id
stringlengths
3
7
url
stringlengths
39
43
title
stringlengths
1
93
content
stringlengths
3
166k
1050820
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050820
আলাকা ইমারেত মসজিদ
আলাকা ইমারেত মসজিদ আলাকা ইমরেত মসজিদ ( ) বা ইশাক পাশা মসজিদ ( ), আক্ষরিক অর্থে "রঙিন মসজিদ", গ্রিসের থেসালোনিকিতে অবস্থিত, ১৫শ শতাব্দীর একটি অটোম্যান স্থাপত্যশৈলীর মসজিদ। মসজিদটি অটোম্যান সম্রাজ্যের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইশাক পাশার নির্দেশে ১৪৮৪ অথবা ১৪৮৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। মসজিদটি সালাত আদায়ের স্থান ও একটি ইমারেত (তুরস্কের সরকারি দাতব্য লঙ্গরখানা) সহ নির্মিত হয়েছিল। বর্তমানে মসজিদ এবং ইমারেতটি আর ব্যবহার হচ্ছে না। মসজিদটি ইংরেজি অক্ষর 'T'-এর উল্টা সমতল পরিকল্পনায় নির্মিত যা প্রাথমিক অটোম্যান স্থাপত্যরীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য। মূল নামাজ আদায়ের ঘরটি দুটি বড় গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত, এছাড়া পাঁচটি ছোট গম্বুজ দ্বারা আবৃত একটি পোর্টিকো রয়েছে। নির্মাণের সময় মসজিদে একটি মিনার ছিল। ১৯১২ সালের পরে থেসালোনিকি গ্রীক সেনাবাহিনী কর্তৃক মুক্ত করে আধুনিক গ্রিসের সাথে যুক্ত করে। এসময় গ্রিক সেনাবাহিনী মসজিদের মিনার ধ্বংস করে। মিনারটির এখনও পুনর্নির্মাণ চলছে।
1050841
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050841
শূল
শূল শুল ঈশ্বর নিবাস পরিচালিত ১৯৯৯ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার অ্যাকশন অপরাধ চলচ্চিত্র। রাম গোপাল বর্মা রচিত ও প্রযোজিত চলচ্চিত্রটি বিহারের রাজনীতিবিদ-অপরাধী জোট ও রাজনীতির অপরাধীকরণ এবং একজন সৎ পুলিশ অফিসারের জীবনে প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। এতে মনোজ বাজপেয়ী সৎ পুলিশ ইনস্পেক্টর সমর প্রতাপ সিং এবং সায়াজি শিন্দে রাজনীতিবিদ মোঃ শাহাবুদ্দিনের উপর ভিত্তি করে রচিত চিত্তবিকারগ্রস্থ অপরাধী-রাজনীতিবিদ বাচ্চু যাদব চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শিল্পা শেট্টির অংশগ্রহণকৃত "ম্যাঁয় আয়ি হুঁ ইউপি বিহান লুঠনে" গানটি চার্টবাস্টার হয়ে ওঠে। এই চলচ্চিত্রটির স্বত্ব শাহরুখ খানের রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্টের মালিকানাধীন। চলচ্চিত্রটির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে বিহারের মতিহারিতে। হায়দরাবাদের রাজ্য আইনসভায় ছবিটির চরম অবস্থার চিত্রায়ন হয়েছিল। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে, এবং ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব এবং টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সবে প্রদর্শিত হয়। "ইন্ডিয়া টুডে" চলচ্চিত্রটিকে দশকের "সেরা পুলিশি চলচ্চিত্র" হিসেবে উল্লেখ করেছে। "শূল" চলচ্চিত্রটির সুরায়োজন করেছেন সন্দীপ চৌটা এবং গানের সুর করেছেন শঙ্কর-এহসান-লায়। গীত রচনা করেছেন সমীর। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কবিতা কৃষ্ণমূর্তি, শঙ্কর মহাদেবন, বেবি অনঘ, সপ্না আবস্তি, চেতন শশীতাল ও সুখবিন্দর সিং।
1050844
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050844
শেখ জাররাহ
শেখ জাররাহ শেখ জারাহ ( ,) পূর্ব জেরুসালেমের একটি প্রধানত ফিলিস্তিনি পাড়া, স্কোপাস মাউন্টের রাস্তা ধরে পুরাতন শহর থেকে ২ কিলোমিটার উত্তরে। কাছাকাছি অবস্থিত সালাদিনের চিকিৎসক শেখ জাররাহের ত্রয়োদশ শতাব্দীর সমাধি থেকে এই নামটি পেয়েছে। আধুনিক পাড়াটি ১৮৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ধীরে ধীরে জেরুসালেমের মুসলিম অভিজাত বিশেষত আল-হুসেনি পরিবারের আবাসিক কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। ১৯৪৮ এর আরব-ইসরায়লি যুদ্ধের পরে এটি জর্ডান-পূর্ব জেরুসালেম এবং ইসরায়েলি -পশ্চিম জেরুসালেমের মধ্যবর্তী সীমান্ত রেখা বরাবর অবধি ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়লের দখল না হওয়া পর্যন্ত। বলা হয় যে এর বর্তমান ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার বেশিরভাগই ১৯৪৮ সালে জেরুসালেমের তালবিয়া পাড়া থেকে বহিষ্কার শরণার্থীদের অংশ। বর্তমানে এই অঞ্চলটি ফিলিস্তিনি এবং ইজরায়েলিদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে; ইসরায়েলী দখলদারীরা ১৯৬৭ সাল থেকে এই এলাকায় ফিলিস্তিনি জনসংখ্যাকে কমিয়ে নিজেদের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য কাজ করছে। পাঁচ দশক ধরে শেখ জাররাহ ও তার সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি বসতি গড়ে উঠেছে। শেখ জাররাহের আরব এলাকা টি মূলত হুসাম আল-দিন আল-জাররাহির নামে একটি গ্রাম ছিল, যিনি দ্বাদশ শতাব্দীতে বসবাস করতেন এবং সালাদিনের একজন আমির এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। শেখ হুসাম আরবি ভাষায় জারাহ (جراح) উপাধি পেয়েছেন, যার অর্থ "নিরাময়কারী" বা "শল্য চিকিৎসক"। শেখ জাররাহ একটি "জাওয়াইয়া" (আক্ষরিক অর্থে "কোণ", অপর অর্থ একটি ছোট মসজিদ বা স্কুল), যা "জাওয়াইয়া জাররাহিয়া" নামেও পরিচিত, হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। শেখ জাররাহকে স্কুলের মাঠে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। ১২০১ সালে একটি সমাধি নির্মিত হয়, যা উপাসক ও দর্শনার্থীদের গন্তব্য হয়ে ওঠে। সপ্তদশ শতাব্দীতে সমাধির বিপরীতে একটি ময়দাকল, "কাসর এল-আমাউই" অন্তর্ভুক্ত একটি দোতলা পাথরের ভবন নির্মিত হয়েছিল। শেখ জাররাহ স্কোপাস পর্বতের ঢালে শেখ জাররাহ নামের একটি এলাকা স্থাপন করা হয়। প্রাথমিক আবাসিক নির্মাণ কাজ ১৮৬৫ সালে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর, রাবাহ আল-হুসেনি দ্বারা শুরু হয়েছিল, যিনি শেখ জাররাহ সমাধির কাছে এবং দামেস্ক গেটের বাইরে জলপাই বাগানের মধ্যে একটি বড় ম্যানর নির্মাণ করেছিলেন। এই পদক্ষেপটি ওল্ড সিটি থেকে আরও অনেক মুসলিম উল্লেখযোগ্যকে এলাকায় স্থানান্তরিত হতে এবং নতুন বাড়ি তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করেছিল নাশাশিবিসহ, আশেপাশের উত্তর ও পূর্ব অংশে বাড়ি তৈরি করেছিল। শেখ জারাহ ১৮৭০ থেকে ১৮৯০ এর দশকের মধ্যে মুসলিম নিউক্লিয়াস হিসাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেন। শেখ জাররাহ সমাধিতে প্রার্থনা সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে জানা যায়, বিশেষ করে যারা মুরগি এবং ডিম পালন করে তাদের জন্য। এটি জেরুসালেমের প্রথম আরব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হয়ে ওঠে যা জেরুসালেমের পুরনো শহর দেয়ালের বাইরে নির্মিত হয়। পশ্চিম অংশে, বাড়িগুলি ছোট এবং আরও ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। যেহেতু এটি রবাহ আল-হুসেনি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যার বাড়ি শেখ জাররাহের কেন্দ্রবিন্দুতে তৈরি হয়েছিল, তাই পাড়াটি স্থানীয়ভাবে "হুসেনি পাড়া" হিসাবে পরিচিত। এটি আস্তে আস্তে উল্লেখযোগ্য আল-হুসেনি পরিবারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, যার মধ্যে জেরুসালেমের মেয়র সেলিম আল-হুসেনি এবং ইস্তাম্বুলের উসমানীয় রাজধানীর প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ আল-হুসেনি সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ শুক্রি আল-হুসেনি "হুসেনি পাড়ায়" তাদের আবাস গড়ে তুলেছিলেন। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা যারা পাড়াটির আশেপাশে চলে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে হলেনঃ আল আকসা মসজিদের রক্ষক ফয়েদী এফেন্দি শাইখ ইউনূস এবং কুব্বাত আস-সাখরা এবং জেলা প্রশাসনিক কাউন্সিলের সদস্য রশিদ এফেন্দি আল-নাসাশিবি। ১৮৯৫ সালে নাবলুস রোডে ওল্ড সিটির উত্তরে এবং আমেরিকান কলোনিতে শেখ জাররাহের সমাধিসৌধে একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। ১৮৯৮ সালে অ্যাংলিকান সেন্ট জর্জ স্কুলটি শেখ জাররাহে নির্মিত হয়েছিল এবং খুব শীঘ্রই জেরুসালেমের একটি অভিজাত মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
1050847
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050847
ইউটেকটিক ব্যবস্থা
ইউটেকটিক ব্যবস্থা ইউটেকটিক শব্দটি( ) গ্রিক "εύ" (ইউ = ভালভাবে) এবং "τήξις" (tēxis = গলানো) শব্দ দুটি থেকে এসেছে। ইউটেকটিক ব্যবস্থা হল দুইটি পদার্থের সমসত্ত্ব মিশ্রণ যা একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় তরলে বা কঠিন অবস্থায় পরিণত হয় এবং এই তাপমাত্রাটি পদার্থ দুটির নিজেদের গলনাঙ্ক অপেক্ষা কম। এই তাপমাত্রাটি "ইউটেকটিক তাপমাত্রা" হিসাবে পরিচিত এবং তা ঐ দুইটি পদার্থের অন্যান্য যেকোন সংযুতিতে মিশ্রণের গলনাঙ্ক অপেক্ষা কম। একটি ফেজ ডায়াগ্রামে, ইউটেকটিক তাপমাত্রাটি "ইউটেকটিক বিন্দু" হিসাবে দেখানো হয় (ডানদিকের চিত্র দেখুন)। নন-ইউটেকটিক সংযুতিতে মিশ্রিত পদার্থের গলনাঙ্ক ভিন্ন উপাদানের উপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন হবে যেহেতু একটি পদার্থের ল্যাটিস অপর পদার্থের চেয়ে কম তাপমাত্রায় গলে যাবে। অপরদিকে যখন একটি নন-ইউটেকটিক মিশ্রণ ঠান্ডা হতে থাকে, মিশ্রণের প্রত্যেকটি উপাদান তাদের নিজেদের আলাদা আলাদা তাপমাত্রায় ঘনীভূত হয়ে আলাদা ল্যাটিস তৈরি করতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত পুরো পদার্থটি কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়। সমস্ত বাইনারি সংকর ধাতুর ইউটেকটিক বিন্দু থাকেনা যেহেতু উপাদানগুলির যোজনী ইলেকট্রন সর্বদা সকল অনুপাতে মিশ্রিত হয়ে নতুন ক্রিস্টাল ল্যাটিস তৈরি করার ক্ষেত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়না ।উদাহরণস্বরূপ, রূপা-সোনা সংকর ব্যবস্থায় গলনাঙ্ক ( তরলীকরণ রেখা ) এবং হিমাঙ্ক ( ঘনীভবন রেখা ) বিন্দু পারমাণবিক অনুপাত অক্ষের শেষ বিন্দুতে তথা খাঁটি মৌলের বিন্দুতে মিলিত হয় এবং সেই অক্ষের মিশ্রণ অঞ্চলে সামান্য আলাদা হয়ে যায়। ইউটেকটিক শব্দটি ১৮৮৪ সালে ব্রিটিশ পদার্থবিজ্ঞানী এবং রসায়নবিদ ফ্রেডরিক গুথ্রি (1833-1886) দ্বারা সূচিত হয়েছিল। ইউটেকটিক ঘনীভবন নিম্নোক্ত উপায়ে নির্ধারিত করা হয় : এ ধরনের বিক্রিয়ার স্বাধীনতার মাত্রা শূণ্য কারণ এরা তাপীয় সাম্যাবস্থায় থাকে তথা এদের গিবসের মুক্ত শক্তির পরিমাণ শূণ্য। স্পষ্টতই এ দ্বারা বোঝা যায় যে তরল অবস্থা এবং দুইটি ভিন্ন কঠিন দ্রবণ দশা এখানে একই সময়ে রাসায়নিক সাম্যাবস্থায় সহাবস্থান করে। দশার পরিবর্তনের সময়টুকু তে সিস্টেমের তাপমাত্রার কোন পরিবর্তন হয়না তথা এখানে তাপীয় আবদ্ধতা থাকে। সংকর ধাতু সিরিজের কোন উপাদানের কঠিন দশার ক্রিস্টাল আগে রূপান্তরিত হবে তার উপর ভিত্তি করে ফেজ ডায়াগ্রামে তরলীকরণ বক্ররেখার অবস্থান নির্ধারন করা হয়। নিউক্লিয়াই গঠনের উপর ভিত্তি করে কোন ক্রিস্টালের কঠিন দশার বৃদ্ধি হবে এবং এর জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, অসাম্যাবস্থায় শীতলীকরণ করা হলে তা তরল দশাকে পুরোপুরি শীতল করতে পারেনা যার ফলে ঘনীভবন তাপমাত্রার পরিবর্তন আসে। দুইটি দশারই যদি ঘনীভবন তাপমাত্রা একই পরিমাণে পরিবর্তন হয়, তখন দুটি উপাদানেরই তরলীকরণ বক্ররেখাটি ফেজ ডায়াগ্রামে সাম্যাবস্থার চেয়ে নিচে নেমে আসে এবং এদের ছেদবিন্দু, যা মূলত ইউটেকটিক বিন্দুর অবস্থান নির্দেশ করে তার তাপমাত্রাও কমে যায়। এভাবেই অসাম্য শীতলীকরণের মাধ্যমে ইউটেকটিক বিন্দুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটে। ইউটেকটিক বিক্রিয়ার ফলে যে কঠিন দশা তৈরি হয় তার কাঠামো কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল কঠিন দ্রবণ দুটির উৎপত্তি এবং বৃদ্ধির প্রক্রিয়া। সবচেয়ে প্রচলিত কাঠামোটি হল ল্যামেলার কাঠামো। অন্যান্য সম্ভাব্য কাঠামো গুলোর মধ্যে রয়েছে দন্ডাকার, গোলাকার ও সূচালাকার কাঠামো। ইউটেকটিক সিস্টেমের যেসব কম্পোজিশন ইউটেকটিক কম্পোজিশন না, তাদেরকে হাইপোইউটেকটিক অথবা হাইপারিউটেকটিক নামে শ্রেনীবিভক্ত করা হয়। ইউটেকটিক কম্পোজিশনে (E) যে পরিমাণে α ও β প্রজাতি থাকে, হাইপোইউটেকটিকে তার চেয়ে কম পরিমাণে β ও বেশি পরিমাণে α থাকে যেখানে হাইপারইউটেকটিক দ্রবণ দ্বারা এমন কম্পোজিশন বোঝানো হয় যাতে ইউটেকটিক কম্পোজিশন অপেক্ষা বেশি পরিমাণে β ও অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে α থাকে। নন-ইউটেকটিক কম্পোজিশনের তাপমাত্রা কমানো হলে তরল মিশ্রণ থেকে একটি উপাদান অপরটির চেয়ে আগে অধঃক্ষিপ্ত হবে। একটি হাইপারইউটেকটিক দ্রবণে ঘনীভূত হওয়ার পরে β প্রজাতির উপাদানের প্রোইউটেকটয়েড দশা পাওয়া যাবে পক্ষান্তরে হাইপোইউটেকটিক দ্রবণে α প্রজাতির উপাদানের প্রোইউটেকটিক দশা পাওয়া যাবে। ইউটেকটিক সংকরগুলোর মধ্যে দুই বা ততোধিক উপাদান রয়েছে এবং একটি নির্দিষ্ট ইউটেকটিক কম্পোজিশন রয়েছে। যখন একটি নন-ইউটেকটিক সংকর ঘনীভূত হয়, তখন এর উপাদানগুলো ভিন্ন ভিন্ন তাপমাত্রায় ঘনীভূত হয় যার কারণে এদের গলনাঙ্কের একটি পরিসর থাকে। বিপরীতক্রমে, যখন একটি সুমিশ্রিত ইউটেকটিক সংকর তরল হতে থাকে, এটির একটি সুনির্দিষ্ট গলনাঙ্ক থাকে। একটি নির্দিষ্ট সংকর ধাতুর কম্পোজিশনের ঘনীভবনের সময় যেসব ভিন্ন ধরনের দশা রূপান্তর হতে থাকে তা ওই সংকর ধাতুর ফেজ ডায়াগ্রামে ঐ কম্পোজিশনের তরল দশা থেকে কঠিন দশা পর্যন্ত একটি উল্লম্ব রেখা আঁকার মাধ্যমে বোঝা যায়। ইউটেকটিক সংকর ধাতুর কিছু ব্যবহারের মধ্যে রয়েছে: রূপান্তর বিন্দুর উপরের দ্রবণ যখন তরলের পরিবর্তে কঠিন দশায় থাকে, তখন ইউটেকটিক রূপান্তরের সাদৃশ্যপূর্ণ রূপান্তর ঘটতে পারে যা ইউটেকটয়েড রূপান্তর হিসেবে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ, লোহা-কার্বন ব্যবস্থার মধ্যে, অস্টেনাইট দশাটি ইউটেকটয়েড রূপান্তরের মাধ্যমে ফেরাইট এবং সিমেন্টাইট দশা দুইটির উৎপত্তি করতে পারে যা প্রায়ই পার্লাইট এবং বেনাইট এর মত ল্যামেলার কাঠামোর হয়ে থাকে। এই ইউটেকটয়েড বিন্দুটির তাপমাত্রা ৭২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস(১৩৩৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট) এবং এর কম্পোজিশনে প্রায় ০.৮% কার্বন থাকে। পেরিটেকটয়েড রূপান্তর এক ধরনের সমোষ্ণ উভমুখী বিক্রিয়া যেখানে দুইটি কঠিন দশার পদার্থ একে অপরের সাথে বিক্রিয়া করে একটিমাত্র কঠিন দশায় পরিণত হয় বাইনারি, টার্নারি, ... formula_2 -আরি সংকর এর তরল এর ঘনীভবনের মাধ্যমে। বিভিন্ন সংকর ধাতুর কোয়াসিক্রিস্টালাইন দশার ডিকম্পোজিশন এবং সুনির্দিষ্ট কাঠামোর ক্ষেত্রে এই বিক্রিয়াটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘূর্নায়মান কলামার ক্রিস্টাল এর জন্যও অনুরূপ কাঠামোগত রূপান্তরের সম্ভাবনা রয়েছে। পেরিটেকটিক রূপান্তর সমূহ ইউটেকটিক রূপান্তরেরই অনুরূপ। এখানে,একটি নির্দিষ্ট অনুপাতের তরল ও কঠিন দশা পরস্পরের সাথে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় বিক্রিয়া করে একটিমাত্র কঠিন দশায় পরিণত হয়। যেহেতু বিক্রিয়ক দুটির সংযোগস্তরে কঠিন দশা গঠিত হয়, সেহেতু এখানে একটি ব্যাপন বেষ্টনীর উৎপত্তি হতে পারে যা সাধারণত এমন বিক্রিয়ার গতি ইউটেকটিক বা ইউটেকটয়েড বিক্রিয়া অপেক্ষা অনেক কমিয়ে দেয়। এ কারণে, যখন পেরিটেকটিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ঘনীভবন হয় তখন ল্যামেলার গঠন দৃশ্যমান হয়না যেমনটা ইউটেকটিক ঘনীভবনের সময় দেখা যায়। এমন একটি রূপান্তর লোহা-কার্বন ব্যবস্থায় দেখা যায় যেমনটা চিত্রের উপরের বাম পাশে দেখা যাচ্ছে। এটিকে কিছুটা উলটো ইউটেকটিক এর মত দেখায় যা ১৪৯৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস(২৭২৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট) তাপমাত্রা ও ০.১৭% কার্বন সংযুতিতে δ দশা ও তরল দশার বিক্রিয়ার মাধ্যেম অস্টেনাইট দশা তৈরি করে। পেরিট্বকটিক বিক্রিয়ার তাপমাত্রায় যৌগটি গলনের বদলে একটি কঠিন দশা এবং একটি তরল দশায় রূপান্তরিত হয়। কোন দশা কি পরিমাণে উৎপন্ন হয়েছে তা লিভার নীতি দ্বারা নির্ধারণ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, সোনা-অ্যালুমিনিয়াম ফেজ ডায়াগ্রামে দেখা যায় যে কেবলমাত্র দুটি দশা একইসাথে তরলে পরিণত হয়ঃ এবং , যখন বাকি অংশটুকু পেরিটেকটিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে রূপান্তরিত হয়। একটি ইউটেকটিকের প্রতিটি উপাদানের এনথালপি এবং গলনের এনট্রপির মাধ্যমে এর কম্পোজিশন এবং তাপমাত্রা গণনা করা যায়। গিবসের মুক্ত শক্তি এর নিজের অন্তরকের উপর নির্ভর করেঃ সুতরাং, "ধ্রুব চাপে গিবসের মুক্ত শক্তি/তাপমাত্রা (G/T) এর অন্তরককে" নিম্নলিখিত সমীকরণ দ্বারা গণনা করা হয়ঃ রাসায়নিক বিভব formula_5 গণনা করা যায় যদি আমরা ধরে নিই যে রাসায়নিক সক্রিয়তা রাসায়নিক ঘনত্বের সমানঃ সাম্যাবস্থায়, formula_7। সুতরাং এভাবে formula_8 পাওয়া যায়ঃ উপরোক্ব্যত সমীকরণ ব্যবহার করে এবং সমাকলন করে পাওয়া যায়ঃ একটি খাঁটি উপাদানের জন্য সমাকলন ধ্রুবক K নির্ধারিত করা যায় এবং এর গলনাঙ্ক formula_11 ও গলনের এনথালপি formula_12 হলেঃ এখন আমরা একটি সম্পর্ক পাই যা প্রতিটি উপাদানের মোল ভগ্নাংশ কে তাপমাত্রায় ফাংশন হিসাবে প্রকাশ কোঁড়েঃ n সংখ্যক উপাদানের মিশ্রণ সিস্টেম বর্ণিত করা হয়ঃ যা কে সমাধান করা যায়ঃ
1050850
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050850
তাফসির আল মাতুরিদি
তাফসির আল মাতুরিদি তাফসির আল-মাতুরিদি হল - তাওয়িলাত আহলে সুন্নাহ (আরবি: تأويلات أهل السنة (আহলে সুন্নাহ-এর ব্যাখ্যা) বা তাওয়িলাতুল কুরআন (আরবি: تأويلات القرآن) 'কুরআনের ব্যাখ্যা), যা "তাফসির আল-মাতুরিদি (আরবি: تفسير الماتريدي) নামেই বেশি পরিচিত, এটি একটি শাস্ত্রীয় সুন্নি তাফসির (কুরআনের অনুচ্ছেদে), যা হানাফি আলেম আবু মনসুর আল-মাতুরিদি (মৃত্যুঃ ৩৩৩/৯৪৪) রচিত, যিনি আত তাবারির সমসাময়িক ছিলেন।
1050854
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050854
মাজমাউজ জাওয়াইদ
মাজমাউজ জাওয়াইদ মাজমাউজ জাওয়াইদ ওয়া মানবাউল ফাওয়াইদ (আরবি: مجمع الزوائد ومنبع الفوائد ; ইংরেজি: "Majmauz Zawaid wa Manbaul Fawaid" ) সংক্ষেপে মাজমাউজ জাওয়াইদ হল মুসলমানদের একটি প্রসিদ্ধ হাদিস গ্রন্থের নাম, যা দ্বিতীয় পর্যায় ভুক্ত হাদিস সংকলনগুলোর একটি। এটি রচনা করেছিলেন আলি ইবনে আবু বাকার আল হায়সামি (১৩৩৫ বা ১৪০৪ খ্রিঃ) । এটি পূর্ববর্তী প্রাথমিক সংগ্রহগুলির 'অনন্য' হাদিস সংকলন । আল-কাত্তানি মাজমাউজ জাওয়াইদ সম্পর্কে বর্ণনা করন, "হাদীসের সর্বাধিক উপকারী বই থেকে প্রাপ্ত বরং এর তুলনা করার মতো কোন বই নেই এবং এর সমতুল্য রচনা এখনও হয়নি।" লেখক প্রতিটি হাদীসের সত্যতা সম্পর্কে ভাষ্য সরবরাহ করেন এবং কিছু বর্ণনাকারীর মূল্যায়ন করেন।
1050856
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050856
ইমাম নববির চল্লিশ হাদিস
ইমাম নববির চল্লিশ হাদিস নববির চল্লিশ হাদিস (আরবি : الأربعون النووية - "আল আরবাউনান নাওয়াউইয়্যাহ") হল চল্লিশ হাদীস সংবলিত বই সমুহের মধ্যে একটি প্রসিদ্ধ বই, যা ইমাম আন-নববী রচিত চল্লিশটি হাদিসের সংকলন । যার বেশিরভাগ সহীহ মুসলিম ও সহীহ বুখারী থেকে চয়ন কৃত । হাদিসের এই সংগ্রহটি শতাব্দীকাল ধরে বিশেষভাবে মূল্যবান বলে বিবেচিত হয়েছে কারণ এটি ইসলামি আইনশাস্ত্রের অন্যতম নামী ও শ্রদ্ধেয় কর্তৃপক্ষের দ্বারা ইসলামি ধর্মীয় আইন বা শরীয়াহ-এর গোড়াপত্তনে অবদান রয়েছে । এই সংগ্রহটি একত্রিত করার ক্ষেত্রে এটিই ছিল লেখকের স্পষ্ট লক্ষ্য যে,- "প্রতিটি হাদিসই ধর্মের একটি মহান ভিত্তি (কায়িদা ʿআজিমা), ধর্মীয় পন্ডিতদের দ্বারা বর্ণিত 'ইসলামের অর্ধেক' বা ' এর তৃতীয়টি 'বা এর মতো, এবং এটিকে একটি নিয়ম হিসেবে এই চল্লিশটি হাদিসকে বিশুদ্ধ (সহিহ) হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে ।" এই রচনাটি হাদিসের "আরবাআনিয়াত" ধারার সর্বাধিক প্রতিনিধি।
1050862
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050862
১২৬ নং ওয়ার্ড, কলকাতা পৌরসংস্থা
১২৬ নং ওয়ার্ড, কলকাতা পৌরসংস্থা ওয়ার্ড নং ১২৬ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এর কলকাতা পৌরসংস্থার বরো নং ১৬ (আগের ১৪)র একটি প্রশাসনিক বিভাগ। অঞ্চলটি সরশুনা এবং পশ্চিম বড়িশা নিয়ে গঠিত। ১২৬ নং ওয়ার্ডের উত্তরে হো চি মিন সরণি সীমাবদ্ধ; পূর্বদিকে ডায়মন্ড হারবার রোড; দক্ষিণে স্মরণ কালীটোলা রোড, নারায়ণ রায় রোড, কে কে রায় রোড এবং পশ্চিম বরিশা মাউজা; এবং পশ্চিমে পশ্চিম বরিশা এবং সরসুনা মাউজা, বাগপোটা রোড, যাদব ঘোষ রোড এবং সরসুনা মেইন রোড ধরে টানা একটি লাইনের সাথে। ওয়ার্ডটি কলকাতা পুলিশের ঠাকুরপুকুর থানা পরিবেশন করে। বেহালা মহিলা থানা দক্ষিণ পশ্চিম বিভাগের অধীনে সমস্ত পুলিশ জেলাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ সরসুনা, তারাতলা, বেহালা, পর্ণশ্রী, ঠাকুরপুকুর এবং হরিদেবপুর। ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে, কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের ১২৬ নং ওয়ার্ডের মোট জনসংখ্যা ছিল ৩১,৬৩১ জন, যার মধ্যে ১৫,৭৫৬ (৫০%) পুরুষ এবং ১৫,৮৭৫ (৫০%) মহিলা ছিলেন। 6 বছরের নিচে জনসংখ্যা ছিল ১,৯৮৩। ১২৬ নং ওয়ার্ডে মোট সাক্ষরতার সংখ্যা ছিল ২৭,৮০৩ (৬ বছরের বেশি জনসংখ্যার ৯৩.৭৮%)। ওয়ার্ডটি একটি সিটি পৌর কর্পোরেশন কাউন্সিলের নির্বাচনী অঞ্চল এবং বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের একটি অংশ।
1050866
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050866
সুলতান আলম শাহ ইসলামি কলেজ
সুলতান আলম শাহ ইসলামি কলেজ সুলতান আলম শাহ ইসলামি কলেজ (সংক্ষেপে: কিআইএসএএস; পূর্বে: "কোলেজ ইসলাম ক্লাং" নামে পরিচিত) মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের ক্লাং শহরে অবস্থিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুলটিকে "সেকোলাহ বেরপ্রেস্টাসি টিংগি" (সেরা স্কুল) হিসাবে মনোনীত করে। অন্যান্যগুলোর মধ্যে স্কুলটিকে সিলাত এবং নাশিদ দলের জন্য উল্লেখযোগ্য করা হয়েছে। স্কুলটি আরবি ভাষা, জনসমক্ষে কথা বলার দক্ষতা এবং সিলাত ইত্যাদির মতো কার্যক্রম চালু করেছে। ২০১৩ সালে সিজিল পেলাজরণ মালয়েশিয়া (এসপিএম)-তে স্কুলটি ১.২৭ জিপিএস পায়। ১৯৫৫ সালে (১৩৭৪ হিজরি) ইসলামিক কলেজ অফ মালয়ায় ("মালয়" : "কোলেজ ইসলাম মালায়া", কেআইএম) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ক্লাং থেকে আধা মাইল দূরে জালান কোটা রাজা শহরের প্রায় ১৪.৩ একর এলাকা জুড়ে কেআইএম নির্মিত হয়েছিল। কলেজটির ভবনটি প্রথমে একটি প্রাসাদ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে সুলতান হিসামউদ্দিন আলম শাহ আল-হজ এই উদ্দেশ্যে ভবনটি দান করেন যে, এটি এমন পণ্ডিতদের জন্ম দেবে যারা আল্লাহর নির্দেশনা অনুসরণ করবে, সমাজকে ইসলামের চেতনায় আলোকিত করবে এবং সকল অন্যায় ও অজ্ঞতা দূর করবে। ১৯৬৬ সালে (১৩৮৬ হিজরি) কলেজটি পেটালিং জয়া (বর্তমান আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া) এবং বাঙ্গি (বর্তমান মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক শিক্ষা বিভাগ)-তে একটি নতুন ভবনে স্থানান্তরিত হয়। তবুও ক্লাংতে তার পাঠ্যক্রম অব্যাহত রাখে। ১৯৬৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক একটি সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে রূপান্তরিত হয়। যা ক্লাং ইসলামিক কলেজ নামে পরিচিত ("মালয়" : "কোলেজ ইসলাম ক্লং", কেআইকে)। অবশেষে ১৯৭২ সালে এটি দুর্দান্ত সুবিধা সহ একটি সম্পূর্ণ আবাসিক কলেজে পরিণত হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে সুলতান সালাহউদ্দিন আবদুল আজিজ শাহ আল-হাজ দ্বারা কেআইকে সুলতান আলম শাহ ইসলামি কলেজ ("মালয়" : "কোলেজ ইসলাম সুলতান আলম শাহ", কিআইএসএএস) নামকরণ করা হয়। এখনও অবধি প্রাক্তন সুলতানের প্রাসাদটি এখনও আছে। ২০০৭ সালে কিআইএসএএস একটি ক্লাস্টার স্কুল এবং ২০১০ সালে মালয়েশিয়ার জাতীয় সেরা কলেজ (মালয়েশিয়াতে সেকোলাহ বের্প্রেস্টাসি টিংগি নামে পরিচিত) হিসাবে স্বীকৃত হয়। "পার্সাতুয়ান প্রাক্তন ছাত্র কোলেজ ইসলাম, ক্লাং, মালয়েশিয়া (অ্যালকিস)" ইসলামিক কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের সংগঠন। ইসলামিক কলেজ তিনটি হলঃ অ্যালকিসকে ইসলামিক কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন, ক্লাং, মালয়েশিয়া বা পার্সাতুয়ান কোলেজ ইসলামের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন, ক্লাং, মালয়েশিয়া (অ্যালকিস) নামেও পরিচিত।
1050873
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050873
আল-মুহাইমিন
আল-মুহাইমিন মুহাইমিন "(" ) আল্লাহর ৯৯টি নামের অন্যতম একটি নাম, যার অর্থ "পরিপূর্ণ" "রক্ষণাবেক্ষণকারী", "রক্ষক", "অভিভাবক", "প্রতিপালনকারী"।
1050875
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050875
কাসিমিয়ে মাদ্রাসা
কাসিমিয়ে মাদ্রাসা কাসিমিয়ে মাদ্রাসা বা কাসিম পাশার মাদ্রাসা তুরস্কের ইল প্রদেশের মার্দিন শহরে অবস্থিত একটি পুরাতন মাদ্রাসা ()। মাদ্রাসাটি পুরানো মর্দিন শহরের কেন্দ্রের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। মাদ্রাসাটির উচ্চতা প্রায় । আরাতুকিদ রাজবংশের আনাতোলীয় বেয়লিক এসা বে মাদ্রাসাটির প্রথম পৃষ্ঠপোষক। তবে ভবনটি পুরোপুরি নির্মাণের আগে ১৪০৭ সালে তিনি কারাকয়ুনলুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নিহত হন। শহরটি আক্কুয়েনলু তুর্কমেনীদের অধীনে আসার পর পুনরায় ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। আক্কুয়েনলু সুলতান মুইজ-আল-দীনের পুত্র কাসেম ভবনের নির্মাণকাজটি শেষ করে। এটি ১৪৬৯ সালে উদ্বোধন করা হয়। ১৯২৪ সালে তুরস্কের সমস্ত মাদ্রাসাগুলো ধর্মীয় জীবনের উপর একটি সাধারণ আক্রমণ এবং সমাজকে অধর্মীয় করার একটি সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূল ভবনটি আয়তক্ষেত্রাকার। অলঙ্কৃত প্রবেশ পথটি দক্ষিণ দিক অবস্থিত। উঠোনে একটি জলাশয় আছে। জলাশয়ের জল সরু চেরা দিয়ে প্রবাহিত হয় যা মৃত্যু এবং পুল সিরাতের প্রতিনিধিত্ব করে (ইসলামী বিশ্বাসে জাহান্নামের উপর একটি সরু পথ যা স্বর্গের দিকে নিয়ে যায়)। শ্রেণিকক্ষগুলি জলাশয়টিকে ঘিরে অবস্থিত। শ্রেণিকক্ষের দরজার উচ্চতা ইচ্ছাকৃতভাবে কম রাখা হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা প্রবেশের সাথে সাথে তাদের শিক্ষকদের সামনে শ্রদ্ধার সাথে মাথা নত করে। আইওয়ানের উত্তরে ইসমাইল আল-জাযারি নকশাকৃত একটি হাতির ঘড়ি রয়েছে। ইসমাইল আল-জাযারি আর্টুকলু বেইলিকের প্রাথমিক যুগের এক মুসলিম প্রকৌশলী।
1050877
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050877
জিনজিরিলি মসজিদ, সেরেস
জিনজিরিলি মসজিদ, সেরেস জিনজিরিলি মসজিদ ( ,তুর্কি ভাষায় অর্থ "শিকলের মসজিদ"), গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় সেরেস শহরের একটি ঐতিহাসিক মসজিদ । সেরেসের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে অবস্থিত ষোড়শ শতকে নির্মিত মসজিদটির স্থাপত্যরীতিতে মিমার সিনানের স্থাপত্যকৌশলের প্রভূত বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। মসজিদটি শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি একটি মাঝারি আকারের মসজিদ। যেখানে পূর্ব, উত্তর এবং পশ্চিম দিকে দুইতলা বিশিষ্ট পোর্টিকোসহ একটি কেন্দ্রীয়, বর্গাকার নামাজের স্থান রয়েছে; কিবলা দক্ষিণ দিকে অবস্থিত, যখন প্রবেশ পথটি উত্তর দিক থেকে। কেন্দ্রীয় স্থানটি একটি গম্বুজ দ্বারা আচ্ছাদিত, অন্যদিকে পোর্টিকোগুলি শীর্ষস্থানীয় শিবিরের গম্বুজ দ্বারা। মিম্বর ভবনের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত। এটি মার্বেল দ্বারা তৈরি, এবং গ্রিসে আজও টিকে থাকা অন্যতম সেরা মার্বেলের কাজের উদাহরণ। প্রবেশদ্বারে কলামগুলির মধ্যে ফাঁকা স্থানগুলির উপরে ছোট গম্বুজগুলি শীর্ষে একটি কলাম-সমর্থিত বারান্দা বৈশিষ্ট্যযুক্ত। মূল কাঠামোর গাঁথুনীতে ইট দিয়ে ঘেরা বা রুক্ষ পাথরের বৈশিষ্ট্য রয়েছে, বারান্দাটি পুরোপুরি চুনাপাথরের আশলারযুক্ত। মসজিদটির স্থাপত্যরীতি এবং ভুমি পরিকল্পনা ও নকশায় ১৬শ শতাব্দীর শেষের দিকের অটোম্যান স্থাপত্যরীতির সাধারণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যামান। এতে মিমার সিনানের স্থাপত্য কৌশল অনুসরণ করা হয়েছে, যা একই সময় ইস্তাম্বুলের মসজিদ্গুলিতে দেখা যায়।
1050882
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050882
ইসলামিক ইউনিয়ন অব হংকং
ইসলামিক ইউনিয়ন অব হংকং ইসলামিক ইউনিয়ন অব হংকং (), চীনের হং কং এর একটি ইসলামী দাতব্য এবং অলাভজনক সংস্থা। ইউনিয়নের সদর দফতর আম্মার মসজিদ এবং ওসমান রামজু সাদিক ইসলামিক সেন্টারে অবস্থিত। এই সংগঠনটি প্রায় ৮০ বছর আগে দক্ষিণ এশিয়া এবং উপকূলবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলমানরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যারা চীন প্রজাতন্ত্রের সাথে বাণিজ্য করতে ব্রিটিশ হংকংয়ে অবস্থান করতেন। ১৯৮০ সালে, ব্রিটিশ হংকং সরকারের দ্য কোম্পানিজ অধ্যাদেশের অধীনে আইনী সত্তা হিসাবে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে সংস্থাটির গঠনতন্ত্র সংশোধন করা হয়েছিল। সংগঠনটি নিয়মিতভাবে বিভিন্ন ভাষায় যেমন ইংরেজী, ইন্দোনেশিয়, চাইনিজ এবং ফিলিপিনো তে বিভিন্ন ধরনের ক্লাস, যেমন সেলাই, দাওয়াহ, সূচিকর্ম, হস্তশিল্প, কম্পিউটার, ইংরেজী ভাষা, মার্শাল আর্ট, কুরআন, আযান ইত্যাদি নিয়ে থাকে।
1050884
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050884
টেট্রাডেকেন
টেট্রাডেকেন টেট্রাডেকেন হলো একটি জৈব যৌগ। এটি একটি চোদ্দ কার্বন বিশিষ্ট সম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন। টেট্রাডেকেনের রাসায়নিক সংকেত হল CH। টেট্রাডেকেন চোদ্দটি কার্বন পরমাণু নিয়ে যে শৃঙ্খল গঠিত করে, তাতে তিনটি করে হাইড্রোজেন পরমাণু দুই প্রান্তের শেষ দুটি কার্বন পরমাণুর সাথে যুক্ত থাকে। আর দুটি করে হাইড্রোজেন পরমাণু বাকি অন্যান্য বারোটি কার্বন পরমাণুর প্রত্যেকটির সাথে যুক্ত হয়। টেট্রাডেকেন একটি বর্ণহীন তরল। জলের থেকে হালকা। এর ঘনত্ব ০.৭৬২ গ্রাম/সিসি।
1050914
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050914
তারাতলা
তারাতলা তারাতলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, কলকাতার একটি পাড়া। এটি শহরের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। তারাতলা কলকাতার দক্ষিণে অবস্থিত, গার্ডেন রিচে (পশ্চিম এবং উত্তর-পশ্চিম), বেহালা (দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব), মমিনপুর এবং মাঝেরহাট (উত্তর) এবং নিউ আলিপুর (পূর্ব) দ্বারা বেষ্টিত। তারাতলা আলিপুরের সাথে মাঝেরহাট ব্রিজের সাথে যুক্ত। তারাতলায় উচ্চতর পড়াশোনার জন্য অনেকগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন হোটেল ম্যানেজমেন্ট কোলকাতা, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে has তারাতলা থানাটি কলকাতা পুলিশের দক্ষিণ-পশ্চিম বিভাগের অন্তর্গত। কলকাতা-৭০০০৮৮-এর তারতলা রোডে ৬৩ নম্বরে অবস্থিত, এটি পুলিশ জেলাটির সীমানা রয়েছে, যা "উত্তরের" সাথে হিমান্ডার হার্বার রোড থেকে বন্দর কমিশনারের পশ্চিম সীমানা পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলের পুরাতন বাজেট বাজেল রেলপথের দক্ষিণে বদ্ধ হয়; "পূর্ব দিকে" ডায়মন্ড হারবার রোড দিয়ে (রাস্তা বাদে) মাঝেরহাট ব্রিজ থেকে সিপিসি জমির চূড়ান্ত দক্ষিণের সীমা এবং কলকাতা পৌর সীমানার সীমাও রয়েছে। তারপরে বন্দর কমিশনার বন্দরভূমি পার্কটি রাজা সন্তোষ রোডের সংযোগস্থল দিয়ে এবং রাস্তাটি পেরিয়ে, পরে রাজা সন্তোষ রোডের দক্ষিণ পাশ দিয়ে সোজা পশ্চিমে ছুটে চলেছে যেখানে ডায়মন্ড হারবার রোডের সাথে দেখা হয়, মাঝেরহাট ব্রিজের উচ্চ স্তরের যোগাযোগ অংশটি, তারপরে দক্ষিণের দিকে ডায়মন্ড হারবার রোডের পূর্ব পাশ এবং মাঝেরহাট ব্রিজের মাঝেরহাটে রেললাইনের উত্তর সীমানা পর্যন্ত; "দক্ষিণে" ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে সিপিসির চূড়ান্ত দক্ষিণ সীমানা স্তম্ভগুলি কলকাতা পৌর সীমানা বরাবর পশ্চিম-ওয়ার্ডগুলিতে অবতরণ করে, যেখানে এটি বনমালী নস্কর রোডের উত্তর দিক দিয়ে বনমালী নস্কর রোডের সাথে মিলিত হয়ে দক্ষিণে বাজ বাজেড রোডের সংযোগস্থল পর্যন্ত এবং সেখানে বামন বাজ রোডের সংযোগস্থল হয়। সিপিসি জমির পশ্চিম সীমানা; এবং "পশ্চিমে" সিপিসির পশ্চিম সীমানা বরাবর বুজে বাজেড রোড থেকে পুরানো বাজেট বাজেট রেলপথ লাইন ক্রসিং পর্যন্ত। পোস্ট অফিসে (তারাতলা রোড এসও) এর পিন কোড হ'ল ৭০০০৮৮
1050918
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050918
স্ফটিকজনিত ত্রুটি
স্ফটিকজনিত ত্রুটি স্ফটিকজনিত ত্রুটি বলতে মূলত কোনো স্ফটিক জাতীয় পদার্থের ভিতরে বিদ্যমান পরমাণুর নিয়মিত সমাবেশের মাঝে ব্যততয় থাকাকে বোঝায়। এ ত্রুটিগুলো স্ফটিকে থাকা খুবই সাধারণ ব্যাপার, কারণ, কোনো ক্রিস্টালে একক কোষ প্যারামিটার দ্বারা নির্ধারিত দূরত্বে পরমাণু অথবা অণুগুলোর অবস্থান কখনোই পুরোপুরি পুনরাবৃত্তিমূলক হয় না, কিছুটা ত্রুটি থেকেই যায়। বিন্দু ত্রুটিগুলো শুধুমাত্র কোনো একক ল্যাটিস বিন্দুতে বা এর আশেপাশে হয়ে থাকে এবং এর বাইরে খুব একটা প্রসারিত হয় না। কোনো একটা বিন্দু ত্রুটি কত ছোট হতে পারে সে সীমা আসলে বাইরে থেকে আলাদাভাবে নির্ধারণের উপায় নেই। যাই হোক, এই ত্রুটিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একটি বা খুব বেশি হলে অল্প কিছু পরমাণুর সমন্বয়ে গঠিত হয়। ত্রুটি তখনই হবে যখন পরমাণুগুলো অতিরিক্ত থাকে কিংবা কখনো কখনো নিখোঁজ থাকে।  কোনো নিয়মিত গঠনের স্ফটিকে বড় ত্রুটি থাকলে, সে ত্রুটিগুলোকে মূলত ডিসলোকেশন বা স্থানচ্যুতি লুপ বলা হয়। ইতিহাসগত কারণে অনেক সময় আয়নিক ক্রিস্টালের অন্তর্গত বেশ কিছু বিন্দু ত্রুটিকে সেন্টার বলা হয়। উদাহরণস্বরূপঃ অনেকগুলো আয়নিক কঠিন পদার্থের মধ্যে অবস্থিত বিন্দু ত্রুটিগুলোকে "সেন্টার" বলা হয়। উদাহরণস্বরূপঃ আয়নিক কঠিন পদার্থের মাঝে ভ্যাকেন্সি বা শূণ্যতা থাকলে, তাকে প্রজ্বলিত সেন্টার বা রঙ্গিন সেন্টার বা এফ-কেন্দ্র বলা হয়। এই ডিসলোকেশনগুলো  ক্রিস্টালের ভেতর দিয়ে আয়ন ট্রান্সফার হতে, তথা ইলেকট্রোক্যামিকাল বা তড়িৎ-রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটতে সাহায্য করে। ক্রোগার-ভিংক নোটেশন ব্যবহার করে সহজেই এদের ব্যখ্যা দেয়া যায়। রেখা ত্রুটিকে গজ তত্ত্ব দ্বারা বর্ণনা করা যেতে পারে। স্থানচ্যুতি হল রৈখিক ত্রুটি, যার চারপাশে স্ফটিক কেলাসের পরমাণুগুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দুই প্রকারের স্থানচ্যুতি রয়েছে, "প্রান্তের" স্থানচ্যুতি এবং বক্র স্থানচ্যুতি। উভয় প্রকারের স্থানচ্যুতি মিলে "মিশ্রিত" স্থানচ্যুতিও প্রায়-ই চোখে পড়ে। সহজভাবে বলতে গেলে, প্রান্ত স্থানচ্যুতির ক্ষেত্রে, কেলাসে একটি অতিরিক্ত অর্ধেক তল তৈরি হয়, অন্যদিকে বক্র স্থানচ্যুতিতে একটি বাঁকানো বা মোচড়ানো তল তৈরি হয়। স্ফটিকের মাঝে পারমাণবিক তলের সমাপ্তির ফলে প্রান্ত স্থানচ্যুতি হয়। এসব ক্ষেত্রে, সংলগ্ন তলগুলো সোজা হবার পরিবর্তে সমাপ্তি তলের প্রান্তের চারপাশে বাঁকানো থাকে, যাতে স্ফটিক কাঠামোটির উভয় পাশেই সামঞ্জশ্য থাকে। কাগজের স্তুপের সাথে সাদৃশ্যটি উপযুক্ত: যদি কাগজের একটি স্তুপের মধ্যে অর্ধেক টুকরো কাগজ ঢুকানো হয় তবে স্তুপের মধ্যে ত্রুটিটি অর্ধ শীটের প্রান্তে লক্ষ্য করা যাবে। বক্র স্থানচ্যুতি কল্পনা করা আরও কঠিন, তবে মূলত স্ফটিকে এমন একটি কাঠামো রয়েছে যার মধ্যে কেলাসগুলির পরমাণু লিনিয়ার ত্রুটির (স্থানচ্যূত রেখার) চারপাশে একটি বাঁকানো পথ সন্ধান করে। স্থানচ্যুতির উপস্থিতি কেলাসে বিকৃতি তৈরি করে। এই জাতীয় বিকৃতির দিক এবং প্রস্থতা বার্গার ভেক্টর (বি) দ্বারা প্রকাশ করা হয়। একটি প্রান্ত স্থানত্রুটির জন্য, 'বি' স্থানচ্যুতির রেখার জন্য লম্ব হয়, বক্র স্থানচ্যুতির ক্ষেত্রে এটি সমান্তরাল হয়। ধাতব পদার্থগুলিতে, 'বি' নিবিড়ভাবে যুক্ত স্ফটিকের দিকগুলির সাথে একত্রিত হয় এবং এর দৈর্ঘ্য একটি আন্তঃপারমাণবিক ব্যবধানের সমান হয়। আশেপাশের তলগুলির মধ্যে একটি থেকে যদি পরমাণুগুলি তাদের বন্ধন ভাঙে এবং সমাপ্তি প্রান্তে, আবার পরমাণুর সাথে যুক্ত হয় তবে স্থানচ্যুতি চলাচল করতে পারে। স্থানচ্যুতির উপস্থিতি এবং বাহ্যিক শক্তির প্রভাবে সহজেই সরানোর ক্ষমতা ধাতব পদার্থের বৈশিষ্ট্য ক্ষতির দিকে পরিচালিত করে। ট্রান্সমিশন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপ, ফিল্ড আয়ন মাইক্রোস্কোপ এবং অ্যাটম প্রোব ব্যবহার করে স্থানচ্যুতি লক্ষ্য করা যায়। গভীর স্তরের ক্ষণস্থায়ী বর্ণালি ব্যবহার করে অর্ধপরিবাহী, ও প্রধানত সিলিকনগুলিতে বৈদ্যুতিক ক্রিয়াকলাপ অধ্যয়ন করা হয়। স্থানচ্যুতিকে রেখা ত্রুটি বলা হয় যখন একটি লাইনের চারপাশে একটি কোণ "যোগ" বা "বিয়োগ" হয়। মূলত, এর অর্থ হল যদি লাইন ত্রুটির চারপাশে স্ফটিক অবস্থানকে শনাক্ত করা হয় তবে একটি ঘূর্ণন পাওয়া যাবে। সাধারণত, তারা কেবল তরল স্ফটিকে প্রভাব রাখে, তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে বোঝা যায় যে কঠিন পদার্থগুলিতেও তাদের ভূমিকা থাকতে পারে, যেমন: ফাটলগুলোকে স্ব-নিরাময়ের দিকে পরিচালিত করে। ভৌত কেলাস সংক্রান্ত ত্রুটিগুলির জন্য একটি সফল গাণিতিক শ্রেণিবিন্যাস পদ্ধতি রয়েছে, যা কেবল স্ফটিকগুলিতে বিচ্ছিন্নতা এবং অন্যান্য ত্রুটির তত্ত্বের সাথেই কাজ করে না, যেমন, তরল স্ফটিকগুলিতে বিচ্ছিন্নতা বরঙ্ টপোলজিকাল হোমোটোপি তত্ত্ব হিসেবেও কাজ করে। ঘনত্বের ক্রিয়ামূলক তত্ত্ব, নিয়মিত আণবিক গতিবিদ্যা এবং গতিময় মন্টি কার্লো সিমুলেশনগুলি কম্পিউটারের সিমুলেশন-এর সাহায্যে কঠিন পদার্থগুলোতে ত্রুটির বৈশিষ্ট্যগ অধ্যয়ন করতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। লুবাচেভস্কি ব্যবহার করে বিভিন্ন আকারের এবং / অথবা ধারনযোগ্য মাপের ধারকের শক্ত গোলকের জ্যামিং অনুকরণ করা যায়, স্টিলিঞ্জার অ্যালগরিদম ব্যবহার করে। এক্ষেত্রে বেশ কিছু ধরনের স্ফটিকের ত্রুটি প্রদর্শন কার্যকর হতে পারে।
1050932
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050932
মিশরীয় কোবরা
মিশরীয় কোবরা মিশরীয় কোবরা (বৈজ্ঞানিক নাম: "Naja haje") হলো এলাপিডে পরিবারের এক প্রজাতির বিষাক্ত সাপ। "যা উপগণ ইউরিয়াসের" মধ্যে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। এটির দৈর্ঘ্য গড়ে সবচেয়ে দীর্ঘতম রেকর্ড হওয়া নমুনাটি হল লম্বা। "নাজা হজে" ১৭৫৮ সালে সুইডিশ প্রাণিবিজ্ঞানী কার্ল লিনিয়াস প্রথম বর্ণনা করেছিলেন। জেনেরিক নাম "নাজা" সংস্কৃত শব্দের নাগা ( ) থেকে এসেছে যার অর্থ "কোবরা"। নির্দিষ্ট শব্দ "হজে" আরবি শব্দ হাইয়া (حية) থেকে এসেছে যার আক্ষরিক অর্থ "সাপ"। স্নাউটেড কেউটে "(Naja annulifera)" এবং "অ্যানচিয়েটাস" কোবরাকে "(Naja anchietae)" পূর্বে এই প্রজাতির উপপ্রজাতি হিসেবে গণ্য করা হয়েছে, কিন্তু এখন তা স্বতন্ত্র প্রজাতি হিসেবে দেখানো হয় । আরবে প্রাপ্ত এই সাপকে ("নাজা হজে আরবিকা)" এবং মরক্কোর কালো সাপকেও কখনও কখনও "নাজা হজে লেজিওনিস" নামে ডাকা হয়। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে আরব কেউটে একটি পৃথক প্রজাতি। কিন্তু উপ-প্রজাতি লিজিওনিসকেও এন হজে হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একই সমীক্ষায় পশ্চিম আফ্রিকার সাভানায় প্রাপ্ত প্রজাতিকে একটি পৃথক প্রজাতি হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল এবং এটিকে "নাজা সেনেগ্যালেনসিস" হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। নীচের ক্লডোগ্রামটি ভান ওয়ালাচ এট আল (২০০৯) "এর পরে নাজা" "প্রজাতির মধ্যে শ্রেণীভাগ" এবং সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরেছে :: উপ-প্রজাতি, ভৌগোলিক স্থানীয় এবং জনসংখ্যার উপর নির্ভরশীল। এই প্রজাতির সর্বাধিক চিহ্নিতযোগ্য বৈশিষ্ট্য হ'ল এর মাথা এবং ফণা। রঙটি অত্যন্ত পরিবর্তনশীল, তবে বেশিরভাগ নমুনাগুলি বাদামির কিছু ছায়া, প্রায়শই হালকা বা গাঢ় ছোপযুক্ত এবং প্রায়শই চোখের নীচে একটি "টিয়ার-ড্রপ" চিহ্ন থাকে। কিছু বেশি তামা-লাল বা ধূসর-বাদামী বর্ণের। উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকা ( মরক্কো, পশ্চিম সাহারা) থেকে প্রাপ্ত নমুনাগুলি প্রায় সম্পূর্ণ কালো। ভেন্ট্রাল পাশটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্রিম সাদা, হলুদ বাদামী, ধূসর, নীল ধূসর, গা বাদামী বা কালো রঙের হয়, প্রায়শই কাল দাগ থাকে। মিশরীয় কোবরা উত্তর আফ্রিকার সাহারার উত্তরে, সাহারার দক্ষিণে দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণে, কঙ্গো অববাহিকার দক্ষিণে এবং পূর্বে কেনিয়া এবং তানজানিয়া পর্যন্ত রয়েছে এদের বিস্তৃতি । দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আরব উপদ্বীপ থেকে প্রাপ্ত পুরানো সাহিত্যের রেকর্ডগুলি অন্যান্য প্রজাতিগুলিকে বোঝায় (শ্রেণীবদ্ধ বিভাগ দেখুন)। মিশরীয় কোবরাও সাপের প্রাকৃতিক পরিসরের বাইরে চিড়িয়াখানায় বন্দী অবস্থায় পাওয়া যেতে পারে। গিজা চিড়িয়াখানা এবং সান দিয়েগো চিড়িয়াখানা পাশাপাশি ভার্জিনিয়া অ্যাকোয়ারিয়াম তাদের সরীসৃপের সংগ্রহগুলিতে মিশরীয় কোবরাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। "নাজা হজে" বিভিন্ন ধরনের আবাসস্থল যেমন খাঁজ, শুকনো থেকে আর্দ্র সাভানা, শুষ্ক আধা-মরুভূমি অঞ্চলে কিছুটা জল এবং উদ্ভিদ রয়েছে এমন জায়গায় খুজে পাওয়া যায়। এই প্রজাতি প্রায়শই পানির কাছাকাছি পাওয়া যায়। মিশরীয় কোবরা কৃষি ক্ষেত্র এবং স্ক্রাব উদ্ভিদেও পাওয়া যায়। এটি মানুষের উপস্থিতিতেও মানুষের আবাসস্থলে প্রবেশ করে। এটি রোডেন্ট (ইঁদুর) এবং গৃহপালিত হাস মুরগি দ্বারা আকৃষ্ট হয়। ভূমধ্যসাগরীয় সাগরে মিশরীয় কোবরা সাঁতার কাটার খবর পাওয়া গিয়েছে, তাই মনে হয় এটি জল পছন্দ করে যদি এটি প্রায়শই পাওয়া যায়।. মিশরীয় কোবরা একটি স্থলজ এবং গোধূলিকালীন বা নিশাচর প্রজাতি। তবে এটি খুব ভোরে সূর্যের মধ্যে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এই প্রজাতিটি পরিত্যক্ত পশুর গর্ত, উঁই ঢিবি বা শিলা স্তরগুলিতে স্থায়ী বসবাস জন্য অগ্রাধিকার দেখায়। এটি কখনও কখনও মানুষের আবাসে প্রবেশ করে বিশেষত গৃহপালিত পাখি শিকার করার সময়। অন্যান্য কোবরা প্রজাতির মতো এটি সাধারণত কমপক্ষে কয়েক মিটার দূরে থাকতেই পালানোর চেষ্টা করে, তবে হুমকির সম্মুখীন হলে হুড প্রসারিত এবং স্ট্রাইক সহ সাধারণ খাড়া ভঙ্গিমা ধরে নেয় ফণা মেলে। এই প্রজাতি ব্যাঙ খাওয়া পছন্দ করে তবে এটি ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, ডিম, টিকটিকি এবং অন্যান্য সাপকে শিকার করে।. নিউরোটক্সিন এবং সাইটোক্সিনগুলিতে থাকে। এক কামড়ের মধ্যে গড় বিষের ফলন ১৭৫ থেকে ৩০০ মিলিগ্রাম এবং মুরিন সাবকুটেনাস এলডি৫০ মানে এটির পরিমান ১.১৫ মিলিগ্রাম / কেজি। মিশরীয় কোব্রা মিশরীয় পৌরাণিক কাহিনিতে কোবরা নেতৃত্বাধীন দেবী মেরিটসেগার দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করেছিল। একটি স্টাইলাইজড মিশরীয় কোবরা দেবী ওয়াডজেটের প্রতিনিধিত্বকারী ইউরিয়াসের আকারে ফেরাউনের পক্ষে সার্বভৌমত্বের প্রতীক ছিল যারা এটিকে তাদের ডায়ামে অন্তর্ভুক্ত করেছিল। এই আইকনোগ্রাফিটি প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার শেষ অবধি (বিসি ৩০) অব্যাহত ছিল। কানাডায় টরন্টোতে মনোযোগ বাড়িয়ে তোলে যখন একটি পোষা কোবরা পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পরে সাপটি বাড়ির দেওয়ালে আশ্রয় নিতে চেয়েছিল বলে বিশ্বাস করা হয়। সেকারণে মালিক ও তার পরিবার তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘর থেকে বাইরে যেতে বাধ্য করে। কর্তৃপক্ষ মালিককে $ ১৭,০০০ জরিমানা করে এবং এক বছরের জন্য জেল হয়েছে। জুলাই ২০১৮ সালে, তুরস্কে একটি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আরেফ গাফৌরিকে একটি মিশরীয় কোবরা কামড় দিয়েছিল। অ্যান্টি-ভেনম দিয়ে চিকিত্সার জন্য তাকে মিশরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন।
1050949
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050949
পরিবহন পরিকল্পনা
