দা অধ্যাপক জেমস লাভলকের ("গাইয়া থিওরি"র জন্য যিনি খ্যাত) বিজ্ঞান-ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে কর্মসূচিটি নতুন মাত্রা পেয়েছিলো।
পরবর্তী বছরগুলোতেও (২০১২-২০১৮) বাৎসরিক অনুষ্ঠানটি নিয়মিত হয়ে আসছে, অনুষ্ঠানগুলো ছিলো কজলি এবং তার কাজের সাথে প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত বিভিন্ন বিস্তৃত কর্মসূচি দিয়ে সাজানো। যথাক্রমে চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম বার্ষিক উৎসবগুলিতে অনুষ্ঠানের কেন্দ্রীয় আকর্ষণ ছিলো স্যার অ্যান্ড্রু মোশন (প্রাক্তন কবি লরিয়েট এবং কজলি সোসাইটির পৃষ্ঠপোষক) এবং ক্যারল অ্যান ডাফি (বর্তমান কবি লরিয়েট), ব্রায়ান প্যাটেন এবং লেমন সিসেয় (লন্ডন অলিম্পিক ২০১২ এর কবি) কর্তৃক আবৃত্তি ও পাঠ।
১ অক্টোবর ২০১৭ সালে, বিবিসি৪ কজলির জীবন ও কর্ম সম্পর্কে ডকুমেন্টারি ফিল্মের একটি ৬০' সংস্করণ সম্প্রচার করে পরবর্তীতে যা "কর্নওয়াল'স ন্যাটিভ পোয়েট" নামে পুনর্নামকরণ করা হয় এবং বিবিসি আইপ্লেয়ারের মাধ্যমে প্রোগ্রামটি সেই মাসের বাকি সময়ে অনলাইনে উপলব্ধ হয়।
কজলির লাইব্রেটো 'দ্য বার্নিং বয়' অবলম্বনে স্টিভেন ম্যাকনেফের একটি মূল অপেরা নভেম্বর ২০১৭ সালে লনচেস্টন এবং সেন্ট আইভেসে বোর্নেমাউথ সিম্ফনি অর্কেস্ট্রার কোকোরো এনসেম্বল দ্বারা প্রিমিয়ার হয়েছিল। অ্যালেক্স অ্যাটারসনের বেশিরভাগ গানই (১৯৩১–১৯৯৬) কজলির কবিতার সুরসংযোজন। জিম কজলি (উপরে দেখুন), নাটালি মার্চেন্ট, জনি কোপিন, মেরভিন হারর্ডার এবং ফাইলিস ট্যাটের মতো সংগীতশিল্পীরাও বহু বছর ধরে কজলির কবিতাগুলোর অনেকগুলি সুরসংযোগ তৈরি করেছেন। প্রতিনিয়ত সেগুলোর নতুন সংস্করণ রচিত হচ্ছে।
চার্লস কজলি আন্তর্জাতিক কবিতা পুরস্কার (Charles Causley International Poetry Prize) ২০১৩ সাল থেকে দেওয়া শুরু হয়েছিল এবং বেশিরভাগ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অব্যাহত রয়েছে। সাধারণত বড়দিন (ক্রিসমাস) উদযাপনের সময় বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রথম পুরস্কার £২০০০, দ্বিতীয় পুরস্কার £২৫০ এবং তৃতীয় পুরস্কার £১০০ অর্থ বা অর্থমূল্যের হয়ে থাকে। এটি ১৮ বছরের বেশি বয়সের যে কারও জন্য উন্মুক্ত একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা যা কর্নিশ কবি চার্লস কজলির স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সাধারণত জনপ্রতি £৭ খরচ হয় এবং একজন কবি একাধিক কবিতা জমা দিতে পারেন।
|
947922
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947922
|
অমর আকবর এন্থনি
|
অমর আকবর এন্থনি
অমর আকবর এন্থনি () হচ্ছে ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র। তিনজন হিন্দু, মুসলিম এবং খ্রিষ্টান মানুষের বন্ধুত্বের কাহিনী নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন মনমোহন দেসাই, প্রযোজনাও মনমোহন নিজেই করেছিলেন এবং কাহিনী লিখেছিলেন কাদের খান। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন বিনোদ খান্না, অমিতাভ বচ্চন, ঋষি কাপুর, নীতু সিং, শাবানা আজমি, নিরূপা রায়, প্রাণ সহ আরো অনেকে। তিন জন আপন ভাই যারা ছোটো বেলা আলাদা হয়ে যায় (হারিয়ে যায়) এবং তিনজনই হিন্দু তবে ছোটো বেলাতে তারা ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের লোকদের দ্বারা লালিত পালিত হয় শুধু একজন বাদে, বাকি দুজনের একজন মুসলিম এবং অন্য আরেকজন খ্রিষ্টান দ্বারা লালিত হয়। বড় হয় হিন্দু ছেলেটা পুলিশ কর্মকর্তা হয়, মুসলিম ছেলেটা হয় একজন গায়ক আর খ্রিষ্টান ছেলেটা হয় একজন হোটেল ব্যবসায়ী।
চলচ্চিত্রটির সঙ্গীত পরিচালক ছিলেন লক্ষ্মীকান্ত-প্যায়ারেলাল, ১৯৭৭ সালের অন্যতম সেরা দর্শকপ্রিয় এবং ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র ছিলো এটি।
|
947928
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947928
|
বানৌজা নির্ভয়
|
বানৌজা নির্ভয়
বানৌজা নির্ভয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাইপ ০৩৭ শ্রেনীর ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী জাহাজ। ১৯৮৫ সাল থেকে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত রয়েছে।
বানৌজা নির্ভয় ১৯৮৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। জাহাজটিকে চট্টগ্রামে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে বানৌজা মধুমতি ও বানৌজা আবু বকরের সাথে নির্ভয়কেও বঙ্গোপসাগরের বিরোধপূর্ণ এলাকায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের সহায়তায় আসা মায়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজের মুখোমুখি মোতায়েন করা হয়। পরবর্তীতে মায়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ পিছু হটে নিজেদের জলসীমায় ফিরে যায়।
জাহাজটিতে প্রাথমিক যুদ্ধ সরঞ্জাম হিসেবে দুটি টুইন ৫৭ মিমি ৭০-ক্যাল ৭৬ ডিপি টাইপের বন্দুক এবং দুটি টুইন ২৫ মিমি ৬০ ক্যাল ৬১ টাইপের বন্দুক বহন করে। এ ছাড়াও, জাহাজটি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধ মিশনগুলো পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন অস্ত্র বহন করেন। চারটি আরবিইউ-১২০০ (টাইপ-৮১) (৫ ব্যারেল) ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেট, দুটি বিএমবি-২ ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী মর্টার, ২০ মিটার গভীর চার্জসহ দুটি ডিপ্থ চার্জ রেইল ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী সরঞ্জাম।
|
947935
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947935
|
জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা
|
জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা
<nowiki> </nowiki>জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ ( আরবি : الجامعة الشرعية ماليباغ), যা"জামিয়া শরইয়্যাহ" "মাদ্রাসা" নামে পরিচিত, বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা।
১৯৫৬ সালে একটি মসজিদ স্থাপনের জন্য একজন মুছল্লী গোলাম গাউস তাঁর জমি দান করেছিলেন। পরে তারা ঐ স্থানে একটি ছোট "মক্তব" প্রতিষ্ঠিত করেন। দিনে দিনে এই "মক্তব" "হেফজখানা" এবং পরে 'কিতাব' বিভাগে উন্নিত হয় এবং ১৯৮২ সালে এই প্রতিষ্ঠানটি দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) কোর্স শুরু করে। প্রথম থেকেই এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করছে। বোর্ড পরীক্ষার আলোকে এই জামিয়া বাংলাদেশের অন্যতম সেরা একটি মাদ্রাসা। কাজী মুতাসিম বিল্লাহর মৃত্যুর পর আশরাফ আলী এর মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।
|
947944
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947944
|
ডানকান লিভিংস্টোন
|
ডানকান লিভিংস্টোন
ডানকান লিভিংস্টোন (Donnchadh MacDhunléibhe) (৩০ মার্চ ১৮৭৭ টর্লোইস্ক, আইল অভ মুল - ২৫ মে ১৯৬৪ প্রিটোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা) ছিলেন মুল দ্বীপে জন্ম নেওয়া একজন স্কটিশ গ্যালিক কথাসাহিত্যিক। তবে জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাতে কাটিয়েছেন।
ডানকান লিভিংস্টোন ছিলো কবির দাদার-দাদার-দাদার-দাদার নাম, যিনি ১৭৪৬ সালে কালোডেনের যুদ্ধে টর্লোইস্কের অ্যালান ম্যাকলিনের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন। ডানকানের সাথে তাঁর ভাই, শ্যালক এবং পিতাও ছিলেন যিনি যুদ্ধক্ষেত্রেই মারা গিয়েছিলেন। স্থানীয় মৌখিক লোককথা অনুসারে ডানকান লিভিংস্টোন অ্যানে ম্যাকলিনের সাথে পলাতক ছিলেন, যার বাবা হেক্টর ছিলেন কোলের ম্যাকলিন গোত্রের ১০তম গোত্রপ্রধান ডোনাল্ডের উত্তরাধিকার-বঞ্চিত বড় ছেলে এবং যার মা আইসোবেল ছিলেন ম্যাকলিয়ড গোত্রের ১৭তম গোত্রপ্রধান রুইয়েরি মিয়ারের একমাত্র কন্যা। পলায়নের পরে ডানকান এবং অ্যানকে দম্পতি হিসেবে মেনে নিয়েছিলো ম্যাকলিন। ডানকান তাঁর স্ত্রীর সম্মানে "মো রন গিয়াল ডাইলিয়াস" (Mo Rùn Geal Dìleas) গানটি রচনা করেছিলেন বলেও জানা যায়।
কবির দাদা আলেকজান্ডার লিভিংস্টোন সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি আফ্রিকান এক্সপ্লোরার এবং মিশনারি ডেভিড লিভিংস্টোন এর চাচা ছিলেন।
ডানকান লিভিংস্টোন আইল অফ মুলের টর্লোইস্কের কাছে রিডলে তার দাদার ছোট্ট গোলাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা ডোনাল্ড লিভিংস্টোন ("Dòmhnall Mac Alasdair 'ic Iain 'ic Dhòmhnall 'ic Dhonnchaidh") (১৮৪৩-১৯২৪) ছিলেন একজন কাঠমিস্ত্রী এবং প্রস্তর-রাজমিস্ত্রি। কবির মা জেন ম্যাকিন্ত্রে ("Sine nighean Donnchaidh mhic Iain") (১৮৪৫-১৯৩৮) ব্যালাচুলিশের বাসিন্দা ছিলেন এবং যাকে বলা হয়ে থাকে গ্যালিক কবি ডানকান বান ম্যাকিন্ত্রের (১৭২৪-১৮১২) নাতি। কবি তার বাবামায়ের সাত সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান এবং তিনি যে বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সে বাড়িটির রূপরেখা এখনও দেখা যেতে পারে।
ডানকানের বাবা-মা ১৮৭২ সালে গ্লাসগোতে বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মা গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করতেন। তাঁর বাবা কানাডায় থাকতেন এবং কাঠের ঘর নির্মাণে কাজ করতেন। ডানকান যখন ১৮-মাস বয়সী ছিলেন, তখন তার পরিবার আইল অভ মুলের টবারমারিতে চলে যায় এবং সেখানেই তিনি শিক্ষিত হন।
লিভিংস্টোন যখন ১৬ বছর বয়সী তখন তার পরিবার গ্লাসগোতে ১২৬ টলিসম্যান রোডে চলে যায়। ডানকান প্রথমে একজন কেরানী এবং তারপরে প্রস্তরবিদ্যালয়ের শিক্ষানবিশ হয়েছিলেন। দ্বিতীয় বোয়ার যুদ্ধ শুরু হলে তিনি জানতে পেরেছিলেন যে টর্লোইস্কের লেয়ার্ড একটি অশ্বারোহী সৈন্যদল তৈরি করছে এবং তত্ক্ষণাত তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন।
বোয়ার কমান্ডোদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়, ডানকান লিভিংস্টোন গোড়ালিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গ্লাসগোতে ফিরে এসেছিল। ওই সময়ে, তিনি গ্লাসগোর সেন্ট ভিনসেন্ট স্ট্রিটের সেন্ট কলম্বা চার্চ অভ স্কটল্যান্ডের প্রধান দরজার চৌকাঠে "Tigh Mo Chridhe, Tigh Mo Gràidh" ("আমার হৃদয়ের ঘর, আমার ভালবাসার ঘর") শিলালিপিটি খোদাই করেছিলেন।
১৯০৩ সালের ৩রা মার্চ, কবি এস.এস. স্টাফর্ডশায়ারের সমুদ্রযাত্রায় সাউদাম্পটন ছেড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ফেরেন। তিনি কখনই স্কটল্যান্ডে ফিরে যাননি এবং শীঘ্রই তার ভাই জন এবং অ্যালেক্সও তার সাথে দক্ষিণ আফ্রিকাতে যোগ দিয়েছিলেন। তিন ভাই ছোট পরিসরে জোহানেসবার্গে একটি ভবন নির্মাণ সংস্থার মালিকানাধীন ছিলেন, তবে তাদের অংশীদারিত্ব ভেঙে দিয়েছিলেন এবং কবি গণপূর্ত বিভাগে যোগদান করেছিলেন। তাঁর ভাই জন সোনার খনির মাধ্যমে উন্নতি করতে গিয়েছিলেন, আর অ্যালেক্স নাটালে গিয়ে আখ চাষী হয়েছিলেন।
১৯১১ সালে আইল অভ মুলের পেনিঘেলের ক্যাটরিওনা (কেটি) ম্যাকডোনাল্ড দক্ষিণ আফ্রিকা এসে কবির স্ত্রী হন। তবে তাদের কখনও সন্তান হয় নি।
প্রিটোরিয়ায় স্কটিশ গ্যালিকদের একটি সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। যখন কবি প্রথম সেখানে বসতি স্থাপন করেছিলেন তখন তিনি, তার স্ত্রী এবং তার অন্য দুইভাইও স্কটিশ ও গ্যালিক উভয় সম্প্রদায়ের মাঝে বেশ চেনাজানা ও সক্রিয় ছিলেন। ডানকান এবং অ্যালেক্স লিঙ্গস্টোন মিলে ক্যালিডোনিয়ান সোসাইটির জার্নালে একটি গ্যালিক পাতাও সম্পাদনা করেছিলেন। ডানকান প্রিটোরিয়ার সেল্টিক সোসাইটিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এটি একটি সাহিত্যিক সমিতি ছিল যা স্কটিশ, আইরিশ এবং ওয়েলশ বংশোদ্ভূতসহ চল্লিশজন সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত ছিল। এছাড়াও ডানকান প্রিটোরিয়ায় স্টেট লাইব্রেরিতে একটি সেল্টিক বিভাগও স্থাপন করেছিলেন।
ঐতিহাসিক রোনাল্ড ব্ল্যাকের মতে, ডানকান লিভিংস্টোন-এর কবিতাগুলো নিঃসন্দেহে ১৯৩০-এর দশকের গোড়ার দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বিবিসির গ্যালিক সম্প্রচারের সহায়তায় শুরু করেছিলেন। ১৯৩৯ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "আ ফাগেইল আইফ্রিক" ("A fàgail Aifric") প্রকাশিত হয়। তিনি যুদ্ধের বিষয়ে গ্যালিক ভাষায় আরও তিনটি কবিতা প্রকাশ করেছিলেন।
ক্যাটরিওনা ১৯৫১ সালের সেপ্টেম্বরে মারা যান এবং ডানকান তার পছন্দের মানুষটিকে হারানোর আঘাত থেকে কখনোই সেরে উঠেননি। এরপরে লেখালেখি ও বোলিং দুটো থেকেই অবসর গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
লিভিংস্টোন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের পতনকে উপহাসের সাথে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে রচনা করেন "Feasgar an Duine Ghil" ("শ্বেতাঙ্গদের সন্ধ্যা বেলা") কবিতাটি।
ন্যাশনাল পার্টির উত্থান এবং বর্ণবাদ সংক্রান্ত নীতি লিভিংস্টোনকে গভীরভাবে সমস্যায় ফেলেছিল। কবির ভাইপো প্রফেসর ইয়ান লিভিংস্টোন স্মরণ করেছেন, "আমি ১৯৫৯ সালে ডানকানকে দেখতে (উগান্ডা থেকে) তার হোটেলে (ইউনিয়ন হোটেল, প্রিটোরিয়া) গিয়েছিলাম। তিনি সেখানকার বাসিন্দা ছিলেন। পরে আমি যখন উগান্ডায় ফিরে এসেছিলাম তখন তিনি আমাকে (১০ পৃষ্ঠার) দীর্ঘ একটি কবিতা পাঠিয়েছিলেন ইংরেজিতে শার্পেভিলি নিয়ে, যেখানে প্রায় ৭৭ জন আফ্রিকানকে পুলিশ (বেশিরভাগ পিছন দিকে) গুলি করে হত্যা করেছিল। এটি স্পষ্টতই তাকে চূড়ান্তভাবে প্রভাবিত করেছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমার কাছে কবিতার অনুলিপিটি নেই।"
শার্পেভিলি গণহত্যা লিভিংস্টোনকে গ্যালিক ভাষায় "Bean Dubha' Caoidh a Fir a Chaidh a Marbhadh leis a' Phoiles" ("একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা তার স্বামীর জন্য শোক প্রকাশ করেছেন যাকে পুলিশেরা খুন করেছে") কবিতাটি লিখতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তিনি ১৯৬৪ সালের ২৫ মে প্রিটোরিয়ায় মারা যান এবং রোসেটা স্ট্রিট কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
"আর্গিলের গ্যালিক সাহিত্য" ( The Gaelic Literature of Argyll) শিরোনামের একটি গবেষণাপত্রে ডোনাল্ড ই. মীক ডানকান লিভিংস্টোনকে একজন "খুব সূক্ষ্ম আধুনিক গ্যালিক কবি" হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে "তিনি বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে বেশকিছু চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণীমূলক চরণ লিখেছিলেন যা ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের শাসনের বিরুদ্ধে একপ্রকার লড়াই। সুতরাং আফ্রিকার গ্যালিক সাহিত্যের যে কোনও উত্থানের জরিপে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি রয়েছে তার!"
একটি প্রবন্ধে, উইলসন ম্যাকলিয়ড ডানকান লিভিংস্টোনকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের "তাৎর্যপূর্ণ কবি যিনি সমালোচকের উপলব্ধি হয়েছিলেন" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। ম্যাকলিউড আরো যোগ করেছেন যে এই জাতীয় কবিদের অবশ্যই "বিচ্ছিন্ন কণ্ঠস্বর হিসাবে বিবেচনা করা উচিত। আঠারো শতকের পর থেকে গ্যালিক শ্লোকের বেশিরভাগ অংশই দৃঢ়ভাবে ব্রিটিশপন্থী ও
সাম্রাজ্যপন্থী ছিলেন, যার মধ্যে ছিলো অঙহেস মোইরিসডান এবং ডেমহ্নল ম্যাকএইডহ সহ বেশ কয়েক জন বিখ্যাত কবিও।
|
947948
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947948
|
আমিরুল হক চৌধুরী
|
আমিরুল হক চৌধুরী
আমিরুল হক চৌধুরী একজন বাংলাদেশী টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ অভিনেতা।
১৯৪৫ সালে আমিরুল হক চৌধুরী জন্মগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজে পড়ার সময় ছাত্রসংসদের ভিপি ছিলেন। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময় মুহাম্মদ মনসুর আলী আমিরুল হককে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের পাকশী শাখার সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিলেন। আমিরুল হক ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে সর্বকনিষ্ঠ সংসদ সদস্য হবার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্ত নাট্যকলাতে অতিশয় আগ্রহ থাকায় তিনি রাজনীতিতে পা বাড়াননি।
আমিরুল হক চৌধুরীর অভিনয়ের শুরু স্কুলজীবন থেকেই। আমিরুল হক চৌধুরী স্কুলে থাকতে স্কাউটিং করতে একবার রাজশাহীর পাহাড়পুরে গিয়েছিলেন। সেখানে শিক্ষক উনাকে একজন অসুস্থ মানুষকে কোলে তুলে সাহায্য করার অভিনয় করে দেখাতে বলেছিলেন। সেই থেকেই অভিনয়ের শুরু। পরে কলেজে পড়ার সময় পাকশী মঞ্চে নাটক করেছেন।
|
947951
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947951
|
তালিয়েন
|
তালিয়েন
তালিয়েন পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের উপপ্রাদেশিক মর্যাদাবাহী একটি বন্দর নগরী। প্রায় ৬৭ লক্ষ অধিবাসীবিশিষ্ট এই নগরীটি (প্রাদেশিক রাজধানী শেন-ইয়াং নগরীর পরে) লিয়াওনিং প্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী এবং উত্তর-পূর্ব চীনের চতুর্থ সর্বোচ্চ জনবহুল নগরী। নগরীটি লিয়াওতুং উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তবিন্দুতে অবস্থিত বলে একটি একাধারে লিয়াওনিং প্রদেশ ও সমগ্র উত্তর-পূর্ব চীনের দক্ষিণতম নগরী। তালিয়েন নগরীর সাথে উত্তরে জেলা-স্তরের দুই নগরী ইংখৌ ও আনশান এবং উত্তর-পূর্বে তানতুং নগরীর স্থলসীমান্ত আছে। এছাড়া এটির সাথে পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম দিকে লিয়াওতুং উপসাগরের অপর তীরে অবস্থিত ছিনহুয়াংতাও ও হুলুতাও নগরীদ্বয়ের সাথে; দক্ষিণ দিকে পোহাই সামুদ্রিক প্রণালীর অপর তীরে শানতুং উপদ্বীপে অবস্থিত ইয়ানথাই ও ওয়েইহাই নগরীদ্বয়ের সাথে; এবং সর্বোপরি পূর্ব দিকে কোরীয় উপসাগরের অপর তীরে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার সাথে সামুদ্রিক সীমান্ত রয়েছে।
তালিয়েন নগরীটি বর্তমানে উত্তর-পূর্ব এশিয়ার একটি আর্থ-বাণিজ্যিক, জাহাজ পরিবহন ও পণ্য স্থানান্তর কেন্দ্র। বিদেশী শক্তিরা ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে এই নগরীর বন্দরগুলিকে ব্যবহার করেছে। রুশরা এটিকে "দালনিই" () ও জাপানিরা এটিকে "দাইরেন" (জাপানি 大連) নামে ডাকত। অবশ্য আদিতে এটি "পোর্ট আর্থার" নামেই অধিক পরিচিত ছিল।
২০১৬ সালে তালিয়েন নগরীটি বৈশ্বিক আর্থিক কেন্দ্রসমূহের সূচকে ৪৮তম স্থান অধিকার করে। ২০১২ সালে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাসুলভতা সূচকে এটি ৮২তম স্থান অধিকার করেছিল। ২০০৬ সালে "চায়না ডেইলি" দৈনিকের একটি প্রতিবেদনে তালিয়েনকে চীনের সর্বাধিক বাসযোগ্য নগরীর উপাধি প্রদান করা হয়েছিল।
|
947960
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947960
|
সাংবাদিকতার ইতিহাস
|
সাংবাদিকতার ইতিহাস
সাংবাদিকতার ইতিহাস প্রযুক্তি ও বাণিজ্যের বিকাশকে বিস্তৃত করে, যা নিয়মিতভাবে তথ্য সংগ্রহ ও প্রচারের জন্য বিশেষ প্রযুক্তির আবির্ভাবের সাথে সম্পর্কিত। সাংবাদিকতার ইতিহাস ইতিহাসের শীর্ষে উঠে আসে, কেননা "আমাদের কাছে উপলভ্য সংবাদের পরিধি যত বৃদ্ধি পাবে এর সঞ্চলন গতি তত বৃদ্ধি পাবে"। মুদ্রণযন্ত্রের উদ্ভাবনের আগে মুখের শব্দই ছিল সংবাদের প্রাথমিক উৎস। প্রত্যাবর্তনীয় বণিক, নাবিক এবং ভ্রমণকারীরা মূল ভূখণ্ডে ফিরে আসত সংবাদ নিয়ে এবং এটি পরে ফেরিত্তয়ালা এবং ভ্রমণকারী খেলোয়াড়দের দ্বারা শহর থেকে শহরে ছড়িয়ে পড়ত। প্রাচীন লেখকরা প্রায়শই এসব তথ্য লিখে রাখতেন। সংবাদের এই স্থানান্তর প্রায়শই অত্যন্ত অবিশ্বাস্য ছিল এবং প্রিন্টিং প্রেসের আবিষ্কারের সাথে মারা গিয়েছিল। সংবাদপত্রগুলি (এবং স্বল্প পরিমাণে ম্যাগাজিনগুলি) আঠারো শতকের পর থেকে সাংবাদিকদের প্রাথমিক মাধ্যম, বিংশ শতাব্দীতে রেডিও এবং টেলিভিশন এবং একবিংশ শতাব্দীতে ইন্টারনেট প্রাথমিক মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৫৫৬ সালে, ভেনিস সরকার প্রথম মাসিক "নটিজি স্ক্রিট" ("লিখিত নোটিশ") প্রকাশ করেছিল যার দাম ছিল এক গ্যাজেটা, তৎকালীন একটি ভেনিসীয় মুদ্রা, যার নাম শেষে "সংবাদপত্র" হয়েছিল। এটি একটি হস্তলিখিত নিউজলেটার ছিল এবং পুরো ইউরোপ জুড়ে রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক সংবাদ দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে প্রচার করত, বিশেষত ইতালিতে, আধুনিক যুগের (১৫০০-১৮০০) - খবরের কাগজের কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে - যদিও সাধারণত সত্যিকারের সংবাদপত্র হিসাবে বিবেচনা করা হয় না।
যাইহোক, এই প্রকাশনাগুলির কোনওটিই যথাযথ সংবাদপত্রের আধুনিক মানদণ্ড পুরোপুরি পূরণ করে না, কারণ এগুলি সাধারণত সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে নয় এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ১৬০১ সালের কাছাকাছি সময়ে আবির্ভূত প্রাথমিক প্রকাশনাগুলি আজকের সংবাদপত্র উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছিল। ১৫ ও ১৬ শতকের দিকে, ইংল্যান্ড এবং ফ্রান্সে, "রিলেশন" নামক দীর্ঘ সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছিল; স্পেনে একে "রিলেসিওনস" বলা হত। একক ইভেন্টের সংবাদ প্রকাশনাগুলি ব্রডশিট ফর্ম্যাটে ছাপা হত, যা প্রায়শই ডাকযোগে পাঠানো হতো। এই প্রকাশনাগুলি পামফলেট এবং ছোট পুস্তিকা হিসাবে উপস্থিত হয়েছিল (দীর্ঘ বিবরণীর জন্য, চিঠির ফর্ম্যাটে লেখা হত), প্রায়শই কাঠের খোদাই থাকতো। শিক্ষার হার আজকের তুলনায় কম ছিল এবং এই সংবাদ প্রকাশগুলি প্রায়শই উচ্চস্বরে পড়া হত।
১৪০০ সাল নাগাদ, ইতালীয় এবং জার্মান ব্যবসায়ীরা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের সাথে তাদের ব্যবসার প্রচারে হস্তলিখিত ক্রনিকল সংকলন বের করেছিল। এই কাজের জন্য একটি প্রিন্টিং প্রেস ব্যবহার করার ধারণাটি জার্মানিতে ১৬০০ সালের দিকে চালু হয়েছিল। প্রথম গেজেট প্রকাশিত হয়েছিল সাপ্তাহিক "রিলেশন অ্যালার ফুয়েরনেমেন আন্ড জেনডেনকওয়ার্ডিয়ান হিস্টোরিয়েন" ("সমস্ত বিশিষ্ট এবং স্মরণীয় সংবাদ সংগ্রহ") জার্মানির স্ট্রেসবার্গে ১৬০৫ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। এই খবর ১৭ শতাব্দীতে ইউরোপে সুপ্রতিষ্ঠিত দুইটি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছিল। একটি চ্যানেলের সাথে যুক্ত ছিল ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডস, অন্যটির সাথে সংযুক্ত ছিল ইতালি, স্পেন এবং পর্তুগাল। প্রিয় বিষয়গুলির মধ্যে ছিল যুদ্ধ, সামরিক বিষয়, কূটনীতি এবং আদালতের ব্যবসা এবং গল্পগুজব।
এর পরে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের সরকার অফিসিয়াল নিউজলেটারগুলি ছাপানো শুরু করে। ১৬২২ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ইংরাজী ভাষার সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন, "এ কারেন্ট অব জেনারেল নিউজ" প্রকাশিত হয়েছিল এবং ইংল্যান্ডে বিতরণ করা হয়েছিল, একটি ৮-২৪ পাতার কোয়ার্টো ফর্ম্যাটের ছিল।
উনিশ শতকে সমস্ত বড় বড় দেশের সংবাদপত্রগুলি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, একাধিক প্রযুক্তিগত, ব্যবসায়িক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কারণে। উচ্চ-গতির প্রেস এবং সস্তা কাঠের নিউজপ্রিন্ট কাগজের কারণে এসময় বড় প্রচলন সম্ভব হয়েছিল। প্রাথমিক শিক্ষার দ্রুত সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাব্য পাঠক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলি স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের সংবাদপত্রগুলিকে স্পন্সর করে। শতাব্দীর শেষের দিকে, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন সু-প্রতিষ্ঠিত হয় এবং সংবাদপত্রের মালিকদের আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠে। এটি সর্ববৃহৎ সম্ভাব্য সঞ্চালন অর্জনের জন্য একটি প্রতিযোগিতাকে নেতৃত্ব দেয়। ১৮৬০ এবং ১৮৭০এর দশকে ইউরোপে সংবাদপত্রের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬,০০০; তারপর ১৯০০ সালে এটি দ্বিগুণ হয়ে ১২,০০০ এ দাঁড়িয়েছিল।
প্রতি দশকে প্রেসগুলি দ্রুততর হয়ে ওঠে এবং ১৮৮০এর দশকে স্বয়ংক্রিয় টাইপসেটিং আবিষ্কার একটি বিশাল সকালের সংবাদপত্র রাতারাতি মুদ্রণ করা সম্ভব করে তোলে। সস্তা কাঠের সজ্জা ব্যয়বহুল কাগজকে প্রতিস্থাপন করেছিল। একটি প্রধান সাংস্কৃতিক উদ্ভাবন হলো সংবাদ সংগ্রহের পেশাদারিত্ব, যা বিশেষজ্ঞ সাংবাদিকরা পরিচালনা করে। উদারপন্থা সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনতার দিকে পরিচালিত করে এবং সরকারী সেন্সরশিপ হ্রাস করার সাথে সাথে সংবাদপত্রের করের সমাপ্তি ঘটে। মুনাফায় আগ্রহী উদ্যোক্তারা ক্রমবর্ধমান দলের আগ্রহী রাজনীতিবিদদের প্রতিস্থাপন করে, এতে বৃহত্তর ভিত্তির নাটকীয় প্রচার সম্ভব হয়। দাম কমে হয় এক পেনি। মহিলাদের পূর্বে উপেক্ষা করা হয়েছিল, কিন্তু এখন তাদের জন্য পরিবার ও গৃহস্থালী এবং ফ্যাশন সম্পর্কিত একাধিক কলাম বরাদ্দ দেওয়া হয়, এবং বিজ্ঞাপনে ক্রমশ তাদের ব্যবহার প্রসারিত হয়েছে।
১৯০০ সাল নাগাদ ব্রিটেনে জনপ্রিয় সাংবাদিকতা শ্রমজীবী শ্রেণিসহ সম্ভাব্য বৃহত্তম পাঠকদের লক্ষ্য করে সাফল্য লাভ করেছিল এবং বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করেছিল। আলফ্রেড হার্মসওয়ার্থ, ১ম ভিসকাউন্ট নর্থ ক্লিফ (১৮৬৫–১৯২২) -এর "ডেইলি মেইল" তাঁর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দৈনিক সঞ্চালনের বিশ্ব রেকর্ড ধারণ করেছিল। প্রধানমন্ত্রী লর্ড স্যালসবারি বলেন, "অফিসের ছেলেদের জন্য অফিস ছেলেরা লিখেছে"।
সমাজতান্ত্রিক ও শ্রম পত্রিকাও প্রসারিত হয়েছিল এবং ১৯১২ সালে "ডেইলি হেরাল্ড" ট্রেড ইউনিয়ন এবং শ্রমিক আন্দোলনের প্রথম দৈনিক পত্রিকা হিসাবে চালু হয়েছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় সংবাদপত্রগুলি গুরুত্বের শিখরে পৌঁছেছিল, এর কারণ যুদ্ধকালীন বিষয়গুলি জরুরি এবং সংবাদযোগ্য ছিল এবং সংসদ সদস্যরা সর্বদলীয় জোট সরকারকে সরকারি আক্রমণ থেকে বিরত করেছিল। ১৯১৪ সাল নাগাদ নর্থ ক্লিফ ব্রিটেনে সকালের সংবাদপত্রের প্রচারের ৪০ শতাংশ, সন্ধ্যার ৪৫ শতাংশ এবং রবিবারের সংস্করণের ১৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করত। তিনি একে রাজনৈতিক ক্ষমতায় পরিণত করার চেষ্টা করেছিলেন, বিশেষত ১৯১৫ সালের শেল সঙ্কটে সরকারকে আক্রমণ করার ক্ষেত্রে। লর্ড বিভারব্রুক বলেছেন যে, তিনি ছিলেন, "সবচেয়ে বড় ব্যক্তি যিনি ফ্লিট স্ট্রিটকে নামিয়ে দিয়েছিলেন।" এজেপি টেইলর অবশ্য বলেছেন, "নর্থক্লিফ সংবাদের সঠিক ব্যবহার করে ধ্বংসাত্মক করতে পারেন। তিনি শূন্য জায়গায় পা রাখেন নি। তিনি প্রভাবের পরিবর্তে ক্ষমতার প্রতি আগ্রহী ছিলেন এবং ফলস্বরূপ তিনি কোনটাই পান নি। "
অন্যান্য শক্তিশালী সম্পাদকদের মধ্যে "ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ানের" সিপি স্কট, "দ্য অবজার্ভারের" জেমস লুই গারভিন এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন "দ্য নেশন-" এর হেনরি উইলিয়াম ম্যাসিংহাম অন্তর্ভুক্ত ছিল।
"বেঙ্গল গেজেট" নামে জেমস অগাস্টাস হিকি সম্পাদকের অধীনে ভারতের প্রথম পত্রিকা ১৭৮০ সালে প্রচারিত হয়েছিল। ৩০ মে, ১৮২৬ "খ্রিস্টাব্দে" কেলকাট্টা (বর্তমানে কলকাতা) থেকে প্রতি মঙ্গলবার পণ্ডিত যুগল কিশোর শুক্লা কর্তৃক প্রকাশিত ভারতের প্রথম হিন্দি ভাষার সংবাদপত্র হল "উদন্ত মার্টান্ড" (দ্য রাইজিং সান)। মাওলালী মুহাম্মদ বাকির ১৮৩৬ সালে প্রথম উর্দু ভাষার সংবাদপত্র "উর্দু আখবর" প্রতিষ্ঠা করেন। ইংলিশ রবার্ট নাইট (১৮২৫-১৮৯০) দুটি গুরুত্বপূর্ণ ইংরেজি ভাষার সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা বিস্তৃত ভারতীয় পাঠকের কাছে পৌঁছেছিল, "টাইমস অফ ইন্ডিয়া" এবং "দ্য স্টেটসম্যান"। উভয়ই ভারতে জাতীয়তাবাদের প্রচার করত, নাইট জনগণকে সংবাদমাধ্যমের ক্ষমতার সাথে এবং রাজনৈতিক বিষয় এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল।
রেডিও সম্প্রচারের ইতিহাস ১৯২০-এর দশকে শুরু হয়, এবং ১৯৩০ এবং ১৯৪০-এর দশকে তার শীর্ষে পৌঁছেছিল। পরীক্ষামূলক টেলিভিশন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেই এসেছিল, কিন্তু ১৯৪০ এর দশকের শেষের দিকে কার্যকর হয় এবং ১৯৫০ ও ১৯৬০ এর দশকে ব্যাপক আকারে পরিণত হয়েছিল, কিন্তু রেডিওকে পুরোপুরি স্থানান্তরিত করতে পারে নি।
ইন্টারনেটের দ্রুত বর্ধমান প্রভাব, বিশেষত ২০০০ সালের পরে, "নিখরচায়" সংবাদ এবং পাঠকদের কাছে শ্রেণিবদ্ধ বিজ্ঞাপন এনেছে। ইন্টারনেটের সংবাদ ও বিজ্ঞাপন পেতে সদস্যতার প্রয়োজন পড়ে না। ইন্টারনেট সংবাদপত্র ব্যবসায় ধস নামায়। পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ছোট সংবাদপত্রগুলি দেউলিয়া হতে শুরু করে, এমনটি "রকি মাউন্টেন নিউজ" (ডেনভার), "শিকাগো ট্রিবিউন" -এর মত অনেক বড় কাগজও মুখ থুবড়ে পড়ে।
|
947981
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947981
|
বানৌজা দুর্জয়
|
বানৌজা দুর্জয়
বানৌজা দুর্জয় নামে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে দুটি জাহাজ যুক্ত হয়েছে।
|
947985
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947985
|
বানৌজা দুর্জয় (১৯৮৫)
|
বানৌজা দুর্জয় (১৯৮৫)
বানৌজা দুর্জয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাইপ ০৩৭ শ্রেনীর ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী জাহাজ। ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত ছিল।
বানৌজা দুর্জয় ১৯৮৫ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। ১৯৯৫ সালে জাহাজটি মেরামত অযোগ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং পরবর্তীতে তাকে অবসরে পাঠানো হয়। জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে নয় বছর পরিসেবা প্রদান করেছে।
জাহাজটিতে প্রাথমিক যুদ্ধ সরঞ্জাম হিসেবে দুটি টুইন ৫৭ মিমি ৭০-ক্যাল ৭৬ ডিপি টাইপের বন্দুক এবং দুটি টুইন ২৫ মিমি ৬০ ক্যাল ৬১ টাইপের বন্দুক বহন করে। এ ছাড়াও, জাহাজটি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধ মিশনগুলো পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন অস্ত্র বহন করেন। চারটি আরবিইউ-১২০০ (টাইপ-৮১) (৫ ব্যারেল) ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেট, দুটি বিএমবি-২ ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী মর্টার, ২০ মিটার গভীর চার্জসহ দুটি ডিপ্থ চার্জ রেইল ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী সরঞ্জাম।
|
947991
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947991
|
রিচার্ড উইলবার
|
রিচার্ড উইলবার
রিচার্ড পুর্ডি উইলবার (১ মার্চ ১৯২১ - ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭) একজন আমেরিকান কবি এবং সাহিত্য অনুবাদক ছিলেন। ১৯৮৭ সালে তিনি লাইব্রেরি অফ কংগ্রেসে কবিতার দ্বিতীয় কবি পরামর্শক নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৭ এবং ১৯৮৯ সালে দু'বার কবিতার জন্য পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছিলেন।
উইলবার, ১৯২১ সালের ১ লা মার্চ নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন এবং নিউ জার্সির নর্থ ক্যালডওলে বেড়ে ওঠেন। তিনি ১৯৩৮ সালে মন্টক্লেয়ার হাই স্কুল থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন, শুরুতে যেখানে তিনি একটি পত্রিকায় কাজ করেন। এরপর তিনি ১৯৪২ সালে আমহার্স্ট কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে উইলবার, ওয়েলেসলি কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে শুরু করেন, এরপর তিনি দুই দশক ধরে ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি এবং এক দশক স্মিথ কলেজে অধ্যাপনা করেন। ওয়েসলিয়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের কবিতা সিরিজ লেখার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি কবিতার জন্য দুটি পুলিৎজার পুরস্কার লাভ করেছিলেন। ২০০৯ সালের শেষের দিকে তিনি এমহার্স্ট কলেজে অধ্যাপনা করেছিলেন। এরপর তিনি আমহার্স্ট কলেজ ভিত্তিক সাহিত্য পত্রিকা "দ্য কমন-" এর সম্পাদকীয় বোর্ডে দায়ীত্ব পালন করেন।
মাত্র ৮ বছর বয়স, উইলবার "জন মার্টিনের ম্যাগাজিনে" তার প্রথম কবিতা প্রকাশ করেছিলেন। তার প্রথম বই ""দ্য বিউটিফুল চেঞ্জস অ্যান্ড আদার পেয়েমস"" প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। তারপরে তিনি "নিউ এন্ড কালেক্ট পেয়েমস" (ফ্যাবার, ১৯৮৯) সহ বেশ কয়েকটি কবিতা প্রকাশ করেছিলেন। উইলবার একজন অনুবাদকও ছিলেন, তিনি ১৭তম শতাব্দীর মোলিয়ার ফ্রেঞ্চ কৌতুক এবং জ্যঁ রাসিনের নাটকগুলিতে অনুবাদ করেছিলেন। তার প্রমিত ইংরেজি সংস্করণে অনুবাদিত "তার্টুফ" নাটকটি দুবার টেলিভিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে ( যা ১৯৭৮ সালের একটি প্রযোজনা ডিভিডিতে পাওয়া যায়)। উইলবার শিশুদের জন্য "অপোসাইটস", "মোর অপপোজিটস" এবং "দ্য ডিসপারিং অ্যালফাবেট" সহ বেশ কিছু বই প্রকাশ করেছিলেন।
ঐতিহ্যকে অব্যাহত রেখে উইলবার, রবার্ট ফ্রস্ট এবং ডাব্লুএইচ ওডেনের কবিতাগুলোকে চমকপ্রদ ভাবে অনুবাদ করে ফুটিয়ে তুলতে পাদর্শী ছিলেন।
গান রচনাযর ক্ষেত্রে উইলবারের পরিচিতি খুবই কম তবে, তিনি লিওনার্ড বার্নস্টেইনের ১৯৫৬ সালের মিউজিকাল "ক্যান্ডাইডে" কয়েকটি গানের সুর দিয়েছিলেন, যার মধ্যে রেয়েছে বিখ্যাত "গ্লিটার এন্ড বি গে" এবং "মেক আওয়ার গার্ডেন গ্রো"। তিনি "দ্য উইং" এবং "টু বিট্রিস" সহ বেশ কয়েকটি অপ্রকাশিত রচনাও প্রযোজনা করেছিলেন।
তার গৃহীত অসংখ্য সন্মাননার মধ্যে দ্য মিসানথ্রোপ অনুবাদের জন্য ১৯৮৩ সালে "ড্রামা ডেস্ক" কর্তৃক বিশেষ পুরস্কার এবং "পেন অনুবাদ পুরস্কার", "থিংকস অফ দ্যা ওয়াল্ড (১৯৫৬)" কবিতা জন্য পুলিৎজার পুরস্কার এবং "ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড" অন্যতম। এছাড়া "এডনা সেন্ট ভিনসেন্ট মিলে" পুরস্কার, "বলিঞ্জেন" পুরস্কার এবং শেভালিয়ার, "অর্ড্রে ডেস পামেস অ্যাকাদেমিক্স" অন্যতম।
উইলবার, ১৯৫৯ সালে আমেরিকান একাডেমি অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৮৭ সালে "রবার্ট পেন ওয়ারেনের" পরে উইলবার দ্বিতীয় কবি নির্বাচিত হন, তিনি দ্বিতীয় কবি পদ পাওয়ার পরে এই পদটির নাম "কবিতা পরামর্শক" থেকে পরিবর্তনের পরে <nowiki>মার্কিন কবি লরিয়েট</nowiki> নামকরণ করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি মডার্ন আমেরিকান কবিতার জন্য <nowiki>আইকন টেলর পুরস্কার</nowiki> পেয়েছিলেন এবং ১৯৮৯ সালে তিনি তার "নিউ এন্ড কালেক্ট কবিতার" জন্য দ্বিতীয় বার পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছিলেন।
১৯৯৪ সালের ১৪ ই অক্টোবর তিনি রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটনের কাছ থেকে জাতীয় চারুকলা পদক লাভ করেন। তিনি ১৯৯৪ সালে অনুবাদ করার জন্য পিইএন/রাল্ফ ম্যানহিম পদকও পেয়েছিলেন। ২০০৩ সালে উইলবার আমেরিকান থিয়েটার হল অফ ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনি রুথ লিলি কবিতা পুরস্কার লাভ করেছিলেন।এরপর ২০১০ সালে তিনি পিয়েরে কর্নেলির "থিয়েটার অফ ইলিউশন" অনুবাদ করার জন্য জাতীয় অনুবাদ পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০১২ সালে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় উইলবারকে সম্মানসূচক "ডক্টর অফ লেটারস" দিয়েছিল।
উইলবার, ২০১৭ সালের ১৪ ই অক্টোবর ম্যাসাচুসেটস বেলমন্টের একটি নার্সিংহোমে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
জীবদ্দশায় উইলবার তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে:
|
948002
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948002
|
পাতিয়ালা রাজ্য
|
পাতিয়ালা রাজ্য
পাতিয়ালা রাজ্য ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের একটি স্বশাসিত দেশীয় রাজ্য। এবং এটি ছিল ফুলকিয়ান রাজ্য সমূহের একটি, যেটি ভারতের স্বাধীনতা ও বিভাজনের সময় ভারতের ইউনিয়নে যোগদানে সম্মত হয়।
রাজ্যের নামটি তার প্রধান শহর এবং রাজধানী "পাতিয়ালা"র নাম থেকে এসেছে, যা আবার মূল শব্দ "পতি" এবং "আলা" থেকে এসেছে। প্রথমটি হচ্ছে উর্দু "ভূমির টুকরো" এবং "আলা" শব্দটি পাতিয়ালা রাজ্য ও শহরের প্রতিষ্ঠাতা আলা সিং এর নাম থেকে এসেছে, যার মানে হচ্ছে "আলা সিং এর দেশ"।
মহারাজার কার্যালয় আলা সিং এর বংশধরদের মধ্যে বংশানুক্রমিকভাবে চালাচ্ছিল যতক্ষণ না রাজবংশের শিখ পূর্বপুরুষ ফুল পাতিয়ালা, জিন্দ এবং নাভা শাসন করতে আসেন।
পাতিয়ালা রাজ্যের ইতিহাস শিখ পাতিয়ালা রাজকীয় বাড়ির পূর্বপুরুষ, মোহন সিং প্রতিবেশী ভুল্লার এবং ঢালিওয়াল কৃষকদের দ্বারা হয়রানি দিয়ে শুরু হয়। তারা মোহনকে সেখানে বসতি স্থাপন করতে দিত না। মোহন গুরু হরগোবিন্দ সাহেবের অনুগামী ছিলেন এবং গুরু মোহনের পক্ষে আবেদন করেন। কিন্তু এতে কোন লাভ হয়নি। এর ফলাফল গড়ায় একটি সশস্ত্র সংগ্রামে। এরপর ভুলার এবং ঢালিওয়াল গুরু দের দ্বারা পরাজিত হয়। এর ফলে মোহন ১৬২৭ সালে মেহরাজ গ্রাম প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি পায়।
গুরু হরগোবিন্দ সাহিবের পক্ষে মোহন সিং ১৬৩১ সালে মুঘলদের বিরুদ্ধে মেহরাজে যুদ্ধ করেন। মোহন সিং এবং তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রূপ চাঁদ পরে ভাট্টির (একটি উপজাতি যারা জয়সলমীরের রাওয়াল জয়সালের বংশধর, কিন্তু ফুলকিয়ানদের শত্রু) বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধে নিহত হয়। মোহনের ছোট ছেলে কালা "চৌধ্রীয়াতের" স্থলাভিষিক্ত হন, এবং রূপ চাঁদের ছেলে ফুল ও চন্দনীর অভিভাবক হন।
কালা সিধু মারা গেলে ফুল ১৬৬৩ সালে মেহরাজ থেকে পাঁচ মাইল দূরে (শিখ গুরুর আশীর্বাদের অধীনে) তার নিজের গ্রাম (ফুল নামে) গঠন করেন। নাভা এবং জিন্দ ধার্মিক শিখ ফুলের কাছে তাদের বংশ পরিচয় খুঁজে পান। এটি ছিল পাঞ্জাবে গঠিত প্রথম শিখ রাজ্যগুলোর অন্যতম। আপাতদৃষ্টিতে প্রতিষ্ঠাতা এক হওয়ার কারণে "ফুলকিয়ান" রাজবংশের আবেদন তৈরী হয়েছিল। তাঁর এক পুত্র "ছোটা রাম" গুরু গোবিন্দ সিং এর থেকে দীক্ষা ও আশীর্বাদ নিয়েছিলেন। ১৭১৪ সালে যখন বান্দা বাহাদুর মুঘলদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ যুদ্ধে নিয়োজিত ছিলেন তখন তার পুত্র আলা সিং নেতৃত্ব গ্রহণ করেন । আলা সিং এর দূরদর্শী ও সাহসী সেনাপতি গুরবকশ সিং কালেকা, ৩০টি গ্রামের জমিদারি থেকে নিয়ে একটি স্বাধীন প্রিন্সিপালিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার উত্তরসূরিদের অধীনে, এটি প্রসারিত হয়ে একটি বৃহৎ রাজ্যে পরিণত হয়। যা উত্তরে শিবলিক, দক্ষিণে রাজস্থান এবং যমুনা ও সুতলেজ নদীর উজান স্পর্শ করে। একারণে তিনি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে, বাবা আলা সিং তার সমসাময়িক অনেকের মতো মারাঠা ও আফগানদের সাথে মোকাবেলা করার প্রচুর দক্ষতা প্রদর্শন করেন। এবং সফলভাবে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্রটির কেন্দ্র বার্নালা থেকে গড়ে তুলতে শুরু করেন। তিনি শিখদের কাছে বিশ্বাসঘাতক হয়ে ওঠেন, যারা তাকে একজন চাষী থেকে সর্দার করেছিলেন। তিনি শিখদের বিরুদ্ধে আহমেদ শাহ আবদালির পক্ষে যুদ্ধ করেন।
১৭৬৩ সালে বাবা আলা সিং ক্বিলা মুবারক নামে পরিচিত পাতিয়ালা দুর্গের ভিত্তি স্থাপন করেন। এর চারপাশে বর্তমান পাতিয়ালা শহরের বিকাশ ঘটে। ১৭৬১ সালে তৃতীয় পাণিপথের যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হয়। এরপরই পাঞ্জাব জুড়ে আফগানদের বিজয়ের ঘোষণা ছড়িয়ে পরে। এই পর্যায়ে পাতিয়ালার শাসকরা রাজটিকা অর্জন করতে শুরু করেন। আহমেদ শাহ আবদালি আলা সিংকে পশম ও ব্যানার অর্পণ করেন, এবং পাতিয়ালার মহারাজা উপাধি প্রদান করেন। তার মৃত্যুর পর, তার নাতি অমর সিং রাজ ক্ষমতায় আসেন এবং রাজা-ই-রাজান উপাধি লাভ করেন।
মারাঠা ও আফগানদের সাথে চল্লিশ বছর নিরবচ্ছিন্ন লড়াইয়ের পর পাতিয়ালা রাজ্যের সীমানার উত্তরে রঞ্জিত সিং এবং পূর্বে ব্রিটিশদের হঠকারিতা প্রত্যক্ষ করে। বেঁচে থাকার সহজাত প্রবণতা থেকে এবং আত্মরক্ষার্থে পাতিয়ালার রাজা রঞ্জিত সিং এর বিরুদ্ধে ১৮০৮ সালে ব্রিটিশদের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হন। এইভাবে তিনিও ভারত উপমহাদেশে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য নির্মাণ প্রক্রিয়ায় সহযোগী হয়ে ওঠেন। পাতিয়ালার পরবর্তী শাসকরা, যেমন- করম সিং, নরিন্দর সিং, মহেন্দ্র সিং, রাজিন্দর সিং, ভূপিন্দর সিং, এবং যাদবীন্দ্র সিং একটি জোট গঠন করেছিল। তারা ব্রিটিশদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিল, কিন্তু এ রাজ্যগুলোর অভ্যন্তরীণ সরকার বজায় থাকে।
মহারাজা ভূপিন্দর সিং ১৯০০ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত রাজত্ব করেন। তিনি পাতিয়ালাকে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্র এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট স্থান করে দেন। পোলো খেলায় পাতিয়ালার ছিল বিশ্বের সেরা পোলো ব্যাক। যার নাম ছিল জেনারেল চন্দা সিং। চন্দা পরবর্তীতে রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড এবং স্পেনের রাজা আলফোনসোর অনুরোধে ইংল্যান্ড ও স্পেনের হয়ে খেলেন। উভয় রাজার জন্যই তিনি মর্যাদাপূর্ণ পোলো কাপ জিতেছিলেন। এছাড়াও মহারাজা কুকুর ভালবাসতেন। তিনি এবং জিন্দের মহারাজা রণবীর সিং বিভিন্ন প্রজাতির কুকুরের প্রতি সমানভাবে আগ্রহী ছিলেন। তাঁর পুত্র মহারাজা যাদবেন্দ্র সিং প্রথম ভারতীয় যুবরাজ হিসেবে ভারতের নতুন ইউনিয়নে প্রবেশাধিকারের চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এইভাবে ভারত বিভাগের পর জাতীয় একীকরণ প্রক্রিয়া এবং ১৯৪৭ সালের আগস্টে ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর জাতীয় একীকরণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। তার কর্মের স্বীকৃতি স্বরূপ, তিনি ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার সময় থেকে ১৯৫৬ সালে পাঞ্জাব প্রদেশের সাথে একত্রীকরণ পর্যন্ত নবপ্রতিষ্ঠিত পাতিয়ালা এবং পূর্ব পাঞ্জাব রাজ্য ইউনিয়নের (পেপসু) রাজপ্রমুখ হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। পাতিয়ালার কেন্দ্রস্থল এলাকাকে বলা হয় "আদালাত বাজার", যার মানে 'কোর্ট করিডোর'। মহারাজা ভূপিন্দর সিং যুবক বয়সে পৌঁছানোর আগেই এটি একজন তত্ত্বাবধায়ক শাসক দ্বারা প্রশাসনিক ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত। রাজমাতা মহিন্দর কৌর ২০১৭ পর্যন্ত পরিবারের প্রবীণতম সদস্য ছিলেন। পরিবারের বর্তমান প্রধান পাঞ্জাবের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।