পরিবহন পরিকল্পনা পরিবহন পরিকল্পনা হলো লোক ও পণ্যকে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভবিষ্যতের নীতি, লক্ষ্য, বিনিয়োগ এবং স্থানিক পরিকল্পনা নকশাগুলো নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া। বর্তমানে, এটি একটি সহযোগিতামূলক প্রক্রিয়া যা বিভিন্ন সরকারী সংস্থা, সরকারী এবং বেসরকারী ব্যবসা সহ অনেক স্টেকহোল্ডারদের অন্তর্ভুক্ত করে। পরিবহন পরিকল্পনাকারীরা উপকারী ফলাফলগুলিকে প্রভাবিত করতে পরিবহন ব্যবস্থায় বিস্তৃত বিকল্প এবং প্রভাবগুলির বিশ্লেষণের জন্য একটি বহু-মডেল এবং ব্যাপক পদ্ধতির প্রয়োগ করে। পরিবহন পরিকল্পনাকে সাধারণত আন্তর্জাতিকভাবে পরিবহন পরিকল্পনা হিসাবেও চিহ্নিত করা হয় , এবং পরিবহন সুবিধাগুলির (সাধারণত রাস্তা, মহাসড়ক, বাইক লেন এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্ট লাইন) মূল্যায়ন, মূল্যায়ন, নকশা এবং স্থান নির্ধারণের সাথে জড়িত। যেকোনো সমাজের যাবতীয় কার্যক্রম এর জন্য পরিবহন ব্যবস্থা অপরিহার্য। প্রকৃতপক্ষে, সমাজে যাবতীয় উন্নয়নের সাথে নতুন এবং উন্নত পরিবহন প্রযুক্তির প্রত্যাবর্তন ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। পরিবহন পদ্ধতি পরিকল্পনা বা পরিবহন পরিকল্পনা, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি নির্ধারণ, সমস্যা চিহ্নিতকরণ, বিকল্প উৎপন্নকরণ, বিকল্প মূল্যায়ন এবং পরিকল্পনার বিকাশের যৌক্তিক পরিকল্পনার মডেলটিকে ঐতিহাসিকভাবে অনুসরণ করেছে। পরিকল্পনার জন্য অন্যান্য মডেলগুলির মধ্যে রয়েছে যুক্তিযুক্ত পরিচালক, ট্রানজিট উদ্ভূত বিকাশ, তৃপ্তিদায়ক, বর্ধিত পরিকল্পনা, সাংগঠনিক প্রক্রিয়া, সহযোগী পরিকল্পনা এবং রাজনৈতিক দর কষাকষি । বিশেষত পরিবেশবাদের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের কারণে পরিকল্পনাকারীরা একাধিকতর শাখা পদ্ধতির গ্রহণ করার প্রত্যাশা করছেন। উদাহরণস্বরূপ, ড্রাইভাররা তাদের গাড়ি চালনা এবং তার পরিবর্তে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে প্ররোচিত করার জন্য আচরণগত মনোবিজ্ঞানের ব্যবহার। পরিবহন পরিকল্পনাকারীর ভূমিকা হচ্ছে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ থেকে একীভূত পরিবহন নীতিগুলির মাধ্যমে টেকসইতা প্রচারের দিকে ধাবিত করা। উদাহরণস্বরূপ, হ্যানয়তে মোটরসাইকেলের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা কেবল পরিবেশের ক্ষতির জন্যই নয়, অর্থনৈতিক বিকাশকে কমিয়ে দেওয়ার জন্যও দায়ী। দীর্ঘমেয়াদে, পরিকল্পনাটি হলো নগর পরিকল্পনার পরিবর্তনের মাধ্যমে ট্র্যাফিক হ্রাস করা। অর্থনৈতিক উত্সাহ এবং আকর্ষণীয় বিকল্পের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা অল্প সময়ের মধ্যে ট্র্যাফিক হালকা করার আশা করছেন। পরিবহন পরিকল্পনায় পরিবহন নিদর্শন পর্যবেক্ষণের পরিমাণগত পদ্ধতিগুলি যখন পরিবহন পরিকল্পনার ভিত্তি হিসাবে বিবেচিত হলেও, গুণগত এবং মিশ্র পদ্ধতি বিশ্লেষণের ভূমিকা এবং সমালোচনামূলক বিশ্লেষণমূলক কাঠামোর ব্যবহার ক্রমবর্ধমান পরিবহন পরিকল্পনা অনুশীলনের মূল দিক হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে যা একাধিক পরিকল্পনার মানদণ্ডকে সংহত করে উৎপাদন, মূল্যায়ন, এবং নির্বাচন নীতি এবং প্রকল্পের বিকল্পগুলোতে। যুক্তরাজ্যে, পরিবহন পরিকল্পনা ঐতিহ্যগতভাবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি শাখা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকে, সাধারণত বিশ্বাস করা হতো যে মোটর গাড়ি পরিবহন ভবিষ্যতের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল কেননা গাড়ি মালিকানার পরিসংখ্যান অনু্যায়ী অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পরও মোটরওয়ে এবং গ্রামীণ সড়ক সক্ষমতা মেলাতে পরিবহন পরিকল্পনাকারীদের ভূমিকা ছিল। যানজট ও পরিবেশগত প্রভাব নিরসনে নগর অঞ্চলগুলোকে মোটর গাড়ির জন্য নতুন করে ডিজাইন করা বা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং চাপ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয়। নীতিগুলি ১৯৬৩ সালের সরকারি প্রকাশনা, "ট্র্যাফিক ইন টাউনসে" জনপ্রিয় হয়েছিল। ভিড়ের মূল্য নির্ধারণ এবং সমসাময়িক সিমিড রিপোর্টটিকে প্রাথমিকভাবে চাহিদা পরিচালনার জন্য প্রচার করা হয়েছিল তবে এটি রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে, এই পদ্ধতিকে "ধারণা করা ও সরবরাহ" হিসাবে ব্যঙ্গ করা হয়েছে যার মাধ্যমে ভবিষ্যতের পরিবহন চাহিদার পূর্বাভাস এবং এর জন্য নেটওয়ার্ক সরবরাহ করতে আরও বেশি রাস্তা তৈরি করে। ১৯৯৪ সালে পরিকল্পনা নীতি পথনির্দেশ ১৩ প্রকাশিত (২০০১ সালে সংশোধিত), ১৯৯৯ সালে ট্রান্সপোর্টের জন্য একটি নতুন চুক্তি এবং হোয়াইট পেপার পরিবহনে দশ বছরের পরিকল্পনা ২০০০ আবার একটি স্বীকৃতির ইঙ্গিত দেয় যা সীমিত আকারে বৃদ্ধি পায় রাস্তাঘাট ট্র্যাফিক না কাঙ্ক্ষিত বা সম্ভবও ছিল না। উদ্বেগগুলি তিন ধরনের ছিল: যানজটের বিষয়ে উদ্বেগ, পরিবেশের উপর রাস্তাঘাটের ট্র্যাফিকের প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ ( প্রাকৃতিক এবং অন্তর্নিহিত ) এবং যে উদ্বেগ যে দরিদ্র, প্রবীণ এবং প্রতিবন্ধীদের মতো সমাজের দুর্বল গোষ্ঠীগুলির সাথে বৈষম্য করে এই দস্তাবেজগুলো সংহতকরণের উপর জোর দিয়েছিল: পরিবহন ব্যবস্থায় কয়েক দশকের অবকাঠামোকে বিপরীতমূখী করার এই প্রচেষ্টাটির ফলে পরিবহন পরিকল্পনাকারীদের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ২০০৩ সালে এটি অনুমান করা হয়েছিল যে পরিবহনে দশ বছরের পরিকল্পনার সাফল্যের ঝুঁকি এড়াতে ২০১০ সালের মধ্যে ২ হাজার নতুন পরিকল্পনাকারীর প্রয়োজন হবে । ২০০৬ সালে, ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানিং সোসাইটি পরিবহন পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যটি এইভাবে সংজ্ঞায়িত করেছিল: নিম্নলিখিত ভূমিকাগুলো অবশ্যই পরিবহন পরিকল্পনাকারীদের নিশ্চিত করতে হয়: যুক্তরাজ্যের কোষাগার তাদের প্রাথমিক অনুমানগুলোতে অত্যধিক আশাবাদী হওয়ার জন্য প্রকল্প মূল্যায়নকারীদের জন্য পদ্ধতিগত প্রবণতা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং প্রকাশ করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবহন পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের মতো ট্র্যাফিক চলার একক লক্ষ্য থেকে দূরে এবং জনপদ ও রাস্তা এবং যে সকল অঞ্চল ও ভূমির মধ্য দিয়ে যায় এবং মহাসড়কগুলো পাস করে। আরও, এটি যাত্রীবাহী রেল নেটওয়ার্কের উপর আরও বেশি জোর দেয়, যা কিছুকাল অবধি অবহেলিত ছিল। প্রসঙ্গ সংবেদনশীল সমাধান (সিএসএস) নামে পরিচিত এই নতুন পদ্ধতিটি ঐতিহাসিক সংরক্ষণ, পরিবেশগত স্থায়ীত্ব এবং গুরুত্বপূর্ণ জনসাধারণের স্থান তৈরি সহ অন্যান্য কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের সাথে দক্ষ ও নিরাপদে মানুষকে সরানোর প্রয়োজনীয় ভারসাম্য বজায় রাখে। সিএসএসের প্রাথমিক দিকনির্দেশক নীতিগুলি ১৯৯৮ সালের "প্যাভমেন্টের বাইরে ভাবনা" সম্মেলন থেকে বেরিয়ে আসে যাতায়াত প্রকল্পগুলো যে প্রাকৃতিক এবং নির্মিত পরিবেশের সংরক্ষণ ও বর্ধন করে, সেইসাথে এর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদগুলিকে বর্ধিত করার ও বর্ণনা করার উপায় হিসাবে তারা পাশ করে। সিএসএস নীতিগুলি তখন থেকে ফেডারাল আইনগুলোতে হাইওয়ে ডিজাইনের নির্দেশিকা হিসাবে গৃহীত হয়। এছাড়াও, ২০০৩ সালে, ফেডারাল হাইওয়ে অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ঘোষণা করে যে এর তিনটি মূল উদ্দেশ্য (পরিবেশগত ন্যস্ত দায়িত্ব এবং স্ট্রিমলাইনিং) এর মধ্যে একটিতে তারা সেপ্টেম্বর ২০০৭ সালের মধ্যে সমস্ত রাজ্য পরিবহন অধিদফতরের মধ্যে সিএসএস সংহতকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, "সম্পূর্ণ রাস্তা " আন্দোলনের অধীনে "সম্পূর্ণ" পরিবহন স্থান সরবরাহের জন্য একটি আন্দোলন হয়েছে। পরিবহন নেটওয়ার্কগুলোর স্বকেন্দ্রিক নকশার প্রতিক্রিয়া হিসাবে, সম্পূর্ণ রাস্তাগুলি আরও বেশি ন্যায়সঙ্গত উপায়ে সমস্ত ব্যবহারকারী এবং পরিবহনের পদ্ধতিগুলিকে ঘিরে রাখে। সম্পূর্ণ রাস্তাগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবহন উন্নয়নের জন্য সিএসএসের অনেক নীতির পাশাপাশি পথচারী, সাইকেল এবং বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের আন্দোলনকে অন্তর্ভুক্ত করে। পরিবহন পরিকল্পনার পেশায় পরিবর্তনের জন্য সাম্প্রতিক এই প্রভাবগুলো ২০০৭ সালে ইনস্টিটিউট অফ ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ার্স দ্বারা একটি পেশাদার সার্টিফিকেট প্রোগ্রা্মের দিকে পরিচালিত করেছে। সার্টিফিকেশনের আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে- পরিবহন পরিকল্পনায় অ্যাডভান্সড স্পেশালিটি সার্টিফিকেশন এর পরে আমেরিকান প্ল্যানিং অ্যাসোসিয়েশন ২০১১ সালে বিকাশ করেছিল। সার্টিফাইড পরিবহন পরিকল্পনাকারীর বলতে কেবলমাত্র সেই পেশাদার পরিকল্পনাকারীদের (এআইসিপি সদস্য) বোঝায় যাদের কাছে ন্যূনতম আট বছরের পরিবহন পরিকল্পনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের জন্য উপলব্ধ। বেশিরভাগ আঞ্চলিক পরিবহন পরিকল্পনাকারী একে পরিকল্পনার যৌক্তিক মডেল বলে অভিহিত করেন। মডেল পরিকল্পনাটিকে একটি যৌক্তিক এবং প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়া হিসাবে দেখেন যা নতুন এবং বিদ্যমান পরিবহনের পরিকাঠামোয় সম্পদকে কীভাবে সর্বোত্তম বিনিয়োগ করতে হয় তা নিশ্চিত করতে পরিমাণগত তথ্য বিশ্লেষণ ব্যবহার করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, পরিকল্পনার এই মনোভাবের ফলে আঞ্চলিক পরিবহন পরিকল্পনার মূল উপাদান হিসাবে ভ্রমণ মডেলিং ব্যাপক ব্যবহার হয়েছে। মডেলগুলোর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণটি রাস্তায় গাড়ি চলাচল, বিস্তৃত শহরতলীতে এবং শহরাঞ্চলে পরিবহনের জন্য ফেডারেল বা জাতীয় সরকার ব্যয়ের এক বিস্তর বৃদ্ধিকে দায়ী করা যায়। এই সমস্ত ঘটনাই ১৯৪০, ১৯৫০ এবং ১৯৬০ এর দশকের শেষদিকে পরিকল্পনা সংস্কৃতিতে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। আঞ্চলিক পরিবহন পরিকল্পনার প্রয়োজন ছিল কারণ ক্রমবর্ধমান শহরগুলো কেবল শহরই ছিল না, বরং একটি জটিল আঞ্চলিক ব্যবস্থার অংশ ছিলো। জনস্টন (২০০৪), FHWA এবং ফেডারেল ট্রানজিট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফটিএ) (২০০৭) অনুসারে মার্কিন প্রক্রিয়া সাধারণত একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করে যা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত হতে পারে। তিনটি পর্যায়ের প্রতিটিতে পর্যায়ক্রমে, মহানগর পরিকল্পনা সংস্থা (এমপিও) বায়ু মানের এবং পরিবেশগত বিষয়গুলি বিবেচনা করবে, একটি বিচ্ছিন্নভাবে সীমাবদ্ধ পদ্ধতিতে প্রশ্নগুলির পরিকল্পনা করবে এবং জনসাধারণকে জড়িত করবে বলেও মনে করা হচ্ছে। পূর্ব বিশ্লেষণ নামে পরিচিত প্রথম পর্যায়ে এমপিও বিবেচনা করে যে অঞ্চলটি কী সমস্যা এবং সমস্যাগুলো কারা মোকাবেলা করে এবং এই সমস্যাগুলি সমাধানে সহায়তা করার জন্য লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি নির্ধারণ করে। এই পর্যায়ে এমপিও বিভিন্ন আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্যগুলির বিভিন্ন উপাত্ত সংগ্রহ করে, বিভিন্ন বিকল্পের একটি সেট তৈরি করে যা পরিকল্পনা প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে অনুসন্ধান করা হবে এবং পরিমাপযোগ্য ফলাফলের একটি তালিকা তৈরি করে যা লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যগুলি অর্জিত হয়েছে কিনা তা দেখতে ব্যবহৃত হবে। জনস্টন নোট করেছেন যে অনেক এমপিওভুক্তরা এই ক্ষেত্রে দুর্বলভাবে সঞ্চালন করে, এবং যদিও এর মধ্যে অনেকগুলি কার্যক্রম পরিকল্পনার "দূর্বল" দিকগুলির মতো মনে হয় যা সত্যই প্রয়োজনীয় নয় তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ব্যবহৃত মডেলগুলি সঠিক এবং তা নিশ্চিত করার জন্য তারা একেবারে অপরিহার্য। দ্বিতীয় পর্বটি প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ। প্রক্রিয়াটি অনেক প্রযুক্তিগত কৌশলে জড়িত, তবে মূলত মডেলগুলির বিকাশকে নিম্নবর্ণিত ভাবে ব্যাখ্যা করা যায়। শুরুর আগে এমপিও প্রচুর পরিমাণে ডেটা সংগ্রহ করে। এই ডেটা দুটি ভাগে পড়ার কথা ভাবা যেতে পারে: পরিবহন ব্যবস্থা সম্পর্কিত ডেটা এবং সংলগ্ন জমি ব্যবহার সম্পর্কিত ডেটা। সেরা এমপিওরা ক্রমাগত এই ডেটা সংগ্রহ করে যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত প্রকৃত বিশ্লেষণ সরঞ্জামটিকে নগর ট্রান্সপোর্টেশন মডেলিং সিস্টেম (ইউটিএমএস) বলা হয়, যদিও একে প্রায়শই চার-ধাপবিশিষ্ট প্রক্রিয়া হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ডাক নাম হিসাবে , UTMS এর চারটি পদক্ষেপ রয়েছে: ট্রিপ জেনারেশন, ট্রিপ বিতরণ, মোড পছন্দ এবং ট্রিপ / রুট অ্যাসাইনমেন্ট। ট্রিপ জেনারেশনে অঞ্চলটি ট্র্যাফিক অ্যানালাইসিস অঞ্চল (টিএজেড) নামে বিশ্লেষণের একটি বৃহত সংখ্যক ছোট ইউনিটে বিভক্ত হয়। প্রতিটি জোনে পরিবারের সংখ্যা এবং বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ট্রিপ উৎপন্ন হয়। দ্বিতীয় ধাপে, ট্রিপ বিতরণ, ট্রিপগুলি তাদের উত্স এবং উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে বিভাগগুলিতে আলাদা করা হয়: সাধারণত, এই বিভাগগুলি হোম-বেসড ওয়ার্ক, হোম-ভিত্তিক অন্যান্য এবং গৃহ-ভিত্তিক। তিনটি বিভাগের প্রত্যেকটিতে, ট্রিপগুলি সংগ্রহ করা হয়েছে এমন ডেটা ব্যবহার করে উত্স এবং গন্তব্য অঞ্চলগুলিতে মেলানো হয়। মোড পছন্দ হিসাবে, ট্রিপগুলি একটি নির্দিষ্ট জোনে যা পাওয়া যায় তার উপর ভিত্তি করে একটি মোডে (সাধারণত অটো বা ট্রানজিট) বরাদ্দ করা হয়, সেই জোনের মধ্যে পরিবারের বৈশিষ্ট্য এবং অর্থ,সময় অনুসারে প্রতিটি মোডের জন্য মোডের ব্যয় নির্ধারিত হয়। যেহেতু সাইকেল বা হাঁটার বেশিরভাগ ট্রিপগুলি সাধারণত ছোট হয়, তাই ধারণা করা হয় যে তারা একটি জোনের মধ্যেই রয়েছে এবং বিশ্লেষণের অন্তর্ভুক্ত নয়। পরিশেষে, রুট অ্যাসাইনমেন্টে, ট্রিপগুলি নেটওয়ার্ককে বরাদ্দ করা হয়। নেটওয়ার্কের নির্দিষ্ট অংশগুলিকে ভ্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হওয়ায় গাড়ির গতি কমে যায়, তাই কিছু ট্রিপগুলি বিকল্প রুটে এমনভাবে বরাদ্দ করা হয় যে সমস্ত ভ্রমণের সময় সমান হয়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চূড়ান্ত লক্ষ্যটি সিস্টেম-ব্যাপী অপ্টিমাইজেশন, শুধুমাত্র কোনও একটির জন্য অপ্টিমাইজেশন নয়। সমাপ্ত পণ্যটি ট্র্যাফিক প্রবাহ এবং নেটওয়ার্কের প্রতিটি লিঙ্কের গতি নির্দেশ করে। আদর্শগতভাবে, এই মডেলগুলিতে ট্রান্সপোর্টের সাথে সম্পর্কিত সমস্ত ভিন্ন আচরণ অন্তর্ভুক্ত করা হবে, জটিল নীতি সংক্রান্ত প্রশ্নগুলি যা প্রকৃতির সাথে আরও গুণগত। পরিবহন সমস্যার জটিলতার কারণে, প্রায়শই এটি অনুশীলনে সম্ভব হয় না। এই মডেলগুলির ফলাফল যা ভবিষ্যতের ট্র্যাফিক পরিস্থিতি ভালভাবে অনুমান করতে পারে তবে শেষ পর্যন্ত পরিকল্পনাকারীর পক্ষ থেকে করা অনুমানগুলির উপর নির্ভর করে। কিছু পরিকল্পনাকারী অটোমোবাইল মালিকানা, ভ্রমণের সময়, জমি বিকাশের স্থান, সংস্থা এবং পরিবারের অবস্থান জ্ঞানের এই ফাঁকগুলি পূরণ করতে সহায়তা করে, এছাড়াও এই বিষয়গুলিতে অতিরিক্ত সাব-সিস্টেম মডেলিং চালায় তবে যা তৈরি করা হয় তা মডেল এবং মডেলগুলি সর্বদা অনিশ্চয়তার কিছু স্তর অন্তর্ভুক্ত করে। বিশ্লেষণ-পরবর্তী পর্বে পরিকল্পনার মূল্যায়ন, প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং ফলাফলগুলি পর্যবেক্ষণের সাথে জড়িত। জনস্টন নোট করেছেন যে মূল্যায়নের অর্থবহ হওয়ার জন্য এটি যতটা সম্ভব বিস্তৃত হওয়া উচিত। উদাহরণস্বরূপ, ভিড় হ্রাসের চেয়ে বরং এমপিওভুক্তদের অর্থনৈতিক, ন্যায়সঙ্গত এবং পরিবেশগত বিষয় বিবেচনা করা উচিত। যদিও পরিবহন পরিকল্পনা প্রক্রিয়াটি আদর্শ এবং উদ্দেশ্য পদ্ধতিগুলির ভিত্তিতে যৌক্তিক প্রক্রিয়া হিসাবে উপস্থিত হতে পারে তবে এটি প্রায়শই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া দ্বারা প্রভাবিত হয়। পরিবহন পরিকল্পনা সরকারী কাজ প্রকল্পগুলির জনসাধারণের প্রকৃতির সাথে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। ফলস্বরূপ, পরিবহন পরিকল্পনাকারীরা প্রযুক্তিগত এবং সমন্বিত উভয় ভূমিকা পালন করে। রাজনীতিবিদদের প্রায়শই ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, লক্ষ্য এবং নীতিগত ইচ্ছা থাকে। পরিবহন পরিকল্পনাকারীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের যেমন রাজনীতিবিদদের এমন উপায়ে ফলস্বরূপ ফলাফল দেয় যা তাদের তথ্য সরবরাহ করে সহায়তা করে। এই ভূমিকাটি পরিবহন ইঞ্জিনিয়ারদের মতো, যারা প্রায়শই পরিবহন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন প্রযুক্তিগত প্রক্রিয়াতে রাজনীতি দ্বারা সমানভাবে প্রভাবিত হন। পরিবহন আইসোক্রোন মানচিত্রগুলো প্রবেশযোগ্যতা পরিমাপের একটি পদ্ধতি যা নগর পরিকল্পনাবিদরা সাইটগুললো মূল্যায়ন করতে ব্যবহার করতে পারেন।
1050974
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050974
১৪১ নং ওয়ার্ড, কলকাতা পৌরসংস্থা
১৪১ নং ওয়ার্ড, কলকাতা পৌরসংস্থা ওয়ার্ড নং ১৪১, কলকাতা পৌরসংস্থা কলকাতা পৌরসংস্থার বরো নং ১৫-এর একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এর গার্ডেনরিচ এ অবস্থিত বাদরতলা এবং রাজাবাগান এর অংশ নিয়ে গঠিত। ১৪১ নম্বর ওয়ার্ড উত্তরে হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত; পূর্বদিকে হুগলি এবং গার্ডেন রিচ রোড, জেলিয়াপাড়া রোড, বাগদিপাড়া রোড এবং ভাগা খাল রোডের দক্ষিণ তীরের মধ্যে একটি রেখা রয়েছে; দক্ষিণে গার্ডেন রিচ রোড, ডাঃ আবদুল কবির রোড, জেলিপাড়া রোড এবং কৈলাশ মিস্ত্রি লেন; এবং পশ্চিমে হুগলি নদীর পূর্ব পাড়ে। ওয়াটগঞ্জ মহিলাদের থানা, ১৬ ওয়াটগঞ্জ স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০ ০২৩ এ অবস্থিত এর অধিক্ষেত্রে অধীনে সমস্ত পুলিশ জেলার জুড়ে বিভাগ অর্থাৎ উত্তর বন্দর, দক্ষিণ বন্দর, ওয়াটগঞ্জ, পশ্চিম বন্দর, গার্ডেন রিচ, একবলপুর, নাদিয়াল, রাজাবাগান এবং মেটিয়াব্রুজ। ভারতের ২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে, কলকাতা পৌরসংস্থার ১৪১ নং ওয়ার্ডের মোট জনসংখ্যা ছিল ৪১,১৫২ জন, যার মধ্যে ২১,৪৫২ (৫২%) পুরুষ এবং ১৯,৭০০ (৪৮%) মহিলা ছিলেন। ৬ বছরের নিচে জনসংখ্যা ছিল ৫,৩৮৩। ১৪১ নং ওয়ার্ডে মোট সাক্ষরতার সংখ্যা ছিল ২,৮৮০ (6 বছরের বেশি জনসংখ্যার 75.1.১৫%)। ওয়ার্ডটি একটি সিটি মিউনিসিপাল কর্পোরেশন কাউন্সিলের নির্বাচনী অঞ্চল গঠন করে এবং মতিয়াবুরুজের (বিধানসভা কেন্দ্র)
1050975
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050975
রোড (চলচ্চিত্র)
রোড (চলচ্চিত্র) রোড রাম গোপাল বর্মা প্রযোজিত ও রজত মুখার্জী পরিচালিত ২০০২ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার পথ থ্রিলার চলচ্চিত্র। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করে মনোজ বাজপেয়ী, বিবেক ওবেরয়, ও অন্তরা মালী। বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়া প্রেমিক-প্রেমিকা অরবিন্দ (বিবেক ওবেরয়) ও লক্ষ্মী (অন্তরা মালী) দিল্লি থেকে যোধপুর যাওয়ার পথে এক হাইওয়েতে পাগল (বিজয় রাজ) ও হিচিকার বাবু (মনোজ বাজপেয়ী), যে কিনা ধারাবাহিক চিত্তবিকারগ্রস্থ খুনী হিসেবে হাজির হয়, বুদ্ধিমান ট্রাকচালক ইন্দরপাল (মকরন্দ দেশপাণ্ডে) এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন পাগলাটে পুলিশের (সায়াজী শিন্দে) সাথে সাক্ষাৎ হয়।
1050990
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1050990
ওয়ালাইকুমুস-সালাম
ওয়ালাইকুমুস-সালাম ওয়া'লাইকুমুস-সালাম ( ) একটি আরবী অভিবাদন, যা বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা প্রায়শই "আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক" অর্থে ব্যবহার করে থাকে। এটি অন্যদের জন্য দোয়াস্বরূপ। এটি আসসালামু আলাইকুম অভিবাদনটির ( ) আদর্শ জবাব । কারো উপস্থিতির কৃতজ্ঞতা জানাতে বা কাউকে স্বাগত জানানোর জন্য অভিবাদনগুলি ব্যবহার করা হয়। এগুলি কথোপকথনের আগে ব্যবহার করা হয় এবং বলা হয়ে থাকে যে এটি একটি ভাল আচরণ। অভিবাদনটিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সালাম মুসলমানদের মধ্যে একটি আদর্শ অভিবাদন। মুসলিম বক্তৃতা এবং খুতবা অনুষ্ঠানে নিয়মিত এই অভিবাদনটি বিনিময় হয়। এর পূর্ণ রূপ হল: সম্পূর্ণ ফর্ম "ওয়া-আলাইকুমুস - সালাম ওয়া-রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ( , "এবং তোমাদের উপর শান্তি এবং আল্লাহর করুণা ও তাঁর নেয়ামতসমূহ বর্ষিত হোক")। "সালাম" এর আক্ষরিক অর্থ "শান্তি"। "ইসলাম" শব্দটিও এটি থেকেই উদ্ভূত হয়েছে। বিস্তৃত অর্থে, "সালাম" এর অর্থ নিরীহতা, সুরক্ষা এবং মন্দ এবং ত্রুটি থেকে সুরক্ষা। আল্লাহর অন্যতম নামও আস-সালাম। অভিবাদনটি দেখা হওয়ার এবং চলে যাওয়ার উভয় সময়ই ব্যবহার করা উচিত। আবূ হুরাইরাহ থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “কোন ব্যক্তি মজলিসে এসে পৌছে যেন "সালাম" দেয়। সে মজলিসে বসার পর মজলিস শেষ হওয়ার পূর্বে উঠে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করলে যেন পুনরায় "সালাম" দেয়। কেননা আগের "সালাম" কোন অংশেই শেষের "সালামের" চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ নয়।”। (জামে আল-তিরমিজীতে বর্ণিত হাসান হাদীস) হাদিসে আছে, হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে কার সালামের অভিবাদন "শুরু" করা উচিত আর তিনি বলেছেন: এটিও বর্ণিত হয়েছে যে, কোনও বাড়িতে প্রবেশের পূর্বে সালামের অভিবাদন জানানো উচিত। এটি কুরআনের একটি আয়াতের উপর ভিত্তি করে: মুসলমানরা অন্যান্য ধর্মের সদস্যদের কাছে সালামের উক্তিটি প্রবর্তন করতে পারে কিনা সে সম্পর্কে ধর্মীয় পণ্ডিতগণ ভিন্নমত পোষণ করেন। কুরআনে বলা হয়েছে: ""আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই অনুরূপ কর।" "
1051000
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051000
সালেম মহানগর অঞ্চল
সালেম মহানগর অঞ্চল সালেম মেট্রোপলিটন অঞ্চল, বা সালেম আরবান অগ্রোগ্রেশন হ'ল ভারতের ত্রিশতম সর্বাধিক জনবহুল মেট্রোপলিটন অঞ্চল এবং শহরটির পঞ্চম সর্বাধিক জনবহুল তামিলনাড়ুতে। সালেম মেট্রোপলিটন অঞ্চল সালেম শহর ও এর শহরতলির সমন্বয়ে গঠিত। সালাম মেট্রো হ'ল তামিলনাড়ুর সালেম শহরের জন্য প্রস্তাবিত মনোরেল সিস্টেম যা এই শহরের গণপরিবহনের একটি বিস্তৃত অংশ। তামিলনাড়ুর অন্যতম উন্নত শহর সালেম শহর যেহেতু মনোরাইলের বাজার ভারতে ₹ 72,000 কোটি (মার্কিন ডলার 10 বিলিয়ন) ডলার অনুমান করা হচ্ছে, তাই তামিলনাড়ুর তৎকালীন গভর্নর এসএস বার্নভারিলাল বিধানসভায় ঘোষণা করেছিলেন যে তামিলনাড়ু সরকার সালেমে মনোরেল সিস্টেম প্রবর্তনের জন্য একটি সম্ভাব্যতা অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে [৫] কোয়েম্বাতোর, ত্রিচি এবং মাদুরাইয়ের সাথে সালেম আরবান অগ্রোমেশনটি হ'ল তামিলনাড়ু রাজ্যের মেট্রোপলিটন অঞ্চল, এটি সালেম শহর এবং এর শহরতলির সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৃহত্তর সালেম কর্পোরেশন এবং সালেম জেলা জুড়ে শহরতলির অঞ্চল নিয়ে গঠিত। মহানগর সালেম কর্পোরেশন এডাপাদি মেটুর নরসিংপুরম আতুর অযোথিয়াপট্টিনাম গঙ্গাবল্লী থমমপট্টি অত্তায়মপট্টি জলকান্দপুরম এলামপিল্লাই কান্নাকুরিচি কোলাথুর মেকেরি ওমালুর পানাইমারথুপট্টি পেটানাইকেনপালায়াম সঙ্কগিরি শিবথাপুরম থারামঙ্গলম বাজপাডি বীরক্কলাপুদুর বেলুর এডাগনসালাই কদয়ামপট্টি করুপুর মল্লুর সেন্টারপট্টি থেদাভুর থেভুর বীরগানুর এথাপুর আরসিরামণি নাঙ্গাভল্লি পুলাপট্টি ভানাবাসী ভেল্লালপুরম সালেম মহানগর সালেম জেলা নগর এলাকা সালেম মেট্রোপলিটন অঞ্চল জুড়ে অঞ্চল আতুর গঙ্গাবল্লী ইদাপদী কদয়ামপট্টি মেটুর ওমালুর পেটানাইকেনপালায়াম সেলাম সালেম দক্ষিণ সালেম পশ্চিম সঙ্কগিরি বাজপাডি ইয়ারকাড
1051032
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051032
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজ
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক স্টাডিজ নয়াদিল্লির একটি ইসলাম শিক্ষার প্রতিষ্ঠান। হাকিম আবদুল হামিদ সহ বিশিষ্ট মুসলিম নেতৃবৃন্দ ১৯৬৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন, হাকিম আবদুল হামিদ পরে জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ইনস্টিটিউটটির উপর ভারতে ইসলামী ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। এছাড়াও এই ইনস্টিটিউট ইসলামে পড়াশোনা এবং গবেষণার পাশাপাশি তুলনামূলক গবেষণা করে থাকে। এটি বহু ইসলামি সংগ্রহের ভাণ্ডার, যেগুলোর বেশিরভাগ ফারসি ও আরবি ভাষায় রচিত এবং এটি একটি ত্রৈমাসিক জার্নাল,"স্টাডিজ ইন ইসলাম প্রকাশ করে" থাকে। ১৯৮৪ সালে ইনস্টিটিউটটি, দিল্লী-ভিত্তিক ভারত ইসলামিক কালচারাল সেন্টার (আইআইসিসি) এর অনুদানের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
1051033
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051033
মাহমুদ আল আলুসি
মাহমুদ আল আলুসি আবুস সানা শিহাবুদ্দিন সায়্যিদ মাহমুদ ইবনে আবদুল্লাহ আল হোসাইনি আল আলুসি আল বাগদাদি (আরবি:أبو الثناء شهاب الدين سيد محمود بن عبد الله بن محمود الحسيني الآلوسي البغدادي) ছিলেন একজন ইরাকি ইসলামি পণ্ডিত ; তিনি আল কুরআনের তাফসির গ্রন্থ "রুহুল মাআানি" রচনার মাধ্যমে প্রসিদ্ধি লাভ করেন । তিনি বাগদাদ-এ জুমুআর দিন, ১৪ শাবান ১২১৭ হিজরিতে (শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ১৮০২ খ্রিঃ) জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাঁচ ছেলে উত্তরাধিকারী রেখে গেছেন:
1051151
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051151
মায়োতে ইসলাম
মায়োতে ইসলাম ইসলাম হল মায়োতে দ্বীপের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দার বিশ্বাস, যেখানকার ৯৭% মুসলমান এবং ৩% খ্রিস্টান। দ্বীপের মোট ৯০,০০০ বাসিন্দার মধ্যে ৮৫,০০০ হলেন মহোরাইস। মহোরাইসরা বহু অঞ্চল থেকে আগতদের মিলনস্থল: মূল ভূখণ্ডের আফ্রিকান, আরব ও মালাগাসি । মায়োতে ইসলামের উপস্থিতি অন্তত পঞ্চদশ শতক আগে খুঁজে পাওয়া যায় । যদিও তরুণরা পাশ্চাত্য ধরনের পোশাক পরে, তবে বয়স্কদের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী পোশাক এখনও প্রচলিত। শহরে থাকাকালীন একজন মহোরাইস সাধারণত একটি সাদা সুতির পোশাক এবং দীর্ঘ শার্ট পরে থাকেন; সাথে কখনও কখনও সাদা জ্যাকেট এবং মাথার সাদা টুপিও থাকে। শহরের বাইরে, তারা দীর্ঘ কাপড়ের একটি সারং (রঙিন স্কার্ট) পরে থাকেন। বেশিরভাগ মহিলারা ঐতিহ্যবাহী রঙিন সলুভা বা ঘটনামূলক পোশাক পরেন। বহুবিবাহ মহোরাইসদের মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য অনুশীলন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, ২৯ শে মার্চ, ২০০৯ এ, মায়োতের ৯৫% নাগরিক ফ্রান্সের ১০১তম বিভাগে ভোট দিয়েছিলেন। ২০১১ সালের মার্চ মাসে ভোট কার্যকর হওয়ার কারণে, দ্বীপটিতে বাল্যবিবাহ সহ "ফরাসি সংস্কৃতির সাথে বিরোধী", বহুবিবাহ সম্মিলন এবং অন্যান্য ধরনের অনুশীলনের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হয়। বর্তমান সময়ে, সরকার বহুবিবাহকে ইস্যু করে বন্ধ করে দিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঐতিহ্যগতভাবে, মহোরাইসরা যে কোনও ধরনের ধর্মীয় পরিবর্তনের প্রতি অত্যন্ত প্রতিরোধী। মায়োতে ইসলামের চর্চাকে সহনশীল হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
1051192
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051192
কাট্টুবক্কম
কাট্টুবক্কম কাট্টুবক্কম দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুভেলুর জেলার পুন্তমল্লী তালুকে অবস্থিত একটি আবাসিক অঞ্চল। লোকালয়টি চেন্নাই মহানগর অঞ্চলের পশ্চিম দিকের একটি লোকালয়‌। কাট্টুবক্কম মাউন্ট-পুন্তমল্লী সড়কের ওপর ফোর্ট সেন্ট জর্জ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নিকটবর্তী বাস ডিপো ১ কিলোমিটার দূরে আইয়াপ্পানতাঙ্গলে ও নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন ৮ কিলোমিটার দূরে গিণ্ডিতে অবস্থিত। এই লোকালয়টি মাঙ্গাড়ু আম্মান মন্দিরের কাছাকাছি অবস্থিত। তিরুবেরকাড়ু কারুমারি আম্মান মন্দির ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে কাট্টুবক্কম জনগণনা শহরের জনসংখ্যা হয় ২৩,৯১০ জন, যেখানে পুরুষ ১২,১৩৪ জন ও নারী ১১,৭৭৬ জন অর্থাৎ প্রতি হাজার পুরুষে ৯৭০ জন নারী বাস, যা রাষ্ট্রীয় গড়ের তুলনায় অধিক। মোট শিশু সংখ্যা ২,৬৬০ জন যেখানে শিশুপুত্র সংখ্যা ১,৩৫৭ জন এবং শিশুকন্যা সংখ্যা ১,৩০৩ জন। জনসংখ্যা অনুপাতে শিশু ১১.১৩ শতাংশ। শহরটির সাক্ষরতার হার ছিল ৮৭.৯৮ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯২.৩১ শতাংশ ও নারী সাক্ষরতার হার ৮৩.৫২ শতাংশ। শহরে মোট পরিবার সংখ্যা ৬,০৮৯ টি।
1051193
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051193
কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন
কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশন ( কেএমএফ ) দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি মুসলিম সংগঠন। কেএমএফ কোরিয়ান মুসলিম ছাত্র সমিতি এবং কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইসলামিক কালচারের তত্ত্বাবধান করে। ফেডারেশনটি কোরআন শিক্ষার জন্য একটি মাদ্রাসাকে সহায়তাও দেয়। সংগঠনটি ১৯৬৬ সালে গঠিত হয়েছিল এবং ১৯৬৭ সালে কোরিয়ার সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আইনগত সত্তা হিসাবে নিবন্ধিত হয়েছিল। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য হল কোরিয়ান মুসলমানদের ধর্মীয় ও সম্প্রদায় বিষয়গুলির ব্যবস্থাপনা করা এবং দাতব্য সংস্থা ও মিশনারি কাজে নিযুক্ত থাকা। সংস্থাটি বড় শহরগুলিতে মিশনারি সেন্টার স্থাপন, বিদ্যমান মসজিদ উন্নয়ন এবং ইমামদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে কাজ করে। কোরিয়ান মুসলমানদের জন্য ইসলাম, স্থানীয় বিষয়াদি এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক উপকরণ সম্পর্কিত তথ্যও এখানে পাওয়া যায়।
1051200
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051200
তাজদিদ
তাজদিদ তাজদিদ ( ) একটি আরবি শব্দ যার অর্থ "পুনরুদ্ধার"। ইসলামে এটি দ্বারা মুসলিম সমাজে অনুপ্রবেশকৃত অনৈসলামিক রীতিগুলোকে মূলোৎপাটিত, সংস্কার করে প্রকৃত মূল আদর্শ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার বিষয়টি বোঝায়। যিনি তাজদিদ এর অনুশীলন করেন তিনি হলেন একজন "মুজাদ্দিদ" ।
1051205
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051205
আল-খানকাহ আল-সালাহিয়া মসজিদ
আল-খানকাহ আল-সালাহিয়া মসজিদ আল-খানকাহ আল-সালাহিয়া মসজিদ (, ) চার্চ অব দ্য হলি সেপালচারের উত্তরে জেরুজালেম'র পুরনো শহরের খ্রিস্টান মহল্লায় অবস্থিত। মসজিদটি জেরুসালেমের ল্যাটিন পেট্রিয়ার্কের প্রাক্তন প্রাসাদের স্থলে অবস্থিত। ১১৮৭ সালে সালাহউদ্দিন এর কাছে জেরুসালেমের ক্রুসেডরগণের আত্মসমর্পণের পর এটি একটি মসজিদে পরিণত করা হয়। এর মিনারটি ১৪১৭ সালে নির্মিত হয়েছিল। এই মসজিদের মিনারের অনুরূপ, হলি সেপালচার গির্জার অপর পার্শ্বে অবস্থিত উমর মসজিদে প্রায় অভিন্ন একটি মিনার রয়েছে। দুটি মিনার স্পষ্টতই একটি জোড়া হিসাবে নির্মিত হয়েছিল; দুটি মিনারকে সংযোগকারী রেখা গির্জার ভিতরে যিশুর সমাধির দরজাকে ছেদ করে এবং মিনারগুলি সেই দরজা থেকে সমদূরত্বে অবস্থিত ও মিনারদ্বয়ের ভূমি ভিন্ন উচ্চতার হওয়া সত্ত্বেও তাদের শীর্ষদ্বয়ের উচ্চতা সমান। মার্ফি-ও'কনর এর মতে মামলুক শাসকদের হয়তো "দ্য হলি সেপালচারকে 'অকার্যকর' করার" উদ্দেশ্য ছিল, যেহেতু ইসলাম ঈসার ক্রুশবিদ্ধকরণ এবং মৃত্যুর ধারণাকে সমর্থন করে না।
1051207
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051207
শঙ্খবেলা
শঙ্খবেলা শঙ্খবেলা হল একটি জনপ্রিয় বাংলা চলচ্চিত্র যা পরিচালনা করেন অগ্রগামী। এই চলচ্চিত্রটি ১৯৬৬ সালে অনুরাধা ফিল্মস ব্যানারে মুক্তি পেয়েছিল এবং এই চলচ্চিত্রটি সংগীত পরিচালনা করেছিলেন সুধীন দাসগুপ্ত। এই চলচ্চিত্রটির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তম কুমার, মাধবী মুখোপাধ্যায়, বসন্ত চৌধুরী, ইরা ব্যানার্জী। তৃপ্তির অসুস্থ ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পেশায় একজন শিক্ষিকা, তিনি প্রতিদিন স্কুল শেষে তার ছেলেকে দেখতে যান। একদিন তার পথে, সে তার বিচ্ছিন্ন স্বামী সুনীল গাঙ্গুলীর সাথে দেখা করে।
1051209
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051209
বোল্টন মুসলিম বালিকা বিদ্যালয়
বোল্টন মুসলিম বালিকা বিদ্যালয় বোল্টন মুসলিম বালিকা বিদ্যালয় ইংল্যান্ডের গ্রেটার ম্যানচেস্টার কাউন্টির বোল্টনে অবস্থিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৯৮৭ সালে বাল্টন মুসলিম ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট দ্বারা মেয়েদের জন্য একটি স্বতন্ত্র ইসলামি স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০০৭ সালে এটি একটি স্বেচ্ছাসেবিত বিদ্যালয় এবং বোল্টন মেট্রোপলিটন বরো কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত স্কুলগুলোর একটি। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে স্কুলটি একাডেমির মর্যাদায় উন্নীত হয়। স্কুলটি এখন প্রসপার মাল্টি-একাডেমি ট্রাস্ট দ্বারা অর্থায়ন করা হয়। বোল্টন মুসলিম গার্লস স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য জিসিএসই এবং বিটিইসি কার্যক্রম পরিচালনা করে।
1051226
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051226
সালমান বিন আব্দুল আজিজ মসজিদ
সালমান বিন আব্দুল আজিজ মসজিদ সালমান বিন আব্দুল আজিজ মসজিদ একটি প্রস্তাবিত গ্র্যান্ড মসজিদ যা বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ দ্বারা অনুমোদিত। এটি এইচ -১০ সেক্টর জুড়ে ইসলামাবাদে নির্মিত হবে। মসজিদে ৬,০০০ জনের (৪০০০ পুরুষ এবং ২০০০ জন মহিলা) জন্য নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। এই প্রকল্পে দুটি পবিত্র মসজিদ গ্রন্থাগার, জাদুঘর, মুহাম্মদ বিন সালমান কনফারেন্স হল, অফিস সার্ভিসেস জোন এবং পার্কিং এরিয়াও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
1051228
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051228
আলবিরেক্স নিগাতা
আলবিরেক্স নিগাতা আলবিরেক্স নিগাতা (, ) হচ্ছে নিগাতা ভিত্তিক একটি জাপানি পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে জাপানের দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল লীগ জে২ লীগে প্রতিযোগিতা করে। এই ক্লাবটি ১৯৫৫ সালে "নিগাতা ইলেভেন ফুটবল ক্লাব" নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৪২,৩০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট দেনকা বিগ সোয়ান স্টেডিয়ামে "আলবি" নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন স্পেনীয় সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় আলবের্ত পুইগ এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন দাইসুকে কোরেনাগা। জাপানি রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ইয়ুতা হোরিগোমে এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘরোয়া ফুটবলে, আলবিরেক্স নিগাতা এপর্যন্ত ৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ১টি জে২ লীগ এবং ৩টি হোকুশিনেতসু ফুটবল লীগ শিরোপা রয়েছে। ইসাও হোমা, কিশো ইয়ানো, ইয়োশিতো তেরাকাওয়া, এদমিলসন এবং শিনগো সুজুকির মতো খেলোয়াড়গণ আলবিরেক্স নিগাতার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।
1051231
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051231
পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন
পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন। এটি ভাঙ্গুরা উপজেলা দক্ষিণ অংশে অবস্থিত। এটি বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত। পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নে আটটি গ্রাম রয়েছে। এগুলি হল পারভাঙ্গুড়া, পাথরঘাটা, ভেড়ামারা, হাটগ্রাম, কালিকাদহ, পাটুলিপাড়া, কাশিপুর এবং রাঙ্গালিয়া। ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি ভেড়ামারাতে অবস্থিত।
1051232
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051232
জামিয়া ইসলামিয়া ইশাতুল উলুম
জামিয়া ইসলামিয়া ইশাতুল উলুম জামিয়া ইসলামিয়া ইশাআতুল উলূম ভারতের মহারাষ্ট্রের নানদুরবার জেলায় অবস্থিত একটি ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৯ সালে আক্কালকুয়াতে মাত্র ছয় শিক্ষার্থী নিয়ে একটি ইসলামিক স্কুল হিসাবে এর পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৪ সালের মধ্যে ভারত জুড়ে এই প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৩ সালে মেডিকেল কলেজ ও নূর হাসপাতাল এমবিবিএস কোর্স শুরু করার জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতি নেয় এবং নয়াদিল্লিতে অবস্থিত ভারতের মেডিকেল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার চূড়ান্ত অনুমতি পায়। ২০১৩ সালে ১০০ জন শিক্ষার্থী এই কোর্সে ভর্তি হয়েছিল। এমবিবিএস কলেজ ছাড়াও জামিয়ায় ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল রয়েছে। হাসপাতালটিতে চেকআপ, চিকিৎসা, ওষুধ, বিভিন্ন প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, মাইক্রোবায়োলজি, এক্স-রে, সোনোগ্রাফি এবং সমস্ত সেবাগুলো বিনামূল্যে দেওয়া হয়। পাশাপাশি হাসপাতালে বিভিন্ন সার্জারি অপারেশন করা হয়। প্রতিদিন প্রায় ৬০০ টি ওপিডি এবং ২৩০ আইপিডি রোগী উপকৃত হয়। চিকিৎসকরা প্রতিদিন সব বিভাগ মিলে প্রায় ৩০ টি অপারেশন করেন।
1051237
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051237
অ্যাভাররোস হাই স্কুল
অ্যাভাররোস হাই স্কুল অ্যাভারোয়েস হাই স্কুল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের আলামেদা কাউন্টির ফ্রেমন্ট শহরে অবস্থিত একটি ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০১০ সালে অ্যাভাররোস হাই স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটি নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা প্রদান করে। এটি একটি ইসলামিক উচ্চ বিদ্যালয়। এটি কলেজের প্রবেশের প্রস্তুতিমূলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম ইসলামিক উচ্চ বিদ্যালয়। পশ্চিমের বিখ্যাত দার্শনিক ইবনে রুশদের(১১২৬-১১৯৮) নাম অনুসারে স্কুলের নামকরণ করা হয়। যিনি পশ্চিমাদের কাছে অ্যাভাররোস নামে পরিচিত। অ্যারিস্টটল উপর অধ্যয়নের জন্য সেন্ট টমাস অ্যাকুইনাস দ্বারা তাকে "মহান ভাষ্যকার" হিসাবে উল্লেখ করা হয়। অ্যাভাররোস যুক্তি, আইন, ঔষধ, জ্যোতির্বিজ্ঞান, ভূগোল, সঙ্গীত তত্ত্ব, গণিত এবং আরও অনেক কিছু ক্ষেত্রে জ্ঞানী ছিলেন। স্কুলের মূল লক্ষ্য অল্প বয়স্কদের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, দিকনির্দেশ, সম্মান এবং সহায়তার মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্যে যৌবনে পদার্পণ করানো।
1051246
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051246
মার্টেনসাইট
মার্টেনসাইট মার্টেনসাইট ইস্পাত এর ক্রিস্টাল কাঠামোর একটি খুব শক্ত রূপ। এটির নামকরণ করা হয়েছে জার্মান ধাতুকৌশলী অ্যাডলফ মার্টেনসের নামে। এই শব্দটি দ্বারা এমন ধরনের ক্রিস্টাল গঠনের উপমাও দেওয়া হয় যারা ব্যপনবিহীন রূপান্তর দ্বারা গঠিত হয়ে থাকে। কার্বন ইস্পাতে, লোহার অস্টেনাইট দশার দ্রুত শীতলীকরণের (কোয়েঞ্চিং) মাধ্যমে মার্টেনসাইট গঠিত হয়। এই শীতলীকরণ প্রক্রিয়া এতই দ্রুত গতিতে হয়ে থাকে যে কার্বন পরমাণুসমূহ ক্রিস্টাল কাঠামো থেকে ব্যাপিত হয়ে সিমেন্টাইটে (FeC) পরিণত হওয়ার মত যথেষ্ট সময় পায়না। অস্টেনাইট হল লোহার গামা-দশা (γ-Fe),যা লোহা এবং অন্যান্য সংকর ধাতুর একটি কঠিন দ্রবণ। কোয়েঞ্চিং এর ফলে, মুখ-কেন্দ্রিক ঘনাকার কাঠামোর অস্টেনাইট দশা রূপান্তরিত হয়ে অনেকখানি বিকৃত হয় ও দেহ-কেন্দ্রিক টেট্রাগোনাল কাঠামো আকারে পরিণত হয় যাকে মার্টেনসাইট বলা হয় যা কার্বন দ্বারা অতিপৃক্ত থাকে। এই পার্শ্ব বিকৃতির যার ফলে প্রচুর পরিমাণে স্থানচ্যুতির সৃষ্টি হয় যা একটি প্রাথমিক ইস্পাত শক্তিশালীকরণ পদ্ধতি। পার্লাইট ইস্পাতের সর্বোচ্চ কঠিনতা ব্রিনেল স্কেলে ৪০০ যেখানে মার্টেনসাইট ব্রিনেল স্কেলে ৭০০ পর্যন্ত যেতে পারে। যখন অস্টেনাইট দশা, মার্টেনসাইটের সূচনা তাপমাত্রা(M) এ পৌঁছায় তখন অস্টেনাইট অস্থিতিশীল হয়ে যায় এবং মার্টেনসাইট রূপান্তর বিক্রিয়া শুরু হয়। যখন একে দ্রুত শীতলীকরণ (কোয়েঞ্চিং) করা হয় তখন একটি ক্রমবর্ধমান শতকরা পরিমাণের অস্টেনাইট, মার্টেনসাইটে রূপান্তর হতে থাকে যতক্ষণ না পর্যন্ত নিম্ন রূপান্তর তাপমাত্রা M এ পৌঁছায়, যেখানে এই রূপান্তর প্রক্রিয়ার সমাপ্তি ঘটে। Mতাপমাত্রার নিচে ব্যপন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায় এবং ফেরাইট-সিমেন্টাইট দশা গঠিত হতে পারেনা। M এর নিচের তাপমাত্রায় তাৎক্ষনিকভাবে বিভক্তিকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেহ-কেন্দ্রিক-টেট্রাগোনাল কাঠামো তে রূপান্তর ঘটে যেখানে কার্বন পরমাণু দ্রবীভূত থাকতে পারে। লোহার দেহ কেন্দ্রিক টেট্রাগোনাল কাঠামো তে কার্বনের কঠিন দ্রবণ দশা তথা মার্টেনসাইট দশা খুবি অস্থিতিশীল একটি দশা যা খুবই উচ্চ পীড়নে থাকে এবং আণুবীক্ষণ যন্ত্রে একে একগোছা সূচের মত দেখায়। একটি ইউটেকটয়েড ইস্পাতে (০.৭৮% কার্বন),৬-১০% এর মত অস্টেনাইট বাকি থাকে যাকে সংরক্ষিত অস্টেনাইট বলা হয়। ইস্পাতে কার্বনের শতকরা পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে সংরক্ষিত অস্টেনাইটের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ০.৬% কার্বন ইস্পাতে খুব তুচ্ছ পরিমাণে সংরক্ষিত অস্টেনাইট থাকে যা ০.৯৫% কার্বন ইস্পাতে বেড়ে ১৩% সংরক্ষিত অস্টেনাইট হয় এবং ১.৪% কার্বন ইস্পাতে আরো বেড়ে ৩০%-৪৭% পর্যন্তও হয়ে থাকে। মার্টেনসাইট গঠিত হওয়ার জন্য খুবই দ্রুতগতির কোয়েঞ্চিং এর প্রয়োজন। পাতলা প্রস্থচ্ছেদের ইউটেকটয়েড কার্বন ইস্পাতের জন্য যদি ৭৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থেকে কোয়েঞ্চিং শুরু করা হয় এবং ৪৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় শেষ করা হয়, তাহলে সম্পূর্ণ পার্লাইট বিহীন মার্টেনসাইট ও খুব সামান্য পরিমাণে সংরক্ষিত অস্টেনাইট গঠিত হওয়ার জন্য প্রক্রিয়াটি মাত্র ০.৭ সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন হতে হবে। যেসব ইস্পাতে ০-০.৬% কার্বন রয়েছে সেসব ইস্পাতে মার্টেনসাইট দশাটি ছিলকে বা ফলা আকারে দৃশ্যমান হয়। যেসব ইস্পাতে ১% এর চেয়ে বেশি পরিমাণে কার্বন রয়েছে সেখানে মার্টেনসাইট একটি ফলক বা প্লেটের মত কাঠামো তৈরি করে যাকে প্লেট মার্টেনসাইট বলা হয়। এই দুইটি শতকরা কার্বনের পরিমাণের মধ্যবর্তী ইস্পাতে মার্টেনসাইট কণার ভৌত রূপ উপর্যুক্ত দুইটি রূপের মিশ্রণ হয়ে থাকে। সংরক্ষিত অস্টেনাইটের পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে মার্টেনসাইটের শক্তি কমতে থাকে। শীতলীকরণের হার যদি সংকট শীতলীকরণ হারের চেয়ে ধীরে হয় তাহলে কিছু পরিমাণে পার্লাইটও তৈরি হয়ে থাকে যা গ্রেইন সীমারেখায় বৃদ্ধি পেতে থাকে যতক্ষণ না M তাপমাত্রায় যাচ্ছে। এরপরে বাকি অস্টেনাইট দশা, ইস্পাতে শব্দের গতির অর্ধেক গতিতে মার্টেনসাইটে রূপান্তরিত হতে থাকে কিছু নির্দিষ্ট ধরনের সংকর ইস্পাতে M তাপমাত্রার নিচে কোয়েঞ্চিং শুরু করে এবং পরবর্তীতে স্থায়ী বিকৃতি করে প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল ২০%-৪০% পর্যন্ত কমানোর মাধ্যমে মার্টেনসাইট দশা তৈরি করা হয়। এই পদ্ধতির মাধ্যমে পরমাণুর স্থানচ্যুতি ঘটে এবং যার ঘনত্ব 10 /সেমি পর্যন্ত হতে পারে। স্থানচ্যুতির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং অধঃক্ষেপের সাহায্যে স্থানচ্যুতিকে নির্দিষ্টভাবে ধরে রাখার মাধ্যমে খুবই শক্ত ও কঠিন ইস্পাত উৎপন্ন করা যায়। এই বৈশিষ্ট্যকে প্রায়ই অনমনীয় সিরামিক যেমন ইট্রিয়া স্ট্যাবিলাইজড জিরকনিয়া ও বিশেষ ইস্পাত যেমন TRIP ইস্পাত তৈরিতে কাজে লাগানো হয়। এভাবে মার্টেনসাইট কে তাপমাত্রা বা পীড়ন দ্বারা প্রবৃত্ত করা যায়। মার্টেনসাইট দশার বৃদ্ধির জন্য খুব কম পরিমাণের তাপীয় সক্রিয়ন শক্তি প্রয়োজন কারণ এই প্রক্রিয়াটি একটি ব্যপনবিহীন রূপান্তর, যার ফলে পরমাণুসমূহের খুব সূক্ষ কিন্তু দ্রুত পুনর্বিন্যাস ঘটে এবং এটি এমনকি ক্রায়োজেনিক তাপমাত্রায়ও সংঘটিত হতে পারে। মার্টেনসাইটের ঘনত্ব অস্টেনাইট অপেক্ষা কম থাকায় মার্টেনসাইট রূপান্তরের কারণে একটি বড় পরিমাণে আয়তনের পরিবর্তন ঘটে। এখানে আয়তনের পরিবর্তনের চেয়েও মোচড় বিকৃতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ যার পরিমাণ ০.২৬ পর্যন্তও হতে পারে এবং এটি মার্টেনসাইট ফলকের আকৃতি নির্ধারন করে। মার্টেনসাইট দশাকে লোহা-কার্বন সাম্য ফেজ ডায়াগ্রামে দেখানো হয়না কারণ এটি একটি অস্থিতিশীল দশা। সুস্থিতি দশাগুলো ধীরগতির শীতলীকরণের মাধ্যমে গঠিত হয় যার কারণে ব্যপন প্রক্রিয়া সংঘটনের জন্য যথেষ্ট সময় পাওয়া যায় যেখানে মার্টেনসাইট সাধারণত দ্রুত গতির শীতলীকরণের মাধ্যমে গঠিত হয়। যেহেতু রাসায়নিক প্রক্রিয়া বা সাম্যাবস্থার অর্জন প্রকিয়া উচ্চ তাপমাত্রায় ত্বরান্বিত হয়, সেহেতু তাপ প্রয়োগে সহজেই মার্টেনসাইট দশা বিনষ্ট হয়। এই প্রক্রিয়াটিকে টেম্পারিং বলা হয়। কিছু সংকর ধাতুতে টাংস্টেনের মতো উপাদান যা সিমেন্টাইটের নিউক্লিয়েশনে বাধা দেয়, তাদের যুক্ত করে প্রভাবটি হ্রাস করা যায়। তবে প্রায়শই এই নিউক্লিয়েশন প্রক্রিয়ার কারণে ক্রিস্টালে পীড়ন কমে যায়। যেহেতু কোয়েঞ্চিং পদ্ধতি কে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন, সেহেতু অনেক ইস্পাত কেই আগে কোয়েঞ্চ করে প্রইয়োজনের চেয়েও বেশি পরিমাণে মার্টেনসাইট দশায় পরিণত করা হয় এবং পরবর্তীতে টেম্পারিং করে এর পরিমাণ প্রয়োগের প্রয়োজনমত কমানো হয়। মার্টেনসাইটের সূঁচের মতো আণুবীক্ষণিক কাঠামোটির কারণে পদার্থে ভঙ্গুরতা আসে। খুব বেশি পরিমাণে মার্টেনসাইট ইস্পাত কে ভঙ্গুর করে তলে আবার খুব সামান্য পরিমাণে থাকলে তা ইস্পাতকে নরম করে তোলে।
1051261
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051261
নাজা
নাজা নাজা (Naja) বা দূধ খরিশ এলাপিডি পরিবারভূক্ত বিষধর সর্পের একটি গণ। এ গণভুক্ত সাপগুলো কোবরা (বাংলায় কেউটে বা গোখরা) নামে পরিচিত । "নাজা" গোত্রের সদস্যরা সর্বাধিক বিস্তৃত এবং "সত্যিকারে" কোবরা হিসাবে পরিচিত। আফ্রিকা, দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে এদের বিভিন্ন প্রজাতি দেখা যায়। বেশ কিছু অন্যান্য এলাপিডি প্রজাতির সাপকে "কোবরা" বলা হয় যেমন কিং কোবরা সাপ "(Ophiophagus hannah)" এবং রিঙ্কলস "(Hemachatus haemachatus)," কিন্তু এগুলো কোনটিই সত্যিকারের কোবরা নয়। এগুলি প্রকৃত কোবরা নয় কারণ এগুলি "নাজা" গোত্রের নয়, পরিবর্তে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা প্রজাতির (মনোটাইপিক জেনার)। রিঙ্কলস প্রজাতির গোত্র হল "হেমাচ্যাটাস" এবং "ওফিওফাগাস" গোত্র হল কিং কোবরা/হামাদ্রিয়াদ সাপের। সাম্প্রতিককালে, "নাজা" বংশের ২০ থেকে ২২ প্রজাতি ছিল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি বেশ কয়েকটি ট্যাক্সনোমিক সংশোধনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। সুতরাং উত্সগুলি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়। ব্যাপক সমর্থনসহ ২০০৯ এর সংশোধনে বিদ্যমান গণ "বোলেঞ্জেরিনা" এবং "পারঞ্জাকে" "নাজা" গণে আনা হয়েছে। এই সংশোধন অনুসারে, "নাজা" গোত্রের মধ্যে এখন ৩৮টি প্রজাতি রয়েছে। এই বংশের নামের উৎপত্তি সংস্কৃত "নাগা (অর্থ "সাপ") থেকে" এসেছে। কেউ মনে করে, সংস্কৃত শব্দ সমানজাতীয়ের সঙ্গে ইংরেজি "দ্য স্নেক", জার্মানিক: "* snēk-A-," প্রোটো-আই ই : "* (গুলি) nēg-o-," মিশ্রিত হয়ে এসেছে কিন্তু এই সম্ভাবনা কম। ম্যানফ্রেড মায়রহোফার এই ব্যুৎপত্তি "বিশ্বাসযোগ্য না" বলে অভিমত ব্যক্ত করেন এবং একটি আরো বিশ্বাসযোগ্য ব্যুত্পত্তি শব্দকে সংযুক্ত করে বলে জানান সেটি হল সংস্কৃত "nagna" (নগ্ন) যার অর্থ করলে দাড়ায় "চুল বিহিন, নগ্ন"। "নাজা" প্রজাতিগুলির দৈর্ঘ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় এবং বেশিরভাগ তুলনামূলকভাবে সরু-দেহযুক্ত সাপ। দৈর্ঘ্য বেশিরভাগ প্রজাতিই গর্জনে সক্ষম। বড় আকারের কয়েকটি প্রজাতির কোবরার সর্বাধিক দৈর্ঘ্য , যার মধ্যে ফরেষ্ট কোবরা যুক্তিযুক্তভাবে দীর্ঘতম প্রজাতি। সকলেরই তাদের দেহের সম্মুখভাগগুলি স্থল থেকে বাড়িয়ে তুলতে এবং সম্ভাব্য শিকারীর কাছে আরও বড় দেখাতে তাদের ঘাড় ফোলাবার বৈশিষ্ট্যগত দক্ষতা রয়েছে। "নাজা" গণের সমস্ত প্রজাতি মানুষের জন্য মারাত্মক বিষ কামড়ের মাধ্যমে সরবরাহ করতে সক্ষম। বেশিরভাগ প্রজাতির মারাত্মক নিউরোটক্সিক বিষ রয়েছে, যা স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, পক্ষাঘাত সৃষ্টি করে। তবে অনেকের মধ্যে সাইটোঅক্সিক বিষও রয়েছে যা শরীর ফোলা ও নেক্রোসিস সৃষ্টি করে এবং এন্টিকোয়াকুল্যান্টের প্রভাব তৈরি করতে সক্ষম। কারও কারও বিষে কার্ডিওটক্সিক উপাদান রয়েছে। বেশ কয়েকটি "নাজা" প্রজাতিকে বিষ নিক্ষেপকারী কোবরা হিসাবে উল্লেখ করা হয়, তাদের একটি বিশেষ বিষ ছুড়ে মারার ব্যবস্থা রয়েছে। এ ব্যবস্থায় তাদের সম্মুখের দাত নিচের দিকে বিষ নির্গমন করার পরিবর্তে সামনের দিকেও বের করার জন্য পৃষ্ঠে সংক্ষিপ্ত, বৃত্তাকার ছিদ্র থাকে (হাইপোডার্মিক সূঁচের অনুরূপ), যা মুখের বাইরে বিষকে বের করে দেয় একটি পিচকারির মত। তারা নির্ধারিত লক্ষ্যে কত পরিসীমায় এবং নির্ভুলভাবে বিষকে ছুড়ে দিতে পারে তা বিভিন্ন প্রজাতি ভেদে বিভিন্ন তবে এটি প্রাথমিকভাবে তাদের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহৃত হয়। কাটাছেড়াবিহিন ত্বকে বিষটির সামান্য বা কোনও প্রভাব নেই, তবে এটি যদি চোখে প্রবেশ করে তবে তা তাত্ক্ষণিকভাবে এবং পুরোপুরি ধুয়ে না নিলে এটি মারাত্মক জ্বলুনিসহ সংবেদনশীল অবস্থার সৃষ্টি করে এবং এর ফলে অস্থায়ী, এমনকি স্থায়ী অন্ধত্ব সৃষ্টি করতে পারে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা দেখিয়েছে যে তিনটি বিষ নিক্ষেপকারী কোবরার প্রজাতি ফসফোলাইপাস এ২ স্তরের মাধ্যমে উচ্চতর ব্যথা-প্ররোচনামূলক ক্রিয়াকলাপে বিকশিত হয়েছে, যা বেশিরভাগ কোবরা জীবাণুতে উপস্থিত সাইটোঅক্সিনের অ্যালজেসিক ক্রিয়াকে সক্রিয় করে তোলে। "আফ্রিকান এবং এশিয়ান নাজাতে" বিষ নিক্ষেপকারীর উৎপত্তির সময়টি আফ্রিকার মানব এবং শিম্পাঞ্জির বিবর্তনীয় সময়কে নির্দেশ করে এবং এশিয়ায় "হোমো ইরেক্টাসের" আগমনের সাথে মিলে যায়। লেখকরা তাই অনুমান করেছেন যে দ্বিপদী, সরঞ্জাম-ব্যবহারকারী প্রাইমেটদের আগমন কোবারায় বিষ নিক্ষেপের বিবর্তনের কারণ হতে পারে। "নাজা" প্রজাতিগুলি তাদের ভৌগোলিক পরিসীমা জুড়ে অধিক সংখ্যক কামড় এবং প্রাণহানির কারণে এগুলি চিকিৎসাকার্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সর্প প্রজাতি। এগুলি আফ্রিকা "জুড়ে (নাজা হাজের" সাহারার কিছু অংশ সহ), দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে রয়েছে। কিছু কিছু কোবরা প্রজাতির দ্বারা প্রায় ৩০-৪০% কামড় বিষহীন (ড্রাই) কামড় হয়, ফলে এনভেনোমেশন হয় না (শুকনো কামড় কোনও বিষাক্ত সাপের কামড় যাতে বিষ ইনজেকশন দেয় না)। এই গণে বেশ কয়েকটি প্রজাতির কমপ্লেক্স রয়েছে যা ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং প্রায়শই অনুরূপ চেহারাযুক্ত। প্রজাতিগুলির মধ্যে কয়েকটি রয়েছে যা সম্প্রতি বর্ণিত বা সংজ্ঞায়িত হয়েছে। বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক ট্যাক্সোনমিক গবেষণা প্রকাশ করেছে যে প্রজাতির আইটিআইএসের বর্তমান তালিকার অন্তর্ভুক্ত নয়: বিলুপ্ত প্রজাতি