|
948008
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948008
|
ফ্রেঙ্কেল ত্রুটি
|
ফ্রেঙ্কেল ত্রুটি
ফ্রেঙ্কেল ত্রুটি বা স্থানচ্যুতি ত্রুটি হল কেলাসিত কঠিন পদার্থের এক প্রকার বিন্দু ত্রুটি। আবিষ্কারক ইয়াকভ ফ্রেঙ্কেল এর নামানুসারে এটির নামকরণ করা হয়। যখন একটি পরমাণু বা ক্ষুদ্র আয়ন (সাধারণত ক্যাটায়ন) ল্যাটিসে নিজের স্থান ত্যাগ করে, পার্শ্ববর্তী কোন স্থানে অন্তর্নিহিত কণা হিসেবে প্রবেশ করে, তখন সেই স্থানে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়। প্রাথমিক ভাবে কণা বিকিরণ এর সময় এই ত্রুটিগুলোর উৎপত্তি হয়। এদের গঠন এনথালপি সাধারণত অন্যান্য বিন্দু ত্রুটির (যেমনঃ শূন্যতা ত্রুটি) চেয়ে বেশি হওয়ায়, বোল্টযম্যান বণ্টন পদ্ধতি অনুসারে এদের সাম্যবস্থায় ঘনত্ব শনাক্তকরণ সীমার নিচে থাকে। আয়নিক কেলাসে, যেখানে সাধারণত কমসংখ্যক সমন্বয় সংখ্যা থাকে বা আয়নগুলোর আকারে বেশ তারতম্য থাকে এবং ক্ষুদ্র আয়নগুলো (সাধারণত ক্যাটায়ন) স্থানচ্যুত হয়ে থাকে, সেখানে এই ত্রুটিটি স্বতঃস্ফূর্তভাবে তৈরি হতে পারে।
ফ্রেঙ্কেল ত্রুটি শুধুমাত্র কেলাসের অভ্যন্তরে আয়নগুলোর স্থানান্তরের সাথে সম্পর্কিত হলেও, বিশেষ করে ঘনিষ্ঠভাবে আবদ্ধ কেলাস ব্যবস্থায় পদার্থের মোট আয়তন ও ঘনত্ব সংরক্ষিত বা অপরিবর্তিত থাকেনা। অন্তর্নিহিত কণার কারণে যে ল্যাটিস সম্প্রসারণের উৎপত্তি হয়, তা শূন্যতার কারণে উৎপন্ন ল্যাটিস সংকোচনের চেয়ে বেশি প্রভাবশালী হওয়ায় মোট ঘনত্ব হ্রাস পায়।
যেসব আয়নিক কঠিন পদার্থে অ্যানায়ন ও ক্যাটায়নের মধ্যে বিশাল আকারের পার্থক্য থাকে ( সাধারণত কার্যকরী পারমাণবিক চার্জ এর জন্য ক্যাটায়নের আকারই ছোট হয়ে থাকে) সেসব পদার্থে ফ্রেঙ্কেল ত্রুটি দেখা যায়।
ফ্রেঙ্কেল ত্রুটি পাওয়া যায় এমন কিছু কঠিন পদার্থের উদাহরণ:
Zn এবং Ag আয়নের অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের কারণে এগুলো হয়ে থাকে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরা যাক একটি ল্যাটিস X এবং M আয়ন দ্বারা গঠিত। মনে করি, M আয়ন M সাবল্যাটিস ত্যাগ করে এবং X সাবল্যাটিস অপরিবর্তিত থাকে। তবে অন্তর্নিহিত কণা গঠনের পরিমাণ এবং শূন্যস্থানের পরিমাণ সমান থাকবে।
MgO যৌগে এক প্রকারের ফ্রেঙ্কেল ত্রুটির সূচনা হয় যখন অক্সাইড অ্যানায়ন ল্যাটিস ত্যাগ করে এবং অন্য কোন অন্তর্নিহিত স্থানে যায়। লেখা আছেঃ Kröger–Vink notation:
সোডিয়াম ক্লোরাইডের কেলাসিত গঠনের সাহায্যে এটিকে চিত্রায়িত করা যায়। নিম্নে দ্বিমাত্রিক বিন্যাসিত চিত্রের মাধ্যমে তা উপস্থাপনা করা হয়েছে।
|
948017
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948017
|
ললিত মাকেন
|
ললিত মাকেন
ললিত মাকেন ছিলেন একজন সংসদ সদস্য। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক নেতা এবং শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা ছিলেন। তিনি ভারতের প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শঙ্কর দয়াল শর্মার জামাই।।
১৯৮৪ সালে তিনি ভারতের দক্ষিণ দিল্লি থেকে ভারতের সংসদের প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত নিম্ন সংসদ থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে লোকসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ভারতের সংসদ নির্বাচনের আগে মহানগর কাউন্সিলর ছিলেন।
শিখ মার্ডার্স ১ ' হু আর দ্য গিলিটি ' শীর্ষক ৩১ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকায়, পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ (পিইউসিএল) ২২৭ জন লোককে তালিকাভুক্ত করেছিল যারা এই জনতার নেতৃত্বে ছিলেন তারা তিন দিনের মধ্যে ১৭,০০০ জন শিখকে হত্যা করেছিল। তালিকায় তৃতীয় স্থানে ছিল ললিত মাকেনের নাম। এই অভিযোগ যদিও কখনও প্রমাণিত হয় নি।
১৯৮৫ সালের ৩১শে জুলাই মাকেন এবং তার স্ত্রী রাষ্ট্রপতি শঙ্কর দয়াল শর্মার কন্যা গীতাঞ্জলিকে পশ্চিম দিল্লিরর কীর্তি নগরে তাদের বাড়ির বাইরে হরজিন্দর সিং জিন্দা, সুখদেব সিং সুখা এবং রঞ্জিত সিং গিল ওরফে কুুু্ক্কি গুলি করে হত্যা করেছিলেন কীর্তি নগরে তাঁর বাাড়ির কাছে দাঙ্গায় যুক্ত থাকার কারণে।ললিত মাকেন যখন নয়াদিল্লির কীর্তি নগরে বাড়ি থেকে রাস্তার পাশে পার্কিং করা গাড়িটির দিকে যাচ্ছিলেন তখন তাকে গুলি করা হয়।তিনজন হামলাকারীই গুলি চালিয়ে যেতে থাকে তখন মাকেন তার বাড়ির দিকে ছুটতে থাকেন। মাকনের স্ত্রী গীতাঞ্জলি এবং একজন দর্শনার্থী বালকিশানও এইসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে যান। গীতাঞ্জলি দেবীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। হামলাকারীরা তাদের স্কুটারে পালিয়ে যায়। ললিত মাকেন, গীতাঞ্জলি মাকেন এবং বালকিশনকে নয়া দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সে নেওয়া হয়েছিল। টিডি ডোগরার নেতৃত্বে চিকিৎসকদের একটি দল পোস্টমর্টেম পরীক্ষা করেছিল।
পরে পুলিশ ১৯৮৬ সালে সুখদেব সিং সুখাকে এবং ১৯৮৭ সালে হরজিন্দর সিং জিন্দাকে গ্রেপ্তার করে। পরে উভয়কেই ভারতীয় সেনা জেনারেল অরুণ শ্রীধর বৈদ্য ( অপারেশন ব্লু স্টারের স্থপতি) হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর তাদের ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের পুনের ইয়ারওয়াদা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় অনুরোধ অনুসারে রঞ্জিত সিং গিলকে ইন্টারপোল কর্তৃক আমেরিকার নিউ জার্সিতে ১৯৮৭ সালের ১৪ মে গ্রেপ্তার হয়েছিল। একজন ফেডারেল ম্যাজিস্ট্রেট ১৯৮৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার প্রত্যর্পণের অনুমোদন দেন তিনি দেশে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করার পরে (অনুরোধটি পূর্বে তিন বার প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল) এবং দীর্ঘ আইনী মামলার পরে ২০০০সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল এবং ২০০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দণ্ডিত করা হয়েছিল। অবশেষে ২০ শে মে ২০০৯ এ তার যাবজ্জীবন সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ভারত সরকারের প্রাক্তন যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অজয় মাকেন তাঁর ভাগ্নে। তাঁর একমাত্র সন্তান (কন্যা) অবন্তিকা মাকেন ১৯৯৭ সালে সুচিতর শর্মাকে বিয়ে করেছিলেন। পরে তিনি বিবাহবিচ্ছেদ দায়ের করেন এবং ২০০৫ সালে বিয়ে করেন ভারতীয় যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি এবং সংসদ সদস্য অশোক তানওয়ারকে ।
অজয় মাকেন এবং অবন্তিকা মাকেন উভয়ই ললিত মাকনের ঘাতক রঞ্জিত সিং গিল ওরফে মুক্তির জন্য অনুরোধ করেছিলেন।
|
948022
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948022
|
লরেন্স ওয়াইসক্রানৎজ
|
লরেন্স ওয়াইসক্রানৎজ
লরেন্স ওয়াইসক্রানৎজ (২৮ মার্চ ১৯২৬ - ২৭ জানুয়ারী ২০১৮) একজন ব্রিটিশ স্নায়ু-মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। অন্যদৃষ্টির ঘটনা আবিষ্কার এবং আবেগিক শিক্ষা ও আবেগিক আচরণে অ্যামিগডালার ভূমিকা প্রতিষ্ঠার কৃতিত্ব অবশ্যই ওয়াইসক্রানৎজকে দিতে হয়। অন্যদৃষ্টি হলো একপ্রকার কর্টিক্যাল অন্ধত্ব। মস্তিষ্কের কর্টিক্সে কোনো প্রকার ক্ষত বা ত্রুটির কারণে এটি হয়ে থাকে। অন্যদৃষ্টিতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণ অর্থে অন্ধ নয়, এমনকি তারা উপস্থাপিত বস্তু সঠিকভাবে সনাক্ত করতে পারে, নির্দেশ করতে পারে এবং এমনকি একাধিক বস্তুর মধ্যে তুলনা ও পার্থক্যও করতে পারে।
ওয়াইসক্রানৎজের বয়স যখন ছয় বছর তখন তার পিতার মৃত্যু হয়, ফলস্বরূপ তাকে পড়াশোনা করতে হয়েছিলো জিরার্ড কলেজ নামক ফিলাডেলফিয়ার একটি বোর্ডিং স্কুলে। জিরার্ড কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষ করার পরে তিনি সোয়ার্থমোর কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। স্নাতক শেষ করার অল্প সময় আগেই তাকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাথরউড ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছিল।
ওয়াইসক্রানৎজ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক হয়েছিলেন, ১৯৯৩ সালে অবসর গ্রহণের আগে পর্যন্ত তিনি সেখানে একজন পূর্ণকালীন অধ্যাপক অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং ম্যাগডালেন কলেজের ইমেরিটাস ফেলো হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রুশ স্নায়ুমনোবিজ্ঞানী আলেকজান্ডার লুরিয়ার লেখালেখি এবং গবেষণার প্রতি জীবনভর অনুরাগ ছিল ওয়াইসক্রানৎজের। তিনি লুরিয়ার সাথে সাক্ষাৎও করেছিলেন এবং বন্ধু বানিয়ে নিয়েছিলেন তাকে, লুরিয়া তখনও গবেষণায় নিযুক্ত ছিলো। ১৯৭৭ সালে লুরিয়ার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দুজনই সহকর্মী ছিলেন। ১৯৫০-এর দশকে ওয়াইসক্রানৎজ ক্লুভার-বুকি সিন্ড্রোমের অনিয়মিত সংবেদনশীল আচরণের জন্য দায়ী টেম্পোরাল লোবের অঞ্চলটি বর্ণনা করেছিলেন। ১৯৩০ সাল থেকে এটি একটি ঘটনা যা আবেগের লিম্বিক মস্তিষ্ক অনুমানের অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তোলে। যদিও এই হাইপোথিসিসটি তার দাবির সাথে মিল ছিল না, ওয়াইসক্রানৎজ ক্লুভার-বুকি সিনড্রোমের জন্য দায়ী অস্থায়ী কাঠামোর পরিচয় দিতে ক্ষতপ্রাপ্ত প্রাণীদের মধ্যে উপকরণের ভয় শর্তের ব্যবহার করেছিলেন। যখন থেকে অ্যামিগডালা আবেগের বৈজ্ঞানিক বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছিল। ওয়াইসক্রানৎজ সাধারণত ঘটনাটি আবিষ্কৃত থাকার কৃতিত্ব দিতে হয়। ১৯৮৬ সালে অন্ধত্ব বিষয় উপর তার বই প্রকাশ হয়েছিল। যেখানে এটি একটি স্কোটোমাতে উপস্থাপিত একটি উদ্দীপকটির স্বেচ্ছাসেবক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিক্রিয়া দেখাইছিলেন।
তিনি তার জীবনে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব পালন করেছেন ও যেসব কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট ছিলেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
অ্যালান কাওয়ে, চার্লস গ্রস, নিকোলাস হামফ্রে, সুসান ইভারসেন এবং মেলভিন এ গুডালাসহ কমপক্ষে ১০ জন পিএইচডির তদারকি করেছেন ওয়াইসক্রানৎজ।
১৯৮০ সালে ওয়াইসক্রানৎজ রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তিনি সোসাইটির পরিষদে ছিলেন। তিনি "ইউএস ন্যাশনাল একাডেমি অভ সায়েন্সেস" এবং "একাডেমিয়া ইউরোপিয়া"র সদস্য ছিলেন। ওয়াইসক্রানৎজ ফিসেন ফাউন্ডেশনের পরিষদেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ওয়াইসক্রানৎজ ছিলেন "রয়েল সোসাইটি অভ মেডিসিন" এবং "আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন ফর অ্যাডভান্সমেন্ট অভ সায়েন্স"' পদকপ্রাপ্ত। তিনি বাভারিও একাডেমি অভ সায়েন্সেস/সাইমেন্স ফাউন্ডেশনের হাইজেনবার্গ বক্তৃতা এবং রয়েল সোসাইটির ফেরিয়ার বক্তৃতা প্রদান করেছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি নেদারল্যান্ডসের টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেছিলেন।
|
948029
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948029
|
সম্ভাব্যতার ইতিহাস
|
সম্ভাব্যতার ইতিহাস
সম্ভাব্যতার দুইটি ক্ষেত্র রয়েছে: একদিকে অনুমানের সম্ভাবনা তাদের প্রমাণ প্রদান করে থাকে এবং অন্যদিকে পাশা অথবা মুদ্রা নিক্ষেপের মত দৈব প্রক্রিয়া পদ্ধতির ব্যবহার করে থাকে। পূর্বের বিষয়ের অধ্যয়ন ঐতিহাসিকভাবে অধিক পুরাতন, উদাহরনস্বরূপ, প্রমাণ আইন, যা ১৬তম ও ১৭তম শতাব্দীর মধ্যে কার্দানো, পাস্কাল এবং ফের্মার কাজের মাধ্যমে পাশার গাণিতিক পদ্ধতির শুরু হয়।
সম্ভাব্যতা ও পরিসংখ্যানের মাঝে পৃথক বৈশিষ্ট্য রয়েছে; দেখুন পরিসংখ্যানের ইতিহাস। যেখানে পরিসংখ্যান বিভিন্ন উপাত্ত ও এর থেকে অনুমিত তথ্য নিয়ে কাজ করে, সেখানে সম্ভাব্যতা দৈব প্রক্রিয়া (অনির্দিষ্ট) নিয়ে কাজ করে যা উপাত্ত অথবা ফলাফলের উপর নির্ভর করে।
বিভিন্ন আধুনিক ভাষায় ব্যবহৃত সম্ভাব্য (প্রবাবল), সম্ভাব্যতা (প্রবাবিলিটি) এবং তাদের সমপ্রকৃতির শব্দ মধ্যযুগীয় ল্যাটিন প্রবাবিলিস হতে উদ্ভূত যা আবার সিসারো হতে উদ্ভূত হয়েছে এবং বিশ্বাসযোগ্যতা অথবা সাধারন অনুমোদন বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সম্ভাব্যতা (প্রবাবিলিটি) শব্দটি প্রাচীন ফরাসি শব্দ প্রবাবিলাইট (১৪শ শতাব্দী) এবং ল্যাটিন প্রবাবিলিট্যাটেম (প্রবাবিলিটাস সম্বন্ধনীয়) থেকে এসেছে যার অর্থ "বিশ্বাসযোগ্যতা, সম্ভাব্যতা" এবং এটি আবার প্রবাবিলিস (দেখুন প্রবাবল) থেকে এসেছে। ১৭১৮ সাল থেকে এই শব্দটির গাণিতিক রূপ সৃষ্টি হয়েছে। ১৮শ শতাব্দীতে সুযোগ শব্দটিও "সম্ভাব্যতার" গাণিতিক রূপ হিসেবে ব্যবহৃত হত (এবং সম্ভাব্যতার থিওরিকে সুযোগের মতবাদ বলা হত)। এই শব্দটি প্রকৃতপক্ষে ল্যাটিন ক্যাডেনসিয়া থেকে এসেছে যার অর্থ "পড়ে যাওয়া বা ঘটনা ঘটা"। ইংরেজি বিশেষণ লাইকলি (সম্ভবত) এর মূল জার্মান ভাষা থেকে আগত এবং এটি খুব সম্ভবত প্রাচীন নরওরের "likligr" (প্রাচীন ইংরেজিতে একই রূপের কিছু "geliclic" ছিল) থেকে আগত যার প্রকৃত অর্থ "শক্তিশালী বা সক্ষম হবার প্রদর্শন" বা "একই রূপ বা গুণ অর্জন" এবং এগুলো "প্রবাবলি (সম্ভবত)" শব্দের অর্থ হিসেবে ১৫শ শতাব্দীর মাঝামাঝি নথিভুক্ত করা হয়। উদ্ভূত প্রবাবলি (সম্ভবত) বিশেষ্যটির অর্থ ছিল "সাদৃশ্য বা প্রতিচ্ছায়া" কিন্তু ১৫শ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এর অর্থ হয় "সম্ভাব্যতা"। ১৫৭০ থেকে আবার এর অর্থ "সম্ভবত সত্যের মত" হয়।
৮ম ও ১৩শ শতাব্দীর মধ্যে আরব গণিতবিদগণ তথ্যগুপ্তিবিদ্যা অধ্যয়নের সময় সম্ভাব্যতা এবং পরিসংখ্যানের ধারণা বিকশিত করেন। আল-খলিলের (৭১৭-৭৮৬) "বুক অফ ক্রিপ্টোগ্রাফিক মেসেজেস" এর মধ্যে সর্বপ্রথম বিন্যাস এবং সমাবেশের ব্যবহার ছিল যাতে তিনি স্বরবর্ণসহ এবং স্বরবর্ণছাড়া সকল আরবি শব্দের সম্ভাব্য তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। আল-কিন্দি (৮০১-৮৭৩) গুপ্তায়িত বার্তা বিগুপ্তায়িত করার জন্যে সর্বপ্রথম পরিসংখ্যান ব্যবহার করেছিলেন এবং কম্পাঙ্ক বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে বাগদাদের বাইতুল হিকমাহতে গুপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের গাণিতিক পরিভাষা বিকশিত করেছিলেন। তিনি "ম্যানুস্ক্রিপ্ট অন ডিসাইফারিং ক্রিপ্টোগ্রাফিক মেসেজেস" নামের বই রচনা করেন এবং এতে পরিসংখ্যান বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছিলেন। আল-কিন্দি গুপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ ও কম্পাঙ্ক বিশ্লেষণের জন্যে সর্বপ্রথম পরিসংখ্যান বিষয়ক অনুমিতির ব্যবহার করেছিলেন। কম্পাঙ্ক বিশ্লেষণের মাধ্যমে উপাত্তের আকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইবনে আদলানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় আইনের প্রমাণের মাধ্যমে প্রমাণের মাত্রা, সম্ভাব্যতা, অনুমান এবং অর্ধ-প্রমাণের বিষয়শ্রেণী বিকশিত হয় যা আদালতে প্রমাণের অনিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করে। রেনেসাঁর সময় "দশ থেকে এক" এর সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে বাজি ধরা হত এবং ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে উপকূলবর্তী বীমার পুরস্কার ঘোষণা করা হত কিন্তু এই সম্ভাবনা এবং পুরস্কার কীভাবে নির্ণয় করা হত এর উপর কোন মতবাদ নেই।
সর্বপ্রথম ১৫৬০ সালে (যদিও ১০০ বছরের আগে প্রকাশিত হয় নি) জিরোলামো কার্দানো সম্ভাব্যতার গাণিতিক পদ্ধতি উত্থাপন করেন এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পিয়ের দ্য ফের্মা এবং ব্লেজ পাস্কাল (১৬৫৪) সম্ভাবনার ভগ্ন খেলা সম্পর্কিত প্রশ্নের ন্যয়সঙ্গত বিভাজন করেন। ক্রিস্টিয়ান হাইগেনস (১৬৫৭) এই বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এফ.এন.ডেভিডের "গেমস, গডস এন্ড গাম্বলিং" হতে:
|
948030
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948030
|
রঘুরাম ভাট
|
রঘুরাম ভাট
এদাই রঘুরাম ভাট (; ; জন্ম: ১৬ এপ্রিল, ১৯৫৮) মহীশূর রাজ্যের পুত্তুর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, আম্পায়ার, প্রশাসক ও কোচ। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের শুরুরদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে কর্ণাটক দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার ছিলেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন রঘুরাম ভাট।
বিদ্যালয় ও কিশোর পর্যায়ের ক্রিকেটে দূর্দান্ত আধিপত্যবাদ গড়ে তুলেছিলেন রঘুরাম ভাট। কয়েকটি খেলায় ভালোমানে ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ রঞ্জী ট্রফিতে খেলার সুযোগ লাভ করেন।
১৯৭৯-৮০ মৌসুম থেকে ১৯৯২-৯৩ মৌসুম পর্যন্ত রঘুরাম ভাটের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৭৯-৮০ মৌসুমে এম. চীন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তামিলনাড়ুর বিপক্ষে কর্ণাটকের সদস্যরূপে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। বেশ ধীরলয়ে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ঐ খেলায় তিনি কেবলমাত্র একটি উইকেটের সন্ধান পান। এর পরপরই সফলতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। দেবাঙ্গেরেতে নিজস্ব ষষ্ঠ খেলায় কেরালার বিপক্ষে নয় উইকেট লাভ করেন। পাঞ্জাবের বিপক্ষে খেলায় নয় উইকেট নিয়ে কর্ণাটক দলকে সেমি-ফাইনালে নিয়ে যান।
১৯৮১-৮২ মৌসুমে বোম্বের বিপক্ষে সেমি-ফাইনালে কর্ণাটকের বিজয়ে অবিস্মরণীয় ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনের কারণে তিনি মূলতঃ স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শক্তিধর বোম্বের বিপক্ষে সুনীল গাভাস্কার টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ে নামেন।
গুলাম পার্কারকে সাথে নিয়ে গাভাস্কার উদ্বোধনী জুটিতে ৬২ রান তুলেন। ৪১ রানে গাভাস্কারকে আউট করেন। দিলীপ বেঙ্গসরকারকে ৮ রানে বিদেয় করেন। পার্কার ও সন্দ্বীপ পাতিলের মধ্যকার ১০১ রানে জুটিতে পার্কারকে এলবিডব্লিউ, অশোক মানকড়কে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের স্লিপ কট ও সুরু নায়ককে আউট করে হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন। ঐ ইনিংসে তিনি ৮/১২৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়েন। বোম্বে দল ২৭১ রানে গুটিয়ে যায়। এম. সুধাকর রাওয়ের সেঞ্চুরি ও ব্রিজেশ প্যাটেলের ৭৮ রানের কল্যাণে কর্ণাটক দল এগিয়ে যায়। নিচেরসারিতে সৈয়দ কিরমানী ও রঘুরাম বাটের ব্যাটিংয়ের ফলে কর্ণাটক ৪৭০ রান তুলে।
দ্বিতীয় ইনিংসে বেঙ্গসরকারকে আউট করেন ও সুরু নায়কের ফিরতি ক্যাচে বোম্বে দলের সংগ্রহ ১০৭/২ হয়। বি. বিজয়কৃষ্ণার সহায়তায় বোম্বের মাঝারিসারিতে ফাটল ধরলে ১৬০/৬ হয়। সুনীল গাভাস্কার ৮ নম্বরে নামেন ও ৬০ মিনিটের অধিক সময় ক্রিজে অবস্থান করে দলের সংগ্রহকে ২০০/৯ নিয়ে যান। তবে, প্রথম ইনিংসে বড় ধরনের সংগ্রহ করায় কর্ণাটক ফাইনালে যায়। খেলায় রঘুরাম বাট ১৩ উইকেট দখল করেন।
চূড়ান্ত খেলায় প্রথম ইনিংসে ৭০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করালেও দিল্লি দলের কাছে পরাজিত হয় কর্ণাটক দল। পরের মৌসুমে রঘুরাম বাট বেশ সুন্দর খেলেন। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার কারণে বোম্বে দলকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো রঞ্জী ট্রফির শিরোপা জয় করে। চূড়ান্ত খেলায় ৪ উইকেট পান। ঐ বছরে তিনি ইরানি ট্রফিতে খেলেন। খেলায় তিনি ৭ উইকেট পান। অনিন্দ্যসুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের প্রেক্ষিতে ঐ মৌসুমে জাতীয় দল নির্বাচকমণ্ডলী দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ও পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ খেলার জন্যে মনোনীত হয়।
কেবলমাত্র উপযোগী পিচের মধ্যেই তার বোলিংয়ের সফলতা বিদ্যমান ছিল। অনুকূল পরিবেশে বলকে বেশ বাঁক খাওয়াতে পারতেন ও প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট নাজেহাল করতে পারতেন। তবে, সকল ধরনের পরিবেশেই বলের উপর তার নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক নিশানায় বলকে ফেলতেন। রঞ্জী ট্রফিতে সব মিলিয়ে ৩৪৩ উইকেট পেয়েছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রঘুরাম ভাট। ৫ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে নাগপুরে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, ২১ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে কানপুরে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে সুন্দর ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে রঘুরাম ভাটকে জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু, তার আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়ী জীবন কেবলমাত্র পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে উপর্যুপরী দুই টেস্টের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
নাগপুরের বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজস্ব প্রথম টেস্টে অংশ নেন তিনি। জাভেদ মিয়াঁদাদকে আউট করে প্রথম টেস্ট সাফল্য পান। এরপর, মুদাসসর নজরের উইকেটও করায়ত্ত্ব করেন। খেলাটি ড্রয়ে পরিণত হবার পাশাপাশি সিরিজও ড্র হয়। কানপুরের গ্রীন পার্ক স্টেডিয়ামে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজস্ব দ্বিতীয় টেস্টে অংশ নেন। ক্লাইভ লয়েড ও গাস লোগি’র উইকেট পান তিনি। তবে, ঐ টেস্টটিতে স্বাগতিক দল ইনিংস ও ৮৩ রানে পরাভূত হয়। এরপর আর তাকে টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি।
কর্ণাটক দলের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি ছিলেন রঘুরাম ভাট। কর্ণাটকের বোলিং আক্রমণকার্য পরিচালনায় বি. বিজয়কৃষ্ণাকে সাথে নিয়ে অগ্রসর হতেন। রঞ্জী ট্রফিতে সব মিলিয়ে ৩৪৩ উইকেট দখল করেছিলেন। ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনাল পূর্ববর্তী খেলা শেষে অবসর নেন।
প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর তরুণ সুনীল জোশীকে কর্ণাটক দলে অন্তর্ভুক্ত করেন। আম্পায়ার, প্রশাসক ও কোচের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। জুলাই, ২০১১ সালে গোয়া ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন।
কানাড়া চলচ্চিত্র গণেশনা মাদুভেতে বামহাতে ব্যাটিংরত অবস্থায় সুনীল গাভাস্কার ও রঘুরাম ভাটের মধ্যকার ঘটনা ধারণ করা হয়।
|
948046
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948046
|
এশিয়াতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি
|
এশিয়াতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি
১৯৪৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর জাপান সাম্রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলে এশিয়াতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। আত্মসমর্পণের ঘটনাটি ইউরোপে অক্ষ বাহিনীর আত্মসমর্পণের প্রায় চার মাস পরে ঘটে এবং এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে।
২৮ নভেম্বর, ১৯৪৩
তেহরান সম্মেলন: সোভিয়েত ইউনিয়ন "জার্মানির পরাজয়ের পর" জাপানে আক্রমণ করতে সম্মত এবং দূর প্রাচ্যে সম্পদ মজুদ শুরু করে।
৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৫
ইয়ালটা সম্মেলন: সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানির আত্মসমর্পণের ৩ মাসের মধ্যে জাপানে আক্রমণ করতে রাজি হয়।
৫ এপ্রিল, ১৯৪৫
সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৪১ সালের ১৩ এপ্রিল স্বাক্ষরিত সোভিয়েত–জাপানি নিরপেক্ষতা চুক্তিটির সমালোচনা করে।
২৯ এপ্রিল, ১৯৪৫
রডল্ফো গ্রাজিয়ানির নেতৃত্বাধীন ইতালিয়ান ফ্যাসিস্ট প্রজাতন্ত্রী সেনাবাহিনী "কেসারটার সমর্পণ" -এ আত্মসমর্পণ করে।
৮ মে, ১৯৪৫
জার্মানির আত্মসমর্পণ
১৬ জুলাই, ১৯৪৫
পটসডাম সম্মেলন শুরু।
২৬ জুলাই, ১৯৪৫
পটসডাম ঘোষণা জারি করা হয়, সমস্ত জাপান সশস্ত্র বাহিনীকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়।
৩ আগস্ট, ১৯৪৫
সোভিয়েত জেনারেল ভ্যাসিলেভস্কি স্টালিনকে জানান যে ৭ আগস্ট থেকে সোভিয়েত বাহিনী আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।
৬ আগস্ট, ১৯৪৫
কর্নেল পল তিব্বেতস কর্তৃক চালিত এনোলা গে নামের একটি বিশেষ বি-২৯ শক্তিশালী বোমারু বিমান থেকে লিটল বয় নামের একটি ইউ-২৩৫ ধরনের আণবিক বোমা হিরোশিমাতে ফেলা হয়, যুদ্ধে এটিই ছিল প্রথম পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার। (হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলা)
৮ আগস্ট, ১৯৪৫
সোভিয়েত ইউনিয়ন জাপানের বিরুদ্ধে সোভিয়েত–জাপানি নিরপেক্ষতা চুক্তি ভেঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা দেয়।
৯ আগস্ট, ১৯৪৫
ফ্যাট ম্যান নামে দ্বিতীয় এবং আরও শক্তিশালী প্লুটোনিয়াম ইমপ্লোশন পারমাণবিক বোমা বক্সকার নামের অন্য একটি সিলভারপ্লেট বি-২৯ বোমারু বিমান থেকে নাগাসাকির উপর ফেলা হয়, বিমানটির পাইলট ছিল মেজর চার্লস সুইনি (নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা)
৯ আগস্ট, ১৯৪৫
সোভিয়েত সেনাবাহিনী মাঞ্চুরিয়ায় সোভিয়েত আক্রমণ চালায়।
১০ আগস্ট, ১৯৪৫
কোরিয়ায় সোভিয়েত এবং মার্কিন দখল অঞ্চলের মধ্যে বিভাজন হিসাবে ৩৮তম সমান্তরাল রেখা নির্ধারণ করা হয়।
১৪ আগস্ট, ১৯৪৫
পটসডাম ঘোষণা গ্রহণ করার বিষয়ে সম্রাট হিরোহিতোর ডিক্রী রেডিওর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়।
১৪ আগস্ট, ১৯৪৫
জেনারেল ডগলাস ম্যাকআর্থার জাপানে দখলদার বাহিনীর প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন।
১৬ আগস্ট, ১৯৪৫
ফিলিপাইনে তাঁর অধীনস্থ মার্কিন বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর ১৯৪২ সালের ৬ মে থেকে যুদ্ধ বন্দী থাকা জেনারেল জোনাথন ওয়াইনরাইটকে মাঞ্চুরিয়ার একটি যুদ্ধ বন্দী ক্যাম্প থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
১৭ আগস্ট, ১৯৪৫
জাপানি আইজিএইচকিউ মাঞ্চুরিয়ায় আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
১৭ আগস্ট, ১৯৪৫
জেনারেল ম্যাকআর্থার সাধারণ আদেশ নম্বর ১ ঘোষণা করে।
১৮ আগস্ট, ১৯৪৫
সোভিয়েত আর্মি দক্ষিণ সাখালিন দ্বীপে কারাফুটো আক্রমণ করে।
১৮ আগস্ট, ১৯৪৫
উত্তর কোরিয়ায় সোভিয়েত উভচর অবতরণ শুরু হয়।
১৮ আগস্ট, ১৯৪৫
জাপানের পাইলটরা জাপানের উপর আলোকচিত্রের মাধ্যমে প্রাথমিক নিরীক্ষণ মিশনে আগত ৩১২তম বোমা গ্রুপের ৩৮৬তম বোমা স্কোয়াড্রনের দুটি কনসোলিডেটেড বি-৩২ ডোমিনেটরকে আক্রমণ করে। বি-৩২ "হোবো কুইন দুই" এর ফটোগ্রাফারের সহকারী ১৯ বছর বয়সী সার্জেন্ট অ্যান্টনি মার্চিয়োন আক্রমণে মারাত্মকভাবে আহত হন। মার্চিয়োন হলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিমান যুদ্ধে নিহত সর্বশেষ আমেরিকান।
১৮ আগস্ট, ১৯৪৫
শুমশুর উপর উভচর অবতরন দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের কুরিল দ্বীপপুঞ্জে আক্রমণ শুরু হয়।
১৯ আগস্ট, ১৯৪৫
কুয়ানটুং আর্মি সদর দফতর মাঞ্চুরিয়ায় জাপানি সেনাদের আত্মসমর্পণ করার জন্য আদেশ প্রেরণ করে।
২৩ আগস্ট, ১৯৪৫
শুমশুতে শেষ জাপানি সেনারা সোভিয়েত বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
২৫ আগস্ট, ১৯৪৫
কারাফুটো (দক্ষিণ সাখালিন দ্বীপ) -এ জাপানিদের আত্মসমর্পণ।
২৭ আগস্ট, ১৯৪৫
বি-২৯ চীনে অবস্থিত মিত্রবাহিনীর যুদ্ধ বন্দী শিবিরগুলিতে সরবরাহ ফেলে।
২৯ আগস্ট, ১৯৪৫
সোভিয়েতরা একটি বি-২৯ শক্তিশালী বোমারু বিমান কোরিয়ায় যুদ্ধ বন্দি শিবিরগুলোতে সরবরাহ ফেলার সময় গুলি করে ভূপাতিত করে।
২৯ আগস্ট, ১৯৪৫
মিত্রশক্তির পক্ষে সুপ্রিম কমান্ডার কর্তৃক জাপান দখল শুরু করতে মার্কিন সেনা টোকিওর কাছে অবতরণ করে।
৩০ আগস্ট, ১৯৪৫
যুক্তরাজ্য পুনরায় হংকং দখল করে।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
টোকিও উপসাগরে ইউএসএস মিসৌরিতে আনুষ্ঠানিক জাপানি আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠান; মার্কিন রাষ্ট্রপতি হ্যারি এস. ট্রুমান ভিজে ডে ঘোষণা করলেন।
২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
পেনাং-এ জাপানি গ্যারিসন আত্মসমর্পণ করে, ব্রিটিশরা অপারেশন জুরিস্টের অধীনে পেনাং পুনরাধিকার করে।
৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
ফিলিপাইনে জাপানি সেনাপতি জেনারেল ইয়ামাশিতা বাগুইওতে জেনারেল ওয়াইনরাইটের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
ওয়েক দ্বীপে জাপানি সেনারা আত্মসমর্পণ করে।
৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
ব্রিটিশদের সিঙ্গাপুরে অবতরণ।
৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
সোভিয়েতরা কুরিল দ্বীপপুঞ্জের দখল সম্পূর্ণ করে।
৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
রাবাউলে জাপানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
ম্যাকআর্থার টোকিও প্রবেশ করে।
৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩৮তম সমান্তরালের দক্ষিণে কোরিয়া দখল করতে ইনছনে অবতরণ করে
৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
চীনে অবশিষ্ট জাপানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
কোরিয় উপদ্বীপে অবশিষ্ট জাপানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
জাপানিরা লবুয়ানে আত্মসমর্পণ করে।
১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
জাপানিরা সারাওয়াকে আত্মসমর্পণ করে।
১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
সিঙ্গাপুরে জাপানিরা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
বার্মায় জাপানিরা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
জাপানিরা সুলাওসিতে আত্মসমর্পণ করে।
১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫
হংকংয়ে জাপানিরা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে।
২৫ অক্টোবর, ১৯৪৫
তাইওয়ানে জাপানিরা জেনারেলিসিমো চিয়াং কাই-শেকের কাছে সাধারণ আদেশ নম্বর ১ এর অংশ হিসাবে আত্মসমর্পণ করে, যা পরে তাইওয়ানকে অস্পষ্ট এবং অমীমাংসিত রাজনৈতিক অবস্থানের দিকে পরিচালিত করে।
১৯৪৫ সালে সেরি থাইয়ের সহায়তায় জাপানের পরাজয়ের পরে ব্রিটিশ ও ফরাসিরা থাইল্যান্ডকে পরাভূত দেশ হিসাবে বিবেচনা করেছিল, যদিও আমেরিকার সমর্থনের ফলে মিত্রশক্তির শর্ত হ্রাস করা হয়। থাইল্যান্ড মিত্রদের দখলে ছিল না, তবে পুনরায় অর্জন করা অঞ্চল ব্রিটিশ এবং ফরাসিদের কাছে ফেরৎ দিতে বাধ্য করা হয়। যুদ্ধোত্তর যুগে থাইল্যান্ডের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক ছিল যাকে তারা প্রতিবেশী দেশগুলিতে কমিউনিস্ট বিপ্লবের হাত থেকে রক্ষাকারী দেশ হিসাবে দেখেছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে মিত্রশক্তি জাপান দখল করে, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যও এত অবদান রাখে। এই বৈদেশিক উপস্থিতি জাপানের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো দ্বীপরাষ্ট্রটি কোনও বিদেশী শক্তি দ্বারা দখলকৃত হয়। ১৯৫১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষরিত সান ফ্রান্সিসকো শান্তি চুক্তির ফলে মিত্রশক্তির দখলের সমাপ্তি ঘটে এবং ২৮ এপ্রিল, ১৯৫২ সালে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার পর জাপান আবার স্বাধীন দেশে পরিনত হয়।
দখলের সময় যারা যুদ্ধ শুরু করা এবং যুদ্ধ চালানোর যৌথ চক্রান্তে অংশ নিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রধান জাপানী যুদ্ধাপরাধের অভিযোগসমূহ আনা হয়েছিল, এটি "শ্রেণি এ" (শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ) বলে অভিহিত হয় এবং সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল; যারা "প্রচলিত" নৃশংসতা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তাদের জন্য "শ্রেণি বি" অপরাধ আনা হয়; "পরিকল্পনা, আদেশ, অনুমোদন বা কমান্ড কাঠামোর উচ্চ স্তরে এই ধরনের লঙ্ঘন প্রতিরোধ করতে ব্যর্থতার " জন্য "শ্রেণি সি" অপরাধ সংরক্ষিত ছিল।
আটাশজন জাপানি সামরিক ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে শ্রেণি এ অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এবং ৫,৭০০ জনেরও বেশি জাপানি নাগরিককে শ্রেণি বি এবং সি অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বন্দীদের উপর নির্যাতন করা হয়। চীন নিজস্ব ১৩ টি ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছিল, যার ফলশ্রুতিতে ৫০৪ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৪৯ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
জাপানী সম্রাট হিরোহিতো এবং যুবরাজ আসাকার মতো রাজ পরিবারের সমস্ত সদস্যের বিরুদ্ধে এই তিন বিভাগের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কোন মামলা করা হয়নি। হারবার্ট বিক্স ব্যাখ্যা করেন যে "ট্রুমান প্রশাসন এবং জেনারেল ম্যাক আর্থার দু'জনেরই বিশ্বাস ছিল যে যদি তারা হিরোহিতোকে তাদের পরিবর্তনগুলিকে বৈধতা দিতে ব্যবহার করে তাহলে দখল সংস্কারগুলি সুষ্ঠুভাবে কার্যকর করা যাবে।" ১৯৪৭ এবং ১৯৪৮ সালের বিচারে পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী হওয়া নবুসুকে কিশি এবং "জাইবাৎসু" নিসান গ্রুপের প্রধান এবং চুসিরেনের (ছোট ও মাঝারি আকারের জাপানি সংস্থার প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা) ভবিষ্যতের নেতা ইয়ুশিসুকে আইকাওয়ার মতো ৫০ জন সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করা হলেও মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা জীবিত বন্দীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শিরো ইশী খালাস পায়। সকল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খালাস দেওয়ার পক্ষে একমাত্র বিচারপতি ছিলেন ভারতীয় আইনবিদ রাধাবিনোদ পাল।
ট্রাইব্যুনাল ১৯৪৮ সালের ১২ নভেম্বর মুলতুবী করা হয়।
|
948050
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948050
|
বানৌজা অনির্বাণ
|
বানৌজা অনির্বাণ
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) অনির্বাণ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাইপ ০২১-শ্রেণীর মিসাইল বোট। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গণচীন হতে স্বল্পপাল্লার দ্রুতগামী টাইপ ০২১-শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ সংগ্রহ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বানৌজা অনির্বাণ ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপকূল প্রতিরক্ষার সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, হিট এন্ড রান কৌশল অবলম্বন করে বহিঃশত্রুর জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বানৌজা অনির্বাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাহাজটি মেরামত করে নৌবহরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। ২০১০ সালে মিড লাইফ আপগ্রেডেশন হিসেবে পুরনো এসওয়াই-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো শক্তিশালী ও উন্নত সি-৭০৪ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়।
বানৌজা অনির্বাণ জাহাজটির দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং গভীরতা । জাহাজটিতে রয়েছে ৩টি প্যাক্সম্যান ১২ ভিপি ১৮৫ ডিজেল ইঞ্জিন (যুক্তরাজ্য) এবং বিএফ৪এম ১০১৩ এমসি ডিজেল জেনারেটর (জার্মানি)। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি গতিতে সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য এটি ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান) এবং ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র্যাডার (জাপান) দ্বারা সজ্জিত।
বানৌজা অনির্বাণ জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
|
948064
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948064
|
বানৌজা দোর্দণ্ড
|
বানৌজা দোর্দণ্ড
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) দোর্দণ্ড বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাইপ ০২১-শ্রেণীর মিসাইল বোট। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গণচীন হতে স্বল্পপাল্লার দ্রুতগামী টাইপ ০২১-শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ সংগ্রহ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বানৌজা দোর্দণ্ড ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপকূল প্রতিরক্ষার সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, হিট এন্ড রান কৌশল অবলম্বন করে বহিঃশত্রুর জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বানৌজা দোর্দণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাহাজটি মেরামত করে নৌবহরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। ২০১০ সালে মিড লাইফ আপগ্রেডেশন হিসেবে পুরনো এসওয়াই-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো শক্তিশালী ও উন্নত সি-৭০৪ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়।
বানৌজা দোর্দণ্ড জাহাজটির দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং গভীরতা । জাহাজটিতে রয়েছে ৩টি ডয়েটজ টিবিডি৬২০ভি১৬ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি) এবং বিএফ৪এম ১০১৩ এমসি ডিজেল জেনারেটর (জার্মানি)। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি গতিতে সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য এটি ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান) এবং ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র্যাডার (জাপান) দ্বারা সজ্জিত।
বানৌজা দোর্দণ্ড জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
|
948069
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948069
|
বানৌজা দুর্দান্ত
|
বানৌজা দুর্দান্ত
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) দুর্দান্ত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাইপ ০২১-শ্রেণীর মিসাইল বোট। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গণচীন হতে স্বল্পপাল্লার দ্রুতগামী টাইপ ০২১-শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ সংগ্রহ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বানৌজা দুর্দান্ত ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপকূল প্রতিরক্ষার সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, হিট এন্ড রান কৌশল অবলম্বন করে বহিঃশত্রুর জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বানৌজা দুর্দান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাহাজটি মেরামত করে নৌবহরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। ২০১০ সালে মিড লাইফ আপগ্রেডেশন হিসেবে পুরনো এসওয়াই-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো শক্তিশালী ও উন্নত সি-৭০৪ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়।
বানৌজা দুর্দান্ত জাহাজটির দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং গভীরতা । জাহাজটিতে রয়েছে ৩টি ডয়েটজ টিসিডি২০২০ভি১৬ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি) এবং বিএফ৪এম ১০১৩ এমসি ডিজেল জেনারেটর (জার্মানি)। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি গতিতে সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য এটি ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান) এবং ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র্যাডার (জাপান) দ্বারা সজ্জিত।
বানৌজা দুর্দান্ত জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
|
948072
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948072
|
আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া
|
আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া
আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া (৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪ — ২০ মে ২০১৭) ছিলেন একজন বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত, ধর্মীয় লেখক ও গবেষক। তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব এবং কিছুকাল জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকার পরিচালক ছিলেন। তার লেখা "দেওবন্দ আন্দোলনঃ ইতিহাস ঐতিহ্য অবদান", "ইসলামী অর্থনীতির আধুনিক রূপায়ণ" গ্রন্থদ্বয় কওমি মাদ্রাসার স্নাতক শ্রেণির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও তিনি অন্যান্য পাঠ্যবই সম্পাদনা করেছেন।
আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া ১৯৫৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানাধীন মালিডাঙ্গা গ্রামের ফরায়েযী বংশের এক আলেম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মিয়া হুসাইন দারুল উলুম দেওবন্দ পড়ুয়া আলেম ছিলেন। জন্মের পর তার নাম রাখা হয়েছিল ‘ইয়াহইয়া’। ছাত্রজীবনে তার এক শিক্ষক তাকে ‘আবুল ফাতাহ’ নামে অভিহিত করেন। পরে তিনি ‘আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া’ এই যুক্ত নামেই পরিচিত হন। তিনি মায়ের কাছে এবং গ্রামের মক্তবে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর পূর্ব চাঁদশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে ময়মনসিংহ জামিয়া ইসলামিয়ায় ভর্তি হয়ে উর্দু ও ফার্সিখানার পাঠ সমাপ্ত করেন। স্বাধীনতা-পরবর্তীকালে মাদ্রাসা শিক্ষা ধীরগতি হয়ে পড়ায় তিনি বাড়িতে চলে যান। তখন পারিবারিক আর্থিক অনটনের কারণে কিছুদিন ব্যবসা করেন। এরপর আবার নানার বাড়ির কাছে কুতিকুরা করুয়াপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন এবং দশম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর পুনরায় মাদ্রাসায় ভর্তি হন। মিযান থেকে শরহে জামী পর্যন্ত ময়মনসিংহ জামিয়া ইসলামিয়ায় অধ্যয়ন করেন। শরহে জামী পড়েন জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়াতে। সেখানে তার শিক্ষকদের মধ্যে আবু তাহের মেসবাহ অন্যতম। এরপর ১৯৭৯ সালে জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদে শরহে বেকায়া জামাতে ভর্তি হন। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অধীনে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তী বছরের মাঝেই তিনি চলে যান ময়মনসিংহ আশরাফুল উলুম বালিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে জালালাইন পড়েন। মেশকাত পড়েন চট্রগ্রামের আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ায়। ১৯৮২-৮৩ সালে জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সম্পন্ন করেন।
১৯৮৪ সালে তিনি সিলেট জেলার গাছবাড়ীতে অবস্থিত আকনী মাযাহিরুল উলুম মাদ্রাসায় "সহীহ মুসলিমের" শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবনের সূচনা করেন। পরবর্তী বছর জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকাতে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। চার বছর শিক্ষকতার পর জামিয়া শামসুল উলুম (পীরজঙ্গী) মাদ্রাসায় যোগদান করেন। তিন বছর সেখানে শিক্ষকতার পর পুনরায় তিনি জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগ, ঢাকাতে চলে আসেন। ১৯৯৯ সালের শুরুর দিকে অত্র প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত হন এবং দীর্ঘ নয় বছর দায়িত্ব পালন করেন। বেফাকসহ জাতীয় পর্যায়ের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বেড়ে যাওয়ায় স্বেচ্ছায় এ পদ হতে ইস্তফা দেন। এর পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অত্র জামিয়ায় সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসাবে কর্মরত থেকে "সহীহ মুসলিমের" দরস প্রদান করেছেন। ২০১৫ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জামিয়া আরাবিয়া নতুনবাগে "সহীহ বুখারীর" দরস প্রদান করেছেন। এরপর অসুস্থতার কারণে কর্মপরিধি সীমিত করে শুধু মালিবাগ জামিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট থেকেছেন। তিনি পনের বছর বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের যুুুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১৭ সালের ২০ মে মৃত্যুবরণ করেন, ইশার নামাযের পর জামিয়া শরইয়্যাহ মালিবাগে তার জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়। নামাযের ইমামতি করেন তার শিক্ষক নূর হুসাইন কাসেমী। পরের দিন গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তার রচিত বইসমূহের মধ্যে রয়েছে:
|
948073
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948073
|
বানৌজা দুর্ধর্ষ
|
বানৌজা দুর্ধর্ষ
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) দুর্ধর্ষ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি টাইপ ০২১-শ্রেণীর মিসাইল বোট। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গণচীন হতে স্বল্পপাল্লার দ্রুতগামী টাইপ ০২১-শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ সংগ্রহ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বানৌজা দুর্ধর্ষ ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপকূল প্রতিরক্ষার সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, হিট এন্ড রান কৌশল অবলম্বন করে বহিঃশত্রুর জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বানৌজা দুর্ধর্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, পরবর্তীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাহাজটি মেরামত করে নৌবহরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। ২০১০ সালে মিড লাইফ আপগ্রেডেশন হিসেবে পুরনো এসওয়াই-১ ক্ষেপণাস্ত্রকে আরো শক্তিশালী ও উন্নত সি-৭০৪ ক্ষেপণাস্ত্র দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়।
বানৌজা দুর্ধর্ষ জাহাজটির দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং গভীরতা । জাহাজটিতে রয়েছে ৩টি ডয়েটজ টিবিডি৬২০ভি১৬ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি) এবং বিএফ৪এম ১০১৩ এমসি ডিজেল জেনারেটর (জার্মানি)। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি গতিতে সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য এটি ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান) এবং ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র্যাডার (জাপান) দ্বারা সজ্জিত।
বানৌজা দুর্ধর্ষ জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
|
948077
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948077
|
রূপক কুলকার্নি
|
রূপক কুলকার্নি
রূপক কুলকার্নি একজন ভারতীয় বাঁশীবাদক।
তার পিতা পণ্ডিত মলহার রাও কুলকার্নি সংগীত নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি পদ্মবিভূষণপ্রাপ্ত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার অধীনে মাইহার ঘরানার প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তামিল নিয়েছিলেন।
রুপক তানসেন সমরোহ, পেশকার বিশ্ব সংগীত উৎসব, বিষ্ণু দিগম্বর পলুস্কর সমরোহ, হরবল্লব সংগীত সম্মেলন, টাইমস অফ ইন্ডিয়া ১৫০ বছরের উদ্যাপন কনসার্ট, ভীষ্ম পার্ব (পুনে), ওস্তাদ আমির খান সমরোহ, সভাই গন্ধর্ব ভীমসেন উৎসব, উত্তরপাড়া সংগীতচক্র, সপ্তক সংগীত উৎসব (আহমেদাবাদ), গুণিদাস সম্মিলন, হীরাবাই বড়োড়েকার স্মৃতি সমরোহ এবং শ্রুতি মন্ডল ইত্যাদিতে বাঁশী বাজিয়েছেন।
তাঁর প্রথম অ্যালবামটি ১৮ বছর বয়সে প্রকাশিত হয়েছিল, যার শিরোনাম ছিল "টেন্ডারলি", এতে তার সাথে ছিলেন তবলাবাদক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অ্যালবামগুলি টাইমস মিউজিক, এইচএমভি, নাভ্রাস, প্লাস মিউজিক, রিদম হাউস, নিনাদ, এবিসিএল এর বিগ বি, সেন্স ওয়ার্ল্ড (লন্ডন), ক্রেচার্ডস ইত্যাদি কোম্পানি কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে।
|
948087
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948087
|
বয়নাড় জেলা
|
বয়নাড় জেলা
বয়নাড় জেলা, দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কেরল রাজ্যের ১৪ টি জেলার একটি জেলা৷ কেরলের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত এই জেলাটির জেলা সদর রয়েছে কালপেট্টা শহরে। সমগ্র জেলাটি পশ্চিমঘাট পর্বতমালার উচ্চভূমি অঞ্চলে অবস্থিত, সমুদ্রতল থেকে জেলাটির উচ্চতা ৭০০ থেকে ২১০০ মিটারের মধ্যে হেরফের করে। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ২লা নভেম্বর তারিখে কেরালার ১২ তম জেলা হিসেবে পূর্বতন কালিকট এবং কণ্ণুর জেলার কিছু কিছু তালুক নিয়ে নতুন বয়নাড় জেলা গঠন করা হয়। জেলাটির প্রায় ৮৮৫.৯২ বর্গ কিলোমিটার ঘন জঙ্গলে আচ্ছন্ন, এবং এটি কেরালার বনবিভাগের রক্ষণাধীন। বয়নাড় জেলায় রয়েছে তিনটি পুরসভা, এগুলি হলো—কালপেট্টা, মানন্তবাড়ি এবং সুলতান বতেরি। এই অঞ্চলে একাধিক জনজাতির বসবাস।
"বয়নাড়" শব্দটি এসেছে মালয়ালম শব্দ "বয়ল নাড়ু" থেকে, যেখানে বয়ল শব্দের অর্থ ধানখেত এবং নাড়ু শব্দের অর্থ ভূমি৷
ঐতিহাসিকরা বিশ্বাস করেন যীশু খ্রিস্টের জন্মেরও অন্ততপক্ষে দশ শতাব্দী পূর্বেও কেরালায় মনুষ্যবসতি ছিলো। বর্তমান বয়নাড় জেলার বিভিন্ন পাহাড় ও পাহাড়ের গুহায় নব্য প্রস্তর যুগে খোদিত একাধিক গুহাচিত্র রয়েছে যা ওই সময়ে এই অঞ্চলে মনুষ্যবসতির প্রামাণ্য তথ্য। এই জেলার এড়ক্কাল গুহায় প্রাপ্ত খোদাই কর্মগুলি ছয় হাজার বছর পুরনো নিওলিথিক যুগের বলে মনে করা হয়। তবে অষ্টম শতাব্দী থেকে এই জেলার লিখিত ইতিহাস সবিস্তারে পাওয়া যায়। পুরাকালে কেরালার এই অঞ্চল বেদ জনজাতির রাজাদের দ্বারা শাসিত হতো।
বয়নাড় জেলার লিপিভুক্ত ইতিহাসের খণ্ডের প্রামাণ্য অনুসারে এই জেলায় চের রাজবংশের প্রভাব প্রথম লক্ষ্য করা যায়। এই রাজবংশটি খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে প্রথম অথবা দ্বিতীয় শতকের খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত সমগ্র কেরালা সহ কন্যাকুমারী জেলা এবং তামিলনাড়ুর পূর্বদিকের একাধিক জেলায় নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছিল। বর্তমান কেরালার উত্তর দিকে অবস্থিত কাসারগড়-কণ্ণুর-বয়নাড় জেলার সিংহভাগ অঞ্চলই মূষিক রাজবংশের অধীনস্থ ছিল। এই মূষকরাই পরবর্তীকালে কোলাদ্রি নামে পরিচিত হয়, তারা চের রাজাদেরই আত্মীয় ছিল। ঠিক একই রকমভাবে চের রাজাদেরই আত্মীয় ত্রিবাঙ্কুর রাজপরিবার শাসন করতো বর্তমান কন্যাকুমারী-তিরুবনন্তপুরম-কোল্লাম জেলার অঞ্চলগুলিতে।
সুলতান বতেরির অম্বুকুঠি(মালা) পর্বতের দুটি গুহায় প্রাপ্ত (উভয়ই এড়ক্কাল গুহালেখ) গুহাচিত্র এবং খোদাই থেকে বিভিন্ন খণ্ডে যথেষ্ট পরিমাণ প্রাচীন নগরায়নের চিত্র অঙ্কিত হয়। এড়ক্কাল গুহার পর্বতপাদদেশে পুরাতন কন্নড় লিপিতে মহীশূরের কুদুম্বীয় রাজবংশের কন্নড়ীয় সেনাধ্যক্ষ বিষ্ণু বর্মার বেশকিছু অনুশাসন পাওয়া যায়৷ ঐতিহাসিকদের মতে এগুলি খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীর সময়ে খোদিত৷ এই অনুশাসন পাঠোদ্ধার করে পাওয়া গিয়েছে - '"পলপুলিতানমতকারি"' অথবা 'পল পুলিনানম তকারি', "শ্রী বিষ্ণুবর্মা কুটুম্ব্য কুলবর্দ্ধনস্য লি..ইত..আ.."'৷ মাদ্রাজের সূত্রলিপিউৎকীরণ বিভাগের প্রধান লিপ্যোদ্ধারক স্যার হাল্জ-এর মতে, এই অনুশাসনটি কুদুম্বীয় রাজবংশের রাজকুলের শ্রেষ্ঠ তথা কন্নড় সেনাধ্যক্ষ বিষ্ণুবর্মার বীরত্ব ব্যক্ত করতে একাাধিক বাঘ হত্যার কথা উল্লেখ রয়েছে৷ আবার একাধিক ঐতিহাসিক এবং পণ্ডিতদের মতে কুদুম্বীয় এবং স্থানীয় কুরুম্বেরা একি রাজবংশ তথা সমার্থক।
খ্রিস্টীয় একাদশ শতকে কদম্ব রাজারা উত্তর কন্নড় অঞ্চলের গঙ্গ রাজাদের সিংহাসনচ্যুত করে। এইসময় বয়নাড় অঞ্চল দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল, সেগুলি হল - বীর বয়লনাড় এবং চগি বয়লনাড়। মহীশূর অনুশাসনগুলির (সম্ভবত এগুলিতে উক্ত দেশের অবিশ্বাস্য সৌন্দর্যের ফলে একাধিক বহিরাগত আক্রমণ এবং তাদের ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর কথা উল্লেখ রয়েছে) একটিতে উল্লেখ রয়েছে 'এই বায়ল ভূমিরই একটি বহুতলা বাড়ীতে থাকতেন কাল কুঞ্চিত চুল যুক্তা, পূর্ণচন্দ্র মুখসদৃশা, অপাঙ্গ দৃষ্টিযুক্তি এবং কৃষাঙ্গ দেহিনী চারজন পৃথক পৃথক অথবা উক্ত সকল বৈশিষ্ট্যসম্পন্না একজন নির্দিষ্ট ব্যভিচারিণী নারী। বয়লনাড় খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দীর কালে কদম্ব ও রাজা রবিযম্মারস-এর এর শাসনকালে কদম্ব রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয় এবং সেই সময় বয়লনাড়ের রাজধানী ছিলো পুন্নাড়। আবার ১০৯০ খ্রিস্টাব্দের আশেপাশে কান্তিরাও-এর চগি বয়লনাড় অঞ্চলের রাজত্ব করার কথা উল্লেখ রয়েছে। ১১০৮ স্টাতে বীর বয়লনাড় অঞ্চলের শাসক ছিলেন রাজা রবি চল্লাম্মা।
১১০৪ খ্রিস্টাব্দে হৈসল রাজ বংশের রাজা বিষ্ণুবর্ধন বয়লনাড় অঞ্চল আক্রমণ করে। তবে এরই মাঝে ১১৩৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ কদম্ব রাজা মুক্কন্ন এই অঞ্চল শাসন করতেন বলেও জানা যায়।
হৈসল সাম্রাজ্যের পতনের পর খ্রিস্টীয় চতুর্দশ শতকে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের রাজারা এই অঞ্চলের উপর আধিপত্য বিস্তার করে। বিজয়নগরের সঙ্গম রাজবংশীয় এক সেনাধ্যক্ষ ইম্মাড়ি কদম্ব রায় বোডেয়াইয়া বয়লনাড় অঞ্চল শাসন করতেন বলে জানা যায়।
১৬১০ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মহীশূরের ওয়াদিয়ার রাজা উদয়র বয়লনাড় থেকে বিজয়নগরের সেনাধ্যক্ষকে অপসারিত করেন এবং নিজে বয়ালনাড়ু ও নীলগিরি শাসক হিসাবে পদগ্রহণ করেন৷ এই বয়লনাড়ই বর্তমান বয়নাড়৷ হায়দার আলির শাসনকালে এই অঞ্চলে বৈতিরী থেকে তাম্রসেরি পর্যন্ত গিরিপথ তৈরী করা হয়, যা ঘাটরোড নামে পরিচিত৷ পরবর্তীকালে ব্রিটিশ শাসকরা এই পথটি কার্টার রোড পর্যন্ত দীর্ঘায়িত করেন৷ টিপু সুলতানের রাজত্বকালে বয়লনাড়ুতে ব্রিটিশদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ এরপর সাম্রাজ্যের ওপর বহু ঝড়ঝঞ্ঝা ও প্রতিকূলতা আসে৷ ১৭৯২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ কোম্পানি টিপু সুলতানের সাথে শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি অনুসারে মালাবার অঞ্চল এর অংশ হিসেবে বয়নাড় দাবি করেন টিপু সুলতান ব্রিটিশ কোম্পানির গভার্নমেন্ট জেনারেল এর নিকট নিজের হার মেনে নেন। কিন্তু তার যুক্তি অনুযায়ী, বয়নাড়ের ওপর দীর্ঘ শতক ধরে কর্নাটকের কন্নড় রাজাদের আধিপত্যের দলিল এবং মালাবার অঞ্চল থেকে বয়নাড় অঞ্চলের ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিক পার্থক্যকে প্রামাণ্য হিসেবে ধরে, ১৭৯৮ খ্রিস্টাব্দে লর্ড মর্নিংটন ঘোষণা করেন যে, ১৭৯২ এর চুক্তি অনুযায়ী বয়নাড় অঞ্চলকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে সমর্পিত করা হয়নি। একই সময়ে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বয়নাড়ের ওপর থেকে তাদের ব্রিটিশ সেনাদের সরিয়ে নিয়ে টিপু সুলতানকে রাজত্বের দায়ভার ছেড়ে দেন। ১৭৯৯ খ্রিস্টাব্দে সুলতানি সাম্রাজ্যের পতনের পর ওই বছরই মহীশূর চুক্তির দ্বারা ব্রিটিশ কোম্পানি মহীশূর রাজাকে এটি হস্তান্তর করেন। কিন্তু ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে ডিসেম্বর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অন্য একটি পরিপূরক চুক্তির মাধ্যমে বয়নাড়কে প্রশাসনিকভাবে চোলদের অধীন করা হয়। আর্থার ওয়েলেসলি সাথে শ্রীরঙ্গপত্তমের সন্ধি অনুসারে উত্তর বয়নাড় প্রাচীন কোট্টায়ম রাজবংশের পোলাচি রাজার শাসনাধীন হয়।
অন্তিমে ব্রিটিশরা গভীর ডঙ্গলের ভেতর থেকে আত্মহননকারী রাজার মৃতদেহ উদ্ধার করেন৷ এভাবে বয়নাড় ব্রিটিশদের হস্তোগত ক্ষয় এই ধীরে ধীরে এটি গড়ে পরিণত হয়৷ বয়নাড়ুর দুরূহ খাঁড়াই পর্বতগাত্রে সড়ক নির্মাণ করে তারা জনসংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করেন এবং মালভূমি ও উচ্চভূমি অঞ্চলগুলিতে চা এবং অন্যান্য একাধিক ফসল চাষে উৎসাহ দিতে থাকেন৷ নির্মিত হয় কালিকট ও তালসেরি অবধি বিস্তৃত সড়ক৷ পরে তারা গুড়লুর হয়ে কালপেট্টা থেকে মহীশূর এবং ঊটি অবধি পাকা সড়ক নির্মাণ করান৷ কেরালার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বহু মানুষ এখানে এসে বসবাস করা শুরু করেন এবং সময়ের সাথে বয়নাড় অর্থনৈতিক ফসলোৎপাদনের অন্যতম স্থানে পরিণত হয়৷ বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিক থেকে এই অঞ্চলে কৃষিকার্যের প্রসার বৃদ্ধি পায়৷ ঘটনাচক্রে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের রাজ্য পুনর্গঠন আইন অনুসারে ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা সত্ত্বেও ভাষার ভিত্তিতে এটি কেরালা রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়৷ এখনো এই জেলাতে যথেষ্ট পরিমানে ভাষিক সংখ্যালঘু কন্নড়ভাষী ও কন্নড় রাজাদের রাজত্বশাসনের বহু প্রমাণই প্রকট৷ ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে কেরালা রাজ্যের আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠার সময়ে বর্তমান বয়নাড়ু জেলাটি পূর্বতন কণ্ণুর জেলার অংশ ছিলো৷ পরবর্তীকালে দক্ষিণ বয়নাড় অঞ্চল পূর্বতন কালিকট জেলার সহিত সংযুক্ত করা হয়৷ উন্নতির স্বার্থে বয়নাড় অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি পূরণ করতে কণ্ণুর জেলা থেকে উত্তর বয়নাড় ও কালিকট থেকে দক্ষিণ বয়নাড় যুক্ত করে একটি অবিচ্ছিন্ন বয়নাড় জেলা গঠন করা হয়৷ আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর তারিখে কেরালার ১২তম জেলারূপে বয়নাড় জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়৷ নবগঠিত জেলাহ তিনটি তালুক হলো যথাক্রমে; বৈতিরি, মানন্তবাড়ি, এবং সুলতান বতেরি৷
কেরালার সর্বাধিক জনজাতিবহুল জেলা হলো এই বয়নাড় জেলা, এখানে রয়েছে আটটি জনগোষ্ঠী৷ এগুলি হলো; আদিয়ান, পণিয়ান, মুল্লুকূর্মণ, কুরিচ্যন, বেত্তাকূর্মণ, বয়লনাড় কাদার, কট্টুনিয়াকন এবং তচানদন মূপ্পন৷ প্রতিটি জনগোষ্ঠীরই নিজেদের পৃথক ভাষিক ঐতিহ্য ও বৈচিত্র রয়েছে৷
বয়নাড় জেলাটি দাক্ষিণাত্য মালভূমির দক্ষিণ দিকে অবস্থিত এবং পশ্চিমঘাট পর্বতমালার দক্ষিণাংশের পর্বতের ওপর অবস্থিত। জেলাটির একটি বৃহৎ অঞ্চল জঙ্গলাচ্ছন্ন হলেও ইদানীংকালে ঘটে যাওয়া একাধিক বন বিপর্যয়ের ঘটনা জনসমক্ষে উঠে এসেছে, যা ভবিষ্যতে বিপুল পরিমাণপ্রাকৃতিক সম্পদের উৎসের ক্ষতি করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। জেলাটিতে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার গাত্র বরাবর একাধিক ট্র্যাকিংয়ের পথ রয়েছে, যা রাজ্যের পর্যটনকেও ত্বরান্বিত করে। বয়নাড় জেলার সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি হল ২১০০ মিটার উচ্চ চেম্ব্রা শিখর, এছাড়াও রয়েছে ২০৭৯ মিটার উচ্চ বাণাসুর শিখর।
জেলাটিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলাধার এবং জলের উৎস রয়েছে। জলবিভাজিকা অবস্থিত হওয়ার ফলে এই জেলাতে পূর্ববাহিনী এবং পশ্চিমবাহিনী উভয় প্রকার নদী বিদ্যমান। কাবেরী নদীর অন্যতম উপনদী কাবিনী এই জেলার প্রধান নদীগুলির একটি, এছাড়া কেরালা তিনটি পূর্ব বাহিনী নদীর মধ্যে একটি এই নদী। কাবিনী নদীর একাধিক উল্লেখযোগ্য উপনদী হল; তিরুনেল্লি নদী, পানমরম নদী এবং মানন্তবাড়ি নদী। এই ছোট ছোট নদী গুলি জেলাটিতে পর্যাপ্ত জলের উৎস এবং তার সাথে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের উপস্থিতি পর্যটক অনুকূল। পানমরম একাধিক উপর নদী বিধৌত জল একত্রিত করে গর্ভবতীর সংকীর্ণ কাঁধ বরাবর বয়ে পানমরম উপত্যকায় প্রবেশ করে। এই জেলা অতিক্রম করে বেশ কিছুটা দূরত্ব পর নদীটি তোণ্ডারমুড়ি নিম্ন উপত্যকা থেকে সৃষ্ট মানন্তবাড়ি নদীর সহিত মিলিত হয়।
বয়নাড় জেলার উত্তর দিকে রয়েছে কর্ণাটক রাজ্যের কোড়গু জেলা, উত্তর-পূর্ব দিকে রয়েছে মহীশূর জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে চামরাজনগর জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে তামিলনাড়ু রাজ্যের নীলগিরি জেলা, দক্ষিণ দিকে রয়েছে কেরলের মালাপ্পুরম জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে কালিকট জেলা এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে কণ্ণুর জেলা৷ জেলার পুলপল্লীতে রয়েছে একমাত্র লব- কুশের মন্দির৷ বৈতিরিতে রয়েছে কেরালার একমাত্র কাঁচের মন্দির, যা মূলত একটি জৈন মন্দির৷ এই জেলায় অবস্থিত অম্বুকুঠি পাহাড় থেকে প্রাপ্ত সূত্র এবং গুহালেখ থেকে প্রমাণিত হয় এই অঞ্চল নব্য নগরায়ণ যুগের সমসাময়িক৷
কালপেট্টায় অবস্থিত কাবিনী নদীর উপনদী কারমনতোড়ু নদীর ওপর বাণাসুর সাগর বাঁধ ভারতের বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ভূ-বাঁধ বলে মনে করা হয়। বাঁধটি বানাসুর পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত হওয়ার কারণে উহার এইরূপ নামকরণ। বাণাসুর ছিলেন কিরল এর বিখ্যাত শাসক তথা পুরাণে বর্ণিত রাজা মহাবলীর পুত্র। কাক্কয়ম হাইড্রো-ইলেকট্রিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নে, সেচের জলের চাহিদা পূরণ করতে এবং পানীয় জলে সুলভ করতে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে বাণাসুর সাগর বাঁধ তৈরি প্রকল্পটি চালু করা হয়। কালপেট্টা থেকে ২১ কিলোমিটারে দূরে অবস্থিত এই বাঁধটি জেলার অন্যতম পর্যটন স্থল৷ বাঁধটি বৃহদাকৃতি পাথর ও বোল্ডারের দ্বারা উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত৷
কাবিনী নদীর উপনদী কারাপ্পি নদীর ওপর নির্মীত কারাপ্পি বাঁধ ভারতের বৃহত্তম বাঁধগুলির একটি৷ বাঁধটি বৈতিরি তালুকের বলবট্টতে অবস্থিত৷ এই বাঁধটির জল বয়নাড় জেলার বৈতিরি তালুক এবং পার্শ্ববর্তী সুলতান বতেরি তালুকের মোট ৫৫৮০-৫৬০০ হেক্টর জমিতে সেচকার্যের জন্য ব্যবহৃত হয়৷ জলাধারটির সর্বাধিক মোট ধারণক্ষমতা ৭৬.৫০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার এবং সাধারণ ধারণক্ষমতা ৭২ মিলিয়ন কিউবিক মিটার জল।
২০০৬ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের গ্রামীণ বিকাশ এবং পঞ্চায়েত রাজ মন্ত্রণালয় বয়নাড় জেলাটিকে ভারতের তৎকালীন ৬৪০ টি জেলার মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া আড়াইশো টি জেলার তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছে। এরকম পিছিয়ে পড়া জেলার তকমা প্রাপ্ত কেরালার দুটি জেলার মধ্যে বয়নাড় একটি। জেলাটি ব্যাকওয়ার্ড রিজিওন গ্রান্ট ফান্ড বা বিআরজিএফ এর আওতাভুক্ত।
কেরালার অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে জেলা সদরের নাম থেকেই সমগ্র জেলাটির নাম এসেছে কিন্তু বয়নাড় ও ইদুক্কি জেলা দুটি ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। এই জেলাতে বয়নাড় শহর নামে কোন নেই।
২০১১ খ্রিস্টাব্দে ২০১১ ভারতের জনগণনা ভারতের জনগণনা অনুসারে বয়নাড় জেলার মোট জনসংখ্যা ছিল ৮,১৭,৪২০ জন, যা কোমোরোস রাষ্ট্রের জনসংখ্যার সমতুল্য। এটি কেরালার সবচেয়ে কম জনসংখ্যা বিশিষ্ট জেলা। জনসংখ্যার বিচারে ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে এই জেলাটি ৪৮২তম স্থান অধিকার করেছে। জেলাটির জনঘনত্ব । ২০০১ থেকে ২০১১ শ্রেষ্ঠত্বের মধ্যেই জেলাটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৬০ শতাংশ। বয়নাড়ে প্রতি হাজার পুরুষে জন ১০৩৫ নারী বাস করেন। জেলাটিতে মোট সাক্ষরতার হার ৮৯.০৩ শতাংশ, যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯২.৫১ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৮৫.৭০ শতাংশ।
জেলাটির আদি অধিবাসীরা হলেন পণিয়া, উরালি কুরুম এবং কুরিচ্যরা৷ এখানে মোট ২১টি পল্লীগ্রামে বাডাগা জনজাতির লোকেরা বসবাস করেন৷ লিঙ্গুইস্টিক সার্ভে এন্ড হিস্টরি অব কলোনেল উইলক্স অনুসারে সম্পূর্ণ বয়নাড় অঞ্চলটিই কন্নড় ভাষী অঞ্চল ছিল, যদিও পরবর্তীকালে রাজ্য পুনর্গঠন আইনে এটির মালায়ালাম ভাষী জেলা হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ২২শে মে তারিখে ইলেকশন কমিশন সুলতান বতেরিতে প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন এবং ভোটার ভেরিফিকেশন পেপার অডিট ট্রায়াল মেশিনদুটি আনেন।
কালিকট থেকে কোল্লেগাল অবধি বিস্তৃত জাতীয় সড়ক ৭৬৬ (ভারত)|৭৬৬ নং জাতীয় সড়কটি বয়নাড়ু জেলার পশ্চিম থেকে পূর্বে বিস্তৃত৷ এই সড়কটি কেরালা-তামিলনাড়ু সীমান্তে বন্দীপুর জাতীয় উদ্যানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘায়িত৷
|
948089
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948089
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস (১৯৯১-২০০৮)
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস (১৯৯১-২০০৮)
১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে শুরু হয়, যা শীতল যুদ্ধের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিয়েছিল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের প্রভাবশালী পরাশক্তি হিসাবে অপরিবর্তিত রাখে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সম্পৃক্ততায় অগ্রণী ভূমিকা নেয়। পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশ কুয়েত থেকে আক্রমণকারী ইরাকি বাহিনীকে বহিষ্কার করে। অপরদিকে, ডেমোক্র্যাটরা ১৯৯২ সালে বিল ক্লিনটনের নির্বাচন নিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসে। ১৯৯৪ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে, রিপাবলিকানরা ৪০ বছরে প্রথমবারের মতো কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ অর্জন করে। কংগ্রেসে ক্লিনটন এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে লড়াইয়ের ফলে প্রথমে একটি বাজেট সঙ্কটকে অনুসরণ করে ফেডারেল সরকার বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু পরে তারা কল্যাণমূলক সংস্কার, শিশুদের স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচি ও একটি সুষম বাজেট পাস করার জন্য একত্রে কাজ করে। লুইনস্কি কেলেঙ্কারী থেকে প্রাপ্ত অভিযোগগুলি ১৯৯৯ সালে প্রতিনিধি পরিষদ দ্বারা ক্লিনটনকে অভিশংসনের দিকে পরিচালিত করে, কিন্তু পরে সেনেট তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়। ১৯৯০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি উচ্চ-প্রযুক্তি শিল্পের উৎসাহে উত্থিত হয়, যতক্ষণ না ন্যাসড্যাক ক্র্যাশ হয়ে ডট-কম বুদ্বুদ ফেটে যায় এবং ২০০০-এর দশকের মন্দা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সমাপ্তিকে চিহ্নিত করে।
২০০০ সালে, মার্কিন ইতিহাসের নিকটতম এবং সবচেয়ে বিতর্কিত নির্বাচনে রিপাবলিকান জর্জ ডাব্লিউ বুশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তার মেয়াদ শুরুর দিকে, তার প্রশাসন অর্থনীতিতে উদ্দীপনা জাগানোর লক্ষ্যে শিক্ষা সংস্কার এবং একটি বিশাল কর-বোর্ডের কর কেটে অনুমোদন দেয়। ২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বরের হামলার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তানে যুদ্ধ শুরু করে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক যুদ্ধ শুরু করে। ২০০৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক আক্রমণ করে, যা সাদ্দাম হুসেনের বিতর্কিত শাসন ব্যবস্থাকে বহিষ্কার করে, কিন্তু এর ফলে দীর্ঘকালীন দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, যা দশক ধরে অব্যাহত থাকবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করা হয় এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশীয় প্রচেষ্টাকে জোরদার করার জন্য বিতর্কিত দেশপ্রেম আইন পাস করা হয়। ২০০6 সালে, ধ্বংসাত্মক হারিকেন ক্যাটরিনায় (যা ২০০৫ সালে উপসাগরীয় উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানে) সৃষ্টি পরিস্থিতি পরিচালনার বিষয়ে সমালোচনা, রাজনৈতিক কেলেঙ্কারী এবং ইরাক যুদ্ধের ক্রমবর্ধমান অ-জনপ্রিয়তা ডেমোক্র্যাটদের কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ পেতে সহায়তা করে। পরে সাদ্দাম হুসেনের বিচার করা হয়, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য অভিযুক্ত করা হয় এবং ফাঁসি দেওয়া হয়। ২০০৭ সালে, রাষ্ট্রপতি বুশ ইরাকে একটি সেনা বাহিনী প্রেরণের নির্দেশদেন, যা শেষ পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যার হ্রাস ঘটায়।
১৯৩০-এর দশকে মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে অবস্থিত প্রচুর পরিমাণে তেল মজুদ থাকায় তেল নিয়ে শিল্পোন্নত বিশ্বের যথেষ্ট নির্ভরতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, প্রথম ১৯৭৩ সালে তেল সংকট এবং দ্বিতীয় ১৯৭৯ সালে শক্তি সংকটে পরে।
|
948100
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948100
|
সামাজিক বিজ্ঞানের ইতিহাস
|
সামাজিক বিজ্ঞানের ইতিহাস
সামাজিক বিজ্ঞানের ইতিহাসের সূত্রপাত হয় পশ্চিমা দর্শনসহ বিভিন্ন পূর্বসূরী হতে, কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে প্রত্যক্ষবাদী বিজ্ঞানের দর্শনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি হতে কেবল সমাজবিজ্ঞানই নয় বরং সমাজ ও সংস্কৃতি, নৃবিজ্ঞান, ভাষাবিজ্ঞান থেকে শুরু করে গণমাধ্যম অধ্যয়নের ব্যাখ্যা করে এমন সকল শাখায় "সামাজিক বিজ্ঞান" আরও ব্যাপকভাবে উল্লেখিত হতে থাকে।
পাণ্ডিত্যপূর্ণ রীতিনীতি ও পদ্ধতি অনুসারে সমাজ নিয়ে অধ্যয়ন করা যায় এই ধারণাটি তুলনামূলকভাবে নতুন। মধ্যযুগীয় ইসলামে সমাজবিজ্ঞানের প্রারম্ভিক ধারণার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং কনফুসিয়াসের মত দার্শনিকগণ দীর্ঘকাল পূর্ব থেকেই সামাজিক রীতিনীতির মত বিষয়ের তত্ত্ব প্রদান করেছেন। আলোকিত যুগ থেকে শুরু করে আধুনিকতা পর্যন্ত "মানুষ" ধারণাটির বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ খুবই অদ্ভুত। সামাজিক বিজ্ঞান সময়ের নৈতিক দর্শন থেকে উদ্ভূত এবং বিপ্লবী যুগ, তথা শিল্প বিপ্লব ও ফরাসি বিপ্লব হতে অনুপ্রাণিত। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সামাজিক বিজ্ঞানের সূত্রপাত দিদেরোর মহা বিশ্বকোষে জঁ-জাক রুসোর ও সামাজিক বিজ্ঞানের অন্যান্য অগ্রদূতদের নিবন্ধ হতে পাওয়া যায়।
প্লেটোর "রিপাবলিক" রাজনৈতিক দর্শন ও জীবনের প্রভাবশালী গবেষণামূলক আলোচনা গ্রন্থ।
অ্যারিস্টটল সামাজিক সংগঠনের উপর "পলিটিক্স" ও "কনস্টিটিউশন অব দি অ্যাথেনিয়ান্স"-সহ কয়েকটি রচনা প্রকাশ করেন।
মধ্যযুগীয় ইসলামি সভ্যতায় সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান পাওয়া যায়। আল বিরুনি (৯৭৩-১০৪৮) মধ্যপ্রাচ্য, ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ এশিয়ায় মানুষ, ধর্ম ও সংস্কৃতির নৃবিজ্ঞান নিয়ে বিস্তারিত তুলনামূলক গবেষণা রচনা করেছেন। পণ্ডিতবৃন্দ ইসলামি নৃবিজ্ঞানে বিরুনির কাজের প্রশংসা করেন।
ইবন খালদুন (১৩৩২-১৪০৬) জনসংখ্যা, ঐতিহাসিক চিত্র, ইতিহাসের দর্শন, সমাজবিজ্ঞান ও অর্থনীতি নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি "মুকাদ্দিমা" রচনার জন্য সুপরিচিত।
রেনেসাঁস যুগের কাছাকাছি সময়ে চতুর্দশ শতাব্দীর দিকে বুরিদানুস ও ওরেসমিউস অর্থ নিয়ে গবেষণা করেন। পঞ্চদশ শতাব্দীতে ফ্লোরেন্সের সন্ত আতোনিন তুলনামূলক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া নিয়ে লিখেন। ষোড়শ শতাব্দীতে লিওনার্দ দে লেইস, হুয়ান দে লেগো ও বিশেষ করে লুইস মলিনা অর্থনীতি সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে লিখেন। এইসব লেখকগণ ব্যাখ্যা করেন যে সম্পত্তি জনকল্যাণের নিমিত্তে ব্যবহৃত হয়।
বিজ্ঞানের এই শাখাটি বর্ণনামূলকই রয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ, টমাস হবসের সময়ে তিনি যুক্তি প্রদর্শন করেন যে স্বতঃসিদ্ধ অবরোহী যুক্তি থেকে বৈজ্ঞানিক কাঠামো তৈরি হয় এবং তার "লেভিয়াথান" রচনাটি রাজনৈতিক কমনওয়েলথের এক বৈজ্ঞানিক বর্ণনা।
১৮২৪ সালে উইলিয়াম টমসন (১৭৭৫-১৮৩৩) রচিত "অ্যান ইনকোয়ারি ইনটু দ্য প্রিন্সিপালস অব দ্য ডিস্ট্রিবিউশন অব ওয়েলথ মোস্ট কনডাক্টিভ টু হিউম্যান হ্যাপিনেস; অ্যাপ্লাইড টু দ্য নিউলি প্রপোজড সিস্টেম অব ভলান্টারি ইকোয়ালিটি অব ওয়েলথ" ("An Inquiry into the Principles of the Distribution of Wealth Most Conducive to Human Happiness; applied to the Newly Proposed System of Voluntary Equality of Wealth") বইতে প্রথমবারের মত "সামাজিক বিজ্ঞান" ধারণাটি দেখা যায়। অগুস্ত কোঁত (১৭৯৭-১৮৫৭) যুক্তি প্রদর্শন করে যে ধারণা তিনটি উদীয়মান স্তরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে, সেগুলো হল ধর্মতাত্ত্বিক, দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক। তিনি এই তিনটি স্তরের পার্থক্য দেখান যে প্রথমটি অনুমাননির্ভর, দ্বিতীয়টি সমালোচনামূলক চিন্তাধারানির্ভর এবং তৃতীয়টি ইতিবাচক পর্যবেক্ষণনির্ভর। কার্ল মার্ক্স প্রথম দিকের লেখকদের একজন যিনি দাবি করেন যে তার গবেষণার পদ্ধতি ইতিহাসের বৈজ্ঞানিক দিক তুলে ধরে। উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে মানব আচরণ বিষয়ক উক্তিতে সমীকরণ প্রয়োগের চেষ্টা বহুল ব্যবহৃত হতে থাকে। তন্মধ্যে প্রথম ছিল ভাষাবিজ্ঞানের আইন, যা ভাষায় শব্দের পরিবর্তনের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করে।
বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ্বে পরিসংখ্যান ফলিত গণিতের উল্লেখযোগ্য শাখা হিসেবে রূপান্তরিত হয়। জীববিজ্ঞানের পরিসাংখ্যিক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিসাংখ্যিক পদ্ধতি দৃঢ়তার সাথে ব্যবহৃত হত।
জন ডিউয়ি (১৮৫৯-১৯৫২) দর্শনের বৈজ্ঞানিক মতবাদের অন্যতম সমর্থক। ১৮৮৭ সালে তার রচিত "সাইকোলজি" বইতে তিনি মার্ক্সের মত হেগেলীয় ভাববাদ ও যুক্তি নিরীক্ষামূলক বিজ্ঞানের সাথে গ্রন্থিত করেন। তবে তিনি হেগেলীয় মতবাদ পরবর্তীকালে ত্যাগ করে চার্লস স্যান্ডার্স পিয়ার্স ও উইলিয়াম জেমস হতে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি মার্কিন প্রয়োগবাদ আন্দোলনে যোগ দেন। তিনি এরপর মৌলিক মতবাদ উদ্ভব করেন এবং তার "দি ইনফ্লুয়েন্স অব ডারউইন অন ফিলসফি" ("The Influence of Darwin on Philosophy") প্রবন্ধে (১৯১০) তা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করেন।
|
948101
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948101
|
বড়লেখা থানা
|
বড়লেখা থানা
বড়লেখা থানা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত বড়লেখা উপজেলার একটি থানা।
১৯৪০ সালের ২৮ মে বড়লেখা থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
বড়লেখা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম বড়লেখা থানার আওতাধীন।
|
948104
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948104
|
নগর (দেশীয় রাজ্য)
|
নগর (দেশীয় রাজ্য)
নগর (, "রিয়াসাত নগর") পাকিস্তানের গিলগিত-বাল্টিস্তানের উত্তর অংশের একটি দেশীয় স্যালুট রাজ্য ছিল। ১৯৪৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত এটি ব্রিটিশ ভারতের সাথে একটি সহায়ক জোটে ছিল। এটি দক্ষিণ ও পশ্চিমে গিলগিট এজেন্সি রাজ্য এবং উত্তর ও পূর্বে জেলা হুঞ্জার রাজ্যগুলোর সীমানা বেষ্টিত। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত এটি পাকিস্তানের একটি রাজ্য ছিল। রাজ্যের রাজধানী ছিল "নগর" শহর। পূর্বে নগর রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত থাকা অঞ্চলটি বর্তমানে উত্তর পাকিস্তানের নগর জেলার তিনটি তেহসিলে বিভক্ত।
চৌদ্দ শতকে প্রতিষ্ঠিত নগর রাজ্য ১৮৮৯ সাল থেকে ১৮৯৩ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের পরিচালিত হুঞ্জা-নগর অভিযানের মাধ্যমে ব্রিটিশরা রাজ্যটির নিয়ন্ত্রণ না পাওয়া পর্যন্ত স্বায়ত্তশাসিত রাজত্ব ছিল। এটি ১৯৪৭ সাল অবধি গিলগিট এজেন্সির প্রশাসনের অধীনে একটি ঔপনিবেশিক দেশীয় রাজ্য ছিল। তবে ১৮৬৮ সাল থেকে এটি কাশ্মীরের দ্বারা সরাসরি শাসিত না হওয়া সত্ত্বেও এটি জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজার একটি ভাসাল ছিল। নগরের শাসকগণকে জম্মু ও কাশ্মীরের মহারাজদের সবচেয়ে অনুগত ভাসলদের মধ্যে একজন বিবেচনা করা হত। নগরের শাসকগণ ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তাদের দরবারে বার্ষিক কর প্রদান করতো। ব্রিটিশরা তাদেরকে ১৫-বন্দুকের বংশগত সালাম দিত।
১৯৪৭ সালের নভেম্বরে, নগর পাকিস্তান অধিরাজ্যে যোগদান করে। এর ফলে নগর রাজ্যের বাহ্যিক বিষয় এবং প্রতিরক্ষা বিষয়ক সব ক্ষমতা পাকিস্তানের হাতে চলে যায়। কিন্তু এর অভ্যন্তরীণ বিষয় নগর রাজ্যের স্ব-সরকার পরিচালনা করতো। ১৯৬৮ সালে উপত্যকার প্রথম শিক্ষিত রাজনীতিবিদ সৈয়দ ইয়াহিয়া শাহ নগরের মীরের কাছ থেকে নাগরিক অধিকার দাবি করেন। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতৃত্বাধীন সরকার (জুলফিকার আলী ভুট্টোর অধীনে) নগরের মীরকে ক্ষমতা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। ফলে অঞ্চলটি উত্তর অঞ্চলগুলোর সাথে একীভূত হয়ে যায়।
এই রাজ্যটি মাগলুত রাজবংশের বংশগত শাসক দ্বারা শাসিত ছিল। নগরের শাসকদের উপাধি ছিল "মীর"। এর প্রাথমিক শাসকদের বিবরণ অনিশ্চিত; উপলভ্য প্রথম সুনির্দিষ্ট তারিখগুলি ১৮৩৯ সাল থেকে। ১৯৪৭ সালের নভেম্বরে, রাজ্যটি পাকিস্তানের অন্যতম দেশীয় রাজ্য হয়ে ওঠে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টো কর্তৃক বিলুপ্ত হওয়ার আগে ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত আলী খান রাষ্ট্রের সর্বশেষ শাসক ছিলেন।
নগর উপত্যকায় প্রায় ৯০,০০০ বাসিন্দা রয়েছে (একেআরএসপি আদমশুমারি, ২০০০)।
নগরে দুটি প্রধান নৃগোষ্ঠী রয়েছে - বুরুশস্কি-ভাষী এবং শিনা-ভাষী। একটি প্রাচীনতম বুরুশস্কি এখনও একটি হালকা আধুনিক উচ্চারণ সহ উপত্যকায় কথিত। তৃতীয় ভাষা বেদেস্কি এখনও চাল্ট নগরে কথ্য।
নগরের জনসংখ্যার ঐতিহ্যগতভাবে শিয়া ইসনা আশারিয়া (জাফরিয়া বা বারো ইমাম পন্থী)। ২০০৫ সালের জানুয়ারিতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরে, তানজিম আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাআত সুন্নিদের প্রতিনিধিত্ব করে এবং শিয়াদের (জাফরিয়া) প্রতিনিধিত্বকারী কেন্দ্রীয় আঞ্জুমান-ই-ইমামিয়া এলাকায় শান্তি নিশ্চিত করতে ২০০৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরাঞ্চল আইন পরিষদ (এনএলসি) দ্বারা সজ্জিত ছয় দফা শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
নগরের শিনা-ভাষী (শিনাকি / শীনবার) গ্রাম গুলোর তালিকা:
নগরের বুরুশস্কি-ভাষী গ্রাম সমূহ:
নগরে দ্বিভাষিক উপত্যকার তালিকা:
নগর রাজ্যের গ্রামগুলোতে প্রধানত ধর্মীয় পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, ক্রীড়াবিদ, কারিগর এবং কারিগর মহিলা, কৃষক, শিকারী এবং জেলে, হস্তশিল্পি, খনিজক, রাখাল, দুঃসাহসিক কাজকারী, পর্বতারোহীরা বাস করে।
|
948108
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948108
|
সুজানগর ইউনিয়ন
|
সুজানগর ইউনিয়ন
সুজানগর ইউনিয়ন নামে বাংলাদেশে মোট ২টি ইউনিয়ন রয়েছে। যথা:
|
948114
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948114
|
ক্যালকুলাসের ইতিহাস
|
ক্যালকুলাসের ইতিহাস
ক্যালকুলাস তার প্রথম ইতিহাসে অনন্য ক্যালকুলাস হিসাবে পরিচিত, এটি একটি গাণিতিক শৃঙ্খলা যা সীমা, ধারাবাহিকতা, ডেরিভেটিভস, ইন্টিগ্রালস এবং অনন্ত সিরিজের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। আইজ্যাক নিউটন এবং গটফ্রিড উইলহেলম লিবনিজ স্বাধীনভাবে ইনফিনাইটিমাল ক্যালকুলাসের তত্ত্বটি সপ্তদশ শতকের শেষদিকে বিকশিত করেছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে, প্রতিটি পণ্ডিত দাবি করেছিলেন যে অন্যজন তার কাজ চুরি করেছে, এবং লিবনিজ-নিউটন ক্যালকুলাস বিতর্ক ১৭১৬ সালে লিবনিজের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।
প্রাচীন আমলে কিছু ধারণা প্রবর্তিত হয়েছিল যা ইন্টিগ্র্যাল ক্যালকুলাসের (সমাকলন) দিকে পরিচালিত করেছিল, তবে মনে হয় না এই ধারণাগুলি কঠোর এবং নিয়মিত পদ্ধতিতে বিকশিত হয়েছিল। আয়তন এবং ক্ষেত্রফলের গণনা, সমাকলনের একটি লক্ষ্য, মিশরীয় পেপাইরাস (খ্রিস্টপূর্ব ১৮২০ অব্দ) -এ পাওয়া যায়, তবে সূত্রগুলি কেবলমাত্র কংক্রিট সংখ্যার জন্য দেওয়া হয়, কিছুগুলি কেবল প্রায় সত্য, এবং সেগুলি যুক্তি দ্বারা প্রাপ্ত হয় না । ব্যাবিলনীয়রা বৃহস্পতির জ্যোতির্বিজ্ঞান পর্যবেক্ষণ করার সময় হয়তো ট্র্যাপিজয়ডাল নিয়মটি আবিষ্কার করেছিল।
গ্রীক গণিতের যুগে যুগে ইউডক্সাস (খ্রিস্টপূর্ব ৪০৮-৩৫৫) নিঃশেষ পদ্ধতিটি ব্যবহার করেছিলেন যা ক্ষেত্রফল এবং আয়তন গণনা করার জন্য লিমিটের ধারণা দিয়েছিল, যখন আর্কিমিডিস (খ্রিস্টপূর্ব ২৮৭−২১২) এই ধারণাটিকে আরও বিকশিত করেছিলেন , সমাকলন পদ্ধতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হুরিস্টিকস আবিষ্কার করার মাধ্যমে।
গ্রীক গণিতবিদদেরও এবিষয়ে উল্লেখযোগ্য কর্মের জন্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ডেমোক্রিটাস হলেন প্রথম ব্যক্তি যিনি অসীম সংখ্যক ক্রস-বিভাগে বস্তুর বিভাজনকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করেছেন, তবে একটি বেলনের মসৃণ ঢালের পৃথক পৃথক অংশকে যৌক্তিকরূপে বিবেচনা করতে তার অক্ষমতা তাকে ধারণাটি গ্রহণ করতে বাধা দেয়। আনুমানিক একই সময়ে, জেনো যে প্যারাডক্স তৈরি করেছিলেন, তার দ্বারা তিনি এর বিরোধিতা করেছিলেন।
আর্কিমিডিস এই পদ্ধতিটি আরও বিকশিত করেছিলেন, পাশাপাশি তাঁর দ্য কোয়াড্রেচার অফ দ্য প্যারাবোলার , দ্য মেথড, এবং অন দ্য স্ফিয়ার অ্যান্ড সিলিন্ডারে কিছুটা আধুনিক যুগের ধারণাগুলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হিউরিস্টিক পদ্ধতিগুলিও আবিষ্কার করেছিলেন।
এটি ভাবা উচিত নয় যে এই সময়ে ব্যবকলনকে কঠোর পদক্ষেপে রাখা হয়েছিল। যখনই কোনও যথাযথ জ্যামিতিক প্রমাণ দ্বারা প্রমাণ হয়েছিল কেবল তখনই গ্রীক গণিতবিদরা কোনও প্রস্তাব সত্য হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। ১৭শ শতাব্দীর আগ পর্যন্ত কাভালিরি কর্তৃক এই পদ্ধতিটি নিঃশেষে বিভাজ্যের পদ্ধতি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবর্তন করা হয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত নিউটনের দ্বারা কৃত সমাকলনের সাধারণ কাঠামোর সাথে সংযুক্ত করা হয়েছিল। অন্তরীকরণের অনুরূপ পদ্ধতিতে আর্কিমিদিস প্রথম বৃত্ত ব্যতীত একটি বক্ররেখার স্পর্শক খুঁজে পেয়েছিলেন। সর্পিল অধ্যয়নকালে, তিনি একটি বিন্দুর গতিকে দুটি উপাদান, একটি রেডিক্যাল গতি উপাদান এবং একটি বৃত্তাকার গতি উপাদানে বিভক্ত করেন এবং তারপরে দুটি উপাদানগুলির গতি একসাথে যুক্ত করতে থাকেন, যার ফলে বক্ররেখার স্পর্শক খুঁজে পাওয়া যায়।
আইজ্যাক ব্যারো এবং জোহান বার্নৌলির মতো ক্যালকুলাসের অগ্রদূতরা আর্কিমিদিসের পরিশ্রমী শিক্ষার্থী ছিলেন; উদাহরণস্বরূপ- সি এস রুরো (১৯৮৩) একজন।
নিঃশেষ পদ্ধতি চতুর্থ শতাব্দীতে চীনা গণিতবিদ লিউ হুই দ্বারা একটি বৃত্তের ক্ষেত্রের সন্ধানের জন্য পুনরায় উদ্ভাবন করা হয়েছিল। ৫ম শতাব্দীতে জু চঙঝি একটি পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যা পরবর্তীতে একটি গোলকের পরিমাণ খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহৃত হতো যাকে কাভালিরির নীতি বলা হতো।
|
948115
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948115
|
জয়প্রকাশ নারায়ণ
|
জয়প্রকাশ নারায়ণ
জয়প্রকাশ নারায়ণ (১১ অক্টোবর ১৯০২ - ৮ অক্টোবর ১৯৭৯) জনপ্রিয়ভাবে জে পি বা লোক নায়ক (ইংরেজি ভাষায় দি পিপলস লিডার) নামে পরিচিত, তিনি ছিলেন একজন ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী, তাত্ত্বিক, সমাজতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক নেতা। তিনি "ভারত ছাড়ো আন্দোলনের বীর" নামেও পরিচিত এবং ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিরোধী নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তাকে স্মরণ করা হয়, যার পতনের জন্য তিনি "সম্পূর্ণ বিপ্লব" করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তার জীবনী "জয়প্রকাশ" তার জাতীয়তাবাদী বন্ধু এবং হিন্দি সাহিত্যের বিশিষ্ট লেখক রামবৃক্ষ বেনিপুরী লিখেছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি তার সামাজিক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ মরণোত্তরভাবে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্ন লাভ করেন। অন্যান্য পুরস্কারগুলির মধ্যে রয়েছে ১৯৬৫ সালে পাবলিক সার্ভিসের জন্য ম্যাগসেসে পুরস্কার।
আপদকালীন সময় তার নেতৃত্বে যে আন্দোলন হয়েছিল তাকে জেপি মুভমেন্ট বলা হয়।
জয়প্রকাশ নারায়ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১১ই অক্টোবর ১৯০২ সালে। তিনি সীতাবাদিয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন যেটি আগ্রা ও ঔধের সংযুক্ত প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে বালিয়া জেলা, উত্তর প্রদেশ, ভারত) অবস্থিত। সীতাবদিয়ারা একটি বিরাট গ্রাম, দুটি রাজ্য এবং তিনটি জেলায় বিস্তৃত — বিহারের সারন এবং ভোজপুর এবং উত্তর প্রদেশের বালিয়া। তার বাড়ি বন্যাকবলিত ঘর্ঘরা নদীর তীরে ছিল। প্রতিবার বর্ষায় নদীটি বয়ে গেলে, বাড়িটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হত, অবশেষে তার পরিবার কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি জনবসতিতে যেতে বাধ্য হয়েছিল, যা এখন জয় প্রকাশ নগর নামে পরিচিত এবং গ্রামটি উত্তরপ্রদেশের সীমানায় পড়েছে।
তিনি কায়স্থ পরিবার থেকে এসেছিলেন। তিনি হর্ষু দয়াল ও ফুল রানী দেবীর চতুর্থ সন্তান ছিলেন। তার বাবা হর্ষু দয়াল রাজ্য সরকারের খাল বিভাগের একজন জুনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন এবং প্রায়শই এই অঞ্চলটি ভ্রমণ করতেন। নারায়ণ যখন ৯ বছর বয়সী ছিলেন, তখন তিনি পাটনার কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য তার গ্রাম ছেড়েছিলেন। এটি ছিল গ্রামীণ জীবন থেকে তার প্রথম বিরতি। তিনি সরস্বতী ভবন নামে একটি ছাত্র হোস্টেলে থাকতেন, যেখানে বেশিরভাগ ছেলেদের বয়স কিছুটা বড় ছিল। তাদের মধ্যে বিহারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কৃষ্ণ সিনহা, তার সহকারী নারায়ণ সিনহা সহ আরও কিছু ভবিষ্যত নেতা ছিলেন যারা রাজনীতি এবং একাডেমিক বিশ্বে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছিলেন।
১৯২০ সালের অক্টোবরে, ১৮ বছর বয়সী নারায়ণ ব্রজ কিশোর প্রসাদের ১৪ বছরের কন্যা প্রভাবতি দেবীকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি তার নিজের অধিকারে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন।,তাদের বিয়ের পরে, যেহেতু নারায়ণ পাটনায় কর্মরত ছিলেন এবং তার স্ত্রীর পক্ষে তার সঙ্গে থাকা কঠিন ছিল, তাই গান্ধীর আমন্ত্রণে প্রভাবতী সবরমতী আশ্রমের (আহমেদাবাদ) বাসিন্দা হয়েছিলেন।
জয়প্রকাশ তার কিছু বন্ধু সহ ১৯১৯ সালে রাওলাট আইন পাসের বিরুদ্ধে গান্ধী দ্বারা পরিচালিত অসহযোগ আন্দোলন সম্পর্কে মাওলানা আবুল কালাম আজাদের মতামত শুনতে যান। মাওলানা ছিলেন একজন উজ্জ্বল বক্তা এবং তার ইংরেজ পড়াশোনা বয়কট করার আহ্বান ছিল "ঝড়ের আগে পাতার মতো"। জয়প্রকাশ তার চিন্তা থেকে দূরে সরে গেল এবং মুহূর্তে যেন আকাশে উঠে গেল। একটি দুর্দান্ত ধারণার বাতাসের সাথে উড়ে যাওয়ার সেই সংক্ষিপ্ত অভিজ্ঞতা তার অন্তরের উপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছিল।
জয়প্রকাশ মাওলানার কথায় মনোনিবেশ করেছিলেন এবং তার পরীক্ষার মাত্র ২০ দিন আগে বিহার জাতীয় কলেজ ত্যাগ করেন। জয়প্রকাশ রাজেন্দ্র প্রসাদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি কলেজ "বিহার বিদ্যাপীঠে" যোগদান করেছিলেন এবং গান্ধীর অনুরাগী নারায়ণ সিনহার পছন্দের ছাত্রদের মধ্যে সেরা একজনে পরিণত হয়েছিল।
বিদ্যাপীঠে কোর্স শেষ করে দেওয়ার পরে, জয়প্রকাশ আমেরিকাতে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
বিশ বছর বয়সে, জয়প্রকাশ কার্গো জাহাজ "জানুসে" চড়ে যাত্রা করেছিলেন, এবং প্রভবতী সেসময় সবরমতীতে ছিলেন। জয়প্রকাশ ১৯২২ সালের ৮ ই অক্টোবর ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছেছিলেন এবং ১৯২৩ সালের জানুয়ারিতে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়াতে ভর্তি হন।
১৭ বছর বয়সে, জয়প্রকাশ ১৯১৯ সালের অক্টোবরে আইনজীবী এবং জাতীয়তাবাদী ব্রিজ কিশোর প্রসাদের কন্যা প্রভবতী দেবীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। প্রভাবতী খুব স্বাধীনচেতা ছিলেন এবং গান্ধীর আমন্ত্রণে তার আশ্রমে থাকতে গিয়েছিলেন এবং জয়প্রকাশ পড়াশোনা চালিয়ে যান। প্রভাবতী দেবী ক্যান্সারের সাথে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে ১৯৭৩ সালের ১৫ এপ্রিল মারা যান।
|
948116
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948116
|
হুগো লোপেজ-স্যাটেলাইট রামরেজ
|
হুগো লোপেজ-স্যাটেলাইট রামরেজ
হুগো লোপেজ-স্যাটেলাইট রামরেজ ( মেক্সিকো সিটি, ফেব্রুয়ারী 22, 1969) তিনি একজন মেক্সিকান মেডিকেল এপিডেমিওলজিস্ট, গবেষক, অধ্যাপক এবং বেসামরিক কর্মচারী। ডিসেম্বর 1, 2018 থেকে, তিনি মেক্সিকো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্য প্রচারের বোঝাপড়া বিভাগের প্রধান ছিলেন
2020 সালে, তিনি কোভিড -19 রোগের কারণে মহামারীটির বিরুদ্ধে সরকারী পদক্ষেপের নেতৃত্ব দিয়ে তাঁর দেশের জনজীবনে প্রাসঙ্গিকতা অর্জন করেছিলেন।
ল্যাপেজ-গেটেল মেক্সিকো জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন, যেখানে তিনি ১৯৯৪ সালে ডাক্তার হিসাবে স্নাতক হন। সালভাদোর জুবিরন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস ও নিউট্রিশনের অভ্যন্তরীণ চিকিত্সার একটি বিশেষত্ব রয়েছে, যা তিনি ২০০০ সালে শেষ করেছিলেন; তিনি মেক্সিকোয়ের জাতীয় স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেডিকেল, ডেন্টাল এবং স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং ২০০ 2006 সালে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথ-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ডক্টরেট পরবর্তী সময়ে তিনি একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। এইচআইভি সংক্রামিত পুরুষদের বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে যক্ষ্মার প্রভাব নিয়ে সম্ভাব্য গবেষণা, যা ২০০৮ সালে একটি নিবন্ধ হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিল।
তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) দ্বারা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণের বিশেষজ্ঞ কমিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। আপনি এই গ্রুপে চার বছরের জন্য অংশ নেবেন।
1 ডিসেম্বর, 2018 সাল থেকে এবং বর্তমানে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য প্রচার বিষয়ক বোঝাপড়া বিভাগের প্রধানের পদে আছেন।
|
948127
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948127
|
জুড়ী থানা
|
জুড়ী থানা
জুড়ী থানা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত জুড়ী উপজেলার একটি থানা।
২০০৪ সালের ২৬ আগস্ট জুড়ী থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
জুড়ী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম জুড়ী থানার আওতাধীন।
|
948140
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948140
|
খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দ
|
খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দ
খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দ বলতে ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ হতে ৩০০১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ সময়কালকে বুঝানো হয়। এই সময়ে মানব সংস্কৃতিতে কিছু বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রোঞ্জ যুগের সূচনা এবং লেখার আবিষ্কার যা রেকর্ডকৃত বা লিখিত ইতিহাস শুরু করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।
সুমের ও মিশরের শহর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। ইউরেশিয়া জুড়ে কৃষিকাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিলো এই সময়েই।
নব্যপ্রস্তরযুগীয় বিপ্লবের কারণে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের পরে বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধি শিথিল হয়েছিলো। বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ মিলিয়নে স্থিতিশীল ছিলো, ধীরেধীরে গড় বৃদ্ধির হার ছিলো প্রায় ০.০৩%।
মেসোপটেমিয়া তখন উরুক সময়কালে, এসময় বিকশিত হয় "প্রত্ন-কিউনিফর্ম" লিখন, উদীয়মান সুমেরীয় আধিপত্য; ৬০-ভিত্তিক গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্র, নাগরিক আইন, জটিল হাইড্রোলজি বা জলবিদ্যা, পালতোলা নৌকা, মৃৎশিল্পে কুমোরের চাকা এবং চাকা; তাম্র যুগ প্রাথমিক ব্রোঞ্জ যুগের দিকে এগিয়ে যায়।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে গ্রিসের থেরা (সান্টোরিনি) দ্বীপে প্রথম নব্যপ্রস্তরযুগীয় বসতি স্থাপনকারীরা সম্ভবত মিনোয়ান ক্রিট থেকে এসেছিলো। এসময়ের ইরানের সুসায় (আধুনিক শুসা, ইরান) তৈরি একটি বিকার (একরকম হাতলছাড়া পাত্র) পাওয়া গিয়েছে যা বর্তমানে প্যারিসের লুভ্র জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০–২০০০ অব্দের দিকে "মানুষ এবং প্রাণী" নামে স্পেনের লেইডার কোগালে পাওয়া গিয়েছে শিলায় আঁকা একটি চিত্রকর্ম। এটি বর্তমানে বার্সেলোনার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৬০০ অব্দে মাল্টার গোজো দ্বীপে জ্গান্তিজা বহুপ্রস্তর (মেগালিথিক) মন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ হয় যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম মুক্ত-স্থিতি কাঠামো এবং বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম ধর্মীয় কাঠামো।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৬০০–৩২০০ অব্দে মাল্টার নাজদ্রায় সৌর মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে প্রথম এমন মন্দিরের নির্মাণ হয় যাতে পাথরের বেঞ্চ এবং পাথরের টেবিলের মতো আসবাব রয়েছে। পাথরের আসবাবই এটিকে অন্যান্য ইউরোপীয় বহুপ্রস্তর (মেগালিথ) নির্মাণ থেকে পৃথক করে রেখেছে।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৬০০–৩০০০ অব্দে মাল্টায় "তা হারাত" এবং "কর্ডিন তৃতীয়" মন্দির নির্মাণ করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে মহেঞ্জোদারো এলাকায় মেটালকাস্টিংয়ের সূচনা হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে আঁকা একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার চিত্র পাওয়া গেছে রোমানিয়ার কার্নাভোডা থেকে। এগুলো বর্তমানে বুখারেস্টের জাতীয় রোমান ঐতিহাসিক যাদুঘরে রাখা আছে।খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০-৩৪০০ অব্দে "পাত্রসহ নৌকো" চিত্রকর্মটি করা হয়, যা হিয়েরাকনপোলিসে (বর্তমানে ব্রুকলিন জাদুঘরে) পাওয়া গিয়েছিলো।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০–২৩৪০ অব্দে দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ায় প্রথম শহরাঞ্চলের বিকাশ হয়। এর বাসিন্দারা উত্তর থেকে পাড়ি জমিয়েছিলো। পরবর্তীকালে ৪র্থ সহস্রাব্দের চিত্রগ্রাফিক প্রত্ন-রচনা থেকে কিউনিফর্ম লিখনটি যথাযথভাবে উদ্ধার হয়েছিল। মেসোপটেমিয়ার "প্রত্ন-সাক্ষর" সময়টি ৩৫তম থেকে ৩২তম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। জেমদেত নসর-এ ৩১ম শতাব্দীর সুমেরীয় ভাষায় দ্ব্যর্থহীনভাবে লেখা প্রথম দলিল পাওয়া যায়।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০–২৯০০ অব্দে আয়ারল্যান্ডে নিউগ্র্যাঞ্জ সৌর মানমন্দির/উত্তরণ সমাধির নির্মাণ হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০ অব্দে সিন্ধু উপত্যকায় (হরপ্পা) ব্রোঞ্জ যুগের শুরু হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০ অব্দে ওত্জি দ্য আইসম্যান বর্তমান অস্ট্রিয়া এবং ইতালির সীমান্তের নিকটে মারা যান, ১৯৯১ সালে কেবল আবিষ্কার করা গিয়েছিল যে ওত্জ্তাল আল্পসের (Ötztal Alps) হিমবাহে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর কারণটি হত্যাকাণ্ড বলে বিশ্বাস করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৫০–৩০০০ অব্দে মাল্টার তারকিয়নে তিনটি বহুপ্রস্তর (মেগালিথিক) মন্দির নির্মাণ করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২০০–২৫০০ অব্দে মাল্টায় সৌর এবং চন্দ্র উভয় প্রান্তরেখা সমন্বিত আগার কিম বহুপ্রস্তর (মেগালিথিক) মন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়েছিলো।
খ্রিষ্টপূর্ব ৩১৫০ অব্দে প্রাচীন মিশরে প্রাকরাজত্ব সময়কাল শেষ হয় ও প্রাথমিক রাজত্বকাল (প্রত্নতাত্ত্বিক) শুরু হয় (ফরাসি মিশরবিদ নিকোলাস গ্রিমালের মতে)। এই সময়কালের মধ্যে ১ম এবং ২য় রাজত্বও অন্তর্ভুক্ত। খ্রিষ্টপূর্ব ৩১১৪ অব্দে (১১ আগস্ট) মায়ান ক্যালেন্ডারের তারিখ শুরু হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ অব্দে কিংবদন্তি অনুসারে, মেনেস উচ্চ এবং নিম্ন মিশরকে এক করেন এবং মেম্ফিসে একটি নতুন রাজধানী স্থাপন করেন।
এছাড়াও এসময়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে রয়েছে-
|
948142
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948142
|
আকাশীতরার কথারে
|
আকাশীতরার কথারে
আকাশীতরার কথারে ১৪ নভেম্বর ২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত অসমীয়া ভাষার চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটির কাহিনি-চিত্রনাট্য লিখেছেন মঞ্জু বোরা। চিত্রা কমিউনিকেশনের ব্যানারে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। তরালী শর্মা এই চলচ্চিত্রে "কিমতে ভকতি করিব" গানটি গেয়ে ২০০৩ সালে শ্রেষ্ঠ মহিলা নেপথ্য গায়িকার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার লাভ করেন।
উচ্চশিক্ষা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী তরুণী আকাশীতরার জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। স্বাধীনচেতা মনোভাবের আকাশীতরার বিয়ের পর তার স্বাধীনতায় বাধা আসে। স্বামী রাঘব চৌধূরীর স্বেচ্ছাচারিতা ও অবাঞ্ছিত আচরণের কারণে আকাশীতরার মর্যাদা প্রতিমুহূর্তে বিনষ্ট হয়। ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতার এমন অবাঞ্ছিত মূল্যায়ন আকাশীতরাকে ধীরে ধীরে হতাশ করতে করে, এবং সে ধীরে ধীরে বিবাহিত জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
|
948145
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948145
|
বানৌজা সালাম
|
বানৌজা সালাম
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) সালাম বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টাইপ ০২১-শ্রেণীর টহল জাহাজ। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গণচীন হতে স্বল্পপাল্লার দ্রুতগামী টাইপ ০২১-শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ সংগ্রহ করে। এরই ধারাবাহিকতায় বানৌজা দুর্বার ১০ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এই জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উপকূল প্রতিরক্ষার সক্ষমতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে, হিট এন্ড রান কৌশল অবলম্বন করে বহিঃশত্রুর জাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বানৌজা দুর্বার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কর্ণফুলী নদীতে ডুবে রায়। পরবর্তীতে ২০০২ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সদস্যদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাহাজটি মেরামত করে নৌবহরে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। যা বানৌজা সালাম হিসেবে নৌবাহিনীতে পুনরায় কমিশন লাভ করে।
বানৌজা সালাম জাহাজটির দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং গভীরতা । জাহাজটিতে রয়েছে ২টি প্যাক্সম্যান ১২ভি১৮৫ ডিজেল ইঞ্জিন (যুক্তরাজ্য)। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও জাহাজটি গতিতে সমুদ্র এলাকা জুড়ে টহল কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের জন্য এটি ১টি ফুরুনো ডিআরএস৪ডব্লিউ র্যাডার (জাপান); ১টি ফুরুনো এফএআর-৩৩২০ চার্ট র্যাডার (জাপান); ১টি ফুরুনো এইচআর-২০১০ নেভিগেশন র্যাডার (জাপান) এবং আনরিতসু রাডার (জাপান) র্যাডার দ্বারা সজ্জিত।
বানৌজা সালাম জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
|
948160
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948160
|
বানৌজা বরকত
|
বানৌজা বরকত
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) বরকত বাংলাদেশ নৌবাহিনীর টাইপ ০৬২I-শ্রেণীর একটি গানবোট। এটি নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।
সশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার গণচীন থেকে বানৌজা বরকত জাহাজটি ক্রয় করে। পরবর্তীতে ৪ আগস্ট, ১৯৯৬ সালে জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশন লাভ করে। বর্তমানে এটি চট্টগ্রামে অবস্থিত বানৌজা ঈসা খান নৌ ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে। জাহাজটির মাধ্যমে অপারেশন ট্রেজার শিল্ড, অপারেশন নির্মূল, জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযান ও মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বানৌজা বরকত জাহাজটির দৈর্ঘ্য , প্রস্থ এবং গভীরতা । জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ডয়েটজ বিএফ ৪এম১০১৩এম ডিজেল মেরিন ইঞ্জিন (জার্মানি/সিঙ্গাপুর) এবং ৪টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ গতিতে চলতে সক্ষম। এছাড়াও রয়েছে ১টি ফুরুনো এফএআর২১১৭ এক্সএন-২৪এএফ নেভিগেশন র্যাডার (জাপান)।
বানৌজা বরকত জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও নদী এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে অভিযান পরিচালনায় এর সক্ষমতা বিশেষভাবে প্রশংসনীয়। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
|
948173
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948173
|
খাদ্যের ইতিহাস
|
খাদ্যের ইতিহাস
খাদ্য ইতিহাস, জ্ঞানের একাধিক শাখা সম্পর্কিত না। এটি খাদ্য ও পুষ্টির ইতিহাস এবং খাদ্যের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, পরিবেশগত এবং আর্থসামাজিক প্রভাব আলোচনা করে। রন্ধনসম্পর্কিত ইতিহাসের আরও ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্র থেকে খাদ্য ইতিহাসকে পৃথক হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা নির্দিষ্ট রেসিপিগুলির উৎস এবং বিনোদন কেন্দ্রীক।
এই ক্ষেত্রের প্রথম জার্নাল, "পেটিটস প্রোপোস কুলিনায়ারস" ১৯৭৯ সালে চালু বের হয়েছিল এবং এই বিষয়ে প্রথম সম্মেলন অক্সফোর্ড ফুড সিম্পোজিয়াম হয়েছিল ১৯৮১ সালে।
পশ্চিম ইউরোপে, মধ্যযুগীয় খাবার (৫ম-১৫তম শতাব্দী) দ্রুত পরিবর্তিত হয়নি।
মধ্যযুগের শুরুর দিকে (৫/৬-১০শতক) শস্য জাতীয় খাদ্য প্রধান খাদ্য ছিল। যব, জই এবং রাই দরিদ্ররা খেত। মানসম্মত খাবারগুলির মধ্যে রুটি, পরিজ এবং গ্রুয়েল অন্তর্ভুক্ত ছিল। নিম্নবিত্তের শস্য-ভিত্তিক খাদ্যাভ্যাসে ফাভা শিম এবং সব্জী গুরুত্বপূর্ণ পরিপূরক ছিল। মাংস ব্যয়বহুল এবং মর্যাদাপূর্ণ ছিল। শিকারযোগ্য পাখি কেবল জমির মালিকদের টেবিলে শোভা পেত। সর্বাধিক প্রচলিত কসাইয়ের মাংসের মধ্যে ছিল শূকরের মাংস, মুরগীর মাংস এবং অন্যান্য পোল্ট্রি মাংস; গরুর মাংস, যার জন্য জমিতে বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন ছিল, সাধারণভাবে কম ছিল। উত্তর জনগোষ্ঠীর মধ্যে কড এবং হেরিং জাতীয় মাছ মূল ভিত্তি ছিল; শুকনো, সিদ্ধ বা লবণাক্ত, এগুলো সমুদ্র উপকূল থেকে দেশের অভ্যন্তরে বহু দূর পর্যন্ত যেত, অন্যান্য নোনা জলের এবং মিঠা পানি বিভিন্ন তারা খেত।
লোকেদের খাবার মৌসুম, ভূগোল এবং ধর্মীয় বিধিনিষেধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ছিল। বেশিরভাগ লোকের খাবার তাদের আশেপাশের জমি এবং সমুদ্র যা সরবরাহ করত তার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। চাষীরা যা করতে পারত তাই করত, প্রাথমিকভাবে একটি খোলা আগুনের উপর একটি কড়া্ইতে বা থুতু দিয়ে রান্না করত। তাদের চুলাগুলি সাধারণত বাড়ির বাইরে ছিল এবং এটি মাটি বা ঘাসের চাবড়া দিয়ে তৈরি ছিল। দরিদ্র পরিবারগুলি প্রাথমিকভাবে স্টিউ, স্যুপ বা পটেজ আকারে শস্য এবং শাকসবজি, তাদের অল্প জমিতে যা জন্মাতো তাই খেত। তারা মশলা ব্যবহার করতে অসমর্থ ছিল এবং হরিণ, শূকর বা খরগোশ শিকার করা তাদের জন্য অপরাধ ছিল। তাদের প্রধান খাদ্য ছিল রাই বা যব রুটি, স্টিউ, স্থানীয় দুগ্ধজাত পণ্য, সস্তা গরুর মাংস, শূকরের বা ভেড়ার মাংস, মিঠাপানির মাছ (যদি পাওয়া যেত), বাড়িতে উৎপন্ন শাকসব্জী এবং ভেষজ উদ্ভিদ, স্থানীয় গাছ ও জঙ্গলের ফল, বাদাম এবং মধু। উচ্চ শ্রেণীর এবং আভিজাতদের খাদ্যাভ্যাসে নিম্নতর শ্রেণীর চেয়ে ভাল খাদ্য থাকত, তবে তারা অল্প খেত। খাবার বিভিন্ন রঙের এবং স্বাদের হতো। খাবারগুলি অত্যন্ত মশলাযু্ক্ত ছিল এবং ব্যবহৃত মশলার মধ্যে অনেকগুলো ব্যয়বহুল ও আমদানি করা হত, প্রায়শই ইউরোপের বাইরে থেকে। মধ্যযুগের উচ্চ এবং আভিজাতদের খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে ম্যানচেট রুটি, ভেনিসনের মতো মাংস, শূকরের মাংস এবং ভেড়ার মাংস, মাছ এবং শেলফিস, মশলা, পনির, ফল এবং সীমিত শাকসব্জির মতো বিভিন্ন ধরনের খাবার ছিল।
খাদ্য গ্রহণ ভূগোল এবং প্রাপ্যতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতো, এটি চার্চ দ্বারাও পরিচালিত ছিল। বছর জুড়ে অনেক রোজা ছিল এবং দীর্ঘতম ছিল লেন্টের রোজা। কিছু নির্দিষ্ট দিন ছিল যখন লোকেরা মাংস বা মাছ খেতে পারত না, এটি দরিদ্রদের খুব বেশি প্রভাব ফেলতো না কারণ তাদের খাবারে এসব থাকতো না। চার্চ আবার ক্রিসমাস এবং ছুটির দিনে বছরব্যাপী ভোজ খেতে লোকেদের প্রভাবিত করতো। উচ্চবিত্ত শ্রেণীর অভিজাতরা এই উৎসবগুলিতে অংশ নিত, কারণ তারা প্রায়শই উপবাস পালন করতো।
আলুর চাষ আধুনিক সময়ে প্রথমে দক্ষিণ পেরু এবং বলিভিয়ার উত্তর-পশ্চিমের প্রান্তবর্তী অঞ্চলে হয়েছিল। এটি তখন থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেক দেশে প্রধান ফসল হয়ে যায়।
কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে আলুর প্রবর্তন ১৭০০ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে হয়েছিল এবং এটি প্রাচীন বিশ্বের জনসংখ্যা এবং নগরায়ণ এক চতুর্থাংশ বা তারও বেশি বৃদ্ধির জন্য দায়ী। স্পেনীয়দের ইনকা বিজয়ের পরে, স্পেনীয়রা কলম্বিয়ান এক্সচেঞ্জের অংশ হিসাবে ১৬ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আলু ইউরোপে প্রবর্তন করেছিল। পরবর্তীকালে ইউরোপীয় নাবিকরা বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চল এবং বন্দরে আলু পৌঁছে দেয়। আলুকে ইউরোপীয় অবিশ্বস্ত কৃষকরা ধীরে ধীরে গ্রহণ করেছিল, তবে শীঘ্রই এটি গুরুত্বপূর্ণ প্রধান খাদ্য এবং জমির ফসল হয়ে উঠেছে, যা ১৯ শতকের ইউরোপীয় জনসংখ্যার উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।বাংলায় আলুর প্রবর্তন করেন পর্তুগীজরা। আয়ারল্যান্ডের গরীব মানুষেরা আলু খেয়ে জীবন ধারণ করতো বলেও জানা যায়।
ভাত মৌসুমী উদ্ভিদ "ওরাইজা স্যাটিভাম (ধান)" থেকে আসে এবং খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৬০০০ অব্দ থেকে আবাদ করা হচ্ছে। বিশ্বের প্রধান ধান উৎপাদনকারী দেশগুলি পূর্ব এবং দক্ষিণ এশিয়ায় রয়েছে। চালের উৎপত্তিস্থল নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে সর্বদা বিতর্কের কেন্দ্র হয়েছে, কেননা উভয় দেশ একই সময়ে এটি চাষ করা শুরু করে (অসংখ্য ইতিহাসের বই এবং রেকর্ডস মতে)। প্রতি বছর ধান চাষ করার গড় পরিমাণ ৮০০ থেকে ৯৫০ বিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে থাকে। মুসলমানরা নবম শতাব্দীতে সিসিলিতে চাল নিয়ে আসে। ১৫ শতাব্দীর পরে, চাল পুরো ইতালি এবং তারপরে ফ্রান্স জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল, পরে ইউরোপীয় অনুসন্ধানের যুগে সমস্ত মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শস্যজাতীয় খাদ্য হিসাবে, আজ এটি বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যবহৃত প্রধান খাদ্য। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএওএসটিএটি অনুসারে বর্তমানে ধান উৎপাদনকারী দেশের শীর্ষে রয়েছে ভারত।
খতিয়ান
অন্যান্য ভাষাসমূহ
|
948177
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948177
|
আত্মহত্যার ইতিহাস
|
আত্মহত্যার ইতিহাস
আত্মহত্যার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সময় এবং সংস্কৃতি জুড়ে বিভিন্ন রকম হয়।
আত্মহত্যা প্রাচীন কিংবদন্তি এবং ইতিহাস অনেক সময় বিশিষ্ট ভূমিকা পালন করেছিল, যেমন এজাক্স দ্য গ্রেট ট্রোজান যুদ্ধে নিজেকে মেরে ফেলেছিল এবং লুক্রেশিয়ার আত্মহত্যা সেই বিদ্রোহের সূচনা করেছিল যা রোমান প্রজাতন্ত্রের সাথে রোমান রাজতন্ত্র বাস্তুচ্যুত করেছিল।
আত্মহত্যা করা প্রথম দিকের গ্রীক ঐতিহাসিক ব্যক্তি ছিলেন খ্রিস্টপূর্ব ৪৩৪ খ্রিস্টাব্দের দিকে এম্পেদোক্লেস। তাঁর একটি বিশ্বাস ছিল মৃত্যু একটি রূপান্তর। এই ধারণাটি তাকে আত্মহত্যায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। নিজেকে সিসিলীয় এটনা পর্বতের আগ্নেয়গিরিতে ফেলে এম্পেদোক্লেস আত্মহত্যা করেছিলেন।
সাধারণভাবে, পৌত্তলিক জগতের রোমান ও গ্রীক উভয়েরই আত্মহত্যার প্রতি শিথিল মনোভাব ছিল।
আরলেস কাউন্সিলের (৪৫২) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "যদি কোন দাস আত্মহত্যা করে তবে তার মনিবের উপর কোন নিন্দা আসবে না।" প্রাচীন গ্রীক চিন্তাবিদদের মধ্যে খ্রিস্টীয় শত্রুতার কিছু পূর্বসূরি রয়েছে যারা আত্মহত্যা করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, পিথাগোরাস এই কাজের বিরুদ্ধে ছিলেন, যদিও নৈতিক ভিত্তির চেয়ে বেশি গাণিতিক ছিল, তিনি বিশ্বাস করতেন যে পৃথিবীতে ব্যবহারের জন্য কেবল সীমাবদ্ধ সংখ্যক প্রাণ রয়েছে এবং একের আকস্মিক এবং অপ্রত্যাশিত প্রস্থান এর ভারসাম্যকে বিপর্যস্ত করবে। অ্যারিস্টটলও আত্মহত্যার নিন্দা করেছেন, যদিও একেবারে ভিন্ন কারণে - কারণ এটি তার সম্প্রদায়ের সদস্যদের মধ্য থেকে একজনের পরিষেবা ছিনিয়ে নিয়ে যাবে।
রোমে আইনে আত্মহত্যা কখনও সাধারণ অপরাধ ছিল না, যদিও এই প্রশ্নের সম্পূর্ণ পদ্ধতি মূলত বাস্তববাদী ছিল। এটি তিনটি ক্ষেত্রে বিশেষভাবে নিষিদ্ধ ছিল: যারা মারাত্মক অপরাধে অভিযুক্ত, সৈনিক এবং দাস। এর পিছনে কারণ ছিল এক - এই লোকদের মরে যাওয়া ছিল "অলাভজনক"। যদি অভিযুক্তরা বিচার ও অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ার আগে নিজেকে হত্যা করে তবে রাষ্ট্র তাদের সম্পত্তি দখল করার অধিকার হারাত, এই আইনের একমাত্র ফাঁক প্রথম শতাব্দীতে রোমান সম্রাট ডোমিশিয়ান দ্বারা বন্ধ হয়েছিল, যিনি রায় দিয়েছিলেন যে, বিচারের আগে যারা মারা যায় তাদের কোন আইনী উত্তরাধিকারী নেই। একজন সৈন্যের আত্মহত্যাকে একইভাবে ছলনা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। যদি কোনও দাস ক্রয়ের ছয় মাসের মধ্যে নিজেকে হত্যা করে তবে বর্তমান মনিব পূর্বের মনিবের কাছে পুরো অর্থ ফেরতের দাবি করতে পারে।
রোমানরা অবশ্য "দেশপ্রেমিক আত্মহত্যা"-কে পুরোপুরি অনুমোদন দিয়েছিল; অন্য কথায় মৃত্যু, হবে অসম্মানের বিকল্প হিসাবে। গ্রীসে জন্ম নেয়া এমন এক দার্শনিক গোষ্ঠী স্টোইকদের মতে মৃত্যু হল ব্যক্তিগত স্বাধীনতার গ্যারান্টি, এমন একটি অসহনীয় বাস্তবতা থেকে পালানোর পথ। যার দেওয়ার মতো কিছুই নেই। আর তাই ক্যাটো দ্য ইয়োংগার, যিনি টমসাসের যুদ্ধে পম্পেইয়ের পক্ষে পরাজিত হওয়ার পরে নিজেকে হত্যা করেছিলেন। এটি ছিল 'পুণ্যবান মৃত্যু', যুক্তি ও বিবেক দ্বারা পরিচালিত। এই উদাহরণ পরে দার্শনিক সেনেকা অনুসরণ করেছিলেন, যদিও কিছুটা সঙ্কীর্ণ পরিস্থিতিতে তিনি সম্রাট নিরোকে হত্যার পিসোনিয়ান ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহের ভিত্তিতে তাকে এই আদেশ দেওয়া হয়েছিল। পুণ্যবান আত্মহত্যা এবং পুরো ব্যক্তিগত কারণে আত্মহত্যার মধ্যে রোমানদের নির্দিষ্ট লাইন আঁকা ছিল। তারা মার্ক অ্যান্টনির আত্মহত্যাকে অস্বীকার করেছিল, কারণ সে ভালবাসার জন্য নিজেকে হত্যা করেছিল।
মধ্যযুগে, খ্রিস্টান গির্জার অযাচিত যারা আত্মহত্যার চেষ্টা এবং যারা আত্মহত্যা করতো তাদের পবিত্র কবরস্থানগুলির বাইরে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। ১৬৭০ সালে ফ্রান্সের চতুর্থ লুই জারি করা একটি ফৌজদারি অধ্যাদেশে এর শাস্তি আরও মারাত্মক ছিল: মৃত ব্যক্তির দেহ রাস্তায় টেনে নেওয়া হতো, তার মুখ নীচে রেখে এবং তার পরে ঝুলিয়ে রাখা হতো বা আবর্জনার স্তূপে ফেলে দেওয়া হতো। অতিরিক্তভাবে, ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হতো।
রেনেসাঁর সময় থেকে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার প্রতি মনোভাব পরিবর্তন হতে শুরু করে; থমাস মোর ইংরেজ মানবতাবাদী তাঁর রচিত "ইউটোপিয়ায়" লিখেছিলেন (১৫১৬) যে, রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি "এই তিক্ত জীবন থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারে ... মৃত্যুর দ্বারা সে নির্যাতনের অবসান ঘটাতে পারে ... এটি পরহেজগার এবং পবিত্র কর্ম "। এটা আত্মহত্যাতে সহায়তা করেছিল এবং অন্যান্য কারণে নিজেকে হত্যা করা ইউটোপিয়ায় এখনও একটি অপরাধ, সেখানে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান অস্বীকার করাকে শাস্তি দেয়া হয়। জন ডোনের রচনা "বিয়াথানাটোসে" আত্মহত্যার প্রথম আধুনিক প্রতিরোধের একটি ছিল, তিনি যিশু, স্যামসন এবং শৌলের মতো বাইবেলের ব্যক্তিত্ব থেকে প্রমাণ এনেছিলেন এবং কিছু পরিস্থিতিতে আত্মহত্যা মঞ্জুর করার কারণ ও প্রকৃতি নিয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেছিলেন।
সপ্তদশ শতাব্দীর শেষার্ধে এবং আঠারো শতকের শুরুর দিকে, বেশিরভাগ খ্রিস্টান মতবাদে দণ্ড হিসাবে আত্মহত্যার প্রতিশ্রুতি দেওয়া খণ্ডনগুলি আবিষ্কৃত হয়েছিল। একজন তার জীবন শেষ করতে চায় কিন্তু জাহান্নামে অনন্তকাল এড়াতেও চায় এমন এক জনের বিখ্যাত উদাহরণ হলো ক্রিস্টিনা জোহানসডোটার (মারা গেছেন ১৭৪০)। তিনি ছিলেন একজন সুইডিশ খুনী, যিনি স্টকহোমে একটি শিশুকে হত্যা করেছিল তার নিজের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার উদ্দেশ্যে।
উনিশ শতক নাগাদ ইউরোপে আত্মহত্যার ঘটনা পাপের কারণে থেকে পরিবর্তিত হয়ে বরং পাগলামির কারণ হিসাবে দেখা হতে থাকে। যদিও এই সময় আত্মহত্যা অবৈধ ছিল।
১৮৭৯ সালের মধ্যে, ইংরেজ আইন আত্মহত্যা এবং নর হত্যার মধ্যে পার্থক্য করে, যদিও আত্মহত্যায় এখনও সম্পত্তি জব্দ করে। ১৮৮২ সালে, মৃত ব্যক্তিদের ইংল্যান্ডে দিবালোকে দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং ২০ শতকের মাঝামাঝি নাগাদ পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ অংশে আত্মহত্যা আইনী হয়ে উঠেছে।
প্রাচীন যুগে, আত্মহত্যা কখনও কখনও যুদ্ধে পরাজয়ের কারণে হিসাবে, শত্রু দ্বারা পরবর্তী অত্যাচার, অঙ্গচ্ছেদ বা দাসত্ব এড়ানোর উপায় হিসাবে ছিল। জুলিয়াস সিজারের গুপ্ত হত্যাকারী ব্রুতুস এবং ক্যাসিয়াস, উদাহরণস্বরূপ, ফিলিপির যুদ্ধে পরাজয়ের পর নিজেদের হত্যা করেছিল। রোমানদের দাসত্ব বরণ না করে ৭৪ খ্রিস্টাব্দে মাসাদায় বিদ্রোহী ইহুদীরা গণআত্মহত্যা করেছিল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জাপানি ইউনিটগুলি প্রায়শই আত্মসমর্পণের চেয়ে শেষ ব্যক্তি হিসাবে লড়াই করে যেত। যুদ্ধের শেষের দিকে, জাপানি নৌবাহিনী বিমানচালকদের মিত্র বাহিনীর জাহাজগুলিতে আক্রমণ করার জন্য পাঠিয়েছিল। এই কৌশলগুলি সামুরাই যোদ্ধা সংস্কৃতির প্রভাবকে প্রতিফলিত করে, যেখানে সম্মান হারানোর পরে প্রায়শই সেপ্পুকুর প্রয়োজন হত।
সাম্প্রতিক দশকে, ইসলামী জঙ্গিরা ব্যাপকভাবে আত্মঘাতী হামলা ব্যবহার করে আসছে। যাইহোক, ইসলামী আইনে আত্মহত্যা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এবং যে সব গোষ্ঠী এই হামলাগুলি চালায় তাদের সন্ত্রাসী নেতারা একে আত্মহত্যা হিসাবে বিবেচনা করে না, বরং শহীদ অপারেশন হিসাবে বিবেচনা করে। তারা যুক্তি দেয় যে একজন ব্যক্তি হতাশা থেকে নিজেকে হত্যা করে, আর একটি শহীদ অপারেশনে একজন ব্যক্তি একটি পবিত্র কাজ হিসাবে করে। সমস্ত মুসলিম আলেমগণ এই মনোভাব সর্বজনীনভাবে ধারণ করে না।
|
948178
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948178
|
পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাবিনোদ
|
পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাবিনোদ
পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাবিনোদ (১৮৬৮-১৯৩৮) একজন ব্রিটিশ ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ ছিলেন। তিনি মূলত প্রাচীন কামরূপ অঞ্চলের ইতিহাস নিয়ে কাজ করার জন্য বিখ্যাত।
পদ্মানাথ ভট্টাচার্য ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের সিলেটে (বর্তমান বাংলাদেশে) একটি বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পদ্মনাথ ভট্টাচার্য বিদ্যাবিনোদের উল্লেখযোগ্য কর্মের মধ্যে রয়েছে:
এছাড়াও তিনি নিয়মিত বিভিন্ন কামরূপ লিপির আবিষ্কার ও পাঠোদ্ধারে নিয়োজিত ছিলেন।
পদ্মনাথ ভট্টাচার্য আসামের অগ্রসরমান সংস্কৃত পণ্ডিত ছিলেন। তিনি কটন কলেজের অধ্যাপক এবং কামরূপ অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। বিদ্যাবিনোদ ভারতের ইতিহাস ও আসামের প্রাচীন ঐতিহ্য সম্পর্কে গাইটের ধারণা, ব্যাখ্যা, স্বগঠিত ভাবার্থ ও তাঁর কর্মের প্রচ্ছন্ন রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য পছন্দ করতেন না এবং এসবের কঠোর সমালোচনা করেন।
|
948179
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948179
|
বোরহান উদ্দিন আহমেদ
|
বোরহান উদ্দিন আহমেদ
বোরহান উদ্দিন আহমেদ গগন বাংলাদেশের ঢাকা জেলার রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও মুক্তিযোদ্ধা যিনি ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
বোরহান উদ্দিন আহমেদ ঢাকার কেরাণীগঞ্জের কলাতিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বোরহান উদ্দিন আহমেদ ব্যবসায়ী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালে তার বাড়ীতেই জাতীয় নেতারা আত্মগোপনে ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধে তিনি ঢাকার লিবারেশন ফোর্সের (বিএলএফ) কমান্ডার ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
|
948191
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948191
|
কনকলাল বরুয়া
|
কনকলাল বরুয়া
কনকলাল বরুয়া (১৮৭২-১৯৪০) আসামের অন্যতম প্রধান লেখক, প্রাবন্ধিক, ইতিহাসবিদ ও রাজনীতিবিদ, যিনি মূলত ইংরেজি ভাষায় লিখতেন। তিনি অসমীয়া সাহিত্যের রোমান্টিক যুগ বা জোনাকী যুগের অন্যতম সাহিত্যিক। তিনি ১৯২৪ সালে ডিব্রুগড় জেলায় অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সভার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯২৯ সালে তিনি আসাম বিধানসভার সদস্য মনোনীত হন। এছাড়াও তিনি ভাইসরয়ের নির্বাহী কাউন্সিল সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি কামরূপ অনুসন্ধান সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে "রায়বাহাদুর" খেতাবে ভূষিত করে।
কনকলাল বরুয়ার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: "স্টাডিজ ইন দ্য আর্লি হিস্টোরি অব আসাম", "অ্যান আর্লি হিস্টোরি অব কামরূপ ফ্রম দ্য আর্লিয়েস্ট টাইম টু দ্য সিক্সটিন্থ সেঞ্চুরি" ও "ম্যানুয়াল অব কো-অপারেটিভ সোসাইটিজ ইন আসাম"। এছাড়াও তিনি কয়েক মাস জোনাকী পত্রিকার সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেন।
|
948198
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948198
|
ভাইকিং প্রোগ্রাম
|
ভাইকিং প্রোগ্রাম
ভাইকিং-১ ১৯৭৫ সালের ২০ আগস্ট উত্থাপন করা হয় ও ভাইকিং-২ ১৯৭৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর উত্থাপন করা হয়। উভয় প্রোবকেই টাইটান IIIE রকেটে করে উত্থাপন করা হয়। ১৯৭৬ সালের ১৯ জুন ভাইকিং-১ মঙ্গলের কক্ষপথে পৌছে। এর কিছুদিন পর ১৭ আগস্ট ভাইকিং-২ মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছায়।
প্রায় ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে মঙ্গল গ্রহকে অরবিট করার পর উভয় প্রোবকেই মঙ্গল গ্রহে নামিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২০ জুলাই ভাইকিং-১ মঙ্গলের মাটি স্পর্শ করে এবং ৩ সেপ্টেম্বর ভাইকিং-২ এর সাথে মিলিত হয়।
সর্বসাকুল্যে এই প্রোগ্রামটিতে ১ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার খরচ হয় যা বর্তমানে প্রায় ৫ বিলিয়ন আমেরিকান ডলার এর সমতুল্য।
দুইটি ভাইকিং অরবিটার এর প্রধান লক্ষ্য ছিলো মঙ্গল গ্রহের ভূমিতে ভাইকিং ল্যন্ডার গুলোকে নামানো। ভাইকিং অরবিটার গুলোর নিজস্ব ভর ছিলো ৩৫২৭ কেজি এবং এগুলো থেকে যে ল্যন্ডারগুলো নামানো হয়েছিল তাদের ভর ছিলো প্রায় ৬০০ কেজি। অরবিটারটি দেখতে একটি অষ্টভুজের মতো ছিলো। এর থেকে চারটি সোলার প্যনেল যুক্ত ছিলো।
প্রতিটি ল্যন্ডার ষড়ভুজ আকৃতির আল্যুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি এবং এদের তিনটি করে বর্ধিত পা আছে। প্রতিটি ল্যন্ডারকে তাপ প্রতিরোধক প্রাচীর (হিট শিল্ড) দ্বারা মুড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি যেমন উচ্চ তাপ থেকে এদের কে রক্ষা করেছে একই ভাবে মঙ্গলের বায়ুমন্ডলে প্রবেশের সময় এদের গতি ধীর করে দিয়েছে।
ক্রাফটগুলো অবশেষে একের পর এক ব্যর্থ হয়েছিল:
|
948204
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948204
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস (২০০৮-বর্তমান)
|
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস (২০০৮-বর্তমান)
২০০৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত আমেরিকার ইতিহাস হাউজিং বাবেলের পতনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল, যার ফলে মহা মন্দা শুরু হয়েছিল এবং ২০০৮ সালে দেশটির প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডেমোক্র্যাটিক বারাক ওবামাকে নির্বাচনে রাষ্ট্রপতি পদে বিজয়ী করতে সহায়তা করেছিলো। সরকার বড় মাপের ঋণ প্রদান করেছিল এবং অর্থনৈতিক উদ্দীপনা প্যাকেজ কার্যকর করেছিল যার লক্ষ্য ছিল অর্থনীতিতে উন্নতি সাধন করা। ওবামার ঘরোয়া উদ্যোগে রোগী সুরক্ষা ও সাশ্রয়ী মূল্যের পরিচর্যা আইনও অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা আমেরিকান স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে একটি জাতীয় স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি তৈরি করেছিল। রাষ্ট্রপতি ওবামা অবশেষে ইরাক থেকে যুদ্ধ সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন এবং সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে দেশটির প্রচেষ্টাকে আফগানিস্তানে সরিয়ে নিয়েছিলেন, সেখানে ২০০৯ সালে সেনাসদস্য বৃদ্ধিকরণ শুরু হয়েছিল। ২০১০ সালে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, বেকারত্ব এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যয়ের বিষয়ে অব্যাহত জনমত অসন্তুষ্টির কারণে, রিপাবলিকানরা প্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়ে সিনেটে ডেমোক্র্যাটিক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হ্রাস করতে সমর্থ হয়।