1051263
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051263
পূর্ব জেরুসালেম
পূর্ব জেরুসালেম পূর্ব জেরুসালেম (, ; , ) মধ্যপ্রাচ্যের জেরুসালেম নগরীর পূর্বভাগের একটি অংশ যা ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় জর্দান দ্বারা অধিকৃত ছিল। এর বিপরীতে নগরীর পশ্চিমভাগ, যার অপর নাম পশ্চিম জেরুসালেম, ইসরায়েলের অধিকারে ছিল। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের পর থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুসালেমকে ইসরায়েলি অধিকৃত ভূখণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে আসছে। পূর্ব জেরুসালেম এলাকাটিতে জেরুসালেমের পুরাতন শহর এবং ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম ও ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র কয়েকটি স্থান অবস্থিত, যাদের মধ্যে রয়েছে হারাম আল শরিফ, পশ্চিম প্রাচীর, আল-আকসা মসজিদ, শিলার গম্বুজ এবং যিশুর পূণ্যসমাধি গির্জা। নামে পূর্ব জেরুসালেম হলেও পূর্ব জেরুসালেমে পুরাতন শহরের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণের বেশ কিছু এলাকা অন্তর্ভুক্ত। পূর্ব জেরুসালেমের অপেক্ষাকৃত ব্যাপকতর সংজ্ঞা গণনায় ধরলে এটি পশ্চিম জেরুসালেমের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণেও প্রসারিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অবৈধ গণ্য করে, কিন্তু ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আইনের এই ব্যাখ্যার বিরোধিতা করেছে। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের সময় জর্দান ও ইসরায়েলের মধ্যে জেরুসালেমের কর্তৃত্ব নিয়ে সংঘাত হয়েছিল। যুদ্ধশেষে দেশ দুইটি গোপনে নগরীটিকে বিভক্ত করার ব্যাপারে একটি রফা করে, যেখানে এর পূর্ব অংশটি জর্দানের শাসনাধীন এলাকায় পরিণত হয়। ১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে স্বাক্ষরিত ১৯৪৯-এর যুদ্ধবিরতি চুক্তিসমূহের (রোডস চুক্তি) এই ব্যবস্থাটি বিধিবদ্ধ রূপ পায়। ইসরায়েলি নেতা দাভিদ বেন গুরিয়ন ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে এই বিবৃতি দেন যে "ইহুদি জেরুসালেম ইসরায়েল রাষ্ট্রের একটি অঙ্গীভূত, অবিচ্ছেদ্য অংশ"। এর পরের বছর জর্দান পূর্ব জেরুসালেমকে অঙ্গীভূত করে নেয়। এই সিদ্ধান্তগুলি ইসরায়েলি আইনসভা ক্নে‌সেতে ১৯৫০ সালের জানুয়ারিতে এবং জর্দানের আইনসভা সংসদে ১৯৫০ সালের এপ্রিল মাসে নিশ্চিত করা হয়। ১৯৬৭ সালের ছয়-দিনের যুদ্ধশেষে পূর্ব জেরুসালেম বর্ধিত সীমানাসহ ইসরায়েলের সরাসরি নিয়ন্ত্রণাধীনে চলে আসে। ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও) ১৯৮৮ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ঘোষণাতে বলে যে জেরুসালেম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী। ২০০০ সালে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জেরুসালেমকে রাজধানী ঘোষণা দিয়ে একটি আইন পাস করে। ২০০২ সালে ফিলিস্তিনের প্রধান ইয়াসির আরাফাত এই আইনটি অনুমোদন করেন। তখন থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুসালেমে পিএলও-র সাথে সম্পর্কিত সমস্ত কার্যালয় ও বেসরকারী সংস্থাকে বন্ধ করে দেয় এবং বলে যে অসলো চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিনি জাতীয় কর্তৃপক্ষের পূর্ব জেরুসালেমে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার অনুমতি নেই। ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি ২০১৭ সালের ১৩ই ডিসেম্বর পূর্ব জেরুসালেমকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দান করে। ২০১৭ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন রাষ্ট্রপতি হবার পরে পূর্ব জেরুসালেমে ইসরায়েলি বসতি বা ভবন নির্মাণের অনুমতির বার্ষিক সংখ্যা প্রায় ৬০% বৃদ্ধি পায়। ১৯৯১ সাল থেকে পূর্ব জেরুসালেমের সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিলিস্তিনি সম্প্রদায় কেবলমাত্র ৩০% নতুন ভবন নির্মানের অনুমতি লাভ করেছে।
1051266
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051266
গিম্বাপ
গিম্বাপ গিম্বাপ বা কিম্বাপ (কোরীয় ভাষায় 김밥 ), হল কোরীয় এক জনপ্রিয় খাবারের নাম। যা সামুদ্রিক শৈবাল, ভাত, বিভিন্ন সবজি, বিভিন্ন মাছ, মাংস, ডিম দিয়ে তৈরি করা হয়। "গিম্বাপ" সাধারণত রোল করে ছোট ছোট অংশে কেটে পরিবেশন করা হয়। গিম্বাপের সঙ্গে অনেক সময় হলুদ রঙের মুলো বা কিমচি পরিবেশন করা হয় (কিমচি হল কোরীয় ঐতিহ্যবাহী চীনা বাঁধাকপির আচার)। গিম্বাপে কোন তরল পদার্থ থাকে না। সাধারণত আ্যলুমিনিয়ামের ফয়েলে জরিয়ে বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করা হয়। গিম্বাপ খুব সহজেই যে কোন স্থানে সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া যায় এবং এতে চাল ও বিভিন্ন সবজি থাকায় কোরীয় মানুষ গিম্বাপকে স্বাস্থ্যকর ও সুবিধাজনক খাবার বলে মনে করে। গিম বা কিম (কোরীয় ভাষায় 김 ) এর অর্থ হলো খাবার যোগ্য সামুদ্রিক শৈবাল এবং বাপ্ (কোরীয় ভাষায় 밥)  শব্দের অর্থ হলো রান্না হওয়া চাল বা ভাত।  এই দুটি শব্দ একত্রে মিলিত হয়ে "গিম্বাপ" তৈরি হয়েছে। কোরীয় ভাষায় এই "গিম্বাপ" শব্দটি খুব সম্প্রতি যুক্ত করা হয়েছে। প্রাচীন কোরিয়ার জোসন্ যুগে (১৩৯২ -১৮৯৭)  গিম্বাপের মতো অনুরূপ সামুদ্রিক শৈবাল জরানো এক ধরনের খাবারের প্রচলন ছিল যাকে "বোকশাম্" (কোরীয় ভাষায়  복쌈) বলা হতো। ১৯৩৫ সালে কোরীয়ার একটি সংবাদপত্রে "গিম্বাপ" শব্দটি ব্যবহার করা হলেও সেই সময় জাপানি শব্দ "নোরিমাকি" (জাপানি ভাষায় "নোরি " মানে সামুদ্রিক শৈবাল) বেশি ব্যবহার করা হতো। নোরিমাকি ও গিম্বাপ এই দুটি শব্দই একসাথে ব্যবহার করা হয়েছে যতদিন না পর্যন্ত "গিম্বাপ"-কে সার্বজনীন শব্দ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। কোরিয়ার গিঅংসাং এবং জেওল্লা প্রদেশে ১৫ শতাব্দীর দিকে বিভিন্ন বই যেমন, " গিঅংসাং-দো-জিরিজি", "সিনজিউং-দংগুক-ইওজি-সংনাম" -এ "গিম্বাপ" এর উল্লেখ পাওয়া যায়। আধুনিক "গিম্বাপ" এর উৎপত্তি সম্পর্কে অনেক ধরনের পরস্পর বিরোধী বিবরণ রয়েছে। কোন কোন ঐতিহাসিক মনে করেন, জাপানের অধীনে থাকার সময় জাপানি খাবার "নোরিমাকি" যা "গিম্বাপের" অনুরূপ খাবারের সাথে কোরীয়রা পরিচিত হয়। "গিম্বাপের" সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তত্ত হল, প্রাচীন কোরীয় "বোকশাম্" নামক চাল ও সামুদ্রিক শৈবালের তৈরি খাবার থেকে আধুনিক "গিম্বাপ" এর সৃষ্টি। "গিম্বাপ" তৈরির প্রধান উপাদান হল, সামুদ্রিক শৈবাল এবং ছোট দানাযুক্ত সাদা বা কালো ভাত। গিম্বাপের বৈচিত্র্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয়, যেমন গাজর, শশা, কাঁকড়ার মাংস, হ্যাম, চিজ, কিমচি, ইত্যাদি। "গিম্বাপ" তৈরি করতে গেলে শুকনো সামুদ্রিক শৈবালকে হালকা আঁচে সেঁকে নিয়ে রান্না করা চালের সঙ্গে লবণ ও তিলের তেল মিশিয়ে সামুদ্রিক শৈবালের ওপর সমপরিমাণে দিয়ে একটি স্তর বানিয়ে তার ওপরে অন্য উপকরণ যেমন চিজ, ডিম, স্কুইড, কিমচি, গাজর, শশা, কাঁকড়ার মাংস, হ্যাম ইত্যাদি শরু ও লম্বা করে কেটে সাজিয়ে নিয়ে সামুদ্রিক শৈবালটিকে ভালো করে রোল করে তৈরি করা হয়। কোরীয়ায় বিভিন্ন ধরনের "গিম্বাপ" পাওয়া যায় ‌, যেমন-
1051270
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051270
কাঁচা লোহা
কাঁচা লোহা কাঁচা লোহা বা ক্রুড আয়রন / পিগ আয়রন হচ্ছে লৌহশিল্প বা আয়রন ইন্ডাস্ট্রিতে স্টিল উৎপাদনের সময় ব্যবহৃত এক প্রকার মধ্যম শ্রেণীর উৎপাদ, যা লোহার আকর বা খনি থেকে বাত্যাচুল্লীর মাধ্যমে আহরণ করা হয়। কাঁচা লোহাতে কার্বনের পরিমাণ থাকে প্রায় ৩.৮-৪.৭% পর্যন্ত, যা অত্যন্ত বেশি। এছাড়াও থাকে সিলিকা ও ড্রসের অন্যান্য উপাদান, এসব উপাদানের দরুণ কাঁচা লোহা অনেক বেশি ভঙ্গুর হয় আর একারণেই, কিছু বিশেষ ব্যবহার ছাড়া কাঁচা লোহার তেমন একটা সরাসরি ব্যবহার চোখে পড়ে না। কাঁচা লোহার জন্য ব্যবহৃত ছাঁচের প্রথাগত আকৃতি দেয়া হয় বালি দিয়ে, সাথে আরো বেশ কিছু ইঙ্গট বা কাঁচা উপাদান ব্যবহার করা হয় সঠিক পরিমাপে , এরপর একটি কেন্দ্রীয় চ্যানেল বা "রানার" এ নিয়ে ছোট ভাগ বা piglets এ ভাগ করা হয়। ধাতুটি ঠান্ডা হয়ে শক্ত হয়ে যাওয়ার পরে, ছোট ছোট ইনগটগুলি রানার থেকে সহজেই ভেঙে ফেলা যায়, এরপর একে "কাঁচা লোহা" বলা যায়। কাঁচা লোহাকে আবারো গলানোর হবে, তাই এক্ষেত্রে ইনগটগুলির অসম আকার এবং অল্প পরিমাণে বালি অন্তর্ভুক্তি থাকা তেমন কোনো সমস্যা তৈরি করেনা। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, মানবসভ্যতায় বহু আগে থেকেই কাঁচা লোহার ব্যবহারের প্রচলন ছিল। আর সমইয়ের পরিক্রমায় এ লোহা উৎপাদন প্রক্রিয়া অধিক থেকে অধিকতর আধুনিক হচ্ছে। প্রাচীনকালে গুহামানবেরা লোহার খনির আশেপাশে গাছপালা জড়ো করে আগুন জ্বালিয়ে দিত, ফলাফলস্বরূপ বিশুদ্ধ কাঁচা লোহা পাওয়া যেত, যা তারা বিভিন্ন অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার করতো। লোহা বিগলন এবং উৎপাদন প্রাচীন ইউরোপ এবং মধ্য প্রাচ্যে বেশ প্রচলিত ছিল, তবে সেসময় লোহা সরাসরি বিজারণ দ্বারা কারখানায় উৎপাদিত হত। মধ্যযুগের আগে ইউরোপে কাঁচা লোহা তৈরি হয় নি। চীনারা পরে ঝাউ রাজবংশের আমলে কাঁচা লোহা তৈরি করছিল (যা 256 সালে শেষ হয়েছিল) বিসি)। সুইডেনে লাফিট্টনের মতো চুল্লিগুলি দ্বাদশ শতাব্দীর হতে পারে; এবং কিছু মার্ক (বর্তমানে ওয়েস্টফালিয়া, জার্মানি অংশ) ত্রয়োদশ শতাব্দীর। উত্তর ইউরোপীয় এই উন্নতি চীনাদের দ্বারা উদ্ভূত কিনা তা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ওয়াগনার পারস্যের সাথে সিল্ক রোড এবং ভাইকিং চীনের সাথে পার্সিয়ান যোগাযোগের মাধ্যমে একটি সম্ভাব্য লিঙ্ক সজ্জিত করেছে তবে ভাইকিং সময় এবং ল্যাপিটনের মধ্যে কালানুক্রমিক ব্যবধান রয়েছে। চুল্লীতে লোহার তরল পদার্থের রূপান্তর হওয়া এড়ানো হত, কারণ কাঁচা লোহাটিকে মধ্যযুগীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইস্পাতে পরিণত করা অত্যন্ত ক্লান্তিকর প্রক্রিয়া ছিল। প্রথাগতভাবে, কাঁচা লোহাকে পিটিয়ে ব্যবহারউপযোগী লোহায় পরিণত করা হয় কামারশালায়। এক্ষেত্রে, কাঁচা লোহাকে গলিয়ে বাতাস প্রবেশ করিয়ে চুল্লিতে আলোড়ন করানো হত । এর ফলে দ্রবীভূত অবিশুদ্ধতাগুলো (যেমন সিলিকন) পুরোপুরি জারিত হয়ে যায়। চুল্লীর মধ্যবর্তী পণ্য হিসেবে"পরিশোধিত কাঁচা লোহা" বা "পরিশোধিত লোহা" পাওয়া যায়। কাঁচা লোহা ধূসর লোহা উৎপাদন করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। কাঁচা লোহাকে গলিয়ে তার সাথে ইস্পাত এবং বর্জিত লোহা প্রচুর পরিমাণে মিশিয়ে, অনাকাঙ্ক্ষিত দূষকগুলি অপসারণ করে এবং কার্বনের উপাদানগুলিকে সামঞ্জস্য করে ধূসর লোহা অর্জন করা হয়। কিছু কাঁচা লোহা নমনীয় লোহা উৎপাদন জন্য উপযুক্ত। এগুলো উচ্চ বিশুদ্ধ কাঁচা লোহা। এরা নমনীয় লোহার উৎপাদনের মানের উপর নির্ভর করে। এই কাঁচা লোহাগুলিতে সিলিকন, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার এবং ফসফরাস জাতীয় উপাদান কম থাকতে পারে। এই ধরনের কাঁচা লোহা একটি নমনীয় লোহার সমস্ত উপাদান (কার্বন ব্যতীত) পাতলা করতে ব্যবহৃত হয় যা নমনীয় লোহা উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। সম্প্রতি অবধি, কাঁচা লোহা বাত্যাচুল্লীর নিচ থেকে সরাসরি ঢেলে দেয়া হত একটি ল্যাডেলে বা বড় ড্রামের মত পাত্রে; এরপর এই তরলাকার লোহাকে কারখানায় নিয়ে যাওয়া হত। এই অবস্থায়, কাঁচা লোহাকে "গরম ধাতু" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তারপরে গরম ধাতুটি ইস্পাত তৈরির জন্য একটি ইস্পাত তৈরির পাত্রে ঢেলে দেওয়া হত, সাধারণত একটি বৈদ্যুতিক ফার্নেস () , আনয়ন চুল্লি () বা বেসিক অক্সিজেন চুল্লি (), যেখানে অতিরিক্ত কার্বন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় এবং খাদ তৈরি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এর জন্য প্রাথমিক প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে, ফাইনারি ফোর্য (), চুল্লি (), বেসেমার প্রক্রিয়া () এবং মুক্ত চুল্লি () অন্তর্ভুক্ত ছিল । আধুনিক ইস্পাত মিলগুলি এবং সরাসরি-বিজারণ পদ্ধতিতে লোহা তৈরির কারখানাগুলোতে, চুল্লিতে তাৎক্ষণিক ব্যবহারের জন্য গলিত লোহা কোনও ল্যাডেল বা পাত্রে স্থানান্তর করে বা পুনরায় ব্যবহার বা পুনর্বিবেচনার জন্য কাঁচা লোহা ঢালাই মেশিনে ফেলে দেয়। আধুনিক কাঁচা লোহা ঢালাই মেশিনগুলি লম্বা কাঠি বা স্টিকের মত লোহা উৎপাদন করে, যা ৪-১০ কেজির মত ছোট ছোট ভাগে নির্গমন হয়।
1051271
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051271
ঐশ্বর্য প্রতাপসিং তোমর
ঐশ্বর্য প্রতাপসিং তোমর ঐশ্বর্য প্রতাপ সিং তোমার (জন্ম ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০০১) একজন ভারতীয় ক্রীড়া শুটার। তিনি ২০১৯ এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনের বিভাগে ব্রোঞ্জ মেডেল জিতেছিলেন এবং ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের পক্ষে কোটা স্থান অর্জন করেছিলেন। ২০০১ সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি মধ্য প্রদেশের খারগোন জেলা রতনপুর গ্রামে তিন সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে ছোট হিসাবে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ঐশ্বর্য। তিনি প্রায়শই বাবা বীর বাহাদুরের সাথে শিকার করতে যেতেন এবং বন্দুককে ভালোবেসে ফেলেন। পরে তার সম্পর্কিত ভাই নবদীপ সিং রাঠোরের কাছ থেকে শুটিংয়ের ব্যাপারে জেনেছিলেন। ২০১২ সালে ভোপালের মধ্য প্রদেশ শুটিং একাডেমিতে তোমার প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছিলেন। ২০১৯ এশিয়ান এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে জুনিয়র ১০ মিটার এয়ার রাইফেল বিভাগে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন ঐশ্বর্য। সুহলে অনুষ্ঠিত ২০১৯ আইএসএসএফ জুনিয়র বিশ্বকাপে, ৪০৯.৩ স্কোর নিয়ে ৫০ মিটার রাইফেল -থ্রি পোজিসন্সে জুনিয়র বিশ্ব রেকর্ড গড়েন এবং স্বর্ণপদক জেতেন। ঐশ্বর্য দোহায় ২০১৯ এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ৫০ মিটার রাইফেল থ্রি পজিশনে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন চূড়ান্তপর্বে ৪৪৯.১ স্কোর করে। তিনি এর মাধ্যমে ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্যে ভারতের দ্বিতীয় কোটা অর্জন করেছিলেন। চৈন সিং ও পারুল কুমারের সাথে তিনি দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
1051274
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051274
২০২১ সালে আফগানিস্তানে হামলার তালিকা
২০২১ সালে আফগানিস্তানে হামলার তালিকা আফগানিস্তান-২০২১ খৃষ্টাব্দে একাধিক সন্ত্রাসী হামলা সংগঠিত হয়েছে। এসব আক্রমণের দরুন অন্ততপক্ষে ১৭৪ জন মারা গিয়েছেন
1051275
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051275
অঙ্গদ বীরসিং বাজওয়া
অঙ্গদ বীরসিং বাজওয়া অঙ্গদ বীরসিং বাজওয়া (জন্ম ২৯শে নভেম্বর ১৯৯৫) একজন ভারতীয় ক্রীড়া শুটার যিনি স্কিট বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি ৬০ এর মধ্যে ৬০ স্কোর করার বিশ্ব রেকর্ড অধিকারী। কুয়েত সিটিতে ২০১৫ সালের এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে অঙ্গদ বাজওয়া ১২১/১২৫ এর শুটিং করে পুরুষদের স্কিটে জুনিয়র এ কক বিবাহগে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন এবং নতুন এশিয়ান জুনিয়র রেকর্ড স্থাপন করেছিলেন। অঙ্গদ বাজওয়া পুরুষদের জুনিয়র দলগত স্কিট বিভাগে অনন্ত নারুকা এবং অর্জুন মানের সাথে স্বর্ণ জিতেছিলেন। বাজওয়া জাকার্তায় ২০১৮ এশিয়ান গেমসে অংশ নিয়েছিলেন যেখানে তিনি ১২৫য়ের মধ্যে ১১৯ স্কোর করেছিলেন এবং চূড়ান্ত পর্বের জন্যে যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হন। তিনি পুরুষদের স্কিট প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত রাউন্ডে ৬০/৬০ এর বিশ্ব রেকর্ড শ্যুট করে কুয়েত সিটির ২০১৮ এশিয়ান শটগান চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন ; এটি একটি মহাদেশীয় বা বিশ্ব-স্তরের টুর্নামেন্টের স্কিট শৃঙ্খলায় ভারতের প্রথম স্বর্ণপদক। ২০২০ সালে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কোনও প্রতিযোগিতা ছাড়াই দীর্ঘকালবাদে ফিরে এসে মিশরের কায়রোতে অনুষ্ঠিত ২০২১য়ের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম বিশ্বকাপ স্কিট দলগত ইভেন্টে তিনি ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে বিশ্বকাপ আসরে, অঙ্গদ এবং তার দল আবার জিতেছিল, এবার কাতারের দলকে ৬ - ২ ব্যবধানে হারিয়ে স্কিট দলগত বিভাগে স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন। কাতারের দলটি বাছাই পর্বে প্রথম স্থান অর্জন করেছিল। একদিন পরে তিনি নিজের গতি অব্যাহত রেখে মিক্সড টিম ইভেন্টে টানা দ্বিতীয় স্বর্ণপদক জিতেছিলেন কাজাখস্তান দলকে ৩৩ - ২৯ ফলাফলে পরাজিত করে। নতুন দিল্লিতে ২০২১ সালের আইএসএসএফ বিশ্বকাপে মৈরাজ আহমদ খান এবং গুরজ্যোত সিংহ খানগুরার সাথে পুরুষদের স্কিট দলগত বিভাগে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন অঙ্গদ বাজওয়া। ২০২০ সালের হিসাবে, বাজওয়া মানব রচনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। তিনি শেরউড কলেজে পড়াশোনা করেন এবং ভ্যানকুভারের ইউবিসি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য কিছু সময় কানাডায় চলে আসেন তবে ২০১৫ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে ভারতে ফিরে আসেন। তাঁর বাবা গুরপাল সিং বাজওয়া কানাডার ব্যবসায়ী ।
1051276
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051276
ইহুদি-খ্রিস্টান
ইহুদি-খ্রিস্টান ইহুদি-খ্রিস্টান (; ; ) পরিভাষাটি খ্রিস্টধর্ম ও ইহুদিধর্মকে একত্রে শ্রেণিবদ্ধ করতে ব্যবহৃত হয়, হয় ইহুদিধর্ম থেকে খ্রিস্টধর্মের উৎপত্তি প্রসঙ্গে, উভয় ধর্মের বাইবেলের সাধারণ ব্যবহার অথবা উভয় ধর্মের মধ্যে উপলব্ধ সমান্তরালতা বা অভিন্নতা ও শেয়ারকৃত মূল্যবোধের কারণে। “ইহুদি-খ্রিস্টান” শব্দটি প্রথম ১৯শ শতকে ইহুদিদের খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করার শব্দ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। জার্মান (যিহূদী খ্রীষ্টান) শব্দটি ফ্রিডরিখ নিৎশে ইহুদি ও খ্রিস্টান বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে ধারাবাহিকতা বর্ণনা করতে ব্যবহার করেছিলেন। স্নায়ুযুদ্ধের সময় এই শব্দটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কমিউনিজমের বিপরীতে অবিচ্ছিন্ন আমেরিকান পরিচয়ের ইঙ্গিত দেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। ধর্মতত্ত্ববিদ ও লেখক আর্থার এ. কোহেন তার ‘দ্য মিথ অব দ্য জুডেও-ক্রিশ্চিয়ান ট্র‍্যাডিশন’ গ্রন্থে যিহূদীয়-খ্রীষ্টীয় ধারণাটির ধর্মতাত্ত্বিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি দাবি করেছেন যে এটি মূলত আমেরিকান রাজনীতির একটি আবিষ্কার ছিল। এর সাথে সম্পর্কিত পরিভাষা “অব্রাহামীয় ধর্মের” মধ্যে ইহুদিধর্ম ও খ্রিস্টধর্ম ছাড়াও ইসলাম, দ্রুজ, বাহাই ধর্ম ও অন্যান্য ধর্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
1051281
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051281
মুস্তাদরাকে হাকিম
মুস্তাদরাকে হাকিম মুস্তাদরাক আল হাকিম () হল পাঁচ খন্ডের একটি প্রসিদ্ধ হাদিস সংকলন গ্রন্থ। গ্রন্থটির প্রকৃত নাম হল "আল মুস্তাদরাক আলাস সাহিহাইন" ()। ইসলামি পণ্ডিত প্রসিদ্ধ সুন্নি মুহাদ্দিস হাকিম নিশাপুরী (নিশাপুর ইরানে অবস্থিত) এটি রচনা করেন। তিনি ৭২ বছর বয়সে হিজরি ৩৯৩ সালে (১০০২-১০০৩ খ্রিঃ) এটি লিখেছিলেন। গ্রন্থটিতে ৯০৪৫ হাদিস রয়েছে। তিনি দাবি করেছিছেন যে, এর হাদিসগুলো সহিহ বুখারি বা সহিহ মুসলিম বা উভয়ের শর্ত অনুসারে সহিহ ছিল।
1051287
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051287
শহুরে কিংবদন্তি
শহুরে কিংবদন্তি একটি শহুরে কিংবদন্তি, শহুরে অতিকথা, শহুরে উপকথা, অথবা "এককালীন কিংবদন্তি" হলো লোককাহিনীর এমন একটি ধরন যেখানে বিশেষত পরিবারের সদস্য বা কোনো বন্ধুর সাথে ঘটে থাকা ভয়ানক সত্যি অভিজ্ঞ্যতার গল্প বলা হয়ে থাকে। এইরকম কিংবদন্তি স্রেফ বিনোদনের জন্য হতে পারে, কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেখা গেছে এগুলিতে রহস্যময় বিপদ বা বিরক্তিকর ঘটনা, যেমন নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং অদ্ভুত বস্তুর বিবরন থাকে। এগুলি নৈতিক মানদণ্ডের সমর্থক হতেও পারে, অথবা কুসংস্কারের সমর্থক, অথবা সামাজিক উদ্বেগের যুক্তিসম্মত কারন। শহুরে কিংবদন্তিগুলি বেশিরভাগ সময় মুখে মুখে প্রচারিত হয়, কিন্তু এটি মিডিয়া, খবরের কাগজ, মোবাইল নিউজ অ্যাপ, ই-মেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও ছড়াতে পারে। অল্প কিছু পরিবর্তনের সাথে কিছু শহুরে কিংবদন্তি বছরের পর বছর চলে এসেছে আঞ্চলিক প্রকরণের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলার জন্য।। লোককথকদের ব্যাবহৃত শব্দ, "শহুরে কিংবদন্তি", ১৯৬৮ সালে যখন রিচার্ড ডোরসন এটিকে ব্যবহার করতেন, সেই সময়ে ছাপানো প্রথম শুরু হয়। উতাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অধ্যাপক জান হ্যারল্ড ব্রুনভান্ড, ১৯৮১ সালের শুরুর দিকে প্রকাশিত বিখ্যাত পুস্তক সিরিজের মাধ্যমে শব্দটির সাথে সাধারণ মানুষদের পরিচয় করিয়ে দেন। ব্রুনভান্ড তার কিংবদন্তি সমগ্র, "দা ভ্যানিশিং হিটচিকার: অ্যামেরিকান আর্বান লেজেন্ডস অ্যান্ড দেয়ার মিনিং" (১৯৮১), ব্যবহার করে দুটি জিনিস দেখান: প্রথমটি হলো, কিংবদন্তি আর লোককথা কেবলমাত্র তথাকথিত পুরনো জায়গায় বা সনাতন সমাজে ঘটে না। দ্বিতীয়টি হলো যে, কেউ এইরকম উপকথা জানার মাধ্যমে শহুরে ও আধুনিক সংস্কৃতির ব্যাপারে বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। বহু শহুরে কিংবদন্তি সম্পূর্নরূপে শুধুমাত্র গল্পকথা চরিত্র নিয়ে সাজানো থাকে। সাধারণ কোনো শহুরে কিংবদন্তিতে রহস্য, ভয়, বা কৌতুক থাকা আবশ্যক। অনেকসময় এগুলি সাবধানতামূলক গল্প হিসেবে কাজ করে। কিছু শহুরে কিংবদন্তি হলো নৈতিক কথা যা ছোটদের মধ্যে খারাপ স্বভাব তৈরির কারন হয়, ফলে তারা সমস্যায় পড়ে, ব্যাথা পায় ও মারাও পড়তে পারে। শহুরে কিংবদন্তি আবার অনেকসময় পাঠকের মনে ঘৃনাও জাগাতে পারে, যে কারণে গল্পগুলি আরো বেশি স্বরনীয় ও অকাট্য হয়। যে কোনো প্রকারের শহুরে কিংবদন্তিতে চমকপ্রদ বিষয়ে ভরপুর থাকে ও তাই এই গল্পগুলি সবার উপর বেশ ভারী প্রভাব বিস্তার করে। একটি শহুরে কিংবদন্তিতে অপার্থিব বা অলৌকিক বিষয়াদি যুক্ত থাকতে পারে। প্রচুর জনপ্রিয় গল্প চেষ্টা করে লৌকিক আর অলৌকিকের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার।। যেমন জান ব্রুনভান্ড বলেছেন, পুরোনো কিংবদন্তিগুলিকে খুব সহজেই তাদের প্রতীকতা ও প্রসঙ্গ দিয়ে চেনা যায়। কেসগুলি অন্তত আংশিকভাবে সত্যি ঘটনায় উদ্বুদ্ধ থাকে, যেমন "দা ডেথ কার" (রিচার্ড ডরসন দ্বারা মিচিগান, যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত তল্লাশি চালানো); "দা সলিড সিমেন্ট কার্ডিলাক" এবং "দা হুক"-এর উৎস সম্ভবত ১৯৪৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সারকানা, টেক্সাস শহরে ঘটে থাকা লাভারস লেন মার্ডারস। যে কিংবদন্তির সাহায্যে কোকা-কোলা তাদের পানীয় ফান্টা নাজি জার্মানিতে কোনো ঝামেলা ছাড়াই বিক্রি করেছিল, সেটি জার্মান ম্যাক্স কেইথ-এর আসল গল্প, যিনি পানীয়টি আবিষ্কার করেছিলেন ও জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন কোকা-কোলার ক্রিয়াকলাপ সক্রিয় রেখেছিলেন। শহুরে কিংবদন্তির কথক বলতে পারে যে এটা তার বন্ধু (বা বন্ধুর কোনো বন্ধুর) সাথে ঘটেছে, এর মাধ্যমে আখ্যানটির সত্যতা ও প্রকৃতি বৃদ্ধি পায় বহু শহুরে কিংবদন্তি ভয়াবহ অপরাধ, বিষাক্ত খাবার, অথবা অন্যান্য পরিস্থিতির কথা চিত্রিত থাকে, যাতে অনেক মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে পারে। এইরকম গল্প যেই শোনে, তার ইচ্ছা করতে পারে প্রিয়জনদের সতর্ক করে দেওয়ার। বিভিন্ন উপলক্ষে, খবর সংস্থা, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও এমনকি পুলিশ বিভাগ সতর্কতা জারি করে দেয় নতুন কোনো বিপদের আশঙ্কায়। "লাইটস আউট" গুজব অনুসারে, স্ট্রিট গ্যাং সদস্যদের হেডলাইট ছাড়াই গাড়ি চালাতে হয় যতক্ষণ না কোনো সকরুণ মোটরচালক এক বিশেষ হেডলাইটের ঝলকানি না দেখায়, এর ফলে নতুন গ্যাং সদস্যকে দীক্ষা হিসেবে একজন সাধারণ নাগরিককে হত্যা করতে হতো। এই কিংবদন্তি নিয়ে একটি ফ্যাক্স নাসসাউ কান্ট্রি, ফ্লোরিডাতে পৌঁছেছিল, দমকল বাহিনী ও পুলিশ, সেখান থেকে শহরের সকল বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছিল। কানাডার জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকেও নিয়ে আসা হয়েছিল; তিনি দ্রুত সংসদের সকল অন্টারিও সদস্যদের জন্যে এক জরুরি সতর্কতা পাঠান। শহুরে কিংবদন্তিতে সাধারণত নিকৃষ্ট উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকে: গল্পটি এমন একজন পুনরায় বলে থাকে যে আসল ঘটনার সাক্ষী বা অংশগ্রহণকারী নয়; তাদের ঘোরতরভাবে সতর্ক করা হয়ে থাকে, যারা কোনো উপদেশ বা থেরেইনের (ই-মেল ফিশিং স্ক্যাম সম্পর্কিত সাধারণ উপাদান) উপরে কোনো শিক্ষা পাত্তাই দেয় না; এবং গল্পটি অনেকসময় "আমার এক বন্ধু আমাকে কিছু বলেছিল" দিয়ে শুরু হয়, এই বন্ধুকে তার প্রথম নাম দিয়েই চেনা যেতে পারে অথবা একেবারেই না চেনা যেতে পারে। এইরকম কিংবদন্তি বিশ্বাসযোগ্য আর এমনকি শ্রোতাকে উত্তেজিতও করে ফেলতে পারে, কিছু পাঠকেরা এগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেয় , এবং এগুলি দেখামাত্রই গোটা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ লোকেদের কাছে পৌঁছে যায়। অনেকগুলি আবার স্রেফ মজা হয়ে থাকে, যেন সেগুলি সত্য ঘটনা। কিছু শহুরে কিংবদন্তি অবিরাম ঘটে থাকে, এগুলির সম্ভব হওয়ার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা থাকে, যেমন গল্পে একটি পেশাদার খুনি ভেবেচিন্তে গাড়ির পেছনের সিটেই লুকিয়ে থাকে। এরকম আরেকটি উদাহরন হলো ১৯৭০ সালের একটি জনপ্রিয় গুজব, যাতে বলা হয় যে প্রোক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল কোম্পানি স্যাটান ওয়ারশিপারসদের সাথে হাত মিলিয়েছিল, কারন তাদের ঊনবিংশ শতকের ট্রেডমার্কে বৈশিষ্ট্য ছিল। কিংবদন্তিটি কোম্পানির ব্যবসায় এমনভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছিল যে তারা এই ট্রেডমার্ক ব্যবহার বন্ধই করে দেয়।। সবথেকে আগে এই আখ্যানগুলিকে "শহুরে বিশ্বাসের গল্প" বলা হতো, বুনিয়াদি বৈশিষ্ট্য হিসেবে যা সেইসময় ভাবা হয়েছিল, এই শব্দটিতে তা লক্ষ্য করা যায়: কথকেরা তাদের গল্প সত্য অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে বলত, এবং বন্ধুদের থেকে শোনা কাহিনীগুলি অনেকটাই কৃত্রিম হতো কিন্তু প্রমাণীকরণে তাৎপর্যপূর্ন কাজ করতো। নবোদ্ভাবিত শব্দটি "এফওএফ্লোর" ও "এফওএএফটেল" শব্দ দুটিকে সূচিত করে। অন্যদিকে অন্তত একটি সর্বোত্তম কিংবদন্তি, "ডেথ কার", কিছু ভিত্তি দেখাতে পেরেছে, লোককথকদের এইসব আখ্যানগুলি অনাবৃত করবার এমন প্রবণতা দেখা যায় যে অনুষদ প্রতিষ্ঠান অনুমান করে এইসব গল্পগুলো বলার, পুনরায় বলার আর বিশ্বাস করার পেছনে কোনো আলাদা কারন রয়েছে। পুরাণের ক্ষেত্রে, আখ্যানগুলিকে বিশ্বাস করা হয় কারন এগুলি যারা শোনে, তাদের জ্ঞানচক্ষু তৈরি ও বৃদ্ধি হয় অথবা, "কারন সেগুলি জটিল ঘটনাদ্বয়ের সুসংগত ও সন্তুষ্টকারী ব্যাখ্যা প্রদান করে"। সমাজ বৈজ্ঞানিকরা শহুরে কিংবদন্তির সাহায্য নিয়ে জটিল আর্থ-সামাজিক বিশ্বাস যেমন অপরাধ, শিশুযত্ন, ফাস্ট ফুড, এসইউভি এবং আরো অন্যান্য "পরিবার" পছন্দের ব্যাখ্যা দিতে পারে। লেখকরা শহুরে কিংবদন্তি ও বিখ্যাত পূরাণের মধ্যে এক পরিষ্কার সম্পর্ক তৈরি করে, যেমন "গ্রিমের রূপকথার গল্প", যেখানে একই থিম আর প্রসঙ্গ উঠে আসে। সেই কারণে, এটি এমন গোষ্ঠীদ্বয়ের একটি বৈশিষ্ট্য স্বরূপ, যেখানে প্রদত্ত আখ্যান আবর্তিত হয়ে অনুষদের বিক্ষোভ বা দাবীকে প্রত্যাখ্যান করে; এইরকম একটি উদাহরন হবে, পুলিশ অফিসারদের ক্ষোভ প্রকাশ, যাদেরকে বলা হয়েছে অপরিচিতদের হ্যালোইন ট্রিট প্রায় কখনোই ভেজাল হয় না।। শহুরে কিংবদন্তিগুলির প্রচার ও প্রকাশ ইন্টারনেট আরো সুবিধাজজক করে দিয়েছে। যেমন ইউজনেট খবরগোষ্ঠি "alt.folklore.urban" এবং অন্যান্য কিছু ওয়েবসাইট; সবথেকে উল্লেখযোগ্য স্নোপস ডট কম, শহুরে কিংবদন্তিগুলির আলোচনা, তল্লাশি ও বিশ্লেষনে নজর রাখে। ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জি একটি নতুন-বন্ধ পরিসেবা ছিল, যার নাম হোক্সবাস্টার্স, যেটি কম্পিউটার-বিতড়িত ধাপ্পাবাজি আর কিংবদন্তিগুলির সাথে মোকাবিলা করতো। সবথেকে উল্লেখযোগ্য ধাপ্পাগুলিকে ক্রিপিপাস্তা নামে জানা হয়, এগুলি সাধারণত অজানা কারোর লেখা ভয়ানক গল্প। যদিও বেশিরভাগগুলিকে অবশ্যই মিথ্যা বলে মর্যাদা দেওয়া হয়েছে, তবুও স্লেন্ডার ম্যান-এর মতো কিছু, বেশ কয়েকজন মানুষদের বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছে। টেলিভিশন শো যেমন "আরবান লেজেন্ডস, "", এবং পরে "", শহুরে কিংবদন্তির কাহিনীগুলি বিশদে পর্যালোচনা করে প্রকাশ করে যে সেগুলির মধ্যে কোনো বাস্তব ভিত্তি আদও আছে কিনা। ডিসকভারি চ্যানেল টিভি শো "মিথবাস্টারস" (২০০৩-২০১৬) কয়েকটি শহুরে কিংবদন্তি প্রমাণ বা খারিজ করার চেষ্টা করে সেগুলি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পুনরায় উপস্থাপনের মাধ্যমে। ১৯৯৮ সালের চলচ্চিত্র "আরবান লেজেন্ডস"-এ দেখা যায় একদল ছাত্রেরা জনপ্রিয় শহুরে কিংবদন্তিগুলি নিয়ে আলোচনা করছে, যখন সেই একই সময়ে তারা কিংবদন্তিগুলির শিকারও হয়ে পড়ছে। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৮ সালের মধ্যে ফিল হিলে ও রিক গ্লানভিল "দা গার্ডিয়ান" খবর কাগজের "উইকএন্ড" বিভাগে "আরবান মিথ" নামের একটি সারি লেখা শুরু করে, সেটি সম্পন্ন করতে তারা চারটি বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে: "আরবান মিথস", "দা রিটার্ন আর আরবান মিথস", "আরবান মিথস আনপ্লাগড", এবং "নাও! দ্যাটস হোয়াট আই কল আরবান মিথস"। রবার্ট বয়েড, জান হ্যারল্ড ব্রুনভান্ড, আর রবার্ট লরেন ফ্লেমিং-এর লেখা ১৯৯৪ সালের কমিক্স সংহিতা "বিগ বুক অফ আরবান লেজেন্ডস"-এ ২০০টি শহুরে কিংবদন্তি কমিক্সের আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। ব্রিটিশ লেখক টনি ব্যারেল শহুরে কিংবদন্তিগুলি "দা সান্ডে টাইমস"-এর একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক সারিতে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। সেখানে একটি গল্পে বলা ছিল ১৯৪০ সালের ব্যাটম্যান চলচ্চিত্রে অরসন ওয়েলস কাজ করা শুরু করেন, যেখানে জেমস ক্যাগনেকে রিডলার ও মারলিন ডাইট্রিচকে ক্যাটওম্যান হিসেবে ভূমিকা দেওয়ার পরিকল্পনা তিনি করেছিলেন; এর মধ্যে একরকম নাছোড়বান্দা গুজব হলো, রক সিঙ্গার কোর্টনি লাভ আসলে মার্লন ব্রান্ডোর নাতনি; এবং ১৯৭০ সালের ফারাহ ফকেটের জনপ্রিয় পোস্টারে তার চুলের মধ্যে একটি গোপন অশ্লীল বার্তা লোকোনো রয়েছে, এইরকম ধারণা। চিরাচরিত শহুরে কিংবদন্তির মধ্যে ইন্টারনেট গুজবগুলির বহুকাংশ আসল বা স্রেফ নকল অপরাধের উপর তৈরি হয়। এইসব কাহিনী খুব মারাত্বক হতে পারে কারন এগুলি আধুনিক যুগের সাথে অত্যন্ত সম্পর্কযুক্ত ও সাধারণ শহুরে কিংবদন্তির আদর্শ মেনে চলে না।। কিছু কিংবদন্তি চিকিৎসা সংক্রান্ত লোককথা হয়, যেমন বলা হয় তরমুজের বীজ খেলে নাকি পেটের ভিতর তরমুজ বেড়ে উঠতে পারে, অথবা চান করার পরেই বাইরে বেরোলে ঠান্ডা লাগতে পারে।। ইন্টারনেটের শহুরে কিংবদন্তিগুলি ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ছড়িয়ে যায়, যেমন ইউজনেট বা ইমেল অথবা সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া। এগুলি ভাইরাল অনলাইন প্রসঙ্গের সাথে জড়িত থাকতে পারে। কিছু আবার চেন লেটারসের আকার ধারণ করে এবং ই-মেলের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায়, পাঠককে এগুলি শেয়ার করতে বলা হয় অথবা ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর কিছু ঘটার আশঙ্কা দেওয়া হয়, এবং চিনতে পারার মতো ফাঁদ, হুমকি, ও শেষপর্যন্ত অনুরোধ অনুসরণ করতেও বলা হয়। অন্যগুলো হলো জাল ভাইরাস সতর্কতা, লোকেদের কম্পিউটারে অস্তিত্বহীন ভাইরাসের জন্যে সতর্কতা করা, এগুলিকে বেশিরভাগ সময়েই শুধুমাত্র অনলাইন বিতরন বা স্টোর কুপনের পপ-আপ হিসেবে প্রত্যক্ষ করা যায়।। এই গল্পগুলিতে কেউ একজন অপার্থিব কিছু অভিজ্ঞ্যতার কবলে পড়ে, যেমন ক্রিপ্টিড— বিগফুট বা মথম্যান, কিংবদন্তি প্রাণী যাদের প্রমাণ এখনো খোঁজা হয়ে চলেছে কিন্তু প্রচুর মানুষ এদের উপর বিশ্বাস রাখে। অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, যে ব্যক্তিরা হঠাৎই এইরকম আশ্চর্যজনক ঘটনা (যেমন বিগফুট দেখতে পাওয়া) প্রত্যক্ষ করে, তারা ঘটনাটিকে অতিমাত্রায় বাড়িয়ে বলে।। অভিযোগ করা হয়েছে যে কোম্পানিরা তাদের লোগো বা প্যাকেজিং-এর পেছনে "গোপন বার্তা" লুকিয়ে রাখে। পুরোনো প্রোক্টার অ্যান্ড গ্যাম্বল প্রতীকে, এক গুপ্ত চিহ্ন বর্ণিত আছে। (যদি প্রতীকের তেরোটি তারা একটি নির্দিষ্ট উপায়ে একে অপরের সাথে যুক্ত করা হয় তো একটি সারিতে তিনটি ছয় পাওয়া যায়।) এরূপ আরেকটি খ্রিস্টান মহিলার ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি হিব্রিউ বর্নমালার প্রতীকের মাধ্যমে ৬৬৬ সংখ্যার আড়ালে পশু শক্তি "উন্মুক্ত" করছে, এটি ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে যায়। হালকা দিকে, শহুরে কিংবদন্তির সাহায্যে বিজ্ঞাপন প্রচারেও সুবিধা হয়। এদের মধ্যে কয়েকটি জনপ্রিয় উদাহরন হবে, জ্যাক লিঙ্কের বিফ জার্কির জন্যে সাসকোয়াচের ব্যবহার, আইসব্রেকারস বিজ্ঞাপনে ইউনিকর্নের ব্যবহার। আরেকটি হলো রাজ্যের বিখ্যাত ক্রিপ্টিড জার্সি ডেভিলের নামানুসারে হকি টিমের নাম দেওয়া, নিউ জার্সি ডেভিলস।।
1051288
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051288
সমতাপীয় রূপান্তর ডায়াগ্রাম
সমতাপীয় রূপান্তর ডায়াগ্রাম সমতাপীয় রূপান্তর ডায়াগ্রামগুলো সময়-তাপমাত্রা-রূপান্তরঃ (Time-Temperature-Transformation (TTT ) ডায়াগ্রাম হিসাবেও পরিচিত) এই ডায়াগ্রাম গুলোতে তাপমাত্রা বনাম সময়(লগারিথমিক স্কেলে ) প্লট করা হয় । এই ডায়াগ্রামগুলো তৈরি করা হয় শতকরা রূপান্তর বনাম সময়ের পরিমাপ থেকে এবং উচ্চ তাপমাত্রায় সংকর ইস্পাতের রূপান্তর বোঝার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট কম্পোজিশনের পদার্থ এবং যদি রূপান্তরের সময় একটি সুনির্দিষ্ট তাপমাত্রা থাকে ও দ্রুতগতির শীতলীকরণের মাধ্যমে ওই তাপমাত্রায় আনা যায় তবেই কেবলমাত্র সমতাপীয় রূপান্তর ডায়াগ্রাম তৈরি করা যায়। যদিও এই ডায়াগ্রামটি সাধারণত রূপান্তরের গতিবিজ্ঞান বর্ণনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়, সিরামিক ও অন্যান্য পদার্থের ক্রিস্টালীকরণের গতিবিদ্যাও এর দ্বারা বর্ণনা করা যেতে পারে। সময়-তাপমাত্রা-অধঃক্ষেপের ডায়াগ্রাম এবং সময়-তাপমাত্রা-ভঙ্গুরতা ডায়াগ্রামগুলি ইস্পাতের রূপান্তরের গতিবিজ্ঞান উপস্থাপন করতেও ব্যবহৃত হয়েছে। সমতাপীয় রূপান্তর (Isothermal Transformation- IT) ডায়াগ্রাম বা সি-বক্ররেখাগুলো যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্য, যেমনঃ আণুবীক্ষণিক উপাদান / আণুবীক্ষণিক কাঠামো এবং কার্বন ইস্পাতের তাপীয় চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত। ব্যাপনসহ রূপান্তরসমূহ (যেমনঃ অস্টেনাইট থেকে সিমেন্টাইট ও ফেরাইটের মিশ্রণ এর উৎপত্তি) সিগমোয়ডাল বক্ররেখার (S আকৃতির) সাহায্যে ব্যখ্যা করা যায়, উদাহরণস্বরূপঃ পার্লাইটিক রূপান্তরের সূচনাকে পার্লাইট শুরুর বক্ররেখা (P) দ্বারা উপস্থাপন করা হয়। P বক্ররেখায় এসে এই রূপান্তরটি সম্পন্ন হয়। নিউক্লিয়েশন হওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পরিসরের প্রয়োজন হয়। গলনাঙ্ক থেকে তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে নিউক্লিয়েশনের হার বাড়তে থাকে (এবং আণুবীক্ষণিক উপাদানের বৃদ্ধি কমতে থাকে) এবং বক্ররেখার মাঝামাঝি বা নাকের মত অংশ বরাবর এসে এর পরিমাণ সর্বোচ্চ হয়। পরবর্তীতে, মুক্ত শক্তির পরিমাণের বিশাল পার্থক্যের প্রভাবে চালিকা শক্তির বৃদ্ধি যাকে নিম্ন তাপমাত্রা অফসেট বলা হয়, তার কারণে ব্যপনের হার কমে যায়। এই রূপান্তরের ফলে আণুবীক্ষণিক উপাদান, পার্লাইট এবং বেনাইট গঠিত হয়। উচ্চ তাপমাত্রায় পার্লাইট এবং নিম্ন তাপমাত্রায় বেনাইট তৈরি হয়। চিত্রে, রূপান্তর সূচনা রেখার সর্ববামের বিন্দুটি এই ডায়াগ্রামের নাক হিসেবে প্রচলিত। ৫০% চিহ্নিত রেখাটি যা শুরু এবং শেষ রূপান্তর রেখাদ্বয়ের মধ্যে অবস্থিত, তা দ্বারা প্রতিটি তাপমাত্রায় অস্টেনাইটের ৫০% রূপান্তর হতে কি পরিমাণ সময়ের প্রয়োজন তা বোঝা যায়। ইউটেকটয়েড তাপমাত্রার নিচে কোয়েঞ্চ করা হলে অস্টেনাইট পুরোপুরিভাবে শীতল হতে পারে না। আরো সময় দেওয়া হলে স্থিতিশীল আণুবীক্ষণিক উপাদান গঠিত হতে পারে যেমনঃ ফেরাইট এবং সিমেন্টাইট। পার্লাইট দশা সূচিত হবার পরে যখন পরমাণুগুলো খুব দ্রুততার সাথে ব্যাপিত হয় তখন অমসৃণ পার্লাইট তৈরি হয়। এই রূপান্তরটি পার্লাইট সমাপ্তি রেখার সময়ে (P) এসে সম্পন্ন হয়। তবে দ্রুত কোয়েঞ্চিং এর দ্বারা সৃষ্ট আন্ডারকুলিং (সম্পূর্ণ শীতল না হওয়া) হলে তখন পার্লাইট তৈরি না হয়ে মার্টেনসাইট অথবা বেনাইট তৈরি হয়। শীতলীকরণের হার যদি এমন হয় যে শীতলীকরণ বক্ররেখাটি P বক্ররেখাকে ছেদ করার পূর্বেই মার্টেনসাইট সূচনা তাপমাত্রা বা বেনাইট সূচনা বক্ররেখাকে ছেদ করে তবেই উপর্যুক্ত রূপান্তরটি হতে পারে। মার্টেনসাইট রূপান্তর একটি ব্যপনবিহীন বিকৃত রূপান্তর হওয়ায়, একে মার্টেনসাইটের সূচনা তাপমাত্রায় একটি সরলরেখা দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
1051289
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051289
সন্ত যোষেফ
সন্ত যোষেফ সন্ত যোষেফ (ইংরেজি উচ্চারণে সেইন্ট জোসেফ) (; ; ) হলেন আনুশাসনিক সুসমাচারসমূহের একজন চরিত্র যিনি যীশুর মাতা মরিয়মের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন এবং যীশুর আইনসম্মত পিতা ছিলেন। সুসমাচারসমূহে যীশুর ভাইদের নাম রয়েছে; ২য় শতাব্দীর শেষভাগে রচিত অপ্রামাণিক যাকোবের সুসমাচার যীশুর এই ভাইদের সন্ত যোষেফের পূর্বের বিবাহজাত সন্তান হিসাবে তত্ত্বায়ন করে৷ এই অবস্থানটি এখনও অর্থডক্স মণ্ডলীসমূহ ধারণ করে, তবে পশ্চিমা মণ্ডলীসমূহ যিরোমের সেই যুক্তি ধরে রেখেছে যে যোষেফ ও মরিয়ম উভয়ই আজীবন কুমার-কুমারী ছিলেন এবং যীশুর ভাইয়েরা তার কাজিন ছিলেন। ঐতিহাসিক চরিত্র হিসাবে যোষেফ সংক্রান্ত পরিপ্রেক্ষণ সুসমাচার পুস্তকগুলোর ধর্মতাত্ত্বিক পাঠ থেকে ভিন্ন। যোষেফকে সন্ত যোষেফ হিসাবে ক্যাথলিক মণ্ডলী, পূর্ব অর্থডক্স মণ্ডলী, প্রাচ্যদেশীয় মণ্ডলী, ইঙ্গবাদ ও লুথারীয়বাদে শ্রদ্ধা করা হয়।
1051294
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051294
কিতাবুল আসার
কিতাবুল আসার কিতাবুল আসার (আরবি: كتاب الآثار ; ইংরেজি: "Kitabul Asar"), ইমাম আবু হানিফার ছাত্র ইমাম মুহাম্মদ ইবনে হাসান শাইবানী (১৩২ হিজরী - ১৮৯ হিজরি) রচিত পূর্ববর্তী একটি হাদিস গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি একদা ইমাম আবু হানিফার প্রতি আরোপ করা হয়েছে। বইটিতে মাকতাবা শামিলা অনুসারে প্রায় এক হাজার হাদিস রয়েছে। এটি রচিত প্রাচীনতম হাদিস গ্রন্থগুলির মধ্যে একটি। বইটিতে অনেক হাদিস রয়েছে যা নবী মুহাম্মদের সাথে সরাসরি সংযুক্ত রয়েছে অন্যদিকে সাহাবা (নবি মুহাম্মদের সাহাবী) এর বর্ণনা রয়েছে। এর কিছু হাদিস সাহাবাদের ছাত্রদেরও রয়েছে বলে আরোপিত করা হয়েছে। বইটি বিশ্বের অনেক প্রকাশনা সংস্থা প্রকাশ করেছে:
1051301
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051301
সিঙ্গার বাংলাদেশ
সিঙ্গার বাংলাদেশ সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি সেলাই মেশিন প্রস্তুতকারক কোম্পানি। কোম্পানিটি ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক যুগে সেলাই মেশিনের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ শুরু করে। ধীরে ধীরে বৃদ্ধির মাধ্যমে এটি এখন সেলাই মেশিনের পাশাপাশি ভোক্তা ইলেকট্রনিক্সের অন্যতম নির্মাতা এবং পরিবেশক। ১৯০৫ সালে সিঙ্গার বাংলাদেশের প্রথম কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯২০ সালে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি দোকান স্থাপন করা হয়। ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশের বিভাজনের পর বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান হিসাবে অভিভূত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে সিঙ্গার পাকিস্তানের একটি শাখা পরিচালিত হত এবং পণ্যগুলি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আসত। প্রাথমিকভাবে, মাত্র ১০ টি দোকানে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল, যা ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে ৪৩ এ উন্নীত হয়েছিল। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের পর নতুন করে উদীয়মান দেশ বাংলাদেশে সিঙ্গারকে তার কার্যক্রম ২৩টি দোকানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হয় এবং শাখা অফিসটিকে দেশের অফিসে উন্নীত করা হয়। ১৯৭৯ সালে বিনিয়োগ নীতিতে পরিবর্তন নতুন ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করে এবং এইসময় সিঙ্গার একটি অপারেটিং কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধিত হয়, ১৯৮০ সালে চট্টগ্রামে প্রতি বছর ১০০০০ ইউনিট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেলাই মেশিন উৎপাদন কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৯ সালে ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে প্রতি বছর ২৫০০০ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। যদিও সেলাই মেশিন সিঙ্গারের মূল ব্যবসা, সিঙ্গার বাংলাদেশের ব্যবস্থাপকগণ উপলব্ধি করেছেন যে দীর্ঘমেয়াদে টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য এটিকে তার উৎপাদিত পণ্যে আরও বৈচিত্র্য আনতে হবে। এই উপলব্ধি সিঙ্গার কে অসংখ্য পরিসরে পণ্যের বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে। ১৯৮৫ সালে, সিঙ্গার ভবিষ্যতের বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের জন্য একটি একক পণ্য থেকে একটি মাল্টি-প্রোডাক্ট কনজিউমার টেকসই সংস্থায় রূপান্তরিত হতে শুরু করে। ১৯৯৩ সালে, কোম্পানি তার নতুন অডিও ভিডিও প্ল্যান্ট এবং ১৯৯৬ সালে, ওয়াশিং মেশিন অ্যাসেম্বলিং বিভাগ প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে কোম্পানি মোটর সাইকেল একত্রিত করার উদ্যোগ নেয় এবং ২০০৬ সালে বিভিন্ন ধরনের তার (দেশীয় ও বিদ্যুৎ তার) উৎপাদন শুরু করে। মার্চ ২০১৯ সালে আর্কেলিক এবং রিটেইল হোল্ডিংস এনভি সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডের ৫৭% শেয়ার কিনে নেয়। 'সিঙ্গার ফর সোসাইটি' প্রকল্পের অংশ হিসেবে সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ঢাকার ও বাইরের তিনটি হাসপাতালে কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্র দান করে। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পরপরই তারা সারা দেশের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে রেফ্রিজারেটর, ওয়াশিং মেশিন এবং মাইক্রোওয়েভ ওভেন দান করে, যাতে ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপত্তা সহজতর হয়।
1051313
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051313
৬৯তম ফিফা কংগ্রেস
৬৯তম ফিফা কংগ্রেস ৬৯তম ফিফা কংগ্রেস ৫ জুন ২০১৯ তারিখে ফ্রান্সের প্যারিসের প্যারিস এক্সপো পোর্তে ডি ভার্সাইতে অনুষ্ঠিত হয়। ১৩ জুন, ২০১৮ তারিখে মস্কোতে অনুষ্ঠিত ৬৮তম ফিফা কংগ্রেসের সময় বর্তমান ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন। ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর পর্যন্ত তিনিই একমাত্র প্রার্থী ছিলেন। ফলশ্রুতিতে, ফিফা সভাপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়।
1051317
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051317
চিঙ্কি যাদব