২০১১ সালে ওবামা ইরাক যুদ্ধ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেছিলেন এবং একই বছর তিনি ঘোষণা করেন যে আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে মার্কিন বাহিনী দ্বারা পাকিস্তানে একটি গোপন অভিযানের সময় হত্যা করা হয়েছে। পরের বছর ওবামা পুনরায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালের জুনে, সুপ্রিম কোর্ট বিবাহ প্রতিরক্ষা আইনের ৩ ধারা বাতিল করে, যার ফলে রাজ্য সরকারকে বৈধভাবে সমকামী বিবাহের স্বীকৃতি প্রদান করতে হয়েছিল। ২০১৫ সালে, আদালত রায় দিয়েছিল যে সমস্ত রাজ্যকে সমকামী বিবাহ দেওয়ার পাশাপাশি ওবারজেফেল বনাম হজেজ ধারার মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যে বিয়ে করা অন্যদেরও স্বীকৃতি দিতে হবে।
মারাত্মক গণহত্যাগুলো বিশেষত অরোরা চলচ্চিত্রের থিয়েটারে গণহত্যা এবং স্যান্ডি হুক প্রাথমিক স্কুল গণহত্যা বন্দুক নিয়ন্ত্রণ এবং এই ঘটনার কারণগুলি নিয়ে একটি তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। পুলিশ সদস্যদের দ্বারা এরিক গার্নার, মাইকেল ব্রাউন এবং ফিল্যান্ডো ক্যাসিটিলের মতো অনেক আফ্রিকান আমেরিকান হত্যার পরে "ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন" বর্ণবাদী বক্তব্য, পুলিশ বর্বরতা এবং সাদা ও কালোর মধ্যকার গোষ্ঠীভেদের দাঙ্গা, বিক্ষোভ এবং দাঙ্গা ছাড়াও সাদা ও কালো আমেরিকানদের সামগ্রিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সূচনা করেছিল। ২০১৬ সালে অরল্যান্ডোতে একটি সমকামী নৈশ্যক্লাবে বন্দুক হামলা এলজিবিটি সম্প্রদায় ও ইসলামী সন্ত্রাসবাদের সহিংসতা এবং বৈষম্য নিয়ে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত ঘটায়।
অভূতপূর্ব মিডিয়া পরিবেশনের পরে, ব্যবসায়িক ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রাক্তন সেক্রেটারি অফ স্টেট হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করেছিলেন, যার ফলে রিপাবলিকানরা সরকারের সমস্ত শাখার নিয়ন্ত্রণ লাভ করেছিল। তাঁর প্রথম মাসের কর্মগুলোর দ্বারা তার প্রশাসন পূর্ববর্তী প্রশাসনের নীতিগুলি থেকে দূরে সরে এসেছিল। তার অভিবাসী বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং পরিবেশবাদীদের বিরোধী কট্টরপন্থী ইপিএ-র সাথে যোগসাজশ বিশ্বব্যাপী বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। তাঁর প্রশাসন একাধিক প্রতিবাদের মাধ্যমে বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছিল, উল্লেখযোগ্যভাবে "মহিলা মার্চ" যা বিশ্বব্যাপী প্রায় পাঁচ মিলিয়ন প্রতিবাদীকে নিয়ে এসেছিল। ২০১৮ সালে, ডেমোক্র্যাটরা "হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ"র নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিলেন এবং রেকর্ড সংখ্যক মহিলা প্রতিনিধিসহ আজ পর্যন্ত তার সর্বাধিক বৈচিত্র্যময় প্রতিনিধি প্রেরণ করেছে, আবার রিপাবলিকানরা তাদের সিনেট সংখ্যাগরিষ্ঠতায় মাত্র কয়েকজনকে যোগ করেছে।
২০১০ এর দশকে দেশটি জাতিগত সম্পর্কের দ্বন্দ্ব দেখেছিল। আমেরিকা অল্ট-রাইট আন্দোলনের উত্থান দেখেছিল। আগস্ট ২০১৭ তে, এই আন্দোলনরত গোষ্ঠীগুলো ভার্জিনিয়ার শার্লটসভিলে একটি সমাবেশে অংশ নিয়েছিল, এই সময় একটি নব্য নাৎসি একটি গাড়ীর মাধ্যমে হামলা চালায় এবং এই সমাবেশের বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে। ২০১০ এর দশকের মাঝামাঝি থেকে, "হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ" এবং ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এখন শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এবং আল্ট-রাইট সহিংসতার হুমকিটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘরোয়া সন্ত্রাসের নেতৃত্বস্থানীয় হুমকি হিসাবে বিবেচনা করছে।
কিছু তৃণমূল বামপন্থী সংগঠনগুলি অল্ট-রাইট উত্থানের প্রতিক্রিয়ার জন্য একত্রিত হয়েছিল, বিশেষত অ্যান্টিফা, যদিও অ্যান্টিফার প্রভাব তুলনামূলকভাবে সামান্য ছিল। বিতর্কিতভাবে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যান্টিফা এবং অল্ট-রাইট আন্দোলনের তুলনা করেছেন, বিশেষত শার্লটসভিলের সমাবেশের বিষয়ে।
সিএনএন, এনবিসি, ফক্স নিউজ এবং এমএসএনবিসি-র মতো বড়-প্রতিষ্ঠিত সংবাদমাধ্যমগুলোর ভুল বিশ্লেষণ এই সময়কালে একটি বড় আলোচনার বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। জাল খবর এর বিষয়টি ২০১৬ সালের নির্বাচনকালীন এবং এর পরবর্তী সময়ে ব্যাপক আলোচিত হয়েছিল। ফলস্বরূপ, আমেরিকান জনসাধারণের মধ্যে মূলধারার প্রচারমাধ্যমগুলির প্রতি অবিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছিল এবং সংবাদের বিকল্প উৎসগুলির প্রতি তাদের ঝোঁক বাড়তে শুরু করে। "লিগ্যাসি মিডিয়া" কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভুল তথ্য, সেন্সরশিপ, এবং "ডক্সিং" এর হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনার মুখোমুখি হতে শুরু করে এবং সামগ্রিক সমর্থন হ্রাস দেখতে শুরু করে।
এই সময়ের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহজলভ্য হয়ে ওঠে এবং স্মার্টফোন বিক্রয় তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃদ্ধি পায়, যার ফলে জনগণের সাধারণ আন্দোলনে বৈদ্যুতিন ডিভাইসের বেশি ব্যবহার বেশ ভূমিকা রাখে।
জলবায়ু পরিবর্তন বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের দ্বারা বিশ্বের বৃহত্তম হুমকি হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে। পৃথিবী তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেঞ্চমার্ককে ছাড়িয়ে যাওয়ার পথে। ২০১৭ সালে, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন। এই সময়ের পরিবেশবিদদের গৌণ উদ্বেগগুলির মধ্যে রয়েছে জীব বিলুপ্তি, মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ প্রভৃতি।
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯, তৎকালীন নিয়ন্ত্রিত ডেমোক্র্যাট হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ, মার্কিন ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো কোনও স্থায়ী রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে অভিশংসনের নিবন্ধগুলি পাস করার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহার এবং কংগ্রেসের বাধার অভিযোগের কারণে অভিশংসিত হয়েছিলেন।
২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারী, মারাত্মক তীব্র শ্বসন সংক্রান্ত রোগ করোনভাইরাস-২ (সার্স-কোভ -২) ভাইরাসটি ওয়াশিংটনের এভারেটে পৌঁছেছিল, ভাইরাস বহনকারী চীনের উহান থেকে এসেছিলেন। জানুয়ারি ২০, ২০২০-এ আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নমুনা নিয়ে ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা ঐ শনাক্তকরণটিকে যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্তের প্রথম ঘটনা হিসেবে নিশ্চিত করেছেন।
|
948210
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948210
|
গুলাম পার্কার
|
গুলাম পার্কার
গুলাম আহমেদ হাসান মোহাম্মদ পার্কার (; জন্ম: ২৫ অক্টোবর, ১৯৫৫) মহারাষ্ট্রের কালুস্তে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে মুম্বই দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন গুলাম পার্কার।
১৯৭৮-৭৯ মৌসুম থেকে ১৯৮৫-৮৬ মৌসুম পর্যন্ত গুলাম পার্কারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে কিছু সুন্দর খেলা উপহারের পর দর্শনীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও অসাধারণ কভার ফিল্ডার গুলাম পার্কারকে ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ৪২.০০ গড়ে ৪,১৬৭টি প্রথম-শ্রেণীর রান সংগ্রহ করেছেন। ১৯৮০-৮১ মৌসুমে নিজস্ব স্বর্ণালী সময় অতিবাহিত করেন। সেমি-ফাইনালে ৫৯ ও ১৪৬ এবং চূড়ান্ত খেলায় ১২১ রান তুলেন। পরের মৌসুমে রঞ্জী ট্রফিতে এক পর্যায়ে তিনি ১৪৮*, ৪০, ১৫৬, ৮৪ ও ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। তন্মধ্যে, তার সংগৃহীত ১৫৬ রানের ইনিংসটি বাংলার বিপক্ষে সুনীল গাভাস্কারের সাথে ৪২১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে সম্পন্ন হয়েছিল।
১৯৮১-৮২ মৌসুমে বাংলার বিপক্ষে ৪২১ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জড়িত ছিলেন। একই মৌসুমে অপরাজিত ১৪৮ রান করার পর এ সাফল্য পান। এরপর, সেমি-ফাইনালে কর্ণাটকের বিপক্ষে ৮৪ ও ৬৮ রান তুলেন। মৌসুম শেষে ৬২.৪০ গড়ে ৬২৪ রান করেন যা পূর্ববর্তী মৌসুমের ৪৯.৮১ গড়ে ৭৯৭ রান তুলেছিলেন।
বোম্বে দলকে রঞ্জী ট্রফির শিরোপা বিজয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন। অবশেষে, ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে তার দল এ কৃতিত্ব অর্জনে সক্ষম হয়। এ পর্যায়ে গাভাস্কার ব্যাটিং অবস্থান থেকে সড়ে দাঁড়ান ও তিনি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম বল মোকাবেলায় অগ্রসর হন। ঐ মৌসুমে একটি শতক ও পাঁচটি অর্ধ-শতক সহযোগে ৫৭.৫৩ গড়ে ৭৪৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। শেষ নয় মৌসুম নাগালের বাইরে থাকা শিরোপার স্বাদ আস্বাদন করান।
অশোক মানকড়ের অবসর গ্রহণের পর বোম্বে দলে প্রধান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংশৈলী উপহার দিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪২.০৯ গড়ে ৪,১৬৭ রান তুলেন। তন্মধ্যে, রঞ্জী ট্রফিতে ৪৯.৭৯ গড়ে ৩,০৮৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও দশটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন গুলাম পার্কার। ১০ জুন, ১৯৮২ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ২ জুন, ১৯৮২ তারিখে লিডসে একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ৩১ অক্টোবর, ১৯৮৪ তারিখে শিয়ালকোটে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।
তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন সংক্ষিপ্ত আকার ধারণ করে। ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন তিনি। এটিই তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনের একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। সুনীল গাভাস্কারের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমেছিলেন তিনি। বব উইলিস ও ইয়ান বোথামের পেস ও সুনিয়ন্ত্রিত সুইংয়ে কাবু হয়ে পড়েন। ছয় ও এক রান সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন তিনি। তবে, আক্রমণধর্মী ব্যাটিং ও দূর্দান্ত ফিল্ডিং সীমিত ওভারের খেলাগুলোর উপযোগী ছিল। কয়েকটি খেলায় সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ইংল্যান্ডের মাটিতে ৩৬ গড়ে ৪৩৩ রান তুলেন। তন্মধ্যে, ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ১৪৬ ও এমসিসি’র বিপক্ষে ৯২ রান তুলেছিলেন।
এছাড়াও, ১৯৮২ থেকে ১৯৮৪-৮৫ মৌসুম পর্যন্ত ১০টি ওডিআইয়ে অংশ নেন। ১৮ গড়ে ১৬৫ রান তুলেছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে গুয়াহাটিতে সুন্দর খেলা উপহার দিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড থেকে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর সফরকারী শক্তিধর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলীয় সংগ্রহ ১৭৮/৭ তুললে খেলায় হাল ধরেন। তিনি ৪২ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। তার খেলার মান অপরিবর্তিত অবস্থায় ছিল। প্রথম দুই মৌসুমে ৩৫ গড়ে থাকার পর ৩০ গড়ে চলে যায়।
ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর বোম্বে দলের অন্যতম পরিচালন শক্তি ছিলেন। অনেকগুলো বছর সুনীল গাভাস্কারের সাথে একযোগে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন। প্রথম ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে চারটি নাম নিয়ে পরিচিত ছিলেন। মহারাষ্ট্রের কালুস্তে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী গুলাম পার্কার কিশোর অবস্থাতেই দর্শনীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন ও অসাধারণ ফিল্ডার ছিলেন। সচরাচর, কভার অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন তিনি। তবে, প্রায়শঃই অশোক মানকড়ের বোলিং কৌশলের কারণে মিড-অন এলাকায় অবস্থান নিতে হতো তাকে; যাতে, ব্যাটসম্যান অতিরিক্ত রান নেয়াকালে সরাসরি রান-আউট করতে পারেন।
|
948216
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948216
|
নাটেশ্বর
|
নাটেশ্বর
নাটেশ্বর দেউল বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এটি বিক্রমপুর অঞ্চলে ৭৮০ থেকে ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ এবং ৯৫০ থেকে ১২২৩ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে দুই ধাপে বৌদ্ধ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত একটি নগরের ধ্বংসাবশেষ। ২০১২-১৩ সাল থেকে এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন চলতে থাকে। ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নাটেশ্বরে প্রায় ৫০০ বর্গমিটার জায়গায় খননকাজ সম্পন্ন হয়। ষোলটি বৌদ্ধস্তূপের পাশাপাশি নাটেশ্বরে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পিরামিড আকৃতির স্তূপ পাওয়া গেছে।
বিক্রমপুর চন্দ্র, বর্ম ও সেন শাসনামলে বাংলার রাজধানী ছিল। অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের (৯৮২-১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দ) জীবনীতে এ অঞ্চল সম্পর্কে লেখা পাওয়া যায়।
নাটেশ্বর ও মুন্সীগঞ্জ সদরের রঘুরামপুরে খননকার্যে পাওয়া বৌদ্ধ ধর্মের প্রাচীন নিদর্শন থেকে বিক্রমপুর অঞ্চলটি সারা বিশ্বের বৌদ্ধদের তীর্থকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হয়। অতীশ দীপঙ্করের জন্মস্থানের "মন্দির নগরী"টিতে ২৫ হাজার বৌদ্ধমন্দির ছিল বলে জানা যায়। নাটেশ্বরে প্রাপ্ত পিরামিড আকৃতির স্থাপনাটিকেই অতীশ দীপঙ্কর তার সাধনাস্থল বা ধর্মপ্রচারের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতেন বলে ধারণা করা হয়।
পূর্বে বিক্রমপুরের অধিকাংশ স্থাপনা কীর্তিনাশা পদ্মাগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া আশঙ্কা করা হতো। সর্বপ্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক নলিনীকান্ত ভট্টশালীর লেখায় বিক্রমপুরের (উয়ারী-বটেশ্বর ও নাটেশ্বর) প্রত্নতাত্ত্বিক অবস্থান সম্পর্কে জানা যায়। ২০১০ সালে রামপাল ও বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের ৯টি স্থানে পরীক্ষামূলক খনন শুরু হয়, যার ধারাবাহিকতায় রামপালের রঘুরামপুরে ৯৯০-১০৫০ খ্রিষ্টাব্দের (কার্বন-১৪ পরীক্ষা) বৌদ্ধবিহার আবিষ্কৃত হয়। এরপর ২০১২-১৩ সালে নাটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন শুরু হয়। ২০১৪ সালে চীনের হুয়ান প্রাদেশিক প্রত্নতাত্ত্বিক ইনস্টিটিউটের গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাটেশ্বরের খননকাজের সাথে যুক্ত হয়।
২০১২-১৩ সাল থেকে নাটেশ্বর দেউলে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণায় মাটির নিচ থেকে নাটেশ্বরে প্রাচীন মানব বসতির চিহ্ন আবিষ্কৃত হয়। ২০১৩ সালেই নাটেশ্বরে বৌদ্ধমন্দির, অষ্টকোণাকৃতি স্তূপ, ইট নির্মিত রাস্তা ও নালা প্রভৃতি নিদর্শন বেরিয়ে আসে। এছাড়া অষ্টকোণাকৃতির স্তূপের পাশে অষ্টম-নবম শতকে নির্মিত ১০০ বর্গমিটার আয়তনের মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। ২০১৩-১৯ এ সময়ে প্রায় ছয় হাজার বর্গমিটারের বেশি এলাকায় প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা চলে।
প্রত্নস্থানের খননে লাল ও কালো রঙের তাম্রমুদ্রা রাখার মৃৎপাত্র বা ‘সঞ্চয় আধার’ আবিষ্কৃত হয়। এছাড়াও মাটির নিচ থেকে রান্নার হাঁড়ি, গামলা, পানির পাত্র, প্রদীপ প্রভৃতি পাওয়া যায়। নাটেশ্বরে প্রাপ্ত স্তূপগুলোর মধ্যে চারটি করে স্তূপ একটির সঙ্গে আরেকটি পরস্পর সম্পর্কিত। চার মিটার চওড়া প্রাচীরবিশিষ্ট এরকম দুইজোড়া চতুর্স্তূপ আবিষ্কার বাংলাদেশে অনন্য।
২০১৯-২০ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক খননে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পিরামিড আকৃতির স্তূপের সন্ধান পাওয়া যায়।
নাটেশ্বরে এ পর্যন্ত মোট ১৬টি স্তূপ আবিষ্কৃত হয়েছে। নাটেশ্বরে প্রাপ্ত ধ্বংসাবশেষ তথা স্তূপগুলো বৌদ্ধ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত। স্তূপ হলো মূলত সমাধি, যা বৌদ্ধধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য। বৌদ্ধ ধর্মের দর্শন ও সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বকারী স্তূপ গৌতম বুদ্ধ ও তার প্রবর্তিত বৌদ্ধধর্মের প্রতীকায়ন হিসেবেও উপস্থাপন করা হয়। নাটেশ্বরে প্রাপ্ত স্তূপগুলো সাঁচী, ভারহুত, অমরাবতী, সারনাথ প্রভৃতি মহাস্তূপের সমতুল্য। বৌদ্ধ স্তূপগুলো প্রধানত গম্বুজাকৃতির হলেও পিরামিড আকৃতির ব্যতিক্রমধর্মী স্তূপও এখানে পাওয়া যায়।
আমেরিকার বেটা অ্যানালাইটিক ইনক ল্যাবরেটরিতে খননস্থলে পাওয়া ২৬টি কাঠ কয়লার কার্বন-১৪ পরীক্ষায় নাটেশ্বরে মানব বসতির দুটি সময়কাল নির্ধারিত হয়। প্রথম পর্যায় ছিল ৭৮০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত, যা শুরু হয়ে দেব রাজবংশের (৭৫০-৮০০ খ্রিষ্টাব্দ) সময় এবং চন্দ্র রাজবংশের (৯০০-১০৫০ খ্রিষ্টাব্দ) সময় পর্যন্ত টিকে থাকে। নাটেশ্বরে বসতির দ্বিতীয় পর্যায় হলো ৯৫০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১২২৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত, যা চন্দ্র, বর্ম (১০৮০-১১৫০ খ্রিষ্টাব্দ) এবং সেন রাজবংশের (১১০০-১২২৩ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনের সময় টিকে ছিল।
মাটি খননে পাওয়া সাতটি ভিক্ষুকক্ষ বিশিষ্ট বৌদ্ধমন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, ইটের তৈরি প্রায় অক্ষত দুটি পাকা রাস্তা, হলঘর, বর্গাকার ও অষ্টকোণাকৃতি স্তূপ, যা বৌদ্ধরা ধর্মীয় আচারের স্থান বা সমাধি হিসেবে ব্যবহার করে, এবং দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ২.৭৫ মিটার প্রশস্ত আঁকাবাঁকা চওড়া দেয়াল পরিকল্পিত নগরের ইঙ্গিত দেয়। নাটেশ্বরের অষ্টকোণাকৃতির স্তূপটির আয়তন ২৫.২ বর্গমিটার। এর প্রতি বাহুর দৈর্ঘ্য ৯.২ মিটার এবং কোণাকুণি বাহুর দৈর্ঘ্য ৮.৬ মিটার। ক্রুশাকৃতির অষ্টমার্গ কেন্দ্রীয় মন্দিরটি বজ্রযান বৌদ্ধধর্মের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। এছাড়া প্রাক-মধ্যযুগীয় বৌদ্ধবিহার, পঞ্চস্তূপ, আটকোনা স্তূপ ও ইটনির্মিত নালা প্রভৃতি স্থাপত্যের সঙ্গে এবার ইটনির্মিত রাস্তা, উত্তর দিকে স্তূপ কমপ্লেক্সে ঢোকার প্রবেশপথ ও একাধিক বসতির নিদর্শন এ অঞ্চলে একটি দীর্ঘস্থায়ী নগর গড়ে ওঠার প্রমাণ দেয়। চতুর্স্তুপের দেয়ালের কাঠামো নিচ থেকে ওপরে চওড়া, যা দেশের অন্যান্য প্রত্নস্থলের কাঠামো থেকে ভিন্ন। মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনার ভিত্তিতে ঝামা ইট ব্যবহৃত হয়েছে, যা ভবনকে আর্দ্রতার হাত থেকে রক্ষা করে।
২০১৯-২০ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রাপ্ত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ পিরামিড আকৃতির সম্পূর্ণ স্তূপটির আয়তন প্রায় ২০০০ বর্গমিটার ও উচ্চতা প্রায় ৪৪.৬৪ মিটার। দক্ষিণ দিকে এর দৈর্ঘ্য ৪৪ মিটার। এর বেদির উচ্চতা ৬৪ সেন্টিমিটার ও প্রস্থ ৩ মিটার। যুক্তরাষ্ট্রে কার্বন-ডেটিং পদ্ধতিতে এটি ৭৮০-৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্য নির্মিত বলে জানা যায়। সময় বিবেচনায় এটি অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের সময়কালের (৯৮২-১০৫৪ খ্রিষ্টাব্দ) আগে নির্মিত।
নাটেশ্বরে পরিত্যক্ত স্থাপনার ওপর নতুন স্থাপনা নির্মাণের প্রমাণও পাওয়া যায়। এভাবে মাটির সাত মিটার গভীরতায় নাটেশ্বরের পাঁচটি নির্মাণযুগের আভাস পাওয়া যায়।
নাটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন এখনও চলমান। এখানে প্রাপ্ত নিদর্শন বিক্রমপুর জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া আগামী পাঁচ বছর নাটেশ্বরের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের উৎখননের পর ২০২৪ সালের মধ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে "আর্কিওলজিক্যাল পার্ক" বা "প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান" হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নাটেশ্বরকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা আশা করছেন।
|
948233
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948233
|
মোখলেসুর রহমান
|
মোখলেসুর রহমান
মোখলেসুর রহমান নামটি নিচের ব্যক্তিবর্গকে নির্দেশ করতে পারে:
|
948248
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948248
|
ইউরোপিয়ান গার্লস অ্যাডাল্ট ফিল্ম ডেটাবেজ
|
ইউরোপিয়ান গার্লস অ্যাডাল্ট ফিল্ম ডেটাবেজ
ইউরোপিয়ান গার্লস অ্যাডাল্ট ফিল্ম ডেটাবেজ বা ইজিএএফডি হ'ল একটি অনলাইন ডাটাবেজ যা ইউরোপীয় পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্র এবং পর্ন তারকাদের সম্পর্কিত তথ্য। ফেব্রুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত, এতে ২১,০০০ এরও বেশি চলচ্চিত্র এবং ১৫,০০০ অভিনেত্রীর বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
একই সাইটটি দাবি করেছে যে, এটি এই বিষয়ের পরিপূর্ণ ওয়েবসাইট হয়তো নয়, যদিও এরা ইউরোপের পর্নোগ্রাফি চলচ্চিত্রের যথাসম্ভব তথ্য শ্রেণিবদ্ধ করার চেষ্টা করে এবং নিজেকে আইএমডিবি এবং আইএএফডি -এর পরিপূরক মনে করে।
|
948250
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948250
|
মোখলেসুর রহমান (দিনাজপুরের রাজনীতিবিদ)
|
মোখলেসুর রহমান (দিনাজপুরের রাজনীতিবিদ)
মোখলেসুর রহমান (–১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬) বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ যিনি দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
মোখলেসুর রহমান সালে দিনাজপুর জেলার পাঁচবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মোখলেসুর রহমান দিনাজপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে দিনাজপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের পঞ্চম ও ১২ জুন ১৯৯৬ সালের সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় পার্টি প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।
মোখলেসুর রহমান ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ সালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
|
948251
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948251
|
আমজাদ হোসেন (দিনাজপুরের রাজনীতিবিদ)
|
আমজাদ হোসেন (দিনাজপুরের রাজনীতিবিদ)
আমজাদ হোসেন (মৃত্যু: ৯ মে ২০০৫) বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা যিনি তৎকালীন দিনাজপুর-৭ ও দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
আমজাদ হোসেন দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার একমাত্র সন্তান শওকত হোসেন বুল্লা।
আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন দিনাজপুর-৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালের তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দিনাজপুর-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন।
আমজাদ হোসেন ৯ মে ২০০৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
|
948255
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948255
|
আলভিন গ্রীনিজ
|
আলভিন গ্রীনিজ
আলভিন এথেলবার্ট গ্রীনিজ (; জন্ম: ২০ আগস্ট, ১৯৫৬) ক্রাইস্টচার্চের বাথ ভিলেজ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে বার্বাডোস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন আলভিন গ্রীনিজ।
১৯৭৪-৭৫ মৌসুম থেকে ১৯৮৩-৮৪ মৌসুম পর্যন্ত আলভিন গ্রীনিজের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। মসাময়িক ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষস্থানীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রীনিজের নামের সাথে তার নামের মিল রয়েছে। তবে, বিখ্যাত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার গর্ডন গ্রীনিজের সাথে ব্যক্তিগতভাবে তার কোন সম্পর্ক নেই। বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেটকে ঘিরে খেলোয়াড়দের শূন্যতা পূরণে তাকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
দীর্ঘদেহী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আলভিন গ্রীনিজ বার্বাডোসের পক্ষে খেলতেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে দল নির্বাচকমণ্ডলীর দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্টে ও একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন আলভিন গ্রীনিজ। ৩১ মার্চ, ১৯৭৮ তারিখে জর্জটাউনে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। এছাড়াও, ১২ এপ্রিল, ১৯৭৮ তারিখে কাস্ত্রিসে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে একটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার জন্যে মনোনীত হন। জর্জটাউনে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন তিনি। পোর্ট অব স্পেনের সিরিজের চতুর্থ টেস্টে খেলেন তিনি। ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে ভারত গমনার্থে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রাখা হয়। তবে, তিনি বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হন। অস্ট্রেলীয় ধনকুবের ক্যারি প্যাকারের ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব সিরিজ ক্রিকেট থেকে বিদ্রোহী খেলোয়াড়দের প্রত্যাবর্তনে তাকে দল থেকে বাদ দেয়া হয়।
১৯৮০ সালে আবার বড় ধরনের আসরে খেলার জন্যে আমন্ত্রিত হন। হল্যান্ডে ক্লাব ক্রিকেট খেলতেন ও আঘাতগ্রস্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হবার পরও বার্বাডোসের পক্ষে বেশ সুন্দর ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শন করতে থাকেন। তবে, দল নির্বাচকমণ্ডলীর উপেক্ষার পাত্রে পরিণত হন। বিশ্ব সিরিজ শেষে খেলোয়াড়দের দলে প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিদ্রোহী দলের সদস্যরূপে তৎকালীন নিষিদ্ধঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের প্রেক্ষিতে তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে। এরপর বার্বাডোসে তরুণ খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
|
948257
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948257
|
মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন
|
মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন
মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন একজন বাংলাদেশী অর্থোপেডিক সার্জন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। সামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য ২০২১ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি তার কর্মের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত।
আমজাদ ১৯৭১ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় উরুতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ভারতের সামরিক হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর আমন্ত্রণে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতে দেশে আসা আন্তর্জাতিক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন ডা. আর জে গাস্টের অধীনে অর্থোপেডিক চিকিৎসা শুরু করেন।
তিনি এবি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া উত্তরের জেলা দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে তিনি আমেনা-বাকি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ গড়ে তুলেছেন।
|
948262
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948262
|
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম
|
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়াম
প্রথম বিশ্বযুদ্ধে বেলজিয়ামের ইতিহাস ১৯১৪ সালে জার্মান আক্রমণ এবং ১৯১৮ সালে জার্মান বাহিনী কর্তৃক অব্যাহত সামরিক প্রতিরোধ ও এই অঞ্চল দখল করার মধ্য দিয়ে বেলজিয়ামের ভূমিকা এমনকি অস্ত্রশস্ত্র পর্যন্ত বেলজিয়ামের ভূমিকা চিহ্নিত করে। পাশাপাশি এটি পূর্ব আফ্রিকার আফ্রিকান কোলনি এবং স্মল ফোর্সের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যুদ্ধের প্রয়াসে যে ভূমিকা রেখেছিল সেটাও চিত্রিত করে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন স্লিফেন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে জার্মানির দখলে থাকা নিরপেক্ষ বেলজিয়াম এবং লুক্সেমবার্গে আক্রমণ করা হয়। ফরাসী অফ গার্ডকে ধরে দ্রুত প্যারিস দখল করার প্রয়াসে নিরপেক্ষ দেশগুলির মাধ্যমে আক্রমণ করানো হয় । এই কার্যকালাপ প্রযুক্তিগতভাবে ব্রিটিশদের যুদ্ধে প্রবেশ করে, কারণ তারা যুদ্ধের ক্ষেত্রে বেলজিয়ামকে সুরক্ষিত করার জন্য ট্রিটি অফ লন্ডন (১৮৩৯) চুক্তিতে আবদ্ধ ছিল। ২ আগস্ট ১৯১৪, জার্মান সরকার তালব করে যে, জার্মান সেনাবাহিনীকে বেলজিয়ামের অঞ্চল দিয়ে উন্মুক্ত পথ দিতে হবে। তবে এটি ৩ আগস্ট বেলজিয়াম সরকার প্রত্যাখ্যান করে। ৪ আগস্টে প্রথম কিং অ্যালবার্ট সংসদে তার ভাষণে বলেছিলেন, "১৮৩০ সালের পর বেলজিয়ামে কখনই এতো খারাপ সময় আসেনি। আমাদের প্রয়োজন অধিকার এবং ইউরোপের প্রয়োজন শক্তি। আমাদের স্বশাসিত সত্তা আমাদের নীরব রেখেছে । আশাকরা যাচ্ছে কোন খারাপ কিছু ঘটবে না"। সেই দিনেই জার্মান সেনারা ভোর বেলা সীমান্ত পেরিয়ে বেলজিয়াম আক্রমণ করে।
যুদ্ধের প্রথম দিনগুলিতে বেলজিয়াম সেনাবাহিনীর প্রতিরোধ, সেনাবাহিনীর সাথে - জার্মান সেনাবাহিনীর প্রায় দশমাংশের আকারের বিরুদ্ধে - প্রায় এক মাস ধরে জার্মান আক্রমণ চালিয়ে ফরাসী ও ব্রিটিশ বাহিনীকে বছরের পরের দিকে মার্নান কাউন্টার অফ্রেসিভেনের জন্য প্রস্তুত করার সময় দিয়েছিল। আসলে, প্যারিসে জার্মান অগ্রযাত্রা প্রায় ঠিক সময়সূচিতেই ছিল।
জার্মান হানাদাররা যেকোন প্রতিরোধের যেমন- সেতু ও রেললাইন ভেঙে ফেলা-অবৈধ ও বিপর্যয়মূলক আচরণ,প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অপরাধীদের এবং জ্বলন্ত ভবনগুলিকে গুলি করা সবই করেছিলো।
ফ্ল্যান্ডার্স ছিলো ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি এবং এটি পশ্চিমা ফ্রন্টের উভয় পক্ষের প্রাণহানির জন্য কিছুটা দায়ী ছিল।
জার্মানরা বেলজিয়ামে (দেশের ৯৫% এরও বেশি) দখলকৃত অঞ্চলগুলি পরিচালনা করেছিল এবং এর আশেপাশের শুধুমাত্র একটি ছোট্ট অঞ্চল ওয়াইপ্রেস বেলজিয়ামের নিয়ন্ত্রণে ছিল। একটি দখল কর্তৃপক্ষকে (সাধারণ সরকার নামে পরিচিত) এই অঞ্চলটির বেশিরভাগ অংশের উপর নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়েছিল, যদিও পূর্ব ও পশ্চিম ফ্ল্যাণ্ডারসসহ দুটি প্রদেশকে জার্মান সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে যুদ্ধ অঞ্চল হিসাবে পৃথক মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। অন্য কোথাও সামরিক আইন বিরাজ করছিল। বেশিরভাগ দখলের জন্য, জার্মান সামরিক গভর্নর ছিলেন মরিজট ভন বিসিং (১৯১৪-১৭)। গভর্নরের নীচে আঞ্চলিক এবং স্থানীয় জার্মান "কোমন্ডান্টুরেনের" একটি নেটওয়ার্ক ছিল এবং এর প্রতিটি এলাকা একটি জার্মান অফিসারের চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অনেক বেসামরিক লোক যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে বেলজিয়ামের নিরাপদ স্থানে পালিয়ে যায়। সারা দেশ থেকে অনেক শরণার্থী নেদারল্যান্ডসে (যা নিরপেক্ষ ছিল) এবং প্রায় ৩০০,০০০ জন মানুষ ফ্রান্সে পালিয়ে গিয়েছিল। সেইসময় ২০০,০০০ এরও বেশি লোক ব্রিটেনে গিয়েছিলেন, যেখানে তারা লন্ডনে পুনর্বাসিত হন এবং পরবর্তিতে তারা যুদ্ধসংক্রান্ত চাকরির সন্ধান পান। ব্রিটিশ এবং ফরাসী সরকার ত্রাণ ও সহায়তা প্রদানের জন্য যুদ্ধ শরণার্থী কমিটি (ডাব্লুআরসি) এবং সিকোর্সস ন্যাশনাল গঠন করে; ব্রিটেনে অতিরিক্ত ১,৫০০ স্থানীয় ডাব্লুআরসি কমিটি ছিল। শরণার্থীদের উচ্চ দৃশ্যমানতা ফরাসি এবং ব্রিটিশদের মনে বেলজিয়ামের ভূমিকার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। ১৯১৫ সালের বসন্তে, জার্মান কর্তৃপক্ষ বেলজিয়াম-ডাচ সীমান্তে একটি মারাত্মক বৈদ্যুতিক বেড়া (ওয়্যার অফ ডেথ)-এর নির্মাণ শুরু করে যা দখলদার দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা ২ হাজার থেকে ৩ হাজার বেলজিয়ান শরণার্থীর প্রাণহানি ঘটিয়েছিল।
বেলজিয়াম সরকারের পরমর্শে যুদ্ধকালীন সময়েও সরকারী চাকরিজীবিরা তাদের স্বপদে অসিন থেকে দিনের পর দিন নিয়মিত কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু অপরদিকে একিসময় সমস্ত রাজনৈতিক তৎপরতা স্থগিত করা হয় এবং সংসদ বন্ধ হয়ে যায়। কৃষক এবং কয়লা খননকারীরা অনেকগুলি বৃহত্তর ব্যবসা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মতো তাদের কাজ বন্ধ রেখেছিল। ঐসময় জার্মানরা ঘেন্টে প্রথম একমাত্র ডাচ-ভাষী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সহায়তা করেছিল। একধরণের নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধের প্রচেষ্টার অভাব ছিল; কোসমান বলেছেন যে অনেক বেলজিয়ানদের কাছে যুদ্ধের বছরগুলি ছিল "দীর্ঘ এবং অত্যন্ত নিস্তেজ অবকাশ"। বেলজিয়ামের শ্রমিকদের জোর করে শ্রম প্রকল্পে ভর্তি করা হয়েছিল; ১৯১৮ সালের মধ্যে জার্মানরা ১২০,০০০ বেলজিয়ান শ্রমিককে জার্মানিতে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল।
বেলজিয়াম প্যারিস দখল করার শ্লিফেন প্ল্যান করায় জার্মান সেনাবাহিনী ক্ষুব্ধ হয়েছিল। উপরে থেকে নীচে পর্যন্ত দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে বেলজিয়ানরা অবৈধ নাশকতাকারীদের মুক্তি দিয়েছে ("ফ্রাঙ্ক-টায়ার্স") এবং বেসামরিক লোকরা জার্মান সৈন্যদের উপর নির্যাতন ও দুর্ব্যবহার করেছিল। এর প্রতিক্রিয়া ছিল বেসামরিকদের উপর একাধিক বৃহৎ আকারের আক্রমণ এবং ঐতিহাসিক ভবন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলিতে ধ্বংসযজ্ঞ করা। পক্ষপাতমূলক ক্রিয়াকলাপে সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিদের সংক্ষেপে গুলি করা হয়েছিল। জার্মান সেনাবাহিনীর রেকর্ডগুলি নিয়ে গবেষণা করা ঐতিহাসিকরা ১০১ টি "বড়" ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন-যেখানে দশ বা ততোধিক বেসামরিক লোক মারা গিয়েছিল এবং মোট ৪,৪২১ জনের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিল। ঐতিহাসিকরা আরো ৩৮৩টি "ছোটখাটো" ঘটনাও আবিষ্কার করেছিলেব যাতে আরও ১,১০০ বেলজিয়ান মারা গিয়েছে বলে মনে করা হয়। প্রায় সবই জার্মানি গেরিলা হামলার প্রতিক্রিয়া বলে দাবি করা হয়। এছাড়াও রাজনীতিবিদ অ্যাডলফ ম্যাক্স এবং ইতিহাসবিদ হেনরি পাইরেনেসহ কিছু উচ্চ-পর্যায়ের বেলজিয়ান ব্যক্তিত্ব জিম্মি হিসাবে জার্মানিতে বন্দী ছিল।
জার্মান অবস্থানটি ছিল যে বেলজিয়ামের বেসামরিক নাগরিকদের দ্বারা ব্যাপক নাশকতা এবং গেরিলা কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ এবং অবিলম্বে কঠোর সমষ্টিগত শাস্তির ব্যবস্থা করা। সাম্প্রতিক গবেষণা যা জার্মান সেনা সূত্রগুলি নিয়মিতভাবে অধ্যয়ন করেছে তা প্রমাণিত করেছে যে তারা বাস্তবে টিয়ের সময় বেলজিয়ামে কোনও অনিয়মিত বাহিনীর মুখোমুখি হয়নি।
ব্রিটিশরা জার্মান নৃশংসতা সম্পর্কে বিশ্বকে জানাতে ব্যাকুল ছিল। ব্রিটেন ব্রাইস রিপোর্ট হিসাবে পরিচিত "কথিত জার্মান আউটরেজ সম্পর্কিত কমিটি" আয়োজন করেছিল। ১৯১৫ সালের মে মাসে প্রকাশিত হয়েছিল, প্রতিবেদনে ডাইরির সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং বন্দী জিআই-তে পাওয়া চিঠিপত্র সহ বিস্তৃত বিবরণ এবং প্রথম হাতের অ্যাকাউন্ট জার্মান সেনারা আটক করেছিল। এই প্রতিবেদনটি নিরপেক্ষ দেশগুলিতে, বিশেষত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জনমত পরিবর্তন করার একটি প্রধান কারণ ছিল। ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রে ৪১,০০০ কপি প্রেরণের পরে, জার্মানরা বেলজিয়ামের বেসামরিক নাগরিকদের দ্বারা জার্মান সৈন্যদের উপর নৃশংসতার বিষয়ে তাদের নিজস্ব প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।
১৯২০ এর দশকে এবং ১৯৩০ এর দশকে এবং তারপরে অত্যন্ত অতিরঞ্জিত যুদ্ধকালীন প্রচার হিসাবে ব্রাইস রিপোর্টটিকে উপহাস করা হয়েছিল। এটি শরণার্থীদের অপ্রমাণিত অভিযোগ এবং জার্মান সৈন্যদের ডায়েরিগুলির বিকৃত ব্যাখ্যাগুলির উপর খুব বেশি নির্ভর করেছিল। সাম্প্রতিক বৃত্তি ব্রাইস রিপোর্টে বিবৃতি বৈধ করার চেষ্টা করেনি। পরিবর্তে গবেষণা সরকারী জার্মান রেকর্ডে গিয়েছে এবং নিশ্চিত করেছে যে জার্মানরা বেলজিয়ামে ইচ্ছাকৃতভাবে বড় আকারের নৃশংসতা করেছে।
ঐসময় বেলজিয়াম খাদ্য সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল এবং লন্ডনে অবস্থিত হারবার্ট হুভার, এমিল ফ্রান্সকি এর অনুরোধে, তারা একটি আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার আয়োজন করেছিল, যার "কমিট ন্যাশনাল ডি সিকোর্স এট ডি 'অ্যালিমেন্টেশন" (সিএনএসএ) বুঝতে পেরেছিল যে বেলজিয়ামে দুর্ভিক্ষ এড়ানোর একমাত্র উপায় হ'ল বিদেশ থেকে আমদানি করা। বেলজিয়ামে হুভারের ত্রাণ কমিশন (সিআরবি) তাদের কার্যক্রমের জন্য জার্মানি এবং মিত্র উভয়ের অনুমতি পেয়েছিল। সিআরবির চেয়ারম্যান হিসাবে হুভার ফ্রান্সকুইয়ের সাথে বিদেশে অর্থ সংগ্রহ এবং সহায়তার জন্য কাজ করেছিলেন, বেলজিয়ামে খাদ্য ও সহায়তা পরিবহনেরও কাজ করেছিলেন যা পররবর্তিতে সিএনএসএ এর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছিল। সিআরবি সিএন বিতরণের জন্য কয়েক মিলিয়ন টন খাদ্যদ্রব্য ক্রয় এবং আমদানি করেছিল। সিআরবি তার নিজস্ব পতাকা, নৌবাহিনী, কলকারখানা, কল এবং রেলপথের সাহায্যে একটি সত্যিকারের স্বতন্ত্র প্রজাতন্ত্র হয়ে উঠেছিল।
আমেরিকান বাহিনী, আমেরিকান বাহিনী, আমেরিকান রিলিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এআরএ) প্রতিদিন ১০.৫ মিলিয়ন মানুষের খাবার সরবরাহ করেছিল। ত্রাণ সরবরাহের জার্মানির বাধ্যবাধকতার উপর জোর দেওয়ার পরিবর্তে, গ্রেট ব্রিটেন সিআরবিকে সমর্থন করতে নারাজ হয়ে পড়ে; উইনস্টন চার্চিল একটি সামরিক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যা বেলজিয়ামের ত্রাণ প্রচেষ্টা "একটি ইতিবাচক সামরিক বিপর্যয়" হিসাবে বিবেচনা করেছিল।
প্রাক ক্যাথলিক মন্ত্রকটি চার্লস ডি ব্রুকভিলি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অব্যাহত থাকাকালীন নির্বাসনে সরকার হিসাবে পদে ছিলেন এবং যুদ্ধ পোর্টফোলিও গ্রহণ করেছিলেন। ডি ব্রুকভিল যুদ্ধের মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিয়ে বিদেশ বিষয়ক দায়িত্বভার গ্রহণের পরে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত ভিসকাউন্ট জুলিয়েন ডেভিগন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে অব্যাহত ছিলেন। সরকার সমস্ত দলকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারকে প্রশস্ত করা হয়েছিল, কারণ রাজনীতি সময়ের জন্য স্থগিত ছিল; অবশ্যই, তখন কোন নির্বাচন সম্ভব ছিল না। লিবারালদের প্রধান দুই বিরোধী নেতা, পল হিমেন্স এবং লেবার পার্টির এমিল ভান্ডারভেল্ডে ১৯১৪ সালে পোর্টফোলিও ছাড়াই মন্ত্রী হন। ১৯১৮ সালের মে মাসে মন্ত্রিপরিষদের পদক্ষেপে ডি ব্রুকভিলিকে পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছিল। সরকার ফরাসি শহর লে হাভ্রে ভিত্তিক ছিল, তবে জার্মান লাইনের পিছনে থাকা লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা ছিল কঠিন এবং চূড়ান্ত। নির্বাসিত সরকার বেলজিয়াম পরিচালনা করেনি, এবং সুতরাং এর রাজনীতিবিদরা পরিবর্তে নিরবচ্ছিন্নভাবে ঝাঁকিয়ে পড়েছিল এবং অবাস্তব বৈদেশিক নীতির পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছিল, যেমন লাক্সেমবার্গের অন্তর্ভুক্তি বা যুদ্ধের পরে নেদারল্যান্ডস।
বেলজিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিল না। পরিবর্তে তারা বেলজিয়ামের সাথে পরামর্শ করেনি, তবে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং রাশিয়া ১৯১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিশ্রুতি দেয় যে "এই মুহূর্তটি আসার পরে, বেলজিয়াম সরকারকে শান্তি আলোচনায় অংশ নিতে ডাকা হবে এবং বেলজিয়ামের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতায় পুনরায় প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা বৈরিতা বন্ধ করবে না এবং তার যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য মূলত ক্ষতিপূরণ দেওয়া। তার বাণিজ্যিক ও আর্থিক পুনর্বাসনের নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য তারা বেলজিয়ামকে সহায়তা করবে।"
যুদ্ধের ঘটনা এবং অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাদের জাতীয় পরিচয় সম্পর্কে চঞ্চল চেতনা বৃদ্ধি পেয়েছিল। ভন বিসিংয়ের অধীনে এবং যুদ্ধ-পূর্ব প্যান-জার্মানিজম দ্বারা প্রভাবিত জার্মান দখলদার কর্তৃপক্ষ ফ্লেমিশকে নিপীড়িত মানুষ হিসাবে দেখেছিল এবং ফ্লেমিশ মুভমেন্ট এর দাবিতে আবেদন করার জন্য একটি নীতি চালু করেছিলেন যা উনিশ শতকের শেষদিকে উত্থিত হয়েছিল। এই পদক্ষেপগুলি সম্মিলিতভাবে "ফ্লামেনপলিটিক" ("ফ্লেমিশ নীতি") নামে পরিচিত ছিল। ১৯১৬ সাল থেকে জার্মানরা "ভন বিসিং বিশ্ববিদ্যালয়" তৈরির সমস্ত আর্থিক খরচ বহন করেছিল, যা ডাচ ভাষায় প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। ১৯১৮ সালে ফ্লান্ডার্সের সমস্ত রাষ্ট্র-সমর্থিত বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ভাষা হিসাবে ডাচ ভাষাকে চালু করা হয়েছিল। জার্মান পদক্ষেপগুলি "আন্দোলনকারীদের" বা "সর্বাধিকবাদী" এর মধ্যে এই আন্দোলনকে বিভক্ত করে, যারা বিশ্বাস করত যে জার্মান সমর্থন ব্যবহার করা তাদের উদ্দেশ্যগুলি উপলব্ধি করার একমাত্র সুযোগ ছিল, এবং "প্যাসিভিস্ট" যারা জার্মান জড়িত থাকার বিরোধিতা করেছিল। ১৯১৭ সালে, জার্মানরা "র্যাড ভ্যান ভ্লানডেনরেন" ("ফ্ল্যান্ডার্স কাউন্সিল") "ক্রিয়াকর্মীদের" সমন্বয়ে ফ্ল্যাণ্ডারে একটি স্ব-স্বায়ত্তশাসিত সরকার গঠন করেছিল। ১৯১৭ সালের ডিসেম্বরে কাউন্সিল বেলজিয়াম থেকে ফ্লেমিশের স্বাধীনতা অর্জনের চেষ্টা করে, তবে যুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের জন্য তারা কখনই সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। যুদ্ধের পরে অনেক "কর্মী" সহযোগিতার জন্য গ্রেপ্তার হয়েছিল।
স্বাধীনভাবে, ইয়েজার ফ্রন্টের বেলজিয়ামের সৈন্যদের মধ্যে, ফ্লেমিশ " ফ্রন্টবেইজিং " ("ফ্রন্ট মুভমেন্ট") ফ্লেমিশ সৈন্যদের কাছ থেকে ডাচ ভাষায় শিক্ষা গ্রহণ করে গঠিত হয়েছিল, যদিও এটি বিচ্ছিন্নতাবাদী ছিল না। ফ্লেমিশ আন্দোলনের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজন সৈন্যকে ওরেন এর একটি দণ্ডিত সামরিক ইউনিট এ প্রেরণ করা হয়েছিল। কোসমান উপসংহারে এসেছিলেন যে ফ্লান্ডার্সে বিচ্ছিন্নতাবাদ গড়ে তোলার জার্মান নীতির ব্যর্থতা ছিল কারণ এটি জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি।
বেলজিয়াম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না। কঠোর নিরপেক্ষতার অর্থ কারও সাথে কোনও প্রকারের সমন্বয় ছিল না। এটিতে একটি নতুন, অনভিজ্ঞ সাধারণ কর্মী ছিল। এটি ১৯০৯ সালে বাধ্যতামূলক পরিষেবা শুরু করে; পরিকল্পনা ছিল ১৯২৬ সালের মধ্যে ৩৪০,০০০ পুরুষের একটি সেনা রাখার। ১৯১৪ সালে পুরানো পদ্ধতিটি পরিত্যাগ করা হয়েছিল এবং নতুনটি প্রস্তুত ছিল না, প্রশিক্ষিত কর্মকর্তা এবং সার্জেন্টের পাশাপাশি আধুনিক সরঞ্জামগুলির অভাব ছিল। সেনাবাহিনীর ১০২ টি মেশিনগান ছিল এবং ভারী আর্টিলারি ছিল না। কৌশলটি ছিল ব্রাসেলসের নিকটে মনোনিবেশ করা এবং যতটা সম্ভব জার্মান আক্রমণকে বিলম্বিত করে - এমন একটি কৌশল যা ইভেন্টে অত্যন্ত কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হয়েছিল কারণ এটি জার্মান সময়সূচি ব্যাহত করা।
সীমান্ত দুর্গগুলি আত্মসমর্পণ করায় ছোট্ট সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ প্রথম দিকে ধরা হয়েছিল। ১৯১৪ সালের শেষদিকে মাত্র ৬০,০০০ সৈন্য অবশিষ্ট ছিল। যুদ্ধের সময় কয়েকজন যুবক স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা দিয়েছিলেন, সুতরাং ১৯১৮ সালের মধ্যে মোট বাহিনী ১৭০,০০০-এ ফিরে এসেছিল। এটি কোনও বড় আক্রমণাত্মক শুরুর জন্য যথেষ্ট ছিল না। আক্রমণ থেকে জার্মানদের লাভের কিছুই ছিল না, সুতরাং পশ্চিমের ফ্রন্টে অন্য কোথাও বিশাল যুদ্ধগুলি ছড়িয়ে পড়ায় সংক্ষিপ্ত বেলজিয়ান ফ্রন্টটি আপেক্ষিক শান্তির একটি দ্বীপ ছিল।
রাজা অ্যালবার্ট ১ বেলজিয়াম সরকার থাকাকালীন সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর কমান্ডার হিসাবে ইয়েজার থেকে গিয়েছিলেন।
প্রাথমিক আগ্রাসনের সময় ১৯১৪ সালে বেলজিয়ামের সেনারা বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বিলম্বিত কার্যের লড়াই করেছিল। লিজের যুদ্ধে, এই শহরের দুর্গটি মিত্রবাহিনীর সৈন্যদের আগমনের জন্য মূল্যবান সময় কিনে এক সপ্তাহ ধরে আক্রমণকারীদের আটকে রেখেছিল। তদ্ব্যতীত, জার্মান "রেস টু দ্য সি" ইয়েজারের যুদ্ধে ক্লান্ত বেলজিয়াম বাহিনী কর্তৃক মৃতকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যুদ্ধের দ্বৈত তাৎপর্যটি ছিল যে জার্মানরা পুরো দেশ দখল করতে সক্ষম হয় নি, এবং ইয়েজার অঞ্চলটি অবরুদ্ধ ছিল। সাফল্যটি ছিল বেলজিয়ামের প্রচারমূলক অভ্যুত্থান।
১৯১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, বেলজিয়াম সেনাবাহিনী ১২ পদাতিক বিভাগে পুনর্গঠিত হয়েছিল। তারা কিং প্রথম অ্যালবার্ট এর কমান্ডে বেলজিয়াম-ফরাসী-ব্রিটিশ " আর্মি গ্রুপ ফ্লান্ডারস" এর একটি অংশ গঠন করেছিল এবং তাঁর চিফ অফ স্টাফ ছিলো জেনারেল জিন ডেগাউট। তারা ইয়েপ্রেসের পঞ্চম যুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, যেখানে তারা হাউথুলস্ট এ জার্মান লাইন লঙ্ঘন করেছিল এবং তারা পাসচেনডেলি, ল্যাঙ্গমার্ক ও জোনেবেকে জয় করেছেন। ২ থেকে ১৪ অক্টোবরের মধ্যে বিরতি দেওয়ার পরে, বেলজিয়াম সেনাবাহিনীও কোর্টাইয়ের যুদ্ধ এ অংশ নিয়েছিল, যেখানে তারা ব্রুজেস এবং অস্টেন্ডকে মুক্তি দিয়েছিলো। ২০ শে অক্টোবর থেকে ১১ নভেম্বর এর মধ্যে তারা লাইস এবং এসকাট যুদ্ধে লড়াই করে এবং ১১ নভেম্বরের মধ্যে ঘেন্ট এর উপকণায় পৌঁছে যায়।<br>
চূড়ান্ত আক্রমণাত্মক বেলজিয়াম সেনাবাহিনীর জন্য খুবই ব্যয়বহুল ছিল। এই যুদ্ধে হতাহতের যে পরিমাণ ছিলো তা হলো পুরো যুদ্ধের এক-তৃতীয়াংশ।
আফ্রিকাতে জার্মান উপস্থিতি বেলজিয়ান কঙ্গো এর জন্য সরাসরি কোনও হুমকি সৃষ্টি করেনি; তবে, ১৯১৪ সালে একটি জার্মান গানবোট টাঙ্গানিকা লেকে বেলজিয়ামের বেশ কয়েকটি জাহাজ ডুবেছিল। কঙ্গোলিজ বাহিনী, বেলজিয়ামের আধিকারিকদের অধীনে, ক্যামেরুনে জার্মান উপনিবেশিক বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করেছিল এবং উক্ত যুদ্ধে তারা পূর্ব আফ্রিকার পশ্চিম তৃতীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ দখল করে নিয়েছিল। ১৯২৫ সালে লীগ অফ নেশনস বেলজিয়ামকে এই অঞ্চলের (আধুনিক রুয়ান্ডা এবং বুরুন্ডি) রুয়ান্ডা-উরুন্ডি ম্যান্ডেট হিসাবে আস্থাভাজন করে তুলেছিল।
বেলজিয়াম এক্সপিডিশনারি কর্পস ছিল একটি ছোট সাঁজোয়া গাড়ি ইউনিট; এটি ১৯১৫ সালে রাশিয়ায় প্রেরণ করা হয়েছিল এবং ইউনিটটি পূর্ব ফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। মিনার্ভা সাঁজোয়া গাড়িটি পুনরায় চলাচল, দূরপাল্লার বার্তাপ্রেরণ এবং অভিযান পরিচালনা এবং ছোট আকারের ব্যস্ততার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।
|
948286
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948286
|
ঝরঝরি ঝর্ণা
|
ঝরঝরি ঝর্ণা
ঝরঝরি ঝর্ণা চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলায় অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। এই ঝর্ণাটি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের কাছাকাছি।
সীতাকুন্ড বাজারের ঠিক পরেই পান্থছিলা এলাকায় ঝর্ণাটি অবস্থিত। পান্থছিলা বাজার হতে ঝর্ণা অব্দি হেঁটে যেতে প্রায় ২ ঘণ্টা সময় লাগে।
ঝরঝরি ঝর্ণা আকারে খুব একটা বড় নয়। এর ঝর্ণার পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি ক্যাসকেড। তবে বর্ষাকালে খুমগুলো বেশ ভয়ংকর। স্বপ্নের সিড়ি ক্যাসকেডটি সিড়ির মতো খাঁজ কাটা। ঝরঝরি ঝর্ণা ট্রেইলের শেষ ঝর্ণাটির নাম মুর্তি ঝর্ণা।
প্রতিদিনই অনেক ভ্রমণপিপাসু মানুষ এই ঝর্ণা দেখতে আসেন। স্থানীয় মানুষদের গাইড হিসেবে ভাড়া করা যায়। আর সারাদিন ভ্রমণ শেষে খাওয়ার জন্য অর্ডার দেওয়া যায়।
|
948289
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948289
|
কিরণ রাঠোর
|
কিরণ রাঠোর
কিরণ রাঠোর (জন্ম: ১১ জানুয়ারী ১৯৮৬) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি তামিল, হিন্দি, মালয়ালম, তেলুগু এবং কন্নড় ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
রাঠোর ভারতের জয়পুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডনের চাচাতো বোন। রাঠোর মুম্বইয়ের মিঠাবাই কলেজ থেকে কলা'য় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। কলেজের পরে তিনি মডেলিংয়ে প্রবেশ করেন এবং কয়েকটি হিন্দি পপ অ্যালবামে কাজ করেন। ২০০১ সালে তিনি "ইয়াদে" চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
|
948301
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948301
|
কনরাড করফিল্ড
|
কনরাড করফিল্ড
স্যার কনরাড লরেন্স করফিল্ড কেসিআইই, সিএসআই, এমসি, (১৫ আগস্ট ১৮৯৩ - ৩ অক্টোবর ১৯৮০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ বেসামরিক কর্মচারী এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন সহ ভারতের বেশ কয়েকজন ভাইসরয়ের একান্ত সচিব। তিনি "দ্য প্রিন্সলি ইন্ডিয়া আই নিউ, ফ্রম রিডিং টু মাউন্টব্যাটেন" বইয়ের লেখকও ছিলেন।
করফিল্ড ১৮৯৩ সালের ১৫ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার্চ অফ ইংল্যান্ড মিশনারি এবং পরবর্তী কালে ইংল্যান্ডের বার্কশায়ারের ফিনচ্যাম্পস্টেডের রেক্টর রেভার এগারটন করফিল্ডের পুত্র ছিলেন। তিনি র্যামসগেটের সেন্ট লরেন্স কলেজে পড়াশুনা করেন, পরবর্তীকালে তিনি সেখানে পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৯১৪ সালের ৮ অক্টোবর করফিল্ড ১ম কেমব্রিজশায়ার রেজিমেন্টের সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে কমিশন লাভ করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি পশ্চিম রণাঙ্গনে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন। ১৯১৫ সালের ১৬ মার্চ তিনি অস্থায়ীভাবে লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদায় পদোন্নতি লাভ করেন (আগে থেকেই এবং ১৯১৬ সালের ৪ আগস্টে একই তারিখ থেকে স্থায়ী পদমর্যাদা) এবং ১৭ জুন ১৯১৫ তারিখে অস্থায়ী ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতি লাভ করেন (১২ জানুয়ারী ১৯১৬ থেকে বেতন-ভাতা পান)।
লেফটেন্যান্ট (অস্থায়ী অধিনায়ক) হিসাবে তিনি ১৯১৬ সালের ১৬ নভেম্বর সামরিক ক্রস (এমসি) দিয়ে অলঙ্কৃত হন:
পরবর্তীকালে করফিল্ডকে তাঁর ব্যাটালিয়নের অ্যাডজুট্যান্ট নিযুক্ত করা হয় এবং ১৯১৭ সালের ২৯ আগস্ট (১৯১৬ সালের ১ লা জুন থেকে পদমর্যাদার উচ্চতা লাভ করেন) স্থায়ীভাবে ক্যাপ্টেন পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়। তিনি ১৯১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯২০ সালে করফিল্ড ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে নিয়োগকৃত একটি ব্যাচে যোগদান করেন। পাঞ্জাবে প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পরে, ১৯২১ সালের মে মাসে করফিল্ড ভাইসরয় লর্ড রিডিংয়ের সহকারী ব্যক্তিগত সচিব হিসাবে নয়াদিল্লিতে নিয়োগ পান। আঠারো মাস এই পদে অধিষ্ঠিত থাকার পরে তাকে জেলা কাজের জন্য পুনরায় পাঞ্জাবে নিযুক্ত করা হয়। ১৯২৫ সালে তিনি ভারত সরকারের বৈদেশিক ও রাজনৈতিক বিভাগে যোগদানের জন্য নির্বাচিত হন এবং তাঁর প্রথম নিয়োগ পশ্চিম ভারতের স্টেটস এজেন্সির প্রতিনিধির সচিব পদে হয়েছিল। পরে তিনি উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে কালাতের রাজনৈতিক প্রতিনিধির সহকারী হিসাবে বদলি হন। ১৯২৮ সালের শেষের দিকে তাকে একই ক্ষমতাতে রাজপুতানা এজেন্সিতে বদলি করা হয়। তিন বছর পর তাকে মধ্য ভারতের দক্ষিণ রাজ্য এবং মালওয়ার পলিটিক্যাল এজেন্সির দায়িত্বে নিযুক্ত করা হয়, তবে তাকে দ্রুত হায়দরাবাদ রাজ্যে স্থানান্তরিত করা হয় যাতে নিজামের রাজ্যে রাজশক্তির প্রতিনিধির সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৩ সালের বসন্তে রাজ্যে প্রশাসনিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে তাকে রেওয়াতে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং রাজ্য কাউন্সিলের সহ-সভাপতি করা হয়। ১৯৩৩ সালের শেষের দিকে তিনি ভারতীয় গোলটেবিল সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশনে রেওয়া প্রতিনিধি দলের উপদেষ্টা হিসাবে ইংল্যান্ডে আসেন। ১৯৩৪ সালে করফিল্ড পররাষ্ট্র ও রাজনৈতিক বিভাগের যুগ্ম সচিব নিযুক্ত হন, প্রথমে লর্ড উইলিংডনের অধীনে এবং পরে লর্ড লিনলিথগোর অধীনে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি জয়পুরে রাজ প্রতিনিধি হন, এবং ১৯৪০ সালে একই ক্ষমতাতে পাঞ্জাব রাজ্যে বদলি হন। ১৯৪৫ সালে করফিল্ডকে রাজ প্রতিনিধি লর্ড ওয়াভেলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এই ভূমিকায় করফিল্ড ভাইসরয় এবং ভারতের রাজকুমারদের মধ্যে সরকারি সংযোগারি ছিলেন। ১৯৪৭ সালের বসন্তে ওয়েভেলকে যখন ইংল্যান্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং ভাইসরয় হিসাবে মাউন্টব্যাটেনকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়, তখন করফিল্ড রাজ প্রতিনিধি নতুন ভাইসরয়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসাবে অব্যাহত থাকেন। সেই বছর আগস্টে নেহেরু ও জিন্নাহর সরকারের নিকট ব্রিটিশদের ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত করফিল্ড ভারতে থেকে যান।
করফিল্ড স্বাধীন ভারতে রাজকুমারদের অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি জোর দিয়েছিলেন যে দেশীয় রাজ্যগুলি যদি তারা স্বাধীন থাকার সিদ্ধান্ত নেয় তবে তাদেরকে স্বাধীন থাকার অনুমতি দেওয়া উচিত। তিনি রাজকুমারদের ব্যক্তিগত জীবনের বিষয়ে যে রেকর্ড সংগ্রহ করেছিলেন তা ধ্বংস করার জন্য তিনি ব্রিটিশ সরকারের অনুমতি চেয়েছিলেন এবং তা পেয়েছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন যে এই রেকর্ডগুলি ভারতের নতুন সরকার রাজকুমারদের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেল হিসাবে ব্যবহার করতে পারে।
করফিল্ড প্রথমে ১৯২২ সালের ২২ ডিসেম্বর , এল.পি.ই. পুগ, কে.সি -এর কন্যা ফিলিস বেথা পুগের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির এক কন্যা ও এক পুত্র ছিল। ১৯৩২ সালে তাঁর প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর করফিল্ড ১৯৬১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লেফটেন্যান্ট কর্নেল চার্লস ও’ব্রায়ান ডাউন্টের বিধবা সিলভিয়া ফিলিস মেরি হ্যাডোকে বিবাহ করার আগ পর্যন্ত বেশ কয়েক দশক ধরে বিপত্নীক ছিলেন।
করফিল্ড ফিনচ্যাম্পস্টেডের ওয়ারেন লজ রেস্ট হোমে ১৯৮০ সালের ৩ অক্টোবর মারা যান।
করফিল্ড ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে নিম্নলিখিত সম্মানসূচক পদকসমূহ লাভ করেছিলেন:
|
948332
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948332
|
ব্যাকট্রিয়া
|
ব্যাকট্রিয়া
ব্যাকট্রিয়া (; ব্যাকট্রিয়া: , ), বা ব্যাকট্রিয়ানা বা বাহ্লীক ছিলো মধ্য এশিয়ার একটি প্রাচীন অঞ্চল। ব্যাকট্রিয়ার সঠিক অবস্থান ছিল হিন্দুকুশ পর্বতমালার উত্তরে এবং আমু দরিয়া নদীর দক্ষিণে, যা আধুনিক-আফগানিস্তানের উত্তরাংশ, তাজিকিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাংশ এবং উজবেকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। আরও বৃহত্তরভাবে ব্যাকট্রিয়া ছিল হিন্দু কুশের উত্তরে, পামিরের পশ্চিমে এবং তিয়ানশির দক্ষিণে, আমু দরিয়া মাঝখান দিয়ে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হয়েছিল।
আবেস্তায় অঞ্চলটিকে "অনিন্দ্য ব্যাকট্রিয়া, পতাকাসমেত মুকুটপরিহিত" এবং সর্বোচ্চ দেবতা আহুরা মাজদা যে ষোলটি নিখুঁত ইরানি ভূমি তৈরি করেছিলেন সেগুলির মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটি জরাথুস্ট্রবাদের প্রাথমিক কেন্দ্রগুলির একটি এবং ইরানের কিংবদন্তি কায়ানীয় রাজত্বের রাজধানী। ব্যাকট্রিয়াকে মহান দারিয়াস-এর বেহিসতুন শিলালিপিতে হাখমানেশি সাম্রাজ্যের অন্যতম সত্রপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে; এটি ছিলো একটি বিশেষ সত্রপ যা রাজমুকুটপ্রাপ্ত অধিপতি বা অভিপ্রেত উত্তরাধিকারীদের দ্বারা শাসিত হতো। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে হাখমানেশি সাম্রাজ্যের পতনের পরে ম্যাসেডোনিয়ার আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিরোধের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ব্যাকট্রিয়া, তবে শেষ পর্যন্ত গ্রেট আলেকজান্ডারের পতন ঘটে। ম্যাসেডোনীয় বিজয়ীর মৃত্যুর পরে, ব্যাকট্রিয়া তার সেনাপতি প্রথম সিলিউকাস দ্বারা অধিকৃত হয়।
তা সত্ত্বেও, ব্যাকট্রিয়ার সত্রপ ডায়োডোটাস প্রথম কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণার পরে অঞ্চলটি হারিয়েছিলেন সেনাপতি সেলুসিড; এভাবে গ্রিকো-ব্যাকট্রিয়ান এবং পরবর্তীকালে ইন্দো-গ্রীক রাজ্যের ইতিহাস শুরু হয়েছিল। খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর মধ্যে ইরানি পার্থিয়ান সাম্রাজ্য দ্বারা দখলকৃত হয় ব্যাকট্রিয়া এবং ১ম শতাব্দীর গোড়ার দিকে ব্যাকট্রিয়া অঞ্চলগুলোতে ইউয়েজি কর্তৃক কুষাণ সাম্রাজ্য দ্বারা গঠিত হয়েছিল। ইরানের রাজাদের মধ্যে দ্বিতীয় সাসানীয় মহারাজা শাপুর প্রথম তৃতীয় শতাব্দীতে কুষাণ সাম্রাজ্যের পশ্চিম অংশগুলি জয় করেছিলেন এবং কুষাণ-সাসানিয়ান রাজ্য গঠিত হয়েছিল। ৪র্থ শতাব্দীতে সাসানিয়ানরা ব্যাকট্রিয়ার দখল হারায়, তবে ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে পুনরায় দখল করেছিল। ৭ম শতকে ইরানের মুসলিম বিজয়ের সাথে সাথে ব্যাকট্রিয়ার ইসলামীকরণ শুরু হয়।
৮ম এবং ৯ম শতাব্দীতে ব্যাকট্রিয়া ছিলো একটি ইরানি রেনেসাঁ বা নবজাগরণের কেন্দ্র এবং অঞ্চলটিতে একটি স্বতন্ত্র সাহিত্যিক ভাষা হিসাবে নতুন ফারসি ভাষার আবির্ভাব ঘটে এই সময়ে। ব্যাকট্রিয়ার পূর্ব ইরানে পারস্যের সামান খুদার বংশধরদের দ্বারা গঠিত হয়েছিল সামানি সাম্রাজ্য; ফলশ্রুতিতে এই অঞ্চলে ফার্সি ভাষার বিস্তার এবং ব্যাকট্রিয়ান ভাষার অবনতি শুরু হয়।
প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় সময়ে ব্যাকট্রিয়া ছিলো ব্যাকট্রিয়া ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলোর সাধারণ ও প্রচলিত ভাষা। ইসলাম ধর্মের উত্থানের পূর্বে জরাথ্রুস্টবাদ এবং বৌদ্ধধর্মই ছিল বেশিরভাগ ব্যাকট্রিয়ানের ধর্ম।
ইংরেজি নাম ব্যাকট্রিয়া শব্দটি এসেছে প্রাচীন গ্রিক Βακτριανή ("Baktriani/ব্যাকট্রিয়ানি") হতে, যা ব্যাকট্রিয়ান শব্দ βαχλο (ব্যাকলো)-এর গ্রিক সংস্করণ। সাদৃশ্যযুক্ত নামগুলির মধ্যে রয়েছে আবেস্তা "বাখ্দি", আদিফার্সি "বাখ্ত্রিস", মধ্যফার্সি "বাল্খ," আধুনিক ফার্সি بلخ ("বাল্খ"), চীনা 大夏 (পিনিয়িন: "Dàxià"), লাতিন "ব্যাকট্রিয়ানা" এবং সংস্কৃত "बाह्लीक" (বাহ্লীক)।
ব্যাকট্রিয়া মধ্য এশিয়ায় এমন একটি অঞ্চলে অবস্থিত ছিলো যেখানে আধুনিক সময়ে রয়েছে আফগানিস্তান এবং উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের বেশিরভাগ অংশ। দক্ষিণ এবং পূর্ব দিকে এটি হিন্দু কুশ পর্বতমালার সাথে সীমানাযুক্ত ছিল। পশ্চিমে এই অঞ্চলটি বৃহত্তর কারম্যানিয়ান মরুভূমির সাথে সীমাবদ্ধ ছিল এবং উত্তরে এটি অক্সাস নদী দ্বারা আবদ্ধ ছিল। বেশিরভাগ প্রাচীন গ্রিক কৃষিজ পণ্য উৎপাদন করার ক্ষমতা ও উর্বতার জন্য উল্লেখযোগ্য ছিলো ব্যাকট্রিয়া।
পিয়েরে লেরিচের মতে:
|
948341
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948341
|
মাধবপ্রসাদ ঘিমিরে
|
মাধবপ্রসাদ ঘিমিরে
মাধবপ্রসাদ ঘিমিরে (; ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯১৯১৮ আগস্ট ২০২০) একজন নেপালি কবি, সাহিত্যিক, গীতিকার ও শিক্ষাবিদ। গৌরী, মালতিমঙ্গল, নবমঞ্জরী (বি.স ১৯৯৪), ঘামপানী (বি.স ২০১০), নয়াঁ নেপাল (বি.স ২০১৩), কিন্নর-কিন্নরী (বি.স ২০১৩) ইত্যাদি সাহিত্যকর্মের জন্য তিনি বিখ্যাত। নেপালি সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৩ সালে নেপাল সরকার তাকে জাতীয় কবি () হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
মাধবপ্রসাদ ১৯১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর নেপালের লমজুঙ জেলার "পুস্তুন" নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র তিন বছর বয়সেই তিনি তার মাকে হারান। ৬ বছর বয়সে তিনি পড়তে শেখেন এবং আট বা নয় বছর বয়সে "ফুলেবাবা" নামক এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি পঞ্চাঙ্গম শেখেন। ১১ বছর বয়সে তিনি সংস্কৃত ভাষা শিখতে "দুরাডাঁডা গ্রামে" যান। পরবর্তীতে তিনি কাঠমান্ডু গিয়ে "সংস্কৃত প্রধান পাঠশালা" ও "তিনধারা সংস্কৃত পাঠশালা"য় লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি ভারতের বেনারসে গমন করেন এবং সেখানেই উচ্চশিক্ষা লাভ করেন।
মাত্র ১৪ বছর বয়সেই ঘিমিরের লেখা "জ্ঞানপুষ্প" গোর্খাপত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বেনারস থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে ১৯৪১ সালে তিনি "ভাষানুবাদ পরিষদে" মাসিক ২৫ রূপি বেতনে লেখক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৪৪ সালে তিনি গোর্খাপত্রের সহ-সম্পাদক নিযুক্ত হন। এরপর, ১৯৫১ সালে তিনি গ্রামে ফিরে এসে শিক্ষকতা শুরু করেন। ১৯৫৩ সালে তিনি লক্ষ্মীপ্রসাদ দেবকোটা নেতৃত্বাধীন "কাব্য প্রতিষ্ঠানে"র সদস্য হন।
১৯৭৯ সালে তিনি নেপাল রাজকীয় প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠান (নেপাল রয়েল অ্যাকাডেমি)-এর উপাচার্যের দায়িত্ব পান। ১৯৮৮ সালে তাকে আচার্য হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয় এবং ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
২০২০ সালের ১৮ আগস্ট (বিক্রম সংবৎ:২ ভাদ্র ২০৭৭) ঘিমিরে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে কাঠমান্ডুর নিজ বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
ঘিমিরে ২০০৩ সালে নেপালের জাতীয় কবির স্বীকৃতি পান। এছাড়াও তিনি ছিলেন নেপালি সেনাবাহিনীর সম্মানসূচক কর্নেল। তার অন্যান্য অর্জনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
|
948342
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948342
|
কার্থেজের অবরোধ (৩য় পিউনিক যুদ্ধ)
|
কার্থেজের অবরোধ (৩য় পিউনিক যুদ্ধ)
কার্থেজ অবরোধ ছিল আফ্রিকার পিউনিক শহর এবং রোমান প্রজাতন্ত্রের মধ্যে তৃতীয় পিউনিক যুদ্ধের প্রধান লড়াই। এটি ছিল একটি অবরোধ অভিযান, যা ১৪৯ বা ১৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কোনো এক সময় শুরু হয়, এবং ১৪৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শেষ হয়। এ অবরোধ রোমানদের দ্বারা কার্থেজ শহরকে সম্পূর্ণ বিনষ্ট করা এবং সম্পূর্ণ ধ্বংসের মাধ্যমে শেষ হয়।
প্রায় সকল দৃষ্টিকোণ থেকেই তৃতীয় পিউনিক যুদ্ধের প্রধান উৎস ছিল ইতিহাসবিদ পলিবিয়াস ( – ) তাকে একজন গ্রিক জিম্মি হিসেবে ১৬৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে রোমে পাঠানো হয়। তার কাজের মধ্যে ছিল সামরিক কৌশলের উপর একটি হারিয়ে যাওয়া ম্যানুয়াল তৈরী, কিন্তু তিনি এখন "দ্য হিস্টোরিজ" এর জন্য পরিচিত, যা খ্রিস্টপূর্ব ১৪৬ অব্দে রচিত। পলিবিয়াসের কাজ ব্যাপকভাবে নিরপেক্ষ এবং অন্তত কার্থাজিনিয়ান এবং রোমান দৃষ্টিভঙ্গিতে নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পলিবিয়াস ছিলেন একজন বিশ্লেষণী ইতিহাসবিদ। তিনি যে সব ঘটনা রচনা করেছেন সেসবের জন্য যেখানে সম্ভব ব্যক্তিগতভাবে তিনি উভয়পক্ষের অংশগ্রহণকারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তিনি উত্তর আফ্রিকায় তার অভিযানের সময় রোমান সেনাপতি স্কিপিও এমিলিয়ানাসের সাথে যান, যার ফলে যুদ্ধে কারহেজ ও রোমানদের বিজয় হয়।
গত ১৫০ বছর ধরে পলিবিয়াসের বিচার ক্ষমতার যথার্থতা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু আধুনিক ঐকমত্য হচ্ছে, এটিকে মূলত তার ফেস ভ্যালুর কারণে গ্রহণ করা হয়েছিল। এবং আধুনিক উৎসগুলোতে যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ মূলত পলিবিয়াসের বিচারের ব্যাখ্যার উপর ভিত্তি করে। আধুনিক ঐতিহাসিক অ্যান্ড্রু কারি পলিবিয়াসকে "মোটামুটি নির্ভরযোগ্য" হিসেবে দেখেন; যেখানে ক্রেইগ চ্যাম্পিয়ন তাকে বর্ণনা করেছেন "একজন লক্ষণীয়ভাবে সুবিজ্ঞ, পরিশ্রমী এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ঐতিহাসিক"।
অন্যরা পরবর্তীতে যুদ্ধের প্রাচীন ইতিহাস রচনা করেছে, যদিও ওগুলো প্রায়ই খণ্ডিত বা সংক্ষিপ্ত আকারে বিদ্যমান। তৃতীয় পুনিক যুদ্ধের আপ্পিয়ানের বিবরণ বিশেষভাবে মূল্যবান। আধুনিক ঐতিহাসিকগণ সাধারণত বিভিন্ন রোমান বিশ্লেষণ, কিছু সমসাময়িক রচনা বিবেচনা করেন; যেমন- সিসিলির গ্রিক ডিওডোরাস সিকুলাস, পরবর্তী রোমান ঐতিহাসিক লিভি (যিনি পলিবিয়াসের উপর প্রচুর নির্ভর করে থাকেন), প্লুটার্ক এবং ডিও ক্যাসিয়াসের উপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করতেন। ক্লাসিকিস্ট আদ্রিয়ান গোল্ডসওয়ার্থি বলেছেন "পলিবিয়াসের বিচার সাধারণত অগ্রাধিকার দেওয়া হয় যখন এটি আমাদের অন্য কোন বিচারের সাথে পার্থক্য তৈরী করে"। অন্যান্য উৎসের মধ্যে রয়েছে মুদ্রা, শিলালিপি, প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ এবং পুনর্নির্মাণ থেকে অভিজ্ঞতামূলক প্রমাণ যেমন ট্রাইরেম অলিম্পিয়াস।
কার্থেজ ও রোমের মধ্যে ২১৭ থেকে ২০১ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত ১৭ বছর ব্যাপী দ্বিতীয় পিউনিক যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধ রোমানদের বিজয় দিয়ে শেষ হয়। কার্থাজেনীয়দের উপর আরোপিত শান্তি চুক্তি কার্থেজেনীয়দের সমস্ত বিদেশী অঞ্চল এবং তাদের কিছু আফ্রিকান এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে ১০,০০০ রৌপ্য ট্যালেন্ট (প্রাচীন মুদ্রা) ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ছিল। জিম্মিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কার্থেজদের জন্য যুদ্ধে ব্যবহৃত হাতি রাখা নিষিদ্ধ ছিল এবং যুদ্ধজাহাজের বহর ১০ টি তে সীমাবদ্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। আফ্রিকার বাইরে যুদ্ধ পরিচালনা নিষিদ্ধ ছিল এবং শুধুমাত্র রোমের এক্সপ্রেস অনুমতি নিয়ে আফ্রিকায় যুদ্ধ করার অনুমতি ছিল। অনেক জ্যেষ্ঠ কার্থাগিনিয়ান তা প্রত্যাখ্যান করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু হ্যানিবাল জোরালোভাবে এর পক্ষে কথা বলেন এবং ২০১ খ্রিস্টপূর্বাব্দের বসন্তে তা গৃহীত হয়। এরপর থেকে এটা পরিষ্কার যে কার্থেজ রাজনৈতিকভাবে রোমের অধীনস্থ ছিল।
যুদ্ধ শেষে রোমান মিত্ররা মাসিনিসা নুমিডিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী শাসক হিসেবে আবির্ভূত হন। পরবর্তী ৪৮ বছর তারা বারবার তার সম্পত্তি রক্ষা করতে ক্যার্থেজের অক্ষমতার সুযোগ নেয়। যখনই কার্থাজ রোমকে প্রতিকারের জন্য অনুরোধ বা সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতি চায়, তখন রোম তার মিত্র মাসিনিসাকে সমর্থন করে এবং প্রত্যাখ্যান করে। মাসিনিসদের কার্থাগিনিয়ান অঞ্চল দখল এবং এ অঞ্চলে অভিযান ক্রমশ অনিবার্য হয়ে ওঠে। ১৫১ খ্রিস্টপূর্বাব্দে কার্থাজ হাসদ্রুবালের নেতৃত্বে একটি বৃহৎ সৈন্যদল প্রস্তুত করে এবং চুক্তি সত্ত্বেও, নুমিদের পাল্টা আক্রমণ করেন। অভিযানটি বিপর্যয়ের মধ্য শেষ হয় এবং সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। এর গণহত্যা সংঘটিত হয়। হাসদ্রুবাল কার্থাজে পালিয়ে যায়। সেখানে রোমের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। কার্থাজ তার ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করেছিলেন এবং অর্থনৈতিকভাবেও সমৃদ্ধ হিয়েছিল, কিন্তু রোমের জন্য কোন সামরিক হুমকি ছিল না। রোমান সিনেটের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে ক্যার্থেজকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এ কারণে কাসাস বেলি চুক্তির শর্ত ভঙ্গের ফলে ১৪৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
অবশিষ্ট কার্থেজেনীয় অঞ্চল রোম দখল করে নেয় এবং আফ্রিকার রোমান প্রদেশ উটিকার সঙ্গে এটিকে তার রাজধানী হিসাবে পুনর্গঠন করা হয়। প্রদেশটি শস্য এবং অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের একটি প্রধান উৎস হয়ে ওঠে। মৌরিতানিয়ার অসংখ্য বৃহৎ পিউনিক শহর রোমানদের দখলে চলে যায়, যদিও তাদের পিউনিক সরকার ব্যবস্থা বজায় রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। এক শতাব্দী পরে, কার্থাজ সাইট জুলিয়াস সিজার দ্বারা পরিপূর্ণ রোমান শহর হিসাবে পুনর্নির্মিত হয়, এবং এ সাম্রাজ্যের সময় এটি রোমান আফ্রিকার অন্যতম প্রধান শহর হয়ে ওঠে। রোম এখনও ইতালির রাজধানী হিসেবে বিদ্যমান; কার্থাজের ধ্বংসাবশেষ উত্তর আফ্রিকার উপকূলে আধুনিক তিউনিস থেকে ১৬ কিলোমিটার (১০ মাইল) পূর্বে অবস্থিত।
|
948343
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948343
|
গেবা লিপি
|
গেবা লিপি
গেবা হলো নাশি ভাষার জন্য ব্যবহৃত একটি ধ্বনিদলভিত্তিক লিপি।
নাশি ভাষায় এটিকে বলা হয় "¹গো¹বাগ়" এবং চীনা ভাষায় "গেবা", 哥巴।
কিছু বর্ণ ই লিপির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ এবং আরও কিছু বর্ণকে দেখে চীনা অক্ষরের রূপান্তর হিসাবে মনে হয়।
গেবা কেবল মন্ত্রগুলির প্রতিলিপিকরণ করতে ব্যবহৃত হয়।
কোন কোন ক্ষেত্রে দোম্বা চিত্রলিপির ভাষ্য লিখতে ব্যবহৃত হয়।
|
948344
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948344
|
মাইক স্মিথ
|
মাইক স্মিথ
অ্যান্ড্রু মাইকেল মাইক স্মিথ (; জন্ম: ১ অক্টোবর, ১৯৬৭) ইয়র্কশায়ারের ডিউসবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিকে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন মাইক স্মিথ।
১৯৯১ সাল থেকে মৌসুম ২০০৪ সাল পর্যন্ত মাইক স্মিথের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। বামহাতি বোলার মাইক স্মিথকে ১৯৯০-এর দশকে সন্দেহাতীতভাবে কাউন্টি ক্রিকেটে সেরা বোলার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ইয়র্কশায়ারে জন্মগ্রহণ করলেও ১৯৯১ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। এরপূর্বে কম্বাইন্ড ইউনিভার্সিটিজের পক্ষে খেলেছিলেন তিনি। কিঞ্চিৎ পেশীবহুল দেহের অধিকারী মাইক স্মিথের বোলিংয়ে তেমন পেস ছিল না। ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি উচ্চতা থাকা সত্ত্বেও বাতাসের সহায়তা নিয়ে ব্যাটসম্যানদেরকে বেশ ভালোভাবেই বিভ্রান্তিতে ফেলতেন। কার্যকরী সুইং বোলার হিসেবে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন।
১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে ইংল্যান্ড এ দলের সদস্যরূপে পাকিস্তান গমন করেন। তবে ২২ ওভার বোলিং করার পর হাতের অস্থিতে আঘাত পেলে তাকে দেশে ফেরৎ পাঠানো হয়। পরবর্তী গ্রীষ্মে আরও ৬০ উইকেট লাভ করেন তিনি। গ্লুচেস্টারশায়ারের একদিনের দলের প্রধান সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়েছিলেন মাইক স্মিথ। আঘাতের কারণে খেলা থেকে দূরে থাকার পূর্ব-পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে গেছেন। খুব কম সময়ই সাধারণ মানের বল ছুঁড়েছেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন মাইক স্মিথ। ২৪ জুলাই, ১৯৯৭ তারিখে লিডসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। তাকে কোন ওডিআইয়ে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হয়নি।
১৯৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেডিংলিতে তার টেস্ট অভিষেক হয়। হেডিংলির বোলিং অনুপযোগী পিচে নিজস্ব তৃতীয় ওভারেই ম্যাথু এলিয়টের ব্যাটের প্রান্ত ছুঁয়ে যায় তার বল। তবে, প্রথম স্লিপে অবস্থানকারী গ্রাহাম থর্প এ সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি। এটিই তার একমাত্র টেস্ট উইকেট লাভ হতে পারতো। পরবর্তীতে ২৯ রানে থাকা এলিয়ট ১৯৯ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে ইনিংস বিজয়ে সহায়তা করেন ও সফরকারীরা সিরিজে এগিয়ে যায়। ২৩ ওভার বোলিং করে মাইক স্মিথ কোন উইকেটের সন্ধান পাননি। অপ্রতিরোধ্য জেসন গিলেস্পি’র বলে তিনি সুবিধে করতে পারেননি।
টেস্ট খেলার পর আর তাকে ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে প্রত্যাখ্যাত হলেও সুইং বোলার হিসেবে দক্ষতার স্বাক্ষর রাখতে থাকেন। ২০০৩ সালে কাউন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর গ্রহণের পর ব্রিস্টলভিত্তিক বেভান ব্রিটানের কর্মী নিয়োগের সাথে জড়িত রয়েছেন।
|
948345
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948345
|
অ্যাথেলিয়া (রোগ)
|
অ্যাথেলিয়া (রোগ)
|
948348
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948348
|
ওয়েবেড শিশ্ন
|
ওয়েবেড শিশ্ন
ওয়েবেড লিঙ্গ একটি অর্জিত বা জন্মগত অবস্থা, যেখানে স্ক্রোটাল ত্বক ভেন্ট্রাল পেনাইল শ্যাফ্টের উপরে প্রসারিত হয়। পেনাইল শ্যাফটটি স্ক্রোটামে কবর দেওয়া হয় বা ত্বকের ভাঁজ বা ওয়েবের সাহায্যে স্ক্রোটাল মিডলাইনের সাথে সংযুক্ত থাকে। তবে মূত্রনালী এবং ইরেক্টাইল পেশিগুলো সাধারণত স্বাভাবিক থাকে। ওয়েবযুক্ত লিঙ্গ সাধারণত অসম্পূর্ণ হয় তবে বাহ্যিক রূপ সবসময় অস্বাভাবিক বা অগ্রহণযোগ্য হয় না। এই অবস্থাটি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সংশোধন করা যেতে পারে।
|
948351
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948351
|
অগ্র-শাখাঙ্গের খর্বতা
|
অগ্র-শাখাঙ্গের খর্বতা
অগ্র-শাখাঙ্গের খর্বতা বা মেসোমেলিয়া মানুষের দৈহিক বিকাশগত একটি রোগ। এটি দ্বারা এমন অবস্থাকে বোঝানো হয় যেখানে অগ্রবাহু ও অগ্রপদের মাঝের অংশগুলি অপ্রয়োজনীয়ভাবে সংক্ষিপ্ত হয়ে বিকশিত হয়। কঙ্কাল ডিস্প্ল্যাসিয়াস মতবাদ প্রয়োগ করা হলে মেসোমেলিক বামনবাদের অগ্রভাগ এবং নীচের পাগুলির সাধারণত সংক্ষিপ্ত আকার বর্ণনা করা যায়। এটি রাইজোমেলিক বামনবাদের বিপরীত যেখানে অঙ্গগুলির উপরের অংশগুলি সংক্ষিপ্ত (যেমন আখন্ড্রোপ্লিয়া)।
|
948354
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948354
|
ক্লিটোরাল সূচক
|
ক্লিটোরাল সূচক
ক্লিটোরাল সূচক বা ক্লিটোরাল ইনডেক্স, ভগাঙ্কুর বা গ্লানস ক্লিটোরিডিসের বাহ্যিক অংশ। এটিকে কখনও কখনও নারীদের মধ্যে নারীত্বের একটি পরিমাপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ২০জন সাধারণ মহিলাদের একটি গ্রুপের ক্লিটোরাল সূচকটির পরিমাপ বিষয়ক এক গবেষণায় উঠে এসেছে যে, গড় এবং মধ্যম ক্লিটোরাল ইনডেক্সটি প্রায় ১৪.৫ মি.মি. ।
|
948362
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948362
|
ফ্ল্যাশ নৃত্য
|
ফ্ল্যাশ নৃত্য
ফ্ল্যাশ নৃত্য একধরনের ট্যাপ নৃত্য (যাকে এক সময় জাজ নৃত্যও বলা হতো) যা ১৯২০-১৯৩০-এর দশকে বিবর্তিত হয়েছিল, যা অ্যাক্রোব্যাটিক্স নৃত্যকে একত্রিত করেছিল। তৎকালীন বিশিষ্ট ফ্ল্যাশ নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে নিকোলাস ব্রাদার্স, দ্য ফোর স্টেপ ব্রাদার্স এবং বেরি ব্রাদার্স অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ১৯২০-১৯৩০-এর দশকে এই শৈলীর বৈশিষ্ট্যযুক্ত নৃত্য অনেক চলচ্চিত্র এবং টিভি শোতে প্রকাশিত হয়েছিল।
|
948374
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948374
|
কর্ণাটকে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক অতিমারী
|
কর্ণাটকে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক অতিমারী
২০২০ সালের ৯ই মার্চ ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে ২০১৯–২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির প্রথম ঘটনাটি নিশ্চিত হয়েছিল। এর দু'দিন পরে, রোগের বিস্তার রোধ করতে, ভারতে প্রথম, এই রাজ্যে মহামারি রোগ আইন, ১৮৯৭ বলবৎ করা হয়, এটি এক বছরের জন্য স্থায়ী হবে। এখনও অবধি, (১২ই আগস্ট ২০২০) এখানে ১,৯৬,৪৯৪টি নিশ্চিত অসুস্থতার ঘটনা পাওয়া গেছে, এরমধ্যে নিরাময় এবং মৃত্যুর ঘটনা আছে।
২০২০ সালের ৯ই মার্চ, কর্ণাটক রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যের সমস্ত স্কুলের কিন্ডারগার্টেন এবং প্রাথমিক শ্রেণি বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষামন্ত্রী, এস. সুরেশ কুমার বলেছিলেন যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে এই বিজ্ঞপ্তিটি একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে জারি করা হয়েছিল। ৩১শে মার্চ, সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে, করোনাভাইরাসের বিস্তার এড়াতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে ৭ম থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত করে।
রাজ্যে প্রথম মৃত্যুর খবর আসার পরে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী, বি. এস ইয়েদুরাপ্পা, নোভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর ক্রমবর্ধমান বিস্তার রোধের একটি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, একটি নির্দেশিকা জারি করে সমস্ত জনসমাগমস্থল- মল, বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ, প্রেক্ষাগৃহ, নাইট ক্লাব, বিবাহ এবং সম্মেলনগুলির মতো উচ্চ সমাগমস্থল বন্ধের নির্দেশ দেন। এছাড়াও, কেরালা সীমান্তে কাসারগড় জেলায় ছয় জন লোক করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজিটিভ আসার পর এই রাজ্য কেরলের সীমান্ত গাড়ি চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেয়।
রবিবার ২২শে মার্চ, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত টাস্ক ফোর্সের দ্বিতীয় সভার পরে, সরকার ৩১শে মার্চ অবধি, ৯টি জেলায় লকডাউন আকারে আরও বিধিনিষেধ ঘোষণা করে। এই জেলাগুলিতে, অত্যাবশ্যক নয়, এমন সকল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। নয়টি জেলা যেখানে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল সেগুলি হ'ল: বেঙ্গালুরু পল্লী, বেঙ্গালুরু আরবান, চিক্কাবল্লাপুরা, দক্ষিণ কন্নড়, ধরওয়াড়, কালাবুরাগী, মহীশূর, কোডাগু এবং বেলগাম।
আরও, ভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধ করতে, কেন্দ্রীয় সরকার ২৫শে মার্চ থেকে ২১ দিনের জন্য পুরো দেশে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
অভিবাসী শ্রমিক এবং দরিদ্রদের দুর্দশার সমাধান করার জন্য, কর্ণাটক সরকার রাজ্যের অভিবাসী শ্রমিকদের খাবার সরবরাহের জন্য একটি কর মুক্ত হেল্পলাইন নম্বর চালু করে, যেটি হল ১৫৫২১৪।
১১ই এপ্রিল, সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি ক'রে সমস্ত নাগরিক এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তাদের আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ বাড়ানোর জন্য তাদের মোবাইল ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড, প্রচার ও ব্যবহার করতে পরামর্শ দেয়। যিনি ব্লুটুথ এবং জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজের ফোনে অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করেছেন, তিনি যদি কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির সান্নিধ্যে আসেন, তবে তাঁকে সতর্ক করার জন্য এই অ্যাপটি তৈরি করা হয়েছে।
ভারত সরকারের আদেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, কর্ণাটক সরকারের অধীনস্থ সংখ্যালঘু কল্যাণ, ওয়াকফ এবং হজ বিভাগ ১৫ই এপ্রিল একটি আদেশ জারি করে, যাতে বলা হয় রাজ্যের বর্তমান কোভিড -১৯ মহামারির কারণে ২০২০ সালের ৩রা মে পর্যন্ত মসজিদ / দরগাহে রমজান মাসে সমস্ত সম্মিলিত প্রার্থনা (সালাত) স্থগিত করার জন্য। এই আদেশে মসজিদের নিকটবর্তী সমস্ত ভোজনালয় নিষিদ্ধ করা হয়।
রাজ্যগুলি আরও দুই সপ্তাহের জন্য লকডাউনের মেয়াদ অব্যাহত রাখার পক্ষে সওয়াল করে। জাতির উদ্দেশ্যে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত চতুর্থ ভাষণের সময়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লকডাউনের মেয়াদ ১৪ই এপ্রিল থেকে ৩রা মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তবে কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকাগুলির ভিত্তিতে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী ইঙ্গিত দেন যে লকডাউনে জনসাধারণের সঙ্গতি মূল্যায়নের পরে ২০শে এপ্রিল শিথিল করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
লকডাউন সম্প্রসারণের বার্তা দেবার পরে কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত রাজ্য দ্বারা একটি নতুন নির্দেশিকা পালন করার ঘোষণা করে।
ভারত সরকার প্রদত্ত নির্দেশিকা অনুসারে, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যে লকডাউন আরও বাড়িয়ে ১৭ই মে পর্যন্ত করলেন। এইবারে, অঞ্চলগুলিকে সরকার চারটি প্রধান বিভাগে শ্রেণিবদ্ধ করে: কন্টেইনমেন্ট, লাল, কমলা এবং সবুজ অঞ্চল, বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন রকম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে এই বিভাগ করা হয়।
১৮ই মে ২০২০, কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী, ২০২০ সালের ৩১শে মে পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করেন। এর পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে দিকনির্দেশনা পাওয়ার পরে তিনি অনেক ছাড়ও দিয়েছিলেন। লকডাউনের এই পর্যায়ে, শপিং মল, সিনেমা হল, হোটেল, রেস্তোঁরা বাদে বেশিরভাগ ক্রিয়াকলাপ রবিবার ব্যতীত সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে চালু রাখার অনুমতি ছিল, এবং সরকার ৩১শে মে ২০২০ পর্যন্ত প্রতি রবিবারে কঠোর লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পরে, ২০২০ সালের ১৯শে মে থেকে বাস, ট্যাক্সি, অটোরিকশা এবং অন্তঃরাজ্য ট্রেন পরিষেবা সহ সকল গণপরিবহন পরিষেবাদিগুলির চালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। আসন সংখ্যা কমিয়ে বাস চলাচল করার অনুমতি দেওয়ার পর, রাজ্য চালিত বাসে ভাড়া বাড়ানোর জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী বলেন: "আমরা আপাতত বাসের ভাড়া বাড়াবো না। কেএসআরটিসি সীমিত সংখ্যক যাত্রী বহনের কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হবে তা বহন করবে।" কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অতিবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে, সরকার প্রতিবেশী গুজরাত, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, এবং কেরল রাজ্যের জনগণকে প্রবেশের অনুমতি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়।