চিঙ্কি যাদব চিঙ্কি যাদব একজন ভারতীয় মহিলা স্পোর্ট শুটার, যিনি ২৫ মিটার পিস্তল বিভাগে প্রতিযোগিতা করেন। ২০১৯ এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য বাছাই হয়ে তিনি ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ভারতের পক্ষে একটি কোটা অর্জন করেছিলেন। চিঙ্কি ১৯৯৭ সালের ২৬শে নভেম্বর মধ্য প্রদেশের ভোপালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পরিবার তাঁতীয়া টোপ নগর স্পোর্টস কমপ্লেক্সের প্রাঙ্গনে একটি একক কামরার কোয়ার্টারে বসবাস করত তার বাবা মেহতাব সিং যাদব এই ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বৈদ্যুতিক হিসাবে কাজ করতেন। যাদব তার বাবার সাথে কমপ্লেক্সে শ্যুটিং রেঞ্জে যেতে যেতে শ্যুটিং-য়ের প্রতি আগ্রহী হন এবং ২০১২ সালে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। মধ্য প্রদেশ শুটিং একাডেমিতে প্রশিক্ষক যশপাল রাণার অধীনে তিনি পিস্তল প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন এবং তার ছোট ভাই রাজেশ শটগান বেছে নিয়েছিলেন, তবে রাজেশ পরবর্তীকালে ক্রীড়ায় বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেননি। ২০১৯ হিসাবে, চিঙ্কি একজন সহকারী ব্যাংক ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেন। চিঙ্কি কুয়েত সিটিতে ২০১৫ এশিয়ান শুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে জুনিয়র মহিলাদের ২৫ মিটার পিস্তল ইভেন্টে ৫৭০ এর স্কোর দিয়ে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন। ২০১৬ সালের আইএসএসএফ জুনিয়র বিশ্বকাপে, তিনি গাবালায় ২৫ মিটার পিস্তল দলগত বিভাগেও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন এবং সুহলে একই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছে। তিনি মুশকান এবং গৌরী শেওরান সহ দলগত বিভাগে সুহলে ২০১৭ সালের আইএসএসএফ জুনিয়র ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপেও ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। চিঙ্কি ২০১৯ এর এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপের কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে ৫৮৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছিলেন এবং ফাইনালের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। এই পারফরম্যান্স তাকে ২০২০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য কোটা এনে দিয়েছিল। তিনি ১১৬ স্কোর নিয়ে ফাইনালে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছিলেন।
1051324
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051324
প্রদোষ দাশগুপ্ত
প্রদোষ দাশগুপ্ত প্রদোষ দাশগুপ্ত () (১০ জানুয়ারি, ১৯১২ - ২৯ জুলাই, ১৯৯১) ছিলেন ১৯৪০-এর দশকের প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি ভাস্কর। ভারতীয় ধ্রুপদী ভাস্কর্যের দর্শনকে পাশ্চাত্যের আধুনিক ভাস্কর্যের জ্যামিতিকতার সঙ্গে সমন্বিত করে যাঁরা গড়েছেন অপরূপ শিল্পসৃষ্টি, তাঁদের অন্যতম ছিলেন তিনি। ওই সময়ে তিনি এবং আরো কয়েকজন মিলে তৈরি করেন ক্যালকাটা গ্রুপ - যা পরবর্তীতে ভারত ও বাংলার শিল্পের বিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল। বহুমুখী প্রতিভার কারণে তিনি কবি, লেখক, শিল্পতাত্ত্বিক ও শিক্ষক হিসাবেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন। প্রদোষ দাশগুপ্তর জন্ম ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ১০ ই জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অধুনা বাংলাদেশের বিক্রমপুর - ঢাকার ভরাকরে। পিতা নলিনীনাথ দাশগুপ্ত ছিলেন জেলা জজ। সেকারণে তার ছেলেবেলায় স্কুল জীবনের অনেকটা কেটেছে এই বাংলার কৃষ্ণনগরে। স্কুলের পড়াশোনা কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক হয়ে দুবছর লখনৌ স্কুল অফ আর্টসে ভাস্কর্য শিক্ষা নেন হিরণ্ময় চৌধুরীর কাছে। লখনৌত অবস্থান কালে তিনি শ্রীকৃষ্ণ রতনজনকারের কাছে মার্গসঙ্গীতেও তালিম নেন। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ হতে তিন বৎসর মাদ্রাজ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফট্স স্কুলে দেবীপ্রসাদ রায়চৌধুরীর শিক্ষাধীনে ছিলেন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে সেখান থেকে ভাস্কর্যচর্চা করতে যান প্রথমে লন্ডন রয়াল অ্যাকাডেমিতে ও পরে প্যারিসের ইকোলজি দ্য সমিয়ের-এ। সেখান থেকে ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দে দেশে ফিরে কলকাতায় নিজের স্টুডিও স্থাপন করে কাজ করতে থাকেন। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় নবীন প্রজন্মের শিল্পীদের প্রতিষ্ঠান ক্যালকাটা গ্রুপ তৈরি করেন এবং শুরু থেকেই ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এর সচিব ছিলেন। ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বরোদা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে যোগ দেন। তবে পরের বৎসরেই কলকাতা সরকারি শিল্প ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ডের 'রয়াল সোসাইটি অফ আর্টস'-এর ফেলো মনোনীত হন। ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ হতে ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি দিল্লিতে ন্যাশনাল গ্যালারি অফ মডার্ন আর্টের অধিকর্তা ছিলেন। বক্তৃতা করতে কিংবা তার ভাস্কর্যের প্রদর্শনী নিয়ে বহুবার বিদেশে গিয়েছেন। ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে ভিয়েনা কনফারেন্সে তিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন। স্বাধীনতা আন্দোলন ও তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, সাহিত্য ও সঙ্গীতের ভাবনায়, প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের প্রেক্ষাপটে তার নিজস্ব নন্দন চেতনা গড়ে ওঠে। পরিণত পর্যায়ে বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষায় বিভিন্ন রূপাবয়বের কাজ করেছেন। গোলক, বেলন, শঙ্কু বা ইলিপটিক্যাল ফর্ম নিয়ে তার ভাস্কর্যের বহু প্রকাশ লক্ষিত হয়েছে তার প্রদর্শনীতে। যেমন- পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ধর্মতলায় রাজভবনের দক্ষিণ-পূর্বে স্থাপিত নেতাজীর মূর্তি তার নির্মিত। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দের ২৩ শে ডিসেম্বর মূর্তিটির আবরণ উন্মোচন করেন। কলকাতার কলেজ স্কোয়ারে প্রতিষ্ঠিত আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের পূর্ণাবয়ব শ্বেতপাথরের মূর্তিটিও তার গড়া। প্রদোষ দাশগুপ্ত রচিত গ্রন্থগুলি হল - প্রদোষ দাশগুপ্ত ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে জুলাই দিল্লিতে প্রয়াত হন।
1051326
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051326
জাহাজ মডেল বেসিন
জাহাজ মডেল বেসিন একটি শিপ মডেল বেসিন একটি বাস্তব বেসিন বা ট্যাঙ্ক যা জাহাজের মডেলগুলির সাথে জলশক্তিবিদ্যার পরীক্ষা চালাতে ব্যবহৃত হয়, একটি নতুন (পূর্ণ আকারের) জাহাজ নকশার উদ্দেশ্যে, বা সমুদ্রে জাহাজের কার্যকারিতা উন্নত করার জন্য জাহাজের নকশাকে পরিমার্জন করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। এটি এমন সংস্থা (প্রায়শই একটি প্রতিষ্ঠান) নির্দেশ করে যা এই জাতীয় সুবিধার মালিকানা নেয় এবং পরিচালনা করে। একটি শিপ মডেল বেসিন প্রতিষ্ঠান একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবসালয় যা সম্পৃক্ত জাহাজ নির্মাণের স্থানের ঠিকাদার হিসাবে কাজ করে এবং জাহাজ ও সমুদ্রতীরাক্রান্ত কাঠামোর নকশা এবং অগ্রগতির সহায়তা করার জন্য জলশক্তিবিদ্যার মডেল পরীক্ষা এবং সংখ্যাসূচক হিসাব সরবরাহ করে। বিশিষ্ট ইংরেজ প্রকৌশলী, উইলিয়াম ফ্রেউড ১৮৬০-এর দশকে সর্বাধিক স্থায়ীকরণের জন্য জাহাজের নকশার উপর বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন। ইনস্টিটিউশন অফ নেভাল আর্কিটেক্টস শেষ পর্যন্ত তাকে সবচেয়ে কার্যকর কাঠামো আকৃতি সনাক্ত করার জন্য কমিশন দিয়েছিল। তিনি বিভিন্ন কাঠামো মাত্রার জন্য স্কেল মডেল ব্যবহার করে ব্যপক গবেষণামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে, তাঁর তাত্ত্বিক মডেলগুলি যাচাই করেছেন। তিনি একটি সূত্র (বর্তমানে ফ্রউড নম্বর হিসাবে পরিচিত) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যার মাধ্যমে ছোট আকারের পরীক্ষাগুলির ফলাফল ব্যবহার করে পূর্ণ আকারের কাঠামোর ধরনের পূর্বাভাস দেওয়া যায়। তিনি ৩, ৬ এবং (ছবিতে দেখানো হয়েছে) ১২ ফুট স্কেল মডেলের ক্রম তৈরি করেছিলেন এবং প্রতিরোধ এবং স্কেলিং আইন প্রতিষ্ঠার জন্য সেগুলি টোয়িং পরীক্ষার কাজে ব্যবহার করেছিলেন। তার গবেষণা পরে নৌসেনাবিভাগ দ্বারা পরিচালিত পূর্ণ-স্কেল পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছিল এবং ফলস্বরূপ প্রথম জাহাজের মডেল বেসিনটি জনসাধারণের ব্যয়ে, টরোকয়ে তার বাসায় নির্মিত হয়েছিল। এখানে তিনি গাণিতিক দক্ষতার সাথে ব্যবহারিক পরীক্ষা মিলিয়ে এত ভাল প্রভাব ফেলতে পেরেছিলেন যে তার পদ্ধতিগুলি আজও অনুসরণ করা হয়। ফ্রুডের সফল কাজের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে শিপবিল্ডিং সংস্থা উইলিয়াম ডেনি এবং ব্রাদার্স 1883 সালে একটি জাহাজের মডেল বেসিনের বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক উদাহরণটি সম্পন্ন করেছিলেন। এই সুবিধাটি বিভিন্ন জাহাজের মডেলগুলির পরীক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল এবং প্রপেলার, প্যাডেলস এবং ভ্যান চাকা সহ বিভিন্ন পরিচালনা পদ্ধতি অনুসন্ধান করেছিল। ডেনি-ব্রাউন স্ট্যাবিলাইজারদের মডেল এবং ডেনি হোভারক্রাফ্টের তাদের সম্ভাব্যতা পরিমাপ করতে গবেষণা করা হয়েছিল।অন্যান্য সংস্থাগুলির জন্য ট্যাঙ্ক কার্যের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চালিয়েছিল: ডেলি ট্যাঙ্কে সফল মডেল পরীক্ষার পরে বেলফাস্টভিত্তিক হারল্যান্ড এবং ওল্ফ লাইনার "ক্যানবেরায়" জাহাজের কন্দাকার অগ্রভাগটি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটি মডেল বেসিন স্থানে উপস্থিত জলগতিবিদ্যার পরীক্ষার সুবিধাগুলিগুলির মধ্যে অন্তত একটি টয়িং ট্যাঙ্ক এবং একটি গহব্বর সুড়ংগ এবং কর্মশালা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিছু জাহাজ মডেলের বেসিনে আরও সুবিধা রয়েছে যেমন চালানো এবং সিকিপিং বেসিন এবং একটি বরফের ট্যাঙ্ক । একটি টোয়িং ট্যাঙ্কটি একটি বেসিন, বেশ কয়েক মিটার প্রশস্ত এবং কয়েকশো মিটার লম্বা, একটি টোয়িং বাহক দিয়ে সজ্জিত যা উভয় পাশে দুটি রেলের উপর দিয়ে চলে। টোয়িং বাহকটি হয় মডেলটিকে টানতে পারে বা স্ব-চালিত মডেলটিকে অনুসরণ করতে পারে এবং কম্পিউটার এবং যন্ত্র দ্বারা বিভিন্ন চলক যেমন বেগ, চালকযন্ত্রের ধাক্কা এবং টর্ক, জাহাজের কর্ণের কোণ ইত্যাদি যথাক্রমে, নিবন্ধকরণ বা নিয়ন্ত্রণ করতে সজ্জিত হয়। টোয়িং ট্যাঙ্কটি জাহাজ নির্মাণ স্থান এবং জাহাজের মালিকের মধ্যে চুক্তিতে বর্ণীত বেগ অর্জনের জন্য ইঞ্জিনকে কতটা শক্তি সরবরাহ করতে হবে তা নির্ধারণ করার জন্য গুণ টানা এবং স্ব-চালিত জাহাজের মডেলগুলির সাথে প্রতিরোধের এবং পরিচালনা পরীক্ষার কাজ করে। টোয়িং ট্যাঙ্কটি মডেল স্কেলে পরিচালনার ধর্ম নির্ধারণ করতেও কাজ করে। এর জন্য, স্ব-চালিত মডেলটি বিভিন্ন রডার কোণের বিস্তারে আঁকাবাঁকা পরিচালনার একটি ক্রম প্রকাশ করে। সিস্টেম সনাক্তকরণের মাধ্যমে ডেটা পরবর্তী-প্রক্রিয়ার পরীক্ষার ফলে ডায়ুডোন é সর্পিল পরীক্ষা বা ঘূর্ণন বৃত্তের মত যেকোন অনুকরণ করতে একটি সংখ্যাসূচক মডেল তৈরি করা হয়। উপরন্তু, টোয়িং ট্যাঙ্ক বক্র অন্তঃপ্রবাহ এবং জোরপূর্বক গতির মধ্যে জাহাজ বা নিমজ্জিত বস্তুর উপর জলগতিবিদ্যার বল ও ভ্রামক পরিমাপ করতে একটি পিএমএম ( প্ল্যানার মোশন মেকানিজম) বা একটি সিপিএমসি (কম্পিউটারাইজড প্ল্যানার মোশন ক্যারিজ) দিয়ে সজ্জিত করা যেতে পারে। টোয়িং ট্যাঙ্কটি সিকিপিং পরীক্ষার জন্য ঢেউ উৎপাদক হিসেবে সজ্জিত হতে পারে, হয় প্রাকৃতিক (অনিয়মিত) তরঙ্গ অনুকরণ করে অথবা মডেলটিকে ওয়েভ প্যাকেটে প্রকাশের মাধ্যমে যা "প্রতিক্রিয়া বিস্তার চালক" (সংক্ষেপে "আরএও" ) নামে পরিচিত একটি পরিসংখ্যানের সেট উৎপন্ন করে, যা জাহাজের সম্ভাব্য বাস্তব সমুদ্র-গমন আচরণ নির্ধারণ করে যখন সমুদ্রে বিভিন্ন ঢেউ বিস্তার ও কম্পাংকে চলে ("এই পরামিতিগুলি সমুদ্রের অবস্থা" হিসাবে পরিচিত)। আধুনিক সিকিপিং পরীক্ষার সুবিধাগুলি একটি পরীক্ষায় উপযুক্ত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার এর সহায়তায় এই আরএও পরিসংখ্যানগুলি নির্ধারণ করতে পারে। প্রোপেলার তদন্ত করার জন্য একটি ক্ষয় টানেল ব্যবহৃত হয়। এটি বৃহত ব্যাসের পাইপযুক্ত একটি উল্লম্ব জল বর্তনী। শীর্ষে, এটি পরিমাপের সুবিধা বহন করে। একটি সমান্তরাল অন্তঃপ্রবাহ প্রতিষ্ঠিত হয়। শিপ মডেলের সাথে বা ছাড়া, একটি ডায়নোমিটারের সাথে সংযুক্ত প্রোপেলারটি অন্তঃপ্রবাহে আনা হয় এবং বেগ প্রবাহের জন্য বিভিন্ন অনুপাতের (আবর্তনের সংখ্যা) প্রপেলার গতির বাধা ও টর্ক পরিমাপ করা হয়। প্রোপেলার গতির সাথে সমাপতিত করা একটি স্ট্রোবস্কোপ ক্ষয় ঠাহর করার জন্য এমনভাবে দেখায় যাতে গহ্বরের বুদবুদ সরে না যায়। এটির মাধ্যমে, কেউ পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন যে প্রোপেলারটি ক্ষয় দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে কিনা। পূর্ণ-স্কেল প্রোপেলারটির সাথে মিল নিশ্চিত জন্য, চাপ হ্রাস করা হয় এবং জলের গ্যাসীয় সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ করা হয়। শিপ মডেল বেসিনগুলি তাদের কম্পিউটারে চালিত মিলিং মেশিন দিয়ে কাঠ বা প্যারাফিন থেকে শিপ মডেলগুলি তৈরি করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তাদের মডেল প্রোপেলারগুলিও প্রস্তুত করে। সমস্ত ড্রাইভ এবং পরিমাপ দিয়ে জাহাজ মডেল সজ্জিত করা এবং অ-মানক মডেল পরীক্ষাগুলির জন্য উপকরণ উৎপাদন করা ওয়ার্কশপগুলির প্রধান কাজ। এটি একটি পরীক্ষা সু্যোগ যা তরঙ্গ এবং জাহাজের মডেলের মধ্যে অবাধ কোণগুলি তদন্ত করতে এবং ঘূর্ণন বৃত্তের মত কৌশল যার জন্য টোয়িং ট্যাঙ্ক খুব সংকীর্ণ তা সম্পাদন করতে যথেষ্ট প্রশস্ত, । যাইহোক, সর্পিল পরীক্ষার মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগুলির জন্য এখনও আরও বেশি স্থানের প্রয়োজন এবং সিস্টেম সনাক্তকরণের পরেও সংখ্যাসূচকভাবে সিমুলেট করতে হয়। বরফ ভাঙ্গা জাহাজগুলি উন্নীত করার জন্য একটি বরফের ট্যাঙ্ক ব্যবহার করা হয়, এই ট্যাঙ্কটি সমান উদ্দেশ্য পূরণ করে যেমন টয়িং ট্যাঙ্ক উন্মুক্ত পানির জাহাজগুলির জন্য করে। প্রতিরোধের এবং প্রয়োজনীয় ইঞ্জিন শক্তির পাশাপাশি চালানোর ধরন বরফের বেধের উপর নির্ভর করে নির্ধারিত হয়। এছাড়াও সমুদ্রতীরাক্রান্ত কাঠামোয় বরফের বল নির্ধারণ করা যায়। বরফের স্ফটিকগুলি মডেল স্কেলে স্কেল করার জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতিতে বরফ স্তরগুলি হিমায়িত করা হয়। অতিরিক্তভাবে, এই সংস্থাগুলি বা কর্তৃপক্ষের কাছে সিএফডি সফ্টওয়্যার এবং জাহাজ এবং তাদের রডার এবং প্রোপেলারের চারপাশে জটিল প্রবাহ সংখ্যাগতভাবে সিমুলেট করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।এখনকার শিল্পের অবস্থা এখনও সিএফডি গণনা অনুসারে সফ্টওয়্যারকে পুরোপুরি মডেল পরীক্ষাগুলি প্রতিস্থাপন করতে দেয় না। একটি কারণ, তবে কেবল একটি নয়, এটি হল যে এলিমেন্টাইজেশন এখনও ব্যয়বহুল। এছাড়াও কিছু জাহাজের লাইন নকশাটি হয় শুরু থেকেই অথবা শিপইয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক নকশাকে অনুকূল করে জাহাজের মডেল বেসিনের বিশেষজ্ঞগণ দ্বারা চালিত হয়। প্রোপেলারগুলির ডিজাইনের ক্ষেত্রেও এটি একই প্রযোজ্য। বিশ্বজুড়ে জাহাজের মডেল বেসিনগুলি আইয়াইটিসি ( আন্তর্জাতিক তোয়াকিং ট্যাঙ্ক কনফারেন্স) এ সংগঠিত হয় তাদের মডেল পরীক্ষার কার্যাবলী মানোপযোগী করার জন্য সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য শিপ মডেলের বেসিনগুলি হল:
1051328
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051328
গোক মাদ্রাসা (তোকাত)
গোক মাদ্রাসা (তোকাত) গোকমাদ্রাসা বা গোক মাদ্রাসা তুরস্কের টোকাত প্রদেশের টোকাত শহরে অবস্থিত একটি মাদ্রাসা। এটি ১৩ শতকের রুম সালতানাতের একটি মাদ্রাসা।বছরের পর বছর ধরে সেলজুক স্থাপত্যের এই দুর্দান্ত অংশটি """ টোকট মজেসি" (টোকাটের জাদুঘর), একটি প্রত্নতাত্ত্বিক এবং নৃতাত্ত্বিক জাদুঘর হিসাবে ব্যবহৃত হত। যা ২০১২ সালে বিছানা অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।
1051329
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051329
শীতল ঝালাই
শীতল ঝালাই ঠান্ডা ঝালাই বা সংযোগ ঝালাই হলো একটি কঠিন পদার্থের ঝালাই প্রক্রিয়া। ঝালাই করা হবে এমন দুটি অংশের মিলনস্থলে একীভবন বা তাপ দেওয়া ছাড়াই সংযোগ দেওয়া হয়। একীভবন ঝালাই প্রক্রিয়ার অমিল, কোনও তরল বা গলিত অবস্থা সন্ধিস্থলে উপস্থিত থাকে না। ঠান্ডা ঝালাই প্রথম ১৯৪০ এর সময়ে একটি সাধারণ উপকরণ ঘটনা হিসাবে স্বীকৃত ছিল। তারপরে এটি আবিষ্কার করা হয়েছিল যে দুটি একই ধাতুর পরিষ্কার, সমতল পৃষ্ঠ দৃঢ়ভাবে লেগে থাকবে যদি বায়ুশূন্য স্থানে এদেরকে সংযোগ করা হয়। সদ্য আবিষ্কৃত মাইক্রো- এবং ন্যানো-স্কেল ঠান্ডা ঝালাই ন্যানোফ্যাব্রেকশন প্রক্রিয়াতে সম্ভাবনা দেখিয়েছে। আবেদনগুলিতে তারের মজুত এবং বৈদ্যুতিক সংযোগগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে (যেমন অন্তরণ-আয়তন সংযোগকারী এবং তারের মোড়ানো সংযোগ)। প্রারম্ভিক কৃত্রিম উপগ্রহের যান্ত্রিক সমস্যাগুলি কখনও কখনো ঠান্ডা ঝালাইয়ের উপর আরোপিত ছিল। ২০০৯ সালে ইউরোপীয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা একজন সহকর্মীর রিভিউ করা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিল যাতে বিশ্বে শীতল ঝালাই কেন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় (যা মহাকাশযানের নকশাকারীদের ভালোভাবে বিবেচনা করা উচিত) তা উঠে এসেছিলো। গবেষণাপত্রটি 1991 সাল থেকে গ্যালিলিও মহাকাশযান উচ্চ-্প্রাপ্ত অ্যান্টেনার সাথে একটি নথিভুক্ত উদাহরণও উদ্ধৃত করেছে সমস্যার একটি উৎস হলো ঠান্ডা ঝালাই যোগ হওয়ার পৃষ্ঠগুলির মধ্যে আপেক্ষিক গতি বাদ দেয় না। এটি পীড়ন, ভাঙ্গন, স্টিকিং, stiction এবং কিছু ক্ষেত্রে সমাপতনের জন্য আসঞ্জনের বিস্তৃত ভাবে সংজ্ঞায়িত ধারণা ন্যস্ত করে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও সংযোগে উভয় শীতল (বা "বায়ুশূন্য") ঝালাই এবং পীড়ন (বা ভাঙ্গন বা আঘাত) এর ফলাফল হওয়া সম্ভব। কাজেই পীড়ন এবং ঠান্ডা ঝালাই পারস্পরিক স্বতন্ত্র নয়। ম্যাক্রো-স্কেলে ঠান্ডা ঝালাই প্রক্রিয়াটি যার সাধারণত বেশি প্রয়োগিত চাপের প্রয়োজন হয় তার ব্যতিক্রম বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে একক-স্ফটিকের অত্যন্ত চিকন সোনার ন্যানো তারগুলি (10 ন্যানোমিটারের চেয়ে কম ব্যাস) উল্লেখযোগ্যভাবে কম প্রয়োগকৃত চাপে একা যান্ত্রিক যোগাযোগের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে একসাথে শীতল ঝালাই করা যেতে পারে । উচ্চ বিশ্লেষণের চালান ইলেক্ট্রন অনুবীক্ষণ এবং ইন-সিটু পরিমাপ প্রকাশ করে যে কিছু একই স্ফটিক স্থিতিবিন্যাস, শক্তি এবং ন্যানো তারের মত বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা সহ ওয়েল্ডগুলো প্রায় নিখুঁত। ন্যানোস্কেলের নমুনা মাত্রা, স্থিতিবিন্যাস-সংযুক্তি প্রক্রিয়া এবং যান্ত্রিক সহায়তায় দ্রুত পৃষ্ঠে ছড়ানো ইত্যাদি ওয়েল্ডগুলির উচ্চ মানের জন্য দায়ী। ন্যানোস্কেল ওয়েল্ডগুলি স্বর্ণ ও রৌপ্য এবং রৌপ্য এবং রৌপ্যের মধ্যেও প্রদর্শিত হয়েছিল, এটি ইঙ্গিত করে যে ঘটনাটি সাধারণভাবে প্রযোজ্য হতে পারে এবং তাই এটা বাল্ক ধাতু অথবা ধাতব পাতলা ফিল্মের জন্য ম্যাক্রোস্কোপিক ঠান্ডা ঝালাইয়ের প্রাথমিক পর্যায়ে একটি পরমানুবিক দৃশ্য প্রদান করে।
1051332
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051332
দশাচিত্র
দশাচিত্র দশাচিত্র হলো ভৌত রসায়ন, প্রকৌশল, খনিজবিদ্যা এবং বস্তু বিজ্ঞানে ব্যবহৃত এমন এক ধরনের চার্ট যা বিভিন্ন অবস্থা (চাপ, তাপমাত্রা, আয়তন, ইত্যাদি) দেখাতে সক্ষম যেখানে তাপবিদ্যুৎ সংক্রান্ত পৃথক দশা (যেমন শক্ত, তরল বা বায়বীয় রাজ্যগুলি) থাকে এবং ভারসাম্য বজায় রাখে। একটি দশাচিত্রের সাধারণ উপাদান হলো "ভারসাম্য" "রেখা" বা "দশার সীমানা" রেখা, এ রেখাগুলি নির্দেশ করে যে একাধিক দশা ভারসাম্যে থাকতে পারে। সাম্যক্রমের লাইনে দশার রূপান্তর ঘটে। সাধারণ ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও, মেটাস্টেবল দশাগুলো দশাচিত্রে দেখানো হয় না, কারণ এরা এগুলি ভারসাম্যপূর্ণ দশা নয়। ত্রৈধবিন্দু দশাচিত্রের কিছু বিন্দু যেখানে ভারসাম্যের লাইনগুলি ছেদ করে। ত্রৈধবিন্দু এমন শর্ত চিহ্নিত করে যেখানে তিনটি পৃথক দশা থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পানির দশাচিত্রে একক তাপমাত্রা এবং চাপের সাথে মিলিত একটি ত্রৈধবিন্দু রয়েছে যেখানে স্থিতিশীল ভারসাম্যপূর্ণ স্থানে ভারী, তরল এবং বায়বীয় পানি সহাবস্থান করতে পারে ( কেলভিন আংশিক বাষ্প চাপ pressure )। সলিডাস হ'ল এমন তাপমাত্রা যার নিচে পদার্থ স্থিতিশীল থাকে। লিকুইডাস হলো এমন তাপমাত্রা যার উপরে পদার্থ তরল অবস্থায় স্থিতিশীল থাকে। সলিডাস এবং লিকুইডাস এর মধ্যে একটি ফাঁক থাকতে পারে; ব্যবধানের মধ্যে পদার্থটিতে স্ফটিক এবং তরল (" স্লারি " এর মতো) মিশ্রণ থাকে। কার্যকারী তরলগুলি প্রায়শই তাদের দশা চিত্রের আকারের ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। সরলতম দশা চিত্রে একটি সাধারণ পদার্থ-এর চাপ তাপমাত্রা দেখানো হয়, যেমনঃ পানি । অক্ষগুলি চাপ এবং তাপমাত্রার সাথে মিলিত হয়। দশাচিত্রটি চাপ-তাপমাত্রার জায়গাতে, কঠিন, তরল এবং গ্যাসের তিনটি স্তরের মধ্যে ভারসাম্য বা দশার সীমানার লাইনগুলি দেখায়। দশা চিত্রের বক্ররেখা সেই বিন্দুগুলি দেখায় যেখানে মুক্ত শক্তি অবিশ্লেষক হয়ে যায়: স্থানাঙ্কগুলির সাথে তাদের সম্পর্ক (উদাহরণস্বরূপ তাপমাত্রা এবং চাপ) বিরতিহীনভাবে (আকস্মিকভাবে) পরিবর্তিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বরফ দিয়ে ভরা একটি ধারকের তাপ ধারণ ক্ষমতা হঠাৎ করে বদলে যাবে কারণ ধারকটি গলানোর সময় উত্তপ্ত হয়ে গেছে। মুক্ত শক্তি বিশ্লেষণযোগ্য যেখানে উন্মুক্ত স্থান একক পর্বের অঞ্চলের সাথে মিলে যায়। একক দশাঅঞ্চলগুলি অ বিশ্লেষণাত্মক আচরণের রেখার দ্বারা পৃথক করা হয়, যেখানে পর্বের ক্রান্তিকাল ঘটে, যাকে দশা সীমানা বলা হয়। ডানদিকের ডায়াগ্রামে তরল এবং গ্যাসের মধ্যে দশার সীমানা অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে না। পরিবর্তে, এটিকে ক্রিটিকাল পয়েন্ট বলা হয় যা দশা চিত্রের এক পর্যায়ে শেষ হয়। এটি এই সত্যটি প্রতিফলিত করে যে, অত্যন্ত উচ্চ তাপমাত্রা এবং চাপের সময় তরল এবং বায়বীয় পর্যায়গুলি অবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, যা সুপারক্রিটিকাল তরল হিসাবে পরিচিত। জলে, ক্রিটিকাল পয়েন্টটি প্রায় "T" = , "p" = ২২.০৬৪ মেগা প্যাসকেল (২১৭.৭৫ atm) এবং "ρ"= ৩৫৬ কেজি/মি । তরল – গ্যাস ক্রিটিকাল বা সঙ্কট বিন্দুর অস্তিত্ব একক দশার অঞ্চলগুলিকে লেবেল করার ক্ষেত্রে সামান্য অস্পষ্টতা দেখা যায়। তরল থেকে বায়বীয় অবস্থায় যাওয়ার সময়, সাধারণত দশার সীমানা অতিক্রম করা হয়, তবে এমন একটি পথ ও বেছে নেওয়া সম্ভব হয় যা ক্রিটিকাল বিন্দুর ডানদিকে গিয়ে কখনও সীমানা অতিক্রম করে না। সুতরাং, তরল এবং বায়বীয় দশাগুলো একে অপরের মধ্যে অবিচ্ছিন্নভাবে মিশ্রিত হতে পারে। কঠিন – তরল পর্যায়ের সীমানাটি কেবলমাত্র ক্রিটিকাল বিন্দুতে শেষ হতে পারে যদি কঠিন এবং তরল দশাগুলোর মধ্যে একই প্রতিসাম্য গ্রুপ থাকে । বেশিরভাগ পদার্থের জন্য, ক্ঠিন– তরল দশার সীমানা (বা ফিউশন বক্ররেখা) এর দশাচিত্রে ইতিবাচক ঢাল থাকে যাতে গলন বিন্দুটি চাপের সাথে বৃদ্ধি পায়। এটা তখন ই সত্য হবে যখন কঠিন দশা তরল দশার চেয়ে ঘন হয়। প্রদত্ত পদার্থের উপর যত বেশি চাপ থাকে ততই পদার্থের অণুগুলি একে অপরের নিকটে আনা যায় যা পদার্থের আন্তঃআণবিক শক্তির প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে। সুতরাং, পদার্থটির অণুগুলির জন্য কঠিন দশার নির্দিষ্ট প্যাটার্ন ভেঙে তরল দশায় পরিণত করতে পর্যাপ্ত শক্তি জোগাতে পর্যাপ্ত তাপমাত্রা প্রয়োজন হয়। একই ধারণা তরল – গ্যাসের দশা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য। পানি এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম যার কিনা কঠিন-তরল সীমানার ঋণাত্মক ঢাল বিদ্যমান যার মানে হচ্ছে, পানির গলনবিন্দু চাপের সাথে সাথে কমে যায়। এটা ঘটার কারন হলো বরফের ঘনত্ব পানির চেয়ে কম,একারণেই মূলত বরফ পানিতে ভাসতে সক্ষম। আণবিক পর্যায়ে, বরফের ঘণত্ব কম হবার কারন হলঃ বরফের ভিতরে হাইড্রোজেন নেটওয়ার্ক বেশি থাকে যা ভাঙতে পানির অণু বেশি প্রয়োজন হয় । এছাড়া আরো ব্যতিক্রম আছে, যেমনঃএন্টিমণি ও বিসমাথ। d"P"/d"T" এর ঢাল এর মান ক্লসিয়াস-ক্ল্যাপিরন সমীকরণ দ্বারা প্রকাশ করা যায়, ফিউশন (গলানো)র ক্ষেত্রে। যেখানে Δ"H" হ'ল ফিউশন তাপ যা সর্বদা ধনাত্মক এবং Δ"V" হ'ল ফিউশনটির আয়তন পরিবর্তন। বেশিরভাগ পদার্থের জন্য Δ"V" ধণাত্মক যাতে ঢালটি ধনাত্মক হয়। তবে পানি এবং অন্যান্য ব্যতিক্রমগুলির জন্য, Δ"V" ঋণাত্মক থাকে। তাপমাত্রা এবং চাপ ছাড়াও অন্যান্য তাপগতীয় বৈশিষ্ট্য দশাচি্ত্রে দেখানো যেতে পারে। এই ধরনের তাপগতীয় বৈশিষ্ট্যের উদাহরণের মধ্যে নির্দিষ্ট আয়তন, নির্দিষ্ট এনথালপি বা নির্দিষ্ট এনট্রপি অন্তর্ভুক্ত থাকে । উদাহরণস্বরূপ, পানি/বাষ্পের জন্য বা একটি রেফ্রিজারেন্টের জন্য তাপমাত্রা বনাম এনট্রপি ("T" vs. "s") ব্যবহার করে বিভিন্ন তাপগতীয় চক্র চিত্রিত করা হয় যেমনঃ কার্নোট চক্র, র‍্যাঙ্কিন চক্র বা বাষ্প-সংক্ষেপণ রেফ্রিজারেশন চক্র । যে কোনও দুটি তাপগতীয় পরিমাণ দ্বিমাত্রিক ডায়াগ্রামের অনুভূমিক এবং উল্লম্ব অক্ষে দেখানো যায়। অতিরিক্ত তাপগতীয় পরিমাণ বর্ধিত লাইনের সিরিজ হিসাবে বর্ণনা করা হয় - বাঁকা, সোজা, বা বাঁকা এবং সোজা সংমিশ্রণে। এই সম- লাইনগুলির প্রত্যেকটি একটি করে নির্দিষ্ট ধ্রুবমানে তাপগতীয় পরিমাণকে প্রকাশ করে। ত্রি-মাত্রিক (থ্রিডি) চিত্রে তিনটি তাপগতীয় পরিমাণ দেখানো সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, একটি উপাদানের জন্য, ত্রি-মাত্রিক কার্টেসিয়ান স্থানাঙ্ক চিত্রে এক অক্ষে "তাপমাত্রা", দ্বিতীয় অক্ষে "চাপ" "এবং তৃতীয় অক্ষে" "নির্দিষ্ট" "আয়তন" "(v" ) দেখানো হচ্ছে। এ জাতীয় ত্রি-মাত্রিক চিত্রকে কখনও কখনও "p"–"v"–"T" ডায়াগ্রাম বলে। ভারসাম্যতার শর্ত বক্র তলে দেখানো হয়। ত্রি-মাত্রিক (থ্রিডি) চিত্রে বক্রতলগুলো দ্বারা কঠিন, তরল এবং বাষ্পের পৃথক ও একত্রিত দশা (যেখানে তরল-কঠিন এবং বাষ্প-তরল এবং কঠিন-বাষ্পের ভারসাম্য থাকে) প্রদর্শিত হয়। ত্রিরেখা বলে পৃষ্ঠতলে একটি লাইন থাকে যেখানে কঠিন, তরল এবং বাষ্প সকলেই ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে। ক্রিটিকাল পয়েন্ট ত্রি-মাত্রিক দশা চিত্রের তলদেশেও বিন্দু হিসেবে দেখানো যায়। পানির জন্য, ত্রি-মাত্রিক "p"–"v"–"T" চিত্রটি এখানে দেখা যাচ্ছে:একটি অরোগ্রাফিক প্রক্ষেপণ এর মাধ্যমে ত্রিমাত্রিক চিত্রে উল্লম্ব এবং অনুভূমিক অক্ষে চাপ এবং তাপমাত্রা দেখানো হচ্ছে। এটি বানানোর পরে, কঠিন – বাষ্প, কঠিন – তরল এবং তরল – বাষ্পের উপরিভাগ ত্রৈধ বিন্দুতে মিলিত হয় যা অর্থোগ্রাফিক প্রক্ষেপণে ত্রৈধ রেখায় এসে ভেঙে যায়। আরও অনেক জটিল ধরনের দশাচিত্র আঁকা যায়, যেখানে একের অধিক বিশুদ্ধ উপাদান থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘনত্বের পরিবর্তনশীলতা অনেক ব্যাপার হয়ে ওঠে। দুয়ের অধিক মাত্রার দশাচিত্রও তৈরি করা যায়, এক্ষেত্রে, পদার্থের দশায় দুটিরও বেশি চলকের প্রভাব থাকে। দশাচিত্রে তাপমাত্রা, চাপ এবং সংমিশ্রণের পরিবর্তে আরো অনেক রকম চলক ব্যবহার করা যায়, উদাহরণস্বরূপ একটি কার্যকর বৈদ্যুতিক বা চৌম্বকীয় ক্ষেত্র, এগুলোও আবার পদার্থের তিনের অধিক দশা প্রদর্শন করতে পারে। সাধারণভাবে, দু'রকম খাদের দশাচিত্র দেখানো হয়ঃ ১। প্রতিস্থাপক খাদ, ২। অন্তর্বর্তী খাদ। প্রতিস্থাপক খাদে কোনো একক কোষের কেলাসবিন্দুতে সাধারণ কোনো পরমানুর পরিবর্তে অন্য কোনো পরমানু বসে যায়। উদাহরণঃ কপারের সাথে টিন বা জিঙ্ক যোগ করে ব্রোঞ্জ বা ব্রাস তৈরি। অন্তর্বর্তী খাদে একক কোষের কেলাসের মধ্যবর্তী কোনো ফাঁকা স্থানে কোনো একটি পরমাণু বসে যায়। উদাহরণঃ ইস্পাত তৈরির সময় লোহাতে কার্বনের উপস্থিতি। এক প্রকার দশাচিত্রে দুটি পদার্থের আপেক্ষিক ঘনত্ব বনাম তাপমাত্রার বা বাইনারি মিশ্রণ এর ডায়াগ্রাম প্রকাশ করে যাকে "বাইনারি দশাচিত্র" বলে (ডান দিকে দেখানো হয়েছে)। যেমন একটি মিশ্রণ হতে পারে কঠিন দ্রবণ, ইউটেকটিক বা পেরিটেকটিক ইত্যাদি। এই দু ধরনের মিশ্রণ দু'রকম গ্রাফ প্রদান করে। অন্য ধরনের বাইনারি দশাচিত্রে দুটি উপাদান, অর্থাৎ রাসায়নিক যৌগের "মিশ্রণের জন্য একটি স্থানাঙ্ক দশাচিত্র" । একটি নির্দিষ্ট চাপ যেমন দুটি বায়ুমণ্ডলীয় চাপে দুটি নির্দিষ্ট উদ্বায়ী উপাদানের জন্য, স্থানাঙ্ক চিত্রে দেখা যাবে তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে প্রদত্ত তরলের সাথে বাষ্পের (গ্যাস) গঠনের কী সামঞ্জস্য হয়। একটি সাধারণ বাইনারি স্থানাঙ্ক চিত্রে তাপমাত্রা থাকে উল্লম্ব অক্ষ বরাবর আর অনুভূমিক অক্ষ বরাবর থাকে মিশ্রণের গঠন। অ-এজোট্রপিক মিশ্রণের জন্য একটি সাধারণ ডায়াগ্রাম বা চিত্র দেখান হয়েছে যেখানে দুটি কাল্পনিক উপাদান ১ এবং ২ ধরা হয়েছে। বিশুদ্ধ উপাদানগুলির স্থানাঙ্কে দুটি পৃথক বক্ররেখা যুক্ত হওয়ার মানে, সাধারণত তরল সংমিশ্রণে যেমন বাষ্পের সাথে ভারসাম্য থাকে না, বাষ্পের সংমিশ্রণ এ তেমন হয় না। আরও তথ্যের জন্য বাষ্প – তরল ভারসাম্য দেখুন। উপরে উল্লিখিত দশা চিত্র ছাড়াও আরও কয়েক হাজার সম্ভাব্য ধরন রয়েছে। দশাচিত্রের কয়েকটি প্রধান বৈশিষ্ট্য-এর মধ্যে এমন কিছু মিলিত বিন্দুও পড়ে যেখানে কোনো কঠিন দশা সরাসরি তরলে রূপান্তরিত হয়। পেরিটেকটয়েড নামেও এমন একটি বিন্দু রয়েছে যেখানে শীতল হওয়ার সময় দুটি কঠিন দশা একটি কথিন দশায় একত্রিত হয়। অন্যদিকে, যখন একটি কঠিন দশা শীতল হওয়ার সময় দুটি কঠিন দশায় রূপান্তরিত হয়, তখন তাকে ইউটেকটয়েড বলে। আয়রন - কার্বন সিস্টেম হলো একটি জটিল দশাচিত্র যা ৭% এর কম কার্বন এর জন্য প্রযোজ্য। ( ইস্পাত দেখুন )। এ জাতীয় চিত্রের এক্স-অক্ষটি মিশ্রণের ঘনত্বের পরিবর্তনকে প্রকাশ করে। যেহেতু মিশ্রণগুলি সাধারণত লঘু হয়না এবং তাপমাত্রার ফাংশন হিসাবে তাদের ঘনত্ব সাধারণত অজানা, সুতরাঙ্গি এক্ষেত্রে পছন্দসই ঘনত্বের পরিমাপ হতে পারে মোল ভগ্নাংশ । কারণ মোলারিটির মতো একটি আয়তন-ভিত্তিক পরিমাপ এখানে অগ্রহণযোগ্য হবে। বহুরূপী এবং অবহুরূপী পদার্থের একাধিক স্ফটিক বা নিরাকার দশা রয়েছে, যা কঠিন, তরল এবং গ্যাস দশার অনুরূপে আঁকা যায়। কিছু জৈব পদার্থ কঠিন এবং তরল এর মধ্যে অন্তর্বর্তী কিছু অবস্থা থাকে যাকে মধ্যদশা বলা হয়। মধ্যদশাতে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে কারণ তারা প্রদর্শন ডিভাইসকে সক্ষম করে এবং তথাকথিত তরল-স্ফটিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দশাচিত্র মধ্যদশার উপস্থিতি বর্ণনা করতে ব্যবহৃত হয়।
1051342
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051342
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রচালিত ধাতু ঢালাই
স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রচালিত ধাতু ঢালাই রোবট ঝালাই হল যন্ত্রচালিত প্রোগ্রামযোগ্য সরঞ্জাম (রোবট) এর ব্যবহার যা উভয় ঝালাই সম্পাদন করে এবং অংশ পরিচালনা করে একটি ঝালাই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করে তোলে। প্রক্রিয়াগুলো যেমন গ্যাস মেটাল আর্ক ওয়েল্ডিং, যখন প্রায়শই স্বয়ংক্রিয়, রোবট ঝলাইয়ের সমতুল্য হওয়া প্রয়োজনীয় নয়, যেহেতু কোনও মানব পরিচালক মাঝে মাঝে ঝালাইয়ের জন্য উপকরণ প্রস্তুত করে। রোবট ওয়েল্ডিং সাধারণত প্রতিরোধক স্পট ওয়েল্ডিং এবং আর্ক ওয়েল্ডিংয়ের উচ্চ উৎপাদন কার্যের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন স্বয়ংচালিত শিল্প রোবট ঝালাই রোবোটিকসের তুলনামূলকভাবে নতুন প্রয়োগ, যদিও ১৯৬০ এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিল্পে রোবট প্রথম চালু হয়েছিল। ১৯৮০ এর দশক পর্যন্ত ওয়েল্ডিংয়ে রোবটগুলোর ব্যবহার শুরু হয় নি, যখন স্বয়ংচালিত শিল্প স্পট ওয়েল্ডিংয়ের জন্য রোবটগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার শুরু করে। তার পর থেকে, শিল্পে ব্যবহৃত রোবটের সংখ্যা এবং তাদের প্রয়োগগুলোর সংখ্যা উভয়ই খুব বেড়েছে। ২০০৫ সালে, উত্তর আমেরিকার শিল্পে ১২০,০০০ এরও বেশি রোবট ব্যবহৃত হয়েছিল, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকটি ঝালাইএর জন্য। বৃদ্ধি মূলত সরঞ্জামের উচ্চ ব্যয় এবং উচ্চ-উৎপাদন কার্য উদ্ভূত সীমাবদ্ধতার দ্বারা সীমিত করা হয়। সম্প্রতি রোবট আর্ক ওয়েল্ডিং দ্রুত বৃদ্ধি শুরু করেছে এবং ইতোমধ্যে এটি প্রায় 20% শিল্প রোবট অ্যাপ্লিকেশনকে নেতৃত্ব দেয়। আর্ক ওয়েল্ডিং রোবটগুলোর প্রধান উপাদান হ'ল ম্যানিপুলেটর বা যান্ত্রিক ইউনিট এবং নিয়ামক, যা রোবটের "মস্তিষ্ক" হিসাবে কাজ করে। ম্যানিপুলেটরটি হল যেটা রোবটকে চালাতে সহায়তা করে নিয়ে যায় এবং এই প্রক্রিয়াগুলোর নকশাকে বিভিন্ন সাধারণ ধরনে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে যেমন এসসিএআরএ এবং কার্টেসিয়ান স্থানাঙ্ক রোবট, যা মেশিনের বাহুগুলোকে নির্দেশ করতে বিভিন্ন স্থানাঙ্ক ব্যবস্থা ব্যবহার করে। রোবট একটি প্রাক-প্রোগ্রামযুক্ত অবস্থানের ঝালাই করতে পারে, মেশিনের দৃষ্টি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে, বা দুটি পদ্ধতির সংমিশ্রণে হতে পারে। তবে, রোবোটিক ওয়েল্ডিংয়ের অনেক সুবিধা একে এমন একটি প্রযুক্তি হিসাবে প্রমাণ করেছে যা অনেক মূল সরঞ্জাম নির্মাতাকে নির্ভুলতা, পুনরাবৃত্তি-ক্ষমতা এবং উপাদান বাড়াতে সাহায্য করে। স্বয়ংক্রিয়, রোবোটিক ওয়েল্ডিং থেকে সংগ্রহ করা প্রকৃত সময়ের বৈদ্যুতিক তথ্য বিশ্লেষণের জন্য ১৯৯০ এর দশকের শেষের দিকে স্বাক্ষর ছবি প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তিটি বিকশিত হয়েছে, এভাবে ঝালাইগুলোর সর্বোত্তম কাজ সম্পাদনে সক্ষম করে।
1051343
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051343
তাপ ইঞ্জিন
তাপ ইঞ্জিন তাপগতিবিদ্যা এবং প্রকৌশলবিদ্যায় তাপ ইঞ্জিন হল তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করার একটি পদ্ধতি যা পরবর্তীতে যান্ত্রিক কাজে ব্যবহার করা যায়। এর কার্যনির্বাহী বস্তু কে উচ্চ তাপমাত্রা থেকে নিম্ন তাপমাত্রায় স্থানান্তরের মাধ্যমে এই কাজটি করা হয়।তাপ উৎস দ্বারা উৎপন্ন তাপশক্তির মাধ্যমে কার্যনির্বাহী বস্তু উচ্চ তাপমাত্রাপ্রাপ্ত হয় এবং নিম্ন তাপমাত্রার অবস্থায় না আসা পর্যন্ত সিঙ্কে (শীতল তাপাধারে) তাপ স্থানান্তরিত করতে থাকে এবং এ সময় ইঞ্জিনের কার্যকর ক্ষেত্রে কিছু কাজ সম্পাদিত হয়।অশূণ্য তাপধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন যেকোন বস্তুই কার্যনির্বাহী বস্তু হিসেবে কাজ করতে পারে , সাধারণত কোন গ্যাস বা তরল পদার্থ এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তাপ ইঞ্জিনে এসব কার্যনির্বাহী বস্তুর কিছু অভ্যন্তরীণ বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগিয়ে তাপশক্তি থেকে কাজ পাওয়া যায়।এই প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিকভাবেই কিছু তাপ পরিবেশে নষ্ট হয়ে যায় যা আর কাজে পরিণত করা যায় না। আবার কিছু শক্তি ঘর্ষণ ও প্রতিবন্ধক বল( ড্র্যাগ) এর কারণে নষ্ট হয়। সাধারণত ইঞ্জিন এর মাধ্যমে শক্তি থেকে যান্ত্রিক কাজ পাওয়া যায়। তাপ ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা কার্নোর নীতি অনুসারে সীমাবদ্ধ বলে এটি অন্যান্য ইঞ্জিন থেকে আলাদা।  তবে কর্মদক্ষতার এই সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও তাপ ইঞ্জিনগুলির একটি সুবিধা হ'ল বিভিন্ন প্রক্রিয়া যেমন তাপউৎপাদী বিক্রিয়া (যেমন দহন), নিউক্লিয়ার ফিশন, আলো কিংবা কোন শক্তিশালী কণার শক্তি শোষণ , ঘর্ষণ, রোধ , এবং অন্যান্য উপায়ে শক্তির অপচয় থেকে খুব সহজেই তাপশক্তি উৎপন্ন করা যায়। তাই যেকোন উৎস থেকেই তাপ উৎস তাপশক্তি সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি পেতে পারে। এজন্য তাপ ইঞ্জিন অনেক বিস্তৃত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়। সাধারণত কোন যন্ত্রের মডেলের জন্য আমরা 'চক্র' কথাটি ব্যবহার করি। আর সত্যিকারের যন্ত্রের জন্য 'ইঞ্জিন' কথাটিই ব্যবহার হয়। তাপ ইঞ্জিনকে তাই প্রায়সময়ই তাদের সম্পাদিত চক্রের সাথে মিলিয়ে ফেলা হয়। তাপগতিবিদ্যায় তাপ ইঞ্জিনকে সাধারণত অটো চক্রের মতো কিছু আদর্শ প্রকৌশল মডেল হিসেবে ধরে নেয়া হয়। ইঞ্জিনের প্রকৃত ডেটা নিয়ে সেগুলো সংযোজন করে ও নির্দেশক চিত্রের মতো কিছু ধারণা ব্যবহার করে এই তাত্ত্বিক মডেলটিকে আরও পরিমার্জিত করা যায়। যেহেতু খুব কম তাপ ইঞ্জিনই সম্পূর্ণভাবে তাপগতীয় চক্র মেনে চলে তাই তাপগতীয় চক্র আসলে একটি আদর্শ যান্ত্রিক ইঞ্জিন। তবে একটি ইঞ্জিন ও তার কর্মদক্ষতা সম্পর্কে ভাল ধারণা পেতে হলে তার তাত্ত্বিক মডেলটি(হোক সেটি সরলীকৃত বা আদর্শ মডেল) ভাল করে বুঝতে হবে। সাধারণত উষ্ণ তাপ উৎস ও শীতল তাপ গ্রাহক এর তাপমাত্রার পার্থক্য যত বেশি হবে, উক্ত চক্রের তাপীয় দক্ষতাও তত বেশি হবে। তাপ ইঞ্জিনের শীতল তাপাধারের তাপমাত্রার সাধারণত পরিবেশের তাপমাত্রার খুব কাছাকাছি থাকে, বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা ৩০০ কেলভিনের চেয়ে খুব বেশি কমতে পারে না। তাই তাপ ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইঞ্জিনের উপাদানের সহ্যক্ষমতা অনুসারে তাপ উৎসের তাপমাত্রা যতটা সম্ভব বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করা হয় । তাত্ত্বিকভাবে কোন তাপ ইঞ্জিনের সর্বাধিক কর্মদক্ষতা (যা কোনও ইঞ্জিন কখনই অর্জন করতে পারে না) উক্ত ইঞ্জিনের উষ্ণ তাপ উৎস ও শীতল তাপ গ্রাহক এর তাপমাত্রার পার্থক্যকে উষ্ণ তাপ উৎসের তাপমাত্রা দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় , যেখানে তাপমাত্রাগুলির একক পরম তাপমাত্রায়(কেলভিন) প্রকাশিত। এখনকার ব্যবহৃত কিছু তাপ ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতার বিশাল পরিসর রয়েছে যেমন: এই প্রক্রিয়াগুলোর দক্ষতা সাধারণত প্রকিয়াগুলোর দু প্রান্তের তাপমাত্রার পার্থক্যের ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন সাহায্যকারী যন্ত্র যেমন পাম্প দ্বারা বেশিরভাগ শক্তি শোষিত হয়ে যায় যা ইঞ্জিনের দক্ষতাকে অনেক কমিয়ে দেয়। কিছু চক্রের দহন প্রকোষ্ঠ প্রচলিত স্থানেই থাকলেও (অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক) সেগুলি প্রায়ই অন্যগুলোর সাথে প্রয়োগ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, জন এরিকসন আগের ডিজেল চক্রের মতো একটি বাহ্যিকভাবে দহনকৃত তাপ ইঞ্জিন তৈরী করেছিলেন।।বাহ্যিকভাবে দহনকৃত ইঞ্জিনগুলি খোলা বা বদ্ধ চক্রেও মাঝেমাঝে প্রয়োগ করা যেতে পারে। প্রতিদিন ব্যবহৃত তাপ ইঞ্জিনের উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, অন্তর্দহন ইঞ্জিন এবং আগ্নেয়াস্ত্র । তাপের মাধ্যমে তাপ ইঞ্জিনের গ্যাসের সম্প্রসারণের মাধ্যমে এই ইঞ্জিনগুলো চালি থবার শক্তি পায়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ও জলমন্ডল এবং পৃথিবীর তাপ ইঞ্জিন একত্রে একটি প্রক্রিয়ার মত কাজ করে যা ভূপৃষ্ঠের পানির বাষ্পীভবন, পরিচলন, বৃষ্টিপাত, বায়ুপ্রবাহ ও সামুদ্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে সৌর তাপের ভারসাম্য করে ও পৃথিবীর সর্বত্র তাপ সরবরাহ করে । তাপ ইঞ্জিনের একটি উদাহরণ হল হ্যাডলি কোষ । এটি মরু অঞ্চলে উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু বৃদ্ধি করে থাকে এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে শীতল বায়ু হ্রাস করে সরাসরি তাপীয় সঞ্চালন সৃষ্টি করে যার ফলে বায়ুর গতিশক্তি উৎপন্ন হয়। এই চক্র এবং ইঞ্জিনে, কার্যকারী পদার্থ হল গ্যাস এবং তরল। এই কার্যকরি পদার্থকে ইঞ্জিন গ্যাস থেকে তরলে পরিণত করতে পারে বা তরল থেকে গ্যাসে পরিণত করতে পারে বা উভয়ই করতে পারে। ফলে প্রবাহীটর সংকোচন বা প্রসারণ হয় যা থেকে কাজ উৎপন্ন হয়। এই চক্র ও ইঞ্জিনগুলিতে কার্যকরী পদার্থ হিসেবে সর্বদা গ্যাস ব্যবহৃত হয়(অর্থাৎ এখানে কোন দশা পরিবর্তন হয় না): এএই চক্র ও ইঞ্জিনগুলিতে কার্যকরী পদার্থ হিসেবে সর্বদা তরল পদার্থ ব্যবহৃত হয়।: বাসাবাড়ির রেফ্রিজারেটর তাপীয় পাম্পের একটি উদাহরণ যা আসলে একটি তাপ ইঞ্জিনের ঠিক বিপরীত।এখানে তাপের পার্থক্য তৈরির জন্য বাহ্যিক কাজ করতে হয়।অনেক চক্রই আছে যেগুলো বিপরীতমুখী প্রক্রিয়ায় কাজ করে শীতল অংশ থেকে তাপ সরিয়ে উষ্ণ অংশে প্রদান করে। ফলে শীতল অংশ শীতলতর হয় এবং উষ্ণ অংশ উষ্ণতর হয়। অন্তর্দহন ইঞ্জিনগুলো তাদের প্রকৃতি অনুসারে প্রত্যাগামী নয়। রেফ্রিজারেশন চক্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত: বারটন বাষ্পীভবন ইঞ্জিন এমন একটি চক্রের ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত হয় যা পানির বাষ্পীভবনের মাধ্যমে শক্তি ও শীতল আর্দ্র বায়ু উৎপন্ন করে ও উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ুতে তা বর্জন করে। মেসোস্কপিক তাপ ইঞ্জিন হল ন্যানোস্কেলে পরিচালিত একটি ইঞ্জিন যা খুব ক্ষুদ্র পরিসরে তাপীয় ফ্লাক্স ও কাজ উৎপন্ন করে। বৈদ্যুতিক শীতায়ক যন্ত্রের মত কিছু যন্ত্রে এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। এ ধরনের মেসোস্কোপিক তাপ ইঞ্জিনে তাপীয় বিশৃঙ্খলার জন্য চক্রপ্রতি কাজের মান ওঠানামা করে। কোন তাপ ইঞ্জিন দ্বারা কৃতকাজের এক্সপোনেন্ট এর গড়মানের সাথে উষ্ণ তাপ উৎস থেকে সঞ্চালিত তাপশক্তির সম্পর্কিত একটি সরাসরি সমীকরণ রয়েছে। এই সমীকরণটি দ্বারা কার্নোর অসমতটি সমতায় রূপান্তরিত হয়। এই সমীকরণটি একইসাথে কার্নোর চক্রের সমতাসূচক সমীকরণ। কোন তাপ ইঞ্জিন, প্রদত্ত শক্তির যত অংশ কাজে রূপান্তরিত করতে পারে তাকে ঐ তাপ ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা বলে। তাপগতিবিদ্যার সূত্র অনুসারে একটি সম্পূর্ণ চক্রের জন্য: অন্য কথায়, তাপ ইঞ্জিন উচ্চ তাপমাত্রার তাপ উৎস থেকে তাপ গ্রহণ করে, এর কিছু অংশ কাজে পরিণত করে ও বাকি অংশ কম তাপমাত্রার তাপ গ্রাহকে বর্জন করে। সাধারণভাবে, কোন একটি তাপ সঞ্চালন প্রক্রিয়ার(রেফ্রিজারেটর, একটি তাপীয় পাম্প কিংবা একটি ইঞ্জিন যেকোনকিছুই হতে পারে) দক্ষতা বলতে উক্ত প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত শক্তি ও প্রদত্ত শক্তির অনুপাতকে বুঝায়। ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে, তাপশক্তি থেকে কাজ পাওয়াই থাকে মূল উদ্দেশ্য। যে কোনও তাপ ইঞ্জিনের "তাত্ত্বিক" সর্বাধিক দক্ষতা কেবলমাত্র ইঞ্জিনটি যে তাপমাত্রাদ্বয়ের মধ্যে কাজ করে তার উপর নির্ভর করে। কার্নোর তাপ ইঞ্জিনের মতো আদর্শ কাল্পনিক তাপ ইঞ্জিন ব্যবহার করে এই দক্ষতার মান বের করা যায়, যদিও বিভিন্ন চক্র ব্যবহার করে অন্যান্য ইঞ্জিনগুলিও সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন করতে পারে। গাণিতিকভাবে, যেহেতু প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে, শীতল তাপাধারের এনট্রপির পরিবর্তন হ'ল উষ্ণ তাপাধারের এন্ট্রপির পরিবর্তনের ঋণাত্মক (অর্থাৎ formula_7 ), তাই এন্ট্রপির সামগ্রিক পরিবর্তন শূন্য হয়। অর্থাৎ: যেখানে formula_9 হল উষ্ণ তাপ উৎসের পরম তাপমাত্রা এবং formula_10 হলকেলভিন শীতল তাপগ্রাহকের তাপমাত্রা, সাধারণত এই তাপমাত্রাগুলো কেলভিন এ পরিমাপ করা হয়। এখানে লক্ষ্যণীয় যে যখন formula_11 এর মান ঋণাত্মক, formula_12 এর মান তখন ধণাত্মক হয়; যে কোনও প্রত্যাবর্তী প্রক্রিয়াতে, এনট্রপির মান সামগ্রিকভাবে বৃদ্ধি হয় না, বরং একটি উষ্ণ (উচ্চ-এনট্রপি) সিস্টেম থেকে শীতল (নিম্ন-এনট্রপি) সিস্টেমে স্থানান্তরিত হয়, যার ফলে তাপ উৎসের এন্ট্রপি হ্রাস পায় ও তাপ গ্রাহকের এন্ট্রপই বৃদ্ধি পায়। সর্বাধিক দক্ষতার অর্জনের জন্য যে কারণ রয়েছে তা নিচে উল্লেখ করা হলো। প্রথমে ধরে নেয়া হয় যে কোন ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা কার্নোর ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি হলে তাকে তাপীয় পাম্প হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।। গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা যায় যে এর ফলে এনট্রপির মান হ্রাস পায়।কিন্তু যেহেতু তাপগতিবিদ্যার দ্বিতীয় সূত্র অনুসারে এটি পরিসংখ্যানগতভাবে অসম্ভব, তাই বলা যায় যে কার্নোর দক্ষতাই হল তাত্ত্বিকভাবে কোন তাপগতীয় চক্রের সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতার মান। অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায় যে এখন পর্যন্ত এমন কোন তাপ ইঞ্জিন পাওয়া যায় নি যা কার্নোর তাপ ইঞ্জিনের চেয়ে বেশি কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করেছে। চিত্র ২ এবং চিত্র ৩ এ কার্নোর চক্রের কর্মদক্ষতার ক্রমাগত পরিবর্তন দেখা যায়। স্থির কম্প্রেসর তাপমাত্রার জন্য তাপ প্রদানের ফলে তাপমাত্রার বৃদ্ধির সাথে কর্মদক্ষতা কীভাবে পরিবর্তিত হয় তা চিত্র ২ দ্বারা নির্দেশিত হয় । চিত্র 3 নির্দেশ করে যে স্থির টারবাইন তাপমাত্রার জন্য তাপ গ্রাহকে বর্জিত তাপের জন্য তাপ গ্রাহকের তাপমাত্রায় বৃদ্ধির সাথে দক্ষতা কীভাবে পরিবর্তিত হয়। যেকোন সর্বোচ্চদক্ষতাসম্পন্ন কার্নোর চক্রকে অবশ্যই অতিক্ষুদ্র তাপমাত্রা ব্যবধানে পরিচালিত হতে হবে; এর কারণ হ'ল যেকোন দুটি ভিন্ন তাপমাত্রার বস্তুর মধ্যে তাপ সঞ্চালন হল অপ্রত্যাবর্তী, তাই কার্নোর ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতার সমীকরণটি কেবল অতিক্ষুদ্র ব্যবধানের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু বাস্তবে তাপ ইঞ্জিনগুলোর উদ্দেশ্য কেবল শক্তি উৎপাদন করা ,অতিক্ষুদ্র আউটপুট শক্তি খুব কমই চাওয়া হয়। এন্ডোরিভারসিবল তাপগতিবিদ্যা অনুসারে আদর্শ তাপ-ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতার পরিমাপের জন্য আরেকটি সমীকরণ পাওয়া যায়, যেখানে ইঞ্জিনের তাপীয় চক্রটি কার্নোর চক্রের সমতুল্য, পার্থক্য কেবল এই চক্রের প্রক্রিয়াসমূহ অপ্রত্যাবর্তী(কলেন 1985)":" বাস্তবে তাপ ইঞ্জিনগুলো কত ভাল কাজ করবে তা এই মডেলটির সাহায্যে বেশ ভাল অনুমান করা যায়। (কলেন 1985, এন্ডোরিভারসিবল তাপগতিবিদ্যা দেখুন ): উক্ত সারণি অনুসারে দেখা যায় যে এন্ডোরিভার্সিবল কর্মদক্ষতার মান পরীক্ষালব্ধ মানের সবচেয়ে কাছাকাছি। প্রাচীনকাল থেকেই মানুষের তাপ ইঞ্জিন সম্পর্কে ধারণা ছিল, তবে অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্প বিপ্লবের সময়ই এটি একটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র হিসেবে তৈরি হয়েছিল। আজ পর্যন্ত এর বিকাশ অব্যাহত রয়েছে। কোন তাপ ইঞ্জিনের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রকৌশলীগণ বিভিন্ন ধরনের তাপ ইঞ্জিন পর্যালোচলা করেছেন। কোন গ্যাস ভিত্তিক তাপ ইঞ্জিনই কার্নোর ইঞ্জিনের দক্ষতার সীমা অতিক্রম করতে পারবে না, কিন্তু প্রকৌশলীগণ অন্তত দুটি উপায় খুঁজে পেয়েছেন যাতে করে তাপ ইঞ্জিনগুলো এই সীমা অতিক্রম করতে পারে এবং সকল নিয়ম রক্ষা করেই আরও বেশি কর্মদক্ষ হতে পারে। এগুলো হল: প্রতিটি প্রক্রিয়া নিম্নলিখিতগুলির মধ্যে একটি: তাপ ইঞ্জিনসমূহের কর্মদক্ষতা সর্বাধিক করাই বর্তমান আধুনিক বিশ্বের লক্ষ্য। কার্নোর চক্র অনুসারে সর্বাধিক কর্মদক্ষতা পাওয়া গেলেও সেটি আদতে একটি তাত্ত্বিক ধারণা। যদি কোনভাবে আউটপুট তাপ কে সংরক্ষণ করা যেত তাহলে শতভাগ কর্মদক্ষতা অর্জিত হতে পারত। কিন্তু যেহেতু চক্রটিকে আবার তার পূর্বাবস্থায় ফিরে আসতে হবে তাই এমন একটি তাপগ্রাহকে তাপ বর্জন করতে হবে যার তাপমাত্রা তাপ উৎস থেকে কম। তাই কোনভাবেই আউটপুট তাপকে সংরক্ষণ করা যায় না।  ১. Thermodynamics An Engineering Approach, by Yunus A. Cengel and Michael Boles.