কর্ণাটক সরকার, মারাত্মক আর্থিক সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে, অর্থনীতিকে আবার চালু করার প্রয়াসে, ২৩শে এপ্রিল রাজ্যের কিছু অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে ছাড় দিয়ে লকডাউনের বিধিনিষেধকে শর্তসাপেক্ষে শিথিল করার ঘোষণা করেছিল। তবে শিথিলকরণগুলি নির্ধারিত কনটেইনমেন্ট অঞ্চলে প্রযোজ্য হবে না। পৌরসভার সীমার বাইরে বেশিরভাগ উৎপাদন, নির্মাণ ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সংস্থাকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। হোটেল, হোম স্টে যেগুলিতে পর্যটকেরা লকডাউনের কারণে আটকে পড়েছিলেন সেগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়, এর সাথে রেলস্টেশন, সমুদ্র এবং বিমানবন্দরগুলিতে সরবরাহ শৃঙ্খলের সাথে যুক্ত বিভিন্ন পরিষেবাকেও খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। কলের মিস্ত্রী, প্রযুক্তিমিস্ত্রী এবং কাঠের মিস্ত্রীদের মতো স্ব-কর্মসংস্থানযুক্ত ব্যক্তিদের দ্বারা প্রদত্ত বেশিরভাগ পরিষেবাগুলিকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে আধিকারিকেরা জোর দিয়েছিলেন যে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের লকডাউন নির্দেশিকা মেনে চলার পরে এবং সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি কঠোরভাবে মেনে চলা এবং কর্মক্ষেত্রগুলি সঠিক উপায়ে পরিষ্কার রাখা সাপেক্ষে স্থানীয় জেলা প্রশাসন এই সমস্ত ছাড়গুলির অনুমতি দেবে।
নয় সপ্তাহ ব্যাপী লকডাউনের পরে, কর্ণাটক সরকার, লকডাউনের পঞ্চম ধাপে কেন্দ্রীয় সরকার প্রদত্ত নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এটিকে "আনলক -১" হিসাবে অভিহিত করে।
এর লক্ষ্য ছিল অন্তঃরাজ্য এবং জনগণ ও পণ্যের আন্তঃরাজ্য চলাচলের উপর আরোপিত অনেকগুলি বিধিনিষেধ লাঘব করা। আনলক করার প্রথম পর্যায়ে, যা কার্যকর হয় ৮ই ই জুন থেকে, আরও শিথিলকরণ করা হয়েছিল এবং ধর্মীয় স্থান, হোটেল, মল ইত্যাদি খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তটি জুলাইয়ে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সরকারী সূত্র এই ব্যাপারটিতে বলে: "রাজ্য সরকার অভিভাবক এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আলোচনা করবে।" তবে, কন্টেইনমেন্ট অঞ্চলগুলিতে কঠোর বিধিনিষেধ নিয়ন্ত্রণ কার্যকর থাকবে।
এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কর্ণাটকের ৫টি 'টি'- খবর (ট্রেস), অনুসরণকরণ (ট্র্যাক), পরীক্ষা (টেস্ট), চিকিৎসা (ট্রিট) এবং প্রযুক্তি (টেকনোলজি)র নীতি নেতৃত্ব দিয়েছিল। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে একটি কথোপকথনের সময়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদী কোভিড -১৯ প্রসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাজ্যের প্রচেষ্টার এবং বর্ধিত লকডাউন নিয়মের ধীরে ধীরে শিথিলকরণের সাথে অর্থনীতিকে আনলক করার পদক্ষেপগুলি প্রশংসা করেছেন। কেন্দ্র অন্যান্য রাজ্যগুলিকে বলে তাদের স্থানীয় প্রেক্ষাপটে এই পরিকল্পনাগুলি অবলম্বন করতে এবং কোভিড-১৯ অতিমারীটির বিরুদ্ধে আরও ভাল ভাবে লড়ার জন্য এইগুলি অনুসরণ করতে।
দশ হাজারেরও বেশি প্রশিক্ষিত ক্ষেত্রীয় কর্মীরা রাজ্যের নকশাকৃত বিস্তারিত পরিকল্পনা অনুসারে সংক্রামিতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির সন্ধানের জন্য সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে। প্রতিটি মনোনীত ব্যক্তি দ্বারা সম্পাদিত করার জন্য প্রতিটি ধাপ নির্ধারিত করা হয়েছিল। কাজের বিশাল পরিমাণ কাটিয়ে উঠতে সংস্পর্শ সন্ধানী মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়েছিল, খোঁজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার মধ্যে ছিল সংক্রামিত ব্যক্তিদের বিস্মৃতি এবং বিভিন্ন কারণে সত্যগুলি লুকানোর চেষ্টা করা।
বয়স্ক, অন্য অসুস্থতা সহ ব্যক্তি, গর্ভবতী মহিলা, এবং যাদের ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা রয়েছে, ও গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা (এসএআরআই) সম্পন্ন উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দিয়ে খুঁজে তাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং চিকিৎসা করার জন্য কর্ণাটক শারীরিকভাবে এবং ফোনকে ভিত্তি করে পারিবারিক জরিপ চালিয়েছিল। ২০২০ সালের মে মাসে জরিপটি করা হয়েছিল এবং কর্ণাটকের মোট ১৬৮ লক্ষ পরিবারের মধ্যে ১৫৩ লক্ষ পরিবারের জরিপ করা সম্ভব হয়েছিল। ভোট কেন্দ্র স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও) একটি স্বাস্থ্য জরিপ অ্যাপ্লিকেশনের পাশাপাশি একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে নিযুক্ত ছিলেন।
জরিপের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যগুলি গর্ভবতী মা এবং যক্ষ্মা, এইচআইভি, ডায়ালাইসিস এবং ক্যান্সার রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ইতোমধ্যে উপলব্ধ তথ্যগুলির পরিপূরক ছিল। ন্যাসোকমের সহায়তায়, রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আপদমিত্র টেলিকনসাল্টেশন হেল্পলাইন (কল নং ১৪৪১০) এর মাধ্যমে প্রচার করে, ইন্টার-অ্যাক্টিভ ভয়েস রেসপন্স সিস্টেম (আইভিআরএস) এবং আউটবাউন্ড কলগুলির মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারগুলির কাছে পৌঁছান সম্ভব হয়েছিল।
কর্ণাটকে ফিরে আসা বা ভ্রমণ করতে আসা সমস্ত ব্যক্তিকে "সেবা সিন্ধু" পোর্টালে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক ছিল, যার ফলে বাড়ীতে বা প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণের সময় রাজ্য পরের কয়েক দিন তাদের অনুসরণ করতে সক্ষম হয়। পৃথকীকরণ কার্যকর করতে ‘কোয়ারেন্টাইন ওয়াচ অ্যাপ’ ব্যবহৃত হয় ক্ষেত্রীয় কর্মীদের সহায়তা করতে। সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাজ্য সরকার হোম কোয়ারানটাইন প্রয়োগের জন্য মোবাইল স্কোয়াডও গঠন করেছে। যদি প্রতিবেশী বা জনসাধারণের কোনও সদস্যের কাছ থেকে পৃথকীকরণের লঙ্ঘনের তথ্য পাওয়া যায়, তবে লঙ্ঘনকারীকে প্রাতিষ্ঠানিক পৃথকীকরণে স্থানান্তরিত করা হয়।
২০২০ জুনের মধ্যে, রাজ্যটি প্রতিদিন গড়ে ১০,০০০টি পরীক্ষা করছিল। সারা দেশে মোট ৬০০টি পরীক্ষাগারের তুলনায় রাজ্যে পরীক্ষার জন্য ৭৪টি পরীক্ষাগার ছিল। ক্রমবর্ধমান কোভিড সংক্রমণের কারণে, কর্ণাটক সরকার বলেছিল যে তারা প্রাথমিকভাবে দিনে ১৫,০০০ নমুনা পরীক্ষার এবং পরে তা বাড়িয়ে দিনে ২৫,০০০ নমুনা পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছে। বস্তিবাসী, বিক্রেতা/বিল সংগ্রহকারী, খাদ্য সরবরাহকারী শৃঙ্খলের এবং ক্যুরিয়ার সরবরাহকারী ব্যক্তিদের জন্য কর্ণাটক সরকার আরটি-পিসিআর পুলযুক্ত নমুনা কৌশল ব্যবহার করে যথেচ্ছভাবে পরীক্ষা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছিল, যাতে রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বৃদ্ধিতে কার্যকর নজরদারি নিশ্চিত করা যায়।
ইন্সটিট্যুট অফ জেনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজির বিজ্ঞানীরা সিআরআইএসপিআর জিন এডিটিং সরঞ্জাম ব্যবহার করে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার জন্য একটি স্বল্প মূল্যের পেপার-স্ট্রিপ পরীক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করেছেন, যেটি এক ঘন্টায় ফলাফল জানিয়ে দিতে পারে। পেপার-স্ট্রিপ পরীক্ষার আনুমানিক ব্যয় হতে পারে প্রায় । বর্তমানে, কিটগুলি এর নির্ভুলতা এবং সংবেদনশীলতার জন্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই দলটি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
কর্ণাটক রাজ্যের কোভিড-১৯ যুদ্ধকালীন কক্ষের তথ্য অনুসারে, রাজ্যের জেলাগুলিতে ৮৪,৭৭৬টি শয্যা রয়েছে, যার মধ্যে ২১,৭২৮টি কোভিড-১৯ এর জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। বেঙ্গালুরু আরবান এবং পল্লী জেলায় মোট ১৯,৬৩৯টি শয্যা আছে। এর মধ্যে, দুটি জেলায় কোভিড-১৯ এর জন্য ৩,৪৭০টি শয্যা সংরক্ষিত আছে। ২১,৭২৮ শয্যার মধ্যে ৮৬% এরও বেশি শয্যা আলাদা করা আছে — অক্সিজেন সুবিধা সহ ৬,৬৯৫টি শয্যা, ২,১০৫টি আইসিইউ শয্যা, এবং ভেন্টিলেটর সহ ১,০০০টি শয্যা। কর্ণাটকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, ৮ই মে অবধি কর্ণাটকের হাসপাতালের রোগী ভর্তির হার যা ২% এরও কম ছিল, ৯ই জুনের মধ্যে তা বেড়ে হয়েছে ১৩.১%।
কর্ণাটক সরকার বেসরকারী হাসপাতালে কোভিড-১৯ চিকিৎসার খরচের হার স্থির করার আদেশ জারি করেছে। এই সংক্রমণের বিভাগ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে খরচের হার ৫,২০০ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এর সুবিধা আয়ুষ্মান ভারত-আরোগ্য কর্ণাটক (এবি-এআরকে) রোগী এবং অন্যান্য বীমা / নগদ অর্থ প্রদানকারী রোগী উভয়ই নিতে পারেন। রাজ্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে বেসরকারী হাসপাতালের কোভিড-১৯ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা রোগীদের শয্যার ৫০% জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাঠানো রোগীদের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে উদ্ভূত কাজগুলি সরকারী কর্মাধ্যক্ষেরা যাতে ঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারেন সেই উদ্দেশ্যে অন্য অনেকগুলি রাজ্যের মত কর্ণাটকও প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইন-হাউস প্রোগ্রামারদের একটি দলের মাধ্যমে, দেশে অতিমারী শুরু হওয়ার প্রথম তিন মাসের মধ্যে এই রাজ্যে সংক্রামিতের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তির খোঁজের জন্য অ্যাপ্লিকেশন সহ একাধিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন চালু হয়েছিল। সংস্পর্শের খোঁজ রাখা ছাড়াও, এই রাজ্য কর্ণাটকে ফিরে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন রক্ষণ ও নজরদারি রাখতে 'কোয়ারানটাইন ওয়াচ', আন্তর্জাতিক যাত্রীদের অনুসরণ করতে 'যাত্রী ওয়েব অ্যাপ' এবং রাজ্যের সমস্ত সংকটপূর্ণ রোগীদের খোঁজ রাখতে 'ক্রিটিকাল রোগী ট্র্যাকিং সিস্টেম' চালু করেছিল। এছাড়া রাজ্যে আগত লোকদের খোঁজ রাখার জন্য "প্রত্যহ রেল এবং বিমান যাত্রী আগমন ট্র্যাকিং" এর মতো অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলি তৈরি করা হয়েছিল। "স্বাস্থ্য নজরদারি অ্যাপ্লিকেশন" দিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা দ্বারা ঘরে ঘরে জরিপের ডেটা রেকর্ড করেছে এবং দুর্বল পরিবারগুলি শনাক্ত করেছে। সংগৃহীত উপাত্ত আপদমিত্রের মতো অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে যোগান দেওয়া হয়েছিল এবং স্বাস্থ্য বিভাগ তা ব্যবহার করেছিল পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
আনলক-১ এর পর, রাজ্যজুড়ে সংক্রমণে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যায়, বিশেষত রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। সংক্রমণের সংখ্যা ২৬শে জুন মাত্র ১১,০০৫ থেকে বেড়ে জুলাইয়ের ৫ তারিখের মধ্যে হয়ে গিয়েছিল ২৩,৪৭৪ জন।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কারণে, অনেক জেলা লকডাউন ব্যবস্থা পুনরায় চালু করে। মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা ঘোষণা করেন যে, রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ১৪ই জুলাই থেকে বেঙ্গালুরু ৭ দিনের জন্য লকডাউনের অধীনে থাকবে। বেঙ্গালুরুকে অনুসরণ করে কর্ণাটকের আরও তিনটি জেলা-দক্ষিণ কন্নড়, ধরওয়াড় ও কালাবুরাগীতে ৭-১০ দিনের জন্য পুনরায় লকডাউন চালু করা হয়।
করোনভাইরাসের কারণে ১ কোটিরও বেশি চাকরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা সংরমণ থেকে ধ্বস নামা প্রতিহত করতে, শুক্রবার সরকারের আদেশবলে বাণিজ্য, শিল্প এবং সামাজিক সমাবেশের স্থানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। লকডাউনের ঠিক প্রথম ২৪ ঘন্টার মধ্যে শহরটি একটি অশরীরী নগরীতে পরিণত হয়ে যায়। একই সময়, শহরের ক্রয় এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতাও হ্রাস পায়। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা ক্ষতির পরিমাপ করার জন্য একত্র হন। ফেডারেশন অফ কর্ণাটকের চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির কর বিশেষজ্ঞ বি.টি. মনোহর সতর্ক করে বলেন যে, যদি লকডাউন এক সপ্তাহও স্থায়ী হয়, তাহলে শুধুমাত্র রাজ্যে পণ্য ও পরিষেবাদি ট্যাক্সের ক্ষতি এবং বিক্রয় করের রাজস্ব ক্ষতি প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা হবে।
দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে, কর্ণাটক সরকার এসএসএলসি (দশম শ্রেণি) পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেয়। নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য বাৎসরিক পরীক্ষা সরকার বাতিল করে দেয়। রাজ্যের শিক্ষা বিভাগও রাজ্যের সমস্ত স্কুলকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত করার আদেশ জারি করে।
অতিমারী এবং তার পরবর্তী লকডাউনের কারণে, রাজ্যের সমস্ত প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। চলচ্চিত্র প্রযোজনার কার্যক্রম, যা রাজ্যের হাজার হাজার মানুষের জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করে, তা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কোটিগোব্বার মতো বেশ কয়েকটি সুপরিচিত কন্নড় চলচ্চিত্রের প্রযোজক সুরাপ্পা বাবু অভিমত ব্যক্ত করেন যে, অতিমারী এবং লকডাউনের ফলে কর্ণাটকের চলচ্চিত্র শিল্প প্রায় ২০০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। বেশ কয়েকটি স্বল্প বাজেটের কন্নড় চলচ্চিত্রের নির্মাতারা প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি এড়িয়ে ভবিষ্যতে অ্যামাজন প্রাইম এর মতো ওটিটি (ওভার দ্য টপ) প্ল্যাটফর্মে ছবি মুক্তির কথা বিবেচনা করতে শুরু করেন।
অতিমারীর পর, কর্ণাটকে টিভি অনুষ্ঠানের চিত্রগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়, নির্মাতারা ধারাবাহিকের পুরানো পর্বগুলি পুনরায় সম্প্রচার করতে বা হঠাৎ তাঁদের ধারাবাহিকগুলি শেষ করে দিতে বাধ্য হন। থিয়েটার শিল্পেও অতিমারীর মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল। অনেক থিয়েটার গ্রুপ রাজ্য জুড়ে বার্ষিক মেলা এবং দেবদেবীদের রথ উৎসবের অনুষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল ছিল, যেগুলি বেশিরভাগ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চলত। লকডাউনের কারণে এ জাতীয় সমস্ত সমাবেশ এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
পোল্ট্রি থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে এমন গুজবের বিরুদ্ধে একটি প্রকাশ্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে হয় কর্ণাটকের পশুপালন ও মৎস্য বিভাগকে। হাঁস-মুরগিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বৈজ্ঞানিক প্রমাণ না থাকায় জনগণকে এই জাতীয় সামাজিক যোগাযোগের বার্তাগুলিতে মনোযোগ না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্পষ্ট করে জানানো হয় যে এই ভাইরাসটি কেবল সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে। একইভাবে, একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু কেন্দ্রীয় অপরাধ শাখা সোশ্যাল মিডিয়ায় আপত্তিজনক বিষয়বস্তু প্রচার করার অপরাধে একটি মামলা করে।
বেঙ্গালুরুর শহরতলির পদারায়ণপুরায় যখন বিবিএমপি এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সংক্রামিত ব্যক্তিদের প্রাথমিক ও দ্বিতীয় সংস্পর্শের জন্য সরকার পরিচালিত পৃথকীকরণ গৃহে থাকার ব্যবস্থা করতে এসেছিলেন, তখন সেখানকার কিছু বাসিন্দা সেই স্থানে দাঙ্গা করে এবং বিবিএমপি সম্পদ ধ্বংস করার চেষ্টা করে এবং তাঁদের উপর হামলা করে। দাঙ্গার অভিযোগে পুলিশ ওই এলাকার ৬৭ জন বাসিন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা জামির আহমদ মন্তব্য করেন; যে পরিস্থিতিতে থেকে দাঙ্গা এবং অগ্নিসংযোগের মত ঘটনা ঘটেছিল সেগুলি ভুল তথ্য ছড়ানো এবং বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতার অভাবের কারণে ঘটেছিল। আধিকারিকদের উচিত ছিল ঘটনাস্থলটি দেখার জন্য আমার অনুমতি নেওয়া। কিছু বাসিন্দা, এমনকি যুক্তি দিয়েছিলেন যে আধিকারিকদের উচিত নির্বাচিত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে লোকেদের পৃথকীকরণ গৃহে নিয়ে যাওয়া।
|
948376
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948376
|
ল্যাটিস ধ্রুবক
|
ল্যাটিস ধ্রুবক
ল্যাটিস ধ্রুবক বা ল্যাটিস স্থিতিমাপ বলতে স্ফটিক ল্যাটিস এর একক কোষসমূহের ভৌত মাত্রাকে বুঝায়। সাধারণত ল্যাটিসের তিন মাত্রার জন্য তিনটি ধ্রুবক থাকে যাদেরকে "a", "b" ও "c" দিয়ে প্রকাশ করা হয়। তবে বিশেষত ঘনাকার স্ফটিকের ক্ষেত্রে, সব ধ্রুবকগুলো সমান হয় এবং শুধুমাত্র "a" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একইভাবে, হেক্সাগোনাল স্ফটিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে, "a" ও "b" ধ্রুবকগুলো সমান হয় এবং "a" ও "c" দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ল্যাটিস ধ্রুবকের একটা গ্রুপকে ল্যাটিস প্যারামিটার বা ল্যাটিস স্থিতিমাপ বলা হয়। আবার তিনটি ল্যাটিস ধ্রুবক আর তাদের মাঝে বিদ্যমান কোণ তিনটি থেকে ল্যাটিস প্যারামিটারের একটা পূর্ন সেট তৈরি হয়।
উদাহরণস্বরূপ, হীরক এর ল্যাটিস ধ্রুবক হচ্ছে যখন তাপমাত্রা ৩০০ কেলভিন থাকে। এর আকৃতি অনেকটা সমবাহু যদিও প্রকৃত আকার শুধুমাত্র ল্যাটিস ধ্রুবকের মান দিয়ে নির্ধারণ করা যায় না। তাছাড়াও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে সাধারণত ল্যাটিস ধ্রুবকের গড় দেয়া থাকে। স্ফটিকের পৃষ্ঠের কাছে, ল্যাটিস ধ্রুবককে এর পৃষ্ঠ পুনর্গঠন প্রভাবিত করে যার ফলে এর গড় মানের বিচ্যুতি দেখা যায়। যেহেতু ল্যাটিস ধ্রুবকের দৈর্ঘ্যের মাত্রা বিদ্যমান সেহেতু তাদের এসআই একক হলো মিটার। ল্যাটিস ধ্রুবকগুলো সাধারণত কয়েক অ্যাংস্ট্রম (ন্যানোমিটার এর এক-দশমাংশ) হয়। ল্যাটিস ধ্রুবক নির্ধারিত হয় বিভিন্ন টেকনিকে যেমন এক্স রে অপবর্তন কিংবা কোনো পারমাণবিক শক্তিবিশিষ্ট অনুবীক্ষণযন্ত্র দ্বারা। কোনো স্ফটিকের ল্যাটিস ধ্রুবককে ন্যানোমিটার রেঞ্জে আদর্শ ও স্বাভাবিক দৈর্ঘ্য হিসাবে ধরা হয়।
এপিট্যাক্সিয়াল প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে, ল্যাটিস ধ্রুবক হচ্ছে বিভিন্ন বস্তুর মাঝে কাঠামোগত সামঞ্জস্যের পরিমাপ। ল্যাটিস ধ্রুবক ম্যাচিং এক বস্তুর উপর অন্য বস্তুর পাতলা স্তর তৈরি করার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যখন ধ্রুবকগুলো ভিন্ন হয় তখন লেয়ারে বা স্তরে বিকৃতি দেখা যায় যা কোনো ত্রুটি ছাড়াই এপিট্যাক্সিয়াল প্রবৃদ্ধি সৃষ্টি করতে পুরু স্তরকে বাধা দেয় ।
ল্যাটিস ধ্রুবকের দৈর্ঘ্য এবং কোণের মাধ্যমে একক কোষের আয়তন পরিমাপ করা যায়। একক কোষের ধারগুলো যদি ভেক্টর দিয়ে প্রকাশ করা হয়, তাহলে আয়তন হবে ভেক্টরগুলোর স্কেলার গুনফলের সমান। আয়তনকে "V" দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যে কোনো সাধারণ একক কোষের জন্য,
যেসব মনোক্লিনিক ল্যাটিসে , , সেক্ষেত্রে
যেসব অর্থোরোম্বিক, টেট্রাগোনাল এবং ঘনাকার ল্যাটিসে তাদের ক্ষেত্রে
ল্যাটিস আকৃতিগুলোর ম্যাচিং হয় দুইটি ভিন্ন সেমিকন্ডাক্টর বা অর্ধপরিবাহী বস্তু সমূহের মাঝে যাতে ব্যান্ড গ্যাপ এর এলাকাটি চেঞ্জ হয়ে এমন কোনো ম্যাটেরিয়াল বা বস্তুতে পরিণত হতে পারে যেখানে স্ফটিকের আকৃতি বা ক্রিস্টাল স্ট্রাকচারের কোনো পরিবর্তন হয় না। এর ফলে উন্নত আলো নিঃসরণকারী ডায়োড এবং ডায়োড লেজার সৃষ্টি হয়।
উদাহরণস্বরূপ গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, অ্যালুমিনিয়াম গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ও অ্যালুমিনিয়াম আর্সেনাইড-এর প্রায় একই ল্যাটিস ধ্রুবক বিদ্যমান যার কারণে প্রায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে একটার উপর আরেকটা পুরু লেয়ার তৈরী করা সম্ভব হয়।
সাধারণত, বিভিন্ন বস্তুর যে ফিল্মগুলো আগের ফিল্মে তৈরী হয়েছিল সেগুলোকে নির্বাচন করে পূর্বের লেয়ারের লাটিস ধ্রুবকের সাথে ম্যাচিং করানো হয় যাতে ফিল্মের উপর চাপ কমানো যায়।
আরেকটি ব্যতিক্রম পদ্ধতি হল ফিল্মের প্রবৃদ্ধির সময় অ্যালয় অনুপাতকে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন করে ল্যাটিস ধ্রুবককেও বিভিন্ন মানে গ্রেডিং করা। গ্রেডিং লেয়ারের শুরুর দিকে অনুপাতটা অন্তর্নিহিত ল্যাটিসের সাথে ম্যাচিং করা থাকে এবং লেয়ারের প্রবৃদ্ধির শেষের দিকে অ্যালয়ের সাথে আকাঙ্ক্ষিত ল্যাটিসের মিল থাকবে যাতে পরের লেয়ারটির আস্তরণ পড়তে পারে।
অ্যালয়ের পরিবর্তনের হার নির্ধারিত হবে লেয়ারের বিকৃতির পরিমাণ দ্বারা অর্থাৎ সৃষ্ট ডিফেক্ট ডেন্সিটি বা ঘনত্ব এর বিপরীতে এপিট্যাক্সি টুলের সময় দ্বারা।
উদাহরণস্বরূপ, ইন্ডিয়াম গ্যালিয়াম ফসফাইড লেয়ারের সাথে একটা ব্যান্ড গ্যাপ > ১.৯ eV তৈরী হতে পারে গ্যালিয়াম আর্সেনাইড ওয়েফার এর সাথে ইনডেক্স গ্রেডিং এর মাধ্যমে।
|
948378
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948378
|
অ্যান্ডোরায় ইসলাম
|
অ্যান্ডোরায় ইসলাম
অ্যান্ডোরায় ইসলাম দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। সিআইএয়ের রিপোর্ট মতে, অ্যান্ডোরায় প্রায় ২,২২৮ মুসলিম বসবাস করে, যা দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৩% গঠন করে। মুসলমানদের অধিকাংশই উত্তর আফ্রিকীয় বংশোদ্ভূত। প্রায় ৭ম শতাব্দীর দিকেই অ্যান্ডোরায় ইসলাম প্রবেশ করে। তবে তখনকার মুসলিমদের কেউ অ্যান্ডোরায় স্থায়ী হয়ে বসতি স্থাপন করেনি।
অ্যান্ডোরায় মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও শিক্ষা কমপ্লেক্স রয়েছে, যা থেকে প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আরবি পাঠ গ্রহণ করে থাকে। সরকার ও মুসলিম সম্প্রদায় এখনো একটি পদ্ধতিতে সম্মত হয়নি, যা স্কুলগুলোতে এই ধরনের পাঠ দিতে সক্ষম হবে। অ্যান্ডোরায় বিশেষভাবে নির্মিত কোন মসজিদ নেই। সরকার এ জাতীয় প্রকল্পের জন্য জমি বরাদ্দ দিতে অস্বীকার করে বলেছে যে, এর জন্যে স্বল্প মূল্যের কোনো জমি নেই। ২০০৩ সালে স্থানীয় ইমাম মোহাম্মদ রাগুইগ অ্যান্ডোরার বিশপ জোয়ান মার্টি অ্যালানিসের কাছে একটি মসজিদ নির্মাণের জন্য চার্চের কাছে থাকা অতিরিক্ত জমি থেকে কিছু জমি বা মসজিদ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য একটি অব্যবহৃত গির্জার ভিতরে স্থান চেয়ে আবেদন করেছিলেন।
প্রায় ৭ম শতাব্দীর দিকে মুসলিমরা সেগ্রে উপত্যকার মধ্য দিয়ে ভিসিগথ থেকে অঞ্চলটি দখল করে। তবে মুসলিমরা অ্যান্ডোরায় কখনো অবস্থান করেনি বরং এটিকে টারউজ, নার্বোন, কার্কাসন ও নেমেস যাওয়ার একটি সংক্ষিপ্ত পথ হিসাবে ব্যবহার করে। পাইটার্সের যুদ্ধ ও রোনসেসেলসের যুদ্ধ পিরিনীয় পর্বতমালার অন্যান্য অংশে এই অভিযানের সমাপ্তি হয়।
অ্যান্টনি ফিল্টার আই রোসেলের ইতিহাস বিষয়ক বই ম্যানুয়াল ডাইজেস্ট (১৭৪৮) অনুসারে, ৭৮৮ সালে মার্ক অ্যালামুগেরের নেতৃত্বে ৫০০০ অ্যান্ডোরীয় সৈন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভ্যাল ডি দে ক্যারলে চার্লামগনের সহায়তায় এসেছিলেন। যুদ্ধের পরে চার্লম্যাগন অ্যান্ডোরাকে তার সুরক্ষা দিয়েছিল এবং তাদের একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করেছিল।
১৯ শতাব্দী থেকে উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা অ্যান্ডোরায় অভিবাসন গ্রহণ করতে থাকে এবং এরাই আধুনিক অ্যান্ডোরার মুসলিম জনসংখ্যার মূল উৎস। আফ্রিকার পাশাপাশি পাকিস্তান থেকেও কিছু মুসলিম অ্যান্ডোরায় অভিবাসন গ্রহণ করেছে।
|
948383
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948383
|
কার্প পরিবার
|
কার্প পরিবার
সিপ্রিনিডে হল স্বাধুপানির মাছের পরিবার, যাদের সম্মিলিতভাবে সিপ্রিনিডস বলা হয়। এতে কার্পস, সত্যিকারের মিননাউ এবং তাদের আত্মীয় (উদাহরণস্বরূপ, বার্বস এবং বার্বেল ) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাধারণভাবে এই পরিবার "কার্প পরিবার" বা "মিনু পরিবার" নামেও পরিচিত। সিপ্রিনিডি হল বৃহত্তম এবং সর্বাধিক বৈচিত্র্যময় পরিবার পরিবার এবং সাধারণভাবে বৃহত্তম মেরুদন্ডী প্রাণী পরিবার। প্রায় ৩,০০০ প্রজাতি রয়েছে যার মধ্যে কেবল ১২,৭০ প্রজাতি বিদ্যমান রয়েছে। এরা প্রায় ৩৭০ গণে বিভক্ত। পরিবারটি সিপ্রিনিফর্মেসের বর্গের অন্তর্গত। এই বর্গে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি অংশ নিয়ে সাইপ্রিনিডস গঠিত। পরিবারের নামটি প্রাচীন গ্রীক "কাইপ্রোনোস" (κυπρῖνος, "কার্প") থেকে প্রাপ্ত।
|
948393
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948393
|
সাবীয় জাতি
|
সাবীয় জাতি
সাবায়ি বা সাবীয় (সাবীয়: 𐩪𐩨𐩱, S¹Bʾ; আরবি: ٱلسَّبَئِيُّوْن, আস-সাবাইয়ুন; হিব্রু: סבאים) হলো দক্ষিণ আরবের প্রাচীন মানুষ। তারা প্রাচীন দক্ষিণ আরবীয় ভাষাসমূহের একটি ভাষা সাবীয়তে কথা বলে। তারা সাবা (আরবি: سَـبَـأ) রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিল, যা বাইবেলে উল্লেখিত ভূমি শেবা এবং "দক্ষিণ আরবীয় রাজ্যের মধ্যে প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ"।
সাবার ভিত্তি প্রতিষ্ঠার সময় নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। কেনেথ কিচেনের মতে রাজ্যটি খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ থেকে ২৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে স্থায়ী ছিল এবং এর রাজধানী ছিল মা’রিব। অন্যদিকে ইস্রায়েল ফিনকেলস্টাইন এবং নেইল আশের সিলবারম্যান বলেন যে "সাবীয় রাজ্য কেবলমাত্র খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দী থেকে প্রসার লাভ করেছিল" এবং সুলায়মান এবং শেবার রানীর গল্প "সপ্তম শতাব্দীর এক অবিচ্ছিন্ন অংশ"। রাজত্ব দাবি করে বেশ কয়েকটি ইয়েমেনীয় রাজবংশের মধ্যে দীর্ঘ কিন্তু বিক্ষিপ্ত গৃহযুদ্ধের পরে এই রাজ্যটির পতন হয়েছিল; এটি থেকে হিমিয়ার রাজ্য বিজয়ী হিসাবে উত্থিত হয়।
হিব্রু বাইবেলে সাবীয়দের সম্পর্কে বেশ কয়েক জায়গায় উল্লেখ রয়েছে। কুরআনে এগুলিকে 'সাবা' অথবা তুব্বার সম্প্রদায় হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে ()।
সাবীয় রাজ্যের উৎপত্তির ইতিহাস অজ্ঞাত। কেনেথ কিচেনের মতে রাজ্যটি খ্রিস্টপূর্ব ১২০০ অব্দ অবধি ছিল, অন্যদিকে ইস্রায়েল ফিনকেলস্টাইন এবং নেইল আশের সিলবারম্যান বলেন যে "সাবীয় রাজ্য কেবলমাত্র খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দী থেকে প্রসার লাভ করেছিল"। মূলত, সাবীয়রা সায়হাদ মরুভূমির কিনারার "সম্প্রদায়" শাবদের অন্যতম ছিল। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম দিকে, এই উপজাতি সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক নেতারা ('মিল্ক) দক্ষিণ আরবীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ অঞ্চল দখল করে শাবদের একটি বিশাল কমনওয়েলথ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল এবং "এমকেআরবি এসবি' "সাবীয়দের মুকাররিব" উপাধি গ্রহণ করেছিল।
বেশ কিছু কারণে খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের শেষ দিকে সাবীয় রাষ্ট্র ও সভ্যতার উল্লেখযোগ্য অবক্ষয় ঘটে। সাবা খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতাব্দীতে হিমিয়ার রাজ্য দ্বারা অধিকৃত হয়; তবে সাবা রাজাদের প্রথম হিমিয়ার রাজ্য এবং ধু রায়দানের মধ্যে বিভেদের পরে মধ্য সাবীয় রাজ্য দ্বিতীয় শতাব্দীর প্রথমদিকে আবির্ভূত হয়েছিল, উল্লেখ্য যে মধ্য সাবীয় রাজ্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক দিয়ে প্রাচীন সাবীয় রাজ্য থেকে আলাদা ছিল। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় শতাব্দীর শেষদিকে হিমিয়াররা সাবীয় রাজ্য জয় করে নেয় এবং সেই সময় রাজধানী ছিল মা’রিব। মধ্যযুগীয় আরব ভৌগলিকগণ চিহ্নিত করেন যে এটি সায়হাদ নামে মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত, এর বর্তমান নাম রামলাত আল-সাবাতায়িন।
সাবীয় জাতি দক্ষিণ আরবের সম্প্রদায়ভুক্ত ছিল। এই সম্প্রদায়ের প্রত্যেকেরই প্রাচীন ইয়েমেনে আঞ্চলিক রাজ্য ছিল, উত্তরে ওয়াদি আল-জাওফ এ মিনীয়দের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের সাবীয়রা, উচ্চভূমি থেকে সমুদ্র পর্যন্ত বিস্তৃত; তাদের পূর্বদিকে কাতাবীয়রা এবং তাদের পূর্বদিকে হাদরামিতরা ছিল। একই সময়কার অন্যান্য ইয়েমেনীয় রাজ্যের মতো সাবীয়রাও অত্যন্ত লাভজনক মশলার ব্যবসা, বিশেষত লোবান এবং গন্ধরস ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। তারা প্রাচীন দক্ষিণ আরবি লিপির অনেক শিলালিপি বা "মুসনাদ" এবং সেই সাথে সম্পর্কিত টানা হাতের লেখা যবুর লিপির অসংখ্য নথি রেখে গিয়েছে।
মুসলিম লেখক মুহাম্মদ শুকরি আল-আলুসি তাঁর বুলুঘ আল-আরব ফি আহওয়াল আল-আরব এ ইসলামে তাদের ধর্মীয় অনুশীলনের তুলনা করেছেন:
নাস্তিক শাহরাস্তিনের মতে, সাবীয়রা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য ও বোধগম্য উভয় জগতকেই গ্রহণ করে তবে তারা ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে চলে না, বরং তাদের উপাসনা আধ্যাত্মিক সত্তা কেন্দ্রিক।
কুরআনে ২৭তম এবং ৩৪তম সূরায় দু্ইবার সাবা'র নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে সূরার নাম অনুসারে এই অঞ্চলটির নামকরণ করা হয়েছে। পূর্ববর্তীটি সুলায়মান এবং শেবার রানীর প্রসঙ্গে এই অঞ্চলটিকে বোঝায়, যদিও পরেরটি সাইল আল-আরিমকে (বাঁধের বন্যা) বোঝায়, যেখানে ঐতিহাসিক বাঁধটি বন্যার কারণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। "কওম তুব্বা" ("তুব্বার লোক") বাক্যাংশটি, যা ৪৪তম এবং ৫০তম সূরায় উল্লেখ আছে, "তুব্বা" হিমায়ারিতদের মতো সাবার রাজাদের উপাধি ছিল।
বাইবেলের বই "জব", "জোয়েল", "এজেকিয়েল" এবং "ইশাইয়াহতে" সাবীয় জাতির উল্লেখ রয়েছে। জবের বইতে তাদের জবের পশুপাল এবং চাকরদের হত্যা করার কথা উল্লেখ আছে। ইশাইয়াহতে তাদের "দৈহিক গঠন লম্বা" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
|
948408
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948408
|
কুলাউড়া থানা
|
কুলাউড়া থানা
কুলাউড়া থানা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত কুলাউড়া উপজেলার একটি থানা।
১৯২২ সালে কুলাউড়া থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
কুলাউড়া উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম কুলাউড়া থানার আওতাধীন।
|
948411
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948411
|
যোজনী ও পরিবহন ব্যান্ড
|
যোজনী ও পরিবহন ব্যান্ড
কঠিন-অবস্থার পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায়, যোজনী ব্যান্ড ও পরিবহন ব্যান্ড হচ্ছে ফার্মি লেভেলের সবচেয়ে কাছের ব্যান্ড এবং কঠিন পদার্থের বৈদ্যুতিক পরিবাহীতার নির্ধারক। অধাতুর ক্ষেত্রে, যোজনী ব্যান্ড হলো ইলেকট্রনের শক্তির সর্বোচ্চ রেঞ্জ বা পাল্লা যেখানে ইলেকট্রন সাধারণত পরমশূণ্য তাপমাত্রায় বিদ্যমান থাকে, অন্যদিকে পরিবহণ ব্যান্ড হলো ফাঁকা ইলেকট্রনিক অবস্থার সর্বনিম্ন পাল্লা। কোনো উপাদানের ইলেকট্রনিক ব্যান্ড গঠন এর গ্রাফ থেকে যোজনী ব্যান্ডের অবস্থান ফার্মি লেভেলের নিচে আর পরিবহণ ব্যান্ডের অবস্থান ফার্মি লেভেলের উপরে দেখা যায়।
ধাতুর বেলায় যোজনী ও পরিবহণ ব্যান্ডের মাঝে তেমন পার্থক্য দেখা যায়না।কারণ এক বা একাধিক আংশিক পূর্ণ যেসব ব্যান্ডে যোজনী ও পরিবহণ ব্যান্ডের বৈশিষ্ট্য দেখা যায় সেসব ব্যান্ডেই পরিবহণ সম্পন্ন হয়।
অর্ধপরিবাহী ও অপরিবাহীতে দুইটি ব্যান্ডের মাঝে একটা ব্যবধান থাকে কিন্তু অর্ধধাতুতে ব্যান্ডগুলো একটার উপর আরেকটা অবস্থান করে। ব্যান্ড ব্যবধান হচ্ছে কঠিন পদার্থে বিদ্যমান এক প্রকার শক্তিপাল্লা বা এনার্জি রেঞ্জ যেখানে কোনো ইলেকট্রনিক অবস্থা বিরাজ করতে পারে না। এর পিছনে শক্তির কোয়ান্টাইজেশন দায়ী। যোজনী ব্যান্ড থেকে ইলেকট্রনের উত্তেজিত হয়ে পরিবহন ব্যান্ডে চলে যাবার সম্ভাব্যতাই মূলতঃ অধাতুর বৈদ্যুতিক পরিবাহিতাকে নির্ধারণ করে।
কঠিন পদার্থের বেলায়, ইলেকট্রনের চার্জ বাহক হবার সামর্থ্য নির্ভর করে ভ্যাকেন্ট বা ফাঁকা ইলেকট্রনিক অবস্থার উপস্থিতির উপর। এর ফলে যখনই কোনো বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র প্রয়োগ করা হয়, ইলেকট্রনগুলো তাদের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে । একইভাবে, প্রায় পূর্ণ যোজনী বান্ডগুলোর হোলগুলো (শূণ্য অবস্থা) পরিবাহিত হতে পারে।
কোনো কঠিন পদার্থের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা নির্ভর করে এর যোজনী ব্যান্ড থেকে পরিবহন ব্যান্ডে ইলেকট্রন প্রবাহের সামর্থ্যের উপর। স্বভাবতই অর্ধধাতুর ওভারল্যাপিং অঞ্চলের জন্য এর বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা অনেক বেশি থাকে। যদি কোনো ছোট ব্যান্ড ব্যবধান (E) থাকে, সেক্ষেত্রে যোজনী ব্যান্ড থেকে পরিবহন ব্যান্ডে ইলেকট্রন প্রবাহ শুধুমাত্র তখনই হবে যখন কোনো বাহ্যিক শক্তি ( যেমনঃ তাপীয়) প্রয়োগ করা হবে। এই ছোট E গুলোর গ্রুপকে অর্ধপরিবাহী বলা হয়। যদি E এর মান যথেষ্ট বড় হয়, তবে যোজনী ব্যান্ড থেকে পরিবহন ব্যান্ডে ইলেকট্রনের প্রবাহ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নগণ্য বলে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে E গুলোর গ্রুপকে অপরিবাহী বলা হয়।
অর্ধপরিবাহীতেও হালকা পরিবাহিতা দেখা যায় তাপীয় উত্তেজনার জন্য। কিছু ইলেকট্রন যথেষ্ট শক্তি সঞ্চার করে একবারে ব্যান্ড ব্যবধান অতিক্রম করে ফেলে। আর একবার যদি তারা পরিবহন ব্যান্ডে পৌঁছাতে পারে, তখন তারা যেমন বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে তেমনি তাদের যোজনী ব্যান্ডে ফেলে যাওয়া হোলগুলোও বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে। হোল হচ্ছে এক প্রকার ফাঁকা অবস্থা যা যোজনী ব্যান্ডের ভিতরে ইলেকট্রনকে স্বাধীনতার মাত্রা প্রদান করতে সাহায্য করে।
|
948422
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948422
|
ডাকব্যবস্থার ইতিহাস
|
ডাকব্যবস্থার ইতিহাস
ডাকব্যবস্থার ইতিহাস হ'ল ডাক ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালনা করা হয় এবং ডাকটিকিট ও খাম প্রচ্ছদ এবং ডাক ব্যবস্থার বিকাশের ঐতিহাসিক ধাপ সম্পর্কিত চিত্র বা নিদর্শনগুলি ব্যবহারের অধ্যয়ন। এই শব্দটির কৃতিত্ব দেয়া হয় রবসন লো-কে, যিনি একজন পেশাদার ডাকটিকেট সংগ্রাহক, স্ট্যাম্প ব্যবসায়ী এবং স্ট্যাম্প নিলামকারী ছিলেন। তিনি ১৯৩০-এর দশকে এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম সংগঠিত গবেষণা করেছিলেন এবং ডাকটিকেট সংগ্রাহককারীদের ""স্টুডেন্ট অব সাইন্স"" হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন, তবে ডাক ইতিহাসবিদরা এদের ""স্টুডেন্ট অব হিউম্যানিটি "" হিসাবে অভিহিত করেছিলেন। আরও স্পষ্টভাবে, ডাকটিকেট সংগ্রাহকরা ডাক ইতিহাসকে এর হার অধ্যয়ন, পথ, চিহ্নিতকরণ এবং (পরিবহণের) উপায় হিসাবে বর্ণনা করে।
ডাক ইতিহাস নিজস্বভাবে ডাকটিকেট-সংক্রান্ত সংগ্রহ বিশেষে পরিণত হয়েছে। যেখানে ঐতিহ্যবাহী ডাকটিকেট-সংগ্রহ, স্ট্যাম্প উৎপাদন ও বিতরণের প্রযুক্তিগত দিক সহ স্ট্যাম্প অধ্যয়নের সাথে সম্পর্কিত, ডাকটিকেট-সংগ্রহ-সংক্রান্ত ডাক ইতিহাসে স্ট্যাম্পগুলিকে ঐতিহাসিক দলিল হিসাবে উল্লেখ করে; এর মধ্যে তারা ডাকচিহ্ন, পোস্টকার্ড, খাম এবং চিঠিগুলিকেও রাখে। ডাক ইতিহাসের মধ্যে ডাকের হার (ডাক মাশুল), ডাক নীতি, ডাক প্রশাসন, ডাক ব্যবস্থার উপর রাজনৈতিক প্রভাব, ডাক নজরদারি এবং ডাক ব্যবস্থাতে রাজনীতি, ব্যবসা এবং সংস্কৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে; ডাক সংগ্রহ, পরিবহন এবং সরবরাহের কাজে মূলত যা কিছু করা হয়। ডাক সংক্রান্ত ইতিহাসের বিশেষ ক্ষেত্রে ডাক ইতিহাসের সংজ্ঞা দেয়া হয় এভাবে যে, ডাক পরিষেবাগুলির মূল্য হার অধ্যয়ন, অনুসৃত পথ এবং বিশেষভাবে চিঠি পরিচালনা। বিশেষ আগ্রহের ক্ষেত্রগুলির মধ্যে যুদ্ধ বা সামরিক পেশার মতো বিঘ্নিত বা ক্রান্তিকাল এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিঠি বিলি অন্তর্ভুক্ত থাকে। শৃঙ্খলা বিকাশের সাথে সাথে ডাকভিত্তিক এই শব্দটির সংজ্ঞাও বিকাশ লাভ করেছে। ডাকব্যবস্থার শিক্ষার্থীরা আবিষ্কার করেছে যে, স্ট্যাম্পগুলি বুঝতে পারা ও বৈধতার প্রমাণ নির্ভর করে ডাক কর্তৃপক্ষ কেন নির্দিষ্ট স্ট্যাম্প জারি করেছিল, সেগুলো কোথায় এবং কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল তা জানার উপর। ডাকব্যবস্থার কাজ সম্পর্কে এখনও অনেক তথ্য জানা যায়নি এবং কয়েক মিলিয়ন পুরাতন প্রচ্ছদ এখনও রয়েছে, "শিল্পকলার সমৃদ্ধ ক্ষেত্র গঠিত হয়েছে" বিশ্লেষণের জন্য।
ডাক ইতিহাসের যে কোনও বিষয় অধ্যয়ন বা সংগ্রহের ক্ষেত্রে একটা আরেকটার উপর চলে আসতেই পারে তার অনিবার্য কারণ মেইলগুলো একে অপরকে প্রভাবিত করতে পারে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে মেইলগুলোকে আলাদা করা অসম্ভব; মেইলের পরিবহন, হার, ভৌগোলিক এবং বিষয় এখানে জড়িত, তবে নির্বাচিত বিষয়ের ভিন্ন ভিন্ন নির্ভরতার উপর জোর দেওয়া হয়। ডাক ইতিহাসের কিছু পরিচিত এবং জনপ্রিয় বিষয় নিচে বর্ণনা করা হলোঃ
আঞ্চলিক অধ্যয়নগুলি, সাধারণত কোনও ভৌগোলিক অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়, যেমন উৎসের দেশ, স্থানীয় জেলা, শহর বা গ্রাম, পারিবারিক শিকড়ের সাথে সম্পর্কিত জায়গা বা কর্মস্থল।
ডাক পথ, বিকল্প ভৌগোলিক ভিত্তি অধ্যয়নের ক্ষেত্র যা কোনও পথের পাশাপাশি প্রচুর জায়গা এবং পরিষেবাদি সরবরাহ করে।
একটি ভৌগোলিক ভিত্তিক অধ্যয়নে সেই যুগে উপলব্ধ পরিষেবা বা সেবার বিনিময়ের উপর নির্ভর করে আয়তন যুক্ত করতে পারে। সময়টির একটি সম্পূর্ণ গল্প বলার চেষ্টা করা উচিত নির্বাচিত বিষয়টিতে সীমাবদ্ধ না থেকে।
বিমান মেইল, এয়ারমেইল গবেষণা অধ্যয়নের একটি বিশেষ সংস্করণ। বিমান মেইল অধ্যয়রকারীরা প্রথম থেকেই বিমানের মাধ্যমে মেল পরিবহণের বিকাশ পর্যবেক্ষণ করে এবং এয়ারমেল পরিষেবাটির বেশিরভাগ অংশ বিশেষজ্ঞরা দ্বারা ব্যাপকভাবে অধ্যয়ন ও নথিভুক্ত করে থাকেন।
বেলুন মেল, ১৮৭০ সালে ফ্রাঙ্কো-প্রুশিয়ান যুদ্ধের সময় যখন প্যারিসের অবরোধ চলছিল তখন শহর থেকে মেইল বের করার জন্য এই বেলুন মেইল চালু করা হয়েছিল।
মেরিটাইম মেইল এমন একটি থিম যা বিভিন্ন সম্ভাবনার প্রস্তাব দেয়। অনেক রকমের শিপিং লাইন থাকে, একটি মাতৃ দেশ এবং এর উপনিবেশগুলির মধ্যে মেইল বা সমুদ্র বা মহাসাগর দ্বারা পৃথক দুটি দেশের মধ্যে মেইল। অনেক জাহাজেরই তাদের নিজস্ব প্রস্তাবনা রয়েছে। সামুদ্রিক মেইলের হারগুলি ঘন ঘন পরিবর্তিত হয় এবং মাঝে মাঝে একই রুটের বিভিন্ন শিপিং লাইনের জন্য পরিবর্তিত হতে পারে।
রেলপথ মেইল, আংশিকভাবে বা সম্পূর্ণরূপে রেল পরিবহণ দ্বারা ১৮৩০ সালে যুক্তরাজ্যের লিভারপুল এবং ম্যানচেস্টারের মধ্যে ২০ শতাব্দীর শেষ অবধি চলমান মেইলকে বোঝানো হয়।
রকেট মেল হ'ল রকেট বা ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে মেল সরবরাহ করার একটি পদ্ধতি, যা অ্যাস্ট্রোফিটালি নামে পরিচিত। প্রারম্ভিক বিখ্যাত রকেটারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্টিফেন স্মিথ, ইন্ডিয়ান এয়ারমেইল সোসাইটির সেক্রেটারি, যিনি ১৯৩৪ থেকে ১৯৪৪ এর মধ্যে ২৭০টি রকেট চালিয়েছিলেন যার মধ্যে ৮০টিতে মেইল ছিল।
জেপেলিন মেল, ১৯০৮ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে জার্মান জেপেলিন আকাশপথে চালিত একটি জনপ্রিয় মেইল ছিল।
এক্সপ্রেস মেল হ'ল একটি ত্বড়িৎ সরবরাহ পরিষেবা যার জন্য গ্রাহক সারচার্জ প্রদান করে এবং দ্রুত সরবরাহ পায়। "হ্যাস্টি পোস্টি হ্যাস্টি" মেইলগুলো ১৭ শতাব্দীর মেইল এবং আধুনিক পনি এক্সপ্রেস মেইলের পূর্ববর্তী হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
মার্কোফিলি হ'ল হাত বা মেশিন দ্বারা প্রয়োগ করা পোস্টমার্ক, বাতিলকরণ এবং ডাক চিহ্নগুলির অধ্যয়ন।
সামরিক মেইল হ'ল সশস্ত্র পরিষেবা বা শান্তিরক্ষী বাহিনীর সাথে সম্পর্কিত বা প্রথম এবং দ্বিতীয় আফিম যুদ্ধ, স্পেনীয় গৃহযুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, এমনকি আফগানিস্তান বা ইরাকের সাম্প্রতিক সংঘাতের মতো কোনও নির্দিষ্ট সামরিক অভিযানের আশেপাশে গঠিত মেইল।
পার্সেল পোস্ট, সম্ভবত সবচেয়ে কম সংগৃহীত, বা অধ্যয়ন করা মেইল, সম্ভাবত উপাদানের আকারের কারণে ডাক ইতিহাসে সংরক্ষিত হয় নি।
পোস্টাল সেন্সরশিপ, খোলা এবং গোপনীয় উভয় ধরনের পোস্টে, বিংশ শতাব্দীর বিশ্বযুদ্ধের অনেক আগে সম্পাদিত হয়েছে এবং এতে নাগরিক এবং সামরিক উভয় মেইলেরই সেন্সরশিপ অন্তর্ভুক্ত থাকতো।
ডাক রেট, অধ্যয়নের একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র যা দেশ, সময়কাল, বা এমনকি মুদ্রাও হতে পারে। ডাক হার প্রায়শই দ্বিপাক্ষিকভাবে নির্ধারিত হতো, ফ্রান্স এবং প্রুশিয়ার মধ্যে ১৮১৭ এবং ১৮৩৭ সালের ডাক চুক্তি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রেমেনের (সেই সময়ের একটি শহর-রাষ্ট্র) মধ্যে ১৮৪৭ এবং ১৮৫৩ সালের ডাক চুক্তির মাধ্যমে।
পোস্টাল স্টেশনারি, একটি নির্দিষ্ট ডাক পরিষেবা, যেমন মেইল করার যোগ্য পণ্য, পোস্টাল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত খাম, ভাঁজযোগ্য কাগজের শিট, পোষ্টকার্ড, লেটারকার্ড, অ্যারোগ্রাম বা র্যাপারে, যার উপর ডাকমাসুল পরিমাণ প্রাক মুদ্রিত স্ট্যাম্প বা "চিহ্নিত চিহ্ন" থাকে, ।