1051344
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051344
বিষবিজ্ঞান
বিষবিজ্ঞান বিষবিজ্ঞান হল একটি বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলা , যা জীববিজ্ঞান , রসায়ন, ঔষধবিজ্ঞান এবং মেডিসিন দ্বারা অধিক্রমিত হয়, এতে জীবিত প্রাণীর উপর রাসায়নিক পদার্থের বিরূপ প্রভাবগুলির অধ্যয়ন জড়িত এবং বিষ ও বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শ সনাক্তকরণ ও চিকিৎসার অনুশীলন জড়িত। গ্রহণ মাত্রা এবং উদ্ভাসিত প্রাণীর উপর এর প্রভাবের মধ্যকার সম্পর্ক টক্সিকোলজিতে উচ্চ তাৎপর্যপূর্ণ। রাসায়নিক বিষকে প্রভাবিত করার কারণগুলির মধ্যে গ্রহণের মাত্রা, প্রকাশের সময়কাল (এটি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী), প্রকাশের পন্থা, প্রজাতি, বয়স, লিঙ্গ এবং পরিবেশ অন্তর্ভুক্ত। বিষাক্তবিদরা বিষ এবং বিষের ক্রিয়ার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। প্রমাণ-ভিত্তিক অনুশীলনের দিকে বৃহত্তর আন্দোলনের অংশ হিসাবে প্রমাণ-ভিত্তিক টক্সিকোলজির জন্য একটি আন্দোলন রয়েছে। বিষক্রিয়া বর্তমানে ক্যান্সার গবেষণার ক্ষেত্রে অবদান রাখছে, যেহেতু কিছু বিষ টিউমার কোষগুলি হত্যার জন্য ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল রাইবোসোম নিষ্ক্রিয়কারী প্রোটিন, যা লিউকেমিয়ার চিকিৎসায় পরীক্ষিত। নিউ ল্যাটিন ভাষায় শব্দ "বিষবিজ্ঞান" ( ) হল একটি নব্য-সনাতনী যৌগ , প্রথম ১৭৯৯ সালে প্রায় সত্যায়িত, যা "toxico-" + "-logy শব্দ দুটির মিশ্র গঠন থেকে এসেছে", যেটা প্রকৃতপক্ষে প্রাচীন গ্রীক শব্দ - τοξικός "টক্সিকোস", "বিষাক্ত" এবং λόγος,"লোগোস" "বিষয়" থেকে আগত। রোমান সম্রাট নেরোর দরবারের গ্রীক চিকিৎসক ডায়োস্করাইডস তাদের উদ্ভিদগুলিকে বিষাক্ত এবং চিকিৎসার প্রভাব অনুযায়ী শ্রেণিবদ্ধ করার প্রথম প্রচেষ্টা করেছিলেন। ইবনে ওয়াহশিয়্যা ৯ম বা ১০ম শতাব্দীতে "বিষ নিয়ে বই" লেখেন। এটি 1360 সালে খগেন্দ্র মণি দর্পন অনুসরণ করেছিলেন । থিওফ্রাস্টাস ফিলিপাস অরোলিয়াস বোম্বাস্টাস ভন হোহেনহিম (১৪৯৩-১৫৪১), যিনি প্যারাসেলসাস নামেও পরিচিত, (এই বিশ্বাস থেকে যে তাঁর পড়াশোনা রোমান চিকিৎসক সেলসাসের কাজের ঊর্ধ্বে ছিল ) বিষতত্ত্বের "জনক" হিসাবে বিবেচিত হন। সর্বোত্তম বিষ বিদ্যার প্রবাদ দ্বারা তিনি কৃতিত্বপ্রাপ্ত, " "Alle Dinge sind Gift, und nichts ist ohne Gift; allein die Dosis macht, dass ein Ding kein Gift ist." " যার অর্থ, "সমস্ত কিছুই বিষাক্ত এবং বিষ ছাড়া কিছুই নয়; শুধুমাত্র গ্রহণ মাত্রা একটি জিনিসকে বিষহীন করে " এটি সংক্ষেপে উপস্থাপিত হয় এভাবে: " গ্রহণ মাত্রা বিষ তৈরি করে " বা লাতিন ভাষায় "সোলা ডসিস ফেসিট ভেনেনাম"। ম্যাথিউ অরফিলা বিষবিদ্যার আধুনিক জনক হিসাবে বিবেচিত, তিনি ১৮১৩ "সালে সাধারণ মানুষকে" প্রথম আনুষ্ঠানিক চিকিৎসা দিয়েছিলেন যা তার "বই'ট্র্যাটি ডেস পোয়েসন'-" এ উল্লেখ্য, যাকে "টক্সিকোলজি গ্যানারেলও" বলা হয়। জিন স্টাস প্রথম ব্যক্তি যিনি সফলভাবে মানব টিস্যু থেকে উদ্ভিদের বিষকে সফলভাবে পৃথক করেন ১৮৫০ সালে। এটি তাকে বোকার্মে হত্যা মামলায় বিষ হিসাবে নিকোটিনের ব্যবহার শনাক্ত করার অনুমতি দেয় এবং বেলজিয়ামের কাউন্ট হিপপলিট উইসার্ট ডি বোকার্মে কে তার শ্যালককে হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করার প্রয়োজনীয় প্রমাণ সরবরাহ করে। বিষক্রিয়া মূল্যায়নের লক্ষ্য হল কোনও পদার্থের বিরূপ প্রভাব চিহ্নিত করা। বিরূপ প্রভাব দুটি প্রধান কারণের উপর নির্ভর করে: i) বিষদ্বারা আক্রান্তের পদ্ধতি (মৌখিকভাবে, শ্বসন, বা ত্বকের মাধ্যমে) এবং ii) গ্রহণ মাত্রা ( প্রকাশের সময়কাল এবং ঘনত্ব)। সঠিক গ্রহণ মাত্রা জানতে, তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী উভয় মডেলগুলিতে পদার্থগুলি পরীক্ষা করা হয়। সাধারণত কোনও পদার্থের দ্বারা ক্যান্সার হয় কিনা তা নির্ধারণ করতে এবং অন্যান্য ধরনের বিষক্রিয়া পরীক্ষা করতে বিভিন্ন সেট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। রাসায়নিক বিষকে প্রভাবিত করার কারণগুলি: প্রমাণ ভিত্তিক বিষ বিদ্যার অনুশাসন বিষবিদ্যার প্রশ্নগুলির জবাব দেওয়ার জন্য স্বচ্ছ, ধারাবাহিকভাবে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণগুলি মূল্যায়ন করার চেষ্টা করে, জীবিত জীব এবং পরিবেশের উপর রাসায়নিক, শারীরিক বা জৈবিক এজেন্টগুলির বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে এবং এই প্রভাবগুলির প্রতিরোধ এবং উন্নতি সাধন সম্পর্কেও অধ্যয়ন করে। প্রমাণ-ভিত্তিক বিষ বিদ্যার বিজ্ঞানের অবস্থা মূল্যায়ন করার জন্য বর্তমান পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বিষাক্ত সম্প্রদায়ের উদ্বেগের সমাধান করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা, বিভিন্ন ধরনের প্রমাণ সংশ্লেষণ এবং পক্ষপাত ও বিশ্বাসযোগ্যতার মূল্যায়ন সম্পর্কিত উদ্বেগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রমাণ-ভিত্তিক অনুশীলনের দিকে প্রমাণ-ভিত্তিক বিষক্রিয়ার বৃহত্তর আন্দোলনের শিকড় রয়েছে। বিষক্রিয়া পরীক্ষাগুলি বিভিন্ন পদ্ধতিতে যেমন, "ভিভোতে" (পুরো প্রাণী ব্যবহার করে) বা "ভিট্রোতে" (বিচ্ছিন্ন কোষ বা টিস্যুগুলির উপর পরীক্ষা করে), বা "সিলিকোতে" (কম্পিউটারের সিমুলেশনে) ঘটানো যেতে পারে। বিষবিদ্যার পরীক্ষায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মানবেতর প্রাণী। মডেল "জীবগুলির উদাহরণ হ'ল গ্যালরিয়া মেলোনেলা ," যা ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী প্রাণীর প্রতিস্থাপন করতে পারে এবং জেব্রাফিশ, যা ভিভোতে নিম্নতর ক্রমবিন্দুতে বিষবিদ্যা অধ্যয়নের অনুমতি দেয়। ২০১৪ সালের হিসাবে, এসব প্রাণীর পরীক্ষার মাধ্যমে যেসব তথ্য পাওয়া যায় তা অন্য কোনোভাবে পাওয়া যায় না।এসব পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় যে, কোনো পদার্থ কোনো জীবের ভিতরে কীভাবে কাজ করে। বিষক্রিয়া পরীক্ষার জন্য মানবেতর প্রাণীদের ব্যবহার প্রাণী কল্যাণের কারণ হিসাবে কিছু সংস্থার দ্বারা বিরোধিতা করা হয়েছে এবং কিছু অঞ্চলে যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রসাধনী পরীক্ষার মতো এটি সীমিত বা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যদিও মানুষের উপর ওষুধের প্রভাব কেমন হতে পারে তা নির্ণয়ের একটি পদ্ধতি হল পশুপাখির উপর তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা কিন্তু এক্ষেত্রে নৈতিক এবং প্রযুক্তিগত উভয়ই উদ্বেগ রয়েছে। ১৯৫০ এর দশকের শেষের পরে থেকে, বিষ বিজ্ঞানের ক্ষেত্র পশুপাখির উপর ওষুধের প্রভাব পরীক্ষাটি কমিয়ে আনার অথবা নির্মূল করার চেষ্টা করছে "তিনটি R" নিয়মের ভিত্তিতে- পশুপাখির উপর পরীক্ষা সর্বনিম্ন প্রয়োজনীয়তার হিসেবে কমিয়ে(Reduce) আনা; কষ্ট কমিয়ে আনার জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির পরিমার্জন(Refine) এবং 'ইন ভিভো' পরীক্ষা পদ্ধতিকে অন্য পদ্ধতিগুলো দ্বারা প্রতিস্থাপন(Replace) অথবা সম্ভব হলে কোন নিম্নশ্রেনির প্রাণীর ব্যবহার। কম্পিউটার মডেলিং বিকল্প পরীক্ষা পদ্ধতির একটি উদাহরণ; রাসায়নিক এবং প্রোটিনের কম্পিউটার মডেল ব্যবহার করে, কাঠামো-ক্রিয়াকলাপের সম্পর্কগুলি নির্ধারণ করা যায় এবং প্রয়োজনীয় কাঠামোযুক্ত প্রোটিনগুলিতে আবদ্ধ হওয়ার মতো এবং এর সাথে ক্রিয়া-বিক্রিয়া ঘটানোর মতো রাসায়নিক কাঠামো চিহ্নিত করা যায়। এই কাজের জন্য আণবিক মডেলিংয়ে এবং পরিসংখ্যানে দক্ষ জ্ঞান এবং একইসাথে রসায়ন, জীববিজ্ঞান এবং বিষবিদ্যায় বিশেষজ্ঞের অভিমত প্রয়োজন। 2007 সালে আমেরিকান এনজিও ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস "একবিংশ শতাব্দীতে বিষাক্ততা পরীক্ষা: একটি দৃষ্টি এবং একটি কৌশল" নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল যা একটি বিবৃতি দিয়ে শুরু : "পরিবর্তন প্রায়শই একটি মূল ঘটনা থেকে হয় যা পূর্ববর্তী ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে রচিত হয় এবং দরজা খুলে দেয় নতুন একটি যুগের। বিজ্ঞানের প্রধান ঘটনাগুলির মধ্যে রয়েছে পেনিসিলিন আবিষ্কার, ডিএনএ ডাবল হেলিক্সের ব্যাখ্যা এবং কম্পিউটারের বিকাশ। । । । বিষক্রিয়া পরীক্ষা এই জাতীয় বৈজ্ঞানিকভাবে গুরুতর সময়ে এসে পৌঁছেছে। এটি জীববিজ্ঞান এবং জীবপ্রযুক্তির বিপ্লবগুলির সুযোগ গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত। টক্সিকোজেনোমিক্স, বায়োইনফরম্যাটিক্স, সিস্টেমস বায়োলজি, এপিগনেটিক্স এবং কম্পিউটেশনাল টক্সিকোলজির অগ্রগতিগুলি বিষক্রিয়া পরীক্ষার পদ্ধতিকে পুরো প্রাণীর উপর পরীক্ষা থেকে ইন ভিট্রো পদ্ধতিতে পরিবর্তিত করবে যা কোষ, কোষ রেখা অথবা কোষীয় বস্তুতে, বিশেষত মানুষের, বিষের ফলে ঘটিত পরিবর্তন মূল্যায়ন করবে " 2014 পর্যন্ত এটি অবাস্তব ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা তাদের টক্সকাস্ট প্রোগ্রামে (কমপটক্স কেমিক্যালস ড্যাশবোর্ডের একটি "অংশ) সিলিকা" মডেলিংয়ে এবং একটি মানব প্লুরিপোটেন্ট স্টেম সেল- ভিত্তিক পার্শ্ব ব্যবহার করে সেলুলার বিপাকের পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে "ভিভো" ডেভেলপমেন্টাল নেশার ক্ষেত্রে ভবিষ্যদ্বাণী করতে 1,065 রাসায়নিক ও ড্রাগ ড্রাগগুলি অধ্যয়ন করেছে following রাসায়নিক এক্সপোজার 2020-এ প্রকাশিত এই টক্সকাস্টপিএমএম ডেটাসেটের বিশ্লেষণের প্রধান অনুসন্ধানগুলির মধ্যে রয়েছে: (1) 1065 রাসায়নিকের 19% বিকাশযুক্ত বিষাক্ততার পূর্বাভাস পেয়েছে, (২) অ্যাস পারফরম্যান্স উচ্চ স্পষ্টতা (> 84%) দিয়ে %৯% –82% যথার্থতাতে পৌঁছেছে তবে পরিমিত সংবেদনশীলতা (<%)%) যখন "মানব প্রসবপূর্ব বিকাশজনিত বিষের ভিভো" প্রাণী মডেলের সাথে তুলনা করা হয়, (3) প্রাণীর গবেষণায় প্রমাণের প্রয়োজনীয়তার আরও কঠোর ওজন প্রয়োগ করা হওয়ায় সংবেদনশীলতা উন্নত হয় এবং (4) সবচেয়ে শক্তিশালী রাসায়নিকের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ টক্সকাস্টের নির্দিষ্ট জৈব রাসায়নিক পদার্থের উপর আঘাত হানা এসটিএম প্রতিক্রিয়ার সাথে ইতিবাচক এবং নেতিবাচক সংঘবদ্ধতা প্রকাশ করেছে, এটি লক্ষ্যবস্তু সমাপ্তির অবস্থান এবং এর জৈবিক ডোমেনের যান্ত্রিক দিকগুলির অন্তর্দৃষ্টি সরবরাহ করে। কিছু ক্ষেত্রে প্রাণী অধ্যয়ন থেকে সরে যাওয়া আইন বা নিয়ম দ্বারা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে; ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) 2013 সালে প্রসাধনীর পরীক্ষার জন্য প্রাণীর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। বেশিরভাগ রাসায়নিকগুলি ক্লাসিক ডোজ প্রতিক্রিয়া বক্ররেখা প্রদর্শন করে - একটি কম ডোজ এ (একটি প্রান্তিকের নীচে), কোনও প্রভাব পরিলক্ষিত হয় না। কিছু যথেষ্ট চ্যালেঞ্জ হিসাবে পরিচিত একটি ঘটনা দেখায় - একটি ছোট এক্সপোজার এমন প্রাণী তৈরি করে যেগুলি "আরও দ্রুত বৃদ্ধি পায়, আরও ভাল চেহারা এবং কোটের গুণমান ভাল থাকে, কম টিউমার থাকে এবং নিয়ন্ত্রণকারী প্রাণীদের চেয়ে বেশি দিন বেঁচে থাকে"। কয়েকটি রাসায়নিকের এক্সপোজারের কোনও সু-সংজ্ঞায়িত নিরাপদ স্তর নেই। এগুলি বিশেষ যত্ন সহকারে চিকিৎসা করা হয়। কিছু রাসায়নিক পদার্থ জৈব চক্রের শিকার হয় কারণ সেগুলি দেহ থেকে নিষ্কাশনের পরিবর্তে সঞ্চিত থাকে; এগুলিও বিশেষ বিবেচনা করে। মেডিকেল টক্সিকোলজি হ'ল এমন শৃঙ্খলা যা চিকিত্সকের স্ট্যাটাস (এমডি বা ডিও ডিগ্রি প্লাস স্পেশালিটি শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা) প্রয়োজন। টক্সিকোলজিস্টরা একাডেমিক, অলাভজনক এবং শিল্প ক্ষেত্রে গবেষণা, পণ্য সুরক্ষা মূল্যায়ন, পরামর্শ, জনসেবা এবং আইনি নিয়ন্ত্রণ সহ অনেকগুলি বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে। রাসায়নিকের প্রভাবগুলি গবেষণা ও মূল্যায়ন করার জন্য, টক্সিকোলজিস্টরা সাবধানতার সাথে ডিজাইন করা অধ্যয়ন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এই পরীক্ষাগুলি এমন রাসায়নিকের নির্দিষ্ট পরিমাণ সনাক্ত করতে সহায়তা করে যা নির্দিষ্ট রাসায়নিকগুলিতে থাকা পণ্যগুলির নিকটে বা ব্যবহারের সম্ভাবনা ও ক্ষতির কারণ হতে পারে। গবেষণার প্রকল্পগুলি পরিবেশের বিষাক্ত দূষণকারীদের প্রভাবগুলি মূল্যায়ন থেকে শুরু করে ওষুধের ওষুধের মধ্যে মানব প্রতিরোধ ব্যবস্থা রাসায়নিক যৌগগুলিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা মূল্যায়ন করতে পারে। বিষাক্তবিদদের প্রাথমিক কর্তব্যগুলি জীব এবং তার আশেপাশে রাসায়নিকের প্রভাব নির্ধারণ করা, নির্দিষ্ট চাকরির শিল্পের উপর নির্ভর করে এবং কর্মসংস্থানের উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ, ফরেনসিক টক্সিকোলজিস্টরা কোনও অপরাধের দৃশ্যে বিষাক্ত পদার্থের সন্ধান করতে পারে, অন্যদিকে জলজ বিষাক্তবিদরা জলাশয়ের বিষাক্ত মাত্রা বিশ্লেষণ করতে পারেন। টক্সিকোলজিতে চাকরির বেতনের বেতন স্কুল পড়ার স্তর, বিশেষজ্ঞকরণ, অভিজ্ঞতা সহ বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভরশীল। মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিএলএস) নোট করেছে যে জৈবিক বিজ্ঞানীদের জন্য চাকরি, যার মধ্যে সাধারণত বিষতত্ত্ববিদদের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ২০০৮ থেকে 2018 সালের মধ্যে 21% বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হয়েছিল। বিএলএস নোট করে যে বায়োটেকনোলজিতে গবেষণা এবং বিকাশের বিকাশের পাশাপাশি জৈবিক বিজ্ঞানের বেসিক এবং চিকিৎসা গবেষণার জন্য বাজেট বৃদ্ধির কারণে এই বৃদ্ধি হতে পারে।
1051345
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051345
হৃদপিণ্ডের কপাটিকা
হৃদপিণ্ডের কপাটিকা হৃৎপিণ্ডের কপাটিকা () হল একমুখী ভালভ যা সাধারণত রক্তকে হৃৎপিণ্ডের মধ্য দিয়ে শুধুমাত্র এক দিকে প্রবাহিত হতে দেয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীর হৃৎপিণ্ডে উপস্থিত চারটি কপাটিকা হৃৎপিণ্ডের মধ্য দিয়ে রক্তের প্রবাহ নির্ধারণ করে। একটি হৃৎপিণ্ডের কপাটিকা প্রতিটি পক্ষের ডিফারেনশিয়াল রক্তচাপের প্রবর্তন করে বা বন্ধ করে দেয়। স্তন্যপায়ী প্রাণীর চারটি কপাটিকা হল: মাইট্রাল ভালভ এবং অ্যাওর্টিক ভালভ হৃৎপিণ্ডের বাম পাশে; ট্রাইকাসপিড ভালভ এবং পালমোনারি ভালভ হৃৎপিণ্ডের ডান পাশে অবস্থান করে। হার্টের একটি করোনারি সাইনাস ভালভ (যা থিবেসিয়ান কপাটিকা নামে পরিচিত) এবং একটি নিম্ন মহাশিরা কপাটিকা (যা ইউস্টেচিয়ান কপাটিকা নামে পরিচিত) রয়েছে যা এখানে আলোচনা করা হয়নি। হৃৎপিণ্ডের ভালভ এবং চেম্বারগুলি এন্ডোকার্ডিয়াম দিয়ে রেখাযুক্ত থাকে। হৃৎপিণ্ডের ভালভগুলি অ্যাট্রিয়াকে ভেন্ট্রিকল থেকে বা ভেন্ট্রিকলগুলিকে রক্তনালী থেকে পৃথক করে। হৃৎপিণ্ডের ভালভগুলি কার্ডিয়াক কঙ্কালের তন্তুযুক্ত রিংগুলির চারপাশে অবস্থিত। ভালভ ফ্ল্যাপ লিফলেট বা cusps নামক একটি অনুরূপ নিগমবদ্ধ duckbill ভালভ বা ঝাপটানি ভালভ, যা সীল রক্ত প্রবাহ করার অনুমতি খোলা push করা এবং যা পরে ঘনিষ্ঠ একসঙ্গে এবং backflow প্রতিরোধ করছে। মাইট্রাল ভালভের দুটি কাস্প রয়েছে যেখানে অন্য ভাল্ভগুলোর তিনটি কাস্প রয়েছে । কাস্পগুলোর প্রান্তে ক্ষুদ্র স্ফীতি রয়েছে যা সীলকে আরও শক্ত করে তোলে। পালমোনারি ভালভে বাম, ডান এবং অ্যান্টেরিওর কাস্প রয়েছে। মহাধমনির বাম, ডান এবং পোস্টারিওর কাস্প রয়েছে। ট্রাইকাসপিড ভালভের অ্যান্টেরিওর, পোস্টারিওর এবং সেপটাল কাস্প রয়েছে; এবং মাইট্রাল ভালভের কেবল অ্যান্টেরিওর এবং পোস্টারিওর কাস্প রয়েছে। মানব হৃৎপিণ্ডের ভালভগুলোকে দুটি সেটে বিভক্ত করা যেতে পারে: এগুলো হল মাইট্রাল এবং ট্রাইকাস্পিড ভালভ যেগুলো অ্যাট্রিয়া এবং ভেন্ট্রিকল এর মধ্যে অবস্থিত এবং সিস্টোল বা হৃৎপিণ্ডের সংকোচনের সময় ভেন্ট্রিকল থেকে অ্যাট্রিয়াতে রক্তের বিপরীত প্রবাহ প্রতিরোধ করে। এগুলো কর্ডি টেন্ডিনি দ্বারা ভেন্ট্রিকলের দেয়ালে নোঙ্গর করা থাকে, যা ভালভকে উল্টানো থেকে বাধা দেয়। কর্ডি টেন্ডিনি প্যাপিলারি পেশীগুলির সাথে সংযুক্ত থাকে যা ভালভকে আরও ভালভাবে ধরে রাখার জন্য উত্তেজনা সৃষ্টি করে।প্যাপিলারি পেশী এবং কর্ডি টেন্ডিনি একসাথে সাবভাল্ভুলার যন্ত্রপাতি হিসাবে পরিচিত। সাবভাল্ভুলার যন্ত্রপাতিটির কাজ হ'ল অ্যাট্রিয়ার বন্ধ হওয়ার সময় ভাল্ভগুলো যাতে স্থানভ্রষ্ট না হয়।সাবভ্যালভুলার যন্ত্রপাতিটি ভাল্বের খোলার এবং বন্ধ করার ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলে না, তবে পুরোপুরি ভাল্বের উপরে চাপ গ্রেডিয়েন্টের কারণে ঘটে। লিফলেটের ফ্রি মার্জিনে কর্ডগুলোর অদ্ভুত সন্নিবেশ বিভিন্ন বেধ অনুযায়ী কর্ডের মধ্যে সিস্টোলিক স্ট্রেস ভাগ করে সরবরাহ করে। প্রথম হৃৎপিণ্ডের শব্দ লাব শোনা যায় এভি ভাল্ভ বন্ধ হওয়ার সময়। দ্বিতীয় হৃৎপিণ্ডের শব্দ ডাব শোনা যায় সেমিলুনার ভাল্ভ বন্ধ হওয়ার সময়। মাইট্রাল ভালভকে বাইকাস্পিড ভালভও বলা হয় কারণ এতে দুটি লিফলেট বা কাস্প থাকে। বিশপের মাইটার (এক ধরনের টুপি) এর সাথে মাইট্রাল ভালভের সাদৃশ্য থেকে এর নাম রাখা হয় । এটি হৃৎপিণ্ডের বাম দিকে অবস্থান করে এবং বাম অ্যান্ট্রিয়াম থেকে রক্তকে বাম ভেন্ট্রিকলে প্রবাহিত হতে দেয়। ডায়াসটোল চলাকালীন, বাম অ্যাট্রিয়াম রক্ত দ্বারা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় চাপের সৃষ্টি করে যার ফলে একটি স্বাভাবিকভাবে-কার্যকরী মাইট্রাল ভালভ খুলে যায় (প্রিলোডিং)। বাম ভেন্ট্রিকলের উপরে অ্যাট্রিয়াল চাপ বাড়ার সাথে সাথে মাইট্রালভালভ খোলে। খোলার ফলে বাম ভেন্ট্রিকলে রক্তের প্রবাহ সহজতর হয়। ডায়াসটোল অ্যাট্রিয়াল সংকোচনের সাথে শেষ হয়, যা চূড়ান্ত ৩০% রক্তকে বাম অলিন্দ থেকে বাম ভেন্ট্রিকলে স্থানান্তরিত করে ।এই পরিমাণে রক্ত শেষ ডায়াস্টোলিক ভলিউম (EDV) হিসাবে পরিচিত, এবং মাইট্রাল ভালভ রক্তের প্রবাহের বিপর্যয় রোধ করতে অ্যাট্রিয়াল সংকোচনের শেষে বন্ধ হয়। ট্রাইকাসপিড ভালভের তিনটি লিফলেট বা কাস্প রয়েছে এবং এটি হৃৎপিণ্ডের ডানদিকে অবস্থান করে।ট্রাইকাসপিড ভালভ ডান অ্যাট্রিয়াম এবং ডান ভেন্ট্রিকলের মধ্যে অবস্থিত এবং উভয়ের মধ্যে রক্তের প্রবাহকে থামিয়ে দেয়। The aortic and pulmonary valves are located at the base of the aorta and the pulmonary trunk respectively. These are also called the "semilunar valves". These two arteries receive blood from the ventricles and their semilunar valves permit blood to be forced into the arteries, and prevent backflow from the arteries into the ventricles. These valves do not have chordae tendineae, and are more similar to the valves in veins than they are to the atrioventricular valves. The closure of the semilunar valves causes the second heart sound. তিনটি কাস্পযুক্ত অ্যাওর্টিক ভালভ বাম ভেন্ট্রিকল এবং অ্যাওর্টার মধ্যে রয়েছে । ভেন্ট্রিকুলার সিস্টোলের সময়, বাম ভেন্ট্রিকলে চাপ বৃদ্ধি পায় এবং যখন এওর্টির চাপের চেয়ে বেশি হয়, তখন মহাজাগরীয় ভালভটি খোলে, রক্তকে বাম দিকের ভেন্ট্রিকলকে মহাজাগরে প্রবেশ করতে দেয়। ভেন্ট্রিকুলার সিস্টোলটি শেষ হয়ে গেলে, বাম ভেন্ট্রিকলের মধ্যে চাপ দ্রুত নেমে যায় এবং এওর্টায় চাপ চাপ মহাজনিক ভাল্বকে বন্ধ করতে বাধ্য করে। অর্টিক ভাল্বের বন্ধকরণ দ্বিতীয় হার্টের শব্দের A2 উপাদানকে অবদান রাখে। পালমোনারি ভালভ (কখনও কখনও পালমনিক ভালভ হিসাবে পরিচিত) ডান ভেন্ট্রিকল এবং পালমোনারি ধমনির মধ্যে অবস্থিত এবং এর তিনটি কুঁচক রয়েছে। এওরটিক ভালভের অনুরূপ, পালমোনারি ভালভটি ভেন্ট্রিকুলার সিস্টলে খোলে, যখন ডান ভেন্ট্রিকলে চাপ ফুসফুস ধমনীতে চাপের উপরে উঠে যায়। ভেন্ট্রিকুলার সিস্টোলের শেষে, যখন ডান ভেন্ট্রিকলে চাপ দ্রুত পড়ে, তখন পালমোনারি ধমনীতে চাপ ফুসফুসীয় ভাল্বকে বন্ধ করে দেবে। পালমনারি ভালভ বন্ধ হওয়া দ্বিতীয় হার্ট সাউন্ডের পি 2 উপাদানকে অবদান রাখে। ডান হৃদয় একটি নিম্নচাপের সিস্টেম, সুতরাং দ্বিতীয় হার্টের শব্দের পি 2 উপাদানটি সাধারণত দ্বিতীয় হার্টের শব্দের A2 উপাদানগুলির চেয়ে নরম হয়। তবে শ্বাসকষ্টের সময় উভয় উপাদানই পৃথক হয়ে শুনে কিছু তরুণদের মধ্যে শারীরবৃত্তীয়ভাবে স্বাভাবিক। বিকাশকারী হার্টে, অলিন্দ এবং নিলয়ের মধ্যে থাকা কপাটিকা, দ্বিপত্র এবং ত্রিপত্র কপাটিকাগুলি অ্যাট্রিওভেন্ট্রিকুলার নালীর দুপাশে বিকাশ লাভ করে। ভেন্ট্রিকলের গোড়াগুলির উর্ধ্বগামী প্রসারিত হওয়ার ফলে নালীটি ভেন্ট্রিকল গহ্বরে আবদ্ধ হয়। আক্রমনাত্মক মার্জিনগুলি এভি ভালভের পার্শ্বীয় কাস্পগুলির সূচনা করে। মাঝারি এবং সেপটাল কাস্পগুলি সেপ্টাম ইন্টারমিডিয়ামের নিম্নমুখী প্রসারণ থেকে বিকাশ ঘটে। সাধারণভাবে,হৃৎপিণ্ডের ভালভের গতি নির্ধারণ করা হয় নাভিয়ার – স্টোকস সমীকরণটি ব্যবহার করে যেখানে রক্তচাপের সীমানা পরিস্থিতি, পেরিকার্ডিয়াল তরল এবং সীমাবদ্ধতা হিসাবে বাহ্যিক লোড ব্যবহার করা হয় । বাম এবং ডান ভেন্ট্রিকল থেকে অ্যাওর্টা এবং ফুসফুসে রক্ত নির্গমনের গতি নির্ধারণে হৃৎপিণ্ডের ভালভের গতিটি নাভিয়ার-স্টোকস সমীকরণের সীমানা শর্ত হিসাবে ব্যবহৃত হয়। চাপের পতন, formula_1, হৃৎপিণ্ডের খোলা ভালভ জুড়ে ভালভের মাধ্যমে প্রবাহের হার, Q এর সাথে সম্পর্কিত: এই নিবন্ধটির তথ্য "Gray's Anatomy(1918)" এর ২০ তম সংস্করণ থেকে নেওয়া।
1051346
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=1051346
ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান
ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান হল পরিমাপ বিজ্ঞানের একটি উপক্ষেত্র যা ন্যানো মাপনী স্তরে পরিমাপের বিজ্ঞানের সাথে সম্পর্কিত। ন্যানোদ্রব্যের যান্ত্রিক শিল্পোৎপাদন, ন্যানো উপাদানসমূহ এবং উচ্চ মাত্রার সঠিকতা সম্পন্ন এবং নির্ভরযোগ্য যন্ত্রপাতি তৈরিতে ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এই ক্ষেত্রে একটি সামর্থ্যপ্রমাণমূলক পরীক্ষা হল পরবর্তী প্রজন্মের (যে প্রজন্ম ন্যানোমিটার মাপনীর উপকরণ এবং প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল হবে) প্রয়োজন পূরণ করবে এমন নতুন পরিমাপ পদ্ধতি এবং মানের উন্নয়ন সাধন করা অথবা সেগুলি তৈরি করা। নতুন নমুনা গঠন এবং বৈশিষ্ট্যগুলির পরিমাপ ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা বর্তমান পরিমাপ বিজ্ঞানের সামর্থ্যের চেয়ে অনেক বেশি। উদীয়মান মার্কিন ন্যানোপ্রযুক্তি শিল্পগুলিতে প্রত্যাশিত অগ্রগতির জন্য পূর্বে যা কল্পিত হয়েছিল তার চেয়েও উচ্চতর সমাধান ক্ষমতা এবং সঠিকতার বিপ্লবী পরিমাপ বিজ্ঞানের প্রয়োজন হবে। ন্যানো প্রযুক্তির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল সংকটজনক মাত্রাগুলি নিয়ন্ত্রণ। বর্তমানে ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান অনেকাংশে অর্ধপরিবাহী প্রযুক্তির বিকাশের উপরই নির্ভরশীল। ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান ন্যানোমাপনী স্তরে পরিমাপের বিজ্ঞান। ন্যানোমিটার (সংক্ষেপে এনএম) ১০ মিটার-এর সমতুল্য। ন্যানো প্রযুক্তিতে বস্তুর মাত্রাগুলির সঠিক নিয়ন্ত্রণ গুরুত্বপূর্ণ। ন্যানোব্যবস্থাগুলির সাধারণ মাত্রা ১০ থেকে কয়েক'শ ন্যানোমিটারে পরিবর্তিত হয় এবং এই জাতীয় ব্যবস্থার পরিমাপ বানানোর সময় ০.১  ন্যানোমিটার প্রয়োজন। ন্যানোমাপনীতে ছোট মাত্রার কারণে নতুন বিভিন্ন ভৌত ঘটনা লক্ষ করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যখন কেলাসের আকার ইলেকট্রনের গড় মুক্ত পথ থেকে ছোট হয় তখন কেলাসের পরিবাহিতা পরিবর্তিত হয়। আরেকটি উদাহরণ হ'ল ব্যবস্থায় চাপের বিভাজিত হওয়া। ন্যানোব্যবস্থাগুলির প্রকৌশল এবং সেগুলি উৎপাদন করতে এই ঘটনাগুলি প্রয়োগ করার জন্য ভৌত পরামিতিগুলি পরিমাপ করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। দৈর্ঘ্য বা আকার, শক্তি, ভর, তড়িৎ এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলির পরিমাপ ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। সমস্যাটি হল নির্ভরযোগ্যতা এবং নির্ভুলতার সাথে এগুলি কীভাবে পরিমাপ করা যায়। বৃহৎ (ম্যাক্রো) ব্যবস্থাগুলির জন্য ব্যবহৃত পরিমাপ কৌশলগুলি ন্যানো ব্যবস্থার পরামিতিগুলো পরিমাপের জন্য সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। ভৌত ঘটনার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন প্রয়োগকৌশল তৈরি করা হয়েছে যা ন্যানো কাঠামো এবং ন্যানোউপাদানসমূহের পরামিতিগুলি পরিমাপ বা নির্ধারণের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নির্দিষ্ট পৃষ্ঠ নির্ধারণ করার জন্য বেশ জনপ্রিয় কিছু পদ্ধতি হল রঞ্জনরশ্মি (এক্স-রে) বিচ্ছুরণ,প্রেরিত ইলেকট্রনঅনুবীক্ষণ, উচ্চ ঔজ্জ্বল্যতাময় প্রেরিত ইলেকট্রন অনুবীক্ষণ, পারমাণবিক শক্তি অনুবীক্ষণ, ক্রমবেক্ষক ইলেকট্রন অনুবীক্ষণ, ক্ষেত্র নির্গমন ক্রমবেক্ষক ইলেকট্রন অনুবীক্ষণ এবং ব্রুনার, এমেট, টেলার পদ্ধতি। ন্যানোপ্রযুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র কারণ এটির প্রচুর পরিমাণে প্রয়োগ রয়েছে। বর্তমানে পরিমাপের আরও সুনির্দিষ্ট কৌশল এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত মানগুলি প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সুতরাং ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান ক্ষেত্রের অগ্রগতি প্রয়োজন। ন্যানোপ্রযুক্তিকে দুটি শাখায় ভাগ করা যায়। প্রথমটি হচ্ছে আণবিক ন্যানো প্রযুক্তি যার মধ্যে রয়েছে নিম্নোর্ধ্ব যান্ত্রিক শিল্পোৎপাদন (ডাউন-আপ ম্যানুফ্যাকচার) এবং দ্বিতীয়টি প্রকৌশল ন্যানো প্রযুক্তি যা ন্যানোমাপনীতে উপকরণ এবং ব্যবস্থাগুলির বিকাশ এবং প্রক্রিয়াকরণের সাথে জড়িত। দুটি শাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাপ এবং উৎপাদন সরঞ্জাম এবং কৌশলে কিছুটা পার্থক্য বিদ্যমান। তদুপরি, ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা শিল্প এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য আলাদা। গবেষণা ক্ষেত্রে ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান শিল্পের তুলনায় দ্রুততর অগ্রগতি করেছে কারণ হল মূলত শিল্পের জন্য ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞান বাস্তবায়ন করা কঠিন। গবেষণা ভিত্তিক ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানে বিভেদনক্ষমতা (রেজোলিউশন) গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে শিল্পখাতে ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানের সঠিকতাকে বিভেদনক্ষমতার চেয়ে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। অধিকন্তু, অর্থনৈতিক কারণে শিল্প ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানে কম সময় ব্যয় করা গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে গবেষণা ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানে এটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। বর্তমানে সহজলভ্য বিভিন্ন পরিমাপ কৌশলগুলির একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ যেমন শূন্যতা, কম্পন এবং শব্দমুক্ত পরিবেশের প্রয়োজন। এছাড়াও, শিল্প ন্যানো পরিমাপবিজ্ঞানে ন্যূনতম সংখ্যার পরামিতিগুলির সাথে পরিমাপগুলি আরও পরিমাণগত হতে হবে। পরিমাপ বিজ্ঞানের মানগুলি এমন বস্তু বা ধারণা যা কোনও গ্রহণযোগ্য কারণে কর্তৃপক্ষ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। আদর্শ মানের উপর ভিত্তি করে একটি নির্ধারিত মান স্থাপন বা নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে তাদের অজানা সাথে তুলনা করার জন্য তাদের কাছে যে পরিমাণ মান রয়েছে তা কার্যকর। একটি আদর্শ মান এবং কিছু অন্যান্য পরিমাপক যন্ত্রের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যে পরিমাপের তুলনাগুলি সম্পাদন করা হ'ল ক্রমাঙ্কন। আদর্শ মানটি অনিশ্চয়তা ছাড়াই স্বাধীনভাবে পুনরুত্পাদনযোগ্য। ন্যানো প্রযুক্তির প্রয়োগবিশিষ্ট পণ্যগুলির বিশ্বব্যাপী বাজারের মূল্য অদূর ভবিষ্যতে কমপক্ষে বহু হাজার কোটি মার্কিন ডলার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ পর্যন্ত ন্যানো প্রযুক্তি সম্পর্কিত ক্ষেত্রের জন্য কোনও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মান নেই বললেই চলে। আন্তর্জাতিক মান সংস্থার ন্যানোপ্রযুক্তির উপর টিসি-২২৯ কারিগরি সমিতি সম্প্রতি পরিভাষা, এর চরিত্রায়ন জন্য কয়েক মান প্রকাশিত ন্যানো-উপাদানসমূহ এবং ন্যানোকণাসমূহের মত পরিমাপ সরঞ্জাম ব্যবহার আ ফ ম, ক্রমবীক্ষণ ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র, ব্যতিচারমাপক (Interferometers), আলোক-শাব্দিক (optoacoustic) সরঞ্জাম, গ্যাস পরিশোষণ পদ্ধতি ইত্যাদি বৈদ্যুতিক সম্পদের জন্য পরিমাপের প্রমিতকরণের জন্য কয়েকটি মানদণ্ড আন্তর্জাতিক বৈদ্যুতিন প্রযুক্তি কমিশন প্রকাশ করেছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ মান যা এখনও প্রতিষ্ঠিত হয়নি সেগুলি হ'ল পাতলা ছায়াছবি বা স্তরগুলির ঘনত্ব পরিমাপের মান, পৃষ্ঠের বৈশিষ্ট্যগুলির বৈশিষ্ট্য, ন্যানোমাপনীতে বল প্রয়োগের পরিমাপের মান, ন্যানো কণাসমূহ এবং ন্যানোকাঠামোসমূহের সংকটজনক মাত্রাগুলির বৈশিষ্ট্য নির্ধারণের মান এবং ভৌত বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিমাপের মানদণ্ডগুলি যেমন চালকতা, স্থিতিস্থাপকতা, ইত্যাদি। সহনশীলতা হল উপকরণ, বৈশিষ্ট্য, বা শর্তগুলির মধ্যে পার্থক্যের অনুমোদনযোগ্য সীমা বা সীমাবদ্ধতা যা সরঞ্জামের কোনও প্রক্রিয়া এবং কোনও প্রক্রিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত না করে। অসম্পূর্ণতা এবং অন্তর্নিহিত পরিবর্তনশীলতার জন্য কোনও আপস না করে দক্ষতার পক্ষে যুক্তিসঙ্গত প্রবণতার জন্য সহনশীলতা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ন্যানো প্রযুক্তিতে ব্যবস্থাগুলির ন্যানোমিটারের পরিসীমাগুলির মাত্রা রয়েছে। অনুসরণযোগ্যতার (ট্রেসেবিলিটি) জন্য উপযুক্ত ক্রমাঙ্কন মান সহ ন্যানোমাপনীতে সহনশীলতার সংজ্ঞা দেওয়া বিভিন্ন ন্যানো যান্ত্রিক শিল্পোৎপাদন পদ্ধতির জন্য কঠিন। অর্ধপরিবাহী শিল্পে বিভিন্ন সংহত কৌশল উদ্ভাবিত রয়েছে যা ন্যানো যান্ত্রিক শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত হয়। ন্যানোসংযুতি (ন্যানো কমপোজিট), ন্যানোতার, ন্যানোচূর্ণ, ন্যানোনালিকা, ফুলারি্ ন্যানোতন্তু, ন্যানোখাঁচা, ন্যানো অণুকেলাস, ন্যানোসুঁই, ন্যানোগদি, ন্যানোজালিকা, ন্যানো কণা, ন্যানো স্তম্ভ, পাতলা ঝিল্লি, ন্যানোদণ্ড, ন্যানো কাপড়, কোয়ান্টাম বিন্দু, ইত্যাদি বিভিন্ন ন্যানোকাঠামো রয়েছে। ন্যানো কাঠামোগুলিকে তাদের মাত্রা দ্বারা শ্রেণিবদ্ধ করা হল সর্বাধিক সাধারণ উপায়। ন্যানোকাঠামোগুলিকে এগুলির অণুকেলাস (grain বা crystallite) কাঠামো এবং নির্মাণের আকারের ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে। এটি ২-মাত্রিক এবং ৩-মাত্রিক ন্যানোকাঠামোগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। ন্যানোচূর্ণের নির্দিষ্ট পৃষ্ঠতল পরিমাপের জন্য বিইটি পদ্ধতি বেশি ব্যবহৃত হয়। বদ্ধ পাত্রে আবদ্ধ বস্তুর পৃষ্ঠতলে নাইট্রোজেন কণার শোষণের ফলে উৎপন্ন নাইট্রোজেনের বিন্দু পরিমাণ চাপ পরিমাপ করা হয়। এছাড়াও, ন্যানোচূর্ণের আকৃতি গোলকীয় ধরা হয়। যেখানে "D" কার্যকর ব্যাস, "ρ" হল ঘনত্ব এবং "A" হ'ল বিইটি পদ্ধতিতে পাওয়া পৃষ্ঠের অঞ্চল।
947516
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947516
রাবে হাসানী নদভী
রাবে হাসানী নদভী রাবে হাসানী নদভী (, ১ অক্টোবর ১৯২৯ – ১৩ এপ্রিল ২০২৩) বিংশ–একবিংশ শতাব্দীর ভারতের একজন সুন্নি ইসলামি পণ্ডিত। তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সভাপতি, দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার আচার্য, রিয়াদস্ত আন্তর্জাতিক ইসলামি সাহিত্য সংগঠনের সহ-সভাপতি, বিশ্ব মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, মজলিসে তাহকিকাত ওয়া নাশরিয়াতে ইসলামের সভাপতি, উত্তর প্রদেশের দ্বীনি তালিমি কাউন্সিলের সভাপতি, দারে আরাফাত রায়বেরেলির সভাপতি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অফ অক্সফোর্ড সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজের সদস্য, দারুল মুসান্নিফীন শিবলী একাডেমির সদস্য, পয়ামে ইনসানিয়াতের পৃষ্ঠপোষক এবং ইসলামি ফিকহ একাডেমি, ভারতের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিমের মধ্যে নিয়মিত তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তিনি ১৯২৯ সালের ১ অক্টোবর ভারতের উত্তর প্রদেশের রায়বারেলির তাকিয়া কালানে রশিদ আহমদ হাসানীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখক ও সংস্কারক আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর ভাগ্নে। তিনি রায়বারেলীতে তার পারিবারিক মক্তব থেকে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামায় ভর্তি হয়ে ১৯৪৮ সালে স্নাতক হন। তিনি ১৯৫২ সালে দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামায় সহকারী অধ্যাপক, ১৯৫৫ সালে এর আরবি বিভাগের প্রধান এবং ১৯৭০ সালে আরবি অনুষদের ডিন হন। তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ভারতীয় কাউন্সিল উত্তর প্রদেশ এবং রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে ভুষিত হয়েছিলেন। আবুল হাসান আলী হাসানী নদভীর মৃত্যুর পর ২০০০ সালে তিনি এর আচার্য হন। তিনি মুজাহিদুল ইসলাম কাসেমির পর অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সভাপতি হন। তিনি উর্দুতে ১১৮টি বই রচনা করেছেন এবং সমপরিমাণ বই আরবিতেও রচনা করেছেন। তার কাজের মধ্যে রয়েছে: "A study on Arabic prose writers in India with special reference to Maulana Muhammad Rabey Hasani Nadwi" শিরোনামে ২০১২ সালে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উপর একটি পিএইচডি অভিসন্দর্ভ সম্পন্ন হয়। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের "ডেভেলপমেন্ট অব এরাবিক প্রোস ইন ইন্ডিয়া ফ্রম ১৯৪৭ টু ২০০০" শীর্ষক অভিসন্দর্ভেও তার অবদান উল্লেখিত হয়েছে। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে "Indian contributions to Arabic literature _ a study on Rabey Hasani Nadwi" শীর্ষক পিএইচডি অভিসন্দর্ভ সম্পন্ন হয়।
947518
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947518
অ্যান অগাস্টিন
অ্যান অগাস্টিন অ্যান অগাস্টিন (জন্ম: আনেট অগাস্টিন, ৩০ জুলাই ১৯৮৯) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। তিনি মালয়ালম অভিনেতা অগাস্টিনের কন্যা। তিনি লাল জোসের "এলসাম্মা এন্না আনকুট্টি" (২০১০)-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেছিলেন। তিনি "এলসাম্মা এন্না আনকুট্টি", "অর্জুনন সাক্ষী", "দা থাদিয়া" এবং "আর্টিস্ট"-এ তার অভিনয়ের জন্য পরিচিত। অগাস্টিন তার স্নাতকের শেষবর্ষে লাল জোসের "এলসাম্মা এন্না আনকুট্টি" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি নামমাত্র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিক সাফল্য ছিল এবং তার অভিনয় সমালোচকদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিল। "আর্টিস্ট" চলচ্চিত্রে গায়ত্রী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে কেরল রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ অনেক পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। অ্যান অগাস্টিন ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চিত্রনায়ক জোমন টি. জনকে বিয়ে করেছিলেন। তিনি তার বাবার মৃত্যুর পরে অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন এবং ২০১৩ সালে "নী-না" দিয়ে আবার প্রত্যাবর্তন করেছিলেন।
947524
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947524
স্যালমন (রঙ)
স্যালমন (রঙ) স্যামন বা স্যালমন হলো পিঙ্ক-কমলা থেকে হালকা পিঙ্ক পরিসরের একটি কমলা রঙ যা স্যামন বা স্যালমন মাছের মাংসের রঙের সদৃশ। অস্ট্রেলিয়ায় পরিচিত স্যামন বেশিরভাগই কমলা রঙের হয়ে থাকে। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত ওয়েব রঙটি হলো স্যামন রঙ। ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে স্যালমন বা স্যামন শব্দটির রেকর্ডকৃত প্রথম ব্যবহার হয় ১৭৭৬ সালে। স্যামন মাছের মাংসের প্রকৃত রঙ প্রায় সাদা থেকে হালকা কমলা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো হালকা স্যামন। এটি এমন একটি রঙ যা স্যামন রঙের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তবে স্যামনের তুলনায় আরেকটু হালকা। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো স্যামন পিঙ্ক। ক্রেয়লাতে এটি স্যামন নামে অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৪৯ সালে। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো কালচে স্যামন। এটি এমন একটি রঙ যা স্যামন রঙের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তবে স্যামনের তুলনায় আরেকটু গাঢ়। উপরে বর্ণিত দুটি ওয়েব রঙ হালকা স্যামন এবং স্যামনের (স্যামন পিঙ্ক) মতো এটিও এইচটিএমএল এবং সিএসএসে ব্যবহৃত হয়।
947532
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947532
হরিণমারীর ঐতিহ্যবাহী সূর্যপুরী আমগাছ
হরিণমারীর ঐতিহ্যবাহী সূর্যপুরী আমগাছ হরিণমারীর ঐতিহ্যবাহী সূর্যপুরী আমগাছটি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিণমারী সীমান্তে মন্ডুমালা গ্রামে অবস্থিত। রংপুর বিভাগের অন্তর্গত ঠাকুরগাঁও জেলার উপজেলা বালিয়াডাঙ্গীর উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ও আটোয়ারী উপজেলা, দক্ষিণে রানীশংকাইল উপজেলা, পূর্বে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা, পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। এই উপজেলা ২৫°৫৯' উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৬°১২' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১০' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ হতে ৮৮°২২' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে আছে এই আমগাছটি, যা দক্ষিণ এশিয়ার মাঝে সর্বোবৃহৎ। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় চারটি নদী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে নাগর নদী, কুলিক নদী, নোনা নদী, তীরনই নদী ও আমনদামন নদী। এই নদীবিধৌত উপজেলার পাশেই আমগাছটির অবস্থান। তবে আমগাছটির সঠিক ইতিহাস পাওয়া যায় না। তবে আনুমানিক স্থানীয়দের মতে ১৫০ বছর থেকে ২০০ বছর হবে এর বয়স। সরাসরি ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। বাস, প্লেনযোগে ভ্রমণ করে ঠাকুরগাঁও সদরে এসে ৪০ মিনিটের পথ অতিক্রম করে ঘুরে আসা যায় আমগাছটি থেকে।
947534
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947534
স্কারলেট (রং)
স্কারলেট (রং) স্কারলেট একটি উজ্জ্বল লাল রঙ, তবে কখনও কখনও তা হালকা কমলা রঙের মতো দেখায়। দৃশ্যমান আলোক বর্ণালীতে এবং প্রচলিত রঙচক্রে এটি লাল এবং কমলা রঙের স্কেলে এক-চতুর্থাংশ, যদিও তা কমলার চেয়ে সিঁদুর রঙের সাথেই অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ দেখায়। বাংলায় এটিকে টকটকে সিঁদুর লাল রঙ বলা যেতে পারে। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমীক্ষায় দেখা গেছে অবশিষ্ট রঙের তুলনায় স্কারলেটসহ লাল রঙের অন্যান্য উজ্জ্বল আভাগুলোই সাহস, শক্তি, আবেগ, উদ্দীপনা এবং আনন্দের সাথে সর্বাধিক সম্পর্কযুক্ত। রোমান ক্যাথলিক চার্চে স্কারলেট রঙটি চার্চের প্রধানের পরিধেয় বস্ত্রের রঙ এবং এটি যীশুখ্রিস্ট ও খ্রিস্টান শহীদদের রক্ত এবং ত্যাগের সাথে যুক্ত বলে বিবেচিত। স্কারলেট রঙটি প্রায়শই অনৈতিকতা ও পাপের সাথেও সম্পর্কিত বলে অভিহিত হয়, বিশেষত পতিতাবৃত্তি বা ব্যভিচারের সাথে। মূলত বাইবেলে "দ্য গ্রেট হারলট", "বেগুনি এবং লাল রঙের পোশাক পরে" বলে উল্লেখ করা হয়েছে (প্রকাশিত বাক্য ১৭: ১-৬)। নামশব্দটি মধ্যযুগীয় ইংরেজি শব্দ "স্কারলেট" থেকে এসেছে, অধিকন্তু মধ্যযুগীয় ইংরেজিতে শব্দটি এসেছে প্রাচীন ফরাসি শব্দ "এস্কারলেট" থেকে, যা কিনা আবার এসেছে লাতিন শব্দ "স্কারল্যাটাম" থেকে এবং লাতিন ভাষায় শব্দটি এসেছে ফার্সি শব্দ "স্যাকারলেট" () থেকে। মধ্যযুগে স্কারলেট শব্দটি এক ধরনের কাপড়ের জন্যও ব্যবহৃত হত যার বেশিরভাগটাই উজ্জ্বল লাল রঙের ছিল। ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে স্কারলেট শব্দটির রেকর্ডকৃত প্রথম ব্যবহার হয় ১২৫০ খ্রিস্টাব্দে। এটি স্ট্যান্ডার্ড আরজিবি বা হেক্স সংমিশ্রণের একটি প্রকরণ যা কিছু মনিটরে প্রকৃত স্কারলেট রঙটি তৈরি করে। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো ক্রেয়লা স্কারলেট। ২০০০ সালের আগ পর্যন্ত এটি টর্চ লাল (torch red) নামে পরিচিত ছিলো এবং ১৯৯৮ সালে ক্রেয়লা কর্তৃক স্কারলেট নামপ্রাপ্ত হয়। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো সিঁদুর শিখা বা ফ্লেম রঙ। ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে ফ্লেম (flame) শব্দটির রেকর্ডকৃত প্রথম ব্যবহার হয় ১৫৯০ সালে। রঙটির উৎস হলো ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত "আইএসসিসি-এনবিএস ডিকশনারি অভ কালার নেমস" (ISCC-NBS Dictionary of Color Names) নামক রঙ সম্পর্কিত অভিধানজাতীয় একটি গ্রন্থ। অভিধানটির অনলাইন সংস্করণেও ফ্লেম রঙটি (নমুনা #৩৪) প্রদর্শন করা হয়েছে। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত ওয়েব রঙটি হলো অগ্নিভাটা রঙ, ইংরেজিতে যা ফায়ার ব্রিক (fire brick) নামে পরিচিত। এটি স্কারলেট/লাল রঙের একটি মাঝারি গাঢ় আভা। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় স্কারলেট যা বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতীকে সাদারঙের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয়। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয় স্কারলেট রঙটি উটাহ্ বা ইউটাহ্ ক্রিমসন রঙের সমতুল্য।
947536
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947536
অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট
অ্যাঞ্জেলা ব্যাসেট অ্যাঞ্জেলা ইভলিন ব্যাসেট ভ্যান্স (জন্ম ১৬ আগস্ট ১৯৫৮) একজন মার্কিন অভিনেত্রী, পরিচালক, প্রযোজক ও সক্রিয়কর্মী। তিনি ১৯৮০-এর দশকের শেষভাগ থেকে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। জীবনীনির্ভর চলচ্চিত্রে কাজের জন্য তিনি অধিক পরিচিত। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দুটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয়সহ দুটি একাডেমি পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কার ও সাতটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন। তিনি "হোয়াট্‌স লাভ গট টু ডু উইথ ইট" (১৯৯৩) চলচ্চিত্রে টিনা টার্নারের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সঙ্গীতধর্মী বা হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। এছাড়া ব্যাসেট "ম্যালকম এক্স" (১৯৯২) ও "প্যান্থার" (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে বেটি শাবাজ চরিত্রে, "দ্য জ্যাকসন্স: অ্যান আমেরিকান ড্রিম" (১৯৯২) চলচ্চিত্রে ক্যাথরিন জ্যাকসন, "নটরিয়াস" (২০০৯) চলচ্চিত্রে ভোলেটা ওয়ালেস এবং "বেটি অ্যান্ড করেটা" (২০১৩) চলচ্চিত্রে করেটা স্কট কিং চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ভূমিকা হল "বয়েজ এন দ্য হুড" (১৯৯১)-এ রেভা স্টাইলস, "ওয়েটিং টু এক্সহেল" (১৯৯৫)-এ বার্নি হ্যারিস, "কনট্যাক্ট" (১৯৯৭)-এ রেচেল কনস্ট্যানটাইন, "অলিম্পাস হ্যাজ ফলেন" (২০১৩) ও "লন্ডন হ্যাজ ফলেন" (২০১৬)-এ লিন জ্যাকবস, "ব্ল্যাক প্যান্থার" (২০১৮) ও "" (২০১৯), "" (২০২২)-এ রানি রামোন্ডা। শেষোক্ত চলচ্চিত্রের জন্য তিনি চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ব্যাসেট ১৯৫৮ সালের ১৬ই আগস্ট নিউ ইয়র্ক সিটিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা বেটি জেন (বিবাহপূর্ব গিলবার্ট; ১৯৩৫-২০১৪) এবং পিতা ড্যানিয়েল বেঞ্জামিন ব্যাসেট (১৯২৪-১৯৮১)। অ্যাঞ্জেলা হারলেমে বেড়ে ওঠেন। তার নামের মধ্যাংশ তার ফুফু ইভলিনের নামানুসারে রাখা হয়েছিল। ব্যাসেট বংশনামটির উৎপত্তি হয় তার প্র-পিতামহ উইলিয়াম হেনরি ব্যাসেটের নিকট থেকে। তিনি তার সাবেক ক্রীতদাস মালিকের বংশনাম থেকে এই নামটি গ্রহণ করেন। ব্যাসেটের জন্মের ১০ মাস পর তার মাতা পুনরায় অন্তঃসত্ত্বা হন এবং দ্বিতীয় সন্তান ডিনেটের জন্ম দেন। ব্যাসেটের ভাষ্যমতে এই গর্ভধারণের ফলে বিষয়গুলো কঠিনতর হতে থাকে। ব্যাসেটের পিতামাতা তাকে তার ফুফু গোল্ডেনের কাছে রেখে আসেন। তার ফুফুর কোন সন্তান না থাকায় তিনি বাচ্চাদের পছন্দ করতেন এবং তাদের যত্ন করতেন। ১৯৮৫ সালে ব্যাসেট টিভি চলচ্চিত্র "ডাবলটেক"-এ যৌনকর্মী চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে টেলিভিশনে কাজ শুরু করেন। তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে "এফ/এক্স" (১৯৮৬) চলচ্চিত্রে সংবাদ প্রতিবেদক চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে, যার জন্য তাকে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডে যোগ দেওয়ার দরকার ছিল। ব্যাসেট আরও কাজ পাওয়ার জন্য ১৯৮৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে আসেন এবং "বয়েজ এন দ্য হুড" (১৯৯১) ও "ম্যালকম এক্স" (১৯৯২) চলচ্চিত্রে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। "ম্যালকম এক্স" চলচ্চিত্রে বেটি শাবাজ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনি ইমেজ পুরস্কার অর্জন করেন। পুরস্কার পেলেও চলচ্চিত্রটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া অর্জন করতে পারেনি। সমালোচকগণ উল্লেখ করেন যে চলচ্চিত্রটি ম্যালকম এক্সের আত্মজীবনীর উন্মত্ততা ধরতে ব্যর্থ হয়। "ম্যালকম এক্স" নির্মাণকালে পরিচালক স্পাইক লি ব্যাসেটকে ম্যালকম এক্সকে গুলি করার সময়ের একটি টেপ দেখান, কারণ তারা এই দৃশ্যটি ধারণ করবেন। ব্যাসেট এই রেকর্ডিংটিকে "ভীতিপ্রদ" বলে উল্লেখ করেন; কিন্তু সম্পূর্ণ দৃশ্যের বিবরণ শোনার পর তিনি সেই যন্ত্রণা ধারণ করতে এবং এই দৃশ্যটি পুনঃসৃজনে সমর্থ হন। ব্যাসেট অনুভব করেন যে এই গুপ্তহত্যার দৃশ্যটি সঠিকভাবে ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ এবং অবাক হন বেটি কীভাবে সবকিছু সঠিকভাবে চলার, পরিবারের লালনপালন, তাদের শিক্ষিত করে তোলা ও তাদের নিয়ে বেঁচে থাকার মনোবল অর্জন করেছিলেন। "ম্যালকম এক্স" চলচ্চিত্রটি ১৯৯২ সালের ১৮ই নভেম্বর মুক্তি পায়। তিনি "প্যান্থার" (১৯৯৫) চলচ্চিত্রে পুনরায় বেটি শাবাজ চরিত্রে অভিনয় করেন। ব্যাসেট পিক্সারের অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র "সৌল"-এ ডরোথিয়া উইলিয়ামস চরিত্রে কণ্ঠ দেন। চলচ্চিত্রটি ২০২০ সালের ২৫শে ডিসেম্বর ডিজনি+-এ মুক্তি পায়। তিনি ২০২১ সালের ১লা অক্টোবরে রাত্রীকালিন দর্শনীয় "ডিজনি এনচেন্টমেন্ট"-এ ম্যাজিক কিংডমের বর্ণনাকারী ছিলেন। ২০২২ সালে নভেম্বর মাসে তিনি "" চলচ্চিত্রে পুনরায় রানি রামোন্ডা চরিত্রে অভিনয় করেন। এই অনুবর্তী পর্বে তার অভিনয় প্রশংসিত হয় এবং তিনি ৮০তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার আয়োজনে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কৃত হন, ফলে তিনি মার্ভেল কমিক্স ভিত্তিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করে প্রধান সারির পুরস্কার বিজয়ী প্রথম অভিনয়শিল্পী। এছাড়া তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারেরও মনোনয়ন লাভ করেন, ফলে তিনি মার্ভেল স্টুডিওজের চলচ্চিত্রে কাজ করা প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অভিনয় শাখায় একাডেমি পুরস্কার মনোনয়ন লাভ করেন।
947542
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947542
সাই ধনশিকা
সাই ধনশিকা সাই ধনশিকা (জন্ম: ২০ নভেম্বর ১৯৮৯) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি মূলত তামিল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে থাকেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য "পেরানমাই" (২০০৯), "আরাভান" (২০১২), "পরদেশী" (২০১৩) এবং "কাবালি" (২০১৬)।
947556
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947556
ইউনিকোডে মেন্ডে কিকাকুই
ইউনিকোডে মেন্ডে কিকাকুই মেন্ডে কিকাকুই ইউনিকোড ব্লকে মেন্ডে কিকাকুই লিপির বর্ণ সংবলিত একটি অংশ। মেন্ডে কিকাকুই লিপি সিয়েরা লিওনের মেন্ডে ভাষা লেখার জন্য একটি নির্মিত ধ্বনিদলভিত্তিক লিপি। মেন্ডে কিকাকুই লিপি ইউনিকোডে জুন ২০১৪-তে ৭.০ সংস্করণে যোগ করা হয়। এর ইউনিকোড ব্লক U+1E800–U+1E8DF: নিম্নলিখিত ইউনিকোড সম্পর্কিত নথিগুলি মেন্ডে কিকাকুই ইউনিকোড ব্লকের নির্দিষ্ট বর্ণগুলি সংজ্ঞায়নের উদ্দেশ্য এবং প্রক্রিয়া লিপিবদ্ধ করে:
947558
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947558
ভারসাম্যযুক্ত হিস্টগ্রাম থ্রেসহোল্ডিং
ভারসাম্যযুক্ত হিস্টগ্রাম থ্রেসহোল্ডিং চিত্র প্রক্রিয়াকরণে ভারসাম্যপূর্ণ হিস্টগ্রাম থ্রেসহোল্ডিং পদ্ধতি (বিএইচটি) স্বয়ংক্রিয় চিত্র থ্রেসহোল্ডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত একটি খুব সাধারণ পদ্ধতি। ওসুর পদ্ধতি এবং আইট্রেটিভ সিলেকশন থ্রেসহোল্ডিং পদ্ধতির মত এটিও একটি হিস্টগ্রাম ভিত্তিক থ্রেসহোল্ডিং পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে চিত্রটি দুটি প্রধান শ্রেণিতে বিভক্ত: পটভূমি এবং সম্মুখভাগ করা হয়। বিএইচটি পদ্ধতিটি সর্বোত্তম প্রান্তিক স্তরের সন্ধান করার চেষ্টা করে যা হিস্টগ্রামকে দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে। এই পদ্ধতিটি হিস্টোগ্রামের ওজন করে, উভয় পক্ষের মধ্যে ভারী কিনা তা পরীক্ষা করে এবং হালকা হওয়া অবধি ভারী দিক থেকে ওজন সরিয়ে দেয়। ওজন স্কেলের কিনারা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এটি একই অপারেশন পুনরাবৃত্তি করে। স্বয়ংক্রিয় চিত্র থ্রেসহোল্ডিং বিষয় উপস্থাপনের জন্য এই পদ্ধতি একটি সরল উদাহরণ। সি নোটেশনে লিখিত নিচের তালিকাটি ভারসাম্য হিস্টোগ্রাম থ্রেসহোল্ডিং পদ্ধতির একটি সরল সংস্করণ: int BHThreshold(int[] histogram) { def bht(hist, min_count: int = 5) -> int:
947559
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947559
অ্যান ব্লিদ
অ্যান ব্লিদ অ্যান মারি ব্লিদ (জন্ম ১৬ আগস্ট ১৯২৮) একজন অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন অভিনেত্রী ও গায়িকা। তাকে প্রায়ই হলিউডের সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্রে দেখা যায়, কিন্তু নাট্যধর্মী চলচ্চিত্রেও সফল ছিলেন। তিনি মাইকেল কার্টিজে "মিলড্রেড পিয়ার্স" (১৯৪৫) চলচ্চিত্রে ভেডা পিয়ার্স চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ও ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র হল "কিলার ম্যাকয়" (১৯৪৭) "রেড ক্যানিয়ন" (১৯৪৯), "ক্যাটি ডিড ইট" (১৯৫১), "স্যালি অ্যান্ড সেন্ট অ্যান" (১৯৫২), ও "দ্য হেলেন মরগান স্টোরি" (১৯৫৭)। তিনি হলিউডের স্বর্ণযুগের সর্বশেষ জীবিত তারকাদের একজন। ব্লিদ ১৯২৮ সালের ১৬ই আগস্ট নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের মাউন্ট কিস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ন্যান লিঞ্চ ও পিতা হ্যারি ব্লিদ। তার পিতামাতার বিচ্ছেদের পর ব্লিদ, তার মাতা ও বোন নিউ ইয়র্ক সিটির ইস্ট ৩১তম স্ট্রিটের একটি ওয়াক-আপ অ্যাপার্টমেন্টে চলে যান। সেখানে তার মাতা কাপড় ইস্ত্রির কাজ করতেন। ব্লিদ ম্যানহাটনের সেন্ট প্যাট্রিক্‌স স্কুলে পড়াশোনা করেন। ব্লিদ তার অভিনয় জীবন শুরুর সময়ে "Anne Blyth" নাম ব্যবহার করতেন, কিন্তু চলচ্চিত্র জীবন শুরুর সময়ে "Ann" নামে ফিরে যান। তিনি ১৯৪৪ সালে ডোনাল্ড ওকনর ও পেগি রায়ানের সাথে কিশোর-বয়সী সঙ্গীতধর্মী চলচ্চিত্র "চিপ অফ দ্য ওল্ড ব্লক" দিয়ে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। তিনি ইউনিভার্সাল থেকে ধারে ওয়ার্নার ব্রাদার্সের "মিলড্রেড পিয়ার্স" (১৯৪৫) চলচ্চিত্রে জোন ক্রফোর্ডের অভিনীত চরিত্রের কন্যা ভেডা পিয়ার্স চরিত্রে অভিনয় করেন। মাইকেল কার্টিজ পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। তার নাট্যধর্মী কাজের জন্য তিনি বিপুল সমাদৃত হন এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, অন্যদিকে জোন ক্রফোর্ড শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। ১৯৫৩ সালে ব্লিদ ধাত্রীবিদ জেমস ম্যাকনাল্টির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ম্যাকনাল্টি সঙ্গীতশিল্পী ডেনিস ডের ভাই। ডে তাদের দুজনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। কনেপক্ষে ছিলেন অভিনেত্রী জোন লেসলি, জেন উইদার্স ও বেটি লিন। এই দম্পতির পোপের নিকট থেকে বিশেষ অনুমোদন পেয়েছিলেন। বিবাহের পর ব্লিদ তার সন্তানদের লালনপালন করার জন্য সাময়িক বিরতি নেন। তার সন্তানেরা হলেন টিমথি প্যাট্রিক (জ. ১০ জুন ১৯৫৪), মরিন অ্যান (জ. ১৪ ডিসেম্বর ১৯৫৫), ক্যাথলিন ম্যারি (জ. ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫৭), টেরেন্স গ্র্যাডি (জ. ৯ ডিসেম্বর ১৯৬০), ও এইলিন অ্যালানা (জ. ১০ এপ্রিল ১৯৬৩)। ১৯৭৩ সালে তিনি ও ম্যাকনাল্টি দম্পতি টেরেন্স কার্ডিনাল কুকের সভাপতিত্বে এক আয়োজনে হলি সেপুলচ্রের সম্মানিত লেডি ও নাইট পদবীতে ভূষিত হন। ম্যাকনাল্টি ২০০৭ সালের ১৩ই মে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোলায় মৃত্যুবরণ করেন।
947564
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947564
সিপ্রিনিফর্মেস
সিপ্রিনিফর্মেস সিপ্রিনিফর্মেস হল রশ্মিযুক্ত মাছের বর্গ , কার্প এবং মিননাউস এই বর্গের অন্তর্ভুক্ত। এই বর্গে ১১-১২টি কনটেন্স রয়েছে, কিছু কর্তৃপক্ষ এই বর্গে প্রায় ২৩ টির মতো পরিবারকে ৪০০টি গণ এবং ৪,২৫০ টিরো বেশি প্রজাতিতে মনোনীত করেছে। এই বর্গে প্রতি কয়েক মাস পরে পরে নতুন প্রজাতির বর্ণনা দেওয়া হয় এবং নতুন গণ প্রায়শই স্বীকৃত হয়। এই বর্গ দক্ষিণ - পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় এবং অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায় সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। এই বর্গে নথিভুক্ত করা সবথেকে দীর্ঘায়ু প্রাণী হল বিগমাউথ বাফেলো , যার বয়স হল ১১২ বছর । ওস্টারিওফিসির অন্যান্য বর্গের মতো সিপ্রিনিফর্মসের মাছেরা ওয়েবেরিয়ান যন্ত্র রাখে । তাদের পিঠে কেবল একটি পৃষ্ঠীয় পাখনা থাকার জন্য তারা তাদের বেশিরভাগ আত্মীয় মাছেদের থেকে আলাদা; বেশিরভাগ ওস্টারিওফিসি অন্যান্য মাছের তুলনায় ছোট, এদের ডোরসাল ফিনের পিছনে মাংসল অ্যাডিপোজ ফিন থাকে। আরো একটি পার্থক্য হল সিপ্রিনিফর্মসের অপ্রিতম(unique) কাইনেথময়েড, এদের শুণ্ডতে ছোট মাঝারি হাড় এবং মুখে দাঁত অনুপস্থিত । এর পরিবর্তে, তাদের গলাতে আছে অভিসারী কাঠামো নামক অস্থির দাঁত। এই বর্গের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য পরিবার হল সাইপ্রিনিডে ( কার্প এবং মিননাউ )। এই পরিবার বর্গটির বৈচিত্র্যের দুই-তৃতীয়াংশ । এটি মাছের বৃহত্তম পরিবারের মধ্যে একটি এবং এটি আফ্রিকা, ইউরেশিয়া এবং উত্তর আমেরিকা জুড়ে বিস্তৃত। বেশিরভাগ প্রজাতি সীমাবন্ধভাবে স্বাধুপানির মাছ । তবে যথেষ্ট পরিমাণে ঈষৎলোনা পানিতে যেমন কালবোস এবং ব্রীম মাছ পাওয়া যায় । কমপক্ষে একটি প্রজাতি "লবণ" পানিতে পাওয়া যায়। যার নাম হল প্রশান্ত মহাসাগরীয় রেডফিন, "ট্রিবিলোডন ব্র্যান্ডটি" । কখনো কখনো এই বর্গের পরিবারকে সিলোরিহঞ্চিডিতে পৃথক করা হয় এবং তারা সিপ্রিনিডির বিশেষভাবে অভিযোজিত মাছ বলে মনে করা হয়। ব্যালিটরিডা এবং গিরিনোচিলিডি হল শৈবাল এবং ছোট ইনভার্টেব্রেটস খাওয়া গিরিতরঙ্গিণীর স্রোতের মাছের পরিবার। এগুলি কেবল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চল এবং উপনিবেশীয় এশিয়াতে পাওয়া যায় । যদিও আগেরটি একটি বিশেষ দল, তবে তার মধ্যে রয়েছে কেবল কয়েকটি মুখ্য প্রজাতি। ঐতিহাসিকভাবে ক্যাটফিশ ছাড়া ওস্তারিওফিসি নামক সুপার অর্ডারে (বর্গে) রাখা সমস্তকিছু এই বর্গের অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা পরে সিলুরিফর্মেস বর্গে স্থাপন করা হয়। এই সংজ্ঞা অনুসারে, সিপ্রিনিফর্মেস বর্গটি প্যারাফাইলেটিক বর্গ হিসাবে ছিল। সুতরাং সম্প্রতি গোনোরহিনকিফর্মেস, চারাসিফর্মেস এবং জিমনিটফর্মেসকে তাদের নিজস্ব মনোফিলিটিক বর্গ গঠনের জন্য পৃথক করা হয়েছে। নিম্নলিখিত কাজের কাজের উপর ভিত্তি করে জাতিজনি।
947565
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947565
আল জিহাদ ফিল ইসলাম
আল জিহাদ ফিল ইসলাম আল জিহাদ () সাইয়েদ আবুল আ'লা মওদুদী কর্তৃক ইসলামী জিহাদ বিষয়ে রচিত একটি বই। বইটি মূলত আল জিহাদ ফিল ইসলাম নামে উর্দু ভাষায় রচিত এবং ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৭ সালে একই নামে (আল জিহাদ ফিল ইসলাম নামে) ইংরেজিতে অনুদিত হয়, ২০০২ সালে আধুনিক প্রকাশনী আল জিহাদ নামে বাংলায় অনুবাদ প্রকাশ করেছিল। বইটির একটি বড় অংশ বিভিন্ন ধর্মতত্ত্বের মধ্যে ন্যায়বিচারের যুদ্ধের ধারণার তুলনামূলক অধ্যয়নের সাথে আলোচনা করেছে। এই বইটিতে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে দুর্দান্তভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং যুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির দ্বন্দ্ব এবং যুদ্ধবিরোধমূলক বিকাশের একটি সমালোচনা বিশ্লেষণ সরবরাহ করা হয়েছে। আল্লামা ইকবাল এই বইটি পড়েন এবং যে কোনও ভাষায় জিহাদের ধারণার সর্বোত্তম ব্যাখ্যা হিসাবে প্রশংসা করেছিলেন। ২০০২ সালে বাংলাদেশ ইসলামিক ইনস্টিটিউট এর আধুনিক প্রকাশনী আল জিহাদ নামে বইটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশ করে। যা বইটির প্রথম ও নির্ভরযোগ্য সংস্করণ এর অনুবাদ।
947573
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947573
কাথিয়াবাড়
কাথিয়াবাড় কাথিয়াবাড় ( ) বা সৌরাষ্ট্র () হল আরব সাগরের সীমান্তবর্তী প্রায় আয়তনবিশিষ্ট ভারতের পশ্চিম উপকূলের একটি উপদ্বীপ। এটি উত্তর-পশ্চিমে কচ্ছের রন এবং পূর্বে খাম্বাত উপসাগর দ্বারা আবদ্ধ। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে গুজরাতের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে সংযুক্ত। এটি পার্বত্য দেশের দুটি বেল্ট এবং নয়টি নেতৃস্থানীয় নদী দ্বারা অতিক্রম করেছে। কাথিয়াবাড় বন্দর অন্তত ষোড়শ শতক থেকে ব্যবসায় ও বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে সমৃদ্ধ ছিল। কাথিয়াবাড় শব্দের অর্থ কাথিদের ভূমি। কাথিরা হল এক রাজপুত উপজাতি, যারা অষ্টম শতাব্দীতে এই অঞ্চলে স্থানান্তরিত হয় এবং সমসাময়িক গুজরাতের দক্ষিণ-পশ্চিম উপদ্বীপ নিয়ন্ত্রণ করে। এ অঞ্চলে প্রচুর কাথি জনগোষ্ঠী ছিল এবং বিশেষ করে কয়েক শতাব্দী ধরে তারা মধ্য সৌরাষ্ট্রের অধীনে ছিল। যদিও কাথিরা ষোড়শ শতকের শেষের দিকে এই এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়, তবুও তারা এই অঞ্চলের নথিভুক্ত ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সৌরাষ্ট্র এবং এর প্রাকৃত নাম সোরাঠ শব্দদুটির অর্থ "ভাল রাষ্ট্র"। নামটি ১৫০ খ্রিস্টাব্দের জুনাগড় পাথরে পাওয়া যায়। এর পূর্বে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের আমলে (৩২২–২৯৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সৌরাষ্ট্র পুষ্যগুপ্ত এবং অশোকের আমলে (২৬৮–২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) যবন তুশস্পের অধীন ছিল। কাথিয়াবাড় উপদ্বীপ প্রাচীন নিদর্শন দ্বারা চিহ্নিত এবং প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে সিন্ধু সভ্যতার মাধ্যমে মহাভারতের প্রারম্ভিক সময় পর্যন্ত এর একটি নিরবচ্ছিন্ন ইতিহাস আছে। এটি বিশেষ করে ষোড়শ শতাব্দী থেকে বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত কাথি জনগণের দ্বারা প্রভাবিত হয় এবং তাই উদীয়মান কাথিয়াবাড় নামটি সৌরাষ্ট্র অঞ্চলের একটি প্রিয় বিকল্প নাম হয়ে ওঠে। প্রতিহার শাসক মিহির ভোগের রাজত্বকালে গুর্জর সাম্রাজ্য ‌কাথিয়াবাড় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত গঠিত হয়। একটি হাদদোলা শিলালিপির মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে গুর্জর, প্রথম প্রতিহারমহীপালের রাজত্বকালেও এই অঞ্চলে তার রাজত্ব অব্যাহত রাখেন। ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, কাথিয়াবাড় এলাকা মূল সৌরাষ্ট্র গঠন করে। সামন্ততান্ত্রিক সময়ে, সৌরাষ্ট্রের নীতিগত বিভাজনের ফলে এটি কিছু দেশীয় রাজ্যের অধীনে পতিত হয়, যেমন রাজকোট রাজ্য, জামনগর রাজ্য, গোন্ডাল রাজ্য, ভাবনগর রাজ্য, ধারাঙ্গাধারা রাজ্য, মরভি রাজ্য, জসদান রাজ্য, জেটপুর রাজ্য, ভানকানার রাজ্য। যাইহোক, কাথিয়াবাড়ের প্রধান এলাকা এই ১০ জেলা নিয়ে গঠিত: রাজকোট, ভাবনগর, জামনগর, সুরেন্দ্রনগর, পোরবন্দর, আমরেলি, জুনাগড়, বোটাদ, মরভি, গির-সোমনাথ। দীর্ঘ সময় ধরে, সোরাঠ নামটি এই অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ ছিল যখন চুদাসামা রাজপুত (রা' সাম্রাজ্য) ৮৭৫ সাল থেকে ১৪৭৩ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চল শাসন করে। একই সময়ে, এই অঞ্চলের দখলকৃত প্রধান রাজপুত গোত্রের মধ্যে ছিল ওয়ালা (কাথি), জেঠওয়া, রাইজাদা, চুদাসামা, গোহিল, ঝালা, জাদেজা, চাভদা, পারমার্স, পাটগির বা পারগির, সারভিয়া, সোলাঙ্কি, খুমান এবং খাচার। কাথিয়াবাড়ের অধিকাংশ রাজ্য ১৮২০ সালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে আনা হয়। ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার আগে, অধিকাংশ কাথিয়াবাড় অসংখ্য দেশীয় রাজ্যে বিভক্ত ছিল এবং স্থানীয় ক্ষমতাশালীদের দ্বারা শাসিত হিত। এই ক্ষমতাশালীরা স্থানীয় সার্বভৌমত্বের বিনিময়ে ব্রিটিশ অধীনতা স্বীকার করে নিয়েছিল। এই রাজ্যগুলি কাথিয়াবাড় এজেন্সি নিয়ে গঠিত ছিল। উপদ্বীপের বাকি অংশ, প্রধানত খাম্বাত উপসাগর বরাবর পূর্ব দিকে, ব্রিটিশ ভারতের বোম্বে প্রেসিডেন্সির অংশ হিসেবে সরাসরি ব্রিটিশ দ্বারা শাসিত জেলা ছিল, যা উপদ্বীপের কিছু অংশে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ভারতের স্বাধীনতার পর কাথিয়াবাড় রাজ্য ভারতে যোগদান করে। ১৯৪৭ সালে জুনাগড়ের মুসলিম শাসক তার অধিকৃত এলাকা নিয়ে পাকিস্তানে যোগ দেন। এতে প্রধানত হিন্দু জনসংখ্যা বিদ্রোহ করে, এবং তখন যুবরাজ পাকিস্তানে পালিয়ে যায়। এরপর একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হয়, পরে এর ফলাফল অনুযায়ী রাজ্যটি ভারতীয় ইউনিয়নে একত্রিত করা হয়। কাথিয়াবাড় দেশীয় রাজ্যকে সাবেক প্রদেশ সৌরাষ্ট্রের দলভুক্ত করা হয়, যা ১৯৫০ সালে সৌরাষ্ট্র রাজ্যে পরিণত হয়। ১৯৫৬ সালে, সৌরাষ্ট্রকে বোম্বাই রাজ্যে একত্রিত করা হয়, এবং ১৯৬০ সালে বোম্বাই রাজ্য গুজরাত (কাথিয়াবাড়সহ) এবং মহারাষ্ট্র নতুন রাজ্যে ভাষা অনুযায়ী বিভক্ত করা হয়। দিউ ১৯৬১ সাল পর্যন্ত পর্তুগিজদের হাতে রয়ে যায়। যখন এটি ভারতীয় সৈন্যদের দ্বারা দখল করা হয়, তারপর ১৯৬৩ সালে গোয়া, দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অংশ হিসেবে ভারতে একীভূত হয়। উপদ্বীপের অধিকাংশ প্রাকৃতিক গাছপালা জেরিক স্ক্রাব, উত্তর-পশ্চিম কাঁটা স্ক্রাব বন পরিবেশ অঞ্চলের অংশ। নিম্ন পাহাড়ের একটি অঞ্চল, যেটি গির পাহাড় নামে পরিচিত, উপদ্বীপের দক্ষিণ-কেন্দ্রীয় অংশ দখল করে আছে। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতার হচ্ছে গিরনার। গির জাতীয় উদ্যান এবং পারিপার্শ্বিক আয়োজকরা সর্বশেষ অবশিষ্ট এশীয় সিংহ জনমিতির আয়োজন করে। কাথিয়াবাড়ের অন্যান্য জাতীয় উদ্যানগুলি হল ব্ল্যাকবাক জাতীয় উদ্যান, খাম্বাত উপসাগরের ভেলাভাদার এবং জামনগরের কাছে কচ্ছের রনের মেরিন জাতীয় উদ্যান। কাথিয়াওয়ারের প্রধান শহরগুলি হচ্ছে- উপদ্বীপের কেন্দ্রে রাজকোট, কচ্ছের রনে জামনগর, খাম্বাত উপসাগরে ভাবনগর, সুরেন্দ্রনগর এবং গুজরাতের কেন্দ্রীয় অংশে ঐতিহাসিক শহর ওয়াধওয়ান, পশ্চিম উপকূলে পোরবন্দর, ঐতিহাসিক শহর দিউ, পূর্বে পর্তুগিজ ভারতের একটি দ্বীপ শহর এবং বর্তমান দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অংশ, কাথিয়াবাড় দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত। এছাড়াও সোমনাথ শহর এবং এর বিখ্যাত মন্দির দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এই অঞ্চলের অবস্থা লেটিটিয়া এলিজাবেথ ল্যান্ডন তার কবিতা, "সিন ইন কাথিয়াবাড়" নীচে দেখানো মুদ্রণের উপর ভিত্তি করে (ট্রাভেলার্স এন্ড এসকর্ট, ১৮৩০) রচনা করেছিলেন।
947589
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947589
আলহামদুলিল্লাহ
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ (, ') একটি আরবি বাক্যাংশ যার অর্থ সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহর, কখনও কখনও আল্লাহকে ধন্যবাদ হিসেবে অনুবাদ করা হয়। এই শব্দগুচ্ছকে বলা হয় তাহমিদ ( “প্রশংসা”) বা হামদালাহ ()। এই শব্দটি মুসলমানদের দ্বারা প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, মুসলমানদের যেকোনো ভালো কাজের শেষে এই দোয়া পড়া আবশ্যক। এটি সাধারণত আরব খ্রিস্টান এবং আরবি ভাষার অন্যান্য অ-মুসলিম বক্তারাও ব্যবহার করেন। বাক্যাংশটির তিনটি মূল অংশ রয়েছে: এই বাক্যাংশটি কোরআনের প্রথম সূরার (সূরা ফাতিহা) দ্বিতীয় আয়াতে প্রথম পাওয়া যায়। জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ(র:) একটি হাদীসে লিখেছেন, মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন যে, আল্লাহকে সর্বাধিক স্মরণ করার জন্য "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" হল সর্বোত্তম পুনরাবৃত্তি এবং সর্বোত্তম প্রার্থনা (দোয়া) হল "আলহামদুলিল্লাহ"। আবু দাউদ থেকে লিখেছেন যে মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন, যে বান্দা আলহামদুলিল্লাহ বলেন, যখন খাবারের অংশ গ্রহণ করেন এবং পানির খসড়া পান করেন।
947604
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947604
বিবাহের ধরন
বিবাহের ধরন বিবাহের ধরন, কার্যাদি এবং বৈশিষ্ট্য সংস্কৃতি থেকে সংস্কৃতিতে পরিবর্তিত হয় এবং সময়ের সাথে সাথে বিবাহের ধরন পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণভাবে দুই ধরনের বিবাহ রয়েছে: নাগরিক বিবাহ এবং ধর্মীয় বিবাহ এবং সাধারণত বিবাহ উভয়ের সংমিশ্রণকে কাজে লাগায় (ধর্মীয় বিবাহগুলো প্রায়শই রাষ্ট্র দ্বারা অনুমোদিত এবং স্বীকৃত হতে হয়, এবং অপরদিকে নাগরিক বিবাহ, যদিও ধর্মীয় আইনে অনুমোদিত নয়, তবুও সম্মানিত হয়)। ভিন্ন ভিন্ন ধর্মের লোকদের মধ্যে বিবাহকে আন্তঃসত্ত্বা বিবাহ বলা হয়, যদিও বৈবাহিক রূপান্তর, আন্তঃসত্য বিবাহের চেয়ে আরও বিতর্কিত ধারণা, একটি ধর্মীয় প্রয়োজন সন্তুষ্ট করার জন্য একজন অংশীদারের অন্য অংশের ধর্মের রূপান্তরকে বোঝায়। আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিবাহ আইন সম্পর্কিত মূল বিষয়গুলো হল;
947617
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947617
কালসিয়া রাজ্য
কালসিয়া রাজ্য কালসিয়া ছিল ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবের একটি দেশীয় রাজ্য, যা সাবেক সিআইএস-সুতলেজ রাজ্যের অন্যতম। এটি ১৭৬০ সালে মহারাজা গুরবকশ সিং সান্ধু দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারতের স্বাধীনতার পর এটি পেপসুতে (PEPSU) এবং পরে রাজ্য পুনর্গঠন আইন, ১৯৫৬ অনুসারে ভারতের পূর্ব পাঞ্জাবের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কালসিয়া এলাকা এখন ভারতের আধুনিক পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যে অবস্থিত। ১৯৪০ সালে কালসিয়ার জনসংখ্যা ৬৭,৩৯৩ জন ছিল। কালসিয়ার আয়তন ছিল ৪৩৫ বর্গ কিলোমিটার (১৬৮ বর্গ মাইল), আম্বালা ও ফিরোজপুর জেলার ২০ টি বিচ্ছিন্ন এলাকা নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিল, যা প্রধানত ৩০° ১২ উত্তর ও ৩০° ২৫ উত্তরের মধ্যে এবং ৭৭° ২১ পূর্ব থেকে ৭৭° ৩৫ পূর্বের মধ্যে অবস্থিত ছিল। ফিরোজপুর জেলায় এটি তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত ছিলঃ দুটি তহসিল, ছছরাউলি ও বাসি এবং চিরাক নামে একটি উপ-তহসিল এখানে ১৯০৩ সালে ১৮১ টি গ্রাম ছিল। কালসিয়া রাজ্যের রাজধানী ছিল ছছরাউলি। কালসিয়া রাজ্য ১৭৬০ সালে গুরবকশ সিং দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি শিখ কনফেডারেসির ক্রোরিয়া মিসলে যোগদান করেছিলেন। মহারাজা রঞ্জিত সিং তার সৈন্যদের কমান্ডার এবং কালসিয়া গ্রামের বাসিন্দা মহারাজা গুরবাকশ সিংকে ছছরাউলির সম্পত্তি মঞ্জুর করেছিলেন। মহারাজা গুরবকশ সিং রাজ্যের নাম করণ করেন "কালসিয়া" এবং ছছরাউলি হয়ে ওঠে এর রাজধানী শহর। মহারাজা গুরবকশ সিং বিখ্যাত ছিলেন না, কিন্তু তার উত্তরসূরি এবং পুত্র যোধ সিং একজন যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে খ্যাত হয়েছিলেন। সে সময় কালসিয়া রাজ্যের সম্পূর্ণ এলাকা যমুনা ও মারকান্দা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল নিয়ে গঠিত ছিল। যোধ সিং সর্দার খাজান সিং থেকে "ডেরা বাসি" দখল করেন এবং লোহাল ও আক্রাক অঞ্চল অধিগ্রহণ করেন। যখন মহারাজা রঞ্জিত সিং ১৮০৭ সালে শিবলিকদের নারায়নগড় আক্রমণ এবং দখল করে নেন, যোধ সিং তখন তার সঙ্গে ছিলেন। তার এই সহযোগিতার স্বীকৃতি স্বরূপ রঞ্জিত সিং তাকে বাদলা, কামেরি ও ছাবল অঞ্চল উপহার দেন। যোধ সিং ১৮১৮ সালে মুলতানে মারা যান। তার মৃত্যুর পর, তার পুত্র সোভা সিং কালসিয়া রাজ্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। সোভা সিং, ১৮৫৮ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রাজ্যটি ধরে রাখেন। তার উত্তরসূরি লাহনা সিংকে ১৮৫৭ সালের বিদ্রোহে ব্রিটিশ পক্ষ গুঁড়িয়ে দেয়। ১৮৫৮ সালের পর রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। যখন লাহনা সিং ক্ষমতা গ্রহণ করেন, কালসিয়া অঞ্চল একটি ব্রিটিশ রাজভুক্ত রাজ্য হিসেবে হিসাবে অক্ষত ছিল। রাজ্যের বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৩০০,০০০ রুপি, এবং জনসংখ্যা প্রায় ছিল প্রায় ৬২,০০০ জন। লাহনা সিং এর পর, রঞ্জিত সিং, তারপর তার ছেলে রবি শের সিং, এবং সবশেষে রবি করণ সিং কালসিয়ার ক্ষমতায় আসেন। ১৯১৬ সালে রবেশের সিং নিজেকে রাজা উপাধি দেন। কালসিয়া রাজারা ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত তাদের সম্পত্তি ধরে রাখেন, এরপর এটি ভারতীয় ইউনিয়নের সাথে মিশে যায়। কালসিয়ায় রঞ্জিত সিং এবং রবি শের সিং উভয়েই দাতব্য হাসপাতাল এবং স্কুল সহ বেশ কয়েকটি পাবলিক ইউটিলিটি ভবন নির্মাণ করেন। রাজা রবি শের নির্মিত কালসিয়া হাসপাতাল ১৯১০ সালে পাঞ্জাবের লেফটেন্যান্ট গভর্নর স্যার লুইস উইলিয়াম ড্যানি দ্বারা উদ্বোধন করা হয়েছিল। এ সময়ের পুরাতন আদালত ভবন এখনও ছছরাউলিতে বিদ্যমান। রাজ্যের দেওয়ান 'জনক নিবাস' নামে একটি চিত্তাকর্ষক ভবনে থাকতেন। কালসিয়ারা নিঃসন্দেহে কট্টর নানকপান্ডি ছিলেন। ১৮৯১ সালের ভারতীয় আদমশুমারীর একাদশ ভলিউমে (পর্ব ১) প্রাদেশিক আদমশুমারি অপারেশনের প্রাদেশিক সুপারিনটেনডেন্ট ই ডি ম্যাকলাগান রেকর্ড করেনঃ "প্রায় আশি বছর আগে (অর্থাৎ ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে) জৈনপুর গ্রামের বর্তমান লম্বারদারের পিতামহকে কালসিয়ার শিখ প্রধান ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তাঁর সমস্ত আঙ্গুল পুড়িয়ে দিয়েছিলেন, কারণ তিনি নানক যে সত্যিকার গুরু ছিলেন তা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান।" রাজ্যটি দিল্লি বিভাগের কমিশনারের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে ছিল। কালসিয়া রাজ্যের শাসকরা নিজেদের 'সর্দার' ও 'মহারাজা' উপাধি দিতেন। যদিও ১৯১৬ সাল থেকে রাজ্যের শেষ প্রধান সহ তারা সকলে 'মহারাজা' উপাধি গ্রহণ করেন।
947631
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947631
নোয়াশাল
নোয়াশাল নোয়াশাল হল কামরুল হাসান ও আকাশ রঞ্জন রচিত ও মীর সাব্বির পরিচালিত একটি বাংলাদেশী ধারাবাহিক কমেডি বা হাসির নাটক। নোয়াখালী এবং বরিশালের দুটি পরিবারের গল্প নিয়ে ধারাবাহিকটি তৈরি করা হয়েছে। ধারাবাহিকটিতে এ টি এম শামসুজ্জামান নোয়াখালী পরিবারের কর্তা এবং খায়রুল আলম সবুজ বরিশাল পরিবারের কর্তা। দুই পরিবারের এই দুইজন কর্তাব্যক্তির মধ্যে ঝামেলা লেগে থাকে। এদের এই ঝগড়াঝাটি একটা পর্যায়ে তাদের বাড়ির স্ত্রী সন্তানদের মধ্যে ছড়িয়ে পরে। ফলশ্রুতিতে নানান সব ঘটনা ঘটতে থাকে। নাটকের গল্পে দেখা যায়, মোহনপুর গ্রামের দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি। একজনের নাম শাহাবুদ্দিন আরেক জনের নাম কুব্বত আলী। একজন ইটের ব্যবসায়ী, অন্যজন বালুর ব্যবসায়ী। একজনের বাড়ি বরিশাল অন্য জনের বাড়ি নোয়াখালী। শাহাবুদ্দিনের এক ছেলে এক মেয়ে ও কুব্বত আলীর এক ছেলে এক মেয়ে। দীর্ঘ বছর ধরে পাশাপাশি তারা বসবাস করে। দুই পরিবারের মিলমিশ যেমন আছে তেমনি খুনসুটিও আছে। এই দুই পরিবার নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণও আছে, কারণ এই দুই পরিবারের ঝগড়াঝাটি এলাকাবাসীর মধ্যে এক ধরনের হাস্যরস তৈরি করে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ঘটনায় এই দুই পরিবার উত্তোজিত হয়ে ঝগড়া করে আবার মিলেও যায়। নোয়াখালী এবং বরিশাল এলাকার বাসিন্দা হওয়ার কারণে তারা এলাকায় অত্যধিক জনপ্রিয়। কেউ কেউ এই দুই পরিবারকে মিল করে নোয়াশাল পরিবার বলে ডাকে। মূলত এই দুই পরিবারের হাসি, কান্না, সুখ-দুঃখ, আনন্দ বেদনা এবং ঝগড়াঝাটির মাধ্যমে নাটকটিতে পুরো বাংলাদেশকে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান, খায়রুল আলম সবুজ, চিত্রলেখা গুহ, ডলি জহুর, আলীরাজ, মীর সাব্বির, রওনক হাসান, ফারুক আহমেদ, নাজনীন হাসান চুমকি, অহনা, নিশা, বিনয় ভদ্র, আমিন আজাদ, সুভাশীষ ভৌমিক, বাদল, হায়দার, দেব মিঠু সহ আরও অনেকে। অভিনেত্রী ইশানা ৯৬ তম পর্ব থেকে নাটকটিতে যুক্ত হন। নাটকের শেষ পরবে এটিএম শামসুজ্জামান অনুপস্থিত ছিলেন। ২০১৪ সালের ২ বা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি সোম, মঙ্গল ও বুধবার ৯টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশী বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে ধারাবাহিটির সম্প্রচার শুরু হয়। দর্শকপ্রিয়তার কারণে নাটকটির পর্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং প্রচারের এক পর্যায়ে নাটকটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ২০১৯ সালের ১৮ জুলাইয়ে ৮৭১তম পর্ব সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকটির সম্প্রচারের পরিসমাপ্তি ঘটে। নাটক সম্পর্কে মীর সাব্বির বলেন, "নোয়াখালীর নোয়া আর বরিশালের শাল নিয়ে নাটকের নাম দেয়া হয়েছে নোয়াশাল। এর আগে ‘বরিশাল বনাম নোয়াখালী’ নামের খন্ড নাটক পরিচালনা করার পর দর্শকের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছিলাম। তার ধারাবাহিকতায় দর্শকের জন্য এই নাটকটি নির্মাণ করা। আশা করি দর্শক এর প্রতিটি পর্বই এনজয় করবে।" তিনি আরও বলেন, "আরটিভিতে যখন এই নাটকটি শুরু হয় তখন আমরা ২৬ অথবা ৫২ পর্বের নাটকের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু এই নাটকটি যে এত দীর্ঘ নাটক হবে সেটা এখনো আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়। এটা যে এত জনপ্রিয় হবে কল্পনাই করতে পারিনি। দুটো অঞ্চলের ভাষা নিয়ে তৈরি একটি নাটক আপামর জনতা গ্রহণ করেছে এবং তাদের ভালোবাসা পেয়েছি। এটা কিন্তু আমাদের একটা সফলতা। তবে এই শেষই শেষ নয়। আমরা নতুন কিছু করতে চাই।"
947632
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947632
সিকিম অভিযান
সিকিম অভিযান সিকিম অভিযান (তিব্বতি ভাষায়ঃ 土鼠年戰爭) ছিল ১৮৮৮ সালের ব্রিটিশ সামরিক অভিযান যা বর্তমান উত্তর পূর্ব ভারতে সিকিম থেকে তিব্বতি বাহিনীকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য করা হয়েছিল। দ্বন্দ্বের শিকড় সিকিমের উপরে সার্বভৌমত্বের জন্য ব্রিটিশ-তিব্বতি আধিপাত্য বিস্তারের সাথে জড়িত ছিল। সিকিমের সাথে তিব্বতের সম্পর্কের দীর্ঘ ইতিহাস ছিল। বৌদ্ধ ধর্ম ছিল রাষ্ট্রীয় ধর্ম এবং এর চোগিয়াল শাসকরা শবদ্রং নাগাওয়ং নামগিয়াল, একজন তিব্বতি সাধু যিনি ভুটানকে একত্রিত করেছিলেন। ১৯ শতকের প্রথমার্ধে, ব্রিটিশরা হিমালয় অঞ্চলে তাদের প্রভাব বাড়িয়ে দেয় এবং সিকিম ১৮৬১ সালে ব্রিটিশদের সাথে তুমলংয়ের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ব্রিটিশরা নেপাল, সিকিম এবং ভুটানের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করার সাথে সাথে তিব্বতের প্রভাব হ্রাস পেয়েছিল এবং লাসা এবং পিকিংয়ের আশঙ্কা ছিল যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছেড়ে গেলে ব্রিটিশরা সিকিমের মধ্য দিয়ে তিব্বতে প্রবেশ করবে। সিকিমের নবম চোগিয়াল থুতব নামগিয়াল আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের জন্য দালাই লামার সাহায্য চেয়েছিলেন এবং তাঁর রাজত্বকালে তিব্বত সরকার সিকিমের উপরে রাজনৈতিক প্রভাব ফিরে পেতে শুরু করে। ১৮৬১ সালের চুক্তির অধীনে চোগিয়াল তিব্বতে তিন মাসের বেশি সময় অবস্থান করতে অপারগ ছিল তবে তিনি প্রায়শই এই বিধান উপেক্ষা করেন এবং তিব্বতে প্রায় দু'বছর অবস্থান করার পরে ১৮৮৭ তিনি লেফটেন্যান্ট-গভর্নরের সাথে সাক্ষাত করতে দার্জিলিং ভ্রমণ করতে অস্বীকার করেন। সিকিম স্বীকার করেছেন যে তাঁকে কেবল তিব্বত ও কিং কোর্টে আত্মসমর্পণ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ দার্জিলিং পরিদর্শন করলে, তিব্বত সরকার অবশ্যই সম্মত হবে। এর পক্ষে যুক্তি দেন যে লাসার আম্বান তাকে এটি করতে নিষেধ করেছে। এদিকে, তিনি আদেশ করেছিলেন যে রাজস্ব আদায় করে চুম্বিতে প্রেরণ করা হোক, এটি সিকিমে না ফেরার তার ইচ্ছার সুস্পষ্ট লক্ষণ। ১৮৮৪ সালে ভারত সরকার তিব্বত ও ভারত সরকারের প্রভাবের ক্ষেত্রগুলি সংজ্ঞায়িত করতে তিব্বতের রাজধানী লাসায় একটি কূটনৈতিক মিশন প্রেরণের জন্য প্রস্তুত হয়। কলম্যান ম্যাকাউলে এই আলোচনার দায়িত্বে ছিলেন তবে তিব্বতি সরকার জেলিপ লা পাস পেরিয়ে ৩০০ সেনার একটি অভিযান প্রেরণের পরে তিব্বতি সরকার সিকিমের লিঙ্গটু এলাকা দখল করে। তিব্বতি সেনাবাহিনী এমনকি দার্জিলিং দখল নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল, ফলে স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়েছিল। ফলস্বরূপ কূটনৈতিক মিশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। ব্রিটিশরা ম্যাকাউলে মিশন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কারণ এটিই তাদের তিব্বত দখলের অজুহাত ছিল। তবে তিব্বতিরা পিছু হটার পরিবর্তে সেখানে থাকার প্রতি ইঙ্গিত দেখিয়েছিল। তারা দার্জিলিং থেকে তিব্বতে আগত লিঙ্গতুকে পেরিয়ে রাস্তায় একটি শক্তিশালী ফটক তৈরি করে এবং এর সুরক্ষার জন্য একটি দুর্গও তৈরি করে। চীনের সাথে আলোচনা স্থগিত হওয়ার পরে, ভারত সরকার রাস্তাটির ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার জন্য লিঙ্গটুকে একটি সামরিক অভিযান প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে। ১৮৮৮ সালের শুরুতে, যখন সমাধানের জন্য আলোচনা চলছিল ব্রিটিশরা সামরিক প্রস্তুত গ্রহণ শুরু করে। জানুয়ারি মাসে তাদের সীমান্ত সদর পাঠানো হয় ও এক উইং ৩২নং সিকিম পাইওনিয়ার বাহিনী রঙ্গলী সেতু এবং রাস্তা মেরামত করার, এবং অভিযানের জন্য সোভোক এবং রাইয়াং, তরাইয়ে বিশ্রামের জায়গা প্রস্তুত করার আদেশ দেন। তিব্বতি সরকার ১৫ মার্চের মধ্যে তাদের সেনা প্রত্যাহারের একটি আলটিমেটাম পায়। ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ব্রিগ-জেনারেল টমাস গ্রাহামকে পদযাত্রার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁর বাহিনী ২য় ডার্বিশায়ার রেজিমেন্ট ব্যাটালিয়ন সদর দফতরের ১৩ তম বেঙ্গল ইনফ্যান্ট্রি, ৯-১ তম উত্তর ডিভিশন, রয়েল আর্টিলারি এবং ৩২ তম পাইওনিয়ারদের থেকে বন্দুক সংগ্রহ করেছিল। তাঁর আদেশ লিঙ্গটু তিব্বতী বিতাড়ন এবং জেলিপ লা রাস্তা পর্যন্ত পুনরায় ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা । কিন্তু গ্যাংটক এবং তুমলং থেকে প্রতিহিংসামূলক ঘটনা সম্ভবনা থাকায় তাকে তিব্বত পাড়ি দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তবে সিদ্ধান্তটি তার বিবেচনার ভিত্তিতেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। দোলেপচেনে একটি উন্নত ডিপো স্থাপন করা হয়েছিল এবং পুরো বাহিনী ১৪ মার্চের মধ্যে প্যাডংয়ে একত্রিত হয়েছিল তখন এটি দুটি কলামে বিভক্ত হয়েছিল, গ্রাহাম দ্বারা পরিচালিত লিঙ্গু কলাম এবং লে- কর্নাল মিচেল দ্বারা ইন্টি কলাম। মিচেল প্যাডং থেকে গিয়ে ২০০ লোক পার্কইং পাঠিয়ে দেন। গ্রাহাম সেডংচেঞ্চে অগ্রসর হয়েছিল,লিঙ্গতু থেকে প্রায় দূরে, ১৯ শে মার্চ এবং পরের দিন তিনি জেলুকের তিব্বতি স্টকেড আক্রমণ করেছিলেন। তিব্বতিরা এই রাস্তাটিকে ব্যারিকেড করেছিল এবং একটি পাহাড়ে একটি স্টকেড তৈরি করেছিল যা রাস্তায় আধিপত্য বিস্তারে সাহায্য করেছিল। গ্রাহাম অগ্রণীদের সাথে বাঁশ এবং পাতাগুলি থেকে পথ সাফ করে সামনে অগ্রসর হয়েছিল, তারপরে ডার্বিশায়ারের একশত লোক এবং দুটি আর্টিলারি তাদের অনুসরণ করে। কঠিন ভূখণ্ডের কারণে গতি কমছিল, তবে তারা স্টকেডে পৌঁছলে তিব্বতিরা একটি সংক্ষিপ্ত লড়াইয়ের পরে পিছু হটে। দুর্গের রক্ষীদের ধনুক এবং ম্যাচলকের বিপরীতে ব্রিটিশদের আধুনিক রাইফেলস এবং আর্টিলারি ছিল। স্টকেড বহন করার পরে, ব্রিটিশরা রক্ষীদের পাথরের স্থান দখল করলে, তিব্বতিরা পিছু হটে। জেলুকের যুদ্ধের পরে, গ্রাহাম তার লোকদের নতুনভাবে সাজান এবং লিঙ্গতু দুর্গের এক মাইলের মধ্যে গার্নাই রাস্তা পর্যন্ত নেমে রাতের জন্য সেখানে শিবির করেছিলেন। পরের দিন সকালে কলামটি কুয়াশা এবং তুষারপাতের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে তিব্বতীয় অবস্থানে চলে গেল এবং প্রায় ১১ টার দিকে ৩২ তম পাইওনিয়াররা দুর্গের গেটটি দখল করে নিল, যেখানে প্রায় ৩০ জন তিব্বত সেনা ছিল। লিংগু থেকে পালানোর পরে, তিব্বতিরা সীমান্ত পেরিয়ে চুম্বি উপত্যকায় সমাবেশ করেছিল, পরাজিত হয়েছিল তবে ধ্বংস হয়নি। বাস্তবে তারা শক্তিবৃদ্ধি লাভ করে এবং ব্রিটিশরা লিঙ্গটু থেকে প্রায় তিন বা চার মাইল উত্তরে মালভূমি গানাথংয়ে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রস্তুত করে। ২১ মে বাংলার লেফটেন্যান্ট-গভর্নর গানাথং পৌঁছে এবং পরের দিন সকাল ৭ টায় তিব্বতিরা ৩,০০০ জনকে নিয়ে ব্রিটিশদের প্রতিরক্ষায় আক্রমণ করে (ব্রিটিশ দাবি)। তিব্বতিরা পিছু হটে যাওয়ার সময় সকাল দশটা পর্যন্ত লড়াই চলছিল। ব্রিটিশরা তিনজন নিহত ও আটজন আহতকে স্বীকার করেছে এবং প্রায় শতাধিক তিব্বতীয়কে হত্যা করার দাবি করেছে। তিব্বতিরা জেলাপ লা পেরিয়ে পিছু হটে এবং অন্য কোনও যুদ্ধ হয় নি, তাই জুনে ব্রিটিশরা দার্জিলিংয়ে কিছু সেনা ফেরত পাঠাতে শুরু করে। জুলাইয়ের শেষের দিকে, ব্রিটিশদের প্রত্যাহার অব্যাহত থাকায় সীমান্তের অপর প্রান্তে নতুনভাবে তিব্বতীয় কার্যকলাপ লক্ষ্য করা গেছে। তিব্বতিরা চুম্বি উপত্যকার উপরে পর্বত যাত্রাপথকে শক্তিশালী করছিল। কর্নেল গ্রাহামের পক্ষে গানাথং-এ মাত্র ৫০০ জন সৈন্য এবং একটি গ্যারিসন ছিল, তখন বাংলার সরকার রিংচং ও কোফুর মধ্যে তিব্বতি শক্তি ৭,০০০ এবং লিঙ্গামাথাংয়ে আরও এক হাজার সৈন্যের রিজার্ভের অনুমান করেছিল। দ্রুত বেঙ্গল কর্তৃপক্ষ শক্তিবৃদ্ধি প্রেরণ করে এবং আগস্টের শেষের দিকে, গানাথং-এ গ্রাহামের বাহিনী ১,৬৯১ সেনা ও চারটি বন্দুকে দাড়ায়। কিছু সংঘাতের পরে, তিব্বতিরা গানাথং থেকে কয়েক মাইল দূরে টুকো লা পাস পেরিয়েছিল। দ্রুত তারা উপত্যকা ঘিরে একটি প্রাচীর তৈরি শুরু করে যা প্রায় তিন বা চার ফুট উঁচু ছিল এবং প্রায় চার মাইল প্রশস্ত। কর্নেল গ্রাহাম তিনটি কলাম বা দল দিয়ে সকাল আটটার দিকে তিব্বতীদের অবস্থানগুলিতে আক্রমণ করেন। তিনি বাম কলামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যা ব্লকহাউসে আক্রমণ করেছিল যা টুকো লা পাস রক্ষা করে। লেফটেন্যান্ট-কর্নেল ব্রোমহেড সেন্টার কলামটিকে টুকো লা যাওয়ার মূল রাস্তাটির দিকে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মেজর ক্রেজি-হালকেটের নির্দেশে ডান কলামটি উডকক পাহাড়ের উত্তর-পূর্ব দিকে স্যাডল-ব্যাকটি দখল করে তিব্বতীদের বাম কলাম ধরে রেখে ছিল। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ব্রিটিশ ডানদের আর্টিলারি দ্বারা তিব্বতি বাম দিকের বোমা হামলা চালিয়ে আক্রমণটি খোলা হয়েছিল। সাড়ে দশটায় অন্য দুটি ব্রিটিশ কলাম তিব্বতীদের সাথে যোগাযোগ করেছিল এবং ব্রিটিশরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রবেশ করে এবং টুকো লা পাসটি দখল করে নেয়, তারপরে তিব্বতিরা নিম লা পাস দিয়ে পিছু হটেছিল। তার ঝাঁকুনি সুরক্ষিত করার পরে, কর্নেল গ্রাহাম জেলিপ লা পাসে তিব্বতিদের আক্রমণ করতে সরিয়ে নিয়েছিলেন যা দুপুর ২ টা ৫০ মিনিটে আক্রমণ করা হয়েছিল এবং এর পরেই ধরা পড়ে। পরের দিন তাড়া অব্যাহত থাকে এবং বিকেল ৪ টা নাগাদ ব্রিটিশরা রিংচং দখল করে নেয়। পরের দিন, ২৬সেপ্টেম্বর, ব্রিটিশরা আম্মো চু বরাবর ৩ মাইল (৪.৮ কিমি) অগ্রসর হয় এবং মায়াটং (ইয়াতুং) এ রাতের জন্য বিভক্ত হয়। তিব্বতিরা বিশৃঙ্খলাবদ্ধ হয়েছিল এবং শত্রুদের অগ্রগতিতে বাধা দেননি। এদিকে, গ্রাহাম সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের দিকে অগ্রসর হওয়া জরুরি বলে মনে করেন, যেখানে তিব্বতপন্থী দল ভারতপন্থী বিরোধী দলকে বহিষ্কার করেছিল। কর্ণেল মিচেল ১৩ তম বেঙ্গল ইনফ্যান্ট্রি থেকে ১৫০ জন লোক নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর শহরে যাত্রা করেছিলেন। চুম্বি ও গ্যাংটকের অগ্রযাত্রার পরে সামরিক অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। ২১ ডিসেম্বর, লাসায় চীনা বাসিন্দা গানাথং এ পৌঁছেছিলেন এবং আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিন্তু কোনও সমঝোতা হয়নি তাই আম্বান রিঞ্চিংংয়ে ফিরে আসেন যেখানে তিনি অবশেষে পৌঁছেছিলেন চীনা ইম্পেরিয়াল কাস্টমস সার্ভিসের মিঃ টি এইচ হার্টের অপেক্ষার আদেশ পেয়েছিলেন। তিনি ১৮৮৯ সালের ২২ মার্চ গানাথং পৌছে। শেষ পর্যন্ত কলকাতায় অ্যাংলো-চীনা কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৮৯০ সালের ১ মার্চ কলকাতায়, যা সিকিমের উপরে তিব্বতি প্রভাব বাতিল করে এবং তিব্বত ও সিকিমের মধ্যে সীমানা নির্ধারন করে দেয়। ১৯০৯ সালে ব্রিটিশ সেনারা এই প্রচারণায় নিহত ব্রিটিশদের স্মরণে নির্মিত নাটাং (গানাথং, এখন ভারত সিকিম রাজ্যের একটি অংশ) নির্মিত হয়েছিল।
947645
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947645
পারস্যদেশীয় লাল
পারস্যদেশীয় লাল পারস্যদেশীয় লাল হল গাঢ় লালচে কমলা ঘরানার একটি রঙ বিশেষ। এটি কৃত্রিম সিঁদুর বা আর্টিফিশিয়াল ভার্মিলন রঙ নামেও পরিচিত। রঙটি পারস্য উপসাগরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। ইংরেজিতে রঙের নাম হিসেবে পারস্যদেশীয় লাল শব্দটির নথিভুক্ত প্রথম ব্যবহার হয় ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দে। ইরান বা পারস্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত অন্যান্য রঙগুলির মধ্যে রয়েছে ফার্সি পিঙ্ক, ফার্সি গোলাপি, ফার্সি নীল এবং ফার্সি সবুজ। স্থাপত্যবিদ্যা
947648
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947648
এম সিরাজুল ইসলাম
এম সিরাজুল ইসলাম এম সিরাজুল ইসলাম ছিলেন একজন ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগ রাজনীতিবিদ। ১৯৭০ সালের পাকিস্তান সাধারণ নির্বাচনে তিনি ঢাকা থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের পর, পূর্ব পাকিস্তান থেকে জাতীয় পরিষদের নির্বাচিত সদস্য এবং পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা নিজেদের একটি সংবিধানে রূপান্তরিত করে। সংবিধান সংবিধান বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন করে এবং তিনি স্বাক্ষরকারীর অন্যতম ছিলেন। এম সিরাজুল ইসলাম, আলুর বাজার, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি এমপি ইস্পাহানি গ্রুপের তুলো বিভাগে যোগ দেন। তিনি বহু বছর ধরে ইস্পাহানি গ্রুপে কাজ করেন এবং সেবা করেন। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন এবং নিজের ব্যবসা শুরু করেন এবং তাই তিনি বাকুল গ্রুপ গঠন করেন। ইয়ার মোহাম্মদ খানের ছোট ভাই হয়ে তিনি তাঁর পদক্ষেপ অনুসরণ করেন এবং ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে যোগ দেন। এম সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলেন। ১৯৫২ সালে "ভাষা আন্দোলনের" সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে ইয়ার মোহাম্মদ খান শেষ পর্যন্ত তার ভাইকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।   বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার পরে, এম সিরাজুল ইসলাম ১৯ ১৯৭০ সালের পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ডাকা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গণপরিষদের ৪০৪ সদস্যের মধ্যে এম সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম স্বাক্ষরকারী।   যা যা বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাটির ইঙ্গিত দেয়। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেন। ১৯৭৩ সালে ঢাকা যে নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি ১৯৭০ সালে জিতেছিলেন, একই নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান তাকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে এম সিরাজুল ইসলাম দেশটি এখন স্বাধীন বলে মন্তব্য করে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের সুরক্ষিত হাতে রয়েছে বলেই দেশ যদি তার লড়াইয়ের প্রয়োজন হয় তবে বঙ্গবন্ধু যতদিন চাইবেন তিনি (সিরাজুল ইসলাম) তার পাশে থাকবেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি লায়ন্স বাংলাদেশের গভর্নর, জাতীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ঢাকা মহানগর সমিতির সভাপতি ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ লাইন্স ফাউন্ডেশন, আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, লাইফ-সদস্য, বাংলাদেশ যক্ষ্মা সমিতি, বাংলাদেশের লিভার ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি মুক্তি মুক্তি ট্রাস্ট এবং লায়ন্স পিডিজি ফোরামের শিক্ষাব্যবস্থার চেয়ারম্যানও ছিলেন। সিরাজুল ইসলাম ১৯৯০ সালে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম (ইউসিইপি) -বাংলাদেশে সহযোগী সদস্য হিসাবে যোগদান করেছিলেন। তিনি ২০০৫ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ইউসিইপি বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০০৫ সালে, কম ভাগ্যবানদের পরিষেবাগুলির স্বীকৃতি হিসাবে লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক তাকে "শুভেচ্ছার রাষ্ট্রদূত" ভূষিত করা হয়েছিল। এম সিরাজুল ইসলাম ৭৭ বছর বয়সে ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ সালে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মৃত্যুবরণ কনের।
947653
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947653
কচ্ছ (দেশীয় রাজ্য)
কচ্ছ (দেশীয় রাজ্য) কুচ রাজ্য বা কচ্ছ রাজ্য, ঐতিহাসিকভাবে ১১৪৭ থেকে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত ছিল স্বাধীন রাজ্য এবং ব্রিটিশ আমলে ১৮১৯ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত ছিল দেশীয় রাজ্য। এর অবস্থান, বর্তমান গুজরাতের উত্তর অংশের কচ্ছ উপসাগরের কচ্ছ অঞ্চল। ব্রিটিশ ভারতের যে অল্প কিছু দেশীয় রাজ্যের সমুদ্রসীমা ছিল, কচ্ছ তাদের মধ্যে একটি, যার উত্তর সীমান্তে রয়েছে সিন্ধু প্রদেশ। রাজ্যটির আয়তন ছিল এবং ১৯০১ সালে এর জনসংখ্যা ছিল আনুমানিক জন। ব্রিটিশ রাজের শাসনামলে এটি "কুচ এজেন্সি"র নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল, যা পরবর্তীতে বোম্বে প্রেসিডেন্সির "ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া স্টেট এজেন্সি"র অধীনে চলে যায়। রাজ্যের শাসকগণ ৩৫৪ অশ্বারোহী, ১৬৪ বন্দুক এবং ১,৪১২ পদাতিক বাহিনীর সমন্বয়ে একটি সেনাবাহিনী পরিচালনা করত। রাজ্যটির পতাকা ছিল লাল রঙের আয়তাকার, যার মাঝে সাদা রঙে একটি হাতি ও কেন্দ্রে ভুজিয়া দূর্গের ছবি। দূর্গের উপরে সাদা রঙে রোমান বর্ণে লেখা ভূজ (BHOOJ) এবং নিচে সাদার উপর রোমান বর্ণে লেখা রাজ্যের মূলমন্ত্র: কারেজ অ্যান্ড কনফিডেন্স (Courage and Confidence)। ১১৪৭ সালের দিকে সিন্ধু প্রদেশ থেকে আসা সাম্মা উপজাতির লাখো যাদানী, পূর্বতন কচ্ছ রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। জাম জাদা তাঁকে পোষ্য নিয়েছিলেন বলে তিনি লাখো যাদানী নামে পরিচিত হন। তাঁর নতুন রাজধানী থেকে ১১৪৭-১১৭৫ সময়কালে কচ্ছের পূর্বাংশ শাসন করতেন। তাঁর যমজ ভাই লাখিয়ার-এর নাম অনুসারে নতুন রাজধানীর নাম রাখেন লাখিয়ারভৈরো (বর্তমান নক্ষত্রণার কাছে)। এই সময়েরও আগে, এই পূর্বাংশে রাজত্ব করতেন চৌদা বংশ। চৌদা বংশের সর্বশেষ উল্লেখযোগ্য শাসক ছিলেন ভগম চৌদা, যাঁকে ১৩ শ শতাব্দীতে হত্যা করেন তাঁরই ভাগ্নে জাদেজা বংশের মদ ও মানাই। ঐ একই সময়ে, আরও অন্যান্য উপজাতি যেমন কাথি, চৌলুক্য এবং বাঘেলা বা ওয়াঘেলার অধীনে ছিল কচ্ছের মধ্য ও পশ্চিমাংশ। ১২১৫ সালে রায়ধান রাত্তোর মৃত্যুর পর তাঁর চার ছেলের মধ্যে অঞ্চল ভাগাভাগি হয়ে যায়। ওথাজি, দেদাজি, হোথিজি এবং গজনজি পান যথাক্রমে কচ্ছ অঞ্চলের লাখিভৈরো, কাথকোট, গাজোদ এবং বড়া। সবার বড় ওথাজি লাখিভৈরোর মূল সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন এবং বাকী অংশগুলি হল ভৈয়ত (বা ব্রাদারহুড)-এর ফেডারেল ব্যবস্থার সরকার। তবে যতদিন না তাঁরা বড় দুটি দল, ওথাজি ও বড়ার গজনজি দলে একীভূত হন, ততো দিন তাঁদের মধ্যের অভ্যন্তরীণ বৈরীতা প্রজন্ম ধরে বাড়তেই থাকে। এই প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে প্রথম ঘটনাটি ছিল, কচ্ছের ইতিহাস বদলে দেওয়া, বড়ার জাম রাওয়াল কর্তৃক জাদেজাদের জ্যেষ্ঠ শাখার প্রধান তথা ওথাজির বংশধর, লাখিয়ারভৈরোর জাম হামিরজিকে হত্যার ঘটনা। মনে করা হয়, জাম রাওয়াল তাঁর বাবা জাম লখাজির হত্যার কারণ হিসাবে হামিরজীকে দায়ী করেছিলেন। কারণ, হামিরজির প্ররোচনায় দেদা তামিয়াচি দ্বারা লাখিয়ারভৈরোয় তাঁর বাবাকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রতিশোধের মধ্যে জাম রাওয়াল, বিশ্বাসঘাতকতা করে তাঁর বড় ভাই রাও হামিরজীকে (খেঙ্গারজির পিতা) হত্যা করে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কচ্ছ শাসন করেছিলেন। বড় হয়ে প্রথম খেঙ্গারজি তাঁর কাছ থেকে কচ্ছ পুনরুদ্ধার করেন। জাম রাওয়াল কচ্ছের বাইরে পালিয়ে গিয়ে আশাপূরা মাতার স্বপ্নাদেশে নওয়ানগর প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তাঁর বংশধরের শাখাপ্রশাখা রাজকোট, গোন্দল, ধ্রোল এবং বীরপুর রাজ্যে গঠন করে। বংশসূত্র এখনও চালু রাখা আছে। জাদেজা শাখার নিজ নিজ বারোটস দিয়ে জাদেজা বংশের প্রতিটি ব্যক্তি রাতো রায়ধনের মাধ্যমে তাঁর পিতৃপুরুষের সন্ধান করতে পারেন। ১১৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৫৬৪ সালে জাম রাভালের সময় পর্যন্ত কচ্ছের রাজধানী ছিল লাখিয়ারভৈরো। ১১৪৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৪৮ সালে নব গঠিত, ভারতের স্বীকৃত ও অঙ্গীভূত হওয়ার আগে পর্যন্ত, কচ্ছ শাসিত হত সাম্মা উপজাতির জদেজা রাজপুত গোষ্ঠী দ্বারা। শাসকরা দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে সিন্ধু থেকে কচ্ছে চলে এসেছিলেন। তাঁরা ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের ১৭ তোপ সেলামীর অধিকারী ছিলেন। আগে শাসকদের উপাধি জা'ম থাকলেও, পরে ব্রিটিশ রাজ আমলে ১ জানুয়ারি ১৯১৮ সাল থেকে বংশগতভাবে হয়ে যায় মহারাও। খেঙ্গারজি প্রথম, কচ্ছ রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে খ্যাত, যিনি পূর্ব-মধ্য ও পশ্চিম কচ্ছকে এক আধিপত্যের আওতায় আনেন। তাঁর আগে ঐ অংশগুলি, জাদেজারা ছাড়াও চৌদা এবং শোলাংঙ্কি-দের মতো অন্যান্য রাজপুত উপজাতিগুলি শাসন করতেন। সিংহের হাত থেকে আহমেদাবাদ-এর সুলতান মাহমুদ বেগদা-কে বাঁচিয়ে খেঙ্গারজি প্রথম, তঁর কাছ থেকে মরবির জায়গীর ও সেনাবাহিনী লাভ করেছিলেন। যত দিন না জাম রাওয়ালের কাছ থেকে খেঙ্গারজি কচ্ছ পুনরুদ্ধার করতে পেরে ছিলেন, ততো দিন বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যান। ১৫৪৯ সালে কচ্ছে তিনি একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে তাকে একীভূত ও সুসংহত করতে সক্ষম হন। প্রাণ বাঁচাতে জাম রাওয়াল কচ্ছের বাইরে পালিয়ে যান। খেঙ্গারজি প্রথম, তাঁর পিতার রাজধানী লাখিয়াভাইরো এবং জাম রাভালের রাজধানী বড়া দখল করে নেওয়ার পর ১৫৩৪ সালে রাপার-এ আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণ করেন। কিন্তু পরে তাঁর রাজধানী ভুজ-এ স্থানান্তরিত করেন। খেঙ্গারজি বন্দর নগরী মান্ডভি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৬৯৮ সাল দ্বিতীয় রায়াধনের মৃত্যুর পরে, নিবচ্ছিন্ন উত্তরাধিকারের আবার বিচ্যুতি দেখা দেয়। দ্বিতীয় রায়াধনের তিন পুত্র ছিলেন, রাভাজি, নাগুলজি এবং প্রগজি। বড় পুত্রকে হত্যা করেছিলেন রাজপুত সোধা। দ্বিতীয় ভাই নাগুলজী প্রাকৃতিক কারণেই মারা যান। মারা যাওয়ার আগে উভয়েরই পুত্র ছিল। ফলে তাঁরাই ছিলেন কচ্ছের সিংহাসনের প্রকৃত অধিকারী। কিন্তু তখনো তাঁরা নবীন থাকায়, দ্বিতীয় রায়াধনের তৃতীয় পুত্র প্রগজি, কচ্ছের সিংহাসন দখল করেন, মহারাও প্রগমুলজি প্রথম নামে। নিহত বড় পুত্র রাভাজির ছেলে কান্যজি পালিয়ে গিয়ে নিজেকে মোরবি-তে প্রতিষ্ঠিত করেন। এটি আগে কচ্ছ রাজ্যেরই অংশ ছিল। কান্যজি সেখানে কচ্ছ থেকে স্বাধীন মোরভি স্থাপন করে, তাঁর বৈধ কচ্ছ-সিংহাসন উদ্ধারে বহুবার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যান। এভাবে মোরভিতে কান্যজি জাদেজার উত্তরাধিকারীরা বসতি স্থাপন করেন এবং তাদেরকে বলা হয় কায়্যানি। পরে রাও গডজি প্রথম (১৭১৫-১৯) তাঁর রাজত্বকালে ভূজিয়া দুর্গ নির্মাণ করে ভূজকে সুরক্ষিত করে ছিলেন। দুর্গের প্রধান কাজ ও সমাপ্তি হয় তাঁর পুত্র মহারাও দেশালজি প্রথম-এর (১৭১৮–১৭৪১) আমলে। ১৭০৯ সালে দেশালজি প্রথমের রাজত্বকালে গুজরাটের মোগল ভাইসরয় খাঁ, কচ্ছ আক্রমণ করেছিলেন। কচ্ছের সেনাবাহিনী যখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে, সে সময় নাগা বাওয়াস-এর একটি দল তাদের সাথে যোগদান করায় মোগল সেনাবাহিনী পরাজিত হয়। দেশালজির পর তাঁর পুত্র রাও লক্ষপতজী (১৭৪১−৬১), রাম সিং মালামকে বিখ্যাত আয়না মহল তৈরি করার জন্য নিযুক্ত করেছিলেন। রাম সিং মালামও মাধাপার-এর কাছে কাচ ও চিনামাটির কারখানা চালু করেন। লক্ষপতজির রাজত্বকালে কচ্ছের সামুদ্রিক ব্যবসা প্রসার লাভ করে এবং কচ্ছ তাদের নিজস্ব মুদ্রা কচ্ছ কড়ি জারি করে, যা ১৯৪৮ সালে কচ্ছ, স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজত্বকাল-এও বৈধ ছিল। জাদেজারা হিন্দু ধর্ম অনুসারী ছিলেন এবং তাঁরা তাঁদের বংশের কূলদেবী আশাপুরা মাতা-র পূজা করতেন। দেবীর প্রধান মন্দিরটি মাতা নো মাধ-এ অবস্থিত। রাজ্যের আটটি প্রধান শহর − ভুজ, মান্ডভি, আঞ্জার, মুন্দ্রা, নলিয়া, জাখাউ, ভচাউ এবং রাপার এবং ৯৩7 টি গ্রাম। এ ছাড়াও উপকূলরেখার অন্যান্য বন্দর শহর ছিল টুনা, লক্ষপত, সন্ধন, সিন্ধ্রি, ভদ্রেশর। এ সব বন্দর দিয়ে রমরমিয়ে চলত সামুদ্রিক বাণিজ্য, যা ছিল রাজ্যের প্রধান রাজস্বআয়। আরও কয়েকটি শহর ছিল যেমন রোহ, ভিরানী মতি, দেবপুর, তেরা, কোঠারা, বড়া, কাঁথকোট। বিভিন্ন কুচ বা কুচি সম্প্রদায় মাস্কট, মোম্বাসা, মিজিজিমা, জাঞ্জিবার এবং আরও অন্যান্যদের সঙ্গে ব্যবসার জন্য আর জাহাজ নির্মাণ দক্ষতার জন্য পরিচিত ছিল। ১৯৩০ সালে খেঙ্গারজি তৃতীয় বিকাশ ঘটান নতুন কাঁদলা বন্দর। তাঁর আমলে ১৯০০-১৯০৮ সালে কচ্ছ রাজ্য রেলপথও স্থাপিত হয়। এটি ভূজ, আঞ্জার, বাচাউয়ের মতো প্রধান শহরগুলিকে টুনা এবং কাঁদলা বন্দরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। রেলপথ, পণ্য ও যাত্রী চলাচলের পথ প্রশস্ত করায় ব্যবসার প্রভূত উন্নতি ঘটে। ১৯০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে হিন্দুর সংখ্যা প্রায় ৩,০০,০০০, মুসলিম প্রায় ১,১০,০০০ এবং জৈনদের জনসংখ্যা ছিল ৭০,০০০। প্রায় ৯% জনসংখ্যা ছিল রাজপুত ও ব্রাহ্মণ এবং রাজ্যের জনসংখ্যার ২৪% ছিল অন্যান্য হিন্দু বর্ণের লোক। সাধারণের সবচেয়ে বেশি কথ্য ভাষা ছিল কুচি ভাষা এবং গুজরাটি ভাষা। লেখা-জোখা, আদালত ও নথিপত্রে ব্যবহৃত হত গুজরাটি ভাষা। কৃষিকাজই মানুষের প্রধান পেশা ছিল। তারা গম, জোয়ার, বাজরা, বার্লি ইত্যাদির চাষ করত। এ ছাড়াও অপর প্রধান পেশা ছিল গবাদি পশু সংগ্রহ। ১৯৪৮ পর্যন্ত কচ্ছ রাজ্যের মুদ্রা ছিল কড়ি। ১৮৫৮ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এসব মুদ্রার সম্মুখ পৃষ্ঠে স্থানীয় শাসকের নাম এবং পিছনের পৃষ্ঠে ব্রিটিশ রাজার নাম খোদাই করা থাকত। এক বছরেরও কম সময়ের জন্য যুক্তরাজ্য ও ভারতে শাসন করা রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের পদত্যাগের আগে যে অল্প কিছু রাজ্য তাঁর নামে মুদ্রা চালু করে, কচ্ছ রাজ্য তাদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৪৭ সালে রাজ্যটি তার সর্বশেষ মুদ্রা "জয় হিন্দ কড়ি", চালু করে। এর বিপরীত পৃষ্ঠে খচিত ছিল ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম স্লোগান"জয় হিন্দ" ।
947663
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947663
মালেরকোটলা রাজ্য
মালেরকোটলা রাজ্য মালেরকোটলা রাজ্য বা "মালার কোটলা" ব্রিটিশ ভারতের আমলে পাঞ্জাব অঞ্চলের একটি দেশীয় রাজ্য ছিল। মালার কোটলার সর্বশেষ শাসক ২০ আগস্ট ১৯৪৮ ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের জন্য প্রবেশাধিকার স্বাক্ষর করেন। এর শাসকরা একটি পাঠান রাজবংশের অন্তর্গত ছিল, এবং এর রাজধানী মালারকোটলায় ছিল। রাজ্যটি পাঞ্জাব স্টেট এজেন্সির মালিকানাধীন ছিল। ভারত বিভাগের সময় সর্বশেষ নবাব ইফতেখার আলী খান মালার কোটলায় অবস্থান করেন এবং ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সিরহান্ডি গেটে অবস্থিত শাহী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। তবে মালারকোটলা রাজ্যের ক্ষমতাসীন পরিবারের একটি অংশ পাকিস্তানে চলে যান এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা বেশিরভাগই মডেল টাউন, লাহোর এবং মুজাফফরগড় এবং খানগড়ে বাস করেন। পূর্ববর্তী রাজ্য ১৪৫৪ সালে শেখ সদরুদ্দিন-ই-জাহান নামের আফগানিস্তান এলাকার শেরওয়ানি উপজাতির একজন ধার্মিক ব্যক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়, এবং তার বংশধরদের দ্বারা শাসিত হয়। স্থানীয় ঐতিহ্য বলছে যে বেহল লোধি (১৪৫১-১৫১৭), আফগান রাজা যার নিয়ন্ত্রণে পশ্চিম ভারতের অধিকাংশ অংশ ছিল, দিল্লি শাসন করার ইচ্ছা পোষণ করে দিল্লি যাওয়ার পথে, তিনি একটি চোরাবালিতে আটকে গিয়েছিলেন। অন্ধকারে রাজা দেখলেন বাতাসে একটি প্রদীপ জ্বলছে। এটা ছিল শেখ সদরুদ্দিনের কুঁড়েঘর এবং যখন রাজা এটি জানতে পারেন তখন তিনি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কুঁড়েঘরে আসেন। এরপর তিনি পবিত্র লোকটিকে তার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি একটি পুত্র সন্তান লাভ এবং বিজয় কামনা করে দোয়া করতে বলেন। ১৪৫১ ও ১৪৫২ সালে রাজা দিল্লিতে সিংহাসনে বসার পর তার মেয়ে তাজ মুরাসাকে শেখ সাদরুদ্দিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন এবং তাকে "জাগির" হিসেবে মালারকোটলা এলাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে শেখ সদরুদ্দিনের বংশধররা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একটি অংশ রাজ্য শাসন কিরতে শুরু করে এবং তাদের মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের সময় নবাব উপাধি দেওয়া হয়। অন্য শাখাটি শেখ সদরুদ্দিনের মাজারের চারপাশে বাস করত, তীর্থযাত্রীদের কাছ থেকে তার রাজস্ব আদায় করত। মালারকোটলা রাজ্য ১৬৫৭ সালে বায়েজিদ খান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঘের আক্রমণে মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের জীবন বাঁচানোর পর বায়াজিদ খানকে একটি দুর্গ নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হয়। বায়েজিদ দুর্গ নির্মাণ করে এর নাম মালারকোটলা নামকরণ করেন এবং অবশেষে এটিকে রাজ্যের নাম দেন। ৩ মে ১৮০৯ সালে মালার কোটলা ব্রিটিশ রাজের অধীনস্হ হয়ে পরে এবং ১৮৬২ সাল পর্যন্ত রাজ্যটিকে সিআইএস-সুতলেজ রাজ্যের অংশ করা হয়। ১৮৯০ সালে মালারকোটলা পাঞ্জাব দরবারে ১২তম স্থান লাভ করে। ১৯৪৭ সালের দাঙ্গার সময় যখন পাঞ্জাব অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়, তখন মালারকোটলা রাজ্য সহিংসতার একটি ঘটনারও সাক্ষী হয় নি; এই সব কিছুর মাধ্যমে, এটি ছিল শান্তির একটি নিঃসঙ্গ দ্বীপ। এ এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শিকড় প্রোথিত হয় ১৭০৫ সালে, যখন সাহেবজাদা ফতেহ সিং এবং সাহেবজাদা জোরাওয়ার সিং, শিখ গুরু, গুরু গোবিন্দ সিং এর ৯ ও ৭ বছর বয়সী পুত্র, স্যারহিন্দের গভর্নর ওয়াজির খানের কাছ থেকে জীবিত উদ্ধার করার আদেশ দেওয়া হয়। তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়, মালারকোটলার নবাব শের মোহাম্মদ খান, যিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন, তিনি এই অমানবিক কাজের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং বলেন যে এটি ইসলাম বিরোধী। তা সত্ত্বেও ওয়াজির খান জীবিত অবস্থায় সাহেবজাদাদের নির্যাতন এবং দেয়ালের একটি অংশে তাদের ঠুকতেন। এ সময় মালারকোটলার নবাব প্রতিবাদে আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন। গুরু গোবিন্দ সিং এই ধরনের এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখে মালারকোটলার নবাবকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান এবং তাঁর হুকামনামা, কিরপান ইত্যাদি দিয়ে তাঁকে আশীর্বাদ করেন। এই আইনের স্বীকৃতি স্বরূপ, মালারকোটলা রাজ্য বিভাজনের সময় সহিংসতার একটি ঘটনারও সাক্ষী হয়নি। অনেক স্থানীয় মানুষ এই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য সুফি সাধু বাবা হায়দার শেখের মাজারের উপস্থিতিকে উল্লেখ করেছেন, যিনি ৫০০ বছর আগে মালারকোটলা শহরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। নবাব শের মোহাম্মদ খান গুরু গোবিন্দ সিং পরিবারের একজন মহিলাকে বিয়ে করেন যিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন, তাই সকল পরবর্তী নবাব মায়ের দিক থেকে গুরু হরগোবিন্দ সিং ঊর্ধ্বতন পুরুষ। ভারতের স্বাধীনতা এবং ১৯৪৮ সালে ভারতীয় ইউনিয়নে প্রবেশাধিকারের চুক্তি স্বাক্ষরের পর, মালার কোটলা ১৯৫৬ সালে পাঞ্জাবের সাথে একত্রীকরণের আগ পর্যন্ত পাতিয়ালা ও পূর্ব পাঞ্জাব রাজ্য ইউনিয়ন (পেপসু) নবপ্রতিষ্ঠিত রাজ্য যোগ দান করেন। শাসকদের 'নবাব' উপাধি দেওয়া হয়েছিল। তাদের ১১ টি তোপধ্বনি দেওয়া হতো।
947669
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947669
আন্ধা হাফিজ
আন্ধা হাফিজ আন্ধা হাফিজ হল বাংলাদেশের চট্টগ্রামে বসবাসকারী বিংশ শতকের সত্তরের দশকের কথিত এক পীর। শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মেজর ফারুককে পরোক্ষভাবে প্ররোচিত করার ব্যপারে তার যোগসূত্র রয়েছে বলে অ্যান্থনি মাসকারেনহাস তার "" নামক বইয়ে দাবি করেছেন। তাছাড়া, হুমায়ূন আহমেদ তার 'দেয়াল' উপন্যাসেও ;আন্ধা হাফিজ' সম্পর্কে লিখেছেন। আন্ধা হাফিজের নিজস্ব ভাষ্যমতে, ভারতের লখনৌতে তার জন্ম হয় এবং সেখানে তার পৈত্রিক বাড়ি অবস্থিত। ১৯৫৫ সাল থেকে সে চট্রগ্রামের হালিশহরে বসবাস শুরু করে এবং পীর পেশার সূচনা করে। তার বড় ভাই চট্রগ্রাম রেলওয়েতে চাকরি করতো। তার দাবিমতে, সে সময় বাংলাদেশে তার অসংখ্য মুরীদ ছিল। অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের বর্ণনানুযায়ী, চট্টগ্রামের হালিশহরে আন্ধা হাফিজের ভবিষ্যতবাণী করার নামডাক ছিল এবং অসংখ্য অনুসারী ছিল। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার ভক্ত হওয়ার সুবাদে মেজর ফারুক তার খোঁজ পায়। সে শেখ মুজিব হত্যার পরিকল্পনার বিষয়ে আন্ধা হাফিজের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭৫ এর মার্চ-এপ্রিল নাগাদ ব্যেঙ্গল ল্যান্সারের জন্য চট্টগ্রামের হাটহাজারীর অদূরে দুদিনের জন্য তার রেঞ্জ ফায়ারিং-এর শিডিউল পড়ায় সে সময় সে হাফিজের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায় এবং ২রা এপ্রিল তার সাথে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতের প্রথমে হাফিজ ফারুকের হাত নিজের হাতে তুলে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ ভাবে। এরপর ফারুককে সে বলে, "আমি জানি তুমি ভয়ঙ্কর কিছু করতে যাচ্ছ। করতে চাও কর, তবে মনে রেখো, আমি তোমাকে যে নীতি অনুসরণ করতে বলছি, তা যদি তুমি পালন না কর, তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।" তিনি এরপর ফারুককে তিনটি নীতি বিশ্বস্ততার সঙ্গে মেনে চলতে নির্দেশ দিলেনঃ ১) আল্লাহ আর ইসলামের জন্যে ছাড়া ব্যক্তিগত লাভের জন্যে কিছু করবে না। ২) শক্তি অর্জন কর। ৩) সঠিক সময় বেছে নাও। তিনি মেজরকে আরও তিনমাস অপেক্ষা করার পরামর্শ দিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট বিকেলে ফরিদা তার স্বামীর নির্দেশে হালিশহরে আন্ধা হাফিজের কাছে শেখ মুজিব হত্যা পরিকল্পনার জরুরি খবর পৌঁছানোর চেষ্টা করে। খবরটি ছিল, ১৫ আগস্ট ফারুকরা শেখ মুজিবকে হত্যা করতে যাচ্ছে। স্ত্রী ফরিদার প্রতি ফারুকের নির্দেশ ছিল: "আন্ধা হাফিজকে বলবে, আমি ১৫ তারিখেই কাজটা করতে যাচ্ছি। আল্লাহর প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস রেখে দেশের জন্যই আমি এ কাজটি করতে যাচ্ছি। আমি যা করছি তা জনগণের মঙ্গলের জন্যই করছি। আমি চাই তিনি আমাকে বলুক আমি ঠিক পথে আছি নাকি ভুল করছি। তিনি যদি অন্য কিছু করতে বলেন-আমি তাই করবো।" ফারুক ফরিদাকে দুপুরের মধ্যেই আন্ধা হাফিজের মন্তব্য টেলিফোনে জানিয়ে দিতে বলে। ফরিদা গিয়ে দেখলেন আন্ধা হাফিজ লুঙ্গি ও সুতির গেনজি গায়ে পায়ের উপর পা তুলে একটি নীচু চৌকিতে বসে আছে। ফরিদা তার সামনে গিয়ে বসলে হাফিজ ফরিদার হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে নীরবে ফারুকের পাঠানো সংবাদ শুনে নেওয়ার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। এরপর একটি দীর্ঘনি:শ্বাস ফেলে আবেগজড়িত কন্ঠে উর্দু ভাষায় বলে, "তার সময় ফুরিয়ে এসেছে। তোমাদের যা করার করে ফেলো। তবে অত্যন্ত গোপনে কাজটা করতে হবে।" আবারো এক লম্বা নীরবতার পর সে ফরিদাকে বলে, "ফারুককে বলো কাজটা শুরু করার আগে সে যেন আল্লাহর রহমতের জন্য দোয়া করে নেয়। তার সাথীরাও যেন একইভাবে দোয়া করে নেয়। দুটি সুরা দিলাম। সে যেন অনবরত তা পাঠ করতে থাকে। তাহলে তার মন পবিত্র থাকবে। পবিত্র চিন্তা ছাড়া সে আর অন্য চিন্তা করতে পারবে না।" ফরিদা বিদায় নেওয়ার পূর্ব মূহুর্তে তার স্বামী ও সাথীদের জন্য দোয়া করতে আন্ধা হাফিজকে অনুরোধ জানালে আন্ধা হাফিজ তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে, “চিন্তা করো না। আমি তাদের আল্লাহর হাতে সপে দিয়েছি। এটা তার ইচ্ছা। তিনিই তাদের রক্ষা করবেন। ফরিদা আন্ধা হাফিজকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়ে পাল্টা কিছু নির্দেশনামা জানাতে ফারুককে ফোন করতে গিয়ে তৎক্ষণাৎ ঢাকার টেলিফোন লাইন অচল পায়। পরবর্তীতে লাইন সচল হলে ফারুককে টেলিফোন করা হলেও ফারুক টেলিফোন ধরেনি, সে তখন ঘুমাচ্ছিল। পরে ফরিদা শ্বশুরের সহায়তায় তাকে সেই নির্দেশনামা পাঠিয়ে দেয়। লেখক ও সাংবাদিক অম্লান দেওয়ানের নেওয়া সাপ্তাহিক বিচিন্তার এক সাক্ষাৎকারে আন্ধা হাফিজ উক্ত সম্পৃক্ততার দাবি অস্বীকার করে এবং মাস্কারেনহাসকে মিথ্যাবাদী বলে সাব্যস্ত করে। তার বক্তব্যমতে, "অ্যান্থনী ম্যাসকারেনহাস আসলে আমার কাছে কোনদিন আসেননি। কোন রাজনৈতিক দলের লোকের কাছ থেকে সে হয়তো ইনফরমেশন নিয়েছে। আসলে, কর্নেল ফারুক-রশীদ ভায়রা ভাই। দু্ই বোনকে তারা বিয়ে করেছে। তাদের স্ত্রীরা শিল্পপতি এ, কে খানের ভাগ্নি। এরা বহু আগে থেকেই আমার কাছে আসতো। এরা সবসময় আমাকে বলতো, হুজুর আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা যেন একসাথে মিলেমিশে থাকতে পারি। তাড়াতাড়ি যেন আমাদের বিয়ে হয়। আমিও তাদের দোয়া করি। আর দোয়ার কারণেই তাদের দুজনের বিয়ে হয় কর্নেল ফারুক-রশীদের সাথে। এরাও বিয়ের আগে থেকেই আমার কাছে আসতো। আমিতো কাউকে মানা করতে পারি না। চোর হোক, গুন্ডা হোক..সবাই আমার কাছে আসবে। সবাইকে আমি দোয়া করি। এটা বানোয়াট একটা কাহিনীমাত্র। আমি শুনতে পাই আমার নাম উল্লেখ করে বইটায় লেখা হয়েছে। আমার ছবি ছাপা হয়েছে। কে আমার ছবি তুলে নিয়েছে আমি টের পাইনি। কিন্তু আমার কাছে কোন সাংবাদিক এসে প্রশ্ন করা, স্টেটম্যান নেওয়া.. এসব কেউ কোনদিন নেয়নি। কিন্তু কিছুদিন পর শুনলাম আমি নাকি কর্নেল ফারুককে দোয়া করেছি এবং আমার দোয়া পেয়েই ফারুক শেখ মুজিবকে হত্যা করেছে। প্রকৃত সাধক যারা, তারা মানুষকে ভালোবাসে। তারা কখনো কোন মানুষকে হত্যার জন্য দোয়া দিতে পারে না। .. ছোটবেলা থেকেই আমি মানুষের উপকার করে আসছি, কিন্তু কেউ বলতে পারবে না.. আমি কারো ক্ষতি করেছি। ম্যাসকারেনহাসের বইতে যখন আমার নামটা আসছে, তখন বিদেশ থেকে ভক্তরা আমাকে ঘটনাটা জানায়। আমি এতে প্রচন্ড দু:খ পাই। গ্ল্যাকসো বাংলাদেশের তখনকার চেয়ারম্যান ছিলেন ব্যারিষ্টার রশীদুজ্জামান, আমার মুরিদ..উনি কি এক কাজে তখন লন্ডন ছিলেন। উনি খবর পেয়ে লন্ডন থেকে আমাকে ফোন করেন এবং বলেন: 'হুজুর আপনার বিরুদ্ধে এসব লেখা হয়েছে।' আমি বললাম, আমার কাছেতো কেউ আসেনি। এটা সম্পূর্ণ বানোয়াট এবং মিথ্যা। রশীদুজ্জামান ম্যাসকারেনহাসের সাথে দেখা করেন এবং ম্যসকারেনহাসকে বললেন, 'আপনি হুজুরের সর্ম্পকে যেসব কথা লিখেছেন সেগুলো কি আপনি কনফার্ম হয়ে বলেছেন? হুজুরের সাাক্ষাতকার নিয়ে বলেছেন? ম্যাসকারেনহাস এতে অনুতপ্ত হলেন। তিনি রশীদুজ্জামানকে বললেন, আমি বাংলাদেশে এসে হুজুরের কাছে মাফ চেয়ে যাব। ব্যারিষ্টার রশীদ ফোনে আমাকে সব কথা জানায়। আমি রশীদকে বললাম, সে হয়তো আমার কাছে মাফ চাওয়ার সুযোগ পাবে না। আসলেও সে সুযোগ পায়নি। এর কিছুদিন পরই ম্যাসকারেনহাস হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।" বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ফারুক-রশীদ তার কাছে এসেছিলেন কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "না, এরপর উনারা আর আমার কাছে আসেননি।" অম্লান দেওয়ানের মতে, সাপ্তাহিক বিচিন্তায় উক্ত সাক্ষাতকার প্রকাশিত হওয়ার পর আন্ধা হাফিজ খুব রাগ করে। সে চট্রগ্রামের পত্রিকা স্টল থেকে সবগুলো কপি কিনে নেয় যাতে আর কেউ পড়তে না পারে। পরবর্তীতে নতুন করে সেই সংখ্যাটি ছাপা হয় এবং চট্রগ্রামে পাঠানো হয়ে। ফলে তা লাখ লাখ মানুষের হাতে পৌছে যায় এবং এতে আন্ধা হাফিজ খুব রাগ করে। সে বিচিন্তার কাকরাইলের অফিসে মিনার মাহমুদকে ফোন করে। সেনাবাহিনীর জেনারেলরা তার মুরিদ এ তথ্য প্রকাশ করার কারণে আন্ধা হাফিজ ধমকের সুরে মিনার মাহমুদকে বলে: "তোর মতো সাংবাদিক আমি এক নিমেষেই গায়েব করে ফেলতে পারি। তোরা আমার সাথে বেঈমানি করেছিস।"
947677
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947677
তিরুবনন্তপুরম জেলা
তিরুবনন্তপুরম জেলা তিরুবনন্তপুরম জেলা, দক্ষিণ ভারতে অবস্থিত কেরল রাজ্যের ১৪ টি জেলার একটি জেলা৷ এটি কেরালার দক্ষিণতম জেলা। ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে এই জেলাটি গঠন করা হয় এবং জেলাসদর তিরুবনন্তপুরম শহরে স্থাপন করা হয়, এই শহরটি সমগ্র কেরালার রাজধানী। ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পূর্বতন জেলার দক্ষিণ পূর্ব দিকের চারটি তালুক নিয়ে নতুন কন্যাকুমারী জেলা গঠন করা হয়, এবং অবশিষ্টাংশ জেলা সদরের নাম অনুসারে তিরুবনন্তপুরম জেলা নামে পরিচিত হয়। জেলাটির মোট ক্ষেত্রফল । ২০১১ খ্রিস্টাব্দে জনগণনা অনুসারে এই জেলায় ৩৩,০১,৪৩৭ জন বাস করতেন, যা ওই রাজ্যের মালাপ্পুরম জেলার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলাভিত্তিক জনসংখ্যা। জেলাটি ছয়টি তহশীল বিভক্ত, এগুলি হল: নেইয়াত্তিঙ্করা, কাট্টাকড়া, নেদুমানগড়, তিরুবনন্তপুরম, চিরয়িঙ্কিলু এবং বারকল তালুক। জেলেটির সর্বদক্ষিণে রয়েছে কন্যাকুমারিকা থেকে ৫৪ কিলোমিটার পশ্চিম দিকে অবস্থিত কালীক্কবিলা, যা সমগ্র রাজ্যের দক্ষিণতম বিন্দু। জেলাটির নগরায়ন হার জনসংখ্যার বিচারে ৩৩.৭৫ শতাংশ। জেলাটিতে রয়েছে তিনটি প্রধান নদী, একাধিক স্বাদু জলের হ্রদ এবং প্রায় ৩০০টি পুকুর। জেলাটিন পূর্বাংশ জঙ্গল সংকুল এবং উত্তরাংশের অধিকাংশ স্থানে রাবার চাষ করা হয়। এ ব্যতীত বাকি স্থানগুলিতে শুষ্ক জমির ফসল তথা নারকেল, কলা এবং কাসাভা গাছের চাষ করা হয়। উর্বর অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে ধান চাষ করা হয়। তিরুবনন্তপুরম জেলার নামটি এসেছে জেলাসদর তিরুবনন্তপুরম শহরের নাম অনুসারে। তিরুবনন্তপুরম শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে তিনটি শব্দ পাওয়া যায় যথা "তিরু-অনন্ত-পুরম", এর অর্থ অনন্ত পতির বাসস্থান। এই নামটি এসেছে সদর শহরের মধ্যস্থলে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির থেকে। অনন্ত‌ হল শ্রীবিষ্ণুর শয্যা তথা শেষনাগ। এখানে শ্রীবিষ্ণু হলেন শ্রী পদ্মনাভ স্বামী, এবং তিরুবনন্তপুরমের কেন্দ্রস্থলের অবস্থিত বিষ্ণু মন্দিরটি হল শ্রীপদ্মনাভস্বামী মন্দির। ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এর নাম ছিলো ত্রিবান্দ্রম কিন্তু পরবর্তীকালে কেরল সরকার স্থানীয় ভাষায় প্রচলিত তিরুবনন্তপুরম নামটিকে সমস্ত ভাষায় সরকারি বানান রূপে ঘোষণা করেন। জেলার বিভিন্ন স্থানের মতো তিরুবনন্তপুরম শহরটিও প্রাচীন ঐতিহ্য, লোককাহিনী এবং সাহিত্যে বিশিষ্টভাবে উল্লেখযোগ্যতা রেখেছে। ১৬৮৪ খ্রিস্টাব্দে রাণী উমাইয়াম্মার রাজপ্রতিনিধিত্বকালে তিরুবনন্তপুরম শহর থেকে উপকুল বরাবর ৩২ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত বারকলের নিকট অঞ্চুতেঙ্গতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি একটি কারখানা নির্মাণ ও তার সার্বিক উন্নয়নের জন্য সামান্য জমি পান৷ ঐ একই স্থান পূর্বে ব্যবসায়িক স্বার্থে পর্তুগীজ এবং ওলন্দাজরাও ব্যবহার করতেন৷ এই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে ব্রিটিশরা ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদের আধিপত্য বিস্তির করতে শুরু করে৷ তিরুবনন্তপুরমের আধুনিক ইতিহাস শুরু হয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে রাজা মার্তণ্ড বর্মার (১৭২৯-১৭৫৮ খ্রিস্টাব্দ) সময়কাল থেকে৷ এই সময় থেকে তিরুবনন্তপুরমে বুদ্ধিজীবীদের দ্বারা শৈল্পিক উন্নতি ঘটতে থাকে এবং ক্রমে এটি শিল্পের কেন্দ্র হয়ে ওঠে। খ্রিস্টীয় অষ্টাদশ শতাব্দীতে নির্মিত অনন্তনাগের উপর শায়িত বিষ্ণুমূর্তি সহ শ্রী পদ্মনাভস্বামী মন্দির শুধু এই শহরেরই বৈশিষ্ট্য নয় সমগ্র জেলারই একটি। মন্দিরটিতে বিষ্ণুর শ্রী পদ্মনাভ‌ মূর্তি ছাড়াও রয়েছে শ্রীকৃষ্ণ, নরসিংহ দেব, গণেশ এবং আইয়াপ্পার মূর্তি। ১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দে ত্রিবাঙ্কুর রাজপরিবারের রাজা মার্তণ্ড বর্মা তাহলে ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের রাজধানী পদ্মনাভপুরম (যা বর্তমানে তামিলনাড়ু রাজ্যের কন্যাকুমারী জেলাতে অবস্থিত) থেকে স্থানান্তরিত করে তিরুবনন্তপুরম এ আসেন এবং এই মন্দিরটি নির্মাণ করান। রাজা মার্তণ্ড বর্মা তার বাকি রাজত্বকাল শ্রী পদ্মনাভদাস নামে, তথা শ্রীপদ্মনাভের চরণে সমর্পিত করেন। বিস্তৃত মন্দির প্রাঙ্গণ, মন্দিরের সুউচ্চ একাধিক সূক্ষ্ম কাজ ও মূর্তি সংবলিত গোপুরম এবং ভেতরের একটি জলাশয়ে পতিত সমগ্র মন্দিরের প্রতিফলন বর্তমানকালে একাধিক দর্শনার্থী ও পুণ্যার্থী আকর্ষণ স্থল। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পূর্বে তিরুবনন্তপুরম শহরটি ত্রিবাঙ্কুর রাজ্যের রাজধানী ছিল। রাজ্য পুনর্গঠন আইন বলবৎ হলে ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১লা নভেম্বর তারিখে রাজ্য পুনর্গঠন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই জেলা থেকে বিলাবাঙ্কুর সহ তোবল, অগস্ত্যেশ্বরম, কালকুলাম তালুকগুলি পৃথক করে তামিলনাড়ুর সঙ্গে যুক্ত করা হয়, যা পরে কন্যাকুমারী জেলা রূপে আত্মপ্রকাশ করে। জেলাটির অবস্থান ৮.১৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ থেকে ৮.৫৪ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৬.৪১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৭৭.১৭ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত৷ জেলাটির দক্ষিণতম বিন্দু পারশালা ভারতীয় উপদ্বীপের দক্ষিণতম বিন্দু তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে ৫৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিম দিকে অবস্থিত।‌ তিরুবনন্তপুরমের জলবায়ু সাধারণত উষ্ণ ক্রান্তীয় প্রকৃতির। অন্যতম বৃহত্তম সংরক্ষিত বনাঞ্চলের উপস্থিতি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং আঞ্চলিক জলবায়ুর উপর প্রভাব বিস্তার করে। পশ্চিমঘাট পর্বতমালার উচ্চতর স্থানগুলিতে শীতল আবহাওয়া অনুভূত হয়। উচ্চতা কমার সাথে সাথে উপকূল বরাবর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। গড় সর্বাধিক উষ্ণতা মোটামুটি ৩৫° এবং গড় সর্বনিম্ন উষ্ণতা ২০° সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে। আরব সাগর কে পশ্চিমে রেখে পশ্চিমঘাট পর্বতমালা বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণে বিস্তৃত হওয়ার জন্য স্বাভাবিকভাবেই জেলাটির আর্দ্রতা একটু বেশি, গড় আর্দ্রতা ৯৫% এর কাছাকাছি। জেলাটির গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত প্রায় । জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে গ্রীষ্মকালের শেষ থেকে শরতকালের সূচনা অবধি সময়কালেই সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, যা সারা বছরের মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণের সিংহভাগ অংশ। অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হলেও তা নিরবচ্ছিন্ন থাকে। এপ্রিল এবং মে মাসে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস বছরের শীতলতম সময়। এই সময় সমগ্র জেলার গড় উষ্ণতা ২০° সেলসিয়াসে নেমে আসে, চাষাড়া ভারতেই শীতকাল বলে পরিগণিত হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চ মাস অবধি গ্রীষ্মকালীন উষ্ণতা ৩০-৩৫° সেলসিয়াসের মধ্যে হেরফের করে। তিরুবনন্তপুরম জেলাটি কেরালার দক্ষিণতম জেলা। এর উত্তর দিকে রয়েছে কোল্লাম জেলা, পূর্ব দিকে রয়েছে তামিলনাড়ু রাজ্যের তিরুনেলভেলি জেলা, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রয়েছে কন্যাকুমারী জেলা। জেলিটির পশ্চিম এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে আরব সাগর। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে ভারতের জনগণনা অনুসারে তিরুবনন্তপুরম জেলার জনসংখ্যা ছিল ৩৩,০১,৪২৭ জন। ওই বছর জনসংখ্যার বিচারে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার মধ্যে এই জেলাটি ১০৩তম স্থান অধিকার করে। জেলাটির জনঘনত্ব , জাকির আলোর অন্যান্য জেলার মধ্যে সর্বাধিক। ২০০১ থেকে ২০১১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে জেলাটির জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২.২৫ শতাংশ। তিরুবনন্তপুরম জেলায় প্রতি হাজার পুরুষে ১০৮৮ জন নারী বসবাস করেন। জেলাটির মোট সাক্ষরতার হার ৯৩.০২ শতাংশ যেখানে পুরুষ সাক্ষরতার হার ৯৫.০৬ শতাংশ এবং নারী সাক্ষরতার হার ৯১.১৭ শতাংশ। মালয়ালম হলো জেলাটির সরকারী ও সর্বাধিক প্রচলিত ভাষা এবং রয়েছে সহ দাপ্তরিক ইংরাজী ভাষা৷ এছাড়া তিরুবনন্তপুরম মহানগরে যথেষ্ট পরিমাণে তামিলভাষী, হিন্দিভাষী, তুলুভাষী এবং কম সংখ্যক গুজরাটিভাষী বসবাস করেন। তিরুবনন্তপুরম জেলায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৬৬.৪৬ শতাংশ, মুসলিম ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১৩.৭২ শতাংশ এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ১৯.১০ শতাংশ। বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা একাধিক জনগোষ্ঠী বা জাতিতে বিভক্ত। অন্যান্য জেলার মত এই জেলাতেও নাইয়ার, ব্রাহ্মণ, এড়াবা, তপশিলি জাতি এবং এগারটি অন্যান্য জাতির হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোক বাস করেন। খ্রিস্টানরা মূলত লাতিন ক্যাথলিক, সাইরু মালাবার ক্যাথলিক, সাইরু মলঙ্করা ক্যাথলিক, মলঙ্করা অর্থোডক্স সিরিয়াক অর্থোডক্স প্রভৃতিতে বিভক্ত। মুসলিম সমাজে শিয়া এবং সুন্নি বিভাজন রয়েছে। জেলাটির ৫০ শতাংশের অধিক লোক কৃষিকাজের উপর ভিত্তি করে জীবন অতিবাহিত করেন। সংখ্যার বিচারে মোট শ্রমজীবীর ৪২ শতাংশ লোক কৃষিকাজের সঙ্গে সরাসরি ভাবে যুক্ত। অধিকাংশ কার্যক্ষেত্রেই আয় কম এবং নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত প্রকৃতির। রাজনৈতিক এবং সামাজিক জনসর্তকতা সফলতার সাথে ঐতিহাসিক কিছু অনৈতিক রীতিনীতি থেকে মানুষকে সরিয়ে রেখেছে। জেলাটি তুলনামূলকভাবে আর্থসামাজিক দিক থেকে উন্নত। তিরুবনন্তপুরম অর্থনীতির মূল কান্ডারী হলো সামাজিক মাধ্যম এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ, এছাড়াও রয়েছে কৃষিকাজ শিক্ষা এবং ভ্রমণভিত্তিক শিল্প পর্যটন। ভারতের প্রথম অ্যানিমেশন পার্ক তথা কিনফ্রা ফিল্ম এন্ড ভিডিও পার্ক তিরুবনন্তপুরম শহরেই অবস্থিত। তিরুবনন্তপুরম জেলায় দুটি কেন্দ্রীয় সেক্টর, ১৪ টি রাজ্য সেক্টর, একটি কোঅপারেটিভ সেক্টর, চারটি যুগ্ম সেক্টর, এবং ৬০ টি বেসরকারি ছোট এবং বড় এন্টারপ্রাইজ সেক্টর রয়েছে। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দের ৩১শে মার্চ কেরালা রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিয়ম (KSIDC) নতুন করে ৯,২৬২টি শূন্য পদ তৈরি করে চাকুরীক্ষেত্র বৃদ্ধি করেন এবং এই বাবদ ৩৪৩৯.৪ মিলিয়ন ভারতীয় অর্থ বিনিয়োগ করেন। ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে এখানে ৯০১টি নিবন্ধিত কার্যকর কারখানা ছিল, যার মধ্যে তেলঘানি, কাজু, লৌহ যন্ত্রাংশ, কার্পাস, কাগজ পৃন্টিং, রবার, রাসায়নিক দ্রব্য, দিয়াশলাই, সাধারণ প্রযৌক্তিক একক, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ প্রভৃতি কারখানা। সদর শহরে অবস্থিত কেরালার রাজ্য সরকার পরিচালিত শ্রী মূলম তিরুনাল শাস্তিয়াবপূর্ত্তি স্মৃতি প্রতিষ্ঠানটি রাজ্যের বৃহত্তম হস্ত ও কুটির শিল্প সংগ্রহের স্থান। জেলাটির জেলা সদরের সমস্ত দপ্তর তিরুবনন্তপুরম শহরের কুড়াপ্পনকুন্নুতে অবস্থিত। প্রতিটি জেলার জেলাশাসক দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রতি জেলাশাসক পাঁচজন সহকারী সমাহর্তার আনুকূল্যে থাকেন। তারা সাধারণ বিষয়, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়, রাজস্ব সংক্রান্ত বিষয়, ভূমির পুনর্বিন্যাস এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন। তিরুবনন্তপুরম জেলার ছয়টি তালুক হলো: নেইয়াত্তিঙ্করা, কাট্টাকড়া, নেদুমানগড়, তিরুবনন্তপুরম, চিরয়িঙ্কিলু‌ এবং বারকল। প্রতিটি তালুক একজন করে তহশিলদারের দায়িত্বে রয়েছে। জেলাটিতে রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র, এগুলি হলো ১৯ নং আত্তিঙ্গল এবং ২০ নং তিরুবনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্র৷ পূর্বতন ৪৭ নং জাতীয় সড়ক তথা বর্তমান সংখ্যায়নে জাতীয় সড়ক ৬৬ (ভারত)|৬৬ নং জাতীয় সড়কটি উত্তরে কালীক্কবিলা থেকে দক্ষিণে পারিপল্লীর নিকট নাবাইকুলাম অবধি বিস্তৃত৷ এই সড়কটি তিরুবনন্তপুরম জেলায় দীর্ঘায়িত৷ মেইন সেণ্ট্রাল রোড এই জেলায় অবধি দীর্ঘায়িত, যা উত্তর দিকে কেসবদাসপুরম, বেম্বায়ম, বেঞ্জারমূড়ু, কিলিমানূর এবং নীলমেল অঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রসারিত৷ কেরালা জনসেবা কার্য দপ্তর এই জেলার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করেন৷ এছাড়া স্থানীয় সংগঠনগুলি জেলার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন৷ জেলাটিতে রয়েছে ১১৬ টি উড়ালপুল৷ তিরুবনন্তপুরম জেলাতে রেল পরিষেবা দান করে দক্ষিণ রেলওয়ে৷ তিরুবনন্তপুরম স্টেশন ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সাথে ব্রজগেজ রেলপথের দ্বারা যুক্ত৷ জেলায় রয়েছে রেলপথ৷ তিরুলনন্তপুরম জেলাতে বর্তমানে রয়েছে মোট ২০ টি রেলস্টেশন, যার মধ্যে তিরুবনন্তপুরম সেণ্ট্রাল রেল স্টেশন অন্যতম৷ তিরুবনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে অন্তর্দেশীয় এবং একাধিক আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। তিরুবনন্তপুরম থেকে সরাসরি কুয়েত সিটি, দুবাই, দামাম, সিঙ্গাপুর, মালে, কলম্বো, শারজাহ, মাস্কাট, মানামা, দোহা, জেদ্দা, এবং আবুধাবির মতো আন্তর্জাতিক শহর গুলোর সাথে আকাশপথে যোগাযোগ রয়েছে। তিরুবনন্তপুরমের সঙ্গে আকাশপথে সরাসরি যুক্ত অন্তর্দেশীয় শহর গুলি হল কলকাতা, চেন্নাই, দিল্লি, মুম্বাই, হায়দ্রাবাদ এবং বেঙ্গালুরু। তিরুবনন্তপুরম জেলায় রয়েছে দুটি লোকসভা কেন্দ্র, যথা: আত্তিঙ্গল এবং তিরুবনন্তপুরম লোকসভা কেন্দ্র তিরুবনন্তপুরম জেলাতে রয়েছে চোদ্দটি বিধানসভা কেন্দ্র৷