প্রি-অ্যাডহেসিভ মেইল, প্রি-স্ট্যাম্প মেইলও বলা হয়, হ'ল গ্রেট ব্রিটেনের যুক্তরাজ্যে এবং আয়ারল্যান্ডের এবং অন্যান্য দেশে মে ১৮৪০ সালে পেনী ব্ল্যাক অ্যান্ড টু পেন্স ব্লু স্ট্যাম্প জারির আগে আগে ব্যবহৃত মেইল, এটি ডাক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিজস্ব অ্যাডহেসিভ বা আঠালো লেবেল গ্রহণের পূর্বের মেইল।
যুদ্ধবন্দী মেইল, সামরিক মেইল বা ডাক সেন্সরশিপ বা উভয়ের উপশ্রেণী হতে পারে।
নিবন্ধিত মেল, প্রায়শই এমন জিনিস বা নথি মেইল করতে ব্যবহৃত হয়, যেগুলো মূল্যবান বলে মনে করা হয় এবং নিয়মিত মেলের চেয়ে আরও অধিক নিরাপত্তা ও তত্বাবধানের প্রয়োজন হয়।
লিনস ডট কম "রিফ্রেশার কোর্স"
|
948423
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948423
|
সাইকেল চালনার ইতিহাস
|
সাইকেল চালনার ইতিহাস
সাইকেল চালনা, উনিশ শতকে সাইকেল চালু হওয়ার পরে সাইকেল চালনা দ্রুত একটি ক্রিয়াকলাপে পরিণত হয়েছিল এবং বিশ্বব্যাপী শত কোটিরও বেশি লোকের কাছে জনপ্রিয় হওয়ার পাশাপাশি বিনোদন, পরিবহন এবং খেলাধুলায় সাইকেলের ব্যবহার জনপ্রিয় রয়ে গেছে।
প্রথম নথিভুক্ত সাইকেল চালনার প্রতিযোগিতাটি ছিল প্যারিসের সেন্ট-ক্লাউড পার্কে ৩১ মে ১৮৬৮ সালে, এটি ছিল একটি ১২০০ মিটার প্রতিযোগিতা। এতে প্রবাসী ইংরেজ জেমস মুর জিতেছিলেন যিনি শক্ত রাবারের টায়ারের একটি সাইকেল চালিয়েছিলেন। প্রথম রাস্তায় সাইকেল দৌড় প্রতিযোগিতায়ও জেমস মুরই জিতেছিলেন। সেটি ছিল প্যারিস-রউন শহর দুটির মধ্যেবর্তী ১২৩ কিমি দূরত্ব, যাতে তিনি সময় নিয়েছিলেন ১০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠিত সাইকেল দৌড় প্রতিযোগিতার ক্লাব হ'ল সেন্ট লুই সাইক্লিং ক্লাব। ১৮৮৭ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে পরিচালিত হচ্ছে, ক্লাবটি শুরু থেকেই সাইকেল দৌড় প্রতিযোগিতা এবং সময়সীমার দূরত্বের ইভেন্টগুলি স্পনসর করেছে। এর সদস্যদের মধ্যে অসংখ্য জাতীয় চ্যাম্পিয়ন এবং অলিম্পিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।
বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে সাইকেল চালানো সংগঠিত হয়েছিল প্রতিযোগিতা শুরুর পর পরই। প্রথমদিকে রোভার সেফটি সাইকেলের আবিষ্কারের ফলে সাইকেল চালানো আরও সুলভ হয়, বিশেষত ১৮৮০ এর পরে। নৈতিকতার প্রশ্ন এবং মহিলাদের সাইক্লিং পোশাকের ক্রমবিকাশ জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছিল, যা ক্রমবর্ধমান সাইক্লিংকে কিছুটা কম পরিস্ফুটিত ও সীমাবদ্ধ করে।
১৯১৫ সালের ৪ মার্চ নেদারল্যান্ডসের গুই এবং ইমনল্যান্ড অঞ্চলে সাইকেল চক্রের পথ তৈরির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এটি সর্বশেষ ব্যক্তিগত "সাইকেল পাথ সোসাইটি" যা আজও বিদ্যমান। ২০ শতকের গোড়ার দিকে কিছু লোক ভেবেছিল যে, মোটর ট্র্যাফিকের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ সাইকেল চালানো লোকদের জন্য বিপজ্জনক হবে, বিশেষত যারা অবসর কার্যক্রম হিসাবে সাইকেল চালান, তারা পৃথক সাইক্লিং অবকাঠামো নির্মাণ করা উচিত বলে মত দিয়েছিলেন। সেই রুটগুলি এমন হবে যে, সেগুলো মোটর ট্র্যাফিকের সাথে সংযুক্ত থাকবে না এবং মূলত বিনোদনের জন্য- সেগুলো ছোট রুট নয়, তবে সবচেয়ে ভাল রুট হবে।
আজ আমরা বিনোদনমূলক সাইক্লিংয়ের পুনরুত্থান দেখতে পাচ্ছি। আমরা অনেক সংস্থাকে দেখতে পাচ্ছি তারা এই প্রবণতার চাহিদা পূরণ করছে এবং নেদারল্যান্ডস থেকে উদ্ভূত রেট্রো/ভিনটেজ ধরনের সাইকেলগুলিকে বিশেষীকরণ করছে।
১৮৯০-এর দশকের প্রাথমিক সাইকেলের প্রথম দিন থেকে লোকেরা কাজের জন্য সাইকেল চালাচ্ছে। বাইক টু ওয়ার্ক ওয়েবসাইট অনুসারে, এই অনুশীলন ১৯২০ সাল পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অব্যাহত ছিল, এরপর থেকে শহরতলিতে আবাসিক এলাকা বৃদ্ধি এবং গাড়ির জনপ্রিয়তার কারণে এই হার কমে গিয়েছিল। ইউরোপে, ১৯৫০ এর দশক পর্যন্ত সাইক্লিং চালানো সাধারণ ছিল।
আজ অনেক লোক ফিটনেস, পরিবেশ সংক্রান্ত উদ্বেগ, সুবিধার্থে, মিতব্যয়িতা এবং উপভোগ সহ বিভিন্ন কারণে কাজের জন্য সাইকেল চালায়। ইউএস সেন্সাস ব্যুরোর ২০০৮ সালের মার্কিন কমিউনিটি জরিপ (এসিএস) অনুসারে, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০০৯-এ আমেরিকানদের ০.৫৫ শতাংশ লোক কাজ করার প্রাথমিক মাধ্যম হিসাবে সাইকেল ব্যবহার করে। কর্মসংস্থানের কিছু জায়গায় সাইকেলের যাত্রীদের যেমন গোসলের জায়গা, পরিবর্তন করার কক্ষে আভ্যন্তরীন সাইকেল রাখার তাক এবং অন্যান্য সুরক্ষিত সাইকেল পার্কিংয়ের সুবিধা সরবরাহ করে।
অনেক সাইকেল আরোহী ভ্রমণ করতে তাদের সাইকেল ব্যবহার করেছে; এদের মধ্যে কিছু আরোহী বিশ্বভ্রমণে গিয়েছিলের। অ্যানি লন্ডনডেরি ১৮৮০-এর দশকে ১৫ মাস সময় নিয়ে বিশ্বভ্রমণ করেছিলেন। ছয়জন ভারতীয় পুরুষ ১৯২০-এর দশকে ৭১,০০০ কিমি সাইকেল চালিয়েছিলের তাদের বিশ্বভ্রমণের অংশ হিসাবে।
|
948426
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948426
|
নক সংস্কৃতি
|
নক সংস্কৃতি
নক সংস্কৃতি, প্রাথমিক লৌহ যুগের একটি জনগোষ্ঠী, যাদের ভগ্নাবশেষ উপাদান নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের নক গ্রামের হাম জনগণ কর্তৃক এই নামকরণ করা হয়, যেখানে নক সংস্কৃতির পোড়ামাটির ভাস্কর্যগুলি ১৯২৮ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল। নক সংস্কৃতির আবির্ভাব উত্তর নাইজেরিয়ায় হয়েছিল খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দের দিকে এবং ৫০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে অজানা পরিস্থিতির কারণে বিলুপ্ত হওয়ার আগে প্রায় ২,০০০ বছর টিকেছিল।
গলানো এবং নির্দিষ্ট আকার দেয়া লোহার সরঞ্জামগুলির ব্যবহার নোক সংস্কৃতিতে কমপক্ষে খ্রিস্টপূর্ব ৫৫০ খ্রিস্টাব্দের দিকে এবং সম্ভবত কয়েক শতাব্দী আগে এসেছিল। ঐতিহাসিক ভাষাতত্ত্ব থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যায় যে, খ্রিস্টপূর্ব ১০০০ খ্রিস্টাব্দে লোহা গলানো এই অঞ্চলে স্বাধীনভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল। বৈজ্ঞানিকভাবে নক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলি অন্বেষণ এবং লৌহ যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক নক পোড়ামাটির ভাস্কর্যগুলি আরও ভালভাবে বোঝার কাজ ২০০৫ সালে শুরু হয়েছিল।
ব্রুনিগ এবং রুপ অনুমান করেছিলেন, "তাদের উৎস অজানা, তবে যে গাছগুলি তারা ফসল হিসাবে ব্যবহার করেছে (বিশেষত ভুট্টা শস্য) তা সহিল অঞ্চলের আদিবাসীদের খাদ্য, তাই উত্তরাঞ্চল এদের জন্মভূমি হবার সম্ভাবনা অন্য যে কোনও অঞ্চলের চেয়ে বেশি।" ব্রুনিগ ব্যাখ্যা করেন: "নক সংস্কৃতির লোকেরা অবশ্যই অন্য কোথাও থেকে এসে থাকতে পারে। পশ্চিম আফ্রিকার সহিল অঞ্চল সন্দেহ হলেও আমরা এখনও অঞ্চলটি খুঁজে পাইনি।"
নক পোড়ামাটির ভাস্কর্যগুলির কার্যকারিতা এখনও অজানা। বেশিরভাগ পোড়ামাটির ভাস্কর্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টুকরো আকারে সংরক্ষণ করা হয়। এই কারণেই নক শিল্পকর্ম কেবল পুরুষ এবং মহিলা উভয়েরই মাথার শিল্পকর্ম হিসাবে সুপরিচিত, যাদের চুলের শৈলি বিশদ এবং পরিমার্জিত। মূর্তিগুলি টুকরো টুকরো হওয়ার কারণ এগুলো সাধারণত জলাবদ্ধ কাদা মাটি থেকে আবিষ্কৃত হয়, ভূগর্ভের পানির দ্বারা ক্ষয়প্রাপ্ত। সেখানে পাওয়া টেরাকোটার মূর্তিগুলি লুকানো ছিল, হয়তো গড়িয়েছে, পালিশ হয়েছে এবং ভেঙ্গে গেছে। খুব কমই দুর্দান্ত আকারের সংরক্ষিত অক্ষত মূর্তিগুলি পাওয়া গেছে, আন্তর্জাতিক শিল্পের বাজারে যেগুলো অত্যন্ত মূল্যবান।
পোড়ামাটির চিত্রগুলি হলো ফাঁপা, কয়েলাকৃতির, প্রায় জীবন্ত আকারের মানব মাথা এবং দেহগুলি উচ্চ শৈলীর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ, প্রচুর গহনা সংবলিত এবং বিভিন্ন ভঙ্গিমার।
টুকরোগুলির মূল কার্যকারিতা সম্পর্কে খুব কম জানা যায়, তবে তত্ত্বগুলির মধ্যে পূর্বপুরুষের চিত্র, সমাধি প্রস্তর এবং ফসল ব্যর্থতা, বন্ধ্যাত্ব এবং অসুস্থতা প্রতিরোধের সৌভাগ্য কবজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও, বেশ কয়েকটি গম্বুজাকৃতির ভিত্তি পাওয়া গেছে যেগুলো হয়তো প্রাচীন ছাদ কাঠামোর শীর্ষ অলংকরণে ব্যবহার করা হয়ে থাকতে পারে।
প্রথম নক পোড়ামাটির ভাস্কর্য কর্ণেল ডেন্ট ইয়ং, খনির অংশীদার কর্তৃক ১৯২৮ সালে আবিষ্কৃত হয়েছিল নাইজেরিয়ার কাদুনা রাজ্যের নক গ্রাম থেকে। দুর্ঘটনাক্রমে মাটির গভীরে প্রথম পোড়ামাটির ভাস্কর্যটি আবিষ্কৃত হয়েছিল একটি পালিমাটির টিনের খনি থেকে। ইয়ং নাইজেরিয়ার জোসের খনি বিভাগের যাদুঘরে ভাস্কর্যগুলি উপস্থাপন করেছিলেন।
পনের বছর পরে, ১৯৪৩ সালে নক গ্রামের কাছে, টিনের খনি থেকে দুর্ঘটনাক্রমে একটি নতুন সিরিজের মাটির ক্ষুদ্র মূর্তি আবিষ্কৃত হয়। খনির দায়িত্বে থাকা এক কেরানী একটি মাথা তার বাড়িতে নিয়ে যায় কাকতাড়ুয়া, পশু-পাখিকে ভয় দেখানোর জন্যে জমিতে রক্ষিত মানুষের প্রতিকৃতি বিশেষ হিসাবে সেটি ব্যবহার করার জন্য। এই কাকতাড়ুয়া অবশেষে বার্নার্ড ফ্যাগের নজরে এসেছিল যিনি তখন একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন এবং যিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ফ্যাগ লক্ষ্য করেন যে, কাকতাড়ুয়ার মাথাটি ইয়ংয়ের পাওয়া ভাস্কর্যের মতো দেখাচ্ছিল। তিনি জোসে গিয়েছিলেন, যেখানে ইয়ং তাকে সম্প্রতিক প্রকাশিত পোড়ামাটির মানবমূর্তি দেখান। অবশেষে এটি স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নক এবং জেমা অঞ্চলে টিনের খনিতে খনন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলি ধ্বংস করছে।
|
948431
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948431
|
নীলগিরি-শ্রেণির ফ্রিগেট
|
নীলগিরি-শ্রেণির ফ্রিগেট
নীলগিরি-শ্রেণির ফ্রিগেট বা প্রকল্প ১৭ হল ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য প্রকল্প ১৭ শিবালিক-শ্রেণির ফ্রিগেটের অনুসরণকারী। মাজাগাঁও ডক ও জিআরএসই দ্বারা মোট সাতটি জাহাজ নির্মিত হবে। জাহাজগুলি নামকরণ ভারতে নির্মিত প্রথম বড় যুদ্ধজাহাজগুলির নামে করা হয়, যেগুলি ভারতের পাহাড়ের নামে নামাঙ্কিত ছিল। ২০১৭ সালে এই শ্রেণির প্রথম জাহাজটির নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০২২ সালের মধ্যে প্রথম জাহাজটি সরবরাহ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিটি জাহাজের নির্মাণ ব্যয় ₹৪,০০০ কোটি ($৫৬১ মিলিয়ন) টাকার বেশি এবং সমগ্র চুক্তির মোট মূল্য ₹৪৫,০০০ কোটি (২০১৯ সালের হিসাবে ₹৯১০ বিলিয়ন টাকা বা $১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য) টাকার বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জাহাজটি সর্বশেষতম স্টিলথ বৈশিষ্ট্যগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
|
948436
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948436
|
নেসারি
|
নেসারি
নেসারি ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের কোলহাপুর জেলার গড়হিংলাজ শহরের একটি গ্রাম। ২০১১ সাল পর্যন্ত এর জনসংখ্যা ছিল ২১,০০০ জন। এটি গড়হিংলাজ শহর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার এবং জাতীয় সড়ক ০৪ (এনএইচ ৪) থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে।
নেসারি মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটক রাজ্যের সীমান্তের নিকটে অবস্থিত। এর স্থানাঙ্ক । সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ৬২৫ মিটার এবং গড় তাপমাত্রা শীতকালে থাকে ১৯°সেলসিয়াস এবং গ্রীষ্মকালে ২৬°সেলসিয়াস।
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী নেসারির জনসংখ্যা ১৯,০০০, যার মধ্যে নেসারি শহরের পাশাপাশি শহরটিতে অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য অঞ্চলগুলিও রয়েছে। নেসারির গড় সাক্ষরতার হার ৮৫% যেখানে জাতীয় গড় ৭৪.৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৪%, এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭২%। এই শহরের জনসংখ্যার ৯% ছয় বছরের কম বয়সী।
বেশীরভাগ অধিবাসী হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এছাড়াও ইসলাম, বৌদ্ধ, শিখ এবং অন্যান্য ধর্মের মানুষও রয়েছে।
এখানকার সর্বাধিক ব্যবহৃত ভাষা হচ্ছে মারাঠি এবং ১৯,০০০ মানুষ মাতৃভাষা হিসেবে মারাঠিতে কথা বলে।
প্রতাপরাও গুজর, জন্ম হয় কুদ্টোজি গুজর হিসেবে। তিনি ছিলেন ছত্রপতি শিবাজীর সেনাবাহিনীর তৃতীয় রাজকীয় সেনপতি। সতের শতকে এই বাহিনী সম্ভবত ভারতের সবচেয়ে সফল গেরিলা বাহিনী ছিল। মির্জা জয়সিংহের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার স্বীকৃতি স্বরূপ ছত্রপতি শিবাজী তাঁকে প্রতাপরাও (সাহসী) উপাধি দিয়েছিলেন।
প্রতাপরাও একজন অত্যন্ত প্রতিভাধর অভিজাত সেনাপতি ছিলেন। সেনাপতি হিসেবে তিনি তাঁর রাজার বিশ্বাস এবং তাঁর সৈন্যদের আনুগত্য অর্জন করেছিলেন। সালহেরের বিখ্যাত যুদ্ধে তিনি একটি বিশাল মুঘল সেনাবাহিনীকে পরাজিত করেন। সালহের যুদ্ধ হল মুঘল এবং মারাঠাদের মধ্যে উন্মুক্ত প্রান্তরে সংঘটিত প্রথম বৃহদাকারের যুদ্ধ। বলা হয়ে থাকে সালহের প্রান্তরে মুঘলদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি যুদ্ধে মারাঠাদের বিজয় ছিল তাদের সামরিক বাহিনীর উত্থানের সন্ধিক্ষণ। মানুষ হিসেবে প্রতাপরাও একজন আবেগপ্রবণ ব্যক্তি ছিলেন।
১৬৭৪ সালে ছত্রপতি শিবাজীর রাজ্যাভিষেকের কয়েক মাস আগে, সেনাপতি বাহলুল খানের নেতৃত্বাধীন আক্রমণ বাহিনীর মোকাবিলা করার জন্য প্রতাপরাও গুজরকে প্রেরণ করা হয়। মারাঠা সেনাবাহিনী নেসারিতে স্থাপিত বাহালোল খানের সৈন্য শিবিরটিকে ঘিরে ফেলে। যুদ্ধে প্রতাপরাও এর বাহিনী প্রতিপক্ষের সেনাপতিকে পরাজিত ও বন্দী করে। ছত্রপতি শিবাজীর এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট সতর্কতাবাণী থাকা সত্ত্বেও, যখন বাহলুল খান ছত্রপতির অঞ্চলগুলোতে পুনঃআক্রমণ না করার প্রতিশ্রুতি দেন, তখন প্রতাপরাও বাহলুল খানকে তার সৈন্যবাহিনী ও জব্দকৃত যুদ্ধ সামগ্রী সহ মুক্তি দিয়ে দেন। কিন্তু মুক্তির পরের দিন থেকেই বাহলুল খান নতুন আক্রমণ শুরু করার প্রস্তুতি শুরু করে দেন।
ছত্রপতি শিবাজী যখন প্রতাপরাও এর সিদ্ধান্তের কথা শুনলেন, তখন তিনি ক্রুদ্ধ হন এবং বাহলুল খানকে পুনরায় বন্দী না করা পর্যন্ত তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করার অনুমতি প্রত্যাখ্যান করে প্রতাপরাওকে একটি ক্ষুদ্ধ চিঠি লিখেন। তাঁর কৃত কর্মের ভুল বুঝতে পেরে প্রতাপরাও অত্যন্ত বিচলিত হয়ে পড়েন এবং বাহলুল খানকে বন্দি করার জন্য আবারও বদ্ধ পরিকর হয়ে ওঠেন।
একদিন, তিনি কাছাকাছি বাহলুল খানের ঘাঁটি গড়ার কথা জানতে পারেন। প্রতাপরাও নেসারিতে বাহলুল খানের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। প্রতাপরাও গুজরের সৈন্য সংখ্যা ছিল ১২০০, অপরদিকে খানের ছিল ১৫,০০০। তাই, প্রতাপরাও বিবেচনা করেন যে ১২০০ জন লোক তার সাথে আত্মহত্যা করার কোনও অর্থ নেই। ফলে, ক্ষোভ এবং চিঠির পরার পরে অতি উত্তেজনায় তিনি তাঁর অশ্বারোহী বাহিনীকে নির্দেশ না দিয়ে একাই রওনা হন। এতে তাঁর সেনাবাহিনী নয়, বরং তাঁর আত্মসম্মানবোধ সংকটাপন্ন হয়েছিল। দলপতিকে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখোমুখি হতে দেখে ছয় জন মারাঠা সর্দার তাঁর সাথে লড়াইয়ে যোগদান করেন, তারা শত্রু শিবিরে আক্রমণ করেন এবং তাদের সকলকেই হত্যা করা হয়। আনন্দরাও এবং হাসাঁজি মোহিত যদিও পশ্চাতে অবস্থান করেছিলেন। প্রতাপরাও এর সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ প্ররোচিত এবং গুজরের মৃত্যু মারাঠাদের বিরাট ক্ষতি করে। পরবর্তীতে আনন্দরাও মোহিত সৈন্য বাহিনীকে নিরাপদ অঞ্চলে নিয়ে যেতে পেরেছিলেন।
ছত্রপতি শিবাজীর সেনাবাহিনী বাহলুল খানকে পরাজিত করে এবং আনন্দরাও এবং হাম্বিরাও মোহিতের নেতৃত্বে তার জায়গীর লুট করে তাদের সেনাপতির মৃত্যুর প্রতিশোধ নিয়েছিল। হাম্বিররাও মোহিত নতুন "সরনৌবত" (মারাঠা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক) হয়েছিলেন।
প্রতাপরাও এর মৃত্যু সংবাদ শুনে ছত্রপতি শিবাজী গভীর শোক করেছিলেন। তিনি তাঁর দ্বিতীয় পুত্র রাজারামকে প্রতাপরাও গুজরের কন্যার সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন; যিনি পরবর্তীকালে মারাঠা সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী হন, মহারাণী জাঙ্কিভাই। এই অনুষ্ঠানটি একটি মারাঠি কবিতা "বেদাত মারাঠে বীর দাউদলে সাত" আকারে পুনঃলিখিত হয়েছে। কবিতাটি লিখেছেন বিখ্যাত কবি কুসুমাগ্রজ। এটি গান আকারে গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর।
গ্রামের নাগরিক প্রশাসন নেসারী গ্রাম পঞ্চায়েত দ্বারা পরিচালিত হয়।
নেসারির বাণিজ্যের প্রধান ক্ষেত্রগুলো হল বাণিজ্য, চিনি উৎপাদন এবং লাল মরিচ। কাছাকাছি বিপণনের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে গোয়া এবং সিন্ধুদুর্গ জেলা।
নেসারি বেশ কয়েকটি রাজ্য মহাসড়কের মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সংযুক্ত এবং প্রায় জাতীয় সড়ক ০৪ (এনএইচ ৪) থেকে ১৫ কিমি দূরে। নিকটতম বিমানবন্দর ৩৯ কিমি দূরে বেলগামে অবস্থিত।
|
948438
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948438
|
রাজনগর থানা
|
রাজনগর থানা
রাজনগর থানা বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত রাজনগর উপজেলার একটি থানা।
১৯২২ সালে রাজনগর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক কার্যক্রম রাজনগর থানার আওতাধীন।
|
948453
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948453
|
মোস্তফাপুর ইউনিয়ন
|
মোস্তফাপুর ইউনিয়ন
মোস্তফাপুর ইউনিয়ন নামে বাংলাদেশে মোট ২টি ইউনিয়ন রয়েছে। যথা:
|
948455
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948455
|
শামসুল হক (ঢাকার রাজনীতিবিদ)
|
শামসুল হক (ঢাকার রাজনীতিবিদ)
শামসুল হক (? – ১৯৮২)বাংলাদেশের ঢাকা জেলার রাজনীতিবিদ যিনি ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
শামসুল হক ঢাকা জেলা জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মেজর শরিফুল হক ডালিমের বাবা।
শামসুল হক সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন ঢাকা-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
|
948461
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948461
|
শাহ মাহাতাব আহমদ
|
শাহ মাহাতাব আহমদ
শাহ মাহাতাব আহমদ বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা যিনি তৎকালীন দিনাজপুর-৮ ও দিনাজপুর-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
শাহ মাহাতাব আহমদ দিনাজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
শাহ মাহাতাব আহমদ আইনজীবী ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
|
948471
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948471
|
সরদার মোশারফ হোসেন
|
সরদার মোশারফ হোসেন
সরদার মোশারফ হোসেন (–২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭) বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার রাজনীতিবিদ, আইনজীবী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন দিনাজপুর-৯ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সরদার মোশারফ হোসেন সালে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার শেরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ১ মেয়ে ও ১ ছেলে। ছেলে সরদার কুদরত ই খুদা ডন দিনাজপুরের কেবিএম কলেজের অধ্যক্ষ।
সরদার মোশারফ হোসেন আইনজীবী, বাংলা ভাষা আন্দোলন কর্মী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন দিনাজপুর-৯ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সরদার মোশারফ হোসেন ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
|
948477
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948477
|
সিদ্দিক হোসেন
|
সিদ্দিক হোসেন
সিদ্দিক হোসেন বাংলাদেশের রংপুর জেলার রাজনীতিবিদ যিনি তৎকালীন রংপুর-৮ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সিদ্দিক হোসেন রংপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
সিদ্দিক হোসেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন রংপুর-৮ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
|
948487
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948487
|
এম. সিদ্দিক
|
এম. সিদ্দিক
এম. সিদ্দিক (১৯২৮- ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক যিনি তৎকালীন চট্টগ্রাম-১৪ আসনের সংসদ সদস্য এবং গণপরিষদ সদস্য ছিলেন।
এম. সিদ্দিক চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলায় ১৯২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।
এম. সিদ্দিক একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৭০ সালের ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করেন এবং তৎকালীন পি-ই-২৯৪ তথা চট্টগ্রাম-১৪ (সাতকানিয়া) এর হয়ে প্রাদেশিক পরিষদের এম.পি.এ নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চট্টগ্রাম-১৪ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এম সিদ্দিক ২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়ার নিজবাস ভবনে মৃত্যুবরণ করেন।
|
948501
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948501
|
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা
|
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন ও কার্যালয়। এটি ঢাকার রমনা থানার মিন্টো রোডে অবস্থিত। পূর্বে এটি বাংলাদেশে সফরে আসা বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য সরকারি অতিথি ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ২০০১ সালে বিচারপতি লতিফুর রহমান এবং ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমদ সরকারিভাবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অবস্থান করেছেন। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হলে, প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারি বাসভবন ও কার্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনাকে নির্ধারণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে বিচারপতি হাবিবুর রহমান প্রধান উপদেষ্টা হলেও এই বাসভবনে অবস্থান করেননি।
২০০৫ সালে যমুনা অতিথি ভবনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলনে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর ২০০৯ সালে গণভবন সংস্কারের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নিরাপত্তার জন্য তাঁর নিজস্ব বাসভবন থেকে যমুনা অতিথি ভবনে স্থানান্তরিত হন। ২০২৩ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অবস্থান করেন।
|
948504
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948504
|
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনা
|
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনা
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনা বাংলাদেশে সফররত বিদেশি সম্মানিত ব্যক্তি ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি অতিথি ভবন এবং বৈঠকশালা। এটি ঢাকার রমনা থানার অন্তর্ভুক্ত।
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিটির সভাপতি বার্ন্ড ল্যাঙ্গের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সাথে বৈঠক করেন।
|
948505
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948505
|
মণিপুর (দেশীয় রাজ্য)
|
মণিপুর (দেশীয় রাজ্য)
মণিপুর রাজ্য বা কঙ্গলিপাক রাজ্য, উত্তর-পূর্ব ভারতে একটি প্রাচীন স্বাধীন রাজত্ব ছিল। ১৮২৪ সাল থেকে এটি ব্রিটিশ ভারতের সাথে একটি সহায়ক জোটে পরিণত হয়েছিল, যা এটি একটি দেশীয় রাজ্য হিসাবে ছিল। এটির সীমানা পশ্চিমে আসাম প্রদেশ এবং পূর্বে ব্রিটিশ বার্মার পর্যন্ত এবং বিশ শতকে ২২,৩২৭ বর্গকিলোমিটার (৮,৬২১ বর্গ মাইল) জুড়ে এবং ৪৬৭ টি গ্রাম ছিল। রাজ্যের রাজধানী ছিল ইম্ফল ।
মণিপুরের প্রাথমিক ইতিহাসটি পৌরাণিক আখ্যান নিয়ে গঠিত। ইম্ফল নদীর তীরে অবস্থিত কাংলা দুর্গ, যেখানে রাজা পাখংবার প্রাসাদ ছিল। এটি ১৬৩২ সালে রাজা খাগেম্বা দ্বারা নির্মিত হয়েছিল, যিনি চীনা আক্রমণকারীদের পরাজিত করেছিলেন। দুর্গে, বেশ কয়েকটি মন্দিরের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় তাত্পর্য ছিল। কঙ্গলার অর্থ পুরানো মৈথেই ভাষায় "শুকনো জমি"।
কিংলি লোইয়ম্বা ১১১০ সালে কঙ্গেলিপাকের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যিনি ১০৭৪ এবং ১১২১ এর মধ্যে রাজত্ব করেছিলেন। তিনি পার্শ্ববর্তী পাহাড়ের বেশিরভাগ রাজত্বকে একত্রিত করে রাজ্যকে সুসংহত করেছিলেন এবং তার রাজ্যের জন্য একধরনের লিখিত গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করার কৃতিত্ব হয়। তাদের উপত্যকার কঙ্গেলিপাকের সমস্ত গ্রামকে পরাধীন করার পরে রাজা ক্ষমতায় বৃদ্ধি পায় এবং তাদের অঞ্চল ছাড়িয়ে প্রসারণের নীতি শুরু করেছিলেন। ১৪৪৩ সালে রাজা নীংথোকুম্বা আলাকা দখল করে নেয়, এই এলাকাটি শানদের দ্বারা শাসিত ছিল, প্রতিবেশী কাবয়া ভ্যালির মণিপুরীরা দাবীর নীতি সূচনা করে।
রাজা খাগেম্বার (১৫৯৭-১৬৫২) শাসনের অধীনে কঙ্গেলিপ্যাক রাজ্যে শিখরে পৌঁছেছিল। খাগেম্বার ভাই প্রিন্স শালুঙ্গবা খাগেম্বার শাসন সম্পর্কে খুশি নন তাই তিনি সিলেট অঞ্চলে পালিয়ে যান যেখানে তিনি বাঙালি মুসলিম নেতাদের সাথে মিত্রতা করেছিলেন। সিলেটি সৈন্যদের একটি দল নিয়ে শালুংবা মণিপুর আক্রমণ করার চেষ্টা করলেও সৈন্যদের ধরে নিয়ে যায় এবং মণিপুরে শ্রমিক হিসাবে কাজ করানো হয়। এই সৈন্যরা স্থানীয় মণিপুরী মহিলাদের বিয়ে করেছিল এবং মৈতৈ ভাষার সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছিল । তারা মণিপুরে হুক্কা প্রবর্তন করে এবং পাঙ্গাল বা মণিপুরী মুসলিম সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠা করে।
১৭১৪ সালে মাইদুডু পামেহিবা নামে একজন রাজা হিন্দু ধর্মকে রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন এবং তার নাম পরিবর্তন করে গরিব নওয়াজ রাখেন। ১৭২৪ সালে সংস্কৃত নাম "মণিপুর" ('মণিমুক্তার আবাস') রাজ্যের নাম হিসাবে গৃহীত হয়। রাজা গরিব নওয়াজ বার্মায় বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালায়, কিন্তু স্থায়ীভাবে জয়লাভ করতে পারেনি। ১৭৫৪ সালে গরিব নওয়াজের মৃত্যুর পরে মণিপুর বার্মার রাজ্য দ্বারা দখল করা হয় এবং মণিপুরী রাজা জয় সিং (চিং-থাং খোম্বা) ব্রিটিশদের সাহায্য চেয়েছিলেন। তবে পরবর্তীকালে মণিপুরকে সহায়তা করার জন্য প্রেরিত সামরিক বাহিনীকে স্মরণ করে এবং এর পরে বছরগুলি মণিপুর রাজ্য ও ব্রিটিশদের মধ্যে খুব বেশি যোগাযোগ না করেই কেটে যায়। কাছাড় এবং আসামের সাথে একত্রে প্রথম অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের সূচনায় মণিপুর আক্রমণ করেছিল।
বার্মিজ আগ্রাসনের পরে, ১৮২৪ সালে মণিপুরের রাজা গম্ভীর সিংহ (চিংলেন নংড্রেনখোম্বা) ব্রিটিশদের কাছে সাহায্য চান এবং অনুরোধটি মঞ্জুর হয়। সিপাই এবং আর্টিলারি প্রেরণ করা হয় এবং ব্রিটিশ অফিসাররা মণিপুরী সেনাদের যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়। বর্মীদের বিতাড়ন করার পরে,কঙ্গা উপত্যকা থেকে নীঙ্গঠি নদীর নীচ পর্যন্ত রাজ্যে যুক্ত হয়। ১৮২৪ সালে মণিপুর একটি ব্রিটিশ রাজ্যে পরিণত হয়েছিল এবং ১৮২৬ সালে বার্মার সাথে শান্তি সমাপ্ত হয়। ১৮৩৪ সালে রাজা গম্ভীর সিংহের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মণিপুর তুলনামূলকভাবে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ছিল। তিনি মারা গেলে তাঁর পুত্রের বয়স মাত্র এক বছরের এবং তাঁর চাচা নারা সিংহকে রিজেন্ট হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। একই বছর ব্রিটিশরা কাবা উপত্যকাটি বার্মার রাজ্য থেকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মণিপুরের রাজাকে বার্ষিক ভাতা হিসাবে ৬৩৭০ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদান করা হয় এবং ব্রিটিশ এবং মণিপুরের শাসকদের মধ্যে যোগাযোগের সুবিধার্থে ১৮৩৫ সালে রাজ্যের একমাত্র শহর ইম্ফলে একটি ব্রিটিশ আবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়।
নারা সিং, তাঁর জীবনের এক ব্যর্থ চেষ্টা করার পরে, ১৮৫০ সালে তাঁর মৃত্যুর আগে ক্ষমতা গ্রহণ করেন এবং সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। তাঁর ভাই দেবেন্দ্র সিংহকে ব্রিটিশরা রাজার উপাধি দিয়েছিল, কিন্তু তিনি অপ্রিয় ছিলেন। মাত্র তিন মাস পরে চন্দ্রকীর্তি সিং মণিপুর আক্রমণ করেন এবং সিংহাসনে আরোহোন করেন, এবং দেবেন্দ্র সিং কাছাড়ে পালিয়ে গেলেন। রাজপরিবারের অসংখ্য সদস্য চন্দ্রকীর্তি সিংকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু বিদ্রোহের কোনওটাই সফল হয়নি। ১৮৭৯ সালে, যখন একটি আঙ্গামি নাগা দলের দ্বারা ব্রিটিশ জেলা প্রশাসক জি এইচ দামান্ট নিহত হন, মণিপুরের রাজা প্রতিবেশী কোহিমাতে সৈন্য প্রেরণ করে ব্রিটিশদের সহায়তা করে। এই সেবার ফলে, চন্দ্রকীর্তি সিংহকে ভারতের স্টার অফ অর্ডার দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়েছিল। ১৮৮৫ সালে ব্রিটিশরা বার্মায় শাসক রাজবংশ নিষ্পত্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে কাবা ভ্যালিটি মণিপুর রাজ্যে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়, শেষ বর্মী রাজা ভারতে রাজপরিবারকে অবজ্ঞা ও নির্লজ্জভাবে নির্বাসিত করতে বাধ্য করেছিল। এই ঘটনাটি একই বছর তৃতীয় অ্যাংলো-বার্মিজ যুদ্ধের দ্বারা অনুসরণ করা হয়েছিল, যখন ব্রিটিশরা সমস্ত বার্মাকে দখল করে।
১৮৮৬ সালে মহারাজা চন্দ্রক্রীর মৃত্যুর পরে তাঁর পুত্র সুরচন্দ্র সিং তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। পূর্ববর্তী সময়ে, সিংহাসনের বেশ কয়েকজন দাবিদার নতুন রাজাকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেছিলেন। প্রথম তিনটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল, কিন্তু ১৮৯০ সালে, রাজার দুই ভাই টিকেন্দ্রজিৎ এবং কুলচন্দ্র সিংহের প্রাসাদে আক্রমণ করার পরে সুরচন্দ্র সিংহ তার পদত্যাগ করার ইচ্ছা ঘোষণা করেন এবং মণিপুর ছেডে কাছারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলেন। রাজার ছোট ভাই কুলচন্দ্র সিং তারপরে সিংহাসনে বসেন এবং মণিপুরী সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার টিকেন্দ্রজিৎ সিং পর্দার পিছনে আসল ক্ষমতা রাখেন। এদিকে সুরচন্দ্র সিংহ একবার মনিপুর থেকে নিরাপদে দূরে সিংহাসন পুনরুদ্ধারে ব্রিটিশদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছিলেন।
ব্রিটিশরা যুবরাজ কুলচন্দ্র সিংকে রাজা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার এবং সেনাপতি টিকেন্দ্রজিৎ সিংকে অশান্তি ও বংশের অশান্তির জন্য দায়ী প্রধান ব্যক্তি হিসাবে শাস্তি দেওয়ার জন্য মণিপুরে ৪০০ জন লোকের একটি সামরিক অভিযান প্রেরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই ক্রিয়া এবং এর পরে সংঘটিত সহিংস ঘটনাগুলি ব্রিটিশ ইতিহাসে 'মণিপুর অভিযান, ১৮৯১' নামে পরিচিত, মণিপুরে এগুলি '১৮৯১সালের অ্যাংলো-মণিপুর যুদ্ধ' নামে পরিচিত।
ব্রিটিশরা টিকেন্দ্রজিৎকে সামরিক কমান্ডার (সেনাপতি) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার এবং ১৮৯১সালের ২৪ শে মার্চ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করায় প্রচণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ইম্ফালে ব্রিটিশ রেসিডেন্সিতে হামলা করা হয় এবং আসামের প্রধান কমিশনার জে ডাব্লিউ কুইন্টন, কর্নেল স্কেন এবং আরও তিন ব্রিটিশ অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। অশান্তির মাঝে এথেল সেন্ট ক্লেয়ার গ্রিমউড, নিহত ব্রিটিশ বাসিন্দা ফ্র্যাঙ্ক সেন্ট ক্লেয়ার গ্রিমন্ডের বিধবা স্ত্রী মণিপুরের সিপাহীদের থেকে কাছার পালিয়ে যান। খুব বেশি দেরি না করে, ২৭ শে এপ্রিল, ১৮৯১সালে মণিপুরের বিরুদ্ধে ৫,০০০ সৈন্যের শক্তিশালী শাস্তিমূলকবাহিণীর অভিযান প্রেরণ করা হয়। ব্রিটিশ বার্মা, কাছাড় এবং নাগা পাহাড় থেকে তিনটি ব্রিটিশ কলাম বা দিক থেকে মণিপুরে প্রবেশ করে, যা মনিপুরী সেনাবাহিনীর ৩,০০০ সৈন্যের সাথে বহু সংঘর্ষের পরে এই রাজ্য প্রশান্ত করতে সক্ষম হয়েছিল। ব্রিটিশদের আক্রমণে সেনাপতি টিকেন্দ্রজিৎ এবং তরুণ রাজা কুলচন্দ্র পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায়। সেনাপতি এবং সেই মণিপুরীরা যারা ব্রিটিশ অফিসারদের হত্যার সাথে জড়িত ছিল তাদের বিচার ও ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল, এবং বিদ্রোহকারী পদচ্যুত রাজা কুলচন্দ্র ও অন্যান্য নেতাদের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের সেলুলার কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এই সময়ে ১৮৯১সালের ২২ সেপ্টেম্বর অবধি মণিপুরকে ব্রিটিশ ভারতে সংক্ষিপ্তভাবে যুক্ত করা হয়। ১৮৯১সালের ২২ সেপ্টেম্বর মেইডিংগু চুরচাঁদ ( চুরচন্দ্র ) নামে এক পাঁচ বছরের বালককে সিংহাসনে বসানো হয়, রাজ্যটির উপরে মণিপুরীর মুকুটে নামমাত্র ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। রাজবংশের অস্থিরতা এবং ব্রিটিশদের হস্তক্ষেপের সময় এই রাজ্যের নাগা এবং কুকি পাহাড়ি উপজাতিরা অনাচারের মধ্যে পড়েছিল, পাহাড়ী গ্রামে হত্যা ও অগ্নিসংযোগের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে, যা ১৮৯৪ সাল পর্যন্ত ছিল।
শিশু শাসক চুরচাঁদ মণিপুর রাজপরিবারের একটি পাশের শাখায় অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যাতে সিংহাসনের সমস্ত প্রধান প্রার্থী বাইপাস হয়ে যায়। তিনি যখন নাবালক ছিলেন তখন ব্রিটিশ পলিটিকাল এজেন্ট কর্তৃক রাষ্ট্রীয় বিষয় পরিচালিত হত, যা সংস্কার প্রবর্তন ও বাস্তবায়নের সুবিধার্থে ছিল। মণিপুরের প্রথম পাকা রাস্তাটি ১৯০০ সালে উদ্বোধন করা হয়েছিল তবে তারপরে রাজ্যে পৌঁছানোর মতো কোনও সঠিক রাস্তা ছিল না এবং যোগাযোগের এই উন্নতিটি ১৯০১ সালে ভাইসরয় লর্ড কার্জনের দর্শনকে সহজ করে দেয়। ১৯০৭ সালে রাজা চুরচাঁদকে আজমিরের পড়াশোনা শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজা ঘোষণা করা হয়। ১৯১৮ সালে তাঁকে ' মহারাজা ' উপাধিটি ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল এবং তাঁর রাজত্বকালে মণিপুর আপেক্ষিক শান্তি ও সমৃদ্ধি উপভোগ ছিল। 1934 সালে রাজা চুরচাঁদকে ব্রিটিশরা নাইট করে স্যার চুরচন্দ্র সিং হয়েছিলেন।
১৯৪৪ সালের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে মণিপুরের কিছু অংশ এবং আসাম প্রদেশের নাগা পাহাড় জেলা ইম্পেরিয়াল জাপানী সেনাবাহিনীর দখলে ছিল। রাজধানী ইম্ফালটি ১০ মে ১৯৪২-দখল হয়েছিল।
মণিপুর রাজ্যের শেষ শাসক ছিলেন মহারাজা বোধচন্দ্র সিংহ । তিনি ১৯৪১ এবং ১৯৪৯ এর মধ্যে শাসন করেছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটিশ শাসন বিলুপ্তের পরে মণিপুর সংক্ষিপ্তভাবে "স্বাধীন" হয়ে ওঠে। মহারাজা ১১ আগস্ট ভারতের যোগদানে সম্মত হোন, যেখানে তিনি কেন্দ্রীয় সরকার কেন্দ্রীয় বিষয় সমর্পিত করেন যদিও রাজ্যের অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্বের অর্জন করেন। একটি 'মণিপুর রাজ্য সংবিধান আইন, ১৯৪৭ প্রণীত হয়েছিল, যা রাজ্যকে তার নিজস্ব সংবিধান দিয়েছিল, যদিও রাজ্যের অপেক্ষাকৃত বিচ্ছিন্নতার কারণে ভারতের অন্যান্য অংশে এটি পরিচিত ছিল না। কয়েকটি মণিপুরি ভারতের সাথে একীকরণের পক্ষে এবং মণিপুর ভারত কংগ্রেস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংবিধানকে ভারত সরকার স্বীকৃতি দেয়নি।
১৯৪৯ সালের ২১ সেপ্টেম্বর, মহারাজা ভারতীয় ইউনিয়নের সাথে একীকরণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন যা একই বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়। চুক্তির ফলস্বরূপ, ভারত সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন প্রধান কমিশনার দ্বারা পরিচালিত মণিপুর রাজ্যটি পার্ট সি রাজ্য হিসাবে (ঊপনিবেশিক শাসনের অধীনে প্রধান কমিশনার প্রদেশের অনুরূপ) ভারতীয় ইউনিয়নে একীভূত হয়েছিল। মণিপুরের প্রতিনিধি সমাবেশ বিলুপ্ত করা হয়েছিল।
কাবা ভ্যালি, একটি বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চল, ১৯৫৩ সালে ভারত বার্মায় তুলে দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় শাসন থেকে অসন্তুষ্ট, রিশং কেইশিং ১৯৫৪ সালে মণিপুরে প্রতিনিধি সরকারের পক্ষে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য ঘোষণা করেছিলেন যে মণিপুর ও ত্রিপুরার মতো পার্ট সি রাজ্যে প্রতিনিধি পরিষদ তৈরির সময় এখনও সঠিক হয়নি, দাবি করে যে তারা ভারতের কৌশলগত সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত, জনগণ রাজনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ ছিল এবং এই রাজ্যগুলিতে প্রশাসন এখনও দুর্বল ছিল। অবশেষে, ১৯৭২ সালে, চৌদ্দ বছর সরাসরি ভারতীয় শাসনের পরে, মণিপুর ভারতের অভ্যন্তরে একটি পৃথক রাজ্যে পরিণত হয়।
মণিপুর রাজ্যের শাসকরা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের দ্বারা ১১- তোপ সেলামির অধিকারী ছিল। বর্তমান রাজবংশ ১৭১৪ সালে শুরু হয়েছিল।
এই তালিকায় কিংবদন্তি রাজা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বার্মিজ আগ্রাসনের সময় দু'জন সামন্ত রাজা ছিলেন।
রাজনৈতিক এজেন্টরা আসামের চিফ কমিশনারের অধীনস্থ হন (১৯০৫-১৯১২ চলাকালীন পূর্ববাংলা ও আসামের লেফটেন্যান্ট গভর্নর)
দেওয়ানরা আসামের রাজ্যপালকে প্রতিনিধিত্ব করছিল।
মণিপুর রাজ্যে দুটি পতাকা ছিল, একটি সাদা এবং একটি লাল। সবকটি কেন্দ্রের পখংবা ড্রাগন বৈশিষ্ট্যযুক্ত, যদিও পরবর্তী পতাকার মতো উল্লেখযোগ্যভাবে নয়।
|
948512
|
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=948512
|
সোনম শেরিং লেপচা
|
সোনম শেরিং লেপচা
সোনম শেরিং লেপচা (৩ জানুয়ারি ১৯২৮ – ৩০ জুলাই ২০২০) ভারতীয় লোক সংগীত শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার। তিনি একাধারে যেমন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী ছিলেন তেমনই বিশ্ববন্দিত লেপচা সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও সংরক্ষক ছিলেন।
রেন সোনম শেরিং লেপচার জন্ম ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দের ৩রা জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পঙের বংবস্তিতে। পিতা নিমগে তামসাং। জীবনের বেশিরভাগ তিনি সময়ই কাটিয়েছেন সিকিমে। অতি অল্প বয়সেই তিনি সংগীত ও নৃত্যের চর্চা শুরু করেন। তবে প্রথম দিকে সৈনিকের কর্মজীবন শুরু করেন।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ছিলেন রেন সোনম শেরিং লেপচা। লেপচা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনিই প্রথম ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ই অক্টোবর আকাশবাণী কলকাতার সম্প্রচারে কণ্ঠদান করেন। একাধিক বাদ্যযন্ত্র বাদনে দক্ষ ছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন সুরকার ও গীতকার। এ ছাড়া দার্জিলিং ও সিকিমে লেপচা সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক প্রচারও তিনি করে গিয়েছেন আজীবন। লেপচা জনজাতির মহান সংস্কৃতির বহু হারিয়ে যাওয়া উপাদান তিনি পুনরুদ্ধার করে জনপ্রিয় করে তুলেছেন বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের কাছে। চারশোর বেশি লোকগীতি, ১০২টি লোকনৃত্য এবং দশটি নৃত্যনাট্যের রচয়িতা তিনি। এ ছাড়াও কালিম্পং সংগ্রহশালার সংরক্ষক ছিলেন তিনি। সেই সংগ্রহশালায় লেপচা জনজাতির অমূল্য সম্পদ যেমন পুঁথি পোশাক, শিকারের হাতিয়ার, বাদ্যযন্ত্র, তৈজসপত্র, ঐতিহ্যবাহী কুটিরের মডেল ইত্যাদি নিরন্তর সংগ্রহ ও সেগুলির সংরক্ষণ ছিল চিরকালের অভ্যাস। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে তার লোক সংগীত সংগ্রহ নিয়ে একটি গ্রন্থ- "ভম জাত লিঙ ছো" (Vom Jat Ling Chhyo) প্রকাশিত হয়। সোনমের বৃহত্তর পারিবারিক চৌহদ্দিও লেপচা সংস্কৃতির উজ্জীবনে সক্রিয়। সোনমের সম্পর্কে ভাই লিয়াঙসং তামসাং লেপচা ভাষায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলিরও অনুবাদক। তিনি নিয়মিত লেপচা সংস্কৃতির মুখপত্র প্রকাশ করেন। সোনমের জ্যেষ্ঠপুত্র এন টি লেপচাও সক্রিয় সংস্কৃতি-সংগঠক।
লেপচা সম্প্রদায়ের প্রাচীন ও মহান লোক সংস্কৃতিকে আরো উজ্জীবিত করে আজীবন প্রচারের ও প্রসারের ফলস্বরূপ বহু সম্মান ও পুরস্কার লাভ করেছেন রেন সোনম শেরিং লেপচা। ১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের "সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার", ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতে সরকারের বেসামরিক পুরস্কার "পদ্মশ্রী" লাভ করেন তিনি। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকীতে সংগীত নাটক আকাদেমির টেগোর রত্ন পুরস্কার, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের "বঙ্গবিভূষণ পুরস্কারে" ও ভূষিত হন। তিনি কলকাতার লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উৎসবে সংবর্ধিত হয়েছেন।
মহান লেপচা সংস্কৃতির ধারক ও বাহক সোনম শেরিং লেপচা ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ৩০ শে জুলাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ শোক ব্যক্ত করেন।
|
Subsets and Splits
No community queries yet
The top public SQL queries from the community will appear here once available.