947707
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947707
নব্য মিশরীয় সাম্রাজ্য
নব্য মিশরীয় সাম্রাজ্য ১৮৪৫ সালে জার্মান মিশরতত্ত্ববিদ ব্যারন ভন বুনসেন প্রাচীন মিশরের ইতিহাসের তিনটি "স্বর্ণযুগের" ধারণা দেন এবং এই সময়কালকে তিনটি স্বর্ণযুগের অন্যতম বলে অভিহিত করেন। এই স্বর্ণযুগের ধারণাটি অবশ্য ঊনিবংশ এবং বিংশ শতকের বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ও প্রত্নতাত্বিকের হাত ধরে পরিবর্তিত হয়েছে। নূতন সাম্রাজ্যের দ্বিতীয়ার্ধে অর্থাত ঊনবিংশ এবং বিংশতম রাজবংশ (খ্রিস্টপূর্ব ১২৯২-১০৬৯) এর আমলটি 'রামেসাইড কাল' হিসাবেও পরিচিত। উনিশতম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম রামেসিসের সম্মানার্থে এগারো জন ফারাও রামেসিস নামটি গ্রহণ করেন এবং তাদের নামেই এই সময়টিকে রামেসাইড কাল বলে চিহ্নিত করা হয়। সম্ভবত দ্বিতীয় মধ্যবর্তী সময়কালে বিদেশী শাসক হিকসোসদের শাসনকালের ফলস্বরূপ, নূতন সাম্রাজ্যের মিশর লেভান্ট এবং মিশরের মধ্যে যথাযথভাবে বাফার তৈরির প্রচেষ্টা দেখেছে এবং এই সময়েই মিশর তার সর্বোচ্চ সীমানা অর্জন করেছিল। একইভাবে, শক্তিশালী কুশীয় সাম্রাজ্যের দ্বারা দ্বিতীয় মধ্যবর্তী সময়কালে খ্রিস্টপূর্ব সপ্তদশ শতাব্দীর সফল আক্রমণগুলির প্রতিক্রিয়া হিসাবে, নূতন সাম্রাজ্যের শাসকরা নূবিয়ায় আরও দক্ষিণে মিশরের সীমানা প্রসারিত করতে এবং নিকট প্রাচ্যে বিস্তৃত অঞ্চল দখল করতে বাধ্য বোধ করেছিলেন। উত্তরে, মিশরীয় সেনাবাহিনী হিট্টাইট সেনাবাহিনীর সাথে আধুনিক-সিরিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই করেছিল। অষ্টাদশ রাজত্বের মিশরের কিছু বিখ্যাত রাজা ছিলেন প্রথম আহমোস , রাণী হাতশেপসুত, তৃতীয় থুতমোজ, তৃতীয় আমেনহোটেপ, আখেনাতেন এবং তুতানখামেন। হাটশেপসুট পুন্ট দেশে বাণিজ্যিক অভিযান প্রেরণ সহ মিশরের বাহ্যিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে মনোনিবেশ করেছিলেন এবং রাজ্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন। প্রথম আহমোসকে আঠারোতম রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে দেখা হয়। তিনি তার পিতা সেকেনেনারে তাও এবং কামোসের সহায়তায় হিকসসদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিলেন এবং তিনি সমগ্র মিশরকে আরও একবার একীভূত করেন। শুধু তাই নয়, এরপরে আহমোস মিশরে ভবিষ্যতের কোনও আক্রমণ রোধ করতে হিকসসদের আবাসভূমি লেভ্যান্টে সক্রিয়ভাবে দৌত্য ও প্রচারণা চালিয়ে গিয়েছিলেন। আহমোসের পরে, প্রথম আমেনহোটেপ সিংহাসনে বসেন, যিনি নুবিয়ায় অভিযান চালিয়েছিলেন এবং মিশরের আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। তার পরে প্রথম থুতমোজ মিশর শাসন করেন। প্রথম থুত্মোজ লেভ্যান্টে অভিযান চালিয়ে ইউফ্রেটিস সীমানা পর্যন্ত পৌঁছেছিলাম। ত্নিই প্রথম ফ্যারাও, যিনি নদী পারাপার করেও অভিযান চালান। এই অভিযানের সময় সিরিয়ার রাজারা থুতমোজের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। তবে, তিনি ফিরে আসার পরে, তারা শ্রদ্ধা নিবেদন বন্ধ করে দিয়েছিল এবং ভবিষ্যতের আক্রমণগুলির বিরুদ্ধে শক্তিশালীকরণ শুরু করে দিয়েছিল। আহমোসের পরে আমেনহোটেপ প্রথম, যিনি নুবিয়ায় প্রচার চালিয়েছিলেন এবং তার পরে থুতমোজ ছিলেন। থুতমোজ আমি লেভান্টে প্রচারণা চালিয়ে ইউফ্রেটিস পর্যন্ত পৌঁছেছি। এভাবে নদী পারাপারের প্রথম ফারাও হয়ে উঠেছে। এই অভিযানের সময় সিরিয়ার রাজকুমাররা থুতমোসের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। তবে, তিনি ফিরে আসার পরে, তারা শ্রদ্ধা নিবেদন বন্ধ করে দিয়েছিল এবং ভবিষ্যতের আক্রমণগুলির বিরুদ্ধে শক্তিশালীকরণ শুরু করে। হাতশেপসুত ছিলেন এই বংশের অন্যতম শক্তিশালী ফ্যারাও। তিনি প্রথম থুতমোজের মেয়ে এবং দ্বিতীয় থুতমোজের মহারাণী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি তাঁর সতীন পুত্র তৃতীয় থুতমোজের সাথে যৌথভাবে রাজত্ব করেছিলেন। তৃতীয় থুতমোজ যখন যৌথভাবে সিংহাসনের অধিকারী হন, তার বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। যাই হোক রাণী হাতশেপসুত শেষ পর্যন্ত ফ্যারাও রূপেই তাঁর নিজের অধিকারে মিশর শাসন করেছিলেন। হাতশেপসুত লাক্সারের কর্ণক মন্দির এবং পুরো মিশরে ব্যাপকভাবে মন্দির নির্মাণ করেন এবং তিনি দ্বিতীয় মধ্যবর্তী সময়কালে মিশরের হিকসসদের দখলের সময় ব্যাহত হওয়া বাণিজ্য চুক্তিগুলি পুনরায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এর ফলে অষ্টাদশ রাজবংশের সম্পদ তৈরি হয়েছিল। তিনি পুন্ট রাজ্যে অভিযানের জন্যে প্রস্তুতি এবং তহবিলের তদারকি করেছিলেন। তার মৃত্যুর পরে, তৃতীয় থুতমোজ শাসনভার গ্রহণ করেছিলেন। তৃতীয় থুতমোজ ( যাকে"মিশরের নেপোলিয়ন" বলে অভিহিত করা হয়) মিশরের সেনাবাহিনীকে প্রসারিত করেছিলেন এবং তার পূর্বসূরীদের দ্বারা তৈরি সাম্রাজ্যকে সুসংহত করতে দুর্দান্ত ভূমিকা নিয়েছিলেন। এর ফলশ্রুতিতে তৃতীয় আমেনহোটেপের রাজত্বকালে মিশরের শক্তি ও সম্পদ শীর্ষে উঠে আসে। তৃতীয় থুতমোজের আমলেই ফ্যারাও শব্দটি (১৪৭৯-১৪২৫ খ্রিস্টপূর্ব) রাজার সমার্থক হয়ে ওঠে; তার আগে মূলত রাজার বাসস্থান বা রাজবাড়ী বোঝাতে শব্দটি ব্যবহৃত হত। ঐতিহাসিকরা ব্যাপকভাবে তৃতীয় থুতমোজকে একজন বিরল সামরিক প্রতিভা হিসাবে বিবেচনা করেন কারণ তিনি ২০ বছরে কমপক্ষে ১৬টি অভিযান চালিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় সম্প্রসারণবাদী শাসক, যাকে কখনও কখনও মিশরের সর্বশ্রেষ্ঠ বিজয়ী বা "মিশরের নেপোলিয়ন" বলা হয়। তিনি তাঁর শাসনামলে ৩৫০ টি শহর দখল করেছিলেন বলে জানা যায় এবং ষোলোটি পরিচিত সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তিনি ইউফ্রেটিস থেকে নুবিয়া পর্যন্ত নিকট প্রাচ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল জয় করেছিলেন। প্রথম থুতমোসের পরে তিনিই ছিলেন দ্বিতীয় ফ্যারাও যিনি মিতান্নির বিরুদ্ধে অভিযানের সময় ইউফ্রেটিস পার হয়েঅভিযান চালান। তিনি তখনো অপরাজেয় শহর আলেপ্পো এবং কার্কেমিশের অঞ্চল দিয়ে উত্তর দিকে যান এবং দ্রুত তাঁর নৌকায় নদী পেরিয়ে মিতান্নীয় রাজাকে অবাক করে দিয়ে আক্রমণ করেন। এই রাজবংশের সমস্ত রাজাদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী ছিলেন তৃতীয় আমেনহোটেপ, যিনি কর্ণাকের লাক্সার মন্দির, মন্থুর প্রান্ত এবং তার বিশাল মুর্তি মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। তৃতীয় আমেনহোটেপ মিশরের বৃহত্তম নির্মিত মালকাতা প্রাসাদও নির্মাণ করেছিলেন। আঠারোতম রাজবংশের অন্যতম বিখ্যাত ফ্যারাও ছিলেন চতুর্থ আমেনহোটেপ , যিনি মিশরীয় দেবতা রা এর প্রতিনিধিত্বকারী আতেনের সম্মানে নিজের নাম পরিবর্তন করে আখেনাতেন রাখেন। আতেনকে তাঁর ইষ্টদেবতা হিসাবে উপাসনা করার বিষয়টি প্রায়শই ইতিহাসের একেশ্বরবাদের প্রথম উদাহরণ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়। আখেনাতেনের স্ত্রী নেফারতিতি মিশরীয় ধর্মে তাঁর নতুন দিকনির্দেশনে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন। নেফারতিতি আতেনের কাছে আচার অনুষ্ঠান করতে যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন। আখেনাতেনের ধর্মীয় উৎসাহের কারণ হিসাবে তিনি এবং তাঁর স্ত্রী পরবর্তীকালে মিশরীয় ইতিহাসে উপযুক্ত গুরুত্ব পাননি বলে মনে করা হয়। তাঁর শাসনামলে, খ্রিস্টপূর্ব চৌদ্দ শতকে মিশরীয় শিল্প একটি নতুন নতুন স্টাইলে সমৃদ্ধ হয়েছিল। ( আমারনা আমল দেখুন) আঠারোতম রাজবংশের শেষের দিকে, মিশরের অবস্থান আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। আখেনাতেনের আন্তর্জাতিক বিষয়গুলিতে সুস্পষ্ট আগ্রহের অভাবের কারণে হিট্টাইটরা ধীরে ধীরে তাদের প্রভাব ফেনিসিয়া এবং কনানে অব্ধি বিস্তার করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি প্রধান শক্তি হয়ে উঠেছিল - এমন এক শক্তি যাদের কারণে প্রথম সেতি ও তাঁর পুত্র দ্বিতীয় রামিসেস উনিশতম রাজত্বকালে বারবার হিট্টিদের আক্রমণের মুখোমুখি হতে বাধ্য হয়। অষ্টাদশ Dynasty- শেষ দুই সদস্য Ay, এবং Horemheb রাজদরবারের কর্মকর্তাদের পদমর্যাদার থেকে শাসকদের -became যদিও Ay, এছাড়াও আখেনাতেন এর মামা এবং একজন 'ফেলো বংশধর হয়েছে হতে পারে Yuya এবং Tjuyu । আঠারোতম রাজবংশের শেষ দুই সদস্য — আই এবং হোরেমেহব - রাজদরবারের আধিকারিকদের পদ থেকে শাসক হয়েছিলেন। আই আখনাতেনের মামাতো ভাই ছিলেন এবং ইউয়া ও তজুয়ের বংশধরও ছিলেন বলে মনে করা হয়। ক্ষমতা অর্জনের জন্য আয়ে তুতানখামেনের ছোট বোন, আঁখেসেনামুনকে বিয়ে করেছিলেন; যদিও তিনি পরে আর বাঁচেনি। এরপরে আয় নেফারতিতির ধাত্রী তেয় কে বিবাহ করেন। আইয়ের শাসনকাল অল্পদিনের ছিল, তার পরে সিংহাসনে বসেন হোরেমহেব। তুতানখামেনের রাজত্বকালে হোরেমহেব ছিলেন একজন সেনাধিপতি। যদি ফ্যারাও নিঃসন্তান রূপে মারা যান, তাহলে সিংহাসনে বসার জন্যে হোরেমহেবকে প্রস্তুত করা হয়েছিল । হোরেমহেব সম্ভবত একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আয়ের থেকে ক্ষমতা দখল করেন। উনিশতম রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন উজির প্রথম রামেসিস, যাকে আঠারোতম রাজবংশের শেষ শাসক, ফ্যারাও হোরেমেহেব তাঁর উত্তরসূরি হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। হোরেহমেবের সংক্ষিপ্ত রাজত্বকালে পরবর্তীকালের ঊনবিংশ রাজবংশের শক্তিশালী ফ্যারাওদের রাজত্বের মধ্যে একটি রূপান্তরকাল চিহ্নিত করেছিল। তাঁর পুত্র ও পৌত্র প্রথম সেটি এবং দ্বিতীয় রামেসিস মিশরকে শক্তির নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রথম সেটি তাঁর রাজত্বের প্রথম দশকে পশ্চিম এশিয়া, লিবিয়া এবং নুবিয়ায় একাধিক যুদ্ধজয় করেছিলেন। সেটির সামরিক ক্রিয়াকলাপ সম্বন্ধে জানার প্রধান উৎস হ'ল কার্ণাকের হাইপোস্টাইল হলের বাহিরের প্রাচীরের তার যুদ্ধের দৃশ্য এবং ক্যানান এবং নুবিয়ার যুদ্ধের উল্লেখ পাওয়া বেশ কয়েকটি রাজকীয় শিলালিপি। প্রথম সেটির বৈদেশিক নীতির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিটাইট সাম্রাজ্য থেকে সিরিয়ার শহর কাদেশ এবং পার্শ্ববর্তী আমুরুর শহর দখল করা। আখেনতানের সময় থেকে কাদেশকে মিশর কখনও ধরে রাখতে পারেনি। তুতানখামুন এবং হোরেমহেব হিট্টীয়দের কাছ থেকে শহরটি পুনর্দখল করতে ব্যর্থ হয়েছিল। তবে, সেটির মৃত্যুর পরে হিট্টিরা এটি আবার দখল করতে সক্ষম হয়েছিল। দ্বিতীয় রামেসিস ("দ্য গ্রেট রামেসিস") লেভ্যান্টে যে অঞ্চলগুলি অষ্টাদশ রাজবংশের অধীনে ছিল তা পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর পুনরুদ্ধারের অভিযানগুলি শেষ হয় কাদেশের যুদ্ধে, যেখানে তিনি হিট্টির রাজা দ্বিতীয় মুওয়াতাল্লির বিরুদ্ধে মিশরীয় সেনাবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইতিহাসের প্রথম রেকর্ডকৃত সামরিক আক্রমণে রামেসিস হিট্টিদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন, যদিও মিশরের রিজার্ভ সেনাবাহিনী নেআরিনের আগমনের মাধ্যমে হিট্টিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জোয়ার ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন । উভয় পক্ষই নিজ নিজ দেশে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করেছিল এবং শেষ পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তির ফলে যুদ্ধের ফলাফল নির্বিঘ্ন হয়েছিল। মিশর অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রামেসিসের শাসনামলে সম্পদ এবং স্থিতিশীলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। তাঁর তৎকালীন উত্তরসূরিরা সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন, যদিও ক্রমবর্ধমান অন্তর্বর্তী সমস্যা এবং এক পর্যায়ে আমেনমেসের মত ফ্যারাওয়ের সিংহাসনে আরোহণের ফলে মিশরের পক্ষে এই অঞ্চলগুলির নিয়ন্ত্রণ কার্যকরভাবে বজায় রাখা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়েছিল। দ্বিতীয় রামেসিস পুরো মিশর এবং নুবিয়া জুড়ে ব্যাপকভাবে নির্মাণকার্য চালিয়েছিলেন এবং এমনকি যে স্থাপনাগুলি তিনি নির্মাণ করেননি সেখানেও তার কাহিনী বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত হয়েছে। পাথর, মূর্তি, প্রাসাদ এবং অসংখ্য মন্দিরের গাত্রে তাঁর সম্মানের বিবরণ খোদিত রয়েছে — বিশেষত পশ্চিম থিবসের রামসিয়াম এবং আবু সিম্বেলের শিলা মন্দির। তিনি নীলনদের বদ্বীপ থেকে নুবিয়া পর্যন্ত অংশটি এমনভাবে মন্দির দিয়ে ভরিয়ে রেখেছিলেন যা তাঁর আগে কোনও ফ্যারাও করেননি। তিনি তাঁর রাজত্বকালে বদ্বীপ অঞ্চলে একটি নতুন রাজধানী শহরও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, এটি পাই-রেমেসিস নামে পরিচিত। এটি পূর্বে প্রথম সেটির রাজত্বকালে গ্রীষ্মকালীন আবাস রূপে ব্যবহৃত হত। দ্বিতীয় রামেসিস আবু সিম্বেলের প্রত্নতাত্ত্বিক কমপ্লেক্স, এবং র‌্যামেসিয়াম নামে পরিচিত মর্ত্য মন্দির সহ অনেকগুলি বৃহত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেছিলেন। তাঁর উত্তরাধিকার সময়ের বিপর্যয় থেকে বেঁচে থাকবে তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছিলেন। বিদেশিদের উপর তাঁর বিজয়ের প্রচারের মাধ্যম হিসাবে তিনি ভাস্কর্য ও শিল্পকে ব্যবহার করেছিলেন, যা অসংখ্য মন্দিরের নির্মাণে চিত্রিত হয়েছে। দ্বিতীয় রামেসিস অন্যন্য ফ্যারাওদের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে নিজের মূর্তিও নির্মাণ করেছিলেন। দ্বিতীয় রামেসিস তাঁর বিভিন্ন স্ত্রী এবং উপপত্নীর দ্বারা বিপুল সংখ্যক সন্তানের পিতা হয়েছিলেন; রাজাদের উপত্যকায় তিনি তাঁর পুত্রদের জন্য (যার মধ্যে অনেকেই রামেসিসের জীবনকালেই মারা যান) সমাধি তৈরি করেছিলেন তা মিশরের বৃহত্তম সমাধিস্থল বলে মনে করা হয়।। যদিও দ্বিতীয় রামেসেসের তাৎক্ষণিক উত্তরসূরিরা সামরিক অভিযান চালিয়ে যান কিন্তু ক্রমবর্ধমান অন্তর্বর্তী ঝামেলা চলতেই থাকে। তার পরে সিংহাসনে বসেন, তার পুত্র মের্নেপতাহ এবং তারপরে দ্বিতীয় মেরেনপ্তার পুত্র দ্বিতীয় সেটি। দ্বিতীয় সেটির সিংহাসনের অধিকারটি নিয়ে তাঁর সৎ ভাই আমেন্মেসির সাথে মনোমালিন্য হয়েছিল, যিনি সম্ভবত থিবস থেকে সাময়িকভাবে শাসন করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পরে, দ্বিতীয় সেটির পুত্র সিপতাহ, যিনি সম্ভবত তাঁর জীবনকালে পলিওমিলাইটিসে আক্রান্ত ছিলেন, সিংহাসনে আরোহণ করেন। সিপতাহ খুব তাড়াতাড়ি মারা গেলেন এবং সিংহাসন গ্রহণ করেছিলেন টোভ্রেসেট, যিনি তাঁর পিতার পাটরাণী ছিলেন; সম্ভবত তাঁর চাচা আমেন্মেসির বোন ছিলেন টভ্রেসেট। টোভ্রেসেটের সংক্ষিপ্ত রাজত্বের শেষে অরাজকতার একটি সময় দেখা গেল এবং শেত্তনাখতে সিংহাসনে আরোহণ করে বিংশতম রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে। নতুন রাজত্ব থেকে শেষ "মহান" ফ্যারাওরূপে ব্যাপকভাবে তৃতীয় রামেসিসকে বিবেচনা করা হয়, তিনি দ্বিতীয় রামেসিসের বেশ কয়েক দশক পরে রাজত্ব করেছিলেন। তাঁর রাজত্বের অষ্টম বছরে, সমুদ্রের মানুষরা মিশর আক্রমণ করেছিল স্থল ও সমুদ্র দিয়ে। তৃতীয় রামেসিস তাদের দুটি দুর্দান্ত স্থল ও সমুদ্র যুদ্ধে পরাজিত করেছিলেন। তিনি তাদেরকে মিশরের প্রজা মানুষ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং মনে করা হয় যে তিনি তাদেরকে দক্ষিণ কানান শহরে বসবাস করতে বাধ্য করেছিলেন। কনানে তাদের উপস্থিতি মিশরীয় সাম্রাজ্যের পতনের পরে এই অঞ্চলে ফিলিস্তিয়ার মতো নতুন রাজ্য গঠনে অবদান রেখেছিল। পরে তিনি যথাক্রমে তাঁর ষষ্ঠ বছরে এবং একাদশ বছরে মিশরের পশ্চিম ডেল্টায় দুটি বড় অভিযানে লিবিয়ার উপজাতিদের আক্রমণ করতে বাধ্য হন। এই যুদ্ধের বিশাল ব্যয়ভার আস্তে আস্তে মিশরের ভান্ডারকে ধসিয়ে দিয়েছিল এবং এশিয়ায় মিশরীয় সাম্রাজ্যের ক্রমহ্রাসমানতার পিছনে অবদান রেখেছিল। তৃতীয় রামেসেসের রাজত্বের উনিশ বছরের সময় রেকর্ডকৃত ইতিহাসে প্রথম জানা শ্রমিক ধর্মঘট হয়েছিল। সেই সময়, মিশরের পছন্দের এবং অভিজাত রাজকীয় সমাধি নির্মাতারা এবং কারিগরদের জন্য দির এল মদিনা গ্রামের খাবারের খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায়নি। বায়ু দূষণ বায়ুমণ্ডলে অনুপ্রবেশকারী সূর্যের আলোকে সীমিত করে দেয়, কৃষিক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে এবং প্রায় দুই দশক ধরে বিশ্বব্যাপী গাছের বৃদ্ধিকে ব্যহত করে খ্রিস্টপূর্ব ১১৪০ অব্দ পর্যন্ত। এর প্রস্তাবিত কারণ হ'ল আইসল্যান্ডের হেকলা আগ্নেয়গিরির হেকলা 3 বিস্ফোরণ, তবে এর ডেটিংটি বিতর্কিত রয়ে গেছে। তৃতীয় রামেসিসের মৃত্যুর পরে তাঁর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বছরের পর বছর ঝগড়া-বিবাদ ঘটে। তাঁর তিন পুত্র পরপর সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন - চতুর্থ রামেসিস , ষষ্ঠ রামেসিস এবং অষ্টম রামেসিস । কিন্তু সেই সময়ে মিশর ক্রমাগত খরা, নীল নদের বন্যার অভাব, দুর্ভিক্ষ, নাগরিক অস্থিরতা এবং কর্মকর্তাদের দুর্নীতির ফলে ক্রমশঃ দুর্বল হয়ে পড়েছিল। রাজবংশের শেষ ফারাও, একাদশ রামেসিসের শক্তি এতটাই কম হয়ে পড়েছিল যে দক্ষিণে আম্বানের উচ্চ যাজকরা থিবসে উচ্চ মিশরের ডি-ফ্যাক্টো শাসক হয়ে উঠেছিলেন এবং রামেসেস একাদশের মৃত্যুর আগেই স্মেনডেস নিম্ন মিশরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তমিসে একুশতম রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্মেনডেস।
947715
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947715
ইস্পাত চুক্তি
ইস্পাত চুক্তি   ইস্পাত চুক্তি ( , ) ছিল ইতালি এবং জার্মানির মধ্যে একটি সামরিক এবং রাজনৈতিক জোট গঠনের চুক্তি। চুক্তিটি জার্মানি এবং ইতালির মধ্যে বন্ধুত্ব এবং জোটের চুক্তি হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত ছিল। প্রাথমিকভাবে এই চুক্তিটি জাপান, ইতালি এবং জার্মানির মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সামরিক জোট হিসাবে খসড়া করা হয়েছিল। জাপান এই চুক্তির কেন্দ্রবিন্দুটি সোভিয়েত ইউনিয়নের দিকে লক্ষ্য করাতে চাইলেও ইতালি ও জার্মানি চেয়েছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এবং ফ্রান্সকে লক্ষ্য করে চুক্তি করতে। এই মতবিরোধের কারণে জাপানকে বাদ দিয়েই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯২৯ সালের ২২ শে মে ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী গালিয়াজো সিয়ানো এবং জার্মানির জোয়াচিম ফন রিবেন্ট্রোপ স্বাক্ষরিত হওয়ার মাধ্যমে এটি ফ্যাসিস্ট ইতালি এবং নাৎসি জার্মানির মধ্যে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে পরিণত হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি এবং ইতালি একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল। চরমপন্থী রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে জনপ্রিয়তা এবং সমর্থন লাভের মাধমে অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি এবং বেনিটো মুসোলিনির ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় আসার পর মহামন্দায় উভয় দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯২২ সালে, মুসোলিনি ইতালির প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। তার প্রথম পদক্ষেপ তাকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছিল। তার মূল পদক্ষেপ ছিল - জনসাধারণের কর্মসংস্থানের জন্য বিশাল কর্মসূচি গ্রহণ এবং ইতালির অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধন করা। ভূমধ্যসাগরে মুসোলিনি একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী চালু করেছিলেন, যা ছিল ব্রিটিশ এবং ফরাসি ভূমধ্যসাগরীয় বহরের মিলিত শক্তির চেয়েও বড়। অন্যদিকে ১৯৩৩ সালে অ্যাডলফ হিটলার জার্মানির চ্যান্সেলর সিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি ব্যপক ভাবে গণপূর্ত এবং গোপনে অস্ত্র সমৃদ্ধকরণের কাজ শুরু করেন। ফ্যাসিবাদ এবং নাৎসিবাদের বিভিন্ন নীতি অনেকাংশে একই রকম হওয়ায় হিটলার এবং মুসোলিনি ১৯৩০-এর দশকে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রীয় এবং ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে দেখা করেছিলেন। ১৯৩১ সালে মাঞ্চুরিয়ায় জাপানি বাহিনী আক্রমণ করে। কারণ সেখানে প্রচুর শস্যক্ষেত্র এবং কাঁচা খনিজ ছিল। তবে এর ফলে মাঞ্চুরিয়ার সীমান্তে থাকা সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে জাপানের কূটনৈতিক সংঘাত উস্কে দেয়। এই সোভিয়েত হুমকি মোকাবেলায় জাপানিরা ১৯৩৬ সালে জার্মানির সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির উদ্দেশ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের যে কোনও আক্রমণ থেকে চীনকে আক্রমণ করা থেকে রক্ষা করা। ইতালি ও জার্মানির মতো পশ্চিমা বিরোধী জোটের পরিবর্তে জাপান সোভিয়েত বিরোধী জোটের দিকে মনোনিবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। জার্মানি অবশ্য আশঙ্কা করেছিল যে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিরোধী জোট পশ্চিম ইউরোপ জয় করার আগে তাদের দ্বি-সম্মুখ যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করবে। তাই এই মতবিরোধের ফলে জাপানকে ইস্পাত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলেও তখন তারা তা প্রত্যাখান করে। আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্পাত চুক্তি জার্মানি এবং ইতালিকে যুদ্ধের সময় পরস্পরকে সামরিক, অর্থনৈতিক বা অন্যকোন ভাবে সহায়তা করার জন্য এবং যুদ্ধকালীন সময়ে উৎপাদনে সহযোগিতা করতে বাধ্য করেছিল। চুক্তিটির লক্ষ্য ছিল যে কোনও দেশই অপর দেশের সম্মতি ব্যতিরেকে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে না। চুক্তিটি এই ধারণার ভিত্তিতে ছিল যে তিন বছরের মধ্যে কোনও যুদ্ধ সংঘটিত হবে না। ১৯৩৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে এবং ৩ সেপ্টেম্বর যুদ্ধ শুরু হলে, ইতালি তখনও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত না থাকায় চুক্তি দায়িত্ব পালনে অসুবিধা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, ১৯৪০ সালের জুনে ইতালি দক্ষিণ ফ্রান্সে দেরি করে আক্রমণ চালানোর আগপর্যন্ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগদান করেনি। চুক্তি স্বাক্ষরের সময় চুক্তি স্বাক্ষরের সময় ইস্পাত চুক্তির দুটি বিভাগে বিভক্ত গোপন পরিপূরক প্রোটোকলগুলো প্রকাশ্যে প্রকাশ করা হয়নি। প্রথম বিভাগে দুই দেশকে তাদের যৌথ সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা জীবিত করতে আহ্বান জানানো হয় এবং দ্বিতীয় বিভাগটি দু'দেশকে রোম-বার্লিন অক্ষের ক্ষমতা ও ভাবমূর্তি তুলে ধরার জন্য "সংবাদমাধ্যম, সংবাদ পরিষেবা এবং প্রচারণার" বিষয়ে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রথমে চুক্তিটির মূল নাম "রক্তের চুক্তি" বা "প্যাক্ট অফ ব্লাড" রাখা হলেও সম্ভবত ইতালিতে নামটি জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় [[বেনিতো মুসোলিনি|মুসোলিনি]] "প্যাক্ট অফ স্টিল" নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। এই "প্যাক্ট অফ স্টিল" বা "ইস্পাত চুক্তি" নামটিই শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হয়। অষ্টম অনুচ্ছেদ অনুসারে চুক্তিটি ১০ বছর স্থায়ী হয়েছিল। তবে এই মেয়াদ শুধু কাগজে-কলমেই ছিল। ১৯৪২ সালের নভেম্বর মাসে ফিল্ড মার্শাল [[এর্ভিন রমেল|এর্ভিন রোমেলের]] নেতৃত্বে [[উত্তর আফ্রিকা|উত্তর আফ্রিকার]] অক্ষ বাহিনী এল আলামেইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে ব্রিটিশ ও ব্রিটিশ কমনওয়েলথ বাহিনীর দ্বারা নিশ্চিত পরাজিত হয়। ১৯৪৩ সালের জুলাইয়ে [[সিসিলি|সিসিলিতে]] আক্রমণ করে পশ্চিমা মিত্ররা একটি নতুন ফ্রন্ট খোলে। এর পরে, মুসোলিনিকে গ্রান কনসিগলিওর ১৯ জন সদস্য অর্ডিন গ্র্যান্ডির পক্ষে ভোট দিয়ে পদচ্যুত করেছিলেন। ফিল্ড মার্শাল পিয়েট্রো ব্যাডোগ্লিওর অধীনে নতুন ইতালীয় সরকার সেপ্টেম্বরে [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রশক্তি|মিত্রদের]] সাথে একটি অস্ত্রশস্ত্র স্বাক্ষর করে এবং একটি যুদ্ধবিরোধী হয়ে ওঠে। এইভাবে চুক্তির সাথে ইতালির সম্পৃক্ততার কার্যকরভাবে অবসান ঘটে। যদিও মুসোলিনির অধীনে ইতালির সোশ্যাল রিপাবলিক নামে একটি পুতুল সরকার উত্তর ইতালিতে [[নাৎসি জার্মানি]] দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের মাধ্যমেই ইতালি কেবল নামেমাত্র চুক্তিটির সদস্য হিসাবে অব্যাহত ছিল। [[বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চুক্তি]] [[বিষয়শ্রেণী:জার্মানি–ইতালি সম্পর্ক]] [[বিষয়শ্রেণী:অক্ষশক্তি]]
947718
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947718
ইজেকিয়েল
ইজেকিয়েল ইজেকিয়েল ( "Yĕḥezqēʾl"; "Iezekiḕl"; "Dhū l-Kifl") হলেন হিব্রু বাইবেলের ইজেকিয়েল ভাববাদীর পুস্তকের নায়ক বা কেন্দ্রীয় চরিত্র। ইহুদিধর্ম, খ্রিষ্টধর্ম ও ইসলামে ইজেকিয়েলকে একজন ইহুদি নবী হিসেবে গণ্য করা হয়। ইহুদিধর্ম ও খ্রিষ্টধর্মে তাঁকে ইজেকিয়েল ভাববাদীর পুস্তকের খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর রচয়িতা হিসেবেও বিবেচনা হয় যে পুস্তক যিরূশালেমের পতন, ইস্রায়েলের পুনঃস্থাপন ও নূতন মন্দির বিষয়ক দর্শন সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করে।
947723
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947723
আত্ম-অস্বীকৃত যৌন অভিমুখিতা
আত্ম-অস্বীকৃত যৌন অভিমুখিতা আত্ম-অস্বীকৃত যৌন অভিমুখিতা হল একটি আত্ম-অস্বীকৃত মানসিক অসুস্থতা, যার দ্বারা বোঝায় এমন কোন যৌন অভিমুখিতা বা আকর্ষণের অধিকারী হওয়া যা ব্যক্তির আদর্শীকৃত আত্মপরিচয়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, যা দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার উদ্রেক ঘটায় এবং যা যৌন অভিমুখিতা পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা অথবা বর্তমান যৌন অভিমুখিতার সঙ্গে আরও স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করার আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করে। এটি অভ্যন্তরীণ যৌন অভিমুখিতাকে নির্দেশ করে না, বরং নিজের ভেতরে অবস্থানকারী যৌন অভিমুখিতার সঙ্গে নিজের আকাঙ্ক্ষিতযৌন অভিমুখিতার দ্বন্দ্বের প্রতি নির্দেশ করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) আত্ম-অস্বীকৃত যৌন অভিমুখিতাকে in the ICD-10 তালিকায় যৌন বিকাশ ও অভিমুখিতার বৈকল্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
947739
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947739
পীর (সুফিবাদ)
পীর (সুফিবাদ) পীর বা পির () সূফি গুরু বা আধ্যাত্মিক শিক্ষকদের একটি উপাধি। তাদের "হজরত" ( থেকে) এবং "শাইখ" বা শাইখ নামেও ডাকা হয়, যা মূলত এর আরবি প্রতিশব্দ। একে প্রায়সময় ইংরেজীতে সেইন্ট বা সাধু এবং খ্রিস্টান পরিভাষা "এল্ডার" হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়। সুফিবাদে কোন পীরের ভূমিকা হল তার শিষ্যদের সুফি পন্থায় নির্দেশনা দেওয়া। যা অনেকসময় সহবত নামক সাধারণ পাঠদান ও ব্যক্তিগত দিকনির্দেশনার মাধ্যমে করা হয়৷ পীর বলতে অপর যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয় সেগুলো হল "মুর্শিদ" () ও "সরকার" ()। আলেভি মতবাদে, পীরদেরকে সরাসরি আলীর উত্তরসূরী বলা হয়।
947747
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947747
আইনুল কামাল
আইনুল কামাল আইনুল কামাল বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ যিনি চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। আইনুল কামাল চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। আইনুল কামাল সীতাকুন্ড উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
947749
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947749
এ কে এম শামসুল হুদা
এ কে এম শামসুল হুদা এ কে এম শামসুল হুদা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ যিনি চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এ কে এম শামসুল হুদা চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। এ কে এম শামসুল হুদা ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন চট্টগ্রাম-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
947755
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947755
এ কে এম রফিক উল্লাহ চৌধুরী
এ কে এম রফিক উল্লাহ চৌধুরী এ কে এম রফিক উল্লাহ চৌধুরী (অক্টোবর ১৯২৩–২২ সেপ্টেম্বর ২০১১) বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাজনীতিবিদ ও ভাষা সৈনিক যিনি চট্টগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। এ কে এম রফিক উল্লাহ চৌধুরী অক্টোবর ১৯২৩ সালে চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হালিম উল্লাহ চৌধুরী ও মাতা নাজমুন নেসা চৌধুরী। তার মাতামহ কালাপানিয়ার প্রখ্যাত জমিদার খুরশিদ আলম চৌধুরী। তার পিতার আদিনিবাস ফেনী জেলার শর্শাদি। মোক্তব ভিত্তিক ধর্মীয় শিক্ষা অর্জনের পর ১৯৩২ সালে কাটগড় গোলাম নবী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেনিতে ভর্তি হন। ১৯৪১ সালে কাটগড় গোলাম নবী হাই স্কুল হয়ে চট্টগ্রামের মুসলিম হাই স্কুল থেকে মেট্টিকুলেশন পাস করেন। তিনি কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট (আইকম) পাস করে কলকাতা সিটি কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে ব্যাচেলর ডিগ্রী (বি কম) পাস করেন। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৮ সালে তিনি মাষ্টার্স পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করার কথা থাকলেও পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ায় তিনি পুর্বপাকিস্তানে চলে আসেন। ১৬ অক্টোবর ১৯৫৯ সালে তিনি বেগম জোলেখা খাতুন চামেলী চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এ কে এম রফিক উল্লাহ চৌধুরী ১৯৩৭ সালে সরকারি মুসলিম হাই স্কুলে পড়াকালীন সময়ে মুসলিম ছাত্রলীগে যোগদান করেন। ১৯৪০ সালে পাকিস্তান আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি মুসলিম লীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৬ সালে 'ক্যাপ্টেন রশিদ আলী দিবসে' কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন। ১৯৪৮ সালে প্রিন্সিপাল আবুল কাসেমের নেতৃত্বাধীন 'তমুদ্দুন মজলিসের' সাথে জড়িত হন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভাবে আন্দোলন অংশগ্রহণ করেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত খেলাফতে রব্বানী পার্টির চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসোবে দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের তত্বাবধানে স্থাপিত জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ তারই অবদান। ১৯৭৬ সালে গঠিত ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগের তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি। তিনি ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের পরাজিত করে তৎকালীন চট্টগ্রাম-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে তাকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাধীনতা স্মারক সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়। ১৯৮৫ সালে দেশের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি সন্দ্বীপের উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৯৭ সালে জাতীয় ভাবে ইসলামী ঐক্যজোট গঠনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ২০০৮ সালে তার নেতৃত্বে গণফ্রন্ট নামে একটি রাজনৈতিক দল নিবন্ধিত হয়, যার নিবন্ধন নম্বর-২৫। ১৯৬২, ১৯৬৫ ও ১৯৭০ সালে অনু্ষ্ঠিত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিয়ে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। এ কে এম রফিক উল্লাহ চৌধুরী ২২ সেপ্টেম্বর ২০১১ চট্রগ্রামের সার্জিস্কোপ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
947766
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947766
ভ্লাদিমির ভারুখিন
ভ্লাদিমির ভারুখিন ভ্লাদিমির আলেক্সেভিচ ভারুখিন (১৪ ডিসেম্বর ১৯২১- ৮ জুলাই ২০০৭) সোভিয়েত এবং ইউক্রেনীয় বিজ্ঞানী অধ্যাপক, কারিগরী বিজ্ঞান ডাক্তার, ইউক্রেনী সায়েন্টিস্ট মেজর জেনারেল , তত্ত্বের প্রতিষ্ঠাতা মাল্টিচ্যানাল বিশ্লেষণ, ডিজিটাল অ্যান্টেনার অ্যারে (ডিএএএস) এর উপর বৈজ্ঞানিক বিদ্যালয়ের স্রষ্টা।
947771
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947771
পিঞ্জল (রং)
পিঞ্জল (রং) পিঞ্জল একটি রঙ বিশেষ যা অনেকটা কালচে লাল বা বেগুনি-বাদামী বাদামী বেগুনি বা "কালচে লোহিত বাদামী" রঙের মতো। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো পিঞ্জল রঙ। রঙটির উৎস হলো ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত "আইএসসিসি-এনবিএস ডিকশিনারি অভ কালার নেমস" নামক একটি গ্রন্থ। হিউকোড ৩৫৩ হওয়ায় রঙটি কিছুটা বেগুনি-লাল রঙের মতো দেখায়। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটিও একটি পিঞ্জল রঙ। রঙটির উৎস হলো মেয়ার্জ ও পল কর্তৃক ১৯৩০ সালে প্রকাশিত বই "আ ডিকশনারি অভ কালার" (A Dictionary of Color)। বইটির ৩৭তম পৃষ্ঠায় রঙটির উল্লেখ রয়েছে। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো প্রকৃত পিঞ্জল রঙ যা ফ্রান্সে ব্যাপক জনপ্রিয়। অন্যান্য পিঞ্জল রঙগুলো এটির বিভিন্ন প্রকরণমাত্র। রঙটির উৎস হলো Pourpre.com ওয়েবসাইটের রঙের তালিকা। ডানপাশে বা উপরে প্রদর্শিত রঙটি হলো প্যান্টোন রঙের তালিকাভুক্ত পিঞ্জল রঙ। রঙটির উৎস হলো "প্যান্টোন টেক্সটাইল পেপার এক্সটেন্ডেড (টিপিএক্স)" রঙের তালিকা। তালিকায় রঙটি #19-1518 TPX—Puce নামে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
947777
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947777
চিন্ময় লাহিড়ী
চিন্ময় লাহিড়ী আচার্য চিন্ময় লাহিড়ী () (২০ মার্চ, ১৯২০ — ১৭ আগস্ট, ১৯৮৪) একজন স্বনামধন্য বাঙালি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বংশপরম্পরায় সঙ্গীতশিল্পী না হয়ে, রেওয়াজের শ্রমে আর তালিমের গুণে যেমন একাধারে বাংলা তথা ভারতের খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী হয়েছিলেন, তেমনি বিভিন্ন রাগে ঠুমরি, দাদরা, হোলি, ত্রিবট, চতুরঙ্গ, গীত, ভজন, গজল সহ বাংলা রাগপ্রধান সঙ্গীতের স্রষ্টা ছিলেন। চিন্ময় লাহিড়ীর জন্ম ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ২০ মার্চ ব্রিটিশ ভারতের অধুনাবাংলাদেশের পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্ধের জমিদার পরিবারে। পিতা জীবচন্দ্র লাহিড়ী পেশায় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার এবং কর্মসূত্রে থাকতেন লক্ষৌতে। মাতা সরোজবাসিনী দেবী। পড়াশোনা লক্ষৌয়ের বয়েজ অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান স্কুলে। শৈশবে চিন্ময়ের আগ্রহ ছিল শরীরচর্চায় ও সঙ্গীত সাধনায়। মায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি তাঁর তেরো বৎসর বয়সে সঙ্গীতচর্চাই শুরু করেন। ভাইয়ের মনোবাসনা পূরণ করতে তাঁর দাদা নিয়ে গেলেন বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ ও সেতার শিল্পী ধ্রুবতারা জোশীর কাছে। তিনি আবার নিয়ে যান ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত মরিস কলেজ অব মিউজিক এর (বর্তমানে ভাতখণ্ডে মিউজিক ইনস্টিটিউট ডিমড ইউনিভার্সিটি) তৎকালীন অধ্যক্ষ পণ্ডিত শ্রীকৃষ্ণ রতন ঝংকারজির কাছে। তিনি জেদি ও আত্মবিশ্বাসী চিন্ময়ের আগ্রহ দেখে শিষ্য হিসাবে গ্রহণ করেন এবং চিন্ময়ও নিজের শ্রমে ও যথাযথ তালিমের গুণে অচিরেই পারদর্শী হয়ে ওঠেন। বিখ্যাত ওস্তাদের কাছে সংগীতের তালিম নিলেও নানা পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্য দিয়ে তিনি নিজস্ব ঘরণার অজস্র রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে গিয়েছেন। তাঁর গানে শাস্ত্রীয় আঙ্গিকের সঙ্গে মধুর রস ও আত্মনিবেদনের সংমিশ্রণ ঘটে ছিল। তার রাগ-রাগিনীর মধ্যে কয়েকটি হল শ্যামকোষ, যোগমায়া, প্রভাতী টোড়ি, সন্ত ভৈঁরো, কুসুম কল্যাণ ইত্যাদি। তার অসামান্য সৃষ্টি "নন্দকোষ" ভারতের সংগীতবিদগ্ধ সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এক সঙ্গীত সম্মেলনে "নন্দকোষ" পরিবেশনের সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সাহেব ও উস্তাদ হাফিজ আলি খাঁ অভিভূত হয়ে পড়েন এবং দুজনেই অনুষ্ঠান শেষে তাঁর কাছ থেকে রাগের বন্দিশ সংগ্রহ করেন। ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিও বর্তমানে আকাশবাণী কেন্দ্রের সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। তারপর ঢাকা বেতার কেন্দ্রে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দে এইচ.এম.ভি. থেকে 'না মানে মানা' ও 'দুয়ারে এলো কে' - এই দুটি খেয়াল গানের রেকর্ড প্রকাশিত হয়। চিন্ময় লাহিড়ী "মগন" ছদ্মনামে বিভিন্ন রাগের বন্দিশ রচনা করেছেন। লক্ষৌতে থাকার ফলে ওঁর হিন্দি ও উর্দু ভাষার উপর বিশেষ দখল ছিল। এছাড়া তিনি বিভিন্ন রাগে ঠুমরি, দাদরা, হোলি, ত্রিবট, চতুরঙ্গ, গীত, ভজন, গজল, বাংলা রাগপ্রধান সৃষ্টি করে গিয়েছেন এবং স্বরলিপির আকারে উপস্থাপন করে গেছেন। তার তৈরি অসংখ্য রাগরাগিণী বন্দিশ, তান ও বিস্তার, মগনগীত ও তানমঞ্জরী- এই সঙ্গীত গ্রন্থের চারটি খণ্ডে নিবন্ধ আছে। চিন্ময় লাহিড়ী চলচ্চিত্রে প্রথম প্লেব্যাকের কাজ করেন 'মানদণ্ড' ছায়াছবিতে। কয়েকটি ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা ও কণ্ঠদান করেছেন। ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে "শাপমোচন" ছবিতে প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পটদীপ' রাগে দ্বৈতকণ্ঠে গাইলেন "ত্রিবেণী তীর্থপথে কে গাহিল গান" বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। দীর্ঘদিন তিনি আকাশবাণীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। সংগীত শিক্ষক হিসাবে তাঁর যথেষ্ট খ্যাতি ছিল। যার মধ্যে একটু প্রতিভা বা সম্ভাবনা দেখেছেন, তাকে উৎসাহিত করেছেন এবং প্রাণ ভরে শিখিয়েছেন। ফলস্বরূপ বাংলার সঙ্গীত জগত পেয়েছে মীরা বন্দ্যোপাধ্যায়,গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়,বেগম পারভিন সুলতানা, শিপ্রা বসু,অখিলবন্ধু ঘোষ প্রমুখ স্বনামধন্য শিল্পীদের। তার স্মৃতি রক্ষার্থে তার পুত্র শ্যামল লাহিড়ী ও পুত্রবধূ মন্দিরা লাহিড়ী কলকাতায় তার ছদ্মনাম 'মগন' নিয়ে ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে গঠন করেছেন এক সাংস্কৃতিক সংস্থা 'মগন মন্দির '। আচার্য চিন্ময় লাহিড়ী ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১৭ আগস্ট কলকাতায় প্রয়াত হন। লক্ষৌয়ের মরিস কলেজ অব মিউজিক তাঁকে "সঙ্গীতবিশারদ" উপাধিতে ভূষিত করে। ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে পুর কর্তৃপক্ষ তাঁর বসতবাড়ি সংলগ্ন রাস্তাটির নাম পণ্ডিত চিন্ময় লাহিড়ী সরণী রেখেছেন।
947781
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947781
বসুন্ধরা কাশ্যপ
বসুন্ধরা কাশ্যপ বসুন্ধরা কাশ্যপ (জন্ম: ১৯ আগস্ট ১৯৮৯) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মডেল। বসুন্ধরার পিতা তামিলের অধিবাসী এবং তার মাতা মহারাষ্ট্রের অধিবাসী। তিনি ২০০৬ সালের তামিল চলচ্চিত্র "ভট্টারাম"-এ প্রথম অভিনয় করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি "কালীপানী", "জেয়ামকোন্দান" ও "পেরানমাই" সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি মিস চেন্নাই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন এবং মিস ক্রিয়েটিভিটির মুকুট অর্জন করেছিলেন এবং মডেলিংকে তিনি পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছিলেন। "থেনমের্কু পরুভাকারত্রু"-এর চিত্রগ্রহণের সময় তিনি নিজের নামটি বসুন্ধরা কাশ্যপ-এ পরিবর্তন করে নিয়েছিলেন।
947787
https://bn.wikipedia.org/wiki?curid=947787
ঐশ্বর্যা দেওয়ান
ঐশ্বর্যা দেওয়ান ঐশ্বর্যা দেওয়ান (জন্ম: ২১ ডিসেম্বর ১৯৯৩) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং কেরালার বিউটি কুইন, যিনি মালয়ালম, তামিল এবং কন্নড় ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া মহারাষ্ট্র ২০১৭ এর মুকুট অর্জন করেছিলেন এবং ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০১৭-তে মহারাষ্ট্র রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। প্রতিযোগিতা চলাকালীন তিনি বিভিন্ন উপশিরোনাম জিতেছিলেন এবং শীর্ষ-৬ চূড়ান্তদের মাঝে স্থান করে নিয়েছিলেন। "কাশী - ইন সার্চ অব গঙ্গা" চলচ্চিত্র দিয়ে তিনি বলিউডে পা রেখেছিলেন। ঐশ্বর্যা ভারতের বেঙ্গালুরুতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতা এস. দেওয়ান এবং মাতা শিজা দেওয়ান। তার পিতা একজন মালয়ালী, তাদের আদিনিবাস কেরলের শোরানুর